নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের প্রশ্নোত্তর

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩


পর্ব-১৫
নাস্তিকঃ- বিজ্ঞান মানুষের সামনে সত্য তুলে ধরে আর বিশ্বাস মানুষকে কাল্পনিক জগতে নিয়ে গিয়ে ভুল পথে পরিচালিত করছে।

আস্তিকঃ- সাধারনত বিজ্ঞানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় কোন অজানা জিনিসকে ১মে এক্স ধরে বিশ্বাস করে বিভিন্ন থিউরী প্রদান করা হয় তাছারা গনিত শাস্ত্রেও এই নিয়ম ফলো করা হয়, পরে ক্যালকুলেশন হিসাব মিলে গেলেই সেটি প্রমানিত হয় এবং থিউরীগুলোও বিজ্ঞানে স্থান করে নেয়। এভাবে প্রাথমিক ধারনা বা বিশ্বাসের মারফতেই আজ বিজ্ঞান এতদুর এগিয়েছে কেননা কেউই পূর্বেই সিউর হয়ে কোন সুত্র বাপ দাদা হতে প্রাপ্ত ছিল না বরং তার হিসাব মিলাতে হয়েছে। অথচ যে জিনিসটাকে পুজি করে মানব সম্প্রদায়ের আজ অগ্রগতি আজ সেই বিশ্বাস নামক জিনিসটাকেই অকেজো ও মুল্যহীন আখ্যা দিচ্ছে বিজ্ঞানের নাম ধরে ধর্মবিরোধীরা। শুধুমাত্র ধর্ম তাদের বাধনহীন ভোগবিলাসীতার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা বলে।
আপনাদের আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য হল এই যে - আপনারা স্রষ্টার কথা বাদ দিয়ে বিজ্ঞান কি বলল তাই অকপটে বিশ্বাস করেন পরে যখন দেখেন এই বিজ্ঞানই আবার বলছে এটা ঠিক ছিল না, ওটা ভুল ইত্যাদি তখন বোকার এর মত আবারও তাই বিশ্বাস করতে বাধ্য হন আর আমরা পূর্ব হতেই আল্লাহ পাকের কিতাব অনুযায়ি চলি যার একটি কথাও কেউ ভুল প্রমান করতে পারে নাই।
আর বিজ্ঞান শাস্ত্রের আবিস্কারক কারা ? উঃ মানুষ হয়ে থাকলে আমরা প্রমান দেখাই এবং বিশ্বাস করি সেই মানুষের স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানা তায়ালা ।এ পর্যন্ত কেউ নতুন কোন কিছুই সৃষ্টি করতে পারে নাই ,সবই পুর্ব হতেই ছিল যা ঈশ্বরের সরাসরি সৃষ্টি, আমরা শুধুই একটির সাথে আরেকটির সংমিশ্রন করছি বা তাঁর সৃষ্ট প্রকৃতির নিয়মগুলি বুঝতে ভালভাবে বুঝে বর্ননা করছি মাত্র ।

নাস্তিকঃ- ঈশ্বর, ফেরেশতা এগুলোর কোনটাই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত নয় সুতারাং এগুলোর কোনই অস্তিত্ব নেই। আর নবী-রসুল, অবতাররা অলৌকিক মিরাকল যা কিছু করে দেখিয়েছে তারও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে যা তখনকার মানুষেরা বুঝত না।

আস্তিকঃ- বিজ্ঞান স্বিকার না করলেই সেটার অস্তিত্য নেই তা আপনাকে কে বলেছে ? আপনি কি জানেন না যে , প্রমান না করা পর্যন্ত বিজ্ঞান তাকে স্বিকার করে না । বিজ্ঞান পূর্বে অনেক কিছুই স্বিকার করত না প্রমানের যন্ত্রপাতি বা মানুষের জ্ঞানের অভাবে অথচ সেগুলিই আজ বিজ্ঞানের প্রধান বিষয় হয়ে দ্বারিয়েছে। যেমন- পুর্বে বিজ্ঞান এ - আপেক্ষিকতা সহ ডার্ক এনার্জী এসবের কোনগুলি স্বিকৃত ছিল ? সুতারাং তখনকার যুগে আপনার মত মানুষেরা কতই না অজ্ঞতার উপর থেকে মরেছে শুধুওমাত্র বিজ্ঞানের স্বিকৃতির উপর বিশ্বাস রেখেছিল বলে ।
নাশ্তিকরা আসলে মিরাকলে বিশ্বাস করবে না । তারা মনে করে এটার নিশ্চয় কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে । আর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থাকা মানেই সেটা আর মিরাকল থাকল না ! হা হা হা।
তারা জানে না যে মিরাকল বা আসাধারন ঘটনা আর স্বাভাবিক ঘটনা দুটোই তাঁর সৃষ্টি। কোন অসাধারন ঘটনা যদি আমরা পরবর্তীতে বুঝেই ফেলি(বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বেরিয়ে যায়) তবে কি সেটা মুল্যহীন হয়ে যায়? বা ঈশ্বর এখানে অকার্যকর হয়ে যায় ? না ! বরং ঈশ্বরই তো আমাদেরকে বুঝানোর উদ্দেশ্যে অসাধারন মিরাকল ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন দূর্বল ঈমানদারদের জন্য।


জৈনক নাস্তিক :- নারীকে গণিমতের মাল বানিয়ে ইসলাম নারীকে করেছে মহা অসম্মান । ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় , এভাবেই পাকিস্তান ও জামাত লক্ষ লক্ষ কথিত মুসলমান নারীদেরকে ধর্ষন করেছিল

উত্তরঃ- নারীকে গণিমতের মাল বনানো ছিল জাহেলিয়াত যুগের নিয়ম নবী সাঃকে ১মেই আল্লাহ সুবঃ সরাসরি এই নিয়ম বাতিল করতে বলেননি কারন তাহলে নব্য মুমিনদের ঈমান শুরুতেই খুব বেশী শক্ত ছিল না যে যুদ্ধে নারীর মতন লোভনীয় জিনিস তারা এত সহজেই ত্যাগ করবে তাই আল্লাহ সুবঃ সম্পূর্ন অধঃপতিত জাতিকে ধীরে ধীরে আলোর পথে আনেন এবং মদ জুয়া সহ যুদ্ধে নারীদের সংগে যৌন কর্ম সহ মুতা বিবাহ সব হারাম ঘোষনা করা হয়। তবে যেটি জায়েজ রাখা হয় তা হল- যুদ্ধে স্বামী মারা পরলে সেই স্ত্রীকে(সন্তান থাকলে তাকে সহ) ভরণ পোষনের ব্যাবস্থা করার জন্য বিভিন্ন মুসলিমরা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিত । এর পর যদি সেই নারী স্বইচ্ছায় তার সাথে নিকাহে রাজি থাকত তবেই মুসলিমরা তা করতে পারত । ইসলামে এই সকল নারীদের বলা হত মালাকাল ইয়ামিন বা ডানপন্থি নারীসম্পদ। এদেরকে কখনও দাসী বলা যাবে না।পাকিস্তান কোন ইসলামিক রাষ্ট্র ছিল না তাই তারা কি করল তাতে ইসলামের কিছু আসে যায় না। বিঃদ্রঃ জামাতে ইসলামিরা পাকিস্তানকে এখনও ইসলামিক রাষ্ট্র ভাবে কিন্তু তা ছিল আসলে বৃটিশদের চক্রান্তে গঠিত ইন্ডিয়ার মতই একটি গনতান্ত্রিক দেশ যদিও মুসলমান ছিল সংখ্যাগরিষ্ট কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না দেখতে হবে রাষ্ট্র কি কুরান হাদিস দিয়ে পরিচালনা হচ্ছে নাকি গনতন্ত্রের দ্বারা ?

নাস্তিকঃ- অনেক হুজুরই ইসলামে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা জায়েজ বলেছে। মানুষ হত্যা আসলে এটাই প্রকৃত ইসলাম

আস্তিকঃ- উনাকে দোষী ধরলে পুলিশ আর্মি এরা সকলেই খুনি। কারন পুলিশ আর্মি যেভাবে দুষ্ট দমন করে শান্তি শৃঙ্খলা বজার রাখে ঠিক একইভাবে ইসলাম ধর্মেও শান্তি শৃঙ্খলা বজার রাখার স্বার্থে একেবারে শেষ উপায় হিসেবে জিহাদ কিতালের বিধান রেখেছে কারন ঈশ্বর ভালভাবেই জানেন এক্কেবারেই সাধুভাবে দুনিয়াতে চলা সম্ভব না যদি কোন জাতি এভাবে চলার সিদ্ধান্ত নেয় তবে সেই জাতিকে অবশ্যই অন্য অসাধুরা ধংস করে ফেলবে। এটা সত্যিই অসম্ভব বিধায় প্রতিটা দেশেই পুলিশ রয়েছে। নাস্তিকরা এসব ভাল করেই বুঝে আসল কথা কি " যত দোষ নন্দ ঘোষ"?জানেন অর্থাৎ ধর্মীয় রীতি নীতি নাস্তিকদের ভাল্লাগেনা - তাদের শুধু ভাল্লাগে সীমাহীন মৌজ মাস্তি ভোগ বিলাস

জৈনক নাস্তিক :- দুর্বল চিত্ত মানুষের সব চাইতে দুর্বল জায়গা হলো তার ধর্ম। কিন্তু দু:খের বিষয় প্রায় প্রতিটা মানুষই ধর্ম পালন করে , ধর্মের বিষয় বস্তু না জেনেই। এরা কেউই তাদের ধর্ম গ্রন্থ পাঠ করে ধর্মকে জানে না , জন্মসূত্রে পাওয়া ধর্মকে পরম সত্য হিসাবে বিশ্বাস করেই অন্ধের মত সেটা পালন করে।আজকের ইন্টারনেটের যুগে , প্রতিটা ধর্মের কিতাবগুলো বহু ভাষায় অনলাইনে সহজলভ্য হওয়ায় , কৌতুহলি মানুষগুলো সেসব পাঠ করে যখন এর মধ্যে অসংখ্য অসঙ্গতি দেখছে, অযৌক্তিক , এমনকি অনৈতিক বহু বিষয় অবলোকন করছে , তখন সমস্যাটা হয়ে গেছে অন্য যায়গায়। কেউ যদি ধর্মের এসব অসঙ্গতি বা অনৈতিক বিষয়গুলোকে আলোচনা করতে চায় , দুর্বল চিত্ত ধার্মিকরা সেসব আলোচনাকে কঠিনভাবেই এড়িয়ে চলতে চায়, পাছে তাদের বিশ্বাস বা ইমান দুর্বল হয়ে যায়। ভাবখানা এমন যে - আকাশে সূর্য উঠেছে , কিন্তু আমি চোখ বুজে বসে ভান করলাম , আকাশে কোন সূর্য নেই।

উত্তরঃ-আপনার বক্তব্যের ১ম অংশের বাস্তবতা থাকলেও শেষাংশে ভুল ধারনা প্রকাশ করেছেন। এই আপনিই কিন্তু আপনার কথায় ফেসে গেলেন কারন ১ম অংশে বলেছেন প্রায় প্রতিটা মানুষই ধর্ম গ্রন্থ পাঠ করে ধর্মকে জানে না । আর যারা ধর্মকে না জেনেই বিশ্বাসি তাদের সামনে ধর্মের কিতাবগুলোর অসঙ্গতি, অযৌক্তিকতা , অনৈতিকতা তুলে ধরলে তো তারা এড়িয়ে চলবেই এমনকি ভয়ও পাবে কিন্তু যারা জানে তারা কিন্তু ঠিকই আপনাদের ভুল সোর্স হতে প্রাপ্ত ভুল ধারনাগুলোকে দূর করবে যৌক্তিক প্রমানের সাহায্যে । কিন্তু আজকের এই বিজ্ঞান ও ইন্টারনেটের যুগেও কিছু অসাধু নাস্তিক মহল এসকল স্কলার আস্তিকদের ব্লক করে এমনকি অনেক ক্ষেত্রে হ্যাক করে নিজেদের হীনমন্যতার প্রকাশ ঘটাচ্ছে আর আপনাদের মত কিছু ব্যাক্তির কাছে মনে হচ্ছে ধর্ম বোধ হয় জাদুঘরে চলে যাচ্ছে। যদিও টেকলোজির যুগে এমন হ্যাকিং আর ব্লক করে পার পাওয়া অসম্ভব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.