নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমগ্র মানবজাতিকে ঐক্যে আনবে যে পদ্ধতি

০১ লা মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩০


৫ম ভাগ ( আত্মত্যাগী মুসলিমদের দ্বারাই ঐক্যের ১ম মজবুত দল গঠন)

আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন ওয়া সালামু আলা রসুলিহি। বিসমিল্লাহ- নতুন পাঠকরা ৫ম ভাগ পড়ার পূর্বে আগের ৪টি পর্বই পড়ার অনুরোধ রইল নয়ত ভুল বুঝার সম্ভাবনা ৯৯ভাগ। লিংক ১ম পর্বের Click This Link পরের তিনটি পর্ব এই লিংকেই পাবেন। এটি খুবই দুঃখজনক হলেও সত্যি আজ মুসলিমসহ পুরো মানবজাতিই এমন নিম্নস্তরে পৌচেছে যে বিগত কয়েক বছর চেষ্টা করেও ইউনাইটেড প্যাসিফিক গ্রুপের একটি ছোট্ট মজবুত দলও গঠন সম্ভব হল না অথচ এটি ছিল এমনি ১টি শান্তির দিকে আহব্বায়ক ব্যাবস্থা যা কিনা ছিল সর্বস্তরের জন্যই। যদিও কিছু কিছু সচেতন মানুষ সমস্ত মানবজাতির ঐক্যের এই পদ্ধতিকে সাপোর্ট করেছে কিন্তু তা ছিল শুধুমাত্র মৌনিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ বাস্তব কর্মপদ্ধতির দ্বারা স্ব-শরীরে অংশগ্রহনের মাধ্যমে নয় আর হাতে গোনা কয়েকজন স্ব-শরীরে অংশগ্রহন করলেও তাদের দেখে শুধুমাত্র ভংগুর টেম্পোরারী ছোট দলই মনে হয়েছে যা একটু শক্ত আঘাতেই ভেংগে যেতে বাধ্য মোটকথা এমন একটি ছোট্ট দলও গঠন করা সম্ভব হয়নি যে ছোট দলটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে এমন আকার ধারন করবে যে বিশ্বে একটি ইউনাইটেড প্যাসিফিক দলের সৃষ্টি হয়ে শান্তিকামী মানুষদের অশান্তি হতে দূরে রেখে নিরাপত্তা দিবে। আর এমন দল প্রাথমিকভাবে সৃষ্টি করা সম্ভব একমাত্র আত্মত্যাগী মুসলিমদের দ্বারাই যারা কিনা নিজের জীবন দিতেও প্রস্তুত। তাই স্বল্প সংখ্যক হলেও কিছু আত্মত্যাগী মুসলিমদের দ্বারাই ১মে মজবুত এমন একটি ইউনাইটেড প্যাসিফিক দলের সৃষ্টি করতে হবে, যে দলটি মানুষকে শান্তির দিকে আহব্বানের পাশাপাশি নিরাপত্তাও দিবে। আর এটি সম্ভব হবে ইনশাহ আল্লাহ আত্মত্যাগী মুসলিমদের দ্বারা একমাত্র ইসলামি জিহাদ ও কিতালের মাধ্যমেই। এখন মনে হতে পারে যে শান্তির দিকে ঐক্যে আনতে যুদ্ধ করে মানুষ হত্যা করতে হবে এটা আবার কেমন শান্তি প্রতিষ্ঠার সিস্টেম? আসলে ইসলামি জিহাদ মানে মানুষ হত্যা নয় তবে এখানে জিহাদ বলতে বুঝানো হচ্ছে সক্ষমতা অর্জন আর এটি অর্জন করতে যাদের সাথে লড়া হবে তাদেরকে হত্যা না করলে আর কিছুদিন পরে তারাই আমাদের হত্যা করবে যা নিচে বিস্তারিত আলোচনার দ্বারা বুঝা যাবে অর্থাৎ এটা হবে শান্তির জন্য স্বাধীনতার যুদ্ধ কিন্তু ১মে এটি শুরু করতে হবে আত্মত্যাগী মুসলিমদেরই আর অবশ্যই এই জিহাদ ইসলাম অনুযায়ি পরিপূর্ন হালাল হতে হবে কেননা সাধারন তথ্য যাচাইয়ে বুঝা যায় নিকটতম অতীতের বা চলমান যেসব জিহাদ চলছে মুসলিমদের মাঝে তা কখনই পরিপূর্ন হালাল মনে হয় না বরং ঐসব জিহাদের দ্বারা বিশ্বে মানুষের কাছে মৌলিক ইসলামকে কঠোর ও অশান্তিময় হিসেবে প্রমান করাতে পশ্চিমা ইসলামবিদ্বেষীরাই এসব জিহাদ পরিচালনা করে পর্দার অন্তরালে। আর এইসব জিহাদে মাদ্রাসায় শিক্ষিত এবং যাদের মোটামুটি ধর্মীয় লেবাস আছে তাদেরকে দিয়ে এমনভাবে হাইলাইট করা হচ্ছে যাতে সাধারন মানুষ এমনকি মুসলিমদেরই সন্তান মনে মনে ভাবতে বাধ্য হয় যে পাঁক্কা মুসলিম এর চাইতে উদারপন্থি মুসলিমই ভাল যদিও উদারপন্থি মুসলিমরা অনেক কমই ধর্ম পালন করে কিন্তু হত্যাযোগ্য হতে তো ঠিকই দূরে থাকে। এসব কর্মকান্ড দেখে অনেকে আবার সুফী-সাধক-সন্নাসী টাইপ মুসলিমদেরই সর্বদাই হক্বপন্থি ভাবতে বাধ্য হয়। আর ইসলামবিরোধীদের ইচ্ছা হল- যদি বেশীরভাগ মুসলিমদেরই এরকম মন-মানষিকতা সম্পন্ন করা যায় আর বাদবাকীদের দমন করা হয় তবে বিশ্বে তাদের সম্পূর্ন জয়-জয়কার অবস্থা হবে। কিন্তু ভালভাবে লক্ষ্য করলে বুঝা যায় সত্যিকারার্থে বিশ্ব তখন রুপ নিবে একটি দাজ্জ্বালী বিশ্বে । আর চলমান মুজাহিদরা কিন্তু তাদের প্লানই বাস্তবায়নে সহায়তা করছে সুতারাং প্রচলিত জিহাদ হক্বপন্থি না হবার সম্ভাবনাই বেশী।

সবচেয়ে বড়কথা হল জীহাদের পূর্বে অবশ্যই বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদী চরম দাওয়াত জরুরী কেননা নবী সাঃ সহ সকল নবীদেরই এমন নীতিই ছিল আর নবীদের দেখানো পদ্ধতির বাইরে গিয়ে কখনই সফলতা তো দূরে থাক হালালই হবে না। সুতারাং জংগীদের জিহাদ পূর্ব দায়ীদের দাওয়াত, বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদী চরম দাওয়াত কখনও ছিল না এমনকি বেশীরভাগ দাওয়াতই ছিল ভূল-ভ্রান্তিপূর্ন আর দাওয়াতের প্রধান বিষয় কালিমার ইলাহ এর অর্থকে ভুল ব্যাখ্যা করেই বেশীরভাগ দাওয়াতী কার্যক্রম চলত সুতারাং তাদের দাওয়াতের ধাঁচে সাধারন মানুষের ধর্মীয় জ্ঞান যে ধরনের হয়েছিল তা নিম্নে উদাহরন দেয়া হল যেমন- বেশীরভাগ মুসলিমই জানে আল্লাহ মানুষকে ইবাদতের জন্য পাঠিয়েছেন আর ইবাদত শুধুমাত্র নামাজ রোজা টাইপ আমলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, দুনিয়াদারী করার ক্ষেত্রে যেকোন সিস্টেমেই চলি না কেন শুধুমাত্র সৎ থেকে নামাজ রোজা করে মিথ্যা পরিহার করে প্রয়োজনে বৃদ্ধ বয়সে আরও বেশী সুফি হয়ে মৃত্যুবরন করলে পরকালে ভালই সফলতা পাওয়া সম্ভব। এজন্যই দেখা যায় সুদী ব্যাংকে চাকরী করা ব্যাক্তি বেশী বেশী দান-খয়রাত করে নিজেকে উচু দানশীল মুসলিম ভাবে, অনইসলামি সরকারের পুলিশ-প্রশাষনের লোক সৎভাবে দায়িত্ব পালন করে নিজেকে পূন্যবান মুমিন ভাবে, সেনাবাহিনী জাতিসংঘ মিশনে গিয়ে আফ্রিকার জনগনের খনিজ সম্পদ আমেরিকাকে চুরি করাতে সহযোগিতা করে নিজে শান্তি মিশনে কাজ করতে পেরে অনেক সোয়াব কামাই করে ফেলেছে ভেবে নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবে এমনকি ধর্ম বাদ দিয়ে শুধুমাত্র দেশ ও জাতির স্বার্থে প্রান দিয়ে নিজেদের শহীদ আখ্যা দেয়, বিচার বিভাগের নামাজী লোক কোর্টে ২য় বিয়ে করনেওলাকে সাস্তির রায় দেয় কারন এতে তার ১ম স্ত্রীর অনুমতি ছিল না আবার জিনা ব্যাভিচারের সাস্তি মাত্র কয়েশ টাকা জরিমানা করে অথচ ১৮ এর নিচে মেয়ে বিয়ে করার অপরাধে অন্যজনকে সাস্তিস্বরুপ দেয় বছরের পর বছর কারাদন্ড এমন রায় সে পরিপূর্ন সংবিধান অনুযায়ি করেছে বিধায় বিশাল ন্যায় বিচার করে ফেলেছে ভাবে আর আশা করে হাশরের মাঠে সে আল্লাহর আরশের নিচে ঠায় পাবে, অনইসলামি গনতান্ত্রিক দেশের সরকারি নেতারা মনে করে সততার সাথে দেশ পরিচালনা পূন্যের কাজ তাই সে ইলেকশনে জিতে মসজিদে মসজিদে তোবারক দেয় আর সংসদে আল্লাহ বিরোধী আইন পাশ করে জেনে বা নাজেনেও। মোটকথা বেশীরভাগ মুসলমানরাই আজ অজ্ঞতার কারনে মনে করে যে ধর্মের কাজ শুধু মসজিদ-মাদ্রাসা আর কিছু আচার-অনুষ্ঠান মধ্যেই সীমাবদ্ধ এবং এর প্রয়োগ শুধুই ব্যাক্তির নিজস্ব গন্ডীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সাথে ধর্মের কোন লেনাদেনা নেই তাই এক্ষেত্রে পশ্চীমাদের বিধান প্রয়োগ করলে আমরা উন্নতি করতে পারব আর এতে আল্লাহও বিচারের মাঠে দেখবেন যে কারা কারা দুনিয়াতে বেশী বেশী উন্নয়ন করে মানুষকে দুনিয়াতে বেশী বেশী দুনিয়াবী হাসিলে সহায়তা করেছে তাদেরকে একটু বেশীই পুরস্কার দিবেন।
সাধারনত এইরকমই মনোভাব বেশীরভাগ মানুষেরই বিশেষ করে যারা মনে প্রানে ধর্ম-বিরোধী নয় তাদের, কিন্তু যারা মনে প্রানে ধর্ম-বিরোধী এবং নাস্তিক তাদের মনোভাব তো আরো নিম্ন, পার্থিব ভোগ-বিলাসের ক্ষেত্রে তারা ধর্মকে হুমকি মনে করে যদিও তাদের নাস্তিকতার কারনগুলোর মাঝে প্রধান কারন হল- ঈশ্বরকে কেন দেখা যায় না ? এমনকি ধার্মিক মানুষকে মারলেও কেন ঈশ্বর বাচায় না? আর তাঁকে গালি দিলেও কেন নিশ্চুপ থাকে? পশ্চিমাদের বিজ্ঞানই একমাত্র ঠিক আর ধর্ম কুসংস্কারপূর্ন কথা বলে ইত্যাদি ধারনা হল বর্তমান নাস্তিকদের সুতারাং এদের অজ্ঞতা আরো নিচু পর্যায়ে কিন্তু এরাই নিজেদেরকে উচুস্তরের জ্ঞানী ভাবে পশ্চিমা জড় ও বস্তুবাদীদের দেওয়া বড় বড় ডিগ্রী অর্জন করার জন্য।

উপরে উল্লেখিত ভাবে সমাজের সার্বিক অজ্ঞতার চিত্র এত নিচু পর্যায়ে পরে থাকাবস্থায় কিছু জিহাদীরা ইহুদী-খ্রীষ্টানদের প্ররোচিতায় ইসলামিক রাষ্ট্র গঠনে অতি আবেগী হয়ে সশস্ত্র জিহাদ শুরু করে। এদের ধারনা শুধুমাত্র মসজিদে খুতবা,ওয়াজ-মাহফিল, লেখা-লেখি আর স্বল্প স্তরে ঘুরে ফিরে দাওয়াতই যথেষ্ট হয়েছে। কিন্তু এরা বুঝত না যে পূর্বের প্রচলিত দাওয়াতি ক্ষেত্রের প্রভাব সমাজের শুধুই নির্দিষ্ট কিছু গন্ডীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল সমাজের বৃহত্তর ক্ষেত্রে এর কোনই প্রভাব ছিল না বরং এসব ক্ষেত্রে পশ্চিমা মিডিয়ার দাওয়াতই বেশী কার্যকর ছিল অথচ এসব জিহাদীরা স্বপ্নঘোরে থেকে ভাবত দাওয়াত অনেক হয়েছে এখন প্রতিশোধের পালা এবং ক্ষমতা দখলের পালা । জিহাদ জায়েজ হবার পূর্বের কর্মকান্ড পুরোপুরি সম্পন্ন না করেই শুধুই দ্বীন ক্বায়েমের উদ্দেশ্যে যে জিহাদ শুরু করেছে সেই জিহাদে কিছুতেই তারা সফলতার মুখ দেখে নাই। জিহাদ জায়েজ হবার পূর্বের কর্মকান্ড পুরোপুরি সম্পন্ন করার পরও যে সঠিক পন্থায় জিহাদ করা হবে সেই পন্থাও কুরান সুন্নাহ অনুযায়ি হালাল হতে হবে এবং সর্বপরি ইসলামের শত্রুদের দ্বারা কোনভাবেই প্ররোচিত হওয়া যাবে না বরং তাদের আরও ক্ষতির কারন হতে হবে কিন্তু প্রচলিত জিহাদ দেখে মনে হয় না এই পন্থা পরিপূর্ন হালাল কারন বর্তমান জিহাদীরা যে ধরনের আত্মঘাতি হামলা করে তা সরাসরি মুসলিমদের হতে আসেনি এসেছে আমেরিকান আর্মি ও গোয়েন্দাদের হতে এরাই গোপনে জংগীদের এভাবে প্রশিক্ষন দিয়েছে। আর এসব জিহাদীরা দু-একজনকে মারলেও তা ইসলামের শত্রুদের তেমন ক্ষতিই হচ্ছে না বরং পশ্চিমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আরও সহায়ক হচ্ছে।
তবে বর্তমানে খুশির কথা হল এই যে আনুমানিক ২০০৯ সাল হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত আল্লাহ সুবঃ বিশ্বে এমন এক ধরনের বিশেষ পরিস্থিতি তৈরী করে দিয়েছেন যে বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদী চরম দাওয়াত বিভিন্ন মাধ্যমের দ্বারা মোটামুটি সম্পন্ন হয়েই গেছে উদাহরন স্বরুপ- ১মতঃ প্রায় ১০০ বছর হল দাওয়াতে তাবলীগ শুধুই মুসলিমদের কাছে হলেও কালেমার দাওয়াত দিয়েই আসছিল কিন্তু উক্ত ১১ বছরের মাঝে তারা সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়ও পৌছে যায় মোটামুটি আর এতদিন ইসলামবিদ্বেসীরা তাবলীগকে আমলে না নিলেও কয়েক বছর হল তারা তাবলীগকেও বড় ধরনে হুমকি হিসেবে দেখে এবং সরাসরি ১মে নিষিদ্ধ না করে তাবলীগের মাঝেই দুদল সৃষ্টি করে ফাটল তৈরী করে ফিতনার সৃষ্টি করে। এতে বুঝা যায় যে তাবলীগের দাওয়াতেও অনেক কাজ হয়েছে ২য়তঃ যে ইসলামের দাওয়াত কোনদিন টিভি বা স্যাটালাইট পর্যন্ত আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেনি তাও সম্পন্ন হয় পিস টিভির মাধ্যমে, পরবর্তীতে একেও হুমকি হিসেবে দেখে ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়, এতেও বুঝা যায় পিস টিভির মাধ্যমেও অনেক কাজ হয়েছে। ৩য়তঃ আনুমানিক ২০১০ সালের পরপরই বিশ্বে মোবাইল ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা এমনি পর্যায়ে এসে পরে যে, দিন আনে দিন খায় এই ধরনের ব্যাক্তিবর্গও মোবাইল ইন্টারনেটের সুবিধা পায় আর এই নেটওয়ার্ক সুবিধার কারনে ঐচ্ছিক ব্যাক্তিবর্গ মাত্রই ইসলামের দাওয়াত পাবার সাথে সাথে ধর্মীয়জ্ঞান এমনভাবে পেতে থাকে যে সাধারন আলেম-ওলামারা যেটা না জানে সেটাও তারা রপ্ত করে ফেলে। ৪র্থতঃ বিশ্বে মুসলিমদের বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন আর যুদ্ধের পরিস্থিতি বিরাজ করায় সাধারন মুসলিমরাও ধর্ম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে পরে ফলে ওয়াজ নসিহত আর ধর্মীয় আলোচনা মুসলিম এবং অমুসলিমদের মাঝেও পূর্বের তুলনায় আরও বেশী হতে থাকে, এক পর্যায়ে একেও হুমকি হিসেবে দেখে ওয়াজ মাহফিলের বক্তাদের ওয়াজ সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয় সুতারাং বুঝা যায় এতেও কিছুটা কাজ হয়েছে। তাই নূন্যত্তম ইচ্ছা আছে এমন ব্যাক্তিও চরম দাওয়াত পাওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় জ্ঞানও বৃদ্ধি করে। ৫মতঃ এরপর থাকে কিছু চরম গন্ড মূর্খ্য ব্যাক্তি ও ধর্ম সম্পর্কে একেবারেই উদাসীনরা, কিন্তু আল্লাহ সুবঃ বিশেষ সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমে এবং আরো কিছু মাধ্যমে এদের মাঝেও বেসিক দাওয়াত পৌছে দেয়ার ব্যাবস্থা করেছেন আর অন্নান্য দেশে ইসলামকে সন্ত্রাসীর ধর্ম বা বিভিন্নভাবে অপবাদ দিয়ে আলোচনায় নিয়ে আসায় অনেকেই ইসলাম সম্পর্কে বেশী কৌতুহলী হয় ফলে তারা ইসলামকে জানার চেষ্টা করে, অনেকে আবার ইসলামের ভুল ধরতে গিয়েও ইসলাম সম্পর্কে জানার সুজোগ পায়, ফলে সম্মিলিত আলোচনা এবং এইসব বিভিন্ন কারনে দেশ-বিদেশের প্রায় সকলেই ইসলামের বেসিক দাওয়াত হতে কেউই রেহাই পায় নাই । সুতারাং আল্লাহ সুবঃ এর বিশেষ হস্তক্ষেপে সুদীর্ঘ ১১বছরে বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদী চরম দাওয়াত বিভিন্ন মাধ্যমের দ্বারা এখন ঠিকই মোটামুটি সম্পন্ন হয়েছে বুঝা যায়, তাই কুরান-সুন্নাহ অনুযায়ি সত্যিকারের জিহাদের পূর্ব ১ম শর্ত(চরম দাওয়াত)অলরেডি কিন্তু পুরো হয়েই গেছে। আর যদি এমন হয়ে থাকে যে পূর্ব হতেই সমগ্র বিশ্বে জিহাদ হালাল ছিল তবে তো এখন আরও বেশি হালাল হয়ে গেছে এমনকি জিহাদ ফরজে ক্বিফায়া হতে ফরজে আইনে রুপান্তরিত হয়ে গেছে বিশ্ব পরিস্থিতি অনুযায়ি।

নবী সাঃ এর সীরাত জীবনী হতে দেখা যায় তিনি মক্কার জীবনে পুরোটাই শুধুমাত্র দাওয়াত এবং ধৈর্য্যের উপরে কাটিয়ে দিয়েছিলেন আর নবী সাঃ এর চরম দাওয়াত সহ্য না করতে পেরে কাফেররা তাঁকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করলেও তিনি কিন্তু জিহাদ শুরু না করে বরং হিজরত করেছিলেন এবং এরপরও যখন নবী সাঃ কে সহ ইসলামকেই সমূলে ধ্বংস করার চেষ্টা করল তখন ১ম জিহাদ হয় মক্কার কাফেরদের সাথে তাই অনেক ফকিহ মনে করেন ইসলামে জিহাদ শুধু আত্মরক্ষার্থেই হওয়া উচিৎ কিন্তু এই ফতুয়া পুরোপুরি ঠিক না কারন- নবী সাঃ মদীনায় হিজরতের পর সেখানে ১মে একটি নতুন সমাজ বা ছোট রাষ্ট্র গঠন করেছিলেন আর একটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষায় মক্কার কাফের ছারা অন্য কারও সাথেও জিহাদ শুরু হতে পারত কিন্তু মক্কার কাফেররাই যেহেতু ইসলামের বড় শত্রু ছিল তাই ১মে তাদের সাথেই ১ম জিহাদ শুরু হয় যা ছিল অনেকটা আত্মরক্ষার মতই। সবচেয়ে বড়কথা হল- ইসলামের জিহাদের অনুমতি শুধু আত্মরক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় আরও অনেক কারনেই জিহাদ করা যায় যা কুরান-হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যেমন- কেউ যদি তার নিজ জাতির উপর অত্যাধিক অত্যাচার করতে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে জিহাদ করা যায় আবার কোন রাষ্ট্র বা রাজা যদি সেদেশের জনগনের ধর্মীয় স্বাধীনতা কেরে নেয় বিশেষ করে শিরকে বাধ্য করলে সামর্থবান মুসলিম দল বা মুসলিম রাষ্ট্রের ফরজ যে সেই রাষ্ট্র বা রাজার বিরুদ্ধে জিহাদ পরিচালনা করা, এছারাও যদি বুঝা যায় কোন দল/জাতি/রাষ্ট্র/রাজা ভবিষ্যতের জন্য মুসলিমদের বড় ধরনের হুমকির কারন হবে কিন্তু এখনও তারা সরাসরি কোন পদক্ষেপ নেয় নাই তখনও কিন্তু পূর্ব সতর্কিকরন মূলক হিসেবেও নবী সাঃ আক্রমনাত্বক হামলা করে তাদের পরাজিত করে নিজেদের ভবিষ্যৎ হুমকি হতে বাঁচিয়েছেন, সংক্ষেপে এই হল ইসলামের জিহাদের কারনসমূহ যার সবগুলোই কিন্তু শুধুই সরাসরি আত্মরক্ষার উদ্দেশ্য ছিল না।

আবার অনেকে ভাবতে পারেন নবী সাঃ যেহেতু জীবনের হুমকির মুখে পরেও ১মে হিজরত করে তারপর জিহাদ শুরু করেন তাই বর্তমানেও মুসলিমদের জীবন সরাসরি হুমকির মুখে পরলেই কেবল ১মে হিজরত করে একত্রিত হতে হবে এরপরে শেষ উপায় হিসেবে জিহাদ করতে হবে। আসলে সত্যিকারের যারা সচেতন তারা ঠিকই বুঝতে পারছে যে শুধু মুসলিমই নয় সাধারন মানুষের জীবনও আজ হুমকির মুখে যা পরে প্রমান দেয়া হবে ইনশাহ আল্লাহ। আর ইসলামের নিয়ম পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে অনেকটাই পরিবর্তন হয় তাই বর্তমান বিশ্ব যেহেতু প্রতিটা দেশের অঞ্চল ভিসাভিত্তিক এবং জাতিসংঘের আওতাভুক্ত তাই অতীতের মত হিজরত করে একত্রিত হওয়া অসম্ভব আর প্রতিটা জায়গাই এমনকি নির্জন দ্বীপ-বন সবই তাদের নজরে রয়েছে তাই নবী সাঃ এর জামানার মত মক্কা হতে মদীনায় গিয়ে পুর্বে হিজরত সম্ভব হলেও এখন আর ঐরকম হিজরত সম্ভব নয় এমনকি জিহাদের পূর্বে নিজের দেশের মাঝেও হিজরত করে মুমিনদের একত্র হবার কোন নিরাপদ টেম্পোরারী ভুমিও বানানো সম্ভব নয়, ২০০০ সালের পূর্বে এমন কিছুটা সম্ভব হলেও সরকারি বাহিনী ঠিকই পুরোটা নিয়ন্ত্রন করতে পারত কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে অল্প কয়েকজনও একত্রিত হওয়া সম্ভব না। তাই ১মে হিজরত অতঃপর জিহাদ এমন না করে জিহাদ এবং হিজরত দুটোই একই সংগে করতে হবে। এছারা আরেকটি ব্যাপার লক্ষ্যনীয় যে, কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে জিহাদ-পূর্ব জামাত গঠনের মূল উদ্দেশ্যই হল কিছুটা হলেও লড়ার শক্তি বৃদ্ধিকরণ, কিন্তু বর্তমান বিশ্বে মুজাহিদরা কাফেরের তুলনায় আর কতবড়ই না শক্তিই বৃদ্ধি করবে? যদি বড় কোন দেশকেও পুরোটাই তৈরী করে ফেলে শত্রুদের সাথে ভালভাবে লড়ার জন্য তবু কিন্তু তারা মূহুর্তের মধ্যেই পারমানবিক হামলায় ঐ পুরো দেশই ধ্বংস করে দিতে পারবে তাই একমাত্র আল্লাহর বিশেষ সাহায্যের মাধ্যমেই বর্তমান বিশ্বের অশান্তিময় অশুভ শক্তির সাথে ১মে মুসলিমদেরই চরম লড়াই শুরু করতে হবে কম সংখ্যকদের মাধ্যমেই। এই লড়াই কখনই বৃহৎ দল একত্রিত হয়ে ১মেই শুরু করা যাবে না বরং বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট দলে ছরিয়ে ছিটিয়ে চরম জিহাদ শুরু করতে হবে আল্লাহর বিশেষ সাহায্য প্রাপ্তির আশায় এবং ধীরে ধীরে মুজাহিদ সংখ্যা বাড়লেও ১মেই কোন নির্দিষ্ট এলাকায় স্থিরভাবে অবস্থানও করা যাবে না অর্থাৎ যাযাবর হয়ে জিহাদ পরিচালনা করতে হবে। বিশ্বব্যাপী এমন জিহাদ চলাকালে যে যেখানেই অবস্থান করুক না কেন নিজেরদের মাঝে যোগাযোগ ব্যাবস্থা করলে এবং এক আমিরের নেত্রিত্বে জিহাদ পরিচালনা করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে আর এমনভাবে বা দূরবর্তী বড় আমিরের আনুগত্য করা সম্ভব না হলেও যে যেখান থেকেই হোক যতটুকু পারে ততটুকুই জিহাদ চালিয়ে যেতে থাকবে মোটামুটি কুরান-সুন্নাহ মেনে চললেই হল। মোটকথা কে কতটুকু শত্রুদের ক্ষতি করতে পারছে সেটাই হল আসল, সাহায্য করা এবং প্রতিফল দেওয়া তো আল্লাহ সুবঃ এরই এখতিয়ারভুক্ত। তাই একমাত্র আল্লাহ সুবঃ কেই অভিভাবক ধরে প্রয়োজনেই একাই জিহাদ পরিচালনা করতে থাকবে, এরপর বিজয় আসুক বা মুজাহিদ সংখ্যা বাড়ুক বা নিজে একাই শহীদ হয়ে যাক কোন সমস্যা নেই কারন এর বিচার আল্লাহই করবেন যে ঐ ব্যাক্তি সমর্থনাযুয়ি কতটুকু করেছে, তাকে যে ইসলামিক রাষ্ট্র কায়েম করেই মরতে হবে এমন নয় বা ইউনাইটেড প্যাসিফিক গ্রুপকে বৃহৎ শক্তিশালী করেই মরতে হবে এমনও নয়।

এখন কথা হল কোন কারনে বা কুরান-হাদিসের কোন দলীলের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী এমনভাবে জিহাদ শুরু করা জায়েজ হবে ? এর সরাসরি উত্তর হল নবী সাঃ এর দেখিয়ে দেওয়া কুরান-হাদিসের আলোকেই এমন জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যাচ্ছে প্রত্যেক সমর্থবান ব্যাক্তির উপর অথচ কিছুদিন পূর্বেও এটি সারাবিশ্বব্যাপী হালাল ছিল না কিন্তু এখন হালাল হয়ে গেছে তার ১ম কারন- বিশ্বব্যাপী চরম দাওয়াত সম্পন্ন হয়ে গেছে, ২য় কারন- সত্যিকারের মুমিনদের পাশাপাশি সাধারন মানুষের জীবনও আজ হুমকির মুখে যা পরে প্রমান দেয়া হবে, ৩য় কারন- পূর্বের যুগের মতন হিজরতের পরিবেশ নেই কারন এখন পুরো দুনিয়াই হল একটি গ্লোবাল ভিলেজ তাই হিজরত ও জিহাদ দুটো একসংগে করতে হচ্ছে, ৪র্থ কারন- ইসলাম বিদ্বেষী কুফরী শক্তি এমন ফেরাউন নমরুদের মতন মহাশক্তিশালী হয়ে গেছে যে এদের বিরুদ্ধে আজ আর কোন দল গঠন করেও বিজয় সম্ভব না একমাত্র আল্লাহর বিশেষ সাহায্যে মুসা আঃ ও ইব্রাহিম আঃ এর মতন খুবই অল্পসংখ্যকদের দ্বারাই ইনশাহ আল্লাহ বর্তমান নমরুদ-ফেরাউনদের ধ্বংস সম্ভব তাই ১মদিকে মুসা আঃ ও ইব্রাহিম আঃ এর মতন আত্মত্যাগী দু-একজন মুসলিমের দ্বারাই বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিছিন্ন বা সংঘবদ্ধভাবে গ্লোবাল জিহাদ শুরুর মাধ্যমে শান্তিকামীদের ঐক্যের ১ম মজবুত দল গঠন সম্ভব। আর ৫ম কারন হল- নবী সাঃ যুগেও কোন দল/জাতি/রাষ্ট্র/রাজা ভবিষ্যতের জন্য মুসলিমদের বড় ধরনের হুমকির কারন হবে যদি এমন বুঝা যেত কিন্তু এখনও তারা সরাসরি কোন পদক্ষেপ নেয় নাই তখনও কিন্তু পূর্ব সতর্কিকরন মূলক হিসেবেও নবী সাঃ আক্রমনাত্বক হামলা করে তাদের পরাজিত করে নিজেদের ভবিষ্যৎ হুমকি হতে বাঁচিয়েছেন, ঠিক বর্তমানেও নবী সাঃ এর ঐ সুত্রকে এখন ফলো করতে বাধ্য, কারন- সারাবিশ্ব যারা নিয়ন্ত্রন করছে তারা এমনি ধোঁকাবাজ আর কুপরিকল্পনাকারী যে তারা আপাদত মুসলিমদের নামাজ রোজাতে সরাসরি বাধা দেবার কথা বলছে না ঠিকই, কিন্তু আর কিছুদিন পরেই তারা সত্যিকারের মুসলিমদের ঠিকই সমূলে বিনাশ করার প্লান করে রেখেছে যার প্রায় প্রত্যেকটিই তারা বাস্তবায়ন করে চলেছে, সামনে আর যে কয়েকটি প্লান বাস্তবায়ন হলে আম মুসলিমরাও বুঝবে যে আমাদের আর বাঁচার পথ নাই তখন আর কিচ্ছু করার থাকবে না তাই বর্তমান যামানার যারা সত্যিকারের মুমিন তারা প্রায় সকলেই তাদের বেশীরভাগ প্লান ধরতে পেরেছে তাই নবী সাঃ এর পদ্ধতিতেই ভবিষ্যৎ হুমকি(সমূলে বিনাশ) হতে বাঁচতে পূর্ব নিরাপত্তামূলকভাবে এই জিহাদ হালাল হয়ে যায়।

ইদানিং অনেক গবেষকই মনে করেন- বর্তমান যুগ হল ইমাম মাহদীর যুগ, আর ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশের আগে জিহাদ করা যাবে না অর্থাৎ ইমাম মাহদীর হাতে বায়াত নেবার পরই যুদ্ধ শুরু করতে হবে কিন্তু যাদের হাদিস ভান্ডার হতে ভাল জ্ঞান রয়েছে তারা জানে যে, ইমাম মাহদীর হাতে বায়াত হবে মক্কায় এর পূর্বে তিনি থাকবেন মদীনায় কিন্তু এরও পূর্বে সিরিয়ায় কিছুদিন থাকবেন আর তারও আগে কিন্তু তিনি পূর্বদেশ হতে মুজাহিদ বাহিনীর সাথে জিহাদরত অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে আসবেন তাই বায়াত গ্রহনের পর হতে এক খলিফার আন্ডারে বড় জিহাদগুলো শুরু হবে হাদিসে যেগুলোকে মালহামা বলা হয়েছে কিন্তু তারপূর্ব হতেই কিন্তু মাহদী এবং মাহদীর দল ঠিকই জিহাদরত অবস্থায় থাকবে তাই ঐসব হাদিস হতে হালাল জিহাদ পূর্ব হতেই শুরু হয়ে যাবার দলীলও পাওয়া যায়। তাছারা গাজওয়া হিন্দকে বদরের যুদ্ধ এর সমমান বলায় প্রমান হয় এই যুদ্ধই ১মে শুরু হবে। আবার গাজওয়া হিন্দের হাদিসে বলা হয়েছে যারা এই যুদ্ধে লড়াই করে যাবে তাদেরকে আল্লাহ সুবঃ জাহান্নাম হতে মুক্তি দিবেন আর গাজওয়া হিন্দের যুদ্ধ হল এক ধরনের অসম যুদ্ধ যেখানে শত্রুপক্ষের তুলনায় মুমিনরা থাকবে খুবই দূর্বল তাই এখান থেকেও তথ্য পাওয়া যায় যে বড় দল গঠন বা আমির থাকা ইত্যাদিও গৌন বিষয়, নিজের জীবন বাজি রেখে জিহাদ করতে থাকাই হল মূখ্য বিষয়। আর এমনও সম্ভাবনা আছে যে বর্তমানে যে জিহাদ শুরু হবে তা যদি হিন্দদেশের ভূমি হতে ১ম শুরু হয় সেটাও হয়ত হাদিসে উল্লেখিত সেই গাজওয়া হিন্দ। আর কুরান-হাদিস অনুযায়ি বর্তমান সকল পরিস্থিতি বলছে এখন জিহাদ হয়ে গেছে ফরজে আইন অর্থাৎ কোন এক পক্ষ জিহাদ চালিয়ে গেলে বাকি সবাই দায়িত্ব হতে মুক্তি পাচ্ছে না বরং সমর্থবান সকলেরই এই জিহাদে অংশগ্রহন করতে হচ্ছে উদাহরনস্বরুপ- শারীরিক প্রতিবন্ধি, অসহায় বৃদ্ধ এবং নারীরা যদি একা হয় তবে সরাসরি জিহাদে অংশগ্রহন করতে না পারলেও যেকোনভাবে হোক তাদের জিহাদের ইন্ধন যুগাতে ঠিকই সাহায্য করতে হবে নয়ত জিহাদ ফরজে আইন হওয়ায় ঠিকই পাপী হবে আর সমর্থবান কারও সন্ধান পেলে তার সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে সরাসরি জিহাদ করতে হবে অর্থাৎ স্বশরীরে না পারলেও পরোক্ষভাবে ঠিকই করতে হবে। জিহাদ ফরজে আইন হলে এদেরই যদি এমন অবস্থা হয় তবে সমর্থবানদের কি কর্তব্য তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সুতারাং যার যতটুকুই রসদ বা সমর্থ আছে তাই নিয়েই জিহাদে ঝাপিয়ে পরতে হবে, সংগী কেউ না হলেও এমনকি নিজের পরিবারকে ত্যাগ করে প্রয়োজনে একাই হিজরত ও জিহাদ দুটোই একসাথে করতে হবে অতঃপর জিহাদে শহীদ না হলে অন্য যারা জিহাদী আছে তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেতে হবে অথবা অন্যদেরকে যুক্ত করতে হবে এভাবেই আগে বাড়তে হবে।
এখন প্রশ্ন হল জিহাদ করবে কাদের সাথে ? যেখানে শত্রুপক্ষ এখনও সরাসরি মুসলিম নিধন শুরু করে নাই । এখানে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে হিজরত এবং জিহাদ পাশাপাশি শুরু করলেও এই যুদ্ধটা কিন্তু হবে ১ম দিকে আক্রমনাত্বক, এমনকি স্বল্প শক্তি নিয়ে বৃহৎ শক্তিকে আক্রমন করতে হবে পরিপূর্ন আল্লাহর উপর ভরসা রেখে। আর এই জিহাদ অবশ্যই পরিচালিত হবে যার যার দেশের সরকারের সাথে বিশেষ করে সেসব সরকার যারা জাতিসংঘের আন্ডারে রয়েছে। জিহাদের মূল উদ্দেশ্য হল জাতিসংঘকে ধ্বংস করে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং গনমানুষের সত্যিকারের ধর্মীয়সহ সকল মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করা। তাছারা মুসলিমরা এমন জিহাদ শুরু না করলে জাতিসংঘকে কেউ পরাস্ত করতে পারবে না আর তখন জাতিসংঘও এজেন্ডা-২১/এজেন্ডা-৩০ নামের বিভিন্ন প্লান বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্ব হতে ১মত ধার্মীকদের বিনাশ করে সাধারন জনগনকেও প্রয়োজনে হত্যা করে বাকীদের দাসে পরিনত করবে আর শুধুমাত্র একপক্ষ প্রভু শ্রেনীরা চরম ভোগ-বিলাসে থাকবে। কৃত্তিম করোনা ভাইরাস দিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষকে হত্যা করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি ভ্যাকসিনের মাধ্যমে সকলকেই ট্র্যাক করছে, ক্যাশলেছ মানি চালুর মাধ্যমে সকলকেই ব্যাংকে টাকা রাখা এবং সুদে জড়িত করার মত প্লান বাস্তবায়ন চলছে আবার লকডাউনের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের লোকদেরকে ধ্বংস করা হয়েছে এরপরই শুরু হয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়া বনাম ন্যাটো যুদ্ধ এর নামে ৩য় বিশ্বযুদ্ধ সুতারাং তাদের ঐসব চক্রান্তের বিরুদ্ধে ওয়ার্লড ওয়্যার ফর পিছ ১মে মুসলিমদেরই শুরু করতে হবে। যারা এখনও নিজে নিজেই এটা বুঝতে পারছে না যে কেন মুসলিম সহ অন্য সাধারনের জীবনও আজ হুমকির মুখে তাদের আর বুঝানো যাবে না এবং দরকারও নেই কেননা বর্তমানে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে শুধু সত্যিকারের মুসলিমদেরই নয় বরং আরো অনেকেরই, তাই আপাদত কোনমতে বেঁচে থাকলেও যেকোন সময় জীবন হারানোর সম্ভাবনাই বেশি।

শান্তির উদ্দেশে এই যুদ্ধ না করলে শুধুমাত্র দুটো পথই খোলা থাকে মানুষের জন্য আর তা হল- ১/যুদ্ধ না করেও যেকোনভাবে অন্যের দ্বারা হত্যা হয়ে অকাল মৃত্যু ২/ ওদের এজেন্ট বা দাস হয়ে ভাগ্যক্রমে আপাদত বেঁচে গেলেও কঠিন পাপী ও কনফার্ম নরকী হয়ে কিছুদিন পরে ঠিকই মৃত্যু বা অন্যের দ্বারা হত্যা। আর যুদ্ধ করলে থাকে উত্তম দুটি সম্ভাবনা- ১/ শহীদ ২/ শান্তিকামীদের সাথে বাসরত অবস্থায় অনেকদিন পরে স্বাভাবিক মৃত্যু। অর্থাৎ যুদ্ধ করলেই বরং বিজিতদের বেশীদিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থেকে যায় অন্যথায় আর কারুরী এই সম্ভাবনা নেই, এগুলো কিন্তু ধর্মগ্রন্থে ভালভাবেই ভবিষ্যৎবানী করা আছে। আরেকটি বড় ব্যাপার হল এই লিংকের লেখা Click This Link অনুযায়ি হিন্দ দেশের বাংলাদেশেই এর প্রেক্ষাপট সবচেয়ে বেশী এবং মনে হয় ১ম যুদ্ধ এখান থেকেই করা উচিত। আর তাই মুমিনদের মাঝে যারা এই জিহাদ শুরু করবে বিশ্বের যেখানেই হোক না কেন তাদের আরেকটি পতাকা থাকতে হবে এবং তার রঙ হবে কালো আর সাদা হরফে কালিমা লেখা।

সর্বশেষে বলা হচ্ছে যে- নিরুপায় হয়ে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ঐক্যের সর্বশেষ এই পন্থাটি হল কুরান-হাদিস অনুযায়ি একটি গবেষনা পত্র তাই এই পন্থা শুরুর পূর্বে অবশ্যই অন্যান্ন মুমিন যারা আছেন তাদের সাথেও আলোচনা করেই মূল সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এমনও হতে পারে যে চলমান জিহাদ পরিত্যাগ করে অন্যকোন সিস্টেমেও শান্তিকামী দলের ঐক্য গঠন করা যেতে পারে তাই এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না আর এটা হল এমনি এক ধরনের গবেষনা পত্র যে আপনি যদি মুমিনের দলে হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই দ্রুত আপনার মতামত জানান এবং আলোচনাও করা হবে সুতারাং উপরে উল্লেখিত সিদ্ধান্ত ফিক্সড নয়।

বিঃদ্রঃ অনেকেই এক লাইন বেশী বুঝে এই লেখাকে জঙ্গিবাদী প্রচারোনা বা জিহাদী প্রোপ্যাগান্ডা বলে অপপ্রচার চালাতে পারে। কিন্তু তাদের অবগতির জন্য জানানো হচ্ছে যে এটি আসলে মুমিনদের সাথে পর্যালোচনার জন্য এক ধরনের গবেষনাধর্মী আলোচনা তথা মাশোয়ারা তাই এখানে যারা মতবাদ ব্যাক্ত করবেন তারা কেউ-ই নাস্তিক, অন্য ধর্মের লোক এমনকি ৫ ওয়াক্ত নামাজী কিন্তু ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হোক এমন চান না বা চাইলেও গনতান্ত্রিক পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে চান তারা অযোথা নিজেদের মুমিন মনে করে মন্তব্য করা হতে দূরে থাকুন। নাস্তিক, অন্নান্য ধর্ম এবং বিভিন্ন ধরনের মুসলিমদের জন্য মন্তব্য করার জায়গা পূর্বের পর্বগুলোতে এখানে নয় । তাই দয়া করে আবেগের বসে হলেও সময় নষ্ট করবেন না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.