![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নারী ইস্যু হোক কিংবা অন্য কোনো সংবেদনশীল বিষয়—এসব ক্ষেত্রে আবেগের তাড়নায় উগ্রতা দেখানো, ঈমানী জোশের অপব্যবহার কিংবা অপ্রাসঙ্গিক স্থানে তা খরচ করা আমাদের জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে। আমরা মানুষ, ভুল করতেই পারি। কিন্তু সেই ভুলকে জিদের বসে ডিফেন্ড করতে গিয়ে নিজেদের পতন ডেকে আনা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বরং ভুল স্বীকার করে সংশোধনের পথে এগোতে হবে।
ভুল হয়ে গেলে তা ঢাকতে গিয়ে আরও বড় ভুলের দিকে এগোলে লাভ কী? বরং স্বীকার করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ইসলাম আমাদের শেখায়—গুনাহ স্বীকার করে তওবাই মুমিনের গুণ।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া জরুরি, কিন্তু তা যেন উগ্রতা বা হঠকারিতায় রূপ না নেয়। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে চুপ থাকাই উত্তম। কারণ, ঈমানী জোশ অপ্রয়োজনে খরচ করলে পরবর্তীতে প্রয়োজনের সময় তা আর অবশিষ্ট থাকবে না।
ইসলাম কখনো উগ্রতা বা হিংস্রতার পথ সমর্থন করে না। রাসুল (সা.) বলেছেন, "নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম যে অন্যদের প্রতি সর্বোত্তম আচরণ করে।" (বুখারী)
ক্ষমতার বাইরে গিয়ে উগ্রতা দেখানো শুধু নিজেরই ক্ষতি বয়ে আনে। আজকের পৃথিবীতে ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দরকার শান্তি, সহনশীলতা ও সুন্দর আচরণ।
নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নেওয়া, ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক উন্নতি।ইসলামের সৌন্দর্য, ন্যায়বিচার ও মুসলিমদের আখলাক (চরিত্র) দেখেই মানুষ ইসলামের দিকে আকৃষ্ট হয়। কিন্তু আজ আমরা ঈমান-আখলাক হারিয়ে ফেলছি। জুলাইয়ের লড়াইয়ে হয়তো বিজয় এসেছে, কিন্তু এখন আসল চ্যালেঞ্জ—মানুষের হৃদয় জয় করা।
ভুল হলে তা মেনে নিন, সংশোধন করুন, প্রয়োজনে মাশুল দিন। কিন্তু ঈমানকে আবেগের আগুনে পুড়িয়ে ফেলবেন না। ইসলামের বিজয় কখনো উগ্রতার মাধ্যমে আসেনি—এটা এসেছে সহমর্মিতা, ন্যায়পরায়ণতা ও সুন্দর আচরণের মাধ্যমে।
"সবচেয়ে বড় জিহাদ?
নফসের বিরুদ্ধে লড়াই, আত্মশুদ্ধি ও আখলাকের উন্নতি।"
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা ভুলের মাশুল দিতে হবেই।