![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রোজি দেখতে যেমন সুন্দরী ছিল তেমন শুনতেও রোজির গলার কন্ঠ বেশ মিষ্টি ছিল । সব সময় তার গলা দিয়ে অর্থহীন ঘড়ঘড় একটি স্বর কি যেন বলেই চলতো । মাঝে মাঝে মনে হত ও যেন পাগল হয়ে গেছে ।সকলে ওকে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলেও আমি ওকে প্রশ্ন করতাম না । রোজি তোমার কি হয়েছে এ কথাটি বলতে যেয়েও থেমে যেত আমার মুখ ? ওকে প্রশ্ন করলে ওর কাছ থেকে কোন উত্তর পেতাম কি পেটাম না তাও জানি না । প্রায় সময় ওকে নিয়ে নানান স্বপ্ন দেখা হত । মাঝে মাঝে ওকে নিয়ে স্বপ্নের ভিতরে ঘর বাঁধাও হত । আর সে স্বপ্নের ঘরে রোজি আমি আর আমাদের সন্তান অপর্ণ এই তিনজন অনবরত সুখে কেটে যেত ।
কিন্ত বাস্তবে ঘুমের বিছানা থেকে জেগে দেখটাম আমি মাটির মেজেতে শুয়ে যেন পূর্ণিমা রাতের চাঁদ দেখার স্বপ্ন দেখছি । তাই একটি সময় নিজের উপরেই অনেক অভিমান হত মাঝে মাঝে নিজের কাছে অনেকে লজ্জা পেটাম তবু রোজিকে প্রশ্ন করার সাহস পেটাম না রোজি তুমি কি আমার হবে নাকি আবার তোমার বাবার পষন্দ করা কোন রাজপুত্তের ঘরে যাবে ।
দীর্ঘ তিনবছর প্রেম করার পরে একদিন রোজির বাবা আমায় ডেকে নিয়ে বললেন আমার ইনকাম সোর্সের কথা । আমি বললাম আঙ্কেল এখন তেমন কিছু করে উঠতে পারিনি । সে প্রশ্ন করল তাহলে আমার মেয়েকে খাওয়াবে কি করে ? আমি বললাম আঙ্কেল আমি তেমন কোন ইনকাম করি না ঠিকি তবে যেটুক ইনকাম আছে আমার তাতে রোজি আর আমার ভালোবাসার দিন খুব সুন্দর কেঁটে যাবে । রোজির বাবা এ কথা শুনে ক্ষেপে গেলেন ।
এই কথা শুনে রোজির বাবা আমায় বললেন তুমি যদি তিন বছরের ভিতর ঢাকায় একটি বাড়ি গাড়ি ও পাঁচ কোটিটাকার মালিক হয়ে আমায় দেখাতে পারো তাহলে আমি আমার মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দেব । তার কথাগুলো শুনে বেশ ভাবনায় পড়ে গেলাম । উনিও আবার খোঁচা দিলেন বুঝেছি তুমি পারবে না তাই আমার মেয়ের আশাও ছেড়ে দেও । এ কথাটা বলতেই আমি আর চুপ করে না থেকে উনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম ।
তিন বছরের ভিতরে আমি বাড়ি গাড়ির মালিক হলাম । তার সাথে পাঁচ কোটি টাকার মালিকও । আর এত কিছু করতে গিয়ে আমি দীর্ঘ তিনটি বছর রোজির সাথে কোন যোগাযোগ রাখতে পারিনি । তিন বছর শেষে আমি সেদিন বাড়ি গাড়ি ও টাকার হিসাব দেওয়র জন্য রোজিদের বাড়ি যাই । আমার পুরো ঘটনাটি সিনেমার মত হলেও শেষের দিকটা একটু ভিন্ন ধরনের হয়েছে । আমি রোজিদের বাড়ি গিয়ে রোজির বাবাকে ডেকে তার হাতে তুলে দিলাম তার দেওয়া শর্ত অনুযায়ী আমার অর্জিত বাড়ি গাড়ি ও পাঁচ কোটি টাকা । তাকেও বললাম আমি আমার চ্যালেঞ্জ রেখেছি এবার আপুনি আপনার আপনার শর্ত মত আপনার মেয়েকে আমার হাতে তুলে দিন । আর এখানেই থেমে যান রোজির বাবা । আমি আমর কথা রাখলেও রোজির বাবা তার কথা রাখতে পারে নাই । রোজির বাবা ভেবেছিল আমি তিনবছরের ভিতর এতকিছু করতে পারবো না । তাই রোজির নিষ্ঠুর বাবা রোজির অমতে অন্য এক ছেলের সাথে তাকে বিয়ে দেন । আর বিয়ের সে রাতেই আমার প্রাণ প্রিয়তম রোজি আত্মহত্যা করেন । চলে যান না ফেরার দেশে ।
এটি একটি গল্প শুধুমাত্র কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে আমাকে দায়ী না করে ক্ষমা করবেন । নেহাত না জেনেই আমি একাজ করেছি ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:১৬
কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ আসলে
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০১
আমি মিন্টু বলেছেন: এটি একটি গল্প শুধুমাত্র কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে আমাকে দায়ী না করে ক্ষমা করবেন । নেহাত না জেনেই আমি একাজ করেছি ।
পরে কি আপনি আবার প্রেম শুরু করেছিলেন ভাই ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:১৭
কালের সময় বলেছেন:
৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১০
বিপরীত বাক বলেছেন: প্রামানিক বলেছেন:
মর্মান্তিক ঘটনা।
ভুল।। হবে মর্মান্তিক গল্প।। এটা গল্প।। ঘটনা নয়।।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:১৬
কালের সময় বলেছেন:
৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
আজিজার বলেছেন: তাই বলি তিন বছরের ভিতর এত কিছু কি ভাবে সম্ভব।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:১৮
কালের সময় বলেছেন:
৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
সুমন কর বলেছেন: আবার রোজি................
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:১৭
কালের সময় বলেছেন: ুম আবার সেই পুরনো প্রেমিকা
৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৭
আবু শাকিল বলেছেন: ভাইয়া সিনেমা ভাল হয়েছে
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:১৮
কালের সময় বলেছেন: থ্যান্ঙ্কু ভাইয়া
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: মর্মান্তিক ঘটনা।