নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাঘের গর্জন

জেনিস মাইকেল সিকদার

দেশ কে ভালোবাসা কি অপরাধ?

জেনিস মাইকেল সিকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড্রেস ফেক্ট না মন-মানসিকতা?

২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩২

মেয়েরা ব্রা পরে, আমরা সবাই জানি। স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু কোনো কারণে চামে দিয়ে জামা'র ফাক দিয়ে সেটার একটা স্ট্র্যাপ দেখা গেলে হইসে, পারলে রাস্তার কুকুর পর্যন্ত হায় হায় করে উঠবে। আর জামা একটু পাতলা হয়ে পেছন থেকে ব্রা'র অস্তিত্ব দেখা গেলে তো কথাই নাই। শুধু ছেলেরা না, মেয়েদের পর্যন্ত বলতে শুনসি, ইশ! মেয়েটা কি বেহায়া! তাহলে সে কি করবে? ব্রা খুলে ফেলে দিবে? সেটা হজম করার মতো মানসিক উচ্চতা এই ব্রহ্মান্ডে কয়জনের আছে?

ধরলাম মেয়েদের বুক একটা সেক্সুয়াল অর্গান, যেটা দেখে বিপরীত লিঙ্গের মানুষ উত্তেজিত হয়ে যেতে পারে। সেটার উপর একটা পর্দা বা ওড়না দিলে কিন্তু জিনিসটার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় না, বরং একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যায় যে এখানে এমন কিছু আছে যেটার দিকে তাকানো যাবে না। অথচ আমরা সবাই জানি সেখানে কি আছে। বরঞ্চ যতো বড় ভলিউমের কাপড় দিয়েই প্যাচানো হোক না কেনো, আমার মনেহয় সেটার দৃশ্যমান অস্তিত্ব আরও বাড়বে, কমবে না। তারচেয়ে শুরু থেকে জিনিসটাকে সাধারণ একটা শারীরিক অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করলে কি বিষয়টা সহজ হয়ে যেত না?

খুব বেশি আগের কথা না, আমার বয়স যখন ৬/৭; গ্রামের বাড়িতে গেলে মুরুব্বি থেকে শুরু করে কিশোরীদের পোশাক ছিলো একটাই। শাড়ি। সেখানে ব্লাউজের কোনো বালাই ছিলো না। আঁচল বুকের কাছে প্যাচ দিয়ে পরা হতো, ব্রা তো বিশাল রকমের বিলাসিতা ছিলো সেখানে। মেয়েদের হাত থাকতো উন্মুক্ত। কই, তখন তো কাওকে জীবনে বলতে শুনলাম না, হাত দেখা যাওয়া খারাপ! বিষয়টাতো বহুকাল আগে থেকে এভাবেই চলে আসছিলো। তাহলে হঠাৎ স্লিভলেস কাপড় এতো বেহায়া রকমের পোশাক হিসেবে স্বীকৃতি পেলো কিভাবে?

এই সমস্যার শুরুটা আসলে কোথা থেকে? আমি চিন্তা করে পাই না। এই দেশে এতো এতো শিশু ধর্ষণ হওয়ার পরও কি ধর্ষণ মেয়েদের পোশাকের কারণে হয়, এই রকম ছোটলোকি একটা কথা মেনে নিয়ে বসে থাকতে হবে? জিনিসটার শুরুই কি বিকৃত মানসিকতা থেকে না?

যেখানে সাত মাসের শিশু পর্যন্ত বাঁচতে পারছে না, সেখানে আর কয়দিন মেয়েদের উপর দোষ চাপিয়ে আরামে থাকতে পারবে সবাই?
যত দিন পর্যন্ত আমাদের নিজেদের ভেতরের পশুকে বিসর্জিত করতে পারবো না ততো দিন পর্যন্ত এই সমাজের এরকমই থাকবে। আর সেই সব মেয়েদের বলতে চাই তোমরাও তো মেয়ে-মায়ের জাত তোমাদের উচিত অন্য কোন মেয়ের দোষ না খুজে তা ঢেকে রাখো।কারন তুমিও একদিন এই পরিস্হিতিতে পরতে পারো।

সর্বোপরি অন্যের ঘরে আগুন লেগেছে তাতে আমার কি এই মানুষিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে কারন অন্যকোনো দিন হয়তো তোমার ঘরে আগুন লাগবে তখন কাউকেই খুজে পাবে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:০২

আরোগ্য বলেছেন: পোস্ট ও ছবি দুটোতেই মাইনাস।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট করেছেন। +++++

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাংলাদেশে যে সাম্প্রতিক সময়ে কিশোরী এমন কি অনেক মহিলা'রাও ওড়না পড়া ছেড়ে দিয়েছে সেটাকে আমি ভালো ভাবে দেখছিনা। ব্যক্তি স্বাধীনতায় অবশ্যই বিশ্বাস করি, কিন্তু তাই বলে অশালীনতাকে কোন ভাবেই সাধুবাদ জানাচ্ছি না। ব্রা দেখানোর কোন বিষয় নয়, যে দেখিয়ে বেড়াচ্ছে তাকে নিরুৎসাহিত করাটাই সমীচিন মনে করি। সমস্যা আসলে মানসিকতায়।

ধর্ষণের ব্যাপারে আমার কিছু সুর্নিদিষ্ট ব্যক্তিগত মতামত আছে। যতদূর মনে পড়ে বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত ধর্ষণের জন্য কাউকেই ফাসিতে ঝুলানো হয় নি। আমার মনে হয়, ধর্ষণকারী শাস্তি পাবলিকলি লিঙ্গ কর্তন করে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারা উচিত। কয়েকবার এমন হলেই মানুষ আর এটা করার চিন্তা করবে বলে মনে হয় না। সমস্যা হলো, মানবিকতার দোহাই দিয়ে আমরা বরাবরই লঘু শাস্তি দিয়ে ক্ষ্যান্ত হই। মনে রাখতে হবে, মানুষ একটা প্রানী। ভদ্রভাবে বলে বা বুঝিয়ে মানুষকে কখনোই খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখা সম্ভব হয় নি, হবেও না। যে মানুষের মতো আচরণ করে না, তার সাথে মানবিকতা বা মনুষ্যত্ব দেখানোর কোন মানে দেখি না। অনেকেই হয়তো বলেবেনঃ

কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পা'য়
তাই বলে কুকুরকে কামড়ানো কি মানুষের শোভা পায়?

আমার দৃষ্টিতে অকারণে মানুষকে কামড়ানো কুকুরের কাজ নয়। আর যদি সত্যিই কুকুর অকারণেই কামড় দেয়, তবে আমি সেটাকে মেরে ফেলার পক্ষপাতি কারণ সব কুকুরই অকারণে মানুষকে কামড়ায় না। পৃথিবীতে কুকুরের অভাব নেই। যে তার লাইন ক্রস করবে, তাকে তার মূল্য অবশ্যই দেয়া উচিত, হোক সেটা কুকুর বা মানুষ।

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ছেলেবেলা থেকেই শুনে আসছিলাম 'মূল্যবোধের অবক্ষয়' ...। এখন তো দেখছি, জাতির কোনো বোধই কাজ করছে না। বোধহীন জাতির বোধহীন মানুষ আমরা।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধর্মভীরু মুসলিম প্রধান দেশে রাতারাতি মন মানসিকতার পরিবর্তন আশা করাটা বোকামী। শালীনতা ইসলামের অন্যতম প্রধান অঙ্গ। ব্যক্তি স্বাধীনতার পাশাপাশি দোষী ব্যক্তির শাস্তিও নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষক, ইভ টিজারদের শাস্তি দ্রুত দিতে হবে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.