নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নীল পাড় সাদা শাড়িতে তিঁনি আসেন ভারতে; এসেছিলেন বিপন্ন, অসুস্থ, অসুখী আর হতদরিদ্র মানুষের কাছে আশার আলো হয়ে। এই পৃথিবীর কাছে যারা ছিল অনাকাঙ্খিত, পরিবার যাদের ত্যাগ করেছিল, ভাগ্য ও জীবন যাদের অভিশাপ দিয়েছিলো আর সমাজ যাদের গ্রহণ করেনি কোনোকালেই; সে সকল অনাশ্রিত, অসমর্থ, অসুস্থ, অবহেলিত, স্নেহবঞ্চিত মানুষদের কাছে তিঁনি হয়ে ওঠেন সহানুভূতি, স্নেহ, সেবার অবিচল প্রতিশ্রুতির এক মূর্তরূপ। এমনকি সমাজ ও পরিবার থেকে বিতাড়িত, চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত কুষ্ঠরোগীদের তিনি শুধু আশ্রয়ই দেননি, প্রাণের মায়াকে তুচ্ছ করে নিজ হাতে তাদের সেবা করেছেন দিনের পর দিন।
আজকের এই দিনে (২৬শে আগস্ট ১৯১০ সালে ) তিঁনি জন্মগ্রহন করেন আলবেনিয়ায়তে । বংশগত ভাবে তিঁনি আলবেনীয় হলেও তিঁনি ছিলেন ভারতীয় ক্যাথেলিক সন্নাসী। সন্নাসীনী তেরেসার একমাত্র পেশা ছিলো মানবসেবা। ১৯৫২ সালেই মাদার তেরেসা কলকাতায় একটি মুমূর্ষদের জন্য প্রথম আশ্রয় ও সেবা কেন্দ্র চালু করেন।
তিঁনি বারবার বলে গেছেন- “রুটির ক্ষুধা মেটানোর চেয়ে অনেক বেশি কঠিন স্নেহের ক্ষুধা মেটানো”। তাঁর এই গভীর জীবনবোধের জন্যই হয়তো তিঁনি তাঁর সেবা ও স্নেহ কোন সীমানা দ্বারা আবদ্ধ রাখেননি। ধীরে ধীরে ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে, দারিদ্র্যপীড়িত আফ্রিকায়, যুদ্ধআক্রান্ত মুসলিম দেশগুলোতে পৌঁছাতে থাকে তাঁর স্নেহের আশীর্বাদময় স্পর্শ, এসে পৌঁছায় বাংলাদেশেও।
এই জন্মদিনে রইলো গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা । তিঁনি বেচে থাকুক চিরদিন তার মহৎ এই কাজের মধ্যদিয়ে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: একজন গ্রেট লেডি।
তার মতো আর কাউকে দেখি না!!!