নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জসিম উদ্দিন জয় তিনি ঢাকা জেলায় খুব সাধারণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । পিতা আব্দুল ছাত্তার খান ও মাতা আমেনা বেগম, পৈত্তিকভিটা কুমিল্লা জেলায়। প্রযুক্তিবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক এবং একজন দক্ষ সংগঠক হিসাবে বেশ পরিচিত তিনি | 19

জসিম উদ্দিন জয়

সাহিত্যিক, সংগঠক, প্রযুক্তিবিদ

জসিম উদ্দিন জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধারাবাহিক উপন্যাস

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৭

সবুজ ভালোবাসা

- জসিম উদ্দিন জয়



এক ফোটা শিশিরেও বন্যা হতে পারে যদি গর্ত টা হয় পিঁপড়ের। রৌদ্রউজ্জ্বল এক দূপুর তীব্রগরম আর খরতাপ চৌচির উত্তপ্ত মরুভূমির উত্তপ্ত বালু অপেক্ষা করছে একফোটা জলের। এক ফোটা জল উত্তপ্ত বুককে শান্ত করবে। মরুভূমি ভূল করছে, এক নদী জলও মরুভূমি উত্তপ্ত বুককে শান্ত করতে পারবে না। কারন বুকটা যে মরুভুমির

এক মুঠো নীল জেৎস্নায় শতরুপা মেয়েটি আনন্দে কেমন ছঁটফট করে। ভেতরের নিষ্পাপ অসীম ভালোবাসার তীব্রআকুতি তাকে বাড়িয়ে দেয় স্নেহ পরশ পাবার । মানুষ এবং মানবতার প্রতি কিছু একটা করে যেতে চায় শতরুপা। পৃথিবীতে স্বাক্ষর রেখে যেতে চায়। রেখে যেতে চায় একটি সুন্দর পৃথিবী। আগামী প্রজন্মের জন্য।

শতরুপার এই গল্পটা লিখবো অনেকদিন ধরে ভাবছি। কিন্তু মিথ্যের আভিজাত্যের ঝড়ো হাওয়া যেখানে বইছে সাহিত্য নামক এই সত্যের নিবু নিবু বাতি নিয়ে কি সংগ্রাম করা যাবে। এটা তো গল্প। ফেইস বুক নয়। যে শেয়ার করবে, লাইক দিবে। হয়ত কেউ এক লাইন পড়ে রাস্তায় ফেলে দিবে। শতরুপার গল্প পড়ে রবে নিরবে রাস্তার ধারে । হয়ত এক অচেনা পথিক এটাকে দুমরে মুচরে পাড়িয়ে যাবে। তারপর এক নিঝুম দুপুরে বৃষ্টি পানিতে ধুয়ে যাবে, মুছে যাবে। আর সেই ভিজেঁ মেঘের দুপুরে উড়েঁ যাবে কোন চিল। আচেনা চিল শুধু শুধু কোদেঁ কোদেঁ বুক ভাসাবে।

আমি লিখবে সেই মেয়েটির কথা । কিন্তু আমাকে সবাই এমননিতে পাগল বলে। সবকিছু নিয়ে বেশি বেশি ভাবী। এককবার ভাবী পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষগুলোর যাই হোক আমার তাতে কি বা এমন আসে যায়। আমি তো আর মানুষ নয়। আমি পাগল। মানুষগুলো অন্যরকম। ভীষন অন্যরকম। মানুষগুলো শুধু নিজের কথা ভাবে। মানুষ মানুষকে হত্যা করে, ঠকায়,কৃতদাস বানায়, পুজিকরে, গরীব বলে ঘৃনা করে। আমি মানুষ হলে মানুষ আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে কেন ? হয়ত মুক্তচিন্তার মানুষ বলে অথবা সেই বোকা চিলের মতো মানবতার টানে রোদ বৃষ্টিমাখা দুপুরে উড়ে উড়ে কাদঁবো।

যাই হোক তবুও গল্পটা লিখতেই হবে। মেয়েটির পায়ে খুব সুন্দর করে আলতা পরতো খানিকাটা আলপনা করে। দুধে আলতা গয়ের বর্ণ মেয়েটি এতটুকু স্পর্শ পেলেই, লজ্জায় লাল হয়ে যেতে। চুপসে যেতো লজ্জাবতি পাতার মাতো। কিন্তু আজ সে সমাজে বিশাক্ত কালনাগিনী সাপের বিষের ছোবলও তাকে এতটুকু কার নাড়াতে পারে না। দিগন্তজোড়া চোখ, তাকালেই মনে হতো মিট মিট করে জ¦লছে রাতের দ্রুব তারা। চিরকালের সত্যের প্রতিক দ্রুব তারা সাক্ষী হয়ে আছে মহাকালের। সেই দ্রুব তারার মতো তার চোখ। সমাজের অন্যায়, অবিচার লুণ্ঠিত মানবতা দেখলে, আমরা চালাকি করে যেমন উঁটপাখির মতো মাথাটাকে লুকিয়ে রাখি তখন শতরুপার চোখে জমা হতো একঝাক মেঘ, নরম হৃদয়ের মেঘগুলো শতরুপাকে লুকিয়ে রাখতো যতন করে। কিন্তু আজ মেঘে মেঘে ঘর্ষনে বৃষ্টি হয় বিদ্যুৎ চমকায়, ঝড় জ¦লোচ্ছাসে^ ছিন্নভিন্ন করে দেয় পৃথিবীর বুক। কিন্তু শতরূপা নামের সেই নরম হৃদয়ের মেয়েটিকে আর আটকে রাখতে পারে যতন করে। সে এখন অগ্নিকন্যা।

অপরকে নিয়ে ভাবনাটা একটু বেশী বলে মানুষ এখন আমাকে পাগল বলে। এতে আমার পদোন্নতিই হলো বলা যায়। কারণ, বরাবরের মতো আমি আর ওদের হাসির খোরাক বলে এখন আর গণ্য হচ্ছি না। আমি তাতে আজকাল কিছু মনে করি না - এরা সবাই আমার হৃদয়ের কাছের মানুষ - এমনকি আমাকে নিয়ে যখন হাসাহাসি করে তখনো; আসলেই ঠিক ওই সময়টাতে আরো মজা পাই আমি। নিজেকে নিয়ে নয়, আমি ওদের নিয়েই হাসাহাসি করতে পারি, যদিও তা করি না। কারণ, আমি ওদের ভালোবাসি, ওদের রকমসকম দেখে মন খারাপ না হলে আমিও হাসতে পারতাম। যা মনে করে আমি দুঃখ পাই তা হলো - ওরা তো ‘সত্য’কে জানে না, অথচ আমি জানি। ‘সত্য’ জানার একমাত্র অধিকারী হয়ে-ওঠা কত যে দুঃসহ! অবশ্য এসব তো ওরা বুঝবে না। নাহ্, সত্যিই বুঝবে না। যাই হোক মেনে নিলাম আমি পাগল। তবে শতরুপার গল্পটা আমাকে লিখতেই হবে।

সেদিন আদ্ভুদ এক কান্ড ঘটলো। দিনটি ছিল রবিবার। সাহিত্যের আড্ডা শেষ করে বাসার দিকে রওনা হলাম । মেঘলা আকাশ ফোটা ফোটা বৃষ্টি থেমে থেমে আচমকা বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। রাত্রী ৯ টা ছুই ছুই। রাস্তাঘাট প্রায় জনমানবশুন্য। সাগরের ঘুন্নিঝড়ের প্রভাবে দুরন্ত বাতাসের ঝাপটা এসে শিউরে দিচ্ছে আমাকে। হঠাৎ কোন কিছু আর দেখা যাচ্ছে না। বাসন্তি কালারের একটি ওরনা আমার মুখটা ডেকে দিলো । জীবন্ত বেলিফুলের ঘ্রান। আমাকে মুহুর্তে মধ্যে চমকে দিচ্ছে। ওরনাটা মুখ থেকে সরিয়ে এদিক-সেদিক তাকিয়ে দেখছি কাউকে দেখতে পাচ্ছি না । ওরনাটার দিকেও তাকালাম চমক বড়ই আদ্ভুত কান্ড একটি জীবন্ত ওরনা তখনও বেলীফুলের ঘ্রান ছড়াচ্ছে। এর রহস্যটা কি জানতেই হবে। এই নিরব রাস্তার আশেপাশে তো কাউকে দেখা যাচ্ছে না । তাহলে কোন বাড়ীর ওপর তালা থেকে উঁড়ে এসেছে। যাই হোক এতটুকু বুঝতে পারছি এটা কোন একটি মেয়ের গায়ে জড়ানো ছিলো । মেয়েটির বেলী ফুলের মালা খুব পছন্দ। কিছুদূর পথচলতেই একটি রিক্সায় উঠলাম। রিক্সাচলছে ধীর গতিতে । রিক্সাচালক গান গাইছে আপন মনে। শুনছিলাম। হঠাৎ গান থেমে যায়। রিক্সাচালক পেছন ফিরে তাকিয়ে বলতে থাকে

“ বাইজান ঐ দেহেন দুই তালায় বারান্দায় একটা মাইয়ার কান্নার শব্দ। গোমরিএ ঘোমরিএ কান্না করছে। চাপা কান্না। মাইয়াডার পেছনে একটা লোক টানাটানী করছে। হয়রে ! শহর কোথায় কি হয় বেঝার কোন উপায় নাই। তখন মনে হলো ওই ওরনাটা ওই মেয়টির । মেয়েটি চেহারা অন্ধকারে অষ্পষ্ট কিছু বেঝা যাচ্ছিলো না। তাছাড়া ওটাতে একটা .... এর অফিস ওখানে এই রাত্রীতে মেয়েটিকে টানাটানী করছে ঐ লোকটাই বা কে ? কোন কিছু বেঝার আগেই মেয়েটিকে টেনে ঘরে নিয়ে যায় লোকটি । ... আর কোন কিছু বেঝার উপায় নাই। কি হচ্ছে সেখানের চারদেয়ালে মাঝে একমাত্র উপরআল্লা ছাড়া কেউ বুঝবে না। শহরের ইঁটপাথরের চারদেয়ালগুলো বড়ই কঠিন। কোন শব্দ বের হয়না। শব্দ চিৎকার হলোও কারও কিছু যায় আসে না। আর এই সব আবোল তাবাল নিয়ে ভাবী এগিয়ে যাই তাই মানুষ রাজকে পাগল বলে । যাই হোক ওরনাটাকে পেচিঁয়ে আমার ব্যাগে রাখলাম। এগিয়ে গিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু নিচের দাড়োঁয়ান বেটা আমাকে পাত্তাই দিলো না। শেষমেষ তারকাছ থেকে পাগল উপাধি পেয়ে বাসার দিকে রওনা হতে হলো .........

...... .চলবে

( ধারাবাহিক উপন্যাস )



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১০

এহসান সাবির বলেছেন: আমি লিখবে সেই মেয়েটির কথা


চলুক.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.