নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা পড়িয়া রয় অবহেলায়, তাহা সমগ্রই আমার কী-প্যাডের, দূর্দান্ত গতি ছড়ায়। যদি কোন অন্ধ/বদ্ধ মনের দ্বার একবার খোলা যায়?\n

আসিফুজ্জামান জিকো

অাইন বিভাগ..

আসিফুজ্জামান জিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুপ্রভাত বাংলাদেশ..

১৩ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:২০

আদালত জানেন সবকিছু, তবে কেউ তা অভিযোগ হিসেবে আদালতে তোলেনা দেখেই, সেইটা কতটুকু প্রয়োগ করা হচ্ছে তার কোন খোজ কেউ রাখেনা। বলছিলাম বাংলাদেশ পুলিশের কাছে রিমাণ্ডে সোপর্দ করা প্রসঙ্গে!
আমাদের দেশের থানা এবং রিমাণ্ড সম্পর্কে যাদের জানা আছে তারা যখন শুনেন কোন স্পর্শকাতর মামলার আসামীকে আদালত পাচ দিনের রিমাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন; তখন ওই সমস্ত মানুষের মনটাই হয়তো খারাপ হয়ে যায়।

ওহে ভদ্রসমাজ, আসামীর রিমাণ্ড যত বেশি দিনের মঞ্জুর হবে, থানা কর্মকর্তা কর্মচারীদের তত বেশি আয় বাড়বে। আর অাসামী যখন সোনা চোরাচালানীর ছেলে, তখন সংশ্লিষ্ট থানার ঈদ! আপনারা যারা খুশি হয়েছেন রিমাণ্ড শুনে, তারা এই রিমান্ডের সত্যতা সম্পর্কে যদি জানতেন, তাহলে থানা হাজতে লাইভ রিমাণ্ড দেখতে পৌছে যেতেন।

রাত্রি সাড়ে দশটা-এগারোটা নাগাদ ডিউটি অফিসারের সময় শেষ হবার আগে যদি কোন রিমাণ্ডের আসামী মাল-কড়ি নিয়ে না আসে থানার গেইটে, শুধু মাত্র তখন'ই তাহাকে থানা গারদের বাইরে এনে সপাং সপাং কিছু বাড়ি মারা হয়। যে যত দরিদ্র সে তত বেশি লাঠির বাড়ি খায়।
( এইটা চিরন্তন এক সত্য স্থিরচিত্র আমাদের থানা হাজতের।)

তবে রাজনৈতিক এবং বিবাদী প্রতিপক্ষ যদি আসামীকে রিমান্ডে কড়া মাইর দেবার জন্য অধিক মাল-কড়ি খরচ করে, সেক্ষেত্রে থানার লোকেদের দুই তরফা ইনকাম হয়। রিমান্ড আসামীর টাকা নিয়ে সবাইকে বিদায় দিয়ে, পাশের ঘরে বাদী পক্ষ্য কে বসিয়ে আসামী কে ভর্পুর মারে।

এখানে তো রিমান্ড ব্যাবস্যা ফুরুলো;
চার্জশীট কোন পক্ষে যাবে সেইটা নির্ধারন করে কোন পক্ষ্যের মালকড়ি কতো বেশি। তবে সেবার ও দু পক্ষ্যের থেকেই টাকা নেওয়া হয়...

সে বাদ দেন, কাল দেখলাম বনানি থানার ওসির ছবি দিয়ে অনেক কিছু বলা হয়েছে। ব্যাপ্যার হচ্ছে এই ধর্ষণ আলোড়ন তুলেছে বলেই ওসির নাম উঠে এসেছে, সবাই ওর উপর দেখি ক্ষীপ্ত!
কিন্তু বাংলাদেশের প্রত্যেকটি থানার, প্রতিটি কর্মচারী, কর্মকর্তা, সিস্টেম, অনিয়ম, জোচ্চুরী, সত্যেরর বেচা কেনা'র যে এক'ই অবস্থা!

আমরা সর্ব সাধারণ, আইন আদালত, মিডিয়া, পত্রিকা, সবার'ই এসব জানা। আমাদের যার যার কাজ করার সময় আমরা ও তাদের উৎকোচ দিয়া দ্রুত স্বার্থ সিদ্ধি করে চলে আসি, কিছুই তো কখনো বলিনা?

আর হুট করে একদিনের জন্যে সবার টনক নড়েছে, নাহ ওরা তো ঠিক করেনা। অনিয়মের সিস্টেম গুলো অনেক দিন ধরে হয়ে আসছে, এখন প্রায় স্থায়ী। তাই হুট করে বললাম তাতেই বদলে যাবেবে না ভেবে, আসেন প্রতিদিন চলতি পথে অাস্তে আস্তে সবকটা অনিয়ম বয়কট করা শুরু করি।

নিয়মের অভ্যস্ততায় সব ঠিক হলে ও হয়ে যেতে পারে।
সে যে'ই হোক, সামনে রং করে চলে যাবে, আর আমি ধইরে দেবো না, এমনটা হয়না। এই যে থানার যে সমস্ত অনিয়ম, এসবের বিরুদ্ধে আমি মামলা করবোই' ফাইনালটা শেষ হোক...

সুপ্রভাতে নাকি মা এবং মেয়েকে রেইপের খবর ছাপা হয়েছে ভোর রাতে;
হে বাংলাদেশ...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

মানবী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

"বাংলাদেশের প্রত্যেকটি থানার, প্রতিটি কর্মচারী, কর্মকর্তা, সিস্টেম, অনিয়ম, জোচ্চুরী, সত্যেরর বেচা কেনা'র যে এক'ই অবস্থা!
আমরা সর্ব সাধারণ, আইন আদালত, মিডিয়া, পত্রিকা, সবার'ই এসব জানা।"

- আমাদের আইন আদালত, মিডিয়া, পত্রিকা, সাধারণ জনতার সর্বস্তরে রন্ধ্র রন্ধ্রে দূর্নীতির বাস, তাই থানা পুলিশ হোক অথবা রানজীতিবিদ- কারো দূর্নীতি নিয়ে ইচ্চবাচ্য করার কেউ আগ্রহ পায়না।
শুধু নিজের ঘরে আগুন লাগলে তখন কিছুদিন আহাজারি, শেষ পর্যন্ত এই দূর্নীতির কাছেও আত্মসমর্পন করে ঝামেলা থেকে রক্ষা পাওয়া।

এই কেসটি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা হয়নি, তবে যেটুকু জেনেছি মনে হলো "নাঈম" নামের কুলাঙ্গারটা সবচেয়ে নিকৃষ্ট অথচ এরা বিস্তারিত পরিচয় কোথাও নেই।

আমাদের ছোট্ট আয়েশার ধর্ষকেরা ধরা পড়েছে কিনা, তাদের পরিচয় কোন কিছুর আপডেট মিডিয়ায় নেই না আমার অজানা নিশ্চিত নই। এই তিন কুলাঙ্গারের সাথে সাথে আয়শার নরপশু ধর্ষক আর আত্মহননকারী কন্সটেবলের ঘৃণ্য ধর্ষকও তাদের আশ্রয়দাতাদের পরিচয় উন্মোচনা করা জরুরী।

গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আসিফুজ্জামান জিকো।

২| ১৩ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:০১

আসিফুজ্জামান জিকো বলেছেন: ধন্যবাদ আপু; সাসনের অসংগতি গুলো উপেক্ষ্ না করে সবাই যেনো একটু একটু বলতে শুরু করি; এতেই সময় পাল্টে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.