নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জয়ন্ত সরকার

জীবন যুদ্ধের ময়দানে একজন রণক্লান্ত ব্যর্থ সৈনিক।

জয়ন্ত সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুঃস্বপ্নের বিকেল

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫২

হ্যাঁ তুমিই বলেছিলে ব্রেকাপ করবে। তোমার বাবা কোন কোম্পানির কর্ণধারকে নাকি তোমার বর করতে যাচ্ছেন।
সেদিন বিকেলে আসতে বলেছিলে জামালখান মোড়ে। তোমার মুখে আমি খবরটা শুনে নিজের টাল সামলাতে পারিনি। লালচে হয়ে যাওয়া সাদা শার্ট আর জিন্সের সাথে বাইরে ফেলে রাখা স্যান্ডেল জোড়া পড়ে চলে এসেছিলাম। তুমি সিগারেট অপছন্দ করতে কিন্তু তোমার খবরটা শোনে আমার সিগারেট জিনিসটা খেয়েই মাথার প্রেশার কন্ট্রোলে রাখার চিন্তা করছিলাম। তুমি আসার ঠিক আগ মুহূর্ত অবধি সিগারেটটা টানলেও ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তোমার আসার সময় হওয়ায় সিগারেটটা ফেলে পুরো প্যাকেটটাই পিছনের পকেটেই লুকাই। তুমি রিক্সাতে করেই আসলে। যেখানে পুরো জামালখান রোড আমাদের একসাথে হেঁটে আসার কথা ছিলো সেখানে আজ আমি রাসেলের টং-এ বসে আছি আর তুমি রিকশায় চড়েই আসলে। যে তুমি আমাকে বলতে টং থেকে একশো হাত দূরে থাকতে সে তুমি আজকে আমাকে একটা টং-এ এভাবে উদ্ভ্রান্তের মতো বসে থাকতে দেখে বিন্দুমাত্র বিচলিত হলেনা। আমার উঠে দাঁড়ানোর সাহস থাকলেও কেন জানি মনে হচ্ছিলো খবরটা শোনার পর টং থেকে না উঠে যদি বিকালটা এখানেই তোমার মুখ না দেখেই
কাটিয়ে দিই তাহলে ভালো হয়। তবুও তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে উঠলাম। হাতে একটা কার্ডও নিয়ে এসেছো। কিছু জিজ্ঞেস করতেই তুমি বারবার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছো। বুঝতে দিচ্ছোনা সেই দুদিন আগেও তুমি আমার ছিলে, আমরা জামালখান রোড দিয়ে হাতের সাথে হাত ঘেঁষে কত পথ হেঁটেছি কত স্বপ্ন দেখেছি তোমায় নিয়ে। আজ তোমার বাবার মতের সাথে তোমার মত মেলানোটাকি এতই জরুরি ছিলো? পারতে না আমার উপর বিশ্বাস রাখতে? পারতে না স্বপ্নের পরিধিটাকে একটু বিস্তৃত করতে? হয়তো বাস্তবতা কঠিন হতো। তবুও মাথার উপরে গড বলে কেউ তো আছে। বেশি কথা না বাড়িয়ে তুমি চলে যাওয়ার তাগাদা দিচ্ছো। আরা আমি বেহায়ার মতো তোমাকে টং দোকানের চা অফার করছি! না তুমি ফিরিয়ে না দিয়ে আজকে লাল লিপস্টিকের ঠোঁটে করে সেই কাঁচের কাপে করে চা খাচ্ছো। আর আমি অবাক হয়ে চেয়ে থাকছি। বরং মনে হচ্ছে নতুন ভাবেই তোমার প্রেমে পড়ছি। না আমি পড়ে কি করবো, তুমি তো কদিন বাদেই অন্য কারো হবে। তুমি শেষ দেখা বলে বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছ আর আমি তোমার দিকে চেয়ে রইলাম। না শেষবারেও তুমি পিছনে ফিরে দেখলে না। কার্ডটা আমার পাশের বেঞ্চে যে রেখে গিয়েছিলে তা খেয়ালই ছিলোনা। কার্ড খুলেই পাগলের মতো বরের নামের দিকে দেখলাম। অনেক লম্বা ঠিকানা। অনেক বড় পয়সাওয়ালা। অনেক ধনসম্পত্তির মালিক। না সে পারবে না। সে পারবেনা আমার সাথে বাজি লড়তে, সে পারবেনা তোমার হাসির জন্য আমার মতো লড়তে। তবুও বিয়ের পিঁড়িতে তাকেই বসতে হচ্ছে। আমি কার্ডটা প্যাকেটে ঢুকিয়ে নিলাম। তোমার পথের দিকে তাকাতেই দেখি অনেকটা দূরে চলে গিয়েছো তুমি অনেকটা দূরে। একটু পর তুমি মিলিয়ে গেলে। আমি অবাক হয়ে চেয়ে থাকলাম।
গোল্ডলিফের প্যাকটের ভেতরের ওজন ক্রমাগত কমছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ফ্যান ফ্যান শুনতে শুনতে মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

জয়ন্ত সরকার বলেছেন: ফ্যানফ্যানের পিছনে ফিলিংসটা বুঝলেন না।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১২

রাজিব ওয়াহিদ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৯

জয়ন্ত সরকার বলেছেন: ☺☺

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৪৪

রাজসোহান বলেছেন: এতো কান্নাকাটি করতেছেন কেন /:)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩

জয়ন্ত সরকার বলেছেন: তার পেছনে ব্যয় করা প্রতিটি মুহূর্তের কথা ভেবেই।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:১২

আরাফআহনাফ বলেছেন: যে যাবার সে চলে যাবে,
যে থাকার, সে কক্ষনো যাবে না।

সে থাকার ছিলো না হয়তো!
নজরুল চত্তর খুব মনে পড়লে হতাশ হবেন না, জানবেন ভুল পাত্রে আপনার ভালোবাসা রেখেছিলেন।

ভালো থাকুন।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

জয়ন্ত সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.