নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জয়ন্ত সরকার

জীবন যুদ্ধের ময়দানে একজন রণক্লান্ত ব্যর্থ সৈনিক।

জয়ন্ত সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংখ্যালঘুর প্রতি বিদ্বেষ নাকি জাতিগত দাঙ্গা?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০১

আগে তো অনেক কিছুই ছিলো। বর্তমানের কিছু উদাহরণ দিই,
.
চাঁদে আসলো সাঈদী, ধার্মিকরা ধর্মীয় অনুভূতিতে টান খেলেন আর অত্যাচার চালালেন দেশের সংখ্যালঘুদের উপর। পুড়িয়ে দিলেন ঘরবাড়ি।
দেশের নিউজ চ্যানেল গুলোতে খবরটা এসেছিলো। কিন্তু উনারা আবার সংখ্যালঘুদের অনেক দোষত্রুটিও বের করে ফেললেন।
.
৫ ই জানুয়ারি নির্বাচনে আমার এক আত্মীয়ের কাছে ফোন করে ভোট দিয়েছে কিনা তা জানতে চাওয়া হলে তারা জানান যে, তাদের বিল্ডিং-এ হিন্দু ভাড়াটে বেশি থাকার কারণে জামাত সমর্থিত জমিদার তাদেরকে ভোট দিতে যেতে দেয়নি। কারণ ছিলো হিন্দুরা "দলকানা" এবং তারা বেশিরভাগই নৌকার সমর্থক। এবং যদি কেউ জমিদারের কথা অমান্য করে ভোট দিতে যায় তবে সেক্ষেত্রে সেসব ভাড়াটেদের কাছ থেকে পরের মাস থেকে ঘর ভাড়া ১০০০ টাকা করে বাড়ানো হবে।
আচ্ছা, গণতান্ত্রিক দেশে ভোট দেওয়াটা মানুষের অধিকার না? অথচ ভোটের সময় দেখা যায় এরকম প্রেসার ক্রিয়েট করে প্রায় এলাকাতেই ভোট থেকে মানুষকে দূরে রাখা হয়।
.
কয়েকদিন আগে ফর্মে থাকা এক ছাত্রনেতা ঘোষণা দিলেন যে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদকে বিলুপ্ত করা হোক। কারণ হিসেবে ছিলো পরিষদে "ইসলাম" ধর্মের নাম না থাকা।
যদিও এটা শুধু একটা ঘোষণা ছিলো তবুও এটাকে এভাবে ফলাও করে বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, এখন সেই নেতার অনেক প্রভাব, ইভেন উনার অনেক কর্মীও উনার সাথে গলা মিলিয়েছেন। সংখ্যালঘুদের উপর ঘটে যাওয়া দুই-একটা হামলার ঘটনার জন্য এখনো ঐক্য পরিষদটাই লড়ে থাকে। এটার বিলুপ্তি মানে দেশের সংখ্যালঘুদের উপর অন্ধকার নেমে আসা।
.
আবার কয়েকদিন আগে রাস্ট্রধর্ম বাতিলের দাবিতে অনেকেই ফেসবুকে ইভেন্ট খুলে কিছু একটা করার ট্রাই করেছিলো। কিন্তু দোষটা সংখ্যালঘুদের উপরই এসে পড়লো। অনেকেই তাদেরকে বাজে ভাষায় গালিগালাজ করলো দেখলাম।
.
আচ্ছা, উপরের ঘটনা গুলো গত কয়েক বছরে সামনে না আসা কয়েকটা ভাইটাল ঘটনার অংশ বিশেষ। এছাড়াও অনেক ঘটনাই ঘটেছে যেটা আমরা পত্রিকা বা নিউজ চ্যানেলেই দেখেছি। আমি অতটা ধার্মিক নই। কিন্তু আমার নামের পাশে সংখ্যালঘু নামক একটা ট্যাগ আছে। এই ট্যাগের জন্য আমি ভয়েই থাকি। কারণ এই দেশের নামধারী ধার্মিকগণ এতটাই মডারেট হয়ে গেছেন যে তারা এখন সংখ্যালঘুদের হত্যা করতেই জানি বেশি মজা পান।
দিনশেষে আমরা সবাই হিপোক্রেট বনে যাই।
আসলে আমরা কি আসলেই সংখ্যালঘু বিদ্বেষী নাকি আমাদের মধ্যে দাঙ্গাবাজির চিন্তাধারা আছে?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

অজানা আমি ৭১ বলেছেন: এই দেশের জন্যই আমাদের পূর্বপুরুষরা রক্ত দিয়েছিল...আমরা এখন নিরব দর্শক... যেখানে সরকার মুক্তচিন্তকদের হুমকি দেয় সেখানে মুমিন বান্দারা তো দেবেই...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.