| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সূর্য তখন ঠিক মাথার উপরে উঠি উঠি করছে । আমি এসে পৌঁছালাম জাতীয় শহীদ মিনারের কাছে। হঠাৎ মনের ভেতরের সব ভাবনা শান্ত হয়ে গেল। আমার সাথে সাথে আশেপাশের প্রকৃতি যেন শান্ত । মাথার উপরের রোদটা মেঘে ঢাকছে। মৃদু যে বাতাস বইছে তা অন্য রকম প্রশান্তি বয়ে আনছে। আমে স্তব্ধ হয়ে গেলাম।এই প্রথম বারের মত দেখছি জাতীয় শহীদ মিনার। বইয়ের পাতায়, ছবিতে, এমন কি টিভিতে দেখেছি অনেক বার। যত বার দেখেছি তত বার মনে হয়েছে আমি কবে যাব। অনেক বছরের লালিত ইচ্ছে পূরণ হল। শহীদ মিনারের সামনে এসে দাঁড়ালাম। আমার শরীরটা ঝাকুনি দিয়ে গায়ের লোম কাঁটা দিল। আমি ভাবনায় ডুব দিলাম, মনের মধ্যে ঘুর পাক খাচ্ছে সেই দিনের কথা। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে বাংলা ভাষা রক্ষা করার জন্য। পুলিশ মিছিল করতে না দেবার জন্য কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। ছাত্রদের তাতে ও রুখতে না পেরে গুলি বর্ষণ শুরু করে দেয়, আর এতেই শহীদ হল সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ নাম না জানা আরও অনেকে। শহীদের রক্তে রঞ্জিত হল রাজপথ। মনে হতে থাকল এযেন আমার চোখর সামনে ঘটেছে। এখানে দাঁড়াতেই আমি সব দেখতে পাচ্ছি। এসব কথা মনে করতে করতে আমি একপা একপা করে এগিয়ে যেতে থাকলাম মূল মিনারের কাছে। অন্তরের অন্তস্তল থেকে ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য। বাড়ি থেকে নিজের হাতে লাগানো গাছের ফুল নিয়ে গিয়েছিলাম, যদিও কয়েক দিনে ফুল গুলো বেশ খানিকটা শুকিয়ে গেছে তবুও ভালবাসা শ্রদ্ধার কোন কমতি ছিল না। অনেক ভাল লাগা নিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে মনে হচ্ছিল সেই সব নির্ভীক বীরদের কথা যাঁদের কারণে পৃথিবীর ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছে আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি। জাতি হিসাবে আজ আমরা গর্ব করতে পারি।মাতৃভাষার জন্য জীবন দান বিশ্বে আর একটিও ঘটে নি। তাঁদের এই আত্নত্যাগের ফলে বাংলা ভাষা আজ বিশ্ব স্বীকৃত। ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসাবে উদযাপিত হয় সারা পৃথিবীতে। বাংলা ভাষা ভাষী মানুষের এ এক অনন্য অর্জন। এখন সময় এসেছে বাংলাকে জীবনের সর্বস্তরে ব্যবহার করার। মনে মনে এই শপথ নিয়ে ফিরে আসলাম।
২|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
ইরম্মদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্বাগতম ব্লগিং এ