নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের প্রশ্নোত্তর

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪১


পর্ব-৫
নাস্তিকঃ- ঈশ্বর নারী পুরুষকে সমান করে সৃষ্টি করলেই পারত, আর এমন বৈষম্য রেখে সৃষ্টি করেও আবার অধিকার সমান দেয় নাই সুতারাং বুঝাই যায় এটা মানব রচিত।

আস্তিকঃ- নারী-পুরুষ কে সবকিছু সমান দিয়েই যদি সৃষ্টি করতো তাহলে তো তাকে আর আলাদাভাবে নারী বা পুরূষ বলা যেত না ফলে তাদের দিয়ে বংশ বিস্তারও সম্ভব হত না । এভাবে সব প্রজাতির ক্ষেত্রেই যদি তাই করা হত তবে কোন সৃষ্টিই ধাবমান হত না , অর্থাৎ সৃষ্টির তখনি বিনাশ হয়ে যেত আর এইধরনের বোকামী স্রষ্টা কেন করবেন? আর যদি বলেন অধিকারের দিক দিয়ে সমান এর কথা তবে বলি- আপনাদের মগজে সমান অধিকার বলতে যা খেলে তা নিচের উদাহরন পরলেই বুঝবেন আশা করি-ধরুন একটি পরিবারে দুটি লোক আছে , একজন স্বামী খেতে পারে ডেইলি হাফ কেজি চালের ভাত আর স্ত্রী পারে এক পোয়া চালের ভাত , তাদের সমর্থনুযায়ি তারা ডেইলি পোনে এক কেজি চালের ভাত রাধে এখন ইসলাম বলছে এক্ষেত্রে যে- তারা তাদের শারিরিক গঠন বা চাহিদা অনুযায়ি খাবে । এভাবে শারিরিক গঠন অনুযায়ি খেলে এবং চাহিদানুযায়ি রান্না করলে ভাত একটুও নষ্ট হবে না আবার কেউই অভুক্তও থাকছে না । আর আপনাদের মাথামোটা মগজে সমান অধিকার দিতে গিয়ে স্বামী বউ দুজনেই সমান খাবে আর এতে স্বামির খাবারে কমতি হবে আর বউয়ের বেশি হবে ফলে ভাত নষ্ট হবে । এই হল আপনাদের মাথামোটা মগজে সমান অধিকার দেয়ার নমুনা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
নাস্তিকঃ বসন্ত, plague ইত্যাদি ক্ষেত্রে নাস্তিক বৈজ্ঞানিকরা insidious pathogenic virus bacteria দমন ও খতম করার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে মানবজাতিকে বাঁচিয়েছে। আর ধার্মিকরা এসব ক্ষেত্রে কি করছে?

আস্তিকঃ- আপনি এমনভাবে বলছেন যেন নাস্তিক বৈজ্ঞানিকরা ঐসব রোগীদের অমরত্ব দিয়েছে! তাদেরকে তো এরকিছুদিন পরে ঠিকই মরতে হয়েছে। আর ভ্যাকসিনের মাধ্যমে তাদের শরীরে অন্য ধরনের যে ভাইরাস ঢুকিয়ে সাময়িক মৃত্যু হতে বাচিয়ে দেয়া হয় ঠিকই কিন্তু পরবর্তীতে সেই ভাইরাস সারাজীবন তাদের শরীরে বয়ে বেড়াতে হয়েছে আর ঐ ভ্যাকসিনের ভাইরাসের কারনে বাদবাকী জীবন সে সমস্যা ও আচরন করেছে তা যোগ করে যে ক্ষতির হিসেব আসে তারচাইতে সেই প্লেগে মরাই লাভ বিবেচিত হয়। তাই আরো কিছুদিন খারাপভাবে বাঁচার চাইতে তখন মরলেই কি এমন ক্ষতি হত আফটারঅল সবাইকে তো একদিন মরতেই হবে আজ হোক আর কাল।

নাস্তিকঃ- আমি কোথায় দাবি করেছি যে বিজ্ঞানের আবিষ্কার সমূহ মানুষকে অমরত্ব দিয়েছে? মারাত্মক রোগগুলো চিরতরে নির্মূল হয়েছে। এখন আল্লাহ গড ঈশ্বর মাথা কুটে মরলেও ওসব রোগ দিয়ে মানুষকে মারতে পারবে না।ঈশ্বর যমদূত পাঠায়, বিফল হয়ে বেচারা ফিরে যায়।যা জন্মেছে তা প্রাকৃতিক নিয়মেই মরবে। এ ব্যাপারে ঈশ্বরের হাত নেই।

আস্তিকঃ- দেখুন - ঈশ্বরের প্লান হল দুনিয়াতে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের মাধ্যমে মানুষকে অসুস্থতা দিয়ে কাউকে পরীক্ষা করবে আবার কাউকে ফিরিয়ে নিবে। আপনি বললেন-Vaccine ও Life Salving Antibiotics আবিস্কারের ফলে Small Pox, Polio, plague এধরনের মারাত্মক রোগগুলো চিরতরে নির্মূল হয়েছে। নির্মূল করে লাভটা কি হল? ঈশ্বর তো তার চাইতেও আপডেট ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের মাধ্যমে ঠিকই (এইডস, সার্স,মার্স,করোনা) মানুষকে পূর্বের মতই অসুস্থতা দিয়ে কাউকে পরীক্ষা আবার কাউ মৃত্যু দিচ্ছেন। ধরলাম হাজার হাজার ডলার আর সময় নষ্ট করে কিছু নাস্তেক বিজ্ঞানীরা এসবেরও Vaccine(অসংখ্য পার্শপ্রতিক্রিয়া সম্বলিত) বের করেই ফেলে তারপরও আল্লাহর প্লান বাস্তবায়নে তিনি পুর্বের চাইতেও আপডেট ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের মাধ্যমে ঠিকই অসুস্থতা আর মৃত্যুর মাধ্যম জারি রাখবেন। তাহলে তো কি হল ? যে লাউ সেই কদু । নাস্তেকদের এহেন গাঁধার মতন ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ দেখে ফেরেশতারাও মশকরা করে । নাস্তেকরা যত চেষ্টাই করুক মানুষের জীবন থেকে বড় বড় অসুস্থতা আর মৃত্যু কিছুতেই দূর করতে পারবে না মাঝখান থেকে মূর্খের মতন অযোথা অর্থ, সময় ব্যয় করে ঐষধ ও Vaccine তৈরী করে উল্টো ব্যাকটেরিয়া আর ভাইরাসকে আপগ্রেড করে পরিবেশের জন্য হুমকি করে তুলছে কারন তাদেরই কারনে ব্যাকটেরিয়া এখন আপডেট হতে হতে ব্যাকটেরিয়া বাগে রুপান্তরিত হয়েছে তাই এখন আর পূর্বের এন্টিবায়োটিক কাজ দেয় না। তাই কথায় কথায় উপরে বলেছিলাম যে অযোথা রোগের পিছনে এতবেশী সময় নষ্ট না করে ঈশ্বর কেন জন্মালেন আমাদের সেদিকে সময় ব্যয় করা উচিত। তা না করে নাস্তেকরা Vaccine তৈরী করে যাদের বাচাল পরবর্তীতে ঠিকই তাদের মরতে হয়েছে কিন্তু নাস্তেকের প্রতিষেধক না পেলে রোগে পরে মৃত্যুর ভয়ে হয়ত ঈশ্বরের কাছে মাফ চেয়ে মরে স্বর্গেও যেতে পারত কিন্তু নাস্তেকদের Vaccine দ্বারা আপাদত সুস্থ হওয়ায় তাদেরও কিন্তু বেশীরভাগই পরবর্তীতে হয়ত নাস্তেক হয়েই পটল তুলে জাহান্নামী হতে হয়েছে।
শেষের প্রশ্নে বলি- আসলে ঈশ্বর ১মেই কোনদিনই যমদূতের দ্বারা কাউকে মারে না ১মে মৃত্যুর কারনগুলো ঘটান- যেমন অসুস্থতা,হত্যা বা দূর্ঘটনা এরপর যমদূত এসে শুধু প্রানটা নিয়ে যায় এরপর সে মরে আর যদি ঈশ্বর সৃষ্ট মৃত্যুর কারনগুলো(অসুস্থতা,হত্যা বা দূর্ঘটনা) ঘটার পরও যদি আজরাইল আঃ আসার হুকুম না হয় তবে উক্ত ব্যাক্তিকে আমরা কমায় থাকতে দেখি। আর যে প্রাকৃতিক নিয়মে জন্মে ও মরে সেই নিয়মটা আল্লাহরই সৃষ্টি তাই সেখানেও তাঁর হাত আবার কেউ কাউকে হত্যা করলেও সেখানেও তাঁরই হাত।

জৈনক নাস্তিক :- ১)আল্লাহ কি আমাদের ব্যাপারে জানতেন না,তবে কেন পরীক্ষার জন্য পৃথিবীতে পাঠালেন? ২) “যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল”। [সূরা আল-মুলক, আয়াত: ২]---যাতে তিনি পরীক্ষা করতে পারেন মানে কি?

উত্তরঃ- ১)এ জন্য পাঠালেন যেন আমরা নিজেরা নিজেরাই বিচার দিবসে বলতে পারি যে -- হা আমি এই প্রতিফলেরই যোগ্য । তাছারা কোন পাপ বা পুন্য না করে শুধু শুধু কেন স্বর্গ নরক দিবেন। এটা কেমন একটা ব্যাপার হবে যদি মাঠে খেলতে না দিয়েই দুটি দলকে হার জিতের ফলাফল দিয়ে দেয়া হয়।
২)যাতে তিনি পরীক্ষা করতে পারেন মানে হল- দুনিয়া বা ইহলোক সৃষ্টির পূর্বে তিনি শুধুই ভবিষ্যতে যা যা ঘটাবেন এমন এক ধরনের সিনেমার কাহিনী লিখেছিলেন(সুত্র- সহী বুখারী) এর পর তিনি নিজেই পরিচালক এবং নির্মাতা হয়ে সৃষ্টি জগত তৈরী করলেন নিজের বিনোদনের জন্যই এরপর অভিনেতা হিসেবে মানুষসহ সকল জীবকে সেই সিনেমাতে অভিনয় করিয়ে নিজেই সেই সিনেমার একমাত্র সর্বদ্রষ্টা হয়ে আরো বিনোদন নিলেন এরপর মৃত্যু এবং কিয়ামতের মাধ্যমে চরম ধ্বংস ঘটিয়ে সেই সিনেমার একটি সুন্দর ইতি টানলেন এরপর পরলোক বা আখিরাত নামক আরেকটি আনলিমিটেড মেগা সিরিয়ালের মত আরেকটি সিনেমা বানাবেন যেখানে ১মেই তিনি একধরনের অস্কার পুরস্কারের মত একটি অনুষ্ঠান দিয়ে সেই সিরিয়াল চালাতেই থাকবেন আর সেখানে তিনি তার পূর্বের সিনেমাতে অভিনেতা সব প্রানীদের শুধুই ভাল অভিনয়ের জন্য আমেরিকার পারমানেন্ট ভিসার মত পুরস্কার দিয়েই ক্ষান্ত হবেন না বরং খারাপ ধর্ষক ভিলেন অভিনেতাদেরকেও আগ্নিয়গিরির মধ্যে চিরবনবাস দিবেন। এখন আসল ব্যাপার হল- ঈশ্বর খারাপ অভিনেতাদের চরিত্র নিজেই রচনা করেছেন অর্থাৎ ভীলেনদের বানানোর পর তিনি কিন্তু নায়ক নায়িকার চরিত্রকেও বানিয়েছিলেন সিনেমার গল্পের চরিত্রের ভারসম্য রক্ষার জন্য উদাহরনসরুপ- অন্ধকার না থাকলে আলোর কোনই মূল্য থাকত না, আবার অভিনয় করার সময় এই স্বাধীনতাও দিয়েছিলেন যে ইচ্ছে করলেই কেউ ভীলেন হয়ে খারাপ অভিনয় করতে পারে বা নায়ক হয়েও ভাল অভিনয় করতে পারে। তাই আমরা যারা ভালভাবে অভিনয় করছি স্বাধীনতা পেয়েও এবং পরকালে ভাল পুরস্কার পাব তারা সবাই ঈশ্বর এর সেই সিনেমার মূল উদ্দেশ্য বুঝে ঠিকই প্রত্যহ ৫ বার তাঁকে নির্দোষী ঘোষনার পাশাপাশি প্রসংসা করি আর যারা সাস্তি পাবে তারা এসব করেনা। এখন প্রশ্ন হল তাহলে তিনি কি অবশেষে একদলকে জাহান্নামের চিরসাস্তি দিয়ে অবিচার করলেন না ? না ! করলেন না , কারন তিনি যেসব দুষ্ট ভিলেন তৈরী করেছিলেন তাদের দুনিয়া নামক সিনেমার মাঝে ভিলেনগিরি করিয়ে এবং ধর্ষনের সময় সত্যিকারের মজা পাইয়ে দুনিয়াতেই চরম শান্তির ব্যাবস্থা করেছেন আর যারা নায়কের ভুমিকায় আছে তারা সত্যিকারে চরম শান্তি এই সিনেমার মত দুনিয়ায় কিছুতেই পাবে না কারন তাদের জন্য রেখেছেন পরকালের আনলিমিটেড মেগা সিরিয়ালে চরম শান্তি কারন তাদের আশাও সূদুর প্রসারী পাবেও তাই কিন্তু জাহান্নামীদের আশার লিমিটই দুনিয়া পর্যন্ত(উদাঃ হিসেবে আপনার নিজের আশাটাকেই যাচাই করতে পারেন) এরপরও যারা না বুঝবে তবে ধরে নিতে হবে সে দুনিয়া নামক এই স্বল্পদৈর্ঘ সিনেমাতেই চরম মজা চায় অর্থাৎ- দুনিয়াতে কিভাবে আয়-উন্নতি করে বৈজ্ঞানিক উন্নতি ঘটিয়ে আরাম-আয়েশ বাড়ানো যায় শুধুমাত্র তাদের এই চিন্তা, ইবাদত তাদের কাছে অযোথা সময় নষ্ট মনে হয়, কিন্তু দুনিয়া নামক এই সিনেমার মাঝে পরিচালক বা আল্লাহর ভুল ধরার ক্ষেত্রে এবং মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে বাইরে বাইরে নায়কের ভাব ধরে থাকলেও আসলে তাদের মনে রয়েছে বড় ভিলেন হবার সুপ্ত আকাংখ্যা আর তাদের আশা ভরসাও দুনিয়ার এই স্বল্পদৈর্ঘ সিনেমাকে ঘিরেই। এবার আপনার আশা যদি দুনিয়াতেই তা পূর্ন করার ব্যাবস্থা করা হয় তবে কোন পাগলও বলতে পারবে না যে আল্লাহ সুবঃ তার প্রতি অবিচার করেছে এমনকি পরকালে সেও স্বিকার করতে বাধ্য হবে যে আমার প্রতি ঠিকই বিচার হয়েছে কিন্তু তখন সে তখন আল্লাহকে দোষ দিবে না কিন্তু আল্লাহকে আবারও সিনেমা বানিয়ে সেখানে পাঠাতে বলবে কিন্তু যদি আল্লাহ সুবঃ সত্যি তাই করতেন তবু সে আবারও তাই করত যা সে পূর্বে করেছিল তাই তিনি আর তা করবেন না। আর সর্বশেষে বলি এই জটিল ব্যাপারটি এই স্বল্প পরিসরে অনেকেই বুঝতে পারবে না তাই এব্যাপারে আরো বিস্তারিত আমার কাছে আছে যদি আপনি চান তবে জানাব ইনশাহ আল্লাহ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: সবাই যদি নাস্তিক থেকে আস্তিক হয়ে যায় তাহলে দেশ কি বদলে যাবে??

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৯

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: সবাই যদি নাস্তিক থেকে আস্তিক হয়ে যায় তাহলে দেশ অনেক উন্নত হবে সর্বদিক দিয়েই।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

নতুন বলেছেন: আস্তিকঃ- দেখুন - ঈশ্বরের প্লান হল দুনিয়াতে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের মাধ্যমে মানুষকে অসুস্থতা দিয়ে কাউকে পরীক্ষা করবে আবার কাউকে ফিরিয়ে নিবে। আপনি বললেন-Vaccine ও Life Salving Antibiotics আবিস্কারের ফলে Small Pox, Polio, plague এধরনের মারাত্মক রোগগুলো চিরতরে নির্মূল হয়েছে। নির্মূল করে লাভটা কি হল? ঈশ্বর তো তার চাইতেও আপডেট ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের মাধ্যমে ঠিকই (এইডস, সার্স,মার্স,করোনা) মানুষকে পূর্বের মতই অসুস্থতা দিয়ে কাউকে পরীক্ষা আবার কাউ মৃত্যু দিচ্ছেন। ধরলাম হাজার হাজার ডলার আর সময় নষ্ট করে কিছু নাস্তেক বিজ্ঞানীরা এসবেরও Vaccine(অসংখ্য পার্শপ্রতিক্রিয়া সম্বলিত) বের করেই ফেলে তারপরও আল্লাহর প্লান বাস্তবায়নে তিনি পুর্বের চাইতেও আপডেট ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের মাধ্যমে ঠিকই অসুস্থতা আর মৃত্যুর মাধ্যম জারি রাখবেন। তাহলে তো কি হল ? যে লাউ সেই কদু ।

বত`মানে প্রতিদিন বিজ্ঞানের উপকার ভোগ করতেছেন।

আপনার এই ভুল ইসলামী চিন্তা ইসলামকে হাস্যকর বানাবে। মানুষের গড় আয়ু এখন হাজার বছর আগের থেকে অনেক বেশি। যেই চিন্তা করছেন সেটা ইসলামী চিন্তা না বরং এক রকমের অজ্ঞতা ।

ইসলামের খেলাফতের সময় থেকেই বিজ্ঞান চচায় অনেক এগিয়েছিলো। সেই সময় আপনার মতন কেউ তেমন চিন্তা করেনাই। করলে ইসলাম এতো আগাতে পারতো না।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৭

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আপনি এমনভাবে খঁটা দিয়ে বললেন- প্রতিদিন বিজ্ঞানের উপকার ভোগ করছি--- যেন বিজ্ঞান আমাকে এসব ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছে। ইসলামে যতটুকু জায়েজ ততুটুকুই প্রয়োজনে বিজ্ঞান ব্যাবহার করছি অনেক অর্থের বিনিময়ে, মুসলিমদের শাষন থাকলে হয়ত এগুলো ফ্রিই হত। তাদের এসব নিত্য নতুন আবিস্কার আসলে এক ধরনের ব্যাবসা, সবচেয়ে বড় এবং জঘন্যত্তম ব্যাবসা হল মেডিসিন ব্যাবসা আর তারচাইতে আরও জঘন্য লোক হল - ঐষধ কোম্পানীর সামান্য কিছু উপঢৌকনের বিনিময়ে যেসব ডাক্তার এসব ক্ষতিকর এবং অপ্রয়োজনীয় ঐষধগুলো প্রেসক্রাইব করে। পাপের রাজ্যে মানুষের গড় আয়ু যদি বাড়েও তা আরো বেশী খারাপ তবু যারা বাঁচে তারা কি আগেকার লোকদের মতন সুস্থ-সবল ভাবে বাঁচে? ইসলামের খেলাফতের সময় আধ্যাতিকতার তুলনায় বিজ্ঞান চর্চায় অনেক এগিয়েছিলো আব্বাসী যুগে এবং স্পেনে ফলে আল্লাহ সুব; তাদেরকে সমূলে ধংস করে দিলেন। সেই সময় আমার মতন কেউ তেমন চিন্তা করলে ইসলাম এর এতো বড় পরাজয় হত না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.