নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের প্রশ্নোত্তর

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৫


পর্ব-১৩

জৈনক নাস্তিক মেয়েঃ- মানবাদী নাস্তিকরা যেখানে নারীদের অধিকার নিয়ে কথা বলছে সেখানে ইসলাম ধর্ম নারীদের ভোগ্যপণ্য করে রেখেছে।
উত্তরঃ- নারীদের ভোগ্যপণ্য করে রেখেছে মানবাদী নাস্তিকরাই , বরং ইসলামই একমাত্র নারীকে দিয়েছে উচ্চ মর্যাদা, এসব জানতে নাস্তিকদের চটি হতে নারীদের অধিকার না পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রন্থ হতে বা ইসলামিক স্কলার্সদের লেখা হতে নারীদের সম্পর্কে পড়ুন ভুল ভাংবে । একটা ছোট উদাহরন দিই- মনে করুন আপনার বোনকে রাস্তাঘাটে চলাচলের জন্য বিকিনি পড়ার ব্যাবস্থা করে দিল পশ্চিমা নাস্তিক কালচার , ফলে আপনার বোনের বেশিরভাগ অংগই সাধারন লোকের নজরে পরল, আর ইসলামিক কালচার যদি আপনার বোনকে পুরো শরীর ঢেকে রাস্তাঘাটে চলাচলের জন্য বলে তবে কেউ ই তার অংগ প্রতংগ দেখল না। এবার আপনিই বলুন - কোন কালচারটি আপনার বোনের শরীরকে দূর্লভ আর কোন কালচার আপনার বোনের শরীরকে কমন বানিয়ে দিল ? আর এর মাধ্যমে কোন কালচারটি আপনার বোনকে সত্যিকারের ভদ্র রুচিশীল মর্যাদায় উন্নিত করল ? সেখানে যদি কোন বখাটে ছেলে থাকত তবে কোন ড্রেস ওয়ালাকে উত্তক্ত করত ?
নাস্তিক মেয়েঃ- ইসলাম কেন আলাদাভাবে নারী অধিকারের কথা বলে না?
উত্তরঃ- আপনি কার কাছে অধিকার চান ? এই পুরুষদের কাছেই তো না? যেহেতু মানব সমাজে নারী আর পুরূষ এই দুই শ্রেনীই আছে একমাত্র সমাজে । এখন ভালভাবে একটু লক্ষ্য করুন- পুরূষরা যদি আপনাদের অধিকার হরনই করে থাকে তবে তারা কিন্তু আপনাদের প্রতিপক্ষ আর প্রতিপক্ষ এর কাছে নিজের অধিকার চাওয়া মানে শেয়ালের কাছে মুরগী বাগি দেয়া। এখন আপনাকে নিরপেক্ষ কারও কাছে এই অধিকার চাওয়া উচিত সেক্ষেত্রে একমাত্র ঈশ্বরই আছেন একমাত্র নিরপেক্ষ । কিন্তু আপনি ধর্ম মুক্তমনে নিরপেক্ষভাবে না পড়ে নাস্তিক হয়ে পুরুষদের মাঝে শুধু ধার্মিক শ্রেনিকেই ভুলবশত প্রতিপক্ষ ভাবছেন যেভাবে একজন অবলা নারী লুইচ্চা স্মার্ট ছেলেদের প্রেমে পরে নিজের ভাল চাওয়া বাপ ভাইকে প্রতিপক্ষ ভাবে আর সবশেষে চরমভাবে পস্তায়।
নাস্তিক মেয়েঃ- কোন হুজুরকে তো কোনদিন দেখলাম না নারীদের নিয়ে অধিকারের কথা বলতে শুধু পর্দার করার কথা ছারা কিন্তু নাস্তিকরা তো ঠিকই আমাদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে কথা বলছে।
উত্তরঃ- নাস্তিকরা আপনাদের অধিকারের কথা বলছে এভাবে-
হ্যা ! এসো এসো হে নারী, এসো !
তোমাদের ঈশ্বর এবং ধার্মিকরাই ঠকিয়েছে , এসো ! তোমরা আমাদের কাছে এসো ,
আমরা তোমাদের অধিকার দেব,
তাই ঘর থেকে বাইরে ময়দানে এসো ,
গড আর ধর্মকে পেছনে ফেলে এসো , ধার্মিক কুসংস্কার এর বুকে লাথি মেরে তোমরা আমাদের কাছে এসো ,
স্মার্টনেস আর আধুনিকতার দিকে এসো ,
ভয় আর লাজ লজ্জাকে কবর দিয়ে আসো , অয়েস্টার্ন জ্ঞান আর শিক্ষার দিকে এসো ,
তোমার ভিতরে লুকিয়ে থাকা আলো সবাইকে দেখাতে নিজেকে প্রকাশ কর ,
নিজেকে বিশ্বের কাছে তুলে ধর,
সেলিব্রেটি আর মডেল হতে মিডিয়ায় আসো্, মধ্যযুগের পোশাক ছেরে আধুনিক হতে আসো ,
এসো হে নারী আসো ,
নারী পুরুষের ভেদাভেদ ভুলে আসো,
আমরা তোমায় শাহরুখের মতন করে ভালবাসা আর সংগ দিব
তাই আমাদের ফ্লাটে নির্জনে আসো ,
আর তুমিও যে পুরূষদের ভোগ করতে পার তা প্রমান কর,
তোমার গোপন সৌন্দর্য্য যে ঢেকে রাখবার জিনিস নয় তা প্রমান কর ,
সবশেষে তোমার যৌবন শেষ হলে এবার তুমি ভাগো।
বাসায় বসে এবার তুমি একা একাই কান্দো ,
তবে যদি তুমি পুরূষের প্রতি এবার ক্ষেপে গিয়ে কিছু করতে চাও তবে আবারও আসো,
যৌবন সৌন্দর্য্য না থাকলেও আসো ,
তসলিমা নাশরিনের মত তুমি চুলে বব কেটে অর্ধ পুরূষ সাজো ,
সব ধর্মই পুরুষের তৈরী ভেবে মনে যা আসে তাই ধর্মের বিরুদ্ধে বল ,
নারী অধিকারের কথা বলো,
আমরাই তোমাদের অধিকার আদায় করে দেব ।
নাস্তিকঃ- ইসলাম ধর্ম নারীদের সমস্ত শরীর ঢাকতে বলে যা এক ধরনের নির্যাতন, তারা ভদ্রভাবে যেকোন পোশাক পরে বের হলেই হল- আমরা তো আমাদের মা বোনকে লেংটা হওইয়া ঘুরতে কই না।
আস্তিকঃ- আপনি আপনার মা বোনকে লেংটা হওইয়া ঘুরতে কন নাই । খুবই ভাল কথা । কিন্তু আপনি আপনার মা বোনের শরীরের কতটুকু খোলা রাখতে চান বা তারা শরীরের কোন কোন অংগ অনাবৃত রাখবে(শুধু পিঠ, শুধু কমর , শুধু সাইট পেট নাকি অর্ধেক পেট নাকি নাভীসহ পুরো পেট, গলাবদ্ধ ব্লাউজ নাকি বরগলা্র ব্লাউজ নাকি ক্লেভেজ বুঝা যাবে এমন ব্লাউজ) সেটি কি বলবেন দয়া করে মোটকথা আমি জানতে চাচ্ছি আপনজন ব্যাতীত অন্যদের সামনে কতটুকু খোলা রাখা আপনার দৃষ্টিতে ভদ্রতা? যে বেশী খোলা রাখবে তাকে বেশী ভদ্র বলবেন নাকি যে বেশী ঢেকে রাখবে তাকে বেশী ভদ্র বলবেন? বেশী ঢাকাকে যদি বেশী ভদ্র বলেন তবে ইসলামই সবচেয়ে বেশী ঢাকতে বলে সুতারাং ইসলাম ধর্মই বেশী ভদ্রতার নির্দেশ দেয়।
জৈনক নাস্তিকের প্রশ্নঃ- ধর্মের আদম-হাওয়ার কাহিনীর কারনেই নারীরা আরো বেশী নির্যাতিত যদি বিবর্তনবাদ থিউরী ঠিক ধরা হত তবে এসব হত না। ধর্মের বিধানে নারীরা কি সত্যিই সন্তুষ্ট? ঈশ্বর যদি সত্যিই সুবিচারক হতেন তবে কেন নারী-পুরুষকে একই রকম বানালেন না কেন ঈশ্বর পরস্পর বিপরীতমূখী সৃষ্টি করে তাদের মাঝে ভেদাভেদ রাখলেন? আর এভাবেই কেন তিনি নারী বানালেন ?
উত্তরঃ- প্রশ্নগুলো এতই বোকাসুলভ যে , ১টি কথাই মনে হচ্ছে- আর তা হল- সর্ব অংগে ব্যাথা , ঔষধ দিব কোথা । সব প্রশ্ন একসংগে এই স্বল্প পরিসরে করা সম্ভব হলেও সবগুলোরই উত্তর বিস্তারিত এই স্বল্প পরিসরে দেয়া সম্ভব নয় তবু আমি সিরিয়ালি অল্প কথায় উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব – ১)আপনার মতে বিবর্তনবাদ ঠিক ধরে নেয়ার পরও দেখা যাচ্ছে নারীরা আজও নির্জাতিত হয়েই চলেছে তবে কারা এই নির্জাতন চালাচ্ছে – নিশ্চয় পুরূষ , আর পুরূষরা কি ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ি নারীদের নির্জাতন করে যাচ্ছে ? নাকি নিজেদের ইচ্ছেমত? আর ধর্মকে ঠিক ধরে নিয়ে দেখুন তো ইসলাম ধর্ম নারীদেরকে যে মর্যাদা দিয়েছে তাতে নারীরা সন্তুষ্ট কিনা ? নারীরা কিসে সন্তুষ্ট এটা আপনার পুরূষমুখী দৃষ্টিভংগি দিয়ে বিচার করলে ভুল হবে ।২) আপনার সবগুলো প্রশ্নকে এক কথায় প্রকাশ করা যায় , তবে ধরে নিলাম নারী পুরূষকে স্রষ্টা একই করে দিলেন তবু- আপনার প্রশ্ন থেকে যাবে যে – কেন মানূষের মাঝে কিছু লোক জন্ম থেকেই বিকলঙ্গগ বা গরীব বা অসুন্দর ? এখানে আপনাকে বুঝতে হবে যে ঈশ্বর সব কিছুই জোড়ায় জোরায় সৃষ্টি করেছেন – সুস্থ –বিকালংগ, ধনী-গরীব, সুন্দর-অসুন্দর, নারী- পুরূষ , সুখ-দুঃখ, এমনকি মৌলিক পদার্থের মাঝেও দেখবেন যে দুটো বিপরীতধর্মী এনার্জী না থাকলে সেটি গঠিত হচ্ছে না, ঠিক একইভাবে তিনি , ভাল-মন্দ ,জীবন-মরন, দুনিয়া –পরকাল ,সর্গ-নরক সৃষ্টি করেছেন । সুতারাং ঈশ্বর পরস্পর বিপরীতমূখী সৃষ্টি করেছেন বিভিন্ন কারনে যার সবগুলোর কারন মানুষের জ্ঞানে ঢুকবে না , যেগুলো ঢুকবে বা ঈশ্বর নিজে থেকেই জানিয়েছেন তার কিছু আপনাকে বুঝাচ্ছি- প্রথমত ঈশ্বর পরস্পর বিপরীতমূখী সৃষ্টি করেছেন এজন্য যে - ঈশ্বর পরস্পর বিপরীতমূখী সৃষ্টর কারনেই তাঁর সৃষ্ট জগত সম্মুখে ধাবিত হয়েছে নয়ত সব এক ধর্মী করলে সবকিছুই নিউট্রাল হয়ে যেত পূর্বের মত , নতুন কিছুই আর সৃষ্ট হত না । এবারে আপনার প্রশ্নানুযায়ি যদি নারীকেও সর্বদিক দিয়ে পুরুষের মত বানান হয় তবে নারীও হয়ে গেল হুবহু পুরূষ, আর নারী বলে স্বতন্ত্র কিছু থাকল না। আর সব দিক দিয়ে না বানিয়ে শুধু অধিকারের, সম্মান ও অনুভুতির কথা বলে্ন তবে ইসলামে তা দেয়া হয়েছে , তবে আপনার তা সঠিক সোর্সে জানা বাকী আর আমাদের সমাজে সবারই তা মানা বাকী ।
ঈশ্বর পরস্পর বিপরীতমূখী সৃষ্টির ২য়কারণ হল- ঈশ্বর পৃথিবীতে কাউকে ধনী কাউকে গরীব কাউকে সুস্থ আবার কাউকে অসুস্থ করে ধরনীর বুকে ১ধরনের ভারসাম্য বজায় রেখেছেন যার সঠিক ব্যাখ্যা আমাদের স্বল্প জ্ঞানে বুঝা কঠিন যেমন সবাই সুন্দর হলে সুন্দরের কোন মর্জাদাই থাকত না অসুন্দর আছে বলেই সুন্দরের মর্জাদা আছে ঠিক একইভাবে ধনী ও সুস্থদের বেলাতেও তাই। অনেকটা এরকম " আলো কয় অন্ধকাররে- তুমি বেজায় কালো, অন্ধকার কয় আলোরে- তাইতো তুমি আলো" সত্যিকার্থে দুনিয়াতে কম পেলে পরকালে বেশি পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশী আর ঈশ্বর মানুষকে ধরনীতে পাঠান কিছু দায়িত্ব দিয়ে সেই দায়িত্ব কে কতটুকু পালন করল তার উপর বিচার বিবেচনা করেই তিনি পরপারের স্বর্গ নরকের ব্যাবস্থা করে রেখেছেন এখন ঈশ্বর কাউকে যদি গরীব,শারীরিক প্রতিবন্ধী, অসুন্দর করে পাঠান তবে তার প্রতি ১টুও অবিচার করেননি কারন এই অপরিপূর্নতার দরুন তার ধরনীতে তার দায়িত্বও কমে যাবে ফলে তার পরীক্ষাটা হবে সহজ আর ধনী, সুস্থ ও সুন্দরদের অতিরিক্ত দায়িত্বের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাও করা হবে না যেমন- গরীবরা যদি অতিরকিক্ত দান না করে ও তার আত্মীয়দের অতিরিক্ত না দেয় তবে ঈশ্বর তাকে পাপ দিবেন না কিন্তু ধনীদের দিবেন আবার যার চোখ নেই তার সামনে কোন অন্যায় কাজ হলে সে যদি বাধা না দেয় তবে তাকে অপরাধী করবেন না কিন্তু চোখ ওয়ালা সুস্থ সবলদের বেলায় সেটি অপরাধ হিসাবে গন্য করবেন।
যাইহোক আপনারা ঘুরে ফিরে ঈশ্বরের বিধান না বুঝে নারী ইস্যু বারবার টেনে যে উদ্দেশে আনছেন তা কখনই সফল হবে না । কারন সতী নারীরা কখনই আপনাদের অযৌক্তিক এবং মিঠা কথায় ভুলে ঘরের বাইরে বের হবে না উলটো আরও ঘরের বাইরের গুলোও ইসলামের ছায়তলে আশ্রয় নিবে এবং নিচ্ছে । বারবার আপনারা নিরাপত্তাকে কারাগার অভিহিত করছেন, অথচ এই আপনারাই বাইরে একটু পরিস্থিতি ঘোলাটে হলেই বাসা থেকে বের হন না আর সত্যিকারের অর্থে নারীর জন্য বাইরের পরিবেশ সবসময়ই ঘোলাটে । আপনি বার বার একই ভুল করছেন নারী ও পুরুষ উভয়েই মানুষ কিন্তু বুঝতে হবে তারা দুজন আলাদা লিংগের এবং প্রত্যেকেই তাদের স্ব স্ব লিংগের জন্য গর্ববোধ করে । আর আপনারা নারীদের পন্য দ্রব্যের মত পুরুষের হাতের খেলনা বানাতে বার বার ঈশ্বরকে দোষারব করছেন কেন তিনি নারী বানালেন ? অথচ এই আপনিই মনে করেন , আপনার মা ,বোন বা স্ত্রী না থাকলে জীবন কতই অপরিপুর্ন থাকত । অর্থাৎ ঈশ্বর যদি আপনার মাকে আপনার বাবার মতই হুবহু বানাত আর বোনদেরও হুবহু ভাইদের মত বানাত ! একটু ভালভাবে অনুভব করুন তো - পুরো সংসার জুরে কোন নারীই নেই, পরিবারে শুধুই পুরুষ আর পুরুষের মত সবাই ! ভাবুন তো , তখন কেমন নিরানন্দ লাগত ঘরের পরিবেশ ?
নাস্তিকঃ- পুরূষের তুলনায় নারীকে সমান অধিকার তো দেয়া হয় নাইই এমনকি সম্মানও কম দেয়া হয়েছে। তাছারা ঈশ্বর নারীকে কেন দূর্বল করে বানালেন ? পুরুষের মত শক্তিশালী কেন করলেন না ?
উত্তরঃ- এবার আপনার প্রশ্নে আসি – পুরূষের তুলনায় নারীকে কম সম্মান দেয়া হয়েছে এটা ভালভাবে বুঝতে আপনাকে নারী সম্মান পূর্বে বুঝতে হবে , এটা আপনাকে উপরেও বলা হয়েছে নারীদের সম্মান কিসে তা পুরূষরা ভালভাবে উপলব্ধি করতে অক্ষম কেননা তারা নারী নয়। নাস্তিকরা নারীর অধিকার বলতে যেসব জিনিস নিয়ে হৈ চৈ করে তার বেশীরভাগই নারীকে সম্মান দেয়ার পরিবর্তে উলটো আরো নারীদের নির্যাতনের স্বিকার করতে বাধ্য । যেমন- শারীরিক দিক দিয়ে যেসব কাজ পুরূষেরা বেশী সমর্থবান সেসব কাজ পুরূষেরাই করবে আর মেয়েদেরটা মেয়েরা করবে । ধরুন আপনার জমিতে মাটি কাটার জন্য লোক দরকার, এখন আপনি কিন্তু মুখে নারী অধিকারের কথা বললেও একই মজুরীতে ছেলের জায়গায় মেয়েদের দিয়ে মাটি কাটাবেন না । আবার ধরুন আপনার বাসায় ডাকাত পরেছে , সেক্ষেত্রেও আপনার মা বোনদের আগিয়ে দিবেন না। আবার ধরুন – আপনার বাসায় আপনি ও আপনার বড় বোন দুজন আছেন এখন বাসায় ১টি কাজ আছে ১মটি হল গাছ থেকে নারিকেল পারা ২য়টি হল নারিকেলের পিঠা তৈরী করা , এখন নাস্তিকদের দেখানো সাম্যতানুযায়ি নিশ্চয় আপনি আপনার বড় বোনকে দিয়ে নারিকেল পারিয়ে আপনিই পিঠা তৈরী করবেন না। অথচ সিধাভাবে ঔকাজ করলে ভারসম্য বজায় থাকত এবং কাজটিও সুন্দর হত । এভাবেই ইসলামে ভারসম্যতা বজায় রাখা হয়েছে অথচ নাস্তিকরা স্রষ্টার আইন বাদ দিয়ে নিজেদের মনমত নারীদের অধিকার দিতে গিয়ে সমাজে ভারসম্য নষ্টের পাশাপাশি অশান্তির সৃষ্টি করছে । শুধু তাই না আধুনিক শিক্ষিত সমাজে নারীরা বিভিন্নভাবে নির্জাতনের স্বিকার হচ্ছে পুরুষের মত কর্ম করতে গিয়ে। তারা আপনার বোনকে কাপরবিহীন চলাচলে উতসাহিত করছে , আর ইসলাম বাইরে কাপর পরে চলাচলের কথা বলছে এখন দেখুন ইসলাম আপনার বোনকে কাপর পরার কথা বলে কি তাকে অসম্মান করছে নাকি সম্মানিত । আপনি এত সম অধিকারে বিশ্বাসি , তবে কেন আপনি আজ থেকে প্রতি মাসই অর্ধেক করে আপনার বাবার কাজ মাকে এবং মায়ের কাজ বাবাকে করার ব্যাবস্থা করছেন না । আপনাদের কাছে কুসংস্কার হল তাই , যা পশ্চিমারা সিলেবাস ও মিডিয়ের মাধ্যমে আপনাদের মস্তিস্কে বসিয়ে দিয়েছে আর সভ্যতা বলতে তাই বুঝেন যা তারা বুঝিয়েছে , আর আপনি এভাবেই নিজের চিন্তাধারা থেকেও তাদের অবৈতনিক চাকরে পরিনিত হচ্ছেন শুধুমাত্র অর্থ ও টেকনোলজিতে তারা উন্নত বলে ।
আপনারা যে আসলেই নারী অধিকারের নামে তাদেরকে পশুর ন্যায় বানাতে চাচ্ছেন তা বুঝা যায় আপনাদের ঐ প্রশ্ন হতে যে, ঈশ্বর নারীকে কেন দূর্বল করে বানালেন ? দেখুন মানুষ বলেই নারীরা পুরূষের তুলনায় দূর্বল কিন্তু পশুদের মাঝে কিন্তু ঠিকই আপনাদের দাবী অনুযায়িই ঈশ্বর সৃষ্টি করে রেখেছেন – যেমন – বাঘিনী , সিংহী এরা বাঘ বা সিংহের তুলনায় দুর্বল তো নয়ই বরং সিংহীই স্বিকার করে আনে সিংহ বসে বসে খায় আর বাঘিনী তো সন্তান প্রসবের পর বাঘের চাইতেও বেশী শক্তিশালী ও আক্রমনাত্বক হয়ে যায়। কিন্তু তারা তো পশু, মানুষ তো নয় । আপনারা কি নারীদের পশুর মত বানাতে চান ? মনে রাখবেন ইসলাম ধর্ম না মেনে মানুষ পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট হয়ে যায় আর আপনারা সেই ইসলামকেই ভুল প্রমান করতে ঘুম হারাম করছেন।
নাস্তিকঃ-নারীদেরকে পরকালেও সমান অধিকার দেওয়া হয় নাই একারনেই বুঝা যায় যে ধর্ম উদ্ভব করেছে পুরূষ মানুষ কোন কাল্পনিক ঈশ্বর নয় যেমন- জান্নাতে পুরূষেরা ৭০টি হুর পেলেও নারীদের জন্য তা নয় কেন ?
উত্তরঃ-ইসলামের বিরূদ্ধে কমন অভিযোগ হল জান্নাতে পুরূষেরা ৭০টি হুর পেলেও নারীদের জন্য তা নয় কেন ? যদিও হুর শব্দের অর্থ অনেক আলেমরা যেভাবে করে তাতে নারীরও ৭০টি হুরের সম্ভবনা থাকলেও আপনাকে আমি এই যুক্তি দিব না। ১ম যুক্তি হল- পরকালে যদি ১জন নারীর রুচী বিকৃত না হওয়ার কারনে ( যেহেতু দুনিয়ায় আমরা দেখি এক দেশের লোক কেঁচো, সাপ খাদ্য হিসাবে দেখে থু থু ফেলে আবার অন্য দেশের লোক পরিবেশের কারনে রুচি বিকৃত হওয়ায় ঐ একই জিনিস দেখে তাদের জিহবায় জল আসে) রুচী বিকৃত না হওয়ার কারনে পরকালে সে একসংগে অধিক স্বামী নেয়ার চাইতে এমন এক স্বামীকে বেশী পছন্দ করে যার ৭০ + ৩=৭৩টি স্ত্রী আছে , আর সে হবে ঔসব হুরের চাইতে বেশী মর্যাদাপূর্ন এবং স্বামীর নিকট বেশী দামী । তবে আপনার আমার কি সমস্যা ? আপনি কি নারীদের প্রকৃত স্বভাব জানেন ? নাকি নিজের ক্ষেত্রে এক সংগে বেশী নারীদের বিলাসিতা মনে হয় বলে নারীদের ক্ষেত্রেও তাই হবে ভাবছেন ? সম্ভবত এখন আমি যে ২য় যুক্তি দিব তা আপনার সম্পুর্নই মাথার উপর দিয়ে যাবে না। যেহেতু আপনি একজন পুরূষ । ধরুন -আপনার কাছে ১ হতে ৪/৫ প্লেট কাচ্চি বিড়িয়ানী হয়ত ভোগ বা আনন্দের মত একটি ব্যাপার কিন্তু এই কাচ্চি বিড়িয়ানীই যদি আপনাকে ৭০প্লেট একই টেবিলে পর পর খেতে বলা হয় বিরোতিহীনভাবে তবে আপনার কাছে সেই একই বিড়িয়ানী আর মজার জিনিস না থেকে তা হয়ে যাবে এক ধরনের নির্জাতনের জিনিস। আর ঠিক এভাবেই আপনারা ঈশ্বরের চেয়ে ১লাইন বেশী বুঝে নারিদেরকে সমঅধিকারের নামে নির্জাতন করার কথা বলে যাচ্ছেন।

নাস্তিকঃ- সাধারনত নারীদেরও দুনিয়ায় বহুকামীতা, সমকামিতা(লেসবিয়ান্)ইত্যাদির মনোভাব দেখা যায় তবে পরকালে কি তাদের মন তা চাইতে পারে না? আর আমার যেহেতু বহুকামীতা স্বভাব নেই তাই পরকালে আমি যদি এসব অপছন্দ করি তবে আমার জন্য কি ব্যাবস্থা? তাছারা আমার সর্বদাই নিজের পেট ও যৌবনের প্রতি চরম ঘৃন্নই রয়েছে।

উত্তরঃ-উপরে বলেছি কিন্তু যে, নারীদের দুনিয়ায় বহুকামীতা, সমকামিতা(লেসবিয়ান্), এসব আসলে বিভিন্ন কারনে বিকৃত রুচি ঈশ্বরের দেয়া বিধান অনুযায়ি না চলার কারনে যা পরকালে থাকবে না। ঠিক একইভাবে ছেলেদের নিজের পেট ও যৌবনের প্রতি চরম ঘৃনা আশাও বিকৃত রুচি বা অসুস্থতার লক্ষন যা ডাক্তারের চিকিতসায় সুস্থ হওয়া সম্ভব । আপনার দুনিয়াতে ক্ষনস্থায়ী জীবনে বহুকামী মনভাব না থাকলে খুবই ভাল কথা । কিন্তু পরকাল হবে এমন যে, এর শুরু আছে শেষ নেই । সেই জীবনে আপনার আহার ও যৌনচাহিদাও বেশী থাকবে এবং কামনাও বেশী করবেন এটাই যুক্তিযুক্ত । তারপরও আপনি না চাইলে জান্নাতে খাদ্য ও যৌনতা হতে দূরে থাকতে চাইলে আপনাকে তাই দেয়া হবে কেননা জান্নাতে ব্যাড ইফেক্টমুক্ত ভোগ-বিলাসের ব্যাবস্থা থাকলেও তা আপনি ভোগ করতে বাধ্য নন , আপনি থাকবেন মন হতে স্বাধীন , যেহেতু কুরানে আল্লাহ সুবঃ বলেছেন- জান্নাতে তাদের মন যা চাবে তাই পাবে।
যাইহোক আপাদত বিদায় নিচ্ছি হেদায়েত আল্লাহ সুবঃ এর হাতে আমি অচিলা মাত্র।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রশ্ন কারীর প্রশ্নগোলো কে মনেহয় আহাম্মকের প্রশ্ন।উত্তর গোলোও প্রায় অনুরুপ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২০

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আর সেটা মনে হয়েছে আরেক আহাম্মকের কাছে

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: এই লকডাউনে পাড়া এমন নিস্তব্ধ যে আমি নিজের বৌকে কিগো বলে ডাকলে পাশের বাড়ির বৌদি "হ্যা বলো "বলে সাড়া দিচ্ছে !

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৬

সোনালি কাবিন বলেছেন: যেগুলো বলা হইসে, এগুলো অনেক ধার্মিকও নীরবে সরবে প্র‍্যাক্টিস করে। কিন্তু অসুস্থ চিন্তাবিদের কাজ হইতেসে যত পারা যায়, আদুচা কাল্পনিক প্রশ্ন উত্তর তৈরি করা। আর এই মুহুর্তে ব্লগে জ্ঞানবিজ্ঞানের সমন্বয় কইরা উল্টায় ফেলানো এক ব্লগার খুব খুশি হইব।



২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: কাল্পনিক প্রশ্ন উত্তর ? এইসব আলোচনা অনেকেই লাইভ দেখেছে আর যে মেয়ে এইসব প্রশ্ন করেছে সে এমনি অসুস্থ চিন্তার নাস্তিক মেয়ে ছিল যে, একসময় ফেসবুকে ভাইলারাল হয়েছিল নিজের বাপকে লুইচ্ছা বলে মানুষের মাঝে ছরিয়ে

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০১

সোনালি কাবিন বলেছেন: আরে হিপোক্রেট, বেহেস্তে রতিক্রিয়ায় শুধু নারীর অরুচির কথা উল্লেখ করলেন, তাই নারীগোরে না দেয়া জাস্টিফাই করলেন। কিছু নারী আবার এইটা মাইনা মারহাবা মারহাবাও করব।
পরকীয়া পুরুষরা কার সাথে করে.?

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:০৩

সুপারডুপার বলেছেন: ইসলামি চিন্তাবিদ , আপনাকেই খুঁজতেছে আল জাজিরার মেহেদী হাসান, তুরস্কের A 9tv-র টেলিভিশনের কুখ্যাত ধর্মীয় নেতা প্লেবয় হারুন ইয়াহিয়া ওরফে আদনান ওকতার।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: তবে আপনাকেও বাংলাদেশ যাত্রাপালার পরিচালক "নসিমন যাত্রা" এর জোকার হিসেবে অভিনয়ের জন্য খুঁজতেছে !!!

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

সোনালি কাবিন বলেছেন: ওই মেয়ের এফবি লিনকু থাক্লে দেন, দেখি, সে কেমন জ্ঞানী

২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আপনি নাস্তেকদের কাছে ঐ মেয়ে সম্পর্কে বললে হয়ত লিংক দিতে পারে। আমার এসব কাজ না।

৮| ০১ লা মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৭

সুপারডুপার বলেছেন:



লেখক বলেছেন: তবে আপনাকেও বাংলাদেশ যাত্রাপালার পরিচালক "নসিমন যাত্রা" এর জোকার হিসেবে অভিনয়ের জন্য খুঁজতেছে !!!
------------------------------------------------------------------------
হা হা হা, হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল! হায়রে আমড়া আপনার চিন্তায় কেবল আঁটি আর চামড়া ছাড়াতো কিছুই দেখছি না।

লোকে বলে , যার মনের মধ্যে যা উপচে ওঠে তা। আপনারও তাই হয়েছে। গ্রামের কিছু নিকৃষ্ট যাত্রাপালার মতন আবোল তাবোল হাবোল লেখে এ ব্লগে আপনার আমড়া কাঠের ঢেঁকি হওয়ার-ই সম্ভবনা। তার নমুনাতো দেখছেনই আপনার ব্লগ কেউ -ই পইড়া দ্যাখে না। পাশাপাশি আপনি মুক্তমনা ব্লগে এই সব লেখে দ্যাখতে পারেন। কদর ও পাইতে পারেন, প্যাদানি ও পাইতে পারেন !!!

০২ রা মে, ২০২০ রাত ১২:৫১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: //আমার ভয়ে সমস্ত নাস্তিককুল থাকে সর্বদাই তটোস্থ //, নাস্তিকরা আমাকে খুব ভাল করেই চিনে তাদের ত্রাস হিসেবে। এখানে সোনালী কাবিননামা সহ আপনাদের অতিরিক্ত চুলকানি এটাও প্রমান করছে যে- এখানকার নাস্তেক মহলেও আতে ঘাঁ লাগা শুরু হয়েছে।

৯| ০১ লা মে, ২০২০ দুপুর ২:০৪

সোনালি কাবিন বলেছেন: @ সুপারডুপার, আপ্নি ঠিকই বলেছেন। আমি কয়েক্টা কমেন্ট না করলে তো এই পোস্টে আর তেমন কেউ কমেন্টও করে নাই

০২ রা মে, ২০২০ রাত ১২:৪৯

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: কমেন্ট করে না কি জন্যে তা হয়ত জানেন না , আসলে তারা কমেন্ট করার ভাষাই খুজে পায় না। তবে অনেকেই কমেন্ট করেছে আপনার মত যাদের আতে ঘাঁ একটু বেশী লেগেছে। পক্ষেও অনেকে কমেন্ট করেছে আর সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হল ২০০ জনের মত এই লেখা পরেছে যাদের বেশীরভাগই একমত ছিল বলে কমেন্ট করে নাই কেননা সাধারনত দেখা যায় দ্বিমত পোষন করলেই বেশী কমেন্ট করা হয়।

১০| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

সুপারডুপার বলেছেন:


লেখক বলেছেন: //আমার ভয়ে সমস্ত নাস্তিককুল থাকে সর্বদাই তটোস্থ //, নাস্তিকরা আমাকে খুব ভাল করেই চিনে তাদের ত্রাস হিসেবে। এখানে সোনালী কাবিননামা সহ আপনাদের অতিরিক্ত চুলকানি এটাও প্রমান করছে যে- এখানকার নাস্তেক মহলেও আতে ঘাঁ লাগা শুরু হয়েছে।
----------------------------------------------------------------------

বোঝায় যাচ্ছে আপনার যুক্তির দৌড় কতদূর। একজন মানুষ ধর্মবিরোধী হলেই নাস্তিক নন। সৃষ্টিকর্তা থাকতে পারেন কিন্তু তার দিক নির্দশনার কোনো ধর্মেই কখনোই উগ্রবাদীতা , ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর তথ্য, ধারণা, সংস্কার ও বিশ্বাসে পরিপূর্ন হতে পারে না।

আপনি ভ্রান্ত ধারণার উপর আছেন। যাকে তাকেই নাস্তিক ভাবা আপনার এক প্রকার মানসিকব্যাধি।

ভয় তটোস্থর কথা বলছেন। ভয় নিয়ে আমার এই পোস্টটি পড়তে পারেন : ভ্রান্ত বিশ্বাসে মানুষকে বন্দী করে শাসন করার একটি শক্তিশালী হাতিয়ারের নাম ' ভয় ' - সুপারডুপার

ব্লগার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের একটি মন্তব্য আপনাকে বলি।

"মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ধর্ম আমরা জন্ম সূত্রে লাভ করি। অর্থাৎ বাবা মার ধর্ম জন্ম সূত্রে সন্তানেরা লাভ করে। ধর্ম কেউ নিজের যোগ্যতায় কিংবা বুঝেশুনে নিজে গ্রহণ করে না । সেটা যদি করত তাহলে বোঝা যেত কার জ্ঞানের কতদূর। কোন ধর্মের প্রতি কার কত টান।

একটি শিশু জন্মগ্রহণ এর সাথে সাথেই কিংবা তারও আগেই তার ওপর পিতামাতা তাদের নিজেদের ধর্ম চাপিয়ে দেয়। রহস্যটা এখানে ই।"


ভ্রান্ত ও অযৌক্তিক ধারণার উপর না থেকে ভালো থাকবেন। বিশেষ করে সুস্থ থাকবেন।
আমার এই মন্তব্য আবার মুছে ফেলবেন না।

০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ২:৩১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: সাধারনত নাস্তিকেরা যুক্তি দেখায় যে, মানুষ আসলে প্রকৃতির বিভিন্ন ভীতিকর জিনিস দেখে, মৃত্যু দেখে ভীত হয়ে বাঁচার জন্য এবং ভয় দূর করার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরের ধারনা সৃষ্টি করেছে, আসলে ঈশ্বরের ধারনা মানুষের ১ধরনের কল্পনা মাত্র। কিন্তু আস্তিকেরা বলে-মানুষ তো বিভিন্ন শারিরিক রোগের ভয়ে ভীত হয়ে ঔষধ এবং চিকিৎসা শাস্ত্রের সৃষ্টি করেছে, কিন্তু চিকিৎসা শাস্ত্র তো আর শুধুই অবাস্তব কল্পনা নয় বরং বাস্তব সত্য। সবচেয়ে বড় কথা হল এসব সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ ঈশ্বরের সরানাপন্ন হয়ে ১০০ভাগ ফল পেয়েছে, আর ঈশ্বরই দুনিয়াতে বিভিন্ন সমস্যা, মৃত্যু ও ভীতকর জিনিস তৈরী করে রেখেছেন যেগুলোর দ্বারা মানুষ নিজে থেকেই ঈশ্বরের দিকে ধাবিত হবে। তাছারা নিজে থেকে ঈশ্বরকে খুজে পাওয়ার ব্যাবস্থাস্বরুপ বিভিন্ন নিদর্শন যদি স্বয়ং ঈশ্বরই না করে রাখেন তবে মানুষগুলো ঈশ্বরকেই দায়ী করত। বিভিন্ন ভীতিকর জিনিস, মৃত্যু এসবই হল ঈশ্বরকে খুজে পাওয়ার ব্যাবস্থাস্বরুপ বিভিন্ন নিদর্শন ।

১১| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

সোনালি কাবিন বলেছেন: @ এক্সজাবিয়ান, আপ্নি কি সুপার ডুপাররে বুঝাইলেন? যদি বুঝায়া থাকেন, তো ভুল। কারণ এক কমেন্টে আমি দেখছিলাম যে উনার ব্যবসা আছে, আছে বিদেশে আসা যাওয়া

আর আমারে বুঝাইলেও ভুল। যদি আপ্নি চাকরি করে থাকেন, তাইলেও আমি কনফিডেন্ট যে আপ্নার চাকরির ইনকাম আমার চাকরির ইনকাম থেকে খুব বেশি না।

১২| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

সোনালি কাবিন বলেছেন: =p~ =p~ =p~

দুইশ জন পড়ছে দেখে সেটা উল্লেখ করে কি সুন্দর পুচ্ছদেশ নাচায়তাসে

:-B :-P :P :#) B-) B-))

১৩| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

নতুন বলেছেন: বত`মানের অবস্থা না জেনে শুধুই ধমান্ধের মতন ভাবলে এমন আবোল তাবোল জিনিস মাথায় আসবে।

কট্টরপন্হার কারনে ইসলামকে মানুষের কাছে থেকে দুরে সরিয়ে দিচ্ছেন আপনারা।

পদার প্রধায় মেয়েদের শালীন পোষাক পরতে বলা হয়েছে। সেখানে কাঠমোল্লারা মেয়েদের কাপড় দিয়ে ঢেকে পুরাই বস্তা বানিয়েছে সেটা মেয়েরা মানবেনা সাভাবিক।

আমাদের দেশের মেয়েরা শাড়ী, সেলোয়ার কামিজ পরে সেটা যথেস্ট স্বালীন।

হুর নিয়ে এতো ভাবছেন? ছেলেদের ৭০ জনের এবং মেয়েদের স্বামী পাওয়ার পক্ষে যুক্তি পাবেন।

মেয়েদের পরকীয়া,ব্যাভিচারের জন্য দোষ দেবেন কিন্তু তারা যে পুরুষের সাথে এই সব করে সেটা ভুলে যাবেন।

০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ২:৪২

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ইসলামে কোন কট্টরপন্হা বা উদারপন্থা নেই আছে হল মধ্যম পন্থা আপনারা কট্টরপন্হা ইসলাম বলতে খুব ভালভাবে ইসলামী নিয়ম মানাকে বুঝেন এভাবে ইসলাম মানলে স্বার্থবাদীদের ভীষণ অসুবিধা হয় তাই এতে তাদের অনেক চুলকানি। আর ইসলামে তো এসব ক্ষেত্রে বেশী দোষ দেয় পুরুষদেরকেই কারন পুরুষরাই নারীদের নিয়ন্ত্রন করে থাকে।

১৪| ০৩ রা মে, ২০২০ রাত ৯:৩৫

সুপারডুপার বলেছেন: @ এ্যাক্সজাবিয়ান,
তাহলে পশ্চিমা বিশ্বের সবাই বেকার। দান খাওয়া মাদ্রাসার ছেলেরা শুধু কর্মজীবি।
ধর্ম ঈশ্বরের তৈরী না, ধর্ম হচ্ছে মানুষের বানানো গোঁজামিল । আর মানুষের বানানো জিনিস মানুষের কাছে খারাপ লাগতেই পারে। আপনি কি করেন ?


@সোনালি কাবিন,
আপনাদের শুভ কামনায় যেটুকু বাস্তবতায় নিজের ও মানুষের কল্যাণ করতে পারি, তা করার চেষ্টা করি ও করে যাই। কিছু মানুষ যখন যুক্তিতে পারে না, তখন যুক্তিহীন কথা বলে অন্যকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে। আর এই ফাঁদে যে পা দিবে তাকেও সে তার পর্যায়ে নামিয়েই ক্ষান্ত হবে।

আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা।

০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ২:৩৬

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: এ্যাক্সজাবিয়ান যে বলেছেন বেকারত্বের অভিশাপ আসলে সেটা আমার মনে হয় না কর্মের বেকারত্ব, বরং নাস্তেকদের মস্তিস্কের বেকারত্বটাই আসল কারন- একজন সচেতন মানুষ হিসেবে যেসব মৌলিক জিনিস নিয়ে ভাবা দরকার তা তারা ভাববে না । তারা শুধুই পরে থাকে বস্তুবাদ নিয়ে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.