![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্বোধ আর মতলববাজ। চরিত্র বিপরীত! সময়ে অথবা প্রায়শই এ দু'য়ের ভূমিকা হয়ে পড়ে অভিন্ন। দেশটার নাম বাংলাদেশ। আছে ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং তিন হাজার বছরের ভৌগোলিক সামাজিক আর রাজনৈতিক উত্তরাধিকার। স্বাধীনতার পর আমরা বিশ্বখ্যাত একটি সংবিধান পেয়েছিলাম। ছিলো তার মধ্যে দেশ ও জাতির জন্য চারটি মূলনীতিঃ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ। কিন্তু দুঃখের বিষয় ধর্মনিরপেক্ষতা আর জাতীয়তাবাদের কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা সংবিধানে দেয়া হয়নি। যার ফলে আজও এই দুটো নীতি নিয়ে চলছে নোংরা রাজনীতি আর বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি।
তাই মতলববাজরা, জাতিদ্রোহী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রকারীরা, ১৯৭১ সালের ১০ বছরের মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুরা তিন হাজার বছরের বাঙালি জাতির মাথায় সাইনবোর্ড লটকে দিয়েছে বাংলাদেশী জাতি বলে। গায়ের জোরে সাংবিধানিক স্বীকৃতি করিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশী জাতীয়তা। মূলত বিশ্ববাসী আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে দেখলো এ জাতির উভয় প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার এক নিকৃষ্ট হীন অপচেষ্টাকে। এ অপচেষ্টা হচ্ছে এই জাতির সত্ত্বাকে মুছে দেয়ার, তিন সহস্র বছরের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ঢেকে ফেলার। যেন ১৯৭১ এর আগে কিছুই ছিলো না এ জাতির। '৭১-এ জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ থেকেই এর যেন প্রথম যাত্রা শুরু।
মতলববাজদের এই অপচেষ্টার আড়ালে ঢাকা রয়েছে ওদের ঘৃণিত প্রত্যাখ্যাত চেহারা। ধর্মের নামে তথাকথিত ধর্মকে পুঁজি করে ব্যক্তিগত, গোষ্ঠীগত, সমপ্রদায়গত, কিংবা রাষ্ট্রীয়গত শোষণ, লুটপাট ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা সর্বোপরি কর্তৃত্ব বজায় রাখা। এরাই মুসলমানিত্বের জিকির তুলে ১৯৪৭ সালে ভারতকে খণ্ড বিখণ্ড করেছিলো, বিভক্ত করেছিলো সমৃদ্ধ বাংলাকে। সৃষ্টি হয় বর্বর ধর্মীয় প্রতারণার রাষ্ট্র পাকিস্তান! যে বর্বরতা আজো তাড়া করে চলছে রাষ্ট্রটিকে। মতলববাজ ধর্মব্যবসায়ী ও তাদের প্রভু-গডফাদাররা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মতো আরোও এক উদ্ভট মতলবি তত্ত্ব তৈরী করে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। বলে বেড়াচ্ছে, 'আমরা আগে মুসলিম তারপর বাঙালি'। সত্য চিরন্তন পথের দিশারী। আল কুরআনে সুস্পষ্টভাবে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে একটি জাতির ভাষাকে যার উপর ভিত্তি করে, যাকে কেন্দ্র করেই ওই জাতির অস্তিত্ব এবং এর কৃষ্টি-সংস্কৃতি। 'আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষি করে পাঠিয়েছি, তাদের কাছে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য' (১৪:৪), 'আর তাঁর নির্দশনাবলীর মধ্যে অন্যতম নিদর্শন আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে' (৩০:২২)। জ্ঞানীদের জন্য এরূপ সুস্পষ্ট নিদর্শন থাকলেও তা চোখে পড়ে না রাজনৈতিক ইসলামপন্থী অজ্ঞ নির্বোধদের। আল্লাহ্ যা বলার তা রাখ ঢাক না করে বলে দিয়েছেন। বলেছেন, 'কুরআন আমি তো আরবি ভাষায় অবতীর্ণ করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পারো' (১২:২)। আরও খোলাখুলিভাবে এও জানিয়ে দিয়েছেন, 'এইভাবে আমি তোমার উপর আরবি ভাষায় কুরআন অবতীর্ণ করেছি যাতে তুমি সতর্ক করতে পারো নগর অধিবাসীদেরকে ও তার আশে পাশে যারা বাস করে তাদেরকে আর সতর্ক করতে পারো সমবেত হওয়ার দিন সম্পর্কে, যার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই' (৪২:৭)। এটাই সত্য, এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতারই প্রতিফলন দেখা যায় আরবীয়দের মাঝে। তারা নিঃসংকোচে পরিচয় দেয় নিজেদের আরবীয় হিসাবে।
এদেশের প্রায় ১৫ কোটি বাঙালি মুসলমান। ঠেকে-ঠকে জেনেছে উপলব্ধি করেছে মুসলমানিত্ত্ব তাদের প্রথম পরিচয় নয় - বাঙালিত্ত্বই তাদের প্রথম পরিচয়। অক্ষমতা নির্বুদ্ধিতার বলেই হোক আর বিভ্রান্তির কবলে পড়ে হোক যারা বলতে চায় আমরা আগে মুসলমান তারা নিজের অজান্তেই নিজেকে জাতির কুলাঙ্গারে পরণিত করে তুলেছে - পরিণামে হয়ে উঠেছে জাতিদ্রোহী এমনকি ধর্মদ্রোহীও!
তাই এখনো সময় আছে। নিজেকে চিনুন। মা-মাতৃভাষা-মাতৃভূমিকে চিনুন। নিজের সংস্কৃতিকে চিনুন তাহলে যে ধর্মাবলম্বীই হোন না কেন তা সঠিকভাবে ধারণ-লালন-পালন করে সত্যকার ধার্মিক হতে পারবেন। নচেৎ শুধু অন্য ভাষায় লেখাপড়া করে তোতা পাখির মতো বুলি পড়ে ধর্ম পালন করলে নিজেকে নিজেই প্রতারণা করবেন। সুতরাং সত্যের পথে আসুন এবং শান্তির (ইসলাম) ঝাণ্ডা তুলে ধরুন যাতে ওই ঝাণ্ডা হেলে না পড়ে এবং দেশও বাঁচে।
২| ১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: ধর্মের প্রতি আপনার এলার্জির কারণ বুঝলাম না। আপনি যদি মুসলিম হন, তাহলে ইসলামের রীতিনীতি আপনাকে মানতে হবে। খুবই সিম্পল। যেমন, ইসলামে পর্দা করতে বলা আছে, পর্দা করতে হবে। আপনি বাংগালী হয়েছেন বলে শাড়ি পরে অর্ধেক পেট বের করে ঘুড়ে বেড়াবেন , সেটা করলে তো হবে না। ধর্মের সাথে বিশ্বাস জড়িত। আর বিশ্বাসের সাথে পরকালের হিসাব নিকাশ জড়িত। কাজেই ইসলামে যা নিষেধ তা বর্জন করতেই হবে। এজন্য যদি বাংগালী সংস্কৃতি কিছুটা বাদ পরে তাহলেও করার কিছু নাই। আর যদি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক না হয় তাহলে বাংগালী সংস্কৃতি কেন, চাইনিজ সংস্কৃতি পালনেও কোন সমস্যা নাই।
কতিপয় পথভ্রষ্ট নাস্তিক ছাড়া সকল বিশ্বাসী মুসলমানই মনে প্রানে চায় ইসলামিক শাসন তথা নবীজী ও খলিফাদের মত ইসলামী শাসন আসুক। কারণ সেটাই ইসলামের স্বর্ণযুগ।
কেউ যদি নিজেকে সবার আগে মুসলিম ভাবে, তাতে আপনার সমস্যা কোথায়? এটা মানুষের একান্তই বিশ্বাস আর নিজেস্ব চিন্তার ব্যাপার। আপনি কিভাবে এই সিদ্ধান্তে এলেন যে , তারা নিজের অজান্তেই নিজেকে জাতির কুলাঙ্গারে পরণিত করে তুলেছে পরিণামে হয়ে উঠেছে জাতিদ্রোহী এমনকি ধর্মদ্রোহীও!
আপনার কেন মনে হচ্ছে আপনার মত করেই সবাই কে চিন্তা করতে হবে? না করলে সে হয়ে যাবে কুলাংগার? এই ধরণের দৃষ্টিভংগী আজকাল বাংলাদেশের একটি বিশেষ প্রজাতির রাজনৈতিক সংগঠনের মানুষের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। আমি আপনার মত করে চিন্তা করবো না। সেটা আমার খুশি। আমার কাছে আমার ধর্ম সবার আগে এবং তার জন্য আমি গর্বিত। ইসলামের সাথে আমার জাতিস্বত্তার সেরকম কোন সংঘর্ষ হলে সেই জাতি স্বত্তা ত্যাগ করতে এক মুহুর্তও ভাববো না আমি।
ইসলামকে আড়াল করার যে প্রপাগ্যান্ডা আপনারা চালাচ্ছেন সেটা ইসলামকে এবং ধর্মপ্রান মুসলিমদের কেবল দৃঢ় আর ঐক্যবদ্ধই করছে। এটা কি বুঝতে পারছেন?
যদি আমার কমেন্টের উত্তর দিতে চান তাহলে ব্যক্তিগত আক্রমন করবেন না। নচেত শুধু আপনাদের আসল চেহারাই শুধু প্রকাশ পাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
পংবাড়ী বলেছেন: "
নচেৎ শুধু অন্য ভাষায় লেখাপড়া করে তোতা পাখির মতো বুলি পড়ে ধর্ম পালন করলে নিজেকে নিজেই প্রতারণা করবেন। সুতরাং সত্যের পথে আসুন এবং শান্তির (ইসলাম) ঝাণ্ডা তুলে ধরুন যাতে ওই ঝাণ্ডা হেলে না পড়ে এবং দেশও বাঁচে।
"
নিজ ভাষা শতকারা ৫০ জন পড়তে পারে না।