নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপ কেউ জিতে না বরং জিতানো হয়

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫২


বিশ্বকাপ ক্রিকেট মানুষের মাঝে যতটা না জনপ্রিয় তারচেয়ে বেশী জনপ্রিয় হল ফুটবল বিশ্বকাপ কারন এটি বেশ পুরোনো একটি খেলা কিন্তু বেশীরভাগ খেলা ভক্তরাই হয়ত জানে না যে এসব বিশ্বকাপ খেলায় কেউ জিতে না বরং জিতানো হয়। সাধারন মানুষ জানে যে এসব বিশ্বকাপ খেলায় হারজিৎ নির্ভর করে সম্পূর্ন যোগ্যতা এবং ভাগ্যের উপর যদিও কথাটি পুরোপুরি মিথ্যা না অর্থাৎ যারা ফাইনালে কাপ নিয়ে বিশ্বের বুকে হিরো সাজে তাদের কিছুটা হলেও যোগ্যতা থাকে যেমনটা খুব জনপ্রিয় এয়াকশন হিরোদের বাস্তব জীবনেও মার্শাল আর্টের দক্ষতা থাকে। কোন দেশের বিশ্বকাপ জেতার মাধ্যমে যেহেতু একটি দেশকে খুব সহযেই অন্নান্য সকল দেশের মানুষের মনে ভালবাসা সঞ্চার করানো যায় তাই বিশ্ব নিয়ান্তাদেরও এই বিশ্বকাপ নিয়ে থাকে বিভিন্ন বিশ্ব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা যেমন- বিগত দিনগুলোতে ঘুরেফিরে আরজেন্টিনা এবং ব্রাজিলের মত দক্ষিন আমেরিকার দেশগুলোর পরপর বিশ্বকাপ জেতা এবং খেলায় খুবই কারিশমা দেখানোর উদ্দেশ্য ছিল সারাবিশ্বের মানুষের অন্তরে আমেরিকার প্রতি ভালবাসার সৃষ্টি করা এতে করে আমেরিকার দ্বারা সারা পৃথিবী শাষন ও শোষনে বেশ সুবিধা হয় এবং কোন প্রকার অর্থ খরচ ব্যাতিরেকেই বিশ্বব্যাপি অসংখ্য আমেরিকান চাঁমচার অটো সৃষ্টি হয় যা বিশ্ব শাষনের জন্য একটি বড় পলিসি এছারাও সবার মাঝে উগ্র জাতীয়তাবাদও নতুন করে উস্কে উঠে যারফলে প্রভু রাষ্ট্রগুলোও নির্ভয়ে থাকতে পারে।

আমেরিকার মাধ্যমে যতটুকু সুবিধা নেয়ার তা নেয়া হয়ে গেছে বলে বেশকিছুদিন হলে ফলে আমেরিকান কোন দেশ আর বিশ্বকাপ জিতছে না কারন তাদের আর বিশ্বের বুকে হিরো বানানোর প্রয়োজন নেই বরং এখন তাদেরকে বিশ্বের বুকে ভীলেন হিসেবেই উপস্থাপন করা হচ্ছে যদিও সত্যিকারের ভীলেন আসলে নির্দিষ্ট কোন দেশ নয় বরং কিছু সিক্রেট সোসাইটি যারা এই বিশ্ব নিয়ন্ত্রন করে যাচ্ছে পেছন থেকে আর এরাই এসব বিশ্বকাপের আয়োজন করে একেকবার একেক দেশকে বিশ্বে হিরো সাজায় নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য সাধনে জন্য। গতবার ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছিল জার্মান, উদ্দেশ্য ছিল জার্মানকে হাইলাইট করিয়ে এমন কিছু জিনিস বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করানো হবে যার মাধ্যমে সকলেই মন থেকে জার্মানের উপর ভালবাসার কারনে নতুন কিছু হজম করতে বাধ্য হবে। উদাহরস্বরুপ এই সবাই দেখল যে জার্মান বিশ্বকাপ জেতার কিছুদিন পরেই তারা একটি কৃত্তিম সূর্য্য বানাল যদিও এটি একটি ধর্মবিরোধী কর্মকান্ড তাই প্রকৃতির ভারসম্য রক্ষায় অবশ্যই হুমকি কিন্তু সারাবিশ্বের ধার্মিকগোষ্টি নিঃশ্চুপ থাকলেও পরিবেশবাদীরা আপত্তি তুলল, তখন বলা হল এতে পরিবেশের আরো উপকার হবে কারন হিসেবে বলা হল এরফলে নাকি কৃত্তিমভাবে অনেক হিলিয়াম উৎপন্ন হবে যা পরিবেশের জন্য আরো উপকারী, যদিও জার্মানে সৃষ্ট এই কৃত্তিম সূর্য্যটি ছিল আসলে ট্রায়াল ভার্সন মাত্র কিন্তু অরজিনাল ভার্সন অনেকদিন হলই গোপনে তৈরী হচ্ছে ফ্রান্সে যা সারাবিশ্বে হৈ চৈ ফেলে দিবে কৃত্তিম রোবট সোফিয়ার চাইতেও বেশী । আর এখানে বড় সমস্যা হল তখন সারা বিশ্বে রাত বলে কিছু থাকবে না অর্থাৎ স্যাটালাইটের মত পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে ঘুরে ঐ সূর্য্যের মাধ্যমে অন্ধকার দূর করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা বলা হতে পারে কিন্তু হুমকির মুখে পরবে এই উদ্ভিদ ও প্রকৃতি আর বড় বাধা হয়ে দ্বারাবে কিছু ধার্মীক গোষ্ঠী বিশেষ করে মুসলিমরা কেননা একমাত্র মুসলিমদের হাদিস গ্রন্থেই এমন ভবিষ্যৎবাণী করা আছে যে এমন করে পৃথিবীতে এক বছর সমান এক দিন করা হবে অর্থাৎ উক্ত কৃত্তিম সূর্য্য একাধারে সার্ভিস দিতে পারবে ১ম দিকে টানা এক বছর যদিও ইতিমধ্যে কৃত্তিম বৃষ্টিপাত-বজ্রপাত এবং কৃত্তিম মেঘ সৃষ্টির পর্ব শেষ হয়েছে এমনকি হার্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোন কৃত্তিম দূর্যোগ ঘটানোও সম্ভব। আর ঐ সুর্য্য যেহেতু ফ্রান্সের মাটিতেই তৈরী হচ্ছে তাই এবার বিশ্বকাপ ফ্রান্স জেতার মাধ্যমে বিশ্বের মানুষের কাছে পূর্ব হতেই হিরো সেজে থাকা জরুরী ছিল তবে এখনো বলা যাচ্ছে না যে ঐ সুর্য্যের উদয়ন সূচনা করবে ফ্রান্সের মত কোন নির্দিষ্ট কোন দেশই, নাকি নির্দিষ্ট কোন জাতি, নাকি কোন একক মাসিহা ?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.