![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(৬ষ্ট ভাগ) ----- ১৪) বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশসহ প্রায় সকল দেশের মানুষই নিজেদেরকে পরিপূর্ন স্বাধীন ভাবে যা ১ধরনের বড় ধোঁকা ছাড়া আরা কিছুই নয়। সত্যিকারার্থে যেদিন হতে কোনদেশের জনগন নিজেদেরকে পরিপূর্ন স্বাধীন জানা শুরু করেছে আসলে সেদিন হতেই তারা সুকৌশলে চরম পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হয়েছে। সাধারণত দেখা যায় কোনদেশ যেদিন হতে স্বাধীন হয়েছে তারপূর্বে বেশিরভাগই বৃটিশ বা পশ্চিমা কোন পরাশক্তির দখলে ছিল বেশকিছু মেয়াদে, তারা দখলের পূর্ব পর্যন্তই আসলে উক্ত দেশ সত্যিকারের স্বাধীন ছিল আর দখলের পর যে পরাধীনতার শুরু হয়েছে তার সমাপ্তি আজও ঘটেনি। তবে বৃটিশ-পশ্চিমারা চলে যাবার পর কোনদেশ স্বাধীন হওয়া শুধুমাত্র মিথ্যে নাটক ছারা আর কিছু নয়। বর্তমানে যেকোন স্বাধীন দেশের জনগন যে আজও চরম পরাধীনই রয়ে গেছে তা কিছুতেই সাধারন দৃষ্টিতে বুঝা সম্ভব নয় তবে একটু গভীরে গেলেই সবকিছু পানির মত পরিস্কার হয়ে যাবে।
বৃটিশ-পশ্চিমারা বিভিন্ন দেশ জোরপূর্বক দখলের পর তাদের শাষন ও শোষনে অতিষ্ট মজলুম জনতা সর্বদাই সশস্ত্র বিদ্রোহ চলমান রাখত ফলে বিশ্বব্যাপী বৃটিশদের নিয়োজিত অসংখ্য সেনা পটল তুলতে থাকে, তারা দেখল এভাবে চলতে থাকলে একসময় বেশিরভাগ সাদাচামড়ার সেনারই বিনাশ ঘটে তাদের রাজত্বের ধ্বংস হবে, তাই এবার তারা সেসব দখলকৃত দেশের মধ্যহতেই গাদ্দার ও লোভী শ্রেনীর মানুষদেরকে অর্থ ও ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে অসংখ্য দেশী সেনা তৈরী করতে থাকল যারা বৃটিশ সেনাদের সাথেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিদ্রোহীর সাথে লড়ত । ফ্রিডম ফাইটাররা এবারেও দেশী গাদ্দারসহ বৃটিশসেনাদের হত্যা এবং তাদের বিভিন্ন মালামাল, অস্ত্র সারমাঞ্জাদি লুট করে তাদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়াত। বৃটিশদের অন্যায় শাষন জনগনকে মন থেকে মেনে নেবার জন্য তারা এমন কিছু নেই যা করার বাকী রেখেছিল, এজন্য তারা বিশেষকরে ধর্মকে ব্যাপকভাবে ব্যাবহার করত। বৃটিশরা মুসলিমদের মাঝে মাদ্রাসা সৃষ্টি করে তাদের মনগড়া সিলেবাসে ব্রেইনওয়াশড হুজুরশ্রেনীর তৈরী করত, ভন্ড সুফীবাদী জিহাদবিরোধী পীর তৈরী করত এমনকি ভন্ড নবী, ইমাম মাহদী বানিয়েও মুসলিমদের ভুল বুঝাত। অন্নান্য ধর্মের অনুসারিদেরকে তারা আরও সহজে কাবু বানায় যেমনঃ- হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের মাঝে নিজেদের এজেন্ট ফিট করে বড় পুরোহিত সেজে ধর্মগ্রন্থ সংস্কারের নামে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ি পরিবর্তন করত, খ্রিষ্টানদেরকে চার্চ অফ ব্রিটিশের আন্ডারে বাইবেল বিকৃত করে নিজেদের অনুগামী খ্রিষ্টান সৃষ্টি করত তাই তো আজও তাদের প্রচারিত ধর্ম ও বাইবেলের সাথে অর্থোডক্স, ক্যাথলিক, প্রটেষ্ট্যান্ট খ্রিষ্টানদের শিক্ষা ও বাইবেলে অনেক পার্থক্য। ধর্মের পাশাপাশি তারা শাষনের ব্যাপারেও জনগনকে বোকা বানাত বিশেষ করে হিন্দুস্থানে ১মে সরাসরি প্রায় ১০০ বছরের ইস্ট ইন্ডিয়ার কোম্পানীর শাষনের পরে নতুন সিস্টেমের শাষন ১৮৫৮ হতে ১৯৪৭ পর্যন্ত বৃটিশ ইন্ডিয়া যৌথ সরকার ইত্যাদি ধোঁকাবাজিমূলক নাম দিয়েও সচেতন ধার্মীক জনগনের সশস্ত্র বিদ্রোহ থামানো যাচ্ছিল না তাই তারা এবার ধর্মীয় শক্তিকে পরিপূর্নভাবে বিনাশ করতে ১ম বিশ্বযুদ্ধ বাধিয়ে মুসলিমদের রাষ্ট্র খিলাফতকে চিরতরে বিনাশ ঘটায় পাশাপাশি খ্রীষ্টানদের ১ম শ্রেনীর রাষ্ট্রীয় শক্তি যা সর্বশেষ রাশিয়াতেই ছিল তাকেও সমাজতন্ত্র ও ১ম বিশ্বযুদ্ধের দ্বারা চিরতরে শেষ করে। একইসময়ে তারা ১মশ্রেনীর সচেতন ইহুদীরা যে রাষ্ট্রীয় শক্তি জার্মানে গড়ে তুলেছিল তাকেও ১ম বিশ্বযুদ্ধ ও এজেন্ট হিটলারের মাধ্যমে একেবারেই শেষ করে দিয়ে তাদেরকে ফিলিস্তিনে আনতে বাধ্য করে যেন তারা বিশ্ব ও রাষ্ট্র নিয়ে পূর্বের ন্যায় চিন্তা না করে মুসলিমদেরকে চিরশত্রু জেনে তাদেরকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকে, আর হিন্দু আর বৌদ্ধদেরকে তো পূর্বেই সাইজ করা হয়েছিল। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল তারা এক ধর্মকে অপর ধর্মের চিরশত্রু বানিয়ে ধর্মে ধর্মে দন্দ্ব তৈরী করে রাখত এমনকি একই ধর্মের মাঝে বিভিন্ন মতবাদ ও দল সৃষ্টি করে বিভেদের মাধ্যমে দূর্বল করে রাখত যাতে কিছুতেই একতার শক্তিতে মাথা তুলে দাড়াতে না পারে আর এভাবেই তারা ধর্ম, জাতি, সংস্কৃতি প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ডিভাইড এন্ড রুল নীতি প্রয়োগ করে শাষন ও শোষন করত।
পূর্ব হতেই তারা বিশ্বব্যাপী চার্চের আদলে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে ধর্মের বিপরীতে জেনারেল লাইনের শুধুই দুনিয়াবী নতুন এক শিক্ষার দ্বারা ব্রেইন ওয়াশড দাস জাতি নির্মানে কোটি কোটি ডলার খরচ করে যাতে এসব প্রতিষ্ঠান হতে বের হয়ে তাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হয়। তাদের এই প্রচেষ্টা সবচেয়ে বেশি সুফল বয়ে আনে যখন জেনারেল শিক্ষিত এসব ব্রেইন ওয়াশড মডার্ন চাকরদের বিভিন্ন চাকুরী দিয়ে নিজেদের স্বার্থ্যসিদ্ধি করা যাচ্ছিল। এতকিছুর পরও সচেতন শ্রেনীরা ঠিকই সশস্ত্র বিদ্রোহ চলমান রাখে ফলে তাদের দুশ্চিন্তা কিছুতেই শেষ হচ্ছিল না। অবশেষে তারা অনেক ভেবে-চিন্তে নতুন আরেক ধোঁকাবাজি আইডিয়া নিয়ে আসে আর তা হল- দখলকৃত সকল দেশেই মিথ্যে স্বাধীনতা দিয়ে বৃটিশদের সশরীরে চলে যাবার নাটক করতে হবে। এজন্য বৃটিশরা সকল দেশেই জেনারেল ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত অসংখ্য এজেন্ট শ্রেনী তৈরী করে, বেশকয়েক জেনারেশন পর অনেক শিক্ষিত সুশীল শ্রেনীর জন্ম হয়ে গেলে তাদের মধ্য হতে বেছে বেছে বেশি অনুগত ও বিশ্বস্তদের নেতা বানিয়ে চলমান সশস্ত্র বিদ্রোহের বিপরীতে নতুন আরেক ধরনের বিদ্রোহের উদ্ভব ঘটায় যাদের কাজ হল সশস্ত্র বিপ্লব না করে শুধুই মৌখিক বিক্ষোভ, আন্দোলন, মিছিল, মিটিং ইত্যাদির মাধ্যমে বৃটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম করা অর্থাৎ স্বয়ং অবৈধ দখলদার বৃটিশদের কাছেই স্বাধীনতা চাওয়া অতঃপর বৃটিশরা তাদের এজেন্ট নেতাদেরকে পরবর্তী পুতুল সরকার বানিয়ে সেদেশকে স্বাধীন ঘোষনা করে চলে যাবার নাটক শুরু করে। এই মিথ্যে স্বাধীনতার নাটক বিংশ শতাব্দী জুড়ে একের পর এক বিভিন্ন দেশে মঞ্চায়িত হতে থাকে আর সেসব দেশের প্রায় সকল জনগনই নিজেদেরকে এবার পরিপূর্ন স্বাধীন ভাবতে থাকে কেননা সেসব দেশে আর সাদা চামরার বৃটিশসেনা এবং শাষক শ্রেনী নেই বরং এখন তাদের দেশের শাষক ও সামরিক বাহিনীর সকলেই নিজদেশীয় মানুষই যারা কিনা অনেকদিন হলই বৃটিশদের বিরুদ্ধে মৌখিক আন্দোলন করে যাচ্ছিল স্বাধীনতার জন্য উদাহরণস্বরূপ- ইন্ডিয়ার হিন্দুদের জন্য মহাত্মা গান্ধী এবং মুসলিমদের জন্য মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও লিয়াকত আলী খান ছিল তেমনি বৃটিশদের এজেন্ট যাদের কিনা এখনও সকলেই হিরো হিসেবে আরাধনা করে। বৃটিশ-পশ্চিমাদের এই ধোকাবাজি পদ্ধতিটি খুবই কার্যকর ছিল কারন এরপর হতে সকলেই পরধীনতার নতুন শিকলে আবদ্ধ হলেও নিজেদেরকে ঠিকই পরিপূর্ন স্বাধীন জানা শুরু করে।
বাহ্যিক দৃষ্টিতে বৃটিশ-পশ্চিমাদেরকেই মনে হতে পারে যে এরাই আসলে এসব করছে কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার আরও গভীরের অর্থাৎ বৃটিশ-পশ্চিমাদেরকে আসলে এক ধোকাবাজ গোষ্টী পরিপূর্নভাবে পরিচালনা করত সুতারাং তারা যাই চাইত বৃটিশ-পশ্চিমারা তাই করত, এদের প্রধান ঘাঁটি ১মদিকে বৃটেন ও ফ্রান্স হলেও পরবর্তীতে তারা ঘাঁটি গারে উত্তর আমেরিকায়। এরা আসলে আর কেউ নয় উপরের টপিকে উল্লেখিত ২য়প্রকারের ধোঁকাবাজ ইহুদীবাদী গোষ্টী যাদের বেশিরভাগই নাস্তিক, বর্তমানে এরাই কিন্তু গোটা পৃথিবীর অধিকাংশ সম্পদের মালিক। বৃটিশ-পশ্চিমাদের দখলকৃত বিভিন্ন দেশে মিথ্যে স্বাধীনতা দেয়ায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় এই গোষ্টী কারন এরপর হতে সবধরনের ক্ষতি ও রিক্স ছারাই আড়ালে থেকে ইচ্ছেমত বিশ্ব নিয়ন্ত্রন করা শুরু হয় যদিও এরা প্রায় মধ্যযুগ হতেই পেছন থেকে সবকিছু পরিচালনা করত নিজেদের সুবিধার জন্য আর এরাই বর্তমানের সেই শ্যাডো গভার্মেন্টের মূল হোতা। আর ২য়প্রকারের ধোঁকাবাজ ইহুদীবাদী গোষ্টী যাদের বেশিরভাগই নাস্তিক, এরাই বৃটেনের রাজা হেনরী ৮ম এর রাজত্বকালে চার্চ ও রাজাদের মাঝে যুদ্ধ লাগিয়ে রাজাদের পক্ষ নিয়ে খ্রীষ্টান চার্চের ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রীয় শাষনকে পরাজিত করে বিশ্বের বুকে এই ১ম ধর্মহীন রাষ্ট্রের সূচনা করে ১৫৩৭ খ্রিষ্টাব্দে, এরপরই বৃটিশের মাধ্যমে বিশ্বের একের পর এক দেশ দখল করতে থাকে এবং চরম শাষন ও শোষনের পাশাপাশি দেশের জনগনকে মন হতে পরিপূর্ন দাস ও ইংরেজদের অনুগত বানিয়ে তারপরই বিংশ শতাব্দীর দিক হতে একের পর এক দেশকে মিথ্যে স্বাধীন ঘোষনা করে নিজেদের এজেন্টকে সেদেশের পুতুল সরকার বানিয়ে নতুন ধোঁকাবাজি পদ্ধতিতে শাষন শুরু করে। ২য়প্রকারের ধোঁকাবাজ ইহুদীবাদী গোষ্টীরাই চক্রান্ত করে ১ম বিশ্বযুদ্ধ ঘটিয়ে ধর্মীয় শক্তিকে বিনাশ করে আবারও ২য় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারা সমস্ত জাতিকে তাদের আজ্ঞাবহ করতে জাতিসংঘ গঠন করে পুরো বিশ্ব নিয়ন্ত্রন করছে আরও পরিপূর্ন নিয়ন্ত্রন করতে এখন তারা এজেন্ডা-৩০ মাধ্যমে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বাস্তবায়নে আছে।
উক্ত গোষ্ঠীই যেকোন দেশে মিথ্যে স্বাধীনতা দিয়ে সেদেশে বিভিন্ন সিক্রেট সোসাইটি এবং ক্লাব যেমন- ফ্রী মেসন, ইলুমিনিতি ইত্যাদি গঠন করে সেসব সংগঠনের সদস্যদের দ্বারা উক্ত দেশ পেছন হতে শাষন শুরু করে বিভিন্ন এজেন্ট পুতুল সরকার বসিয়ে। তারা বেশিরভাগ দেশেই গণতন্ত্র নামক এক ধোঁকাবাজি সিস্টেমের দ্বারা জনগনকে বোকা বানিয়ে শাষন ও শোষন অব্যহত রেখেছে, এই গণতন্ত্রের উৎপত্তিই হয়েছিল আদি ফ্রী মেসনদের মাতৃভূমি গ্রিস হতে শুধুমাত্র প্রজাদের সন্তুষ্ট রাখতে। প্রাচীন গ্রিকের ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্র আসলে রাজার নয় বরং জনগনের শাষন হিসেবেই সকলেই মনে করে এবং এখানে সরকারের স্বৈরাচার হবার কোন সুযোগ নেই কেননা জনগনই সরকার গঠন করে কিন্তু এটাই হল গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ধোকা, কেননা তারা যাদেরকে এজেন্ট করে ভোটপ্রার্থী বা নেতা হিসেবে দাঁড় করাবে তাদের ছারা আর কাউকে জনগন নির্বাচন করতে পারে না। এসব নেতারা সকলেই হয় দেশী নাগরিক এবং মুখে মুখে দেশের জনগনের জন্যই কথা বলে ভোট প্রার্থী হয় যাদেরকে জনগন পূর্ব হতে বাছাই করেনি বরং তারাই জনগনের কাছে বিভিন্নভাবে পরিচিত হয় যেমন- তাদের অনেকেই নিজেরাই “ বল্টু মিয়াঁর চরিত্র ফুলের মত পবিত্র/ তোমার নেতা আমার নেতা বল্টু মিয়াঁ বল্টু মিয়া” ইত্যাদি আত্মপ্রচারমূলক স্লোগান দিয়ে জনগনের কাছে যোগ্য নেতা হিসেবে পরিচিত হয়। সরকার প্রধান হতে মন্ত্রীদের মত নেতারা পশ্চিমাদের সরাসরি এজেন্ট হয়ে থাকে অথবা এজেন্টের দ্বারা সিলেক্টেড ব্যাক্তিও হয় আর এসব সিলেক্টেড ব্যাক্তিরাই পরবর্তীতে সেদেশের নিচু পর্যায়ের নেতা যেমন চেয়ারম্যান মেম্বার পর্যন্ত নির্ধারন করে দেয় যারা আবার সরাসরি এজেন্ট না হলেও জেনারেল লাইনে শিক্ষিত হয়ে অটো ব্রেইন ওয়াশড এজেন্ট হয়ে থাকে ঠিকই। শুধু তাই না সরকার নির্বাচিত হয়ে গেলে কয়েক বছর মেয়াদে জনগন তাদের দ্বারা শাষিত না হওয়া পর্যন্ত পক্ষ পরিবর্তন করে ভোটও দিতে পারে না পরবর্তিতে আবারও নির্বাচনের সময় এলে পক্ষ পরিবর্তন করেও পূর্বের মতই সেসব নির্ধারিত এজেন্টদেরকেই ভোট দিয়ে আবারও মিথ্যে আশা নিয়ে দিন গুনতে গুনতে জনগনের সময় পার হয় এভাবেই চক্র চলতে থাকে আর ধীরে ধীরে তাদের এজেন্ডা সকল দেশে বাস্তবায়িত হতে থাকে ফলে দেশ নিত্য নতুন টেকনোলজির দ্বারা আধুনিকায়ন হলেও আম জনতা ধীরে ধীরে দরীদ্র হতে থাকে যা তারা বুঝতেও পারে না কেননা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়েছে ভাবলেও সত্যিকারে কিন্তু অর্থেরই মান কমে যায় ঐসব গোষ্ঠীর কৌশলে নিরব অর্থ-সম্পদ শোষনের কারনে, অপরদিকে ধার্মীকতা-মানবতা-সততা-ন্যায়পরায়নতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকলেও অশ্লীলতা-অন্যায়-অবিচার-দুর্নীতি-অশান্তি ঠিকই বাড়তে থাকে পশ্চিমা সেকুলার শিক্ষা বৃদ্ধির কারনে। মোটকথা জনপ্রতিনিধি যাকে জনগন ভোট দিবে তারা সকলেই যদি পশ্চিমা সেকুলার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উক্ত গোষ্ঠীরই এজেন্ট হয় এবং নির্বাচিত হয়ে তাদেরই এজেন্ডা বাস্তবায়নে আইন তৈরী করে জনগনকে ভুলভাল বুঝিয়ে শাষন করে তবে গণতন্ত্র আসলে ঘুরেফিরে তাদেরই নিয়ন্ত্রিত নব্য রাজতন্ত্র তা বুঝার আর বাকী থাকে না, যাইহোক ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্র আসলেই কি তা বিস্তারিত নিচের টপিকের আলোচনার মাধ্যমে আরও ভালভাবে বুঝা যাবে। তারা শুধু গণতন্ত্র নয় সমাজতন্ত্র এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে তাদের এজেন্ট কিছু বংশকে রাজা বানিয়ে রাজতন্ত্রের মাধ্যমেও সকল দেশ আজও তাদের অধীনে শাষন ও শোষন করে যাচ্ছে সুতারাং আমরা সকলে আজও যে শুধু পরাধীনই রয়ে গেছি এমন নয় বরং ধীরে ধীরে এমন দাসে পরিনিত হচ্ছি যে আমরা ঘুমের ঘোরেও কি ধরনের স্বপ্ন দেখব সেটিও তারাই নির্ধারন করে দিচ্ছে, এক্ষেত্রে কিছু উদাহরণ দিলে আরও ভালভাবে বুঝা যাবে- যেমন ধরুন আপনি দৈহিকভাবে সমর্থ হয়েছেন কিশোরকালে কিন্তু সেই দৈহিক চাহিদা বিয়ের মাধ্যমে মেটাতে সর্বনিম্ন ১০-১৫ বছর অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়েছেন কারণ কষ্ট হলেও এই ১০-১৫ বছর শুধুমাত্র চাকরগিরির/চাকরীর জন্যই এমনই পরিশ্রম আপনাকে করতে হবে যে দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের মৌলিক যৌন চাহিদাকেও না বলতে আপনি বাধ্য হচ্ছেন, পরবর্তীতে চাকরী বা অন্যভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সংসার শুরু করলেও আপনি কি সত্যিই নাতি-নাতনীর মুখ দেখার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারবেন? অথচ আপনারই ৩পুরূষ পিছনে বা ১০০বছর পূর্বের মানুষগুলো আপনার অনেক আগেই বিয়ে করত, আপনার মত কষ্ট করে দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের মৌলিক যৌন চাহিদাকে উপেক্ষা করতে হত না, নাতি-নাতনীর মুখ দেখে জীবনটাকে পরিপূর্ন উপভোগ করেই তারা মৃত্যুবরণ করত, আপনি কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন যে আপনি জীবনটাকে পরিপূর্ন উপভোগ করতে পেরেছেন বা পারবেন? কক্ষনই না! এমনকি না পেরেও আপনি বর্তমানে ঐ গোষ্ঠীরই একজন মডার্ন দাস হিসেবে নিজে নিজে অবশ্যই গর্ববোধ করতে বাধ্য। তাছারাও দেখা যায় যে ঐ গোষ্ঠীর যদি ইঞ্জিনিয়ারদের বর্তমানে খুবই প্রয়োজন হয় তবে সর্বক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারদের এমনভাবে প্রোমট করা হয় যে সকলেই ছোটকাল হতেই ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন দেখবে, একইভাবে আর্মি-পুলিশ ইত্যাদির বেশি দরকার পরলেও দেখা যাবে বেশিরভাগ যুবকই সামরিক বিভাগে চাকুরীর স্বপ্ন দেখবে, আর যদি মিডিয়াতে বেশি লোক দরকার হয় তবে তারা সমাজকে এমনভাবে আন্দোলিত করবে যে সকলেই ছোটবেলা হতেই নায়ক/গায়ক/মডেল/খেলোয়ার ইত্যাদি হতে চাইবে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের রাখা বেশি লাভ দেখলে ধর্ম/শিক্ষা/সমাজকে এমনভাবে ঢেলে সাজাবে যে নারীরাও পুরুষদের পাশাপাশি চাকরী করতে মরিয়া হয়ে উঠবে, উদাহরণস্বরুপ ১৮শতকের ইউরোপের শিল্প বিপ্লব ঘটে ১মদিকে ইংল্যান্ডে পরে পুরো ইউরোপ জুড়েই তখন তাদের প্রচুর শ্রমিক সংকটে নারীদেরকেও ব্যাপকভাবে ব্যাবহার করার সিদ্ধান্ত হয় তারপর হতেই নারীদেরকে ঘর হতে বাহির করতে তারা বহুকাল হতে চলমান পর্দাপ্রথাসহ ধর্মের বিরুদ্ধে এমন প্রচার প্রচারণা শুরু করে যে ধীরে ধীরে নারীরাও তুলনামূলক কম বেতনে হলেও চাকরী করতে শুরু করে এতে ঐ গোষ্ঠীটি আরও বেশি লাভবান হয় আর মূলত তখন হতেই নারীদেরকে ঘর থেকে বের করতে বিভিন্ন নারী সংঘটন সৃষ্টি করা হয় নারী অধিকার ও নারী স্বাধীনতার নামে। আসলে এসকল প্লান করাই হয়েছিল শুধুমাত্র তাদের ব্যাবসায়িক মুনাফা ও তাদের বিভিন্ন অসৎ উদ্দেশ্য সাধনে যা কিনা আজও ব্যাপকহারে চলমান। এসবের কোন সিদ্ধান্তই জনসাধারন স্বাধীনভাবে নিজের ইচ্ছায় নেয়নি বরং তাদেরই প্রয়োজন পরেছে আর মিথ্যে স্বাধীনভাবা পরাধীন জনগনও তাই হতে চেয়েছে সুতারাং এটাকেই বলা হয় চরম দাসত্ব। আর এদের এই ধরনের দাসত্ব এমনি নিকৃষ্ট যে সকলেরই ইহকালের প্রকৃত শান্তি সুকৌশলে কেঁড়ে নেয়ার পাশাপাশি বিশ্বাসীদের পরকালও শেষ করে দিচ্ছে সুতারাং প্রাণপণ লড়াই ছা্রা কোন গতি নেই।
©somewhere in net ltd.