নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহিত্যকর্মী, সংবাদকর্মী এবং শ্রমজীবী
জায়েদ হোসাইন লাকী
কিভাবে অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরণ করবেন!অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরন করা হয়ত শেখার কিছু নয়। আপনার সাথে সব সহকর্মীর ভাল সম্পর্ক আছে তো? খেয়াল করুন, কিভাবে অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরন করলে ভাল পরিবেশ তৈরী হতে পারে। অনেক সময় মানুষ বলে থাকেন, অমুক অফিস খুব খারাপ, অমুক অফিসে কালচার নেই। আরো অনেক কথাবার্তা। অফিস খারাপ বলতে সাধারনত অফিসের কর্মচারী কর্মকর্তাদের আচরন এবং চালচলনকেই বোঝায়। তাই আসুন একটু দেখা যাক কিভাবে অফিসে সহকর্মীর সাথে ভালভাবে কাজ করবেন?
উত্তেজিত হবেন না, অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরন করুন সতর্কতার সাথে: যে কোন কঠিন সময়ে উত্তেজিত হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরন করতে এড়িয়ে যান। আপনি যদি ভাল করতে চান তবে মেনে চলুন। অনেক সময় নীরবে আপনি জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারেন। মেজাজ গরম করে কিছুই হয় না। সম্পর্ক খারাপ হয়। চুপ থেকে বিরক্তি প্রকাশ করুন। কথা না বলে বিরক্তি প্রকাশ করুন। অন্য দিকে ফিরে গিয়েও তার সাথে বিরক্তি প্রকাশ করতে পারেন। সম্পর্ক যেন কমে না যায় সেদিকে খেয়াল করুন। একে অন্যের সাথে জটিলতা এড়িয়ে চলুন। কাজের বাইরে অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরন বা চলাফেরা কম করুন: অফিসে সবাই কাজের জন্য আসেন। অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরনআপনিও কাজেই এসে থাকেন। কাজ করতে গেলে নিজেদের মধ্যে যতটুকু কথা বলা কিংবা ব্যক্তিগত আচরন দরকার ততটুকুই করার চেষ্টা করুন। তাহলে অফিসের পরিবেশে সঠিক সুস্থ্যতা থাকে। যদি ব্যক্তিগত নানা আচরন বা কার্যকলাপ নিয়ে আসেন তখন একটা জটিলতা তৈরী হতে পারে। কথাবার্তার সময় কম কথা বলা উচিৎ। অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরন করতে ব্যক্তিগত কোন বিষয়ে হার্ট করবেন না: কারো চেহারা বা আউটলুক নিয়ে কথা না বলা। অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরন করতে গেলে তার নিজের সম্পর্কে কোন আঘাত দিয়ে কথা বলা যাবে না। বললেন তো শেষ হয়ে গেলো, কারন অনেকেই প্রকাশ করেন না। কিন্তু পরেই আপনার একটা ছোটবড় ক্ষতি করে দিতে পারে। অফিসে প্রত্যেক সহকর্মী আপনার ক্যারিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ন। কেউ যদি একবার কখনো বেঁকে বসে তবে আপনার জন্য ক্ষতি অপেক্ষা করছে। যে কোন দিন কিংবা যে স্থানে বা অন্য কোম্পানীতেও কোন একদিন তা হতে পারে। সহকর্মীর ভাল দিক নিয়ে কথা বলতে পারেন: আপনার কোন সহকর্মীর যদি ভাল কোন আচরন আপনার চোখে পড়ে তখন সেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারেন। এমনকি আপনি অফিসে অন্যান্য কাউকে যদি কিছু শেখাতে চান, ভাল আচরনটি নিয়ে সবার সামনে কথা বলতে পারেন। এতে অন্যরা এই আচরনটি আয়ত্বে নিয়ে আসবে। আমি নিজে কখনো কাউকে কিছু ভুল আচরন ধরিয়ে দিলে অন্য কারো ভাল আচরন উদাহরন দিয়ে বলি। কিন্তু সে যে ভুল আচরন করেছে তা সরাসরি বলি না। এর ফলাফল খুবই ভাল হয়েছে। আমি দেখেছি, সেই সহকর্মী খুব দ্রুত একই বিষয়ে নিজেকে সংশোধন করে নিয়েছেন। সহকর্মীকে সরাসরি তার খারাপ আচরন নিয়ে কথা না বলা: কারো আচরনে ত্রুটি থাকতেই পারে। তা যদি কোন জনসম্মুখে বলে দেন তখন ঝগড়াসহ নানান পরিবেশ তৈরী হয়ে যেতে পারে। সহকর্মী যদি জুনিয়র পজিশনে হয় তখন হয়ত তিনি কিছু না বলতে পারেন। কিন্তু কাউকেই জনসম্মুখে তার আচরন ভুল কিংবা বকাঝকা করা ঠিক নয়। হাসি মুখে কথা বলুন, অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরন করতে সহায়ক: অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরন যদি হয় হাসিমুখে কথা বলা দিয়ে, তখন কিছু অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরনসাধারন সমস্যা অল্পতেই সেরে যেতে পারে। অনেকেই এই বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন, হাসিমুখের যে কোন মানুষের সাথে কমপক্ষে ২০গুন বেশি ভাল ভাবে কথা বলেন। বিরক্তমুখের মানুষের সাথে উপায় না পেয়েই কথা বলেন। অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরন করতে তার কথায় সায় দিন, কাজে সাহায্য করুন: অফিসে সহকর্মীর সাথে যখন ভাল আচরন করবেন তখন সে আপনার কাজেও সাহায্য করবে। আপনিও আগ বাড়িয়ে কিংবা যে কোন ভাবে তাকে সাহায্য করুন। তার সাথে কাজের সুসমপর্ক বাড়ান। তাহলে সে আপনার জন্য খুব ভাল সাপোর্ট হতে পারে। কোন কিছুই ব্যক্তিগতভাবে নিবেন না: অফিসে কোন ব্যক্তিগত কাজ থাকা যেমন অপরাধ তেমনি কারো সাথে যা কিছুই ঘটুক তা ব্যক্তিগত হিসবে নিবেন না। অফিসের জন্য কিংবা অফিসের হয়ে চিন্তা করুন। তাহলে অনেক সমাধান চলে আসতে পারে। কোন সমস্যার সময় নিজেকে সাহায্যকারী হিসেবে নিযুক্ত করুন: অফিসে নানান সময়ে নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে। এর জন্য নিজেকে সমস্যা দূর করনে নিযুক্ত করতে পারেন। এটাও মনে রাখুন যে আপনি নিজেই কোন সমস্যা তৈরী করেছেন কি না। যদি সমস্যা ধরতে পারেন তার সমাধান খুঁজুন। আশেপাশের সহকর্মীর সমস্যা বুঝতে পারা আপনার একান্তই দ্বায়িত্ব। ব্যাক্তিগত ব্যবস্থাপনায় আরো পারদর্শী আচরন করুন: অন্যকে জানার আগে কিংবা অন্যের সাথে আচরন করার আগে নিজের সম্পর্কে আরো জানুন। নিজে কী ক্রটি নিয়ে আছেন তা দেখুন। যদি নিজের কথাবার্তায় ত্রুটি থাকে তা সংশোধন করুন। আচরনে কোন ত্রুটি থাকলেও ত্রুটি মুক্ত করুন। পোশাকপরিচ্ছেদ ভাল এবং মার্জিত পরেছেন কি না তা দেখুন। অন্যের আচরন খেয়াল করার আগে সমস্যাটাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করুন। কখনোই ইমেইল এ রাগ প্রকাশ করবেন না: কোন সহকর্মীকে ইমেইল বা অন্যান্য অফিসিয়াল ডকুমেন্টে রাগ ঝেড়ে কিছু করবেন না। এটা খুবই খারাপ প্রভাব ফেলে। রাগ থাকলে নীরবে বলুন, অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরন করুন দক্ষতার সাথে: একান্তই যদি কাউকে কিছু বলতে হয় আড়ালে ডেকে নিয়ে চা বা কফি খেতে খেতে বলুন। এতে তিনি তার ভুল যদি বুঝতে পারেন তবে তো ভালো। যদি নাও বুঝতে পারেন তাও আরেকবার চেষ্টার জন্য রেখে দিন। জোরাজুরি করে কিছু বলার দরকার নেই। একবার না হলে বারবার চেষ্টা করুন। কোনবারেই না হলে অফিসের উপরের লেভেলে কথা বলতে পারেন। এবং তা জানানোর আগেও তাকে জানিয়ে নিন। এতে হয়ত তিনি নিজেকে সংশোধন করতে পারেন। আপনাকে সবাই পছন্দ করবে না, এটা মেনে নিন: অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরন করুন এবং মেনে নিন সবাই আপনাকে পছন্দ করবে না। কেউ কেউ পছন্দ করবে আবার কেউ কেউ আপনাকে অপছন্দ করবে। অনেক মহৎ মানুষেরও নিন্দুক ছিলো। এজন্য নিজেকে নিজের মত তৈরী করুন। তাহলে আরো সহজ হবে কাজ করতে। অফিসে কাজের পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে অন্য সব কিছু আলাদা করে রাখুন। আশাকরি একটি অফিসে সহকর্মীর সাথে আচরন করতে আপনার এখন থেকে কিছুটা হলেও সহজ লাগবে।
খারাপ বস এবং ভাল বসের মধ্যে পার্থক্য
শুধুমাত্র নিজের কাঙ্ক্ষিত বেতনের কাজ পেলেই তাকে ভালো চাকরি বলে না, ভালো চাকরি হতে হলে কাজটির মধ্যে অবশ্যই নিজের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে, সাথে সাথে সহকর্মী এবং একজন ভাল বস থাকতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সব প্রতিষ্ঠানে এমন কর্ম পরিবেশ এবং কাঙ্ক্ষিত বস পাওয়া যায় না। চাকরির সম্মানী যত ভালই হোক একজন ভাল বস না পেলে সেই কাজে স্বস্তি পাওয়া যায় না। এমনকি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ কাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ার সাথে সাথে কাজ হারানোরও ভয় থাকে! কেননা একজন খারাপ বসের সাথে সবসময়ই কর্মীদের ভালো অভিজ্ঞতা সৃষ্টি হয় না।
তবুও জীবনের প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। আমরা চাইলেই অফিসের বস পরিবর্তন করতে পারি না, বরং কর্পোরেট রাজনীতির খপ্পরে পড়ে নিজের অবস্থানই পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই সাধারণ কর্মীদের খারাপ বসের সাথে আপোষ করেই চলতে হয়। কিন্তু এই আপোষ তখনই করা যায় যখন খারাপ বসের গতি-প্রকৃতি সার্বক্ষণিকভাবে অনুধাবন করা যায়।
আজকের এই নিবন্ধে এমন কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যেসব বিষয় মাথায় রাখলে একজন খারাপ বসকে খুব সহজেই আপনি চিহ্নিত করতে পারবেন এবং তার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারবেন।
১ অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং দলের সাথে কম যোগাযোগ
যোগাযোগ সফল সম্পর্কের চাবিকাঠি। কর্মীদের থেকে ভাল কাজ আদায় করতে বসকে হতে হয় চমৎকার যোগাযোগ দক্ষতা সম্পন্ন। পরিবারের লোকদের সাথে মানুষের সম্পর্ক যেমন নিবিড়, কর্মীদের সাথে বসের সম্পর্ক তেমন নিবিড়। কিন্তু আপনার বস যদি খারাপ প্রকৃতির মানুষ হয়ে থাকে তবে তিনি এই সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝবেন না। তিনি চিৎকার করে কথা বলবেন, কর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করবেন এবং নিজেকে কর্মীদের অধিকর্তা জ্ঞান করবেন। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে বুঝতে হবে তিনি আত্ম-অহমিকায় ভুগছেন। কোম্পানির যেকোনো খারাপ পরিস্থিতিতে বসকে জানতে হয় কিভাবে দলের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। কিভাবে গোটা টিম সুন্দরভাবে সাজাতে হবে, তাদের দিকনির্দেশনা দিতে হবে। একজন ভাল বসের অন্যতম প্রধান গুণ হলো প্রকল্প সম্বন্ধে কর্মীদের স্পষ্ট এবং বাস্তবসম্মত ধারণা দেওয়া, তাদের কাজকে সহজ করে তোলা। কিন্তু আপনার বস যদি খারাপ প্রকৃতির মানুষ হয় তবে তিনি সম্পূর্ণ উল্টো আচরণ করবেন। তিনি কর্মীদের কাজ বুঝিয়ে না দিয়েই কাজ আদায় করার চেষ্টা করবেন। এমন বসের খপ্পরে পড়লে আপনাকে অবশ্যই কাজ এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে কৌশলী হতে হবে। চাকরির প্রয়োজনে আপনাকে বাধ্য হয়ে অনেক কিছুই হজম করতে হবে। নিজেদের কাজ নিজেরা বুঝে নিতে হবে এবং সময়মতো সম্পাদন করতে হবে। তারপরও বসের আচরণ যদি সহ্য সীমা অতিক্রম করে তবে নীরবে এই চাকরি ছেড়ে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি খোঁজাই শ্রেয়। একজন বস হিসেবে যদি এই অভ্যাস আপনার মধ্যে থাকে তবে তা এখনই ত্যাগ করুন এবং আধুনিক যুগের কর্মীদের সাথে যতটা সম্ভব সৌজন্যমূলক আচরণ করুন। কাজের প্রয়োজনে কর্মীদের সাথে গভীর যোগাযোগ রক্ষা করুন।
২ ভয় প্রেরণার উৎস
যেকোনো কাজ সফলভাবে করতে প্রেরণা লাগে। একজন কর্মচারী কোম্পানির জন্য কতটা নিবেদিত হয়ে কাজ করবে তা নির্ভর করে কোম্পানির ঊর্ধ্বতনরা তাকে কতটা প্রেরণা দিয়ে থাকে তার উপর। পৃথিবীতে সব সফল প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত তাদের কর্মীদের নানান ভাবে অনুপ্রাণিত করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করেন কর্মীদের কাছ থেকে অধিক কাজ আদায় করার সবচেয়ে চমৎকার পন্থা হলো সবসময় তাদের ভয়ের মধ্যে রাখা, অর্থাৎ এই বসদের কাছে ভয় হল প্রেরণার উৎস! সুতরাং কর্মীদের থেকে বেশী কাজ আদায় করতে তারা কর্মীদের সব সময় নানান রকম ভয়ের মধ্যে রাখে। এই প্রবণতা উপনিবেশিক শাসনের শামিল। এখন সময় পাল্টেছে। মানুষের চিন্তা চেতনা অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। সুতরাং এই পদ্ধতিতে কর্মীদের অনুপ্রাণিত করার ধারণা ঠিক না। কর্মীদের ইতিবাচক প্রেরণা যেমন কর্মস্পৃহা বাড়িয়ে দেয়, তেমনি তাদের ভয় দেখালে প্রতিষ্ঠানে ক্ষতির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। সুতরাং একজন বস হিসেবে যদি আপনি এমন ধ্যান-ধারণার পোষণ করে থাকেন তবে আজই আপনার চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। ইতিবাচক প্রেরণা কর্মীদের জন্য পুরস্কারের শামিল। তবে অবশ্যই ভুল হলে তাদের গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে। সেই সমালোচনা অবশ্যই সম্মানজনক পন্থায় হতে হবে।
৩ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা
নো কোম্পানি একজন নতুন মানুষকে কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয় তখনই যখন সেই ব্যক্তি কোম্পানির প্রত্যাশা অনুযায়ী সকল যোগ্যতা পূরণ করে এবং নির্ধারিত কাজ সম্পাদন করার যাবতীয় দক্ষতা এবং যোগ্যতা তার মধ্যে থাকে। তাছাড়া যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মীর ব্যক্তিগত জীবন আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বসরা কর্মীদের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। সাধারণত কর্মীকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়া এবং মাঝে মধ্যেই তাকে নির্দেশনা দেওয়া বসের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু কোনো কোনো অতিউৎসাহী বস কর্মীদের প্রত্যেকটি পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এমনকি তাদের ব্যক্তিগত জীবনও! এমন অবস্থায় কর্মীরা ব্যক্তিগত দক্ষতার উন্নতি এবং আত্মসম্মান হারানোর ঝুঁকিতে থাকেন। একজন ভালো বস কখনোই এই প্রচেষ্টা চালায় না। যেকোনো প্রকল্প সফলভাবে সম্পাদন করার জন্য তিনি সম্পূর্ণভাবেই কর্মীদের ওপর নির্ভর করেন। কর্মীদের কাজের স্বাধীনতা দেন। তিনি শুধুমাত্র যথাযথ নির্দেশ দিয়ে থাকেন এবং প্রয়োজনীয় সময় পরামর্শ দেন। কর্মীদের পাশে থাকেন, কর্মীদের ব্যক্তিগত জীবনে কখনোই হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেন না। তাছাড়া ব্যক্তিগত বিশেষ প্রয়োজনে কর্মীকে বিশেষ স্বাধীনতা দিয়ে থাকেন।
৪. ব্যর্থতার জন্য দোষারোপ করা
প্রতিষ্ঠানের কাজে সাফল্য ব্যর্থতা দুটোই থাকে। সবসময়ই কাজে সাফল্য আসবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। একটি টিম কোনো প্রকল্প সফল করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর পরও যদি প্রকল্পটি ব্যর্থ হয় তবে নিচু মানসিকতার বসেরা টিম এবং টিম মেম্বারদের এই ব্যর্থতার জন্য দোষারোপ করেন। তিনি খুঁজে দেখার চেষ্টা করেন কার কি ভুল আছে, কার কি দোষ আছে! সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর পরও ব্যর্থতার দোষ কাঁধে আসা যেকোনো কর্মীর জন্যই অসম্মানজনক। কর্মীদের ব্যর্থতায় দোষারোপ করলে তার আত্মবিশ্বাস কমে যায়, কর্মস্পৃহা কমে যায়, এবং কর্মীরা সবসময় হীনমন্যতায় ভোগেন। দলের মধ্যে শৃঙ্খলা থাকা আবশ্যক। তাই বিচক্ষণ বস কখনোই দলের ব্যর্থতায় কাউকে দোষারোপ করেন না, বরং সর্বদা কর্মীদের পাশে থাকেন। তাদের অনুপ্রাণিত করেন। এই ব্যর্থতাকে কাটিয়ে ওঠার পথ বাতলে দেন। কর্মীদের ব্যর্থতা নিজের ব্যর্থতা বলে মেনে নেন। কর্মীদের আরো বেশি উৎসাহিত করেন, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলেন, এবং পরবর্তী পদক্ষেপে সাফল্য নিয়ে আসেন।
(চলবে)
জায়েদ হোসাইন লাকী
প্রাক্তন কোঅরডিনেটর-ট্রেনিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট
মডেল গ্রুপ
২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:০৩
জায়েদ হোসাইন লাকী বলেছেন: আমি তো তাইই হইসি গুরু। প্রতিটি অফিসে এত তেলবাজী, এত চামচামি আর এত রাজনীতি, দুর্নীতি, আমি তো পুরাই পাগল। এইটা কোন দেশ? পরের পর্বে আরো মজার তথ্য আছে। যাকে বলে মডার্ন স্লেভারি। আমরা যারা চাকুরী করেছি, তারা মূলত দাস। এ দেশে এখনো দাসপ্রথা চলমান।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪১
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: হু প্রিয় লীকা দা খুব ভাল উদ্যোগ নিয়েছেন অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৬
গফুর ভাই বলেছেন: তেল দেওয়া সিস্টেমটা তা পুরা পৃথিবীতে আছে।তার চেয়ে আমি দেখেছি নিজের স্কিল গুলা সুপার করে তোলা অনেক শ্রেয়।আমি নিজেই অনেক স্কিল ইম্প্রোভ করার কোর্স আর ট্রেনিং নেই।আজও আমি শিখছি।যার ফলে আমি কাওকে তেল দিতে হয় নাহ।বাংলাদেশে সমস্যা হল কাজ মা শিখে হুট করে মামা কাকার জোরে একটা পজিশন পেয়ে যায় তা ধরে রাখার জন্য তেল একটা উপায় মাত্র। আমাদের অফিসে আমাদের স্যার ইন্ডিয়া থেকে একটা বড় শাড় আনছে আমাদের দেখবাল করাবার জন্য।কিন্তু অই শালায় নিজেই জানে নাহ একটা ডক এয়ারপোর্ট থেকে ছাড়াতে কয়দিন লাগে।যা কিনা একটা পিওন ও জানে। সবশেষে দেখা যায় চাকরি বাঁচাতে তেল উনি মেরেই যাইতেসে
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার!
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮
জায়েদ হোসাইন লাকী বলেছেন: ঠিক
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে ২/১ বছর কাজ করার পর, মানুষ মানসিকভাবে অসুস্হ হয়ে যাওয়ার কথা।