নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের প্রশ্নোত্তর

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৪


পর্ব-৩
নাস্তিকঃ- করোনা ভাইরাসের ভয়ে ক্বাবা-ঘরসহ মসজিদ ও বিভিন্ন উপাসানালয় বন্ধ তাহলে ঈশ্বর আল্লাহও এখন অসহায়। মুসলিমদেরকে আল্লাহ আর রক্ষা করতে পারছে না। পরে দেখা যাবে বিধর্মী নাস্তিকদের তৈরী ঐষধ ভ্যাক্সিনই ধার্মীকদের শেষ ভরসা। ১মে মুসলিমরা বলছিল করোনা আল্লাহর গজব যা শুধু কাফেরদেরই ধ্বংস করবে কিন্তু এখন মুসলিমও করোনায় মারা যাচ্ছে।
আস্তিকঃ- করোনা ভাইরাসের ভয়ে ক্বাবা-ঘরসহ মসজিদ ও বিভিন্ন উপাসানালয় বন্ধ হওয়ায় ইদানিং বেশীরভাগ নাস্তেকই দাঁত কেলিয়ে ধর্ম নিয়ে আরো ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। তাদের ধারনা ক্বাবা-ঘরসহ মসজিদ বন্ধ এগুলো মুসলিমরাই করেছে। আসলে এগুলো কোন মুসলিম করে নাই করেছে বিভিন্ন মুসলিম দেশের যে পশ্চিমাবাদী রাজা বা সরকার আছে তারা, যারা কিনা পশ্চিমাদের প্রভু মানে আর সাধারন মুসলিমকে ধোকা দেবার জন্য এতদিন মসজিদে নামাজ পড়ার ব্যাবস্থা করে আসছিল এখনও করছে। তাছারা একথা প্রায় সবাই জানে যে ১৯২৪ সাল হতে মুসলিমদের কোন ইসলামিক রাষ্ট্র নেই তাই পশ্চিমাদের প্রভু মানা সৌদী রাজতন্ত্রসহ অন্যান্ন মুসলিম দেশের সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথানুযায়ি ক্বাবাসহ বিভিন্ন দেশের মসজিদ বন্ধ রেখেছে যা কিনা ইসলাম সমর্থন করে না কিন্তু প্রশাষনের হাতে মিডিয়া এবং দালাল হুজুর সর্বদাই থাকে তাই তারাও মিডিয়ার মাধ্যমে মহামারীর হাদিসের ভুল অপব্যাখ্যা করে মসজিদে জামাত সাময়িক বন্ধ রাখা জায়েজ বলেছে।
এখন কথা হল এতে – আল্লাহর কি করনীয় হওয়া ছিল ? ইসলাম ধর্ম মতে শুধু ক্বাবা-ঘরসহ দুনিয়ার সমস্ত মসজিদ কেন সকলেই যদি নামাজও ত্যাগ করে তবু আল্লাহ সুবঃ এর কিচ্ছু যায় আসবে না এবং এই পৃথিবীও ধ্বংস করবেন না এবং ঠিকই রোদ বৃষ্টিও স্বাভাবিকই রাখবেন- হাদিসে আছে ভবিষ্যতে এক নিগ্রো ক্বাবা ঘরও ভেঙ্গে ফেলবে তবু আল্লাহ গজব দিয়ে দুনিয়ায় কেয়ামত কায়েম করবেন না। দুনিয়ায় ১জন মাত্র বান্দাও নামাজ বাদ দিয়ে শুধু আল্লাহ বলে ডাকার মত কেউ থাকাবস্থাতেও তিনি এমন করবেন না এমনকি কেউই তাঁর নাম না নেয়ার পরও কিছুদিন স্বাভাবিকই রাখবেন এবং এরকিছুদিন পরই কেয়ামত হবে অথচ করোনার ভয়ে মসজিদ বন্ধ হলেও নামাজীরা ঘরে ঠিকই নামাজ পড়ছে এমনকি এইসব বিপদ দেখে অনেক বেনামাজীও ঘরের মধ্যেই ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করেছে অর্থাৎ মানুষ আরো ঈশ্বরমুখী হচ্ছে।
এখন কথা হল বেশীরভাগ নাস্তেকদের চিন্তাধারা আসলে কেমন? তারা ভাবে স্রষ্টা যদি থাকে তবে তিনি আমাদের উপাসনার জন্য মুখাপেক্ষী এবং তার বান্দারা যদি কোন বিপদে পরে তবে তার নিজের হাত দিয়ে তাদের সর্বদাই রক্ষা করা উচিৎ নয়ত ফেরেশতা দ্বারা সরাসরি সাহায্য করা উচিৎ অর্থাৎ আল্লাহর বান্দাদের দুনিয়ায় কোন বিপদ-আপদ তো দুরের কথা কোনরকম কষ্টও হওয়া উচিত না কিন্তু মুসলিমরা জানে দুনিয়াতে আল্লাহ মুমিনদেরই বেশী কষ্ট দিবেন, বিপদ দিবেন পরীক্ষা করবেন আর পরকালে শান্তিতে রাখবেন আর কাফেরদের তার উল্টোটা করবেন। এসব মহামারী দেখা গেলে কেউ আল্লাহর কাছে দুয়া করলে তাকে আপাদত বাঁচালেও পরে ঠিকই অন্যকোন উচিলায় মৃত্যু দিবেন অথবা তাকে আপাদত না বাচিয়ে এই মহামারীতেই অসুস্থ করে মৃত্যু দিয়ে শহীদের মর্যাদাও দিতে পারেন। সুতারাং এইভাবে মহামারীতে মুসলিমরা মরলে বা অনৈসলামিক সরকার মসজিদে নামাজ-ক্বাবাতে হজ্ব বন্ধ করলে আল্লাহর কিছুই যায় আসবে না বরং এইসব ঘটনা যখন ঘটবে তখন হাদিস অনুযায়ি ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা যিনি সকল সরকারকে পতন ঘটিয়ে ইসলামিক খিলাফা আবারও ফিরিয়ে আনবেন।
আর কোন রোগ হলে ইসলামে অতি উত্তম হল- চিকিৎসা না করে ধৈর্য্য ধরা, অমুসলিমদের মতন রোগের সাথে যুদ্ধ করা নয় তবে সুন্নাহ হিসেবে কিছু চিকিৎসা ও সেবাও নেয়া যায় কিন্তু ফরজ না, কেননা কোন না কোন রোগের মাধ্যমেই আল্লাহ বেশীরভাগ মানুষের মৃত্যু লিখে রেখেছেন তাই একজন ব্যাক্তি কতদিন আর কয়টা রোগের সাথেই বা লড়বে ? মৃত্যু তার হবেই সুতারাং সত্যিকারের মুসলিমরা কখনই বিধর্মী নাস্তিকদের তৈরী ঐষধ ভ্যাক্সিন এর জন্য চেয়ে থাকবে না শুধু তাই না কোন ঈমানদারও ঐষধ ভ্যাক্সিন আবিস্কার তো দূরের কথা বানানোর কল্পনাও করতে পারে না। এসব কাজ হল সেসব মানুষের জন্য যারা এই জীবনকেই শেষ জীবন মনে করে আর যতদিন বাঁচতে চায় ভালভাবে বাঁচতে চায় অর্থাৎ দুনিয়াই যাদের আসল আর মৃত্যুবরন মানে সবই শেষ যারা মনে করে। আর বর্তমান অনলাইনের মুক্ত তথ্য-প্রযুক্তির যুগে চীনা মুসলিমদের অনেক নির্যাতন করা হচ্ছে শুনে অনেক আবেগী মুসলিমসহ কিছু আলেম-বক্তারাও অনুমান করেছেন যে এই করোনা ভাইরাস হয়ত আল্লাহ গজব হিসেবে চাইনাদের শায়েস্তা করতে পাঠিয়েছেন তাই মুসলিমদের এই রোগ হবে না। এখন কথা হল- কিছু মুসলিম আবেগী হয়ে কিছু বললেই সেটা ইসলামের দলীল না তাছারা সাধারন মুসলিম কেন অনেক নাস্তেক মহাশয়ও জানে না যে করোনা ভাইরাস আসলে নাস্তেক বিজ্ঞানীদেরই মোডিফাইড করা একটি ভাইরাস, যাকে ইচ্ছে করেই ছেরে দেওয়া হয়েছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন, পৃথিবীর পরিবেশ বাচান, ক্যাশলেস মুদ্রাব্যাবস্থা চালুসহ জাতিসংঘের সরাসরি তত্তাবধায়নে এজেন্ডা-২১ এর বাস্তবায়ন করে একটি নতুন বিশ্বব্যাবস্থা গড়ে তোলার জন্য আর এজন্যেই তারা সারা পৃথিবীতে মহামারীর নামে সাধারন মানুষকে হত্যা করছে আর যারা এসব গোপনে করছে তারা কিন্তু সবাই নাস্তেক এবং তারা মনে করে তারা ভালর জন্যই করছে তারা ভাবে- আগামীর দিনগুলো আরো সুখ-সমৃদ্ধিপুর্ন করতে হলে কিছুটা ত্যাগ করতেই হবে।
নাস্তিকঃ-আমরা ধর্মিও গন্ডির বাহিরে,ভালো লাগলে আমাদের সাথে আসুন,
মানবতাই মানুষের ধর্ম,
আস্তিকঃ-মানবতার ধর্ম মানে মানুষের মন যা চায় তাই বা বিবেক যা বলে তাই , কিন্তু মনবিজ্ঞানিরা বলে এভাবে একমাত্র পাগল অথবা ভন্ডরাই চলতে পারে তাই মানবতার ধর্ম মানেই পাগল ছাগলের ধর্ম অথবা ভন্ডদের তৈরী ধর্ম।
নাস্তিকঃ- মুসলিমরা বায়ুত্যাগে অজু করার কারন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি এটা একটি অবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। যদি আদৌ ব্যাখ্যা জানবার ইচ্ছে থাকে, তবে নিচে একটা লিংক দিলাম এটা পড়ুন সেখানে বলা আছে বায়ুত্যাগে ততটুকুই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকে, যতটুকু থাকে দইতে। মর্মার্থ বুঝেছেন?
আস্তিকঃ- জানিনা আপনার ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে ধারনা কতটুকু? তবে দই এর ভিতর থাকা যে ব্যাকটেরিয়া সেটা হল উপকারি ব্যাকটেরিয়া । সাধারনত কোন ব্যাকটেরিয়া ভাল খারাপ তা অনেকটাই বুঝা যায় গন্ধ থেকে। বায়ুত্যাগে যে ব্যাকটেরিয়া বের হয় তা এমন ক্ষতিকর নয় যে সংগে সংগে একজন অসুস্থ হয়ে পরবে তবে মুসলিমরা একটু বেশি পবিত্র থাকে তাই এগুলো থেকেও বাঁচার চেষ্টা করে অযুর দ্বারা মৌলিক অংগ-প্রত্যঙ্গ ধৌতের মাধ্যমে।অর্থাৎ কেউ গ্যাস ছারলে জীবানু ঐ জায়গায় বিরাজ না করে বেশি বিরাজ করে যেসব জায়গায় সেসব অংগই ধোয়া ইসলাম শিখিয়েছে। আপনি উপরে যে লিংক দিলেন এরকম লিংক এর খিচুরী দিয়ে প্রমান করা যায় মাদকও উপকারী শরীরের জন্য, বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে হাজার হাজার মানুষ হাজার হাজার তথ্য গবেষনা অনলাইনে প্রকাশ করে সেটা হোক সরকারি বা বেসরকারিভাবে তার সবগুলোই ঠিক একথা একজন পাগলও বলবে না। আপনি বায়ুত্যাগে যে ব্যাকটেরিয়া বের হয় তা এমন ক্ষতিকর নয় প্রমান পেয়েছেন ভাল কথা আপনি আজ থেকে আর কারও বায়ু ত্যাগে নিজের নাকে রুমাল বা হাত দিয়েন না এমনকি নিজের দমও বন্ধ করবেন না আর মনে মনে ভাববেন এটা দই এর মতই।
নাস্তিকঃ- আপনি বললেন, মানুষের বায়ুত্যাগে দুঃর্গন্ধময় খারাপ ব্যাকটেরিয়া বের হওয়ায় মুসলিমরা অযু করে আর সাধারনত কোন ব্যাকটেরিয়া ভাল খারাপ তা অনেকটাই বুঝা যায় গন্ধ থেকে।ওরে ভাই, ব্যাকটেরিয়ার গন্ধ থাকেনা। বায়ুত্যাগে যে গন্ধ হয় সেটা হয় মিথেনের কারনে; কারন তাতে থাকে মূলত হাইড্রোজেন আর মিথেন। এই গ্যাস তৈরি করে কোলনে থাকা ব্যাকটিরিয়া।আর অজু মূলত ইহুদিদের প্রথা, মুসলমানেরা সালাতের মতই এটিও ধার করেছে।আপনি না জানেন বিজ্ঞান, না জানেন ইতিহাস।

আস্তিকঃ- ব্যাকটেরিয়া নিজেই তো আর গন্ধ না।ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কারনেই এমনটা হয়, যেমন- এই গ্যাস তৈরি করে কোলনে থাকা ব্যাকটিরিয়া।আসলে আপনার এখনে ভুল ধরার ব্যাপারটা এমন হয়েছে যে- আমি যদি বলতাম গন্ধটা হয় মিথেনের কারনে তখন আপনি লাফ দিয়ে উঠে বলতেন আসলে মিথেনও এই গন্ধ এর জন্য দায়ী না অর্থাৎ যখন এক অনু কার্বনের সাথে ৪ অনু হাইড্রোজেন যৌগ গঠন করে তখনই মিথেন তৈরী হয় বলে মুলত এরজন্য দায়ী কার্বন আর হাইড্রোজেন।হে হে হে। আমি পূর্বেও বলেছি এখনও বলছি যেখানেই দেখবেন দূর্গন্ধ সেখানে যেসব ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যাবে সেসব ব্যাকটেরিয়াই ক্ষতিকর সেটা হোক খুবই সামান্য পরিমানেই হোক না কেন। তবে আপনি এবার অনলাইনে এটার পেছনে সময় ব্যয় করতে থাকুন কিভাবে দূঃর্গন্ধময় স্থানের ব্যাকটেরিয়াকে উপকারী দই এর মত প্রমান করা যায়।আমি জানি না যে আপনি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কিনা ? তবে আপনার কথাবার্তায় আমার কাছে আপনাকে কেন জানি কলাবিজ্ঞানী মনে হয় । কলাবিজ্ঞানী মিনস- কলাবিভাগে লেখাপড়া করেও যারা বিজ্ঞান নিয়ে বেশি কাউ কাউ করে এবং মাঝে মাঝে তর্কে জড়ায় বিজ্ঞান বিভাগেরই ছাত্রদের সাথে। আবার শেষে বলেছেন অজু ইহুদীদের হতে ধার করা । সেটা যে ধার করা আপনি কিভাবে বুঝলেন, আপনাদের আরেক দোষ মুখস্তবিদ্যা আর যা পড়েন তাই অকোপটে বিশ্বাস করেন। ইহুদীদের ধর্মও যে ঈশ্বর পাঠিয়েছিলেন সেই একই ঈশ্বরই ইসলাম ধর্মও পাঠিয়েছেন তাই মূল রীতি নীতিতে মিল থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু ইসলাম ধর্ম আল্লাহ কর্তৃক সর্বশেষ আপগ্রেড করা তাই মুসলিমদের অযু ও সলাত আর ইহুদিদের অযু ও সলাতের মাঝে কিছুটা পার্থক্যও রয়েছে তাহলে ধার করলে বা কপি করলে পুরোটাই করত তাহলে কিছুটা পার্থক্য আবার কে রাখল ? যাইহোক আপনি সবসময়ই এক লাইন বেশি বুঝেন আর ধরাও খান, কারন কি জানেন? যে শত্রুকে সবসময় দূর্বল ভাববে সে সর্বদাই ধরা খাবে একথা ঐতিহাসিক সত্য। আর আপনি মনে প্রানে বিশ্বাস করেন আস্তিক বা ধার্মিকরা বিজ্ঞান কম জানে আর জানলেও কম বুঝে কেননা আপনার ধারনা বিজ্ঞান বেশী বুঝলেই সে আপনাদের মতন নাস্তেক হতে বাধ্য। কিন্তু চার্লস বেকন তো বলেন অন্য কথা যেমন তিনি বলেন- তুমি যদি বিজ্ঞান সম্পর্কে কম জানো তবে সেই কম জানা তোমাকে নাস্তিক বানিয়ে তুলবে। আর আমিসহ অনেকেই জানেন- নাস্তেকরা না ভালভাবে বুঝে বিজ্ঞান আর না ভালভাবে বুঝে ধর্ম অর্থাৎ দুটোতেই অপরিপক্ক আর সেটার বড় প্রমান হল- তারা নিজেদের বেশী জ্ঞানী ভাবে কিন্তু জ্ঞানীরা তো বলে এর উল্টোটা।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: নাস্তিকদের মরার পর খবর আছে। কবরেই মুনকার আর নকীর পিটিয়ে মেরে ফেলবে।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: "এখন আল্লাহর করনীয় কি?" - এক জায়গায় দেখলাম, এই প্রশ্ন উত্থাপন করে তার ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। আমার কাছে স্রষ্টার জন্যে করনীয় - বর্জনীয় ইত্যাদি খোঁজার চেষ্টা করাটা একদিকে আদবের খেলাফ, অন্যদিকে নিজের ঈমানের জন্যেও খুব বিপদজনক একটা ব্যাপার বলে মনে হয়। একে তো স্রষ্টার চিন্তা/কর্ম পদ্ধতির ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো, বা দিকনির্দেশনা দেয়া সামুতে বসে দেয়া সম্ভব না, বরং গত একশো বছরের বিশ্বের ইতিহাস দেখে কেউ যদি স্রষ্টার প্রামাণিক অস্তিত্ব খোঁজার চেষ্টা করে, তবে তার ধর্মের প্রতি ভক্তি উঠে যাওয়ার প্রোবাবিলিটি বাড়বে। যখন ক্রমাগত মুসলমানদের একটা নিপীড়িত গোষ্ঠী হিসেবে পৃথিবীতে আমি প্রতিষ্ঠিত হতে দেখি, এবং হতাশার সাথে লক্ষ্য করি যে কি চতুর বুদ্ধিবৃত্তিক পরিকল্পনার সাহায্যে মুসলিমদের বিবিধ ট্যাগের অধীনে এনে কোনঠাসা করবার একটা জোর প্রচেষ্টা পশ্চিমা বিশ্ব এবং ভারতের রাজনীতিবিদ এবং মিডিয়ার একাংশ - চালাচ্ছে, এবং দৃশ্যমান কোন সাহায্য আসমান থেকে নেমে আসছে না, তখন আমি নিজেকে এভাবে প্রবোধ দিই যে - নিশ্চয়ই আল্লাহর একটা পদ্ধতি আছে তার কার্যক্রম পরিচালনার, এবং আমাদের নিয়ে তার কিছু একটা পরিকল্পনাও হয়তো আছে। কিন্তু আল্লাহ কিভাবে চিন্তা করেন সেটা বোঝা যেহেতু আমার পক্ষে সম্ভব না, এবং আসমানি সিদ্ধান্ত সমূহে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করাও যেহেতু আমার পক্ষে সম্ভব নয়, কাজেই আমি আমার হাতে যে কাজটুকু আছে, আমার ধর্ম আমাকে যে নৈতিক শিক্ষাটুকু দেয় সেটা পরিপূর্ণ রূপে নিজের জীবনাচরণে প্রতিষ্ঠিত করি। ইসলামকে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে প্রিচ করবার বদলে নিজের আচার ব্যবহারে এমন মাধুর্য আনি - যে মাধুর্য সাহাবি, তাবেয়ি এবং স্বয়ং রাসুল (সঃ) অভ্যাস করতেন। হয়তো শুধুমাত্র মুসলমান হবার কারনে অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাসী কিংবা ধর্মে সম্পূর্ণ অবিশ্বাসীদের মধ্যে যারা আমাকে শত্রু মনে করেন, তারা মুখে স্বীকার না করলেও অন্তঃকরণে একটা ধারণা বহন করবেন যে - এই জাতি একটা সভ্য, সুন্দর এবং মানবিক জাতি। সেটাই আমার কাছে একজন ধার্মিক হিসেবে চূড়ান্ত বিজয়।

শুভেচ্ছা জানবেন।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১৭

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আল্লাহ কিভাবে চিন্তা করেন সেটা বোঝা যেহেতু আমার পক্ষে সম্ভব না তবে তিনি যেভাবে বলেছেন তা কুরান-হাদিসে এসেছে এবং সেভাবেই নাস্তিকসহ অন্যদের বুঝাতে হবে। শেষের দিকে আপনি যা বললেন, এইরকম কাঠমোল্লা টাইপ চিন্তাধারা যদি নবী সঃ আর সাহাবাদের থাকত তবে আজকে আর আপনি ইসলাম নিয়ে গর্ব করতে পারতেন না। ঘরের মধ্যে বসে হিন্দুদের মত টুং টুং করে পুজার ঘুন্টি বাজান লাগত কারন তাহলে কিছুতেই ইসলাম প্রচার -প্রসার হত না।

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৪

নতুন বলেছেন: আর কোন রোগ হলে ইসলামে অতি উত্তম হল- চিকিৎসা না করে ধৈর্য্য ধরা, অমুসলিমদের মতন রোগের সাথে যুদ্ধ করা নয় তবে সুন্নাহ হিসেবে কিছু চিকিৎসা ও সেবাও নেয়া যায় কিন্তু ফরজ না, কেননা কোন না কোন রোগের মাধ্যমেই আল্লাহ বেশীরভাগ মানুষের মৃত্যু লিখে রেখেছেন তাই একজন ব্যাক্তি কতদিন আর কয়টা রোগের সাথেই বা লড়বে ? মৃত্যু তার হবেই সুতারাং সত্যিকারের মুসলিমরা কখনই বিধর্মী নাস্তিকদের তৈরী ঐষধ ভ্যাক্সিন এর জন্য চেয়ে থাকবে না শুধু তাই না কোন ঈমানদারও ঐষধ ভ্যাক্সিন আবিস্কার তো দূরের কথা বানানোর কল্পনাও করতে পারে না। এসব কাজ হল সেসব মানুষের জন্য যারা এই জীবনকেই শেষ জীবন মনে করে আর যতদিন বাঁচতে চায় ভালভাবে বাঁচতে চায় অর্থাৎ দুনিয়াই যাদের আসল আর মৃত্যুবরন মানে সবই শেষ যারা মনে করে।

সত্যি আপনি এটা বিশ্বাস করেন? আপনার রোগ হলে ডাক্তারের কাছে যান? চিকিতসা নেন? ঔষুধ থান?

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২০

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: হ্যা আমি আগে ডাক্তারের কাছে যেতাম কিন্তু এখন জানার পর আর যাই না।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৫৭

যুবায়ের আলিফ বলেছেন: নাস্তিক নিয়ে আলোচনা করা আমার কাছে সবচেয়ে ফালতু বিষয়ের মধ্য থেকে একটা মনে হয়। আরজ আলী সাহেবের রচনা সমগ্র পড়ে তাকে রীতিমতো মত বোকা মনে হয়েছে। আফসোস সে যদি সমাজের প্রচলিত কুসংস্কার রেখে প্রকৃত ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করত। নাস্তিকদের অধিকাংশ কর্মকাণ্ডই ইসলাম বিদ্বেষী। এরা প্রকৃত সত্যান্বেষী না।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৩

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। তবে তাদের এসব ভুল প্রচারোনার কারনে অনেকেই বিভান্ত হচ্ছে আর এটার সঠিক তথ্যও প্রচার করা মুসলিমদের জন্য ফরজ।

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৪

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ্যা আমি আগে ডাক্তারের কাছে যেতাম কিন্তু এখন জানার পর আর যাই না।


আপনার পরিবারের সদস্যদের ভ্যাকসিন দেয়েছেন? তাদের অসুস্হতায় ডাক্তারের কাছে যান? ঔষুধ খান?

রাসুল সা: অসুস্হ হলে তিনি চিকিতসা নিতেন। তিনি তো কখনোই বলেননাই চিকিতসা না নিতে? ঔষুধ না বানাতে?

কালিজিরা,মধুতে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের নিরাময় আছে এমন হাদিস আছে.... তিনি এই রকমের জিনিসের কথা কখনো বলতেন না যদি রোগের চিকিতসা নেয়া তিনি ভালো মনে না করতেন।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৩

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আপনি কতটুকু খবর রাখেন আমি জানি না, সম্প্রতি ভ্যাকসিন নিয়ে উন্নত বিশ্বে বিক্ষোভ চলছে বিশেষ করে পোলিও ভ্যাকসিন তো অনেক দেশ নিষিদ্ধ করার দাবী তুলেছে। নবী সাঃ যে কালোজিরা খেতে বলেছেন তা কি কৃত্তিমভাবে মানুষ বানিয়েছে ? নাকি এটা এক ধরনের প্রাকৃতিক শষ্য যা খুব সহযেই শরীরে নিয়ে নেয় কিন্তু মেডিসিনের ক্ষেত্রে ঘটে উল্টোটা।

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: এই দুচি কয় তাঁর রোগ হলে ডাক্তারের কাছে যায় না, পাবনার মাল ব্লগে কি করে?

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আদব রক্ষা করে কথা বলতে শিখুন। নয়ত আমার ব্লগে কমেন্টের দরকার নেই। আপনার রাগ দেখে মনে হচ্ছে আপনি হয়ত ডাক্তারের কম্পাউন্ডারের কোন চামছা গোছের একটা কিছু, যার প্রধান কাজই হল অসহায় রুগীদের কাছ থেকে ১০/২০ টাকা করে ঘুষ নিয়ে সিরিয়ালে আগ-পিছ করা। আমি বা আমার মত অন্য কেউ ডাক্তারের কাছে না গেলে আপনার ২০ টাকা ডেইলী লছের সম্ভাবনা।

৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩২

নতুন বলেছেন: বোকার স্বগে` বসবাস করছেন মনে হচ্ছে।

দুনিয়াতে ভ্যাকসিনের বিপক্ষে ২ জন কথা বল্লে ২ লক্ষ মানুষ পক্ষে কথা বলে এবং তাদের ছেলেমেয়েদের টিকা দিচ্ছে।

যেই সব সুত্র থেকে এই সব তথ্য পান সেইগুলি ভুয়া এবং গুজব প্রচার করে।

আরেকটা বিষয় হলো আপনি ইসলাম নিয়ে চিন্তা করুন কোন সেটা আপনার বিষয়।

কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত ভাবনা দিয়ে যদি এমন কিছু প্রচার করেন যেটা দেশের জনগন অনুসরন করলে ক্ষতি তবে সেটা অবশ্যই চ্যাল্যান্জ করবে সবাই।

আপনার ঔষুধ, ডাক্তার,গবেষনা নিয়ে ইসলামি চিন্তা সম্পূন` ভূল এবং সেটা ভালো ভাবে জেনে নিয়ে ব্লগে প্রচারের জন্য অনুরোধ করছি।



নিচের ব্লগার নতুন নকিব ভাইয়ের ব্লগে আমার প্রশ্নের জবাবে তিনি কি জবাব দিয়েছেন সেটা একটু পড়ুন<< তিনি ইসলাম সম্পকে যথেস্থ ভাল জ্ঞান রাখেন তার জবাব টা পড়তে পারেন।

https://www.somewhereinblog.net/blog/NatunNakib/30295090#c12770802

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫০
লেখক বলেছেন:
করোনার মতন সমস্যার সমাধানের জন্য মুসলমানদের ভিন্ন কিছু করনীয় নেই। উপস্থাপিত নিবন্ধে ধর্মীয় কিছু করণীয় উল্লেখ করেছি। এর পাশাপাশি আপনি যেটা বলেছেন, এই মহামারির প্রতিষেধক তৈরি করা, এটা সাধারণ মানুষের কাজ নয়। আপনিও বুঝে থাকবেন, এটা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণাধর্মী বিশা এক কাজ। এই কাজ যাদের করার কথা তারা নিশ্চয়ই তা করছেন। করে চলেছেন। আর মানুষের প্রাণ রক্ষাকারী এসব আবিষ্কারে যারা শ্রম দিবেন, তারা অবর্ণনীয় পূন্যের অধিকারী হবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। ইসলাম এ বিষয়ে শুধু উৎসাহিত করেই ক্ষান্ত হয়নি, তাদের বিশেষ মর্যাদার কথাও ঘোষনা করেছে।
সুতরাং সমগ্র পৃথিবীর উপরে হামলে পড়া এই ভাইরাস প্রতিরোধকল্পে এর প্রতিষেধক টিকা থেকে শুরু করে সম্ভাব্য যা যা প্রয়োজন সবই মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, ইহুদি নির্বিশেষে সকল জাতির অন্যতম করণীয়।

আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি -
১। মুসলমানদের কি গবেষনা করা উচিত?
উত্তর: অবশ্যই উচিত।
২। মুসলমানদের কি করোনার ভ্যাকসিন তৈরির চেস্টা করা উচিত?
উত্তর: অবশ্যই উচিত।
৩। মুসলমানদের কি করোনা রোগীদের সাহায্য করতে চেস্টা করা উচিত?
উত্তর: অবশ্যই উচিত। বেশি বেশি করা উচিত।
৪। না কি আক্রান্ত হলে শহীদী মৃত্যু বরনের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।
উত্তর: একজন মুসলিম সর্বাবস্থায় শহীদী মৃত্যু কামনা করবে, এটাই হাদিসের নির্দেশনা। করোনার জন্য আলাদা কিছু নেই।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫০

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আর কোন তথ্য ভুয়া এবং গুজব তা আপনি কিভাবে প্রমান করেন সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে? তাই যদি হয় তবে আপনার সাথে অযোথা তর্ক না করাই ভাল। আর নকিব ভাই ইসলামের কোন দলীল নয় । তিনি এমন কোন হাদিস দেখাতে পারবেন যে নবী সাঃ ঐষধ তৈরীর কথা বলেছেন বা কেউ করে থাকলে তার পূন্য হবে বলেছেন ? এমন একটা দলীল দেখান জয়ীফ জাল হলেও চলবে?

৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২১

নতুন বলেছেন: সংখ্যাগরিস্ঠতার ভিক্তিতে না গবেষনা তথ্যের ভিক্তিতে। আপনার অবশ্য বিজ্ঞান, গবেষনা পদ্বতী বা অন্য কোন জিনিস সম্পকে আপনার কোন ধারনা নেই থাকলে এমন কথা বলতে পারতেন না।

আপনি গুজবে বিশ্বাসী মানুষ। ইসলামী চিন্তাও অন্ধবিশ্বাসী টাইপের। নতুবা উপরে যা প্রচার করছেন সেটা বলতে পারতেননা।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৪৬

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: নিজেকে মহাজ্ঞানী ভাবা এবং পশ্চীমাদের কপি পেষ্ট ভক্তদের সাথে আমি তর্কে জড়িয়ে সময় নষ্ট করতে চাচ্ছি না। আশা করি আর ত্যানা পেঁচাবেন না । দেখুন- সমজে আপনাদের মতন লোকের সংখ্যাই বেশি, তাই সেটা নিয়েই আপাদত সন্তুষ্ট থাকুন, তাই অন্যদেরকেও ভেঁরার দলে নেয়ার জন্য আপনার নিজের মাথা না ঠুকলেও চলবে।

৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

নতুন বলেছেন: আপনাকে দলে নেয়ার জন্য বলছিনা।

আপনি মানুষকে ভুল ব্যখ্যা দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন সেটার জন্য বলছি।

যেমনটা দেওয়ানবাগীর মতন পীরেরা বলে থাকে যে তিনি আল্লাহের সাথে দেখা করেন এমন তার মুরিদরা বিশ্বাস করে।

আপনিও ইসলামী চিন্তাবিদ নাম নিয়ে মুসলমানকে বিভ্রান্তের চেস্টা চালাচ্ছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.