নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা পড়িয়া রয় অবহেলায়, তাহা সমগ্রই আমার কী-প্যাডের, দূর্দান্ত গতি ছড়ায়। যদি কোন অন্ধ/বদ্ধ মনের দ্বার একবার খোলা যায়?\n

আসিফুজ্জামান জিকো

অাইন বিভাগ..

আসিফুজ্জামান জিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাজার বছরের সেই পুরোনো গুন গুন শব্দ..

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৫৯


চতুর্থ শ্রেণীর ইংরাজী ক্লাস নিতে ঢুকসি। ক্লাস শিক্ষিকা আমায় পেলেই, ঘোড়া দেখে খোড়া হয়ে যান। বলেন, যা না ক্লাসটা নিয়ে আয়?

আমি আমতা আমতা করি। এই অবসরে আমার মহাভারত উদ্ধারের মত কাম কাজ থাকেনা। তবুও মুখে আমতা আমতা করি? আমি যাবোওও?
মনে মনে একশো স্পীডে ক্লাস নেবার আগ্রহ দৌড়ুতে থাকে। বাচ্চাদের ক্লাসে ঢুকলে ফেলে আসা সময় গুলো ফিরে পাই।

চতুর্থ শ্রেণীর ইংরেজী ক্লাস। ঢুকতেই একেবারে কান ফাটানো শব্দে, Good Morning Sir ! আমি পুরাই কেপে গেলাম। এরা বিষ মরিচের মতন, এইটুকু গুড়ো গলায় কি স্বর? আমাদের ও ছিলো, আমরা গুণ গুণ করলেও পুরো স্কুল বাড়ি, মাঠ পেরিয়ে রাস্তাতে থরকম্প উঠতো?

চেয়ারে বসতে বসতেই দেড় ফুট সাইজের মিনু আর রাব্বি এগিয়ে এসেছে। রাব্বির হাতে পুরো ক্লাসের হোমওয়ার্কের খাতা, যা ওর বুক পেটের সাথে মিশে মুখ ঢেকে রেখেছে। মিনুর হাতে নালিশের খাতা ! কে কে কথা বলেছে??

হে হে হে- মনিটরের কথা মনে পড়ে? মনিটরের খাতায় একটা নাম কমন থাকতো প্রত্যেক ক্লাসে- দ্যাটস মি ! কোন কোন স্যার আমারে সাজা দেওয়া ছেড়েই দিতো, পুরাই হতাশ। আবার কোন কোন স্যার চ্রম ক্ষেপে থাকতেন, ক্লাসে যেনো প্রতিশোধ নিতেই আসতেন। কি বিচ্ছু?

যাই হোক, রাব্বিকে বললাম, খাতা রেখে দাও, কাল তোমাদের ম্যাম দেখবে?

বললোঃ ম্যাম কি ডা স্যার?
পাশ থেকে মিনুঃ আরে আপামনির কথা বলে, গরু একটা !

নালিশের খাতা হাতে নিলাম, অপরাধ সমুহঃ শার্টে দাগ, চিল্লানো, মারামারি, হোম ওয়ার্ক না আনা, জোরে জোরে হাসা এবং বায়ু ত্যাগ করা !!

মনে মনে হেসে নিয়ে ঠিক করলাম, সব অপরাধ মাফ, শুধু পাদানোর বিচার হরা হবে !

শাকিইইইইল? (অপরাধী)
ডাক দিলাম জোরে।

সামনের ভীড় থেকে খুব অনিচ্ছায় পুচকে একটা মাথা উঠলো! এদিকে এসো? তুমি ওটা করেছো?

শাকিল কিছু বলেনা। মাথা ও নাড়েনা। চারপাচ বার জিগেস করলাম, ও লজ্জায় কাচুমাচু।

মিনু আবারো ফুট কাটলো, জ্বী স্যার, ক্লাস জ্বলায় দিসে !

( মনিটর গুলো আদি কাল থেকেই একটু বেসরিক দজ্জাল টাইপের হয়ে থাকে? নাকি আমরা যারা দুষ্টু ছানা, তাদের এমন মনে হয় ? )

শাকিল কে বকলাম না, তবে একটু লজ্জা দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা কর্লাম, এরকম কাজ কর্তে হয়না। ততক্ষণে দোষীর চোখে পানি টলমলাচ্ছে, পড়লো পড়লো। ইশারায় বসিয়ে দিলাম।

এতক্ষণে ক্লাসের সৈন্য সামন্তের বোঝা হয়ে গেছে, আমি ওদের জন্যে বিপজ্জনক নই, নরম এবং কোমল প্রকৃতির! আর কই যাবো, সেই গুঞ্জন বেড়ে চলেছে, চিরচেনা গুঞ্জন, কোটি বছরের গুঞ্জন। ধমক দিলে একমুহুর্তে চুপ, পরমুহুর্তে শুরু।

গুঞ্জনে ভর করে আমি ও বারবার আমার ক্লাস গুলো দেখতে পাচ্ছিলাম।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমাও একটা প্রি ক্যাডেট স্কুলে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীতে ক্লাস নেই । ছেলেমেয়েগুলো যা দুষ্টু...

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:১৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এই যা আমিও লিখতে গিয়ে আমাও লিখেছি! শিট!

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

ইফতি সৌরভ বলেছেন: :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.