![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষটার পরিচয় নিয়ে বলার খুব বেশী কিছু নেই। পরিবারের জন্যে উৎসর্গীত বড়ো ছেলে। একজন প্রবাসী।
কখনো কখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে কষ্টের ফাঁনুস উড়াতে হয়।এই ইট-কাঠের কঠিন জীবনে মনটা কিছুতেই অভ্যস্থ হতে চাইনা।
স্বপ্নগুলো অবাধে ছুটতে চাই।কিন্তু ইট-কাঠের এই শহরের কষ্টের ভীড়ে পথ খোঁজে পাইনা।
এই শহরের অলি-গলি গুলো বিষাক্ত বাষ্পে ভরা।মৃত্যু এখানে পরিচিত অবয়বে ঘুরে বেড়াই।
সেই অবয়ব থেকে পালিয়ে বেড়ানো ক্লান্ত আমি প্রিয়তমার সান্নিধ্য খোঁজে বেড়াই।
কে জানতো মৃত্যু আজকাল প্রিয়তম/প্রিয়তমাদের অবয়বেও ঘুরে বেড়াই।
হতাশার ছদ্মবেশে যমদূত এখন হানা দেই আর কবচ করে নেই কিশোর স্বপ্নগুলোকে।
কে জানে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে যমদূত হয়তো আধুনিক হয়েছে।
নইলে কেনো হতাশার চাদরে জড়িয়ে নিঃশেষ হবে কিশোর প্রাণগুলো?
এই কিশোর প্রাণগুলোই কিন্তু একদিন এই পৃথিবীর বুকে সাফল্যের কেতন উড়াতে চেয়েছিলো।চেয়েছিলো সাফল্যের জয়গাঁথা লিখতে।
আজ তারাই কেমন হতাশার বিষবাস্পে ধুঁকছে দেখো!
দেখো কেমন অসহায়ের মতো যমদূতের হাতে আত্মসমর্পন করছে নিজেদের।
অথচ তারা আরেকটু চেষ্টা করলেই কিন্তু পারতো নিজেদের লক্ষ্যে সফল হতে।
কে জানে হয়তো সাফল্যের কয়েক কদম পিছনে থেকেই ওরা মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছে।
আচ্ছা ওরা কি মৃত্যুর পর জানতে পেরেছে সাফল্যের কতোটা কাছে ছিলো ওরা?
ওরা কি মৃত্যুর ওপার থেকে আফসোস করে এটা ভেবে?
হয়তো করে কিংবা হয়তো করেনা!
কে জানে!
কিন্তু নিশ্চিত জানি অনুশোচনা তাদের আত্মাটাকে পোঁড়াই।মৃত্যুর কাছে অসহায় আত্মসমর্পন যে তাদের প্রাপ্য ছিলোনা।
©somewhere in net ltd.