![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষটার পরিচয় নিয়ে বলার খুব বেশী কিছু নেই। পরিবারের জন্যে উৎসর্গীত বড়ো ছেলে। একজন প্রবাসী।
জিয়া উদ্যান।সময় রাত ৮টা।
মায়া মায়া চেহারার বাচ্ছাটা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতে এক ঝুড়ি ভাঁপা পিঠা নিয়ে।বয়স হবে ৭ কিংবা ৮!
প্রচন্ড শীতের মধ্যেও বাচ্ছাটার গায়ে শুধু একটা হাফহাতা মলিন শার্ট আর মলিন প্যান্ট।
উদ্যানে একের পর এক মানুষ আসছে আর যাচ্ছে।রঙ বেরঙের গরম জামা পরে মানুষগুলো তাদের পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসতেছে।আসতেছে কপোত-কপোতীরা।
বাচ্ছাটি করুণ মুখে সবার কাছে যাচ্ছে আর অনুরোধ করতেছে একটা পিঠা কিনার জন্য।ঠান্ডা বলে কেউ কিনতেছেনা।
নিজের সন্তানকে রঙ্গীন পোষাক পরিয়ে ঘুরাতে নিয়ে আসা কিছু বাবা মা বাচ্চাটাকে উপহাস করছে।
আরো মলিন হয়ে যাচ্ছে বাচ্চাটির মুখ।
একসময় আমার সামনে এসে দাড়াল মাসুদ নামের বাচ্চাটি।অনুরোধ করলো পিঠা কেনার জন্য।
কিছু সাহায্য করলাম আমার সাধ্যে যতটুকু সম্ভব।
আমি টাকা বেশী দেওয়ার কারণে বারবার বলতে লাগলো সেটা।
যখন বুঝলো টাকা টা আমি তাকে দিয়েছি তখন এক গাল হাসি দিয়ে চলে গেলো।আমার মনটাও ভালো হয়ে গেলো।
বুঝলাম বাচ্ছাটা সৎ।
শুধু এটাই বুঝলাম না কেনো মাসুদের এই পরিণতি!তাকে কেনো যেনো এই অবস্থায় মানায় না।
তার তো এখন মায়ের কোলে শুয়ে ঘুমপাড়ানি গান শোনার কথা অথবা বাবার কড়ে আঙ্গুল ধরে ঘুরার কথা।
হয়তো সৃষ্টিকর্তার করুণ বিধানের করুণ পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে নিষ্পাপ বাচ্ছাটিকে।
সৃষ্টিকর্তার অদ্ভুত বিধানের অদ্ভুত নিয়মের বেড়াজালে বন্দি পৃথিবীর বন্ধ্যা গল্পের আমিওতো একজন স্বাক্ষী!
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
আহসানের ব্লগ বলেছেন: