আহ, সন্ধ্যা!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

কোনো এক সন্ধ্যা, ধরুন আজকের সন্ধ্যাটাই। আপনি এত্তগুলা কাগজ-পত্র নিয়ে বসেছেন, গোছাবেন বলে। কিসের কাগজ, তা বাদ থাকুক। থাকে না, অনেকদিনের অগোছালো কাগজ? গুছিয়ে রাখা হয় না, গুছিয়ে রাখা দরকার?

ঘরটায় কেমন জানি ভ্যাপসা ভাব, গুমোট গরম। বারান্দার দরজাটা খোলাই আছে তাই।

সব গুছিয়ে এনেছেন, এমন সময় ঐ খোলা বারান্দা থেকে এক ঝলক দমকা হাওয়া উড়ে এল, দিল কাগজগুলার বারোটা বাজিয়ে! কেমন লাগে মেজাজটা? আপনি তেঁড়েফুঁড়ে গেলেন দরজা লাগিয়ে দিতে! যেই না লাগাতে যাবেন, উড়ে এল আরও এক ঝলক বাতাস। নিজের অজান্তেই আপনি বলে উঠলেন, "আহ, সন্ধ্যা!"

সেই সন্ধ্যা!!!

মনে পড়ে, যখন সন্ধ্যা মানে ছিল বন্ধুদের বিদায় বলা? শেষ ফুচকাটা মুখে পুরে দিয়ে বাসার দিকে দৌড়? বিকেলে খেলে এসে বাসায় চিত হয়ে শুয়ে থাকা? মা বলতেন, "পড়তে বস।" আপনি বলতেন, "ধুত্তুরি!!!"

মনে পড়ে, প্রিয় মানুষটার কথা? সন্ধ্যাবেলায় হুটহাট করে ফোন করাটা যার অভ্যাস ছিল? কথা বলতে বলতে সেই সন্ধ্যা কবে রাত হয়ে যেত, বুঝতেই পারতেন না! ব্যাটারির চার্জ তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যেত বলে রক্ষা!

ঐ নাম্বারটা থেকে আর কল আসে না, আসবে না আর। আপনি কি তারপরও ফোনটা হাতে নিয়ে বসে আছেন, বারান্দার রেলিং-এর পাশে?

"সারা দুনিয়া কালো করায়ে
ঘনায়ে আসে রাত,
একেলা আছি বসে আজি
নিরবও সন্ধ্যায়!"

কার অপেক্ষায়?

ছড়ানো-ছিটানো কাগজগুলি গুছিয়ে নেয়া দরকার। কিন্তু আপনার মন চাইছে না যে! অনীহা আসছে!

এ অনীহা আলসেমি নয়, এ হল সন্ধ্যার মাদকতা!!!

কতদিন আসে না এমন সন্ধ্যা!!!

০ টি +০/-০