নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিজান আহামেদ

কালের সময়

সকলে ভালো থাকুন

কালের সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন প্রিয় টিভি সিরিয়াল হারকিউলিস এর সংক্ষিপ্ত কাহিনী

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

হারকিউলিস ছিলেন গ্রীসের সর্বশ্রেষ্ঠ একজন বীর । সে যেমন সাহসী ছিল তেমন ছিল শারীরিক শক্তি সম্পন্ন আবার তেমনি ছিল দয়ালু ব্যক্তি সম্পূর্ণ্য । প্রকৃতপক্ষে হারকিউলিস হলো গ্রীক বীর হেরাক্লেস এর রোমান পুরাণের নাম । গ্রীকরা তাকে দেবতা এবং মর্তের বীর এই দুই পরিচয়েই পুজা করতো ।
হারকিউলিসের জন্ম হয় থিবিসে । তিনি দেবরাজ জিউসেরপুত্র ছিলেন । তার মা ছিলেন একজন আক্লমিনা মানুষ । জিউসের সন্তান হবার জন্য হারকিউলিসের জীবনের শেষ পর্যন্ত হেরা তাকে কখনই ক্ষমা করেননি । হারকিউলিস যখন শিশু তখনই হেরা তাকে হত্যা করার জন্য দুটি সাপ পাঠান । ঘুমন্ত শিশু হারকিউলিস ঘুম থেকে জেগে উঠলো এবং শিশু হওয়া সত্তেও ঐ ভয়ঙ্কর প্রাণীর দুটির গলা ধরে মেরে ফেললো । হারকিউলিস সম্পর্কে তখন থিবিসের অন্ধ ভবিষ্যদ্বক্তা টাইরেসিয়াস আক্লমিনাকে বলেছিলেন যে সে হবে মানবজাতির গর্ব । হারকিউলিস আঠার বছর বয়সের মধ্যেই একাই মেরে ফেলে এক বিশাল থেসপিয় সিংহ । মিনিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অসামান্য অবদানে জন্য নগরবাসীরা রাজকুমারী মেগারাকে তার সাথে বিয়ে দেয় ।
হারকিউলিস প্রথমত তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে খুবয়ই সুখী ছিলেন । কিন্তু তার সে সুখ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি । হেরা একদিন তাকে উন্মাদ করে দেন । এই অপ্রকিতস্থ অবস্থায় তিনি তার স্ত্রী ও পুত্রদের হত্যা করেন । পরে চেতনা ফিরে আসলে তিনি যখন জানতে পারেন যে তিনিই তার স্ত্রী পুত্রদের হত্যা করেছেন তখন তিনি লজ্জা রাগ এবং কষ্টে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন । কিন্তু ইউরেস্হিউস এর উপদেশক্রমে তিনি বারো রকম অসম্ভব কাজ করার সিধান্ত নেন নিজেকে বিশুদ্ধ করার জন্য । এই কাজ গুলোকে সমষ্টিগতভাবে হারকিউলিসের শ্রম বলে । সে কাজগুলো হলো নিমিয়ার এক সিংহকে বন্দী করা । বাস্রতের হাইড্রাকে হত্যা করা । রাজা অজিয়াসের আস্তাবল পরিষ্কার করা । স্টিমফ্যালিন পাখিদের তাড়ানো এবং অন্যান্য ভয়ঙ্কর সব কাজ । এগুলো তিনি সফলভাবে সম্পন্ন করেন এবং স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যার পূর্ণ প্রায়শ্চিত্ত করেন ।
হারকিউলিসের বিভিন্ন অভিযান নিয়ে রয়েছে অনেক গল্প এবং টিভি সিরিয়াল ও মুভি । সে নানা স্থানে যেত আর স্থাপন করতো নানান ধরনের কীর্তি । ভয়ংকর দানব অ্যান্টিউসের বিরুদ্ধে নদী দেবতা অ্যাকিলাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি ট্রয়ের যুদ্ধে এক কুমারীকে উদ্ধার করায়ও সে মহিমান্বিত হয়েছিল । অ্যাডমিটাসের মৃত স্ত্রী অ্যালসেস্টিসকে মৃত্যু দেবতার হাত থেকে লড়াই করে ফিরিয়ে আনেন হারকিউলিস ।
হারকিউলিস পরবরতীতে ডিয়ানাইরাকে বিয়ে করে । এক সেন্টর নেসাস ডিয়ানাইরাকে লাঞ্ছিত করতে চাইলে হারকিউলিস তাকে বিষাক্ত তীর দিয়ে আঘাত করে । মারা যাওয়ার আগে সেন্টর ডিয়ানাইরাকে তার নিজের কিছু রক্ত দিয়ে বলে যে এই রক্তের ব্যবহারে জাদুবলে হারকিউলিস তাকে ছাড়া অন্য কোন নারীকে ভালবাসবেনা । কিন্তু এটা ছিল নেসাসের এর চালাকি । ডিয়ানাইরা ওই রক্ত হারকিউলিসের পরিধেয় গাউনে মাখিয়ে দেয় । জামাটি পরিধান করার সাথে সাথে হারকিউলিসকে ভয়ংকর ব্যাথা গ্রাস করলো । দেবতার কাছাকাছি হওয়ায় মৃত্যু তাকে গ্রাস করবে না তিনি তা ভাল করেই জানতেন । তাই তিনি একটি চিতা তৈরি করলেন ও তার উপর বসলেন । চিতায় আগুন জ্বলে উঠলে তাকে স্বর্গে তুলে নেওয়া হয় । সেখানে তাকে বিয়ে দাওয়া হয় হেরার কন্যা জৌবনের দেবী হিবির সাথে ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার শেয়ার :``>>

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৬

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই । সেই পুরনো দিনে টিভি দেখার কথা মনে পড়ে । =p~

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

আমি বন্দি বলেছেন: সুন্দর কাহিনী আগে জানা ছিল না । ভালো লাগা রইল ।
পোস্টে পেলাচ ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৭

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ আমি বন্দী । আরে ভাই যারা না জানে তাদের জন্যইতো এই পোস্ট । জানার জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সুন্দর তর্থপূর্ন পোস্ট।


অনেক কিছু জানতে পারলাম।

ধন্যবাদ ভাই।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৯

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । আপনাদেরকে জানাতে পেরে নিজেকে আমি ধন্য মনে করছি ।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: ছোট থাকতে অন্যতম প্রিয় সিরিয়াল ছিলো। কিছু স্টীকার এখনো সংগ্রহে আছে :)

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩১

কালের সময় বলেছেন: আমরা যদি আবার সেই ছোট বেলায় ফিরে যেতে পারটাম ভাই তাহলে কতয় না মজা হতো । =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.