নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দেশ

রুবেল১৯৮৭

আমি বিশ্বস করি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ কিন্তু ধর্মহীনতায় নয়।

রুবেল১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৭১ সালের কিছু পত্রিকার খবর সমূহ পর্ব ২

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩৩

কমনওয়েলথ সংসদীয় সম্মেলনের রায়

বঙ্গবন্ধুর মত কালজয়ী নেতাকে আটক রাখা অন্যায়

(বিশেষ সংবাদ দাতা)

সম্প্রতি কুয়ালামপুরে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারী এসাসিয়েশনের ১৭তম সম্মেলনে বাংলাদেশে ইসলামাবাদের জঙ্গী চক্রের বর্বরতম গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ক্ষোভ এবং ধিক্কারধনি উচ্চারিত হইয়াছে। বাংলাদেশের নিরস্ত্র নিরীহ মানুষের উপর ইসলামাবাদ সামরিক জান্তার জঘণ্যতম সশস্ত্র হামলার প্রতি তার ঘৃণ্য প্রকাশ এবং সমালোচনা করিয়া বক্তৃতাকালে সম্মেলনে যোগদানকারী কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলির পার্লামেন্ট সদস্যগণ অবিলম্বে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমাধানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

যুক্তরাজ্যের শ্রমিকদলীয় কমনওয়েলথ সংক্রান্ত ভূতপূর্ব মন্ত্রী এবঙ প্রখ্যাত পার্লামেন্টারিয়ান মিঃ আর্থার বটমূলী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষের কণ্ঠ বলিয়া স্বীকার করিয়া লইয়া তাঁহাকে অবিলম্বে মুক্তিদানের জন্য জঙ্গী ইয়াহিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। মিঃ বটমলী সুবিস্তৃত বৃটিশ সাম্রাজ্যের পতনের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করিয়া বলেন, ভারতসহ সম্মেলনে যোগদানকারী ২৩টি দেশই এককালে বৃটিশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। সাবেক বৃটিশ ইতিহাস হইতে এই সকল দেশ যে শিক্ষা লাভ করিয়াছে তাহাতে এই কথাই স্পষ্ট হইয়া উঠে যে, শেখ মুজিবর রহমানের মত কালজয়ী নেতাকে আটক রাখা উচিত নয়।

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখযোগ্য যে, ইসলামাবাদের পক্ষ হইতে কোন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগাদান করে নাই। কারণ, পাকিস্তানে গণতন্ত্রের কোন অস্তিত্ব নাই। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান সুলতান আবদুল হালিম এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে যোগদানকারী ২৩টি দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে ভারত, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া প্রভৃতি ১৩টি দেশের প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশ সম্পর্কীত বিতর্কে অংশ গ্রহণ করেন। প্রাক্তন বৃটিশ মন্ত্রী মিঃ বটমলী তাঁহার ১০ মিনিটকাল স্থায়ী ভাষণে বাংলাদেশ সমস্যা এবং শরণার্থী সমস্যার উপর আলোকপাত করেন।

উল্লেখযোগ্য যে, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত ইসলামাবাদের রাষ্ট্রদূত এই সম্মেলনে পাকিস্তানের আব্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়া আলোচনা না করার আবদার করিয়াছিল। কিন্তু রক্ষণশীল দলীয় বৃটিশ পার্লামেন্টারিয়ান স্যার রোনাল্ড রাসেল উহার দাত ভাঙ্গা জবাব দেন। তিনি বলেন, সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধির অনুপস্থিতির জন্য আমরা দোষী হইতে পারি না। পাকিস্তানে পার্লামেন্টারী ব্যবস্থা নাই। তাই তাহাদের সদস্যপদ আপাততঃ বাতিল রহিয়াছে। গায়েনার প্রতিনিধি মিঃ নিভাইলী জেমস বলেন যে কমনওয়েলথ দেশগুলির পাকিস্তানের ব্যাপারে আলোচনা করার অধিকার রহিয়াছে। কারণ, বাংলাদেশে নিষ্পেষন চালাইয়া ইসলামাবাদ চক্র নৈতিকতা ও ন্যায়নীতির সকল সীমা লঙ্ঘন করিয়াছে।

বাংলার বাণী ২১ মে, ১৯৭১

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.