নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিড়িও বার্তা

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ই মার্চের ভাষণ তখনকার বাঙালী মানুষের রক্ত পাগল করে দিয়েছিল, প্রেরণা যোগিয়েছিল স্বাধীনতা পাগল বাঙালীদের | সেই তেজদীপ্ত ভাষণ এখনো বাংলাদেশী বাঙ্গালীদের রক্ত পাগল করে ! ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর সেই রক্ত পাগল করা ভাষণই ১৬ ই ডিসেম্বর এনে দিয়েছিল ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং ৩০ লক্ষ তাজা প্রানের বিনিময়ে | আমরা আজকে স্বীকৃত স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক!

স্বাধীন দেশের নাগরিক হলেও স্বাধীন দেশের নাগরিকের ন্যুনতম সুবিধাও আজকে এই দেশের মানুষ পাচ্ছেনা|১৯৭১ সালে বাঙালী সকল শ্রেনীর মানুষ দল-বল নির্বিশেষে স্বাধীনতার যুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহনের মাধ্যমে এই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হলেও আজকের বাংলাদেশ সম্পূর্ণ দুই খন্ডে খন্ডিত হয়ে গেছে | এক পক্ষ দাবি করছে তারাই একমাত্র এই স্বাধীন বাংলাদেশের একমাত্র, শুধু মাত্র মালিক, , তারাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, তারা ছাড়া বাংলাদেশ নামক নতুন এক রাষ্ট্র হউক তা আর কেউই চয়নি ! ওই কথিত স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সাথে আরো যুক্ত হয়েছে নাম সর্বস্ব কিছু সুবিধাবাদী দল যারা বিভিন্ন সময়ে নিজেদের সুবিদা মত খোলস পাল্টে নিজেদের রূপ পরিবর্তন করে থাকে !

বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট সকলেরই জানা, ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরই মাঝে ১৫৪ জন নির্বাচন বিহীন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েগেছে , যার ফলে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি বৈধ ভোটারের ভোট দেওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার লুন্ঠিত হচ্ছে ! এই প্রহসনের নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী , পরবর্তিতে একজন রাষ্ট্রপ্রধানের স্ত্রী , পরবর্তিতে বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী সর্বপরি বাংলাদেশের আপসহীন নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ নামক আগামী রোববার (২৯ ডিসেম্বর) লাল সবুজের জাতীয় পতাকা হাতে রাজধানী ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রার ডাক দিয়েছেন | এটা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার , তারা সবাই স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক, আর বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে একটা সমাবেশ , একটা লংমার্চ তারা করতেই পারে !

এখানে রাষ্ট্রের কর্তব্য হচ্ছে যারা সমাবেশ বা ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ নামক লংমার্চ ডেকেছে তা সফল করতে দেওয়া , তাতে যেন কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা না হয় , কোনো সহিংসতা না হয় তার নিশ্চিত নিরাপত্তা দেওয়া ! এখন রাষ্ট্র তা না করে সরকারী ভাবে অবরোধ ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ নামক ঢাকা মুখী অভিযাত্রাকে প্রতিহত করার জন্য অঙ্গীকার বদ্ধ !

একটা বিষয় সারাদেশের সহিংসতা কেউই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা , পেট্রল বোমা কেউই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা , বার্ন ইউনিটের আগুনে পোড়া মানুষ গুলা কেউই বাঁচাতে পারছেনা অথচ এই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা এই সব কিছু প্রতিহত করা সরকারের দায়িত্য কর্তব্য ছিল ! সরকার এই সব কিছু বন্ধ করতে না পেরে এখন সারা দেশে যৌথবাহিনীর অভিযানের নামে সরকার যেভাবে গণগেফতার অভিযান এবং নির্যাতন চালাচ্ছে তাতে শিশু-মহিলা থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও শিকার হচ্ছেন সরকারী অত্যাচারের ।কোন স্বাধীন দেশে এইভাবে অত্যাচার নির্যাতনের দৃশ্য পৃথিবীর কোথায়ও ইতিপূর্বে হয়েছে কিনা সন্দেহ ।

এই মুহুর্থে সরকারী দলের অনেক নেতাই বলছে এই স্বাধীন বাংলাদেশে হয়ত আওয়ামিলীগ থাকবে নয়তোবা বি এন পি থাকবে !! কিন্তু সাধারণ মানুষ যাঁরা আওয়ামিলীগ বা বি এন পি করেনা তাঁরা কোথায় থাকবে তাঁরা কোথায় যাবে তাঁদের কথা কেউই বলেনা বা তাঁদের কথা কেউই চিন্তা করেনা ! সরকার পরোক্ষ ভাবে ঘোষণা দিয়েছে এই ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ যেকোনো মূল্যে ঠেকাতে হবে ! অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের শনিবার রাত ১২ টা থেকে রোববার রাত ১২ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সার্বক্ষণিকভাবে বিএনপি ও জামায়াত শিবির প্রতিরোধে মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। আওয়ামি লীগ নেতা কর্মীদের যদি সব কিছুই করতে হয় তবে স্বাধীন বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কোথায় বা কি তাঁদের কাজ ! বাংলাদেশের সব কাজ করার দায়্ত্য কি একমাত্র ছাত্র লিগ বা আওয়ামী লীগের ?? আওয়ামী লীগ সরকার বলেছিল নির্বচন কালীন সময়ে এই সরকার কোনো প্রকার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করবেনা ! আমার প্রশ্ন সরকারের পক্ষ থেকে যখন অবরোধ ডাকা হচ্ছে , ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ যেখানেই দেখবে সেখানেই প্রতিরোধ করার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে যত্র তত্র ব্যবহার করা হচ্ছে এই সবের মানে কি !! এই সব কি নির্বাহী ক্ষমতা নাকি হিটলারী ক্ষমতা ??

এই সব কিছুর মাঝেও গত রাত্রে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, “গণতন্ত্রের অভিযাত্রা ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে’ যদি আমি উপস্থিত নাও হতে পারি, তবুও আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।”| ভিডিওবার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান! ইদানিং ভিড়িও বার্তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক মাত্রা যোগ করছে ! বেগম জিয়াকে কেন ভিড়িও বার্তা দিয়ে ওনার দলের নেতা কর্মীকে অনুরোধ করতে হবে ?? আর তিনি যেই ভাষাতে ভিড়িও বার্তাতে কথা বলেছেন ওই মিনমিনে , মিষ্ঠি ভাষা দিয়ে দলের নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত করা আদৌ সম্বব কিনা আমার জানা নেই ! আমার মনে হলো এই ভিড়িও বার্তার মাধ্যমে ওনার দলের নেতা কর্মীদের মনোবল হরিয়ে ফেলেছেন ! উনি নিজে যদি নাও থাকেন তবেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন ! তার মানে কি উনি ইঙ্গিত দিলেন যে তিনি তাঁর বাসভবন থেকে বেরই হবেননা নাকি তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হবেন ?? তাঁর ভাষণে তেজদ্বিপ্ত কোনো কথা ছিলনা , তাঁর ভাষণে কঠিন কোনো নির্দেশ ছিলনা , তাঁর ভাষণে ছিলনা কোনো অনুপ্রেরণা ! তাঁর ভাষণে তাঁকেই ক্লান্ত মনে হয়েছে সেখানে ওনার দলের নেতাকর্মী কিভাবে উজ্জীবিত হবেন তা আমার অনুর্বর মস্তিস্কে বোধগম্য নয় ...!

বাংলাদেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত , একপক্ষে সরকার , সরকার দলীয় বাহিনী , আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা যৌত বাহিনী সাথে নাম সর্বস্ব কিছু সুবিধাবাদী দল এবং অন্য পক্ষে বিএন পি বা ১৮ দলীয় জোট.. ! আর বাংলাদেশ রয়েছে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে , বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ রয়েছে চরম অনিশ্চয়তায় !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.