নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা পড়িয়া রয় অবহেলায়, তাহা সমগ্রই আমার কী-প্যাডের, দূর্দান্ত গতি ছড়ায়। যদি কোন অন্ধ/বদ্ধ মনের দ্বার একবার খোলা যায়?\n

আসিফুজ্জামান জিকো

অাইন বিভাগ..

আসিফুজ্জামান জিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাগ থেকে ভালো কিছু হলে তো দাগই ভালো!

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩



ক. ভারতের সাথে গত ম্যাচের হারটা ছিলো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ক্যাচ তুলে দেওয়া শটটি। রিয়াদ ওটা না করে যদি আর ১০/১৫ টি বল শুধু সিঙ্গেলস ডাবলস এ খেলে যেতো তবে টি টুয়েন্টীতে প্রথম বারের মত ভারত হারতো বাংলাদেশের কাছে।

খ. পর পর তিনটি ম্যাচে বাংলাদেশ রিতিমত জায়ান্ট এক দল, সুতরাং বলাই যাচ্ছে এই ম্যাচে ও যারা রেগুলার পারফর্ম করছে তাদের সাথে দুই একজন নিয়মিত ফ্লপ হয়েছেন এমন কেউ কেউ বল এবং ব্যাটে ভালো করতে যাচ্ছে আজ।

গ. আমাদের বোলার গুলো প্রথম থেকে যত্ত ভাল বলই করুক শেষটায় এসে তা ধরে রাখতে তো পারেইনা বরং এমন বাজে ডেলিভারী করে যে প্রথম দিকের সব ভালোই চাপা পড়ে যায়। আজ এমন করলে চলবেনা।শুধু গতি নয় মাঝে সাঝে স্লোয়ার, বডি লাইনে বল এবং রান কমাতে ইয়োর্কারের ব্যবহার যে করতে হয় তা ওরা যেমনি ক্রিকেট খেলে দেখে শুনে নিজেরা বোঝেনা তেমনি বোলিং কোচেরা ও কেন যে চোখে অঙ্গুল দিয়ে বলে দেননা বুঝিনা!... স্পীন প্রসঙ্গে বললে বলতে হয় সাকিবের বল স্পীনার হিসেবে খুব যে টার্ণ পায় তা কিন্তু নয়, তবু ও সাকিব শতকরা নব্বই শতাংশ ম্যাচে উইকেট পেয়ে রান চেক দিয়ে ভালো বোলিং উপহার দেয়। এর কারন একটা, টার্ণ না পেলে ও সাকিব বলের সাথে মাথা মেশায়। স্টেপ নেওয়া ব্যাটসম্যানের মুভমেন্ট বুঝে নিয়ে লেন্থ ছোট করে দেয়া, পরপর দুটো অফ ব্রেক করার পরেরটা যে ব্যাটসম্যান বলের গতি বুঝে হাকাবে সে জানা কথা, সাকিব পরের বলটা কোন রকম ঘূর্ণি ছাড়াই স্ট্যাম্প বরাবর কুইকার ছুড়ে দিলে অধিকাংশই বোল্ড হতে দেখি বলের ধাচ না বুঝতে পেরে। সতীর্থ যখন এমন বল করে তখন অন্যদের ও তা ফলো করে সেই মোতাবেক বল করার কথা, অথচ ওদের বল টানা মার খেলে ও সেই একই লাইনে পরের বলটি ছুড়ে দেয় আরো গতিতে, তখন বুমেরাং এর মত ব্যাট আর বলের সংঘর্ষে বেশি দূরত্ব পায় বাউণ্ডারী!
সেই পুরানো কথা ভারতের মত শক্তিশালী ব্যাটিংলাইন অাপের জন্যে বলের সাথে মস্তিষ্ক মেশানো জরূরী।

ঘ. যদি চেইজ করতে হয় তবে টার্গেট যতই হউক খেয়াল রাখতে হবে ওপেনার অনডাউনারের যে কোন একজনকে পাওয়ার প্লে তে সুপার ব্যাটিং করে ৫০ কা ততোধিক রান তুলে দিয়ে অন্যান্যদের মনে সাহস যুগিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া সুপার ব্যাটিং মানে বল না দেখেই স্টেপ অাউট করে মারা অথবা গায়ের জোরে অফের বল লেগে, লেগের বল অফে বাউন্ডারী মারা নয়, বলের গতি কাজে লাগালেই ক্লাসিক কিরিকেটীয় শটে পাওয়ার প্লেতে অজস্র জায়গা থাকর যেখান দিয়ে বেরুতে পারলেই বল বাউন্ডারী পেরোয়।

ঙ. ভারতেরর সাথে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হবার পরে ও যদি কোচ, মাযানেজারেরা টীমকে রান চেজিং এর সময়কার ভুল ত্রুটি এবং তা শুধরানো সস্পর্কে অালাপ অালোচনা না করেন, তবে দূর্দান্ত ফর্মে থাকে টোটাল বাংলাটীম কানায় কানায় ভরে থেকেও জয়ের অানন্দে ভাসবে না, উল্টো অাফসোসে ডুবে যাবে অাগের দিনের মতো।

চ. অামাদের সিনিয়র প্লেয়ার গুলোর দায়িত্ববোধ এবং ইচ্ছা শক্তির বড়ই অভাব। একটা ম্যাচে ধরেন তামিম/ মুশি/রিয়াদ/ সাকিব ৫০/৬০ ব্যক্তিগত করেই ফেললো, ধরেন জয়ের জন্যে লাগবে ৫০ বলে ৭০ রান মাত্র, ঠিক তখনই অন্যান্য দলের সিনিয়র প্লেয়ার গুলো তখন নাছোড়বান্দা ব্যাটসম্যান হয়ে যান। তারা অধিকাংশ সময়েই অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে বের হন, অার অামরা তার সম্পূর্ণ বীপরীত অাচরণ পাই আমাদের ভরসা করা নাম গুলো থেকে।

ছ. তবে ব্যতিক্রম ছিলো গত তিনটে ম্যাচ, পর পর দুটোতে সিনিয়র মুশফিক স্টান্ডবাই ছিলো শেষ বলে, অাগের দিন দাড়িয়ে ছিলো রিয়াদ। ফলাফল তো হাতে নাতেই পেয়েছি অামরা, দাড়ায়ে থাকলে অসম্ভবটা ও চোখের পলকে হয়ে যায়। মহাকাব্যিক কিছু বলে কয়ে করা যায়না অাসলে। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করার ইচ্ছেটাই মহাকাব্যের জন্ম দেয়।

জ. সব মিলিয়ে ভারত যদি অাগে ব্যাট করে টার্গেট যেটাই ছুড়ে দিক অামাদের, অামরা তা পেরিয়ে প্রথমবার ভারতকে টি২০ এবং কোন টূর্ণামেণ্টের অাসরে হারিয়ে ক্রিকেটের অর্জনকে অারেকটু সমৃদ্ধ করতে পারবো বলে অামার মনে বিশ্বাসটি শক্তপোক্ত হচ্ছে..

ঝ. #প্রসঙ্গ_অাচরণবিধিঃ-
শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি হিসেবে যে টূর্ণামেন্ট অায়োজন করা হয়েছে তা থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে শ্রীলংকা নিজেদের দেশের লক্ষ্য দর্শকের সামনে। মুহুর্ত যখন এমন, অাম্পিয়ার দেশীয় শতভাগ শুদ্ধতায় এ পর্যন্ত বিচার করে এসেছেন, বাকি শেষের এক ওভারের ৬টি বল মাত্র, স্টেডিয়ামে ভর্তি গর্জনরত স্বদেশী সাপোর্টার, ঠিক সেই মুহুর্তে ভিনদেশ থেকে অাসা কোন দলের সাথে এক-দুইটা বলের অসামঞ্জ্যস্য করলে হয়তো কারো চোখে তেমন বাধবেনা, অার ক্রীজের ব্যাটসম্যান এবং ওদের দলের কারোর ই এত্ত এত্ত প্রেশারে প্রতিবাদ করার সাহস এবং ইচ্ছে কোনটাই হবেনা- এমনটাই ভেবে বসে অাছেন শ্রীলংকান অাম্পিয়ার। এবং বিষয় যখন নিজের দেশের থাকা না থাকা, তখন ওটুকু পার্শিয়াল্টীতে যদি স্বদেশ টিকে থাকে, তো থাকুক নাহ... নির্ভয়ে নো বল এ্যাভোয়েড করে গেলেন বিচারক গণ..

গত সিরিজে স্বদেশের মাটিতে শ্রীলংকার সাথে জিততে জিততে নিজেদের বোকামীতে লজ্জা পাওয়া দিয়ে বাংলাদেশ দল যে অাহদ বাঘের মত ফুসে উঠবে সামান্য একটা নো বলের জন্যে তা কি টের পেয়েছিলো অাম্পিয়ার!

বাংলাটীমের এই অাচরণ এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
ঠিক এই রকম পরিস্থিতি শুধু বাংলা নয়, অস্ট্রেলিয়ার হতে পারে ইংল্যাণ্ডে অ্যাশেজ খেলতে এসে, ইংলিশেরা পড়তে পারে বিপাকে অজিদের দেশে।
ভারত পোহাতে পারে যণ্ত্রণা দুবাইয়ে দিবা রাত্রির ম্যাচে অালিম দ্বার যখন অাম্পিয়ার বিপক্ষ ফাক্সতান রাষ্ট্র! নিউজিল্যাণ্ডে এসে অাফ্রিকা হতে পারে স্বদেশী অাম্পিয়ারের একটু দেশের টানে ম্যাচ হেরে নাস্তানাবুদ।

সেই সব পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত একটু দেশের জন্যে পার্শিয়াল্টী করতে উদ্যত স্বদেশী অাম্পিয়ার গুলোর চোখের সামনে মুর্তিমান অাতংকের মত ভাসবে গত ম্যাচের কিছু বাঙ্গলা খেলোয়ারের মুখ! ঝটকা লাগবে, না না এমন যদি এরা ও করে বসে? তখন তো এই বর্ণ্যাঢ্য ক্যারিয়ারে অাজন্মের কালিমা!

না বাপু তার চেয়ে নো চিটিং, যা হবে তাই হোক।
সো বাংলার ছেলেদের গত দিনের অাচরণ যদি বিধি লংঘণ ও করে তবু ও তা সমগ্রের জন্যে ভালো।

ঞ. দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয় তবে তো দাগই ভালো, তাইনা? আর হ্যা প্রে ফর বাংলা..


#RiseOfTige

#এডিটাংশ - ১ বলে পাচ রান দরকার ছিলো, ওরা ছয় মেরে জিতে নিলো।
অামি জানি নিশ্চিৎ পাচ্ছি জেনে ও যদি কিছু ফসকে যায় তার বেদনা বড়ই যাতনাময়।
সেসব ভুলে;

বাংলাদেশ কি বিমর্ষ?
ধুররর, এ অাবার কিসের পরাজয়?
এইটা স্রেফ এক দূর্ভাগ্য!
তুমি শুধু এই অাফসোস টুকুই করতে পারো, যে দলে মাশরাফী-মুস্তাফীজের মত বোলার থাকে, সেই দলে রুবেল-তাসকিনদের মত বোলারদের দিন ফুরিয়ে যাক।

তুমি শুধু এই অাফসোস টুকুই করতে পারো, এর পর থেকে জেতার ইচ্ছেটা দুই একজন নয়, ১১ জনকেই যেনো ভীষণ পেয়ে যায়।

এ কোন হার'ই না,
বাংলাদেশ মানে যে কোনো দলের স্বপ্নে হানা!
তৃপ্ত হও এই ভেবে যে, নিজেদের দেশে উপুর্যুপুরি হেরে গিয়ে ছেলে গুলো অাবার নিজেদের ফিরে পেলো।
#খেলা_বাকি
#দেখা_হবে_রে
#RiseOfTheTiger

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

বারিধারা ৩ বলেছেন: ফাইনাল বাংলাদেশের জন্য অশুভ - তাই শুভ কামনা রইল।
ভারতের এগেইন্সটে এইসব হিসাব নিকাশ কোন কাজে আসেনা।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

তারেক ফাহিম বলেছেন: দেখা যাক কি হয়।
দাগ থেকে ভালো কিছু হলেতো ভালোই :D

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

সঞ্জীব ব্যানার্জী বলেছেন: ভালো ফলাফল আশা করছি। দেখা যাক। সুষ্ঠুভাবে খেলাটা চলুক। উত্তেজিত হওয়াটা অনুচিত।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: 33/3(5.0):(:(:(

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

কলাবাগান১ বলেছেন: নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এরাও ভীষন ভাবে একে অপরের প্রতিযোগী...কথার যুদ্ধ হয় কিন্তু এই উপমহাদেশের মত এত নীচু মানের 'যুদ্ধ' হয় না

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

আসিফুজ্জামান জিকো বলেছেন: বাংলাদেশ কি বিমর্ষ?
ধুররর, এ অাবার কিসের পরাজয়?
এইটা স্রেফ এক দূর্ভাগ্য!
তুমি শুধু এই অাফসোস টুকুই করতে পারো, যে দলে মাশরাফী-মুস্তাফীজের মত বোলার থাকে, সেই দলে রুবেল-তাসকিনদের মত বোলারদের দিন ফুরিয়ে যাক।

তুমি শুধু এই অাফসোস টুকুই করতে পারো, এর পর থেকে জেতার ইচ্ছেটা দুই একজন নয়, ১১ জনকেই যেনো ভীষণ পেয়ে যায়।

এ কোন হার'ই না,
বাংলাদেশ মানে যে কোনো দলের স্বপ্নে হানা!
তৃপ্ত হও এই ভেবে যে, নিজেদের দেশে উপুর্যুপুরি হেরে গিয়ে ছেলে গুলো অাবার নিজেদের ফিরে পেলো।
#খেলা_বাকি
#দেখা_হবে_রে
#RiseOfTheTiger

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: হেরে গেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.