নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেষ বিড়িটার আধেক এখনো জলন্ত,
মতিনের বাড়িওয়ালা গেইট খুলে সম্ভবত মসজিদে যাইতেছে! ফজরের আগেই আজ গেইট উন্মুক্ত করা হইয়াছে, মতিন তড়ি ঘড়ি করে কিছু পয়সা ওর পকেটে ঢুকিয়ে নিচ্ছে। জানালা বলতে ছোট্ট মুরগীর ঘরের সমান এক দরজা, তা দিয়ে মেঘাচ্ছন্ন চাদটারে দেখা যাচ্ছেনা ঠিক মত, তবু ও কিছু অালো চুইয়ে হুড়মুড় করে ঢুকে অাধারেই সবকিছু স্পষ্ট করে যাচ্ছে। পানির বোতল গুলো উপুড় করে শেষ ফোটা গুলো জিহবায় ঢেলে তৃষ্ণা মেটানোর স্বাধ নিলো মতিন বাবু! আজ রাতে আমি হাটবো না, তাই হন্টকের তকমা দিয়ে দিলাম তাহারে।
হন্টক মতিনের চোখ যদি উপেক্ষা না করে মোড়ের গার্মেন্টেসের সিড়িতে ঘুমন্ত কিছু বেজন্মা শিশু, তবে ওর কাচা পয়সা ওয়ালা রুগ্ন পকেট ভরে আনতে পারবে মায়া। তার পর থেকেই আমার হন্টক তকমা রোজ রোজ চেয়ে শহরের এ মাথা ও মাথা করে পায়ের চামড়ায় মাখাবে পবিত্র ধুলোবালি। মায়া কুড়ানো ভয়ংকর নেশা, ছাড়া হয়না প্রত্যহ নিঃস্ব হয়ে ও..
হিমুর কোন পকেট ছিলোনা।
আমার জানা দরকার, ও কিসে বইতো রাতভর কুড়ানো সমস্ত স্নিগ্ধ মায়া?
শুনছেন হুমায়ুন আহমেদ; পথ চিনিয়ে উদ্দেশ্যহীন একটা রাস্তায় ছেড়ে যাবার কোন মানেই হয়না! আমার কিংবা মতিনের একটা দিশা চাই, লক্ষ্য চাই একটা?
নাহলে বৃষ্টি আর জোৎস্নায় আমি ভিজবো নাহ ;
হিমুকে আমি জীবন্ত রাখতে আমার মেধাক্ষয় করবো নাহ;
বেজন্মাদের ঘুমন্ত সিড়িতে আমি ক্লান্তির অভিনয়ে বসে বসে অার নোনতা ঝরাবো নাহ, মতিনটা নিরেট বলদ। এই আসক্তিতে আসক্ত হতে চাইছে..
কি বেখেয়ালী, একটা টান ও দেয়নি জলন্ত বাকি শলাকাতে,
টুপ করে ছাই পড়লো বিছানাতে, কালো অাধারে ছাইয়ের দলাটা সাদাটে মেঘের মত লাগছে!
হুমায়ুন আহমেদ, আপনি মেঘের ওই পারে?
©somewhere in net ltd.