নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দেশ

রুবেল১৯৮৭

আমি বিশ্বস করি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ কিন্তু ধর্মহীনতায় নয়।

রুবেল১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

'এমন সমাজ কবে গো সৃজন হবে যেদিন হিন্দু-মুসলমান বৌদ্ধ-খ্রিস্টান জাতি-গোত্র নাহি রবে'

২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১২

ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে ভিন্নতা আছে কিন্তু ধর্মের মূলে কোন ভিন্নতা নেই। নানা পদ্ধতির মাধ্যমে একই চিন্তার বিকাশ সাধিত হয়েছে এবং একই সত্যকে প্রকাশিত করার প্রয়াস রয়েছে। বিশ্বের সকল মানুষ একই উপাদানে তৈরি। বংশ, বর্ণ, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে কোন পার্থক্য হয় না। দ্বীনের নবী (সা.) ঘোষণা দিয়েছেন - 'আদম সন্তানেরা সবাই সমান। স্রষ্টাপ্রেম ব্যতীত তাদের মধ্যে আর কোনো পার্থক্য নেই।' কোন মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করতে পারে না। মানুষে মানুষে পার্থক্য অর্জিত গুণের ভিত্তিতে হয়। রক্তে, বর্ণে, গোত্রে, গোষ্ঠীতে, ভাষায়, রাষ্ট্রে, মানুষের মধ্যে পার্থক্য নেই। মানুষে মানুষে বিভক্তি শয়তানের কাজ। বিভক্ত না করে শয়তান তার শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা সকল মানুষের রব। তিনি কেবল মুসলমানদের রব নন। কেউ দাবি করতে পারে না যে তিনি শুধুই আমার। তিনি সকলের। সমগ্র সৃষ্টি জগতের। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে স্ব স্ব পরিবেশে বড়-ছোট, গরীব-ধনী, শিক্ষিত-মূর্খ-জ্ঞানী সবারই কাম্য 'শান্তি'। তাই যুগে যুগে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে আবির্ভূত হয়েছেন স্ব স্ব জাতির মধ্যে পথ প্রদর্শক। বাংলার বুকে অন্য জাতি, অন্য ভাষা ও অপসংস্কৃতি যখন বারবার হানা দিচ্ছিল সেই সময় লালন সাঁঈজীর আবির্ভাব ঘটে। সাঁঈজীর দর্শনে রয়েছে - সবার উপরে মানুষ সত্য, মানুষ মানুষের জন্য। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর অমূল্য বাণী - 'এমন সমাজ কবে গো সৃজন হবে যেদিন হিন্দু-মুসলমান বৌদ্ধ-খ্রিস্টান জাতি-গোত্র নাহি রবে।' বাংলার আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয়ে বাঙালি জাতিকে দিয়ে আসছে দিক নির্দেশনা। গ্রাম বাংলার আনাচে-কানাচে সাঁঈজীর দর্শন বাংলার মানুষকে দেখালো নতুন দিগন্ত, নতুন প্রাণ যার ধারাবাহিকতা আজও বিদ্যমান।



লালন সাঁঈজী একজন বাঙালি। এই বাংলায় বাঙালিদের মধ্যে বাংলা ভাষায় শান্তি-ধর্ম প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন বদ্ধপরিকর। শান্তি-ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি যে দর্শন দিয়েছেন তা বাঙালি জাতিকে একটি উন্নত জীবনধারার সন্ধান দিয়েছে। সহজ সরল সাধারণের ভাষায়, কবিতার ছন্দে, গানের মরমী সুরে তিনি যে 'লালন সংস্কৃতি' সৃষ্টি করে গেছেন, তা বাঙালি জাতির অস্তিত্বের সাথে অবিচ্ছেদ্য। পৃথিবীর বুকে বাঙালি জাতির অস্তিত্ব যতদিন থাকবে, ততদিন লালনও থাকবেন স্মরণীয় এবং বরণীয়। পূজিত হবেন একজন অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার উর্ধ্বে 'শান্তি-ধর্ম' প্রচারক হিসেবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

দুঃখী__ বন্ধু বলেছেন: মহানবী কোথায় ঘোষনা দিয়েছেন,"আদম সন্তান ------কোন প্রার্থক্য নেই। " দয়া করে রেফারেন্স দিন। এমন কথা প্রথম শুনলাম। তা

২| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৪৬

সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: হবে না ! আপনার প্রথম কমেন্ট দেখেই আসা করি অনুধাবন করেছেন । যতদিন না আমি হিন্দু , আমি মুসলমান , আমি শ্রেষ্ঠ , আমি মহৎ , তুই তুচ্ছ ! তুই অচ্ছুত ! এই "আমি " যতদিন না যাবে !
সবই যে "তুমি" , আমিও তুমি তুমিও আমি যতদিন না আসবে , ততোদিন মনের শয়তান বিভেদ এর কাঁটাতারে সকল কে বেঁধে রাখবে ।

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:০১

রুবেল১৯৮৭ বলেছেন: সকল সৃষ্টির স্রষ্টা মহান রাব্বুল আল-আমীন এই পৃথিবীতে তাঁর খলিফা বা স্থলাভিষিক্তরূপে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আর খিলাফত পরিচালনা তথা পার্থিব ও পারলৌকিক শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকনির্দেশনা-সম্বলিত জীবন বিধান হিসেবে ইসলামি জীবন ব্যবস্থা বা ইসলামি দর্শনের উৎস হিসেবে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহ অবতীর্ণ করেছেন তার প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সঃ)-এর মাধ্যমে। আর জ্ঞানদান করার কারণে তাঁর সকল সৃষ্টির ওপর মানবজাতিকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেনঃ এই জ্ঞান দ্বারা মানুষ ভালো-মন্দ, সত্য-মিথ্যা দেখতে পারে, বুঝতে পারে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে। তিনি আলস্নাহ, যিনি তোমাদের জন্য জীবন ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, যেন পরীড়্গা করতে পারেন তোমাদের মধ্যে কারা সঠিক-সুন্দর পথে জীবন-যাপন করে (৬৭:২)। আলস্নাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসেবে সকল মানুষকেই ভালোবাসেন। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেছেন, হে! মানবজাতি, তোমরা তোমাদের প্রভুর নির্দেশ মেনে চলো, যিনি তোমাদের একই ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তা থেকে তার স্ত্রীকে সৃষ্টি করেছেন আর তাদের থেকেই বহু নর ও নারী বিস্তৃত করেছেন। (৪ঃ১)। ইসলামের মূল উৎস আল-কোরআনের উলেস্নখিত আয়াতের মাধ্যমেই ইসলামি দর্শনে বিশ্বমানবতার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
সৃষ্টি-জগতে মানবজাতি একটি জাতি। এই মানবজাতির মধ্যে বিরাজ করবে প্রেম-প্রীতি ও ভালোবাসা। সাম্প্রদায়িকতা নয় বরং সম্প্রীতি। ঘৃণা, নিন্দা, হিংসা, প্রতিহিংসা বা পশুত্ব নয় বরং মানবতা। মানবপ্রেম তথা সৃষ্টি প্রেমের মাধ্যমেই লাভ করা যায় মানবজীবনের কাঙিক্ষত লক্ষ্য, মহান স্রষ্টা আলস্নাহ রাব্বুল আলামীনের প্রেম। আর এটাই শিড়্গা দিয়েছেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর নবুয়তের ২৩ বছর তথা পার্থিব জগতের ৬৩ বছরের জীবনে। মহানবী (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা সবাই আদম সন্তান আর আদমকে বানানো হয়েছে মাটি দ্বারা। সুতরাং মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.