নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা পড়িয়া রয় অবহেলায়, তাহা সমগ্রই আমার কী-প্যাডের, দূর্দান্ত গতি ছড়ায়। যদি কোন অন্ধ/বদ্ধ মনের দ্বার একবার খোলা যায়?\n

আসিফুজ্জামান জিকো

অাইন বিভাগ..

আসিফুজ্জামান জিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাৎ কইরা..

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

৩ মে, ২০১৫..

অনেকদিন আগের কথা, ঘুরতে ঘুরতে সামনে এলো। বাংলা ক্রিকেট হঠাৎ করেই পাল্টে যাচ্ছিলো। তার আগে থেকে সাদা কালো ন্যাশনাল টিভিতে চাতকের মত চেয়ে থাকা বালকের, যদি একটা ম্যাচ যাইতো জেতা???
ম্যাচ হেরে হেরে কত কত রাত কাটিয়েছি না অভিমানে না খেয়ে?
সে জানে আমার মা, বলতো পাগল ছোড়ড়া....


অনেকদিন আগে একবার,

চুটকে পুটকে বাঙ্গালী ছেলেটা দাড়াইছিল,
আর তাতেই সেই সময়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলীয়ার বিধ্বংসী বোলার, ম্যাকগ্রা, গিলেস্পি, ওয়ার্ণ দের মুখ গুলো ভ্যাবলা ফ্যাকাশে বর্ণের দেখাচ্ছিল..

ছেলেটা আশার-ফুল ছিল সবার। সেদিন ই বুঝছিলাম বাঙ্গালীর হাতে স্ট্রোক আছে, ক্রিকেট টা যাবে..

তার অনেক দিন পরে এসে,

তামিম দাড়ালো.. সেদিন সুদুর নিউজিল্যাণ্ড খেকে " ওওওওও বাংলাদেশ " স্লোগান টা শুনেছিলাম টিভির এইপারে বসে,, শুনেছিল গোটা বিশ্ব..

পরে আরেকদিন, রিয়াদ দাড়ায় পড়লো.. সেইদিন, ষড় রিতুর বাংলা বৃষ্টি টা বরফাচ্ছাদিত নিউজিল্যাণ্ড- কেও ছুয়ে গেল.. আমি দেখেছিলাম ঝরতে..

হাস্যোজ্জল ছোট ছেলেটি যেদিন দাড়ায়, সেইদিন ওর সামনে, কালো-সাদা, ভিনদেশী, দানবীয় সাইজের,, প্রতিভাবান বোলারগুকে আমার খুব অসহায় মনে হয়.. ওদের তখন মুশির চেয়ে সাইজে ছোট দেখায়। বাংলা ক্রিকেটের অনেক ফ্যান এখন বিশ্বজোড়া। অনেকেই মুশিরে, আশরাফুল ভাইবা ভুল করে হয়ত ! আমার ই ভুল হয়ে যায় মাঝে সাঝে ! সে-ই স্ট্রোক, সেই শর্ট..

আই ওয়ান্ট ব্যাক এ্যাশ এ্যাট বিডি ক্রিকেট.. আপনি ?

আইচ্ছা, এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার রাস্তায় বাংলাদেশ নেমেছিল একদিন ! এই গল্পটা বলেছি আপনাদের ? পরে একদিন বলবো,, বাদ দেন !

সাকিব দণ্ডায়মান অনেকদিন, শুধু সাপোর্টের অভাব ছিল ! অনেকদিন সাকিবকে এ প্রান্তে অসহায়ের মত দাড়িয়ে দাড়িয়ে টীম মেটদের আসা যাওয়া দেখতে হইছে.. সাকিবের অসহায় চোখ দুটো দেখলে, পুরা বাংলাটাই অসহায় হয়ে যাইত..

কিছু দিন হইলো সাকিবের অসহায় চোখ দেখিনা,, বাংলাদেশকে ও অসহায় লাগেনা... টেন্সন থাকলে রিমুভ করে দেন, বাংলা ক্রিকেটকে আর কোন দিন অসহায় দেখবেন নাহ.. কথা দিলাম !

সেই দিন খেলতে আসা ছেলেটা, সৌম্য দাড়াইলে কি হয় দ্যাখছেন ত ! পাক্সতান তাদের সর্বোচ্চ থুরথুইরা বুইড়া অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মাল-জিনিস আইনা ও, ব্যাকা হয়ে যাওয়া ঘেটি সোজা করতে পারে নাহহ ! বরংচ সৌম্যের ব্যাটের ঘাড়ানিতে ঘেটিটা আরো খানিকটা...

আরেক্টা সাব্বির। কপালটাই খারাপ ! দাড়ানোর সময় ই পাচ্ছে না সিনিয়রদের চাপে ! যত বার যট্টুক সময় সাব্বির কে দাড়াইতে দেখছি, টর্ণেডো বয়েছে প্রতিপক্ষের উপর... খেয়াল কৈরেন, সাব্বিরের চোখগুলি জ্বলে.. পাপাই কার্টুনের পাপাইয়ের মত মাসেল গুলো জার্সি ছিড়ে ভেদ করতে চায় ! সাব্বির বিশ্ব ক্রিকেটে সেই রকম দাড়াবে .. আমার বিশ্বাস

মাশরাফির কপাল টা খুব খারাপ। ম্যাশ, যখন অবাধ্য, অপ্রতিরোধ্য, টগবগে.. টেণ্ডুলকারদের মিডল স্যাম্প উপড়ে দেয়.. জয়সুরিয়া গুণে গুণে ম্যাশের বলগুলো ঠ্যাকায় ! হেইডেন ব্যাট তুইলা ও সিন্ধান্ত বদলে ফ্যালে ! দশ ওভার শেষে ক্যাপ্টেন ম্যাশের সাইন্টিফিক গড় থাকতো ২৫-৩০ রানের খর্চায় দুটো তিনটে উইকেট। ঠিক তখন দিনের শেষে টীমের একটা ছেলে ও উইলো হাতে দাড়াতে পারতো নাহহ.. ম্যাশের বাজিমাৎ করা বোলিংয়ের মূল্যটাই বৃথা যাইতো, বারবার, বহুবার..

স্পষ্ট মনে আছে, কত কত বার, ম্যাচ হাইরাও ম্যান অব দি ম্যাচ হয়েছে এই পঙ্গুপ্রায় ক্যাপ্টেন ম্যাশ ! ওকে যখন ডাকা হত পুরষ্কার গ্রহণের জন্যে, অত্যন্ত অনিচ্ছায় পা বাড়াতো, মেঘ কালো চেহারায় কাদো কাদো চোখদুটি দেখে বোঝা যেত মনের মধ্যে কি পরিমাণ অভিমান, চাপা কষ্ট জমে আছে.. এই পোলা ড্রেসিং রুমে যাইয়া কাদবে শিওর..

( আমার এলাকার মানুষগুলোর আবেগ টা বেশী,,,, খানিকটা সস্তা ও বলতে পারেন,, কিন্তু এই আবেগের শক্তি ও যে অনেক... সোজা সাপ্টা একদম )

আরে বাংলাদেশের জন্যে ছেড়া রগ নিয়ে ও দৌড়াই,, আর তরা.... ? অনেক কথা অব্যক্ত থেকে যেত ম্যাশের..

হয়তো পরের দিন সতীর্থ রা দাড়াবে, একবার, বহুবার, বারবার,,,,সেই আশায় আবারো বল নিয়ে পিচের দিকে ছুটতো সেইদিনের ছোট্ট কৌশিক আর আজকের ক্যাপ্টেন ম্যাশ...

ম্যাশ, অভিমান রেখোনা,,,ছেলেগুলো তোমার সস্তা আবেগের ভর টা বুঝতে শিখেছে.. এরা দাড়াইতে শিখেছে..

তোমার কান্নাটা সহ্য হতনা আমার, সহ্য হতোনা আমার মত লক্ষ্যকোটি ক্রিকেট পাগলাগুলোর.. এখন মনে হচচ্ছে তোমার সতীর্থদের ও সহ্য হয় না..

ম্যাশ যখন থাকবে না টীমে, পারবে না দৌড়াইতে, কোন কমেন্টেরর ও বলবেনাঃ হেয়ার কামিং দি নড়াইল এক্সপ্রেস এন আইম শিওর দি হার্ট বিটসস অব দি ব্যাটস ম্যান অলসো রানিং ফার্স্ট.. তখন আমার মত কোটি মানুষের ই কষ্ট লাগবে..
কষ্ট পাবে বাংলাদেশ ও..

তবুও না থেকেও থাকবে ভাইটা, থাকবে বাংলাদেশের ভেতরে বাহিরে, সবটুকু জুড়ে..
আবেগে বেশী কথা বলতেছি !

বাংলাদেশের ছেলেগুলো দাড়ানো শিখে গেছে.. চোখ রাখেন আর বিশ্বাস করে যান, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ খেতাব টা চলে ...... ।

বিশ্বে আমাদের একটা নতুন নামে/পরিচয়ে চিনে এখন ..
ক্রিকেট বাংলা..

একাত্তরে জুয়েল শহীদ না হলে, স্বাধীন বাংলার প্রথম ওপেনার হইয়া পাইক্কা গো বল মার্তে মার্তে ধোয়া উঠাই দিত,
নিঃসন্দেহে...

জুয়েল ভাই, ওপার থেকে মাঝে মাঝে চোখ রাখবেন, ছেলে গুলো দাড়াচ্ছে, বাইড়াচ্ছে, আপনার ডিউটি এরাই করবে বলে মনে হচ্ছে...
আপনি হাসতাছেন জুয়েল ভাই !

রুমী ভাই কই ?
ও রুমী ভাই, আজ মায়ের জন্ন্মদিন, আমরা কিন্তু সকালে জননীর বাড়িতে যাবো...
বাসার কোন কিছু দেখতে মন চাইলে বইলেন !
আপনার সেই জামরুল গাছের এখন অনেক গুলো বাচ্চা..

আজাদ ভাই, বদি ভাই সহ সব ক্রাকেদের সালাম দিয়ে বলবেন, আমরা সময় পেলেই আপনাদের স্মৃতি গুলো নাড়া চাড়া করি, করে যাবো.. ওপারে ভাল থাকবেন, আর হ্যা জুয়েল ভাই, ম্যাশের জন্যে একটু দোয়া করবেন, আর কয়েক্টা দিন যেন খোড়াইতে খোড়াইতে ও ধইরে দিতে পারে..

আমরা তোমাদের ভুলি নাই ক্রাকস...

#Rise_Of_Bd_Cricket


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.