নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক লম্বা গলার কায়ান জাতি বা জিরাফ মেয়ে
একটি মেয়ে দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা গলায় পাঁচ থেকে সাত কেজি ওজনের এক ধাতব রিং এর হার পড়ে থাকছে। আমৃত্যু এই গলায় বাঁধা বোঝা নিয়েই তার জীবন কেটে যাচ্ছে। হয়তো ভাবছেন আমি আবার কাদের কথা বলতে বসেছি! আমি বলছি সেই সব হতভাগ্য মেয়েদের কথা যারা সারা বিশ্বে লম্বা গলার কায়ান জাতির মেয়ে বা জিরাফ নারী নামেই বেশী পরিচিত। চিড়িয়াখানার প্রানীদের মত টাকার বিনিময়ে যাদের মানুষজন কৌতুহলভরে দেখতে ছুটে যায়।
বেঞ্চে বসা মহিলাটির ধুসর মলিন চেহারায় ছাপ পরেছে তার অকাল বার্ধ্যক্যের, মায়ানমারের লেক ইনলেতে তোলা
মায়ানমারের লেক ইনলে ঘুরতে গিয়ে এক স্যুভেনীরের দোকানে দেখা মিলেছিলো দুজন জিরাফ নারী দুজনার। গাইডের সাথে কথা বলে জেনেছিলাম মুলত পর্যটক আকর্ষনের জন্যই তাদের দোকানের এক প্রান্তে এনে বসিয়ে রাখা হয়। কি অদ্ভুত মানুষের মানসিকতা। সেই দোকানে ঢুকতেই টেবিলে সাজিয়ে রাখা তামার সেই পাঁচ কেজির কন্ঠ হার যা আমি দু হাত দিয়েও তুলতে পারি নি। আমার ভাবতেও কষ্ট হচ্ছিল মেয়েগুলো তাদের নরম মোলায়েম কন্ঠদেশে এই হার সারাজীবন পড়ে থাকে কি করে!
আর দশটি সাধারন মানুষের মতই পোশাক পড়া বৃদ্ধাটি ঝুম দুপুরে দোকানে বসে বসে কাপড়ে নকশী কাজ করছে
কায়ান মেয়েদের পাঁচ বছর বয়স হলেই এই ভারী ধাতুর তৈরী রিং এর মত হার পড়া শুরু করে। আর বছরের পর বছর ধরে এই রিং এর পরিমান বাড়তেই থাকে।এ অলংকার শুধু তাদের গলাতেই আছে তা কিন্ত নয়, এটা তাদের দুই হাত পায়েও আমৃত্যু জড়িয়ে আছে বেড়ীর মত করে। মেয়েদের এই লম্বা গলা বানানোর বেশ কিছু মতবাদ থাকলেও আমাদের গাইড জানালো মুলত সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিই এর প্রধান কারন। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছে এই ভারী ধাতব রিং কায়ান মেয়েদের গলা লম্বা না করে তাদের দু কাধের হাড়কে দু দিকে অস্বাভাবিকভাবে ঢালু করে দেয়। যার ফলে তাদের গলা লম্বা বলে মনে হয়। আর এটাই চালচলনে স্থবির কায়ান নারীদের স্বল্পায়ুর অন্যতম একটি কারন বলে তারা উল্লেখ করেছে।
কাঠের পুতুলও পরে আছে সেই স্বর্নালী বেড়ি ।
নিজস্ব ভাষা আর সংস্কৃতি নিয়ে চিয়াং মাই এ বসবাসরত এই কায়ান জাতির আদি বসতি কিন্ত প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারের শান প্রদেশে। শানের সংখ্যাগরিষ্ঠ কারেনরা সমগ্র বিশ্বে ভয়ংকর এক নিষ্ঠুর জাতি হিসেবে কুখ্যাত। মায়ানমার থেকে আলাদা হয়ে নিজেদের স্বাধীন শান রাস্ট্র গড়ার জন্য কারেনরা ১৯৮০ সনে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করে।১৯৯০ সাল পর্যন্ত দশ বছর ব্যাপী চলমান এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আর সহিংসতাকে ক্ষমতাসীন বর্মী জান্তা বাহিনী কঠোর হাতে দমন করে। সে সময় কারেনদেরই এক উপগোষ্ঠি কায়ানরা বার্মা থেকে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে পালিয়ে আসে।বসতি গড়ে তোলে থাই উত্তর সীমান্তবর্তী পাহাড়ী অঞ্চল মায় হং সন, মুয়াং ও চিয়াং দাওতে। অধিকাংশ কায়ানদের মতে তারা মায়ানমারের চেয়ে এখানে অনেক সুখেই আছে।
সবুজ ধান ক্ষেত , দূরে সবুজ পাহাড়ের কোলে কায়ানদের গ্রাম যেখানে নেই হানাহানি কাটাকাটি
কিন্ত কায়ানদের সবাই কিন্ত মনে করে না এভাবে নিদৃষ্ট গন্ডীর মাঝে তারা সুখে আছে। বর্তমানে সচেতন কায়ান নারীদের অনেকেই জিরাফ নারী হয়ে টাকা আয়ের উৎস হতে চায়না। গলার হার খুলে তারা স্বাভাবিক আর দশটা মেয়ের মত সমাজে মিশে যেতে চায়, তাদের প্রতি মানুষের কৌতুহলী দৃষ্টি দেখতে চায় না। কেউ কেউ নিউজিল্যান্ড, সুইডেন এসব উন্নত দেশে নাগরিকত্ব নিয়ে চলে যেতে যায়। তাদের মতে থাই সরকার তাদের বের হওয়ার অধিকার না দিয়ে বাধ্য করছে তিনটি নির্দিষ্ট গ্রামে বসবাস করতে। ঠিক যেন আমাদের রোহিঙ্গাদের মতই তাদের অবস্থা।
সাত কেজির ধাতব হার না পরলেও নিজস্ব ঐতিহ্যে সাজ পোশাক পড়া এক কায়ান মহিলা
অনেকের মতে বিভিন্ন ট্যুরিষ্ট কোম্পানীর যোগসাজশে থাই সরকার তাদের দেশ ত্যাগে বাধা দিচ্ছে কারন তাদের দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ আয়। থাই সরকারের বিরুদ্ধে তাদের এই অভিযোগ আমি অবশ্য বিশ্বাস করি না। তবে বেশ কিছু সামাজিক সংগঠন এভাবে কায়ান নারীদের প্রদর্শন করে টাকা আয় বন্ধের জন্য গত কয়েক বছর ধরেই সোচ্চার ।
এই হলো আমার জানা মতে কায়ানদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ।
কায়ানদের গ্রামে যাবার কাঁচা মাটির পথ
আমরা এখন হাইওয়ে থেকে এক কাঁচা রাস্তা ধরে এগিয়ে চলছি কায়ান গ্রামের উদ্দেশ্যে। দু পাশে সবুজ ধানের ক্ষেত, দূরে দূরে দু একটা বাঁশের বাড়ীঘর চোখে পড়ছে। কাছে আসতেই এক গ্রামের কিনারে হাজির হোলাম। গাইড জানালো এটাই আমাদের গন্তব্য লম্বা গলার মেয়েদের গ্রাম।
দরিদ্র জাতি গোষ্ঠি পরবাসী কায়ানদের এক গ্রাম
ঘাসহীন এবড়ো খেবড়ো কাঁচা মাটির এক চত্বরে বড় বড় কিছু গাছ আর তারই মাঝে মুকুল আসা পরিচিত দু একটা লিচু গাছও দেখতে পেলাম। গাছের ছায়ায় কিছু স্থানীয় পুরুষ বসে আছে। আরো কয়েকটি পর্যটক নিয়ে আসা ভ্যানও দাঁড়িয়ে আছে সেখানে।
ভাঙ্গা চুড়া ঘরদোর হলেও বাসায় বাসায় পাখীর খাঁচা
চত্বরটি একটু ঢালু হয়ে নীচে নেমে গেছে যেখানে কিছু বাঁশের ঘরের পেছন দিকটা দেখা যাচ্ছে। নেমে দেখি মাটির রাস্তার দু ধারে দশ বারোটা ছোট ছোট ছাপরা অস্থায়ী দোকান । আর সেখানে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়া কায়ান মেয়েরা নিজ হাতে তৈরী জিনিসপত্রের পশরা সাজিয়ে বসেছে পর্যটকদের কাছে তাদের পন্য বিক্রীর আশায়।
নিজেদের হাতে তৈরী জিনিস
তার মাঝে তাঁতে তৈরী সুতি কাপড়ের কায়ান পোশাক, চাদর, ব্যাগ, কোমর বন্ধনী আর অপুর্ব নকশায় নির্মিত তাদের টুপি। এতে নানা রঙের সুতোর কাজ ছাড়াও রঙ বেরঙের পুতি, কড়ি আর রুপার চাকতি লাগানো রয়েছে। আরো ছিল নানা রঙের অল্প দামের পাথরের মালা, ব্রেসলেট, কাঠের তৈরী বিভিন্ন শো পিস।
উপরে সাজানো রুপোর পাত লাগানো টুপি যা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের এক উপকরন সাথে কাপড়ের পুতুল
আমি টুকটাক দু একটি জিনিসের সাথে বাঁশের তৈরী একটি কলমদানী কিনলাম।
নিজ হাতে তাঁতে বোনা চাদর ঝুলিয়ে রেখেছে ক্রেতাদের নজর কাড়তে , তবে রঙ আর বুননে নজর কাড়াই বটে
আপনি ইচ্ছে করলে দর্শনীর বিনিময়ে তাদের পোশাক পড়ে তাদের সাথে ছবি তুলতে পারবেন। তবে হিউম্যান জ্যু হিসেবে ছবি তোলাতে যে তাদের অস্বস্তি হয় তা বোঝা যায় তাদের আচরনে। তাদের তৈরী জিনিস কেনা কাটার চেয়েও তারা বেশি খুশী হয় আপনি যদি কোনো ভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
অস্থায়ী দোকানে পন্য সাজিয়ে দাঁড়িয়ে আছে হার না পরা নিজস্ব ঐতিহ্যের পোশাকে এক গরবীনি বিক্রেতা
উল্লেখ্য যে এসব দোকানে কোন লম্বা গলার মেয়ে নেই। তাদের দেখতে এবং তাদের সাথে ছবি তুলতে হলে কাছেই তাদের বাসায় যেতে হবে। আর্জেন্টিনার দুজন সহ-পর্যটক ৩০০ বাথের বিনিময়ে তাদের সাথে ছবি তুলে এনে আমাকে দেখিয়েছিল।তাদের একজন স্পেনীশ ভাষায় বই লিখবে থাইল্যান্ড ভ্রমনের উপর।
পশ্চিমা এক নারী পর্যটক অত্যন্ত রূঢ় ভাবে মেয়েটিকে টেনে নিয়ে ছবি তুলতে লাগলো। পর্যটক হিসেবে লজ্জিত আমি তার সেই কঠিন চেহারাটি ঢেকে দিয়েছি আমার অপটু তুলির আঁচড়ে
এবার আমাদের গন্তব্যের নাম মে সাই এ হচ্ছে থাইল্যান্ড আর মায়ানমা্র বর্ডার এলাকার নাম। মজার ব্যাপার হলো থাই ভাষায় মেসাই শব্দের অর্থ না। উদাহরণ হিসেবে বলি আপনি যদি চা বা কফিতে চিনি না চান তবে অর্ডার দেয়ার সময় বলবেন “মেসাই নামতান” অর্থ চিনি দিও না (no sugar ) । চিনি দুধ আলাদা করে দিলে আপনাকে আর কোন হ্যাপা পোহাতে হবে না ।
থাইল্যান্ডের উত্তর প্রান্ত ঘেষে শেষ সীমানা তোরন
কায়ান গ্রামের মাটির পথ ছেড়ে আমরা এগিয়ে চলেছি মসৃন পাকা রাস্তা দিয়ে মেসাই এর দিকে। অবশেষে দূর থেকেই চোখে পড়লো ঐতিহ্যবাহী থাই নকশার এক সুদৃশ্য স্বর্নালী তোরন সেটা উত্তর থাইল্যান্ডের শেষ সীমান্ত বলে উল্লেখ করা আছে। তোরনের পরেই ছোট একটি খালের উপর সেতু যা দুটি দেশের মাঝে নোম্যান্সল্যান্ড হিসেবে চিনহিত। চারিদিকে কাটাতারের বেড়া দেয়া দুদেশের পতাকা খচিত সেই সেতুর বন্ধ গেটের বাদিকে থাই ইমিগ্রেশন অফিস।
নোম্যান্স ল্যান্ডে প্রবেশের গেট যার ডানদিকে কাস্টমস আর বা দিকে ইমিগ্রেশন অফিস ।
আপনি যদি কিছুক্ষনের জন্য এ পথে মায়ানমারের যেতে চান তাহলে থাই ইমিগ্রেশন অফিসে আপনার পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। অল্প সময়ের মাঝেই বিনা হয়রানিতে পাসপোর্টে সীল লাগানো হলে হেটে চলে যান ব্রিজের আরেক মাথায় মায়ানমার ইমিগ্রেশন অফিসে। তারা মাথাপিছু ৫০০ বাথের বিনিময়ে আপনাকে মায়ানমারে প্রবেশের অন এরাইভ্যাল ভিসা দেবে।
মেসাই এর থাই ইমিগ্রেশন অফিস
হাতে পাসপোর্ট নিয়ে এক পা ফেলতেই আপনি এসে পরলেন মায়ানমারের বর্ডার সংলগ্ন শহর তেচেলিক ( Tachileik )।তবে সেখান থেকে আরো ভেতরে যেতে হলে আপনাকে নতুন করে পারমিট নিতে হবে।তেচলিক থেকে ঘুরে ফিরে আসার পর থাইল্যান্ড ইমিগ্রেশন অফিস আপনাকে থাইল্যান্ড থাকার জন্য মাত্র ১৫ দিনের ভিসা দেবে। সুতরাং আপনি আগেই হিসাব করে নিন বাকি ১৫ দিনে আপনি থাইল্যান্ড ট্যুর শেষ করতে পারবেন কিনা ?
থাই মায়ানমার এর মেসাই তে নোম্যান্স ল্যান্ডের উপর ব্রীজ
এখানেও গাইড আমাদের সময় দিয়েছিল ১৫ মিনিট।তাই আমরা নো ম্যান্স ল্যান্ডের ঐ ব্রীজের আশে পাশেই ঘুর ঘুর করে ফিরে আসলাম পথের দুপাশ ঘেষা পর্যটকের উপচে পরা ভীড়ে ভারাক্রান্ত দোকানগুলোতে।
রাস্তার দুধার ঘেষে দোকানের সারি যা পথেও চলে এসেছে ।
মায়ানমারের দামী রত্ন রুবী, নীলা থেকে শুরু করে সবুজ জেডের বিশাল সম্ভার সাথে তানাকা আর আচারে ভরা দোকানেগুলোতে তানাকা মাখা মেয়ে কর্মী দেখে বুঝলাম এরাও জাতিতে মায়ানমারের। দেখতে দেখতে কখন পনের মিনিট কেটে গেলো টেরই পাইনি। গাইড যখন আমাদের খুজতে আসলো তখন আমার সহ-পর্যটক তার ব্যাক্তিগত সংগ্রহের জন্য পাথরের ছোট ছোট হাতি খুজছিল।কিন্ত সময়াভাবে কিনতে না পারায় সেই আক্ষেপ তার এখনো রয়ে গেছে ।
এবার আমাদের চুড়ান্ত গন্তব্য গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল যার জন্য এতদুর আসা।
স্বপ্নের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল
চলবে..
শেষটি ছাড়া সব ছবি আমাদের ক্যামেরা আর মোবাইলে তোলা
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
জুন বলেছেন: প্লাসের চেয়েও বেশী খুশী হয়েছি পোষ্টটি পড়েছেন বলে বিজন রয়
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: দ্বিতীয় প্লাস +++
অনেক সুন্দর ছবি ও সুন্দর বর্ণনা।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
জুন বলেছেন: অতঃপর হৃদয় পোষ্টটি পড়া মন্তব্য আর প্লাস দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই ।
সাথে থাকবেন আগামীতেও সে আশায়
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭
মানবী বলেছেন: গহনা জিনিসটাই অধিকাংশ সময় আমার কাছে বোঝার মতো মনে হয় আর মালা বা কন্ঠাহার তো ১০০% বোঝা- যদিও মালা যতোখানি সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে আর কোন গহনা করেনা বলেই মানি। তারপরও এতো কষ্টের কোন অর্থ নেই মনে করি সেখানে এধরনের জিরাফ নারীদের সাথে এমন আচরন নিঃসন্দেহে নির্মম আর অমানবিক।
আফ্রিকার আদিবাসীদের এধরনের মালা পড়ে থাকতে দেখেছি, মায়ানমারেরটা নতুন করে জানা হলো।
বড়দের জন্য যেখানে এধরনের ভারী মালা নির্যাতনের সমান সেখানে পাঁচ বছরের শিশু কিভাবে সারাক্ষণ এমন ধাতব বেড়ি পড়ে ঘুরে ভাবতে শিউরে উঠছি।
ভালো লাগলো জেনে বিনোদনের জন্য গিয়েও এই নিষ্ঠুরতা আপনাকে পীড়া দিয়েছে।
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জুন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮
জুন বলেছেন: গহনা জিনিসটাই অধিকাংশ সময় আমার কাছে বোঝার মতো মনে হয়
আপনি একটি সত্যি কথা বলেছেন মানবী । আমারতো চুড়ি মালা এসব পরলে গলা হাত ভারী হয়ে আসে । আফ্রিকার আদীবাসীরা তো হালকা পুতি বা কাঠের মালা পড়ে । কিন্ত এমন পাঁচ সাত কেজির ধাতব মালা যা আমি দুহাতে তুলতে পারি নি । প্রথম ছবিটায় আমি তার পাশে দাঁড়িয়ে তুলেছি । কিন্ত তার ম্লান মুখটা এখনও আমার চোখে ভাসে ।
পোষ্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দিয়েছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে । সিরিজটার সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
অফটপিক ঃ ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য আপনার হুক্কা পোষ্ট পড়ার পরেও মন্তব্য করতে পারছি না ঃ(
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১১
বিজন রয় বলেছেন: জুন আপা তখন পোস্ট পড়িনি, কিন্তু এখন পড়লাম।
আপনার জীবনের সব বিচিত্র অভিজ্ঞতা আমাদের শেয়ার করেন, সেটা আমার অনেক ভাল লাগে।
ভিন্ন রকম মানুষের ভিন্ন জীবন সম্পর্কে জানতে পারি।
অনেক অনেক ভাল থাকবেন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫
জুন বলেছেন: ওহ আচ্ছা আমি বুঝতেই পারিনি যে আপনি পড়ার সুযোগ হয়নি বিজন রয়
কোন শো অফ করার জন্য নয় , শুধু মাত্র আমি যা স্বচক্ষে দেখেছি তা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ।
পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ । সমাপ্তি পর্যন্ত সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশাই রইলো ।
শুভেচ্ছা সন্ধ্যার ।
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮
সানজিদা আয়েশা শিফা বলেছেন: দারুণ লিখেছেন, পুরোটা শেষ করলাম এক টানে। এখন মনে হচ্ছে নিজেই গিয়ে ঘুরে আসি ওখানে।
সুন্দর লেখনীর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং শুভকামনা
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১
জুন বলেছেন: স্বাগত আমার ব্লগে সানজিদা আয়েশা শিফা ।
পুরো পোষ্ট পড়েছেন তারপর মন্তব্য সত্যি অনেক অনেক ভালোলাগলো জেনে ।
সাথে থাকবেন সিরিজটির সেই কামনাই করি ।
সন্ধ্যার শুভেচ্ছা আপনার জন্য
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫
মানবী বলেছেন:
আফ্রিকার আদিবাসী মহিলারা পুথির মালা পড়ে তা ঠিক তবে তাঁরা বিভিন্ন ধাতব পদার্থের ভারী মালাও পড়েন।
আমার পোস্টটির নাম "হুক্কা পোস্ট" দিয়েছেন জেনে খুব মজা পেলাম :-)
ভালো থাকুন জুন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০
জুন বলেছেন: মানবী এদের ছবি দেখেতো ঠিক সেই লম্বা গলার কায়ান নারীদের মতই লাগছে । রুপো আর স্বর্নের তৈরী সেই একই রকম রিং । তবে এগুলোর ওজন ৫ থেকে ৭ কেজি কিনা জানতে হবে আসলে ওদের শারিরীক গঠন অনেক শক্তীশালী সেই ক্ষুদ্রাকৃতির এশীয় নৃগোষ্ঠীর কায়ান মেয়েদের কাছে । তাই এই স্বর্ন আভরন তারা সহ্য করতে পারলেও কায়ান মেয়েরা পারে কি না সন্দেহ । এটা নাকি তাদের অকাল মৃত্যুর ও কারন মানবী ।
যাই হোক আমরা যে এর হাত থেকে বেচে গেছি এটাই শুকরিয়া । তবে তাদের জন্য খারাপ লাগে ।
পোষ্টে আবার আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । সাথে থাকবেন সিরিজটির সেই কামনায় ।
শুভেচ্ছা সন্ধ্যার
৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: জিরাফ মেয়েদের কথা আগে জানা ছিল না। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পোষ্ট। অনেক ভাল লাগল জুন আপু।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকব।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০
জুন বলেছেন: লম্বা গলার কায়ান মেয়েদের কথাটা জানাতে পেরে আমারো অনেক ভালোলাগলো মোস্তফা সোহেল ।
খুব তাড়াতাড়ি পরের পর্বটি দেবো । সাথে থাকুন
শুভকামনা রইলো
৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০
শামছুল ইসলাম বলেছেন: কায়ান নারীদের করুণ কাহিনী হৃদয় ছুঁয়ে গেছে । তবে আশার কথা, নতুন প্রজন্মের কায়ান নারীরা সাত কেজি ওজনের ধাতব রিং পড়ে পর্যটকদের মনোরঞ্জন করে জীবিকা নির্বাহ করতে চায় না । ভ্রমণের সাথে সাথে ইতিহাসকেও আপনি যেমন নির্মোহ ভাবে উপস্থাপন করছেন, তাতে ভালোলাগার পরিমাণটা অনেক বেড়ে যাচ্ছে ।
"পশ্চিমা এক নারী পর্যটক অত্যন্ত রূঢ় ভাবে মেয়েটিকে টেনে নিয়ে ছবি তুলতে লাগলো । পর্যটক হিসেবে লজ্জিত আমি তার সেই কঠিন চেহারাটি ঢেকে দিয়েছি আমার অপটু তুলির আঁচড়ে " - আপনার অপটু হাতের আঁকায় হয়তো ক্রুটি রয়ে গেছে, কিন্তু আন্তরিকতার কোন কমতি আমি খুঁজে পাইনি । এমন করে হৃদয় দিয়ে মানুষকে দেখলে, সে লেখা প্রিয়তে না নিয়ে উপায় থাকে না ।
পোষ্টে প্লাস ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
জুন বলেছেন: শামসুল ইসলাম বহুদিন পর মনে হলো আপনি আমার পোষ্টে এসে এত আপন করে মন্তব্য করেছেন যা আমার হৃদয় স্পর্শ করে গেলো । আমি শুধু কিছু ছবি দিয়ে আমার দেখা বা আমার জানাকে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই না। আমি চাই আমি যা দেখেছি শুনেছি তা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে ।
যেই মহিলার মুখে আমি মুখোশ একে দিয়েছি তার চেহারাটি সামনা সামনি দেখলে আপনি ভয় পাবেন। কি ক্রুঢ় নিষ্ঠুর । যা দেখতে যাবেন তার প্রতি আমাদের একটা আবেগ একটা আগ্রহ, সহানুভুতি এসব থাকতে হবে বলে আমি বিশ্বাস করি ভাই।
মনযোগ দিয়ে পড়েছেন , মন্তব্য করেছেন তার উপর প্রিয়তে আমি সত্যি অভিভুত ।
সামনের দিনগুলোতেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় রইলাম ।
শুভ রাত্রি ।
৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০২
সাহসী সন্তান বলেছেন: জাস্ট অসাধারণ একটা পোস্ট! তবে পোস্টটা পড়ে কিছু প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরছে আপু। প্রথমতো এরা গলায় ঐসব ভারী ধাতব রিং পরে একজন স্বাভাবিক মানুষের মত কি ঠিক-ঠাক ভাবে কথা বলতে পারে? আর দ্বিতীয়তো এদেরকে এভাবে ধাতব রিং পরাতে বাধ্য করে কারা?
আপনি বললেন মূলত পর্যটক আকর্ষণের জন্যই এদেরকে দোকানের এক পাশে এনে বসিয়ে রাখা হয়। কারা এনে বসিয়ে রাখে (?) থাই সরকার? কিন্তু সরকার তো আর দোকানদার হতে পারে না? তাছাড়া সে যে সরকারই হোক না কেন, একজন মানুষের ব্যক্তি-স্বাধীনতায় এভাবে হস্তক্ষেপ করার কোন অধিকার তো তার নেই। নাকি অভাবের কারণেই এরা এভাবে সাঁজতে বাধ্য হয়, এবং দোকানদাররা সেটার এ্যাডভান্টেজ নিয়ে তাদেরকে এভাবেই ব্যবহার করে?
তবে পোস্টটা পড়ে অন্তত এতটুকু বুঝতে পারলাম, সব দেশেরই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টিরা কিছুটা হিংস্র টাইপের হয়। হয়তো সংখ্যা গোরিষ্টদের কাছে নিজেদের প্রতিষ্টিত রাখতেই তারা মূলত এরকম করে। যাহোক, পোস্টে একটা ছবি দুইবার এসেছে; একটা ইরেজ করে দিয়ে নতুন একটা ছবি আপলোড দিলে ভাল হয়!
ইতিহাস সমৃদ্ধ চমৎকার পোস্টে ভালো লাগা আপু! শুভ কামনা জানবেন!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৬
জুন বলেছেন: হাই সাহসী কি ব্যাপার তোমাকে দেখি না কেনো ? কই আছো কেমন আছো শুনি ? অনেকদিন কোন পোষ্টও দাও না !
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই মন্তব্যের জন্য সাথে ভালোলাগার জন্য । তারপর আসি তোমার প্রশ্নের উত্তরে ।
তারা কথা বলতে নিশ্চয়ই পারে নইলে স্বামী সন্তানদের ক্যাট ক্যাট করছে কেমন করে ।
চিয়াং মাইতে আমি ঐ হার পরা মেয়েদের দেখতে যাইনি । কিন্ত ইনলেতে দেখেছিলাম , যা আমি দিয়েছি ১ নং আর ২ নং ছবিতে। এখানে কম বয়সী মেয়েটি ঐ বয়স্ক মহিলার সাথে দ্রুত লয়ে নিজস্ব ভাষায় কথা বলছিল । আর টুলে বসা মহিলাটির দিকে আমি এগিয়ে গেলে সে মৃদু হেসেছিল।
ধাতব রিং পড়াটা ওদের কালচার । এখন কে বাধ্য করে সেটাই কথা । মায়ানমারের গাইড মিঃ বো বো যে শুধু আমাদের দুজনের জন্যই এক্সক্লুসিভ ছিল তাকে জিজ্ঞেস করে যতটুকু জানতে পেরেছি তা হলো মেয়েরা স্বেচ্ছায়ই এই বেড়ি পরে থাকে সুন্দর হবার জন্য । এখানে বলতে হয় ইনলে সেই ভয়ংকর শান প্রদেশে আর হাসি খুশী বো বো সেই ভয়ংকর কারেন জাতির সদস্য যাদের উপজাতি হলো এই লম্বা গলার কায়ানরা । চিয়াং মাই এর গাইড এব্যাপারে কিছু বলতে পারে নি ।
থাইল্যান্ডে তাদের কোন দোকানে বসিয়ে রাখার প্রশ্নই আসে না , নিয়ম নেই । আমাদের বাস যে দোকানগুলোর কাছে থেমেছিল সেখান থেকে ঐ সব হার পড়া মেয়েদের বাসা একটু দূরে। কিছু উৎসুক পর্যটক সেখানে গিয়ে ছবি তুলে আনে ।এখন কথা হলো মেয়েরা স্বেচ্ছায় ছবি তোলে নাকি পুরুষ সদস্যদের চাপে পড়ে সেটা বলতে পারবো না সাহসী।
দোকানে বসিয়ে রাখে মায়ানমারে । তবে এমনভাবে রাখে যেন তারা নিজেদের আয়ের জন্য বসে আছে বা তাঁত বুনছে।
সব নৃগোষ্ঠি যে হিংস্র তা কিন্ত নয় । আমার কাজিন ঢাবির এনথ্রোপলজির শিক্ষক । বর্তমানে বাইরে পিএইচডি করছে । তার রিসার্চের জন্য সে দিনের পরদিন বান্দরবনের গহীন গ্রামে এক চাকমা পরিবারের সাথে থেকেছে । তারা ড়খন তার দ্বিতীয় পরিবার ।
হ্যা মুছে দিয়েছি । তারাহুড়ো করে লেখা । ছবি আপলোড করা নিয়ে সমস্যা, খুব শিগ্রী দীর্ঘদিনের জন্য বাইরে যাবার জন্য দৌড়াদৌড়ি । সব কিছু মিলিয়ে ছ্যাড়াব্যাড়া অবস্থা
দোয়া রেখো সিরিজিটি যেন সহি সালামতে শেষ করতে পারি । অনেক অনেক শুভ কামনা যেনো ।
আর নতুন পোষ্ট দিও
১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩১
পুলহ বলেছেন: কায়ানরা যে কারেনদের উপগোষ্ঠী এটা জানতাম না।
আমার জানামতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ম্রো/ মুরং রা এরকম গলার হার না পড়লেও বেশ ভারী ভারী গহনা পড়েন।
ভিন্ন সংস্কৃতির সাথে মানুষ আগ্রহী হয়ে পরিচিত হবে- এটাই স্বাভাবিক। তবে তার মধ্যেও শোভনীয়তা থাকা উচিত। হিউম্যান জু টাইপ অবস্থা বানিয়ে ফেলাটা সব দিক থেকেই বিব্রতকর। যেমনটা আপনিও আপনার লেখায় বলতে চেয়েছেন বোধ করি।
শুভকামনা জুন আপু।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৭
জুন বলেছেন: পুলহ আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়া ও মন্তব্যের জন্য । অনেক আদিবাসী মেয়ে এমনকি পুরুষরাও ধাতব বা পুতির মালা পড়ে বলে জানি বা দেখি । কিন্ত লম্বা গলা করার জন্য পরে কি না বিষয়টি জানা নেই । যেমন কায়ান মেয়েদের ক্রমাগত সেই অসম্ভব ভারী ধাতুর মালার রিং গুলো পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে ।
আমিও তাই দেখলাম ১৫ নং ছবিতে । অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ঢুকেই তাক থেকে কায়ান মেয়েরা পরে এমন একটা টুপি পড়লো তারপর দোকানী মেয়েটিকে ইশারা করলো দাড়াতে । হয়তো টুপিটি বিক্রীর আশায় লাজুক মেয়েটি ইতস্তত করে দাড়ালো। মেয়েটিকে পাশে নিয়ে কর্কশ গলায় সহ পর্যটককে নির্দেশ দিল ছবি তুলতে । তারপর টুপিটি ছুড়ে দিয়ে বেরিয়ে গেল দোকান থেকে । আমি নির্বাক হয়ে তাকিয়ে মাথা নীচু করে ফেললাম লজ্জায় ।
অনেক কথা লিখে ফেললাম হিউম্যান জ্যু কথাটি শুনে পুলহ । ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন সেই প্রত্যাশায় ।
শুভেচ্ছান্তে
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতার লেখা পড়ে ও ছবি দেখে ভালো লেগেছে কিন্তু জিরাফ মেয়েদের, এমন করুণ অবস্থার কথা জেনে ভীষণ খারাপ লাগচ্ছে । জিরাপ নারীরা যদি আমাদের দেশের কেউ হলে, অবশ্যই সবাইকে নিয়ে চিল্লা চিল্লি করে হলেও ওদের এ অভিশাপ থেকে মুক্তির ব্যবস্থার চেষ্টা করতাম । কিন্তু কি আর করা ।
ভালো থাকুন ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩২
জুন বলেছেন: জিরাপ নারীরা যদি আমাদের দেশের কেউ হলে, অবশ্যই সবাইকে নিয়ে চিল্লা চিল্লি করে হলেও ওদের এ অভিশাপ থেকে মুক্তির ব্যবস্থার চেষ্টা করতাম ।
শাহরিয়ার কবির ভালোলাগলো আপনার সচেতন মন্তব্যটিতে । কিন্ত গলায় হার পরে নির্যাতিত না হলেও আমাদের দেশের অনেক নারীরাই বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে কিন্ত । ওদের জন্য আমাদের একটু চিল্লা চিল্লি করা উচিত তাই না ?
খুব ভালোলাগলো আপনার আন্তরিক মন্তব্যটি পেয়ে । সাথে থাকবেন সিরিজের , অবসর প্রাপ্ত পেনশনভোগী কবি হয়ে থাকার কথা মন থেকে মুছে ফেলে
শুভকামনা সবসময়ের জন্য
১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯
ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপূ , কায়ানদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হল , সত্যি কথা ,লিখাটা অনেক ভাল লেগেছে আপু ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪
জুন বলেছেন: লেখাটি পড়া মন্তব্য আর ভালোলাগার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ওমেরা।
১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুন্দর একটি পোস্ট। ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা দেশ প্রেমিক বাঙালী। সাথে থাকুন আর ভালো থাকুন।
১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯
বর্ষন হোমস বলেছেন:
তারা এই মালা পরে কেন?তাদের কে কি পরার জন্য বাধ্য করা হয়?
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬
জুন বলেছেন: কেন পরে সে বিষয়ে সামান্য আলোকপাত করেছি বর্ষন হোমস। পোষ্টটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্ট ও ছবির জন্য । আপাতত প্রিয়তে ।পরে আবার আসব ফিরে ভাল করে দেখার জন্য , এখন আছি মায়ানমারে রত্ন পাথরের খুঁজে!!!
শুভেচ্ছা রইল ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫০
জুন বলেছেন: আপনার বিশাল এবং বিশ্লেষণ মুলক মন্তব্য পেতে অনেক ভালোলাগে ড: এম আলী। বসে থাকলাম আপনার রত্ন পাথর দেখার অপেক্ষায়। মায়ানমারে পথে পথে ছড়িয়ে আছে রত্ন। আর তাদের আছে অনেক স্বর্নখনি। তাই স্বর্নের অলংকারও খাটি।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
গলাউঁচো একটা বউ, বা এজাতীয় একটা কিছু, পেলে ভালো হতো। তাহলে উঁচু গলার কথাগুলো সহ্য করার একটা যুক্তি থাকতো।
কায়ানদের গ্রামের ওই মেঠোপথে কি আপনি হেঁটেছেন, জুন আপা? আপনি ভাগ্যবান।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪
জুন বলেছেন: হা হা হা ভালো বলেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল কি আর করবেন ছোট গলাতেই উচু গলা শুনতে থাকেন যখন কায়ান নারী বিয়ে করতে পারেন নাই
হ্যা ওই মেঠোপথে তো অবশ্যই হেটেছি আমি। ভাগ্যবতী তো বটেই। অনেকে বিলাত আমেরিকা ঘুরে যে সুখ পায় তার চেয়ে বেশি আমি পাই ঐতিহাসিক জায়গা ঘুরে ফিরে।
সাথে থাকবেন আগামিতেও
শুভকামনা রইলো
১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২
বিজন রয় বলেছেন: আপা, আপনার কোন কিছু শো অফ করার জন্য নয়, সেটা আমি জানি অনেক আগে থেকেই। আপনি সেটা করেনও না।
আর আমি ওভাবে ভাবিনা কখনো।
আপনার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে।
সবসময়ের শুভকামনা।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
জুন বলেছেন: বিজন রয় শো অফ করার কথাটিতে কি মনে কিছু করেছেন? আমি কিন্ত আপনাকে বিন্দু পরিমান মিন করেও কিছু বলি নি। এমনিতেই বলেছি জাস্ট কথার কথা। আজকাল মন খুলে কথা বলতেও বড় ভয় হয়। আপনার প্রতি আপনার লেখার প্রতিও রয়েছে আমার পুর্ন শ্রদ্ধা। ভালো থাকুন সবসময়।
১৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গলা উঁচু বলে তারা উচু গলায় কথা বলে কিনা কে জানে ?নোম্যান্স ল্যান্ডের উপর সেতু সত্যি দারুন। পোস্টে ভাললাগা আর জুনাপিকে ধন্যবাদ ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯
জুন বলেছেন: মনে হয়না সেলিম আনোয়ার। যতটুকু দেখেছি তারা ভীষণ চুপচাপ মৃদুভাষী। মন্তব্যের জন্যও অনেক ভালোলাগা রইলো। সাথে থাকুন সিরিজটি চলতে থাকা পর্যন্ত
১৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২
নীল-দর্পণ বলেছেন: মেয়েদের গলায় এরকম বেড়ী অমানবিক লাগছে ! আমি গলায় চেইন, হাতে চুড়ি/ব্রেসলেট পড়তে পারিনা অস্বস্তি লাগে, অস্থির লাগে। বেশি গরমে গলা ছিলে যায় আর এদের বছরের পর বছর এটা বহন করতে হয় !
শুনেছিলাম চীনের মেয়েদের পায়েও নাকি এরকম লোহার জুতা পরানো হতো । কী ভয়ানক সব নিয়ম! সব দেশে মেয়েদের জন্যেই এসব বেড়ী এরকম রীতি।
এত সুন্দর পোষ্ট তাও পড়তে পড়তে মন খারাপ হচ্ছিল কায়ান মেয়েদের কথা ভেবে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩
জুন বলেছেন: আমিও পারি না নীল-দর্পণ। ভীষন অস্বস্তি হয়। হ্যা একসময় চীনা মেয়েদের ছোট পা ছিল সৌন্দর্য এর প্রতীক। তার জন্য ছোটবেলা থেকেই মেয়ে শিশুদের লোহার জুতো পড়িয়ে রাখতো। এখন আর সেসব নেই।
পোষ্টট পড়া ও আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায়।
২০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো হলো পোষ্টটি পেয়ে। কারণ, এর আগে অনেকবার লম্বাগলার মেয়েদের ছবি দেখেছি নেটে, কিন্তু তাদের সম্পর্কিত তেমন কোন ধারণা জানতে পারিনি। আজ আপনার পোষ্ট পড়ে বোঝতে পারলাম অনেক কিছুই। সাথা থাই-মায়ানমার ঘুরার নিয়মাবলি। অনেক ভালো লাগলো।
শুভকামনা রইল আপনার 'স্বপ্নের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল' এর জন্য।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭
জুন বলেছেন: জী আমরাও দেখেছি নয়ন বিশেষ করে ন্যাশ জিও চ্যানেলে। আর তারপর থেকেই একটা কৌতুহল ছিল এ ব্যাপারে। তবে তাদের দ্রখিয়ে আতাকা আয়ের বিষয়টি অজানা ছিল আমার।
গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল নিয়ে খুব তারাতারি লেখার ইচ্ছে আছে। চলে যাবোতো তার জন্য।
ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন। অনেক ধন্যবাদ।
২১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
সোহানী বলেছেন: ও মাই গড আমরা কতটা নিষ্ঠুর! আগেরদিনে মেয়েদেরকে দমিয়ে রাখার কৈাশল হিসেবে এসব করা হতো কিন্তু তাই বলে এ যুগেও। আমরা কতটা অমানবিক, লোভী তার একটা উদাহরন মাত্র।
যাহোক আপনি আপনার স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন দেখে অসম্ভব ভালোলাগছে। প্লিজ আপু, যেভাবে আছি সুখে দুখেতো আছি একটা ভার্চুয়াল জগতে। ব্যাক্তি আপনাকে হয়তো চিনি না কিন্তু একজন ব্লগার আপনিতো অনেক কাছের, তাই প্রিয়জনদের হারাতে চাই না কখনই। আমি অনেক ব্লগে লিখার আমন্ত্রন পেয়েছি কিন্তু লিখিনা কারন আপনাদের ছেড়ে অন্য কোথাও দিন না কাটালে ভালোলাগে না। অদৃশ্য একটা সম্পর্ক।
যাহোক আপনার একেকটা লিখা মানে আমার নতুন কিছু জানা কারন আমার জানার পরিধি খুবই ছোট।
অনেক ভালো থাকেন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১২
জুন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন সোহানী। সৌন্দর্য এর নামে ঐতিহ্যের নামে কত অমানবিকতা। তবে সব দেশের আদিবাসীদের মধ্যে অনেক ভয়ংকর কিছু দেখা যায়।
লেখার প্রতি ভালোবাসাই আমাকে।টেনে রেখেছে বলতে পারেন সোহানী। তবে আমার খুব ইচ্ছে এই সিরিজটি ভালো করে শেষ করা।
আপনিও অনেক কিছু জানেন যা হয়তো আমি জানি না সোহানী। আপনার মাঝেও অনেক কিছু আছে যা আমার মাঝে নেই বলেই বিশ্বাস করি।
ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন সেই প্রত্যাশায়
২২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪
দ্যা ডন বলেছেন: অনবদ্য একটা পোস্ট! প্লাস তো অবশ্যই! খুব সুন্দর এবং চমৎকার লাগলো!
শুভ কামনা!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দ্যা ডন। সাথে থাকবেন শেষ পর্যন্ত সেই আশা করতে পারি।
২৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভার্চুয়াল ইবনে বতুতা
আপনার পাশে থেকে আমরাও কত কিছূ জানছি!
কত বিস্ময় পৃথিবীর কোনায় কোনায়!!!!!!!!!!!!!!!! বিস্মিত হওয়া ছাড়া গতি কি!!!!!!!!!
++++++++++++
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬
জুন বলেছেন: আমি আর কতটুকুই বা জানাতে পারি বিদ্রোহী। যতটুকু এই ক্ষুদ্র চোখে দেখি ঠিক ততটুকুই। তারপরও আপনারা পড়েন এপ্রিসিয়েট করেন তার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা। শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন শ্রী প্রত্যাশী। ধন্যবাদ অশেষ।
২৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর সব ছবি আর তথ্য সহ একটি সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপুনি আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সবসময়।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাফ মাহমুদুর রহমান দুজন। সব সময় পোষ্ট পাঠ আর মন্তব্য করে উতসাহিত করার জন্য। শুভকামনা নিরন্তর
২৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৯
শাহিন-৯৯ বলেছেন: ++++++++++++
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯
জুন বলেছেন: এত্তগুলো প্লাসের জন্য অনেকগুলো ধন্যবাদ শাহিন ৯৯। শুভেচ্ছান্তে
২৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৫
সুমন কর বলেছেন: আজ শুধু সুন্দর সব ছবি দেখে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২০
জুন বলেছেন: তাই সুমন কর? আর পড়তে আসবেন কবে তাহলে! আপনার সুচিন্তিত মতামতের অপেক্ষায়
২৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১০
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এই পুরো সিরিজটা যদি দীর্ঘ বর্ণনা সহকারে ও যথা সম্ভব কম ছবি দিয়ে লেখাটা যদি আমাকে পাঠাতে পারেন, আমি দেখি কই ছাপা যায়। সুতন্নি লাগবে না, তবে ওয়ার্ডে দিতে হবে এবং বর্ণনা দীর্ঘ হতে হবে।
শুভকামনা
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪
জুন বলেছেন: : বই বা লেখা ছাপানোর জন্য যা যা যোগ্যতা লাগে তার কোনটাই আমার মাঝে নেই তানিম। নিজের নামই যে মনে রাখতে পারে না সে আবার বই লিখতে বসবে কোন দু:সাহসে বলো
যতদিন বাচবো এই ব্লগেই যা পারি টুকটাক লিখবো।
শুভকামনা রইলো আমার পক্ষ থেকেও।
২৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩১
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ব্লগটি পড়ে অনেক খারাপ লাগছে । আমি অবাক হচ্ছি একটি সুস্থ মেয়ে সন্তানকে স্বইচ্ছায় প্রতিবন্ধী করে প্রদর্শন করা হচ্ছে । এর প্রতিবাদ করা উচিত ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮
জুন বলেছেন: সেটাই দৃষ্টিসীমানা। কালচারের নামে, ধর্মের নামে আদিবাসী গোত্রগুলোর মাঝে কত নিষ্ঠুর বর্বর আচরন টিভির বিভিন্ন ডকুমেন্টারিতে দেখতে পাই।
পোষ্টটি মনযোগী পাঠের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আলনাকে। সাথে থাকুন শেষ পর্যন্ত।
২৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৫
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: কায়ান মেয়েদের কথা এর আগেও অনেক শুনেছি! এবার আপনার পোস্টের মাধ্যমে আবার দেখলাম!
পোস্ট সুন্দর হয়েছে!
প্লাস!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১
জুন বলেছেন: হ্যা এদের নিয়ে টিভিতে বহু অনুষ্ঠান হয়েছে বিলিয়ার রহমান। আর এদের আমি স্বচক্ষে দেখেছি তাই ভাবলাম সবার সাথে শেয়ার করি।
ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। শেষ পর্যন্ত থাকবেন আশা রাখি
৩০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি আপু! আপনি কেমন আছেন? আর ইদানিং ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় আসলে সেভাবে ব্লগে আসা হয়ে উঠছে না। তাছাড়া যদিও বা দু'একবার উকি ঝুকি মেরে যাই, তো ঐ সামনে যে পোস্ট গুলো পাই তাতেই খামচা খানিক উরা-ধুরা কথা লিখে আবার ভো দৌঁড়!
আর নতুন পোস্ট হয়তো আপাতত দেওয়া সম্ভব হবে না আপু! কারণ ঐ ব্যস্ততা, তাছাড়া ইদানিং লিখতে গেলে কেমন জানি বোরিং ফিল করি! ভাবি, ধুর কি দরকার- এই তো ভালোই আছি!
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো! আর সিরিজটা খুব ভালো হচ্ছে! এভাবেই নিরন্তর লিখে যান, সেটাই কামনা করি! ভাল থাকবেন!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫
জুন বলেছেন: তোমার খবর জেনে বিশেষ করে ব্যাস্ত আছো জানা হলো। ভাবছিলাম কোথাও উধাও হয়ে গেলে নাকি?
যত দ্রুতই খামচা মেরে মন্তব্য করোনা কেন তা কিন্ত বেশ ওজনদারই থাকে।
যাই হোক দৌড়ের উপর থেকেও উকি দিও মাঝে সাঝে সেই আশায় থাকলাম।
অনেক শুভকামনা জেনো।
৩১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: অদ্ভুত লাগলো, গলায় এতো কিছু পেঁচিয়ে থাকে কিভাবে!!
পোস্টে +++
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬
জুন বলেছেন: সেটা আমারও প্রশ্ন ধ্রুবক আলো। পোষ্টটিতে মন্তব্য আর প্লাস দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
৩২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: গলা লম্বা করতে এরা কতই না কষ্ট করে। এ নিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম । আসলে গলা লম্বা হয় না হাড় নেমে যায় ঘাড় থেকে
সুন্দর পোস্ট আপি
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০
জুন বলেছেন: সৌন্দর্য এর জন্য মানুষ কত কিছুই করে কাজী ফাতেমা ছবি। হ্যা তাদের যে ঘাড়ের হাড় নীচের দিকে ঢালু হয়ে যায় সেটা আমি পোষ্টে উল্লেখ করেছি।
অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছান্তে
৩৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: এই জাতীয় একটা ডকুমেন্টারী মনে হয় ডিস্কোভারী অথবা জিওগ্রাফি চ্যনেলে বাংলায় অনুবাদ করা দেখেছিলাম।
ব্যপারটা আমার কাছে নির্মম মনে হয়েছে, তবে এটা তাদের কালচার, দেখেছিলাম অনেক ছোট বয়স থেকেই তারা এটি গলায় ধারন করে, আমি ছোট ছোট বাচ্চা মেয়েদের গলায় এই জিনিস দেখে খুবই ব্যথিত হয়েছিলাম। যাক আপনি সচক্ষে দেখেছেন আমি হলে হয়তোবা পারতাম না।
যাক অনেক কিছু জানলাম এবং পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই ধরেছেন সঞ্জয় নিপু । আমি বহু আগেই ন্যাশনাল জিওগ্রাফি বইতে দেখেছি , তখন টিভিতে এসব চ্যানেল ছিল না । তারপর টিভিতেও দেখা । একটা কৌতুহল ছিল । তবে তাদের সাথে আমার প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল মায়ানমারের শান প্রদেশের লেক ইনলে তে যা প্রথম দুটি ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ।
হ্যা ঐতিহ্যের জন্য দক্ষিন আমেরিকার বিশেষ করে আমাজনে বসবাসকারী আদিবাসীরাও কত নিষ্ঠুর কাজ করে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না । যেমন দেখুন।
কি ভাবে নীচের ঠোটটি বড় করেছে
কি ভাবে গালের মধ্যে কাঠি ঢুকিয়ে রেখেছে কিশোরীরা ।
দেখলেনতো কি অবস্থা ।
সিরিজিটির সাথে থাকুন নিপু । সকালের শুভেচ্ছা রইলো ।
৩৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। প্রিয়তে রাখলাম পরে ভাল করে পড়ব
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া, মন্তব্য আর প্রিয়তে রাখার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আবু মুছা আল আজাদ ।
আশা করি সাথেই থাকবেন বাকি সিরিজ পর্যন্ত
৩৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪
গোধূলির * পথচারী বলেছেন: কায়ান মেয়েদের জন্য খুব কস্ট পাচ্ছি। বাট করার কিছুই নেই।
আর আপনার পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫১
জুন বলেছেন: আমাদের দেশের মেয়েদের নাক ফোড়ানো কান ফোড়ানো নিয়েও অনেক দেশে কথা হয় গোধুলীর* পথচারী। কিন্ত সেটা তেমন ভয়ংকর নয় যেটা কায়ান মেয়েদের বেলায় ঘটছে ।
পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৩৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: পোস্ট পড়ার পর অনেক প্রশ্ন জমা হয়েছে।
কিন্তু মোবাইলে টাইপ করা কঠিন।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩
জুন বলেছেন: তারপরও কষ্ট করে মোবাইলে পোষ্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রাতুল ।
আশাকরি ডেস্কটপ থেকে প্রশ্নগুলো সম্পর্কে জানতে পারবো খুব শীঘ্রই
শুভ সকাল
৩৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট । গলায় মালা পরানোটা অমানবিক । এর কোন অর্থ খুঁজে পেলাম না কষ্ট দেয়া ছাড়া ।
আপনার পোস্ট পড়ে তাদের সমাজ নিয়ে একটা ধারণা পাওয়া গেল । অনেক ধন্যবাদ ।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮
জুন বলেছেন: সত্যি ব্যাপারটি অমানবিক । হয়তো তাদের কাছে কোন অর্থ আছে যা আমরা বুঝতে পারছি না ।
পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ কথাকেথিকথন । আশাকরি শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন ।
শুভেচ্ছান্তে
৩৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩
নীলপরি বলেছেন: চিড়িয়াখানার প্রানীদের মত টাকার বিনিময়ে এই আদিবাসী মেয়েদের মানুষজন কৌতুহলভরে দেখতে ছুটে যায়। ---- এরাও মানুষ । ভাবতে অবাক লাগে ।
অনেক কিছু জানলাম । পোষ্টে +++++++
শুভকামনা ।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮
জুন বলেছেন: সত্যি অমানবিক ব্যাপার নীলপরি ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৩৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই জিরাফ গলার মেয়েদের কাহিনী নিয়ে টিভিতে একটা ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম বেশ কয়েক বছর আগে। তা' ছাড়া সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকায়ও পড়েছিলাম। সৌন্দর্যের সংজ্ঞা এক এক জাতির মধ্যে এক এক রকম। আমাদের কাছে এরকম সৌন্দর্য অসহনীয় মনে হলেও হয়তো ওদের কাছে আদরণীয়। তারপরেও আমার মনে হয় ওদের মেয়েরা গলা লম্বা করার এই প্রক্রিয়ায় বেশ কষ্টই পায়।
ধন্যবাদ বোন জুন।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:০৪
জুন বলেছেন: জী হেনাভাই এটা নিয়ে ন্যাশনাল জিওতে ডকুমেন্টারিটি বহুবার প্রচারিত হয়েছে । উপরে সঞ্জয় নিপুর মন্তব্যের প্রতি উত্তরে দুটো ছবি দিয়েছি । সেই ভয়ংকর অংগসজ্জাও তাদের সমাজে হয়তো সৌন্দর্য্য বা ঐতিহ্যের প্রতীক ।
মনযোগ দিয়ে পোষ্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ । শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন আশা রাখি ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।
৪০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬
আমি ইহতিব বলেছেন: ওহ জুন আপু কি মজা আপনার, আর আমাদেরও। আপনার সাথে সাথে আমরাও কত দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াই। আর সাথে আপনার বিশদ বর্নণা পোস্টকে আরো উপভোগ্য করে তুলে। কায়ান মেয়েদের জন্য কষ্ট হল। কত অমানবিকতা এখনও সভ্য (?) মানুষের মধ্যে রয়ে গিয়েছে !!!
গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১১
জুন বলেছেন: ওহ আমি ইহতিব আমিও অনেক খুশী হচ্ছি আপনাকে ইদানীং ব্লগে মাঝে মাঝে দেখতে পেয়ে । আমার লেখাতে তো বটেই
তবে আপনি নিজে কিছু লিখছেন না কেন বলুনতো ?
ঐতিহ্যের জন্য কত কিছুই যে মানুষ করতে পারে তার প্রমান হচ্ছে এসব ।
খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্বটি দিবো বলে আশা রাখি ।
সকালের শুভেচ্ছা জানবেন
৪১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: প্রতিউত্তরের জন্য ধন্যবাদ, আপু ।
আমাদের দেশের অনেক নারীরাই বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে কিন্ত । ওদের জন্য আমাদের একটু চিল্লা চিল্লি করা উচিত তাই না ?
কঠিন একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন ! গলায় কাঁটা বিধে গেল। কিভাবে এখন এ লাজ্জার কথা বলি । আমাদের দেশের পুরুষেরা, যাদের মাধ্যমে কথা বলি ( মিডিয়া)। তারা যদি হাতি নিয়ে টকশো করে । আবার নাকি দেশবাশীকে কাদিয়ে বঙ্গবাহাদুর চিরনিদ্রায় চলে গেলেন , তখন লজ্জা হয়, এই মানসিকতা দেখে । যাদের কাছে কিনা মানুষের দাম নেই, তাদের সামন্য হাতির জন্য এতো দরদ। কই আমি তো কাঁদিনি ! বেশ কিছু দিন আগে নারী দিবস গেল , এদেশের কয়জন নারী তা জানতেন। আজ নারী দিবস ? জানানোর দায়িত্ব কাদের ? যাইহোক আর ও দিকে বেশি গেলে . দন্ডবিধির ৩০২ ধারা মতাবেক নিজের বাকস্বাধীনতার ফাঁসি হয়ে যেতে পারে।। এবার আসি নারীর মযদা নিয়ে, এ প্রসঙ্গে? এ প্রশ্নে ; জ্ঞানী গুনী আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অধেক অনুপ্রেরণার খুঁজেছেন এবং তার ছিল তিনিও কিন্তু এই নারীকে কথা বলেছেন, তাহলে আমাদের নারীদের কে নিয়ে, কিছু কিছু পুরুষের এতো অবহেলা কেন? । আজও নারী যেন এক ভোগ্য পণ্য হিসাবে দেখা হয় ! আমরা সেই মধ্যযুগীয় চিন্তা থেকে এখনো বের হতে পারিনি। আমাদের মূল্যবোধের বড় অভাব ! এগুলো পারিবারিক বা নৈতিকতার অভাব বটে । অসভ্য সমাজকে চিল্লা পাল্লা করে সভ্য করা যায় না..... এই নারীর উচ্চ মযার্দা দিয়েছেন এই পুরুষেরা কিন্তু কিছু পশু আর হায়নার কারণে, আজও নারী নির্যাতিত হচ্ছে ।। পরিশেষে, একটি কথা বলতে চাই।। সবার উচিৎ যার যার জায়গা থেকে সচেতন হওয়া এবং অন্যকে সচেতন করা। তবেই সম্ভব নারী নির্যাতন বন্ধ করতে ।
ভালো থাকুন।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১৬
জুন বলেছেন: আজও নারী যেন এক ভোগ্য পণ্য হিসাবে দেখা হয় !এর সাম্প্রতিক এক উদাহরন হলো আমাদের ঢালিউডের বিখ্যাত এক নায়কের আচরন । সত্যি আমাদের মূল্যবোধের বড় অভাব ! পরিশেষে, একটি কথা বলতে চাই।। সবার উচিৎ যার যার জায়গা থেকে সচেতন হওয়া এবং অন্যকে সচেতন করা। তবেই সম্ভব নারী নির্যাতন বন্ধ করতে আপনার সাথে সম্পুর্ন সহমত শাহরিয়ার কবির ।
সাথে থাকুন সিরিজটির সেই প্রত্যাশায়
সকালের শুভেচ্ছা
৪২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৬
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ভ্রমন গেলে সাধারণতো আমি সোন্দয উপভোগ করি। মানুশের দঃদশা দেখে মন খারাপ করে নিজের আনন্দময় ভ্রমন খারাপ করে কি লাভ? আমরা কোন পরিবতন তো আনতে পারবো না? আর অসধারন ভ্রমন কাহিনীরর জন্য ধন্যবাদ।ভাবতেছি আপনার ইংলিশ এ এডিট করে বিবিসি কে দিব। ওরা ডকুমেন্টারি বানাবে এই অসাধারণ লেখুনি দিয়ে : P
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১৯
জুন বলেছেন: ভ্রমন গেলে সাধারণতো আমি সোন্দয উপভোগ করি তবে সেটা জায়গা বুঝে কলিমুদ্দি দফাদার
যেমন ফুকেটে গিয়ে তার সৌন্দর্য্যে মোহিত হয়েছিলাম । কোন দুঃখ দুর্দশার চিত্র দেখিনি বা দেখতে পাইনি সেখানে ।
পোষ্টটি পড়ার জন্য মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । বিবিসিকে হাসির সুযোগ দিবেন না আশাকরি
শুভকামনা সকালের ।
৪৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিশাল মন্তব্য ভাল লাগে তাই একটা দিলাম , রাগ করতে পারবেন না কিন্তু , রাগের মত কিছু হলে ঘেচাং করে দিতে পারেন
অসাধারণ পোষ্ট , খুব অল্প কথায় সুন্দর বিবরণসহ কায়ান ট্রাইবস এর লম্বা- গলা জিরাফ নারীদের জীবনগাথার চিত্র তুলে এনেছেন । উঠে এসেছে এদের ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা । সুন্দরভাবে আপনার লেখায় উঠে এসেছে প্রাচীন ট্রেডিশন অনুযায়ী কায়ান উপজাতীয় লোকজন যে বিশ্বাস করত তাদের গোত্রের নারীদের সৌন্দর্য নিহীত রয়েছে তাদের গলায় তামা ও ব্রোঞ্জ রিং মোরানোর উপরে । জানা গেল এ জন্যেই তারা তাদের মেয়েদের গলাতেও সেই ৪/৫ বছর বয়স হতেই এটা পড়ানো শুরু করে ।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে তারা প্রায় ১৬ হতে ২২টি রিং গলায় পরিধান করে । শুধু কি গলাতেই, এরকম ১৬ /১৮ টি রিং তারা তাদের দুপায়েও পড়ে যা আপনার পোষ্টের ছবিতেও দেখা যায় । হাতেও পড়ে রাখে ভারী ভারী রুপার বালা।
আর পরিধান করে কোমড় তাঁতে (Waist loom) বোনা তাঁত বস্র, যে গুলি আবার পর্যটকদের জন্য দোকানেও পসড়া সাজিয়ে রাখে ।
উল্লেখ্য, আমাদের দেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় তাঁতীরাও কোমড় তাঁতে কাপড় বুনে । ভয় হয়, এখন না আবার অতি উৎসাহী হয়ে আমাদের এখানেও পার্বত্য চট্টগ্রমামের মেয়েদেকে গলায় এই রকম রিং পড়িয়ে সেখানে তাদের দোকানগুলিতে পর্যটক আকর্ষনের জন্য কর্মকান্ড শুরু করে না দেয় !!!!!!
মায়ানমারে সামরিক শাসনামলে শুরু কায়ানদের উপর নির্যাতন গনতান্ত্রিক অংশান সুচীর আমলে কিছুটা কমে আসছে বলে জানা যায় । আপনার এই পোষ্টের লিখার উপরে মন্তব্য লিখার সময় মনে হল একটু দেখে আসি এদের মুল আবাস স্থল মায়ানমানের কায়াথ স্টেটে তাদের অবস্থাটা কেমন চলছে । এ প্রচেষ্টা কালে ডেইলী মেইলের এক সংবাদ ভাষ্যে দেখতে পেলাম থাইল্যান্ডে নির্বাসিত এই কায়ান নারীরা তাদের জন্মস্থানে ফিরে আসতে চায় এবং কিছু কিছু ইতিমধ্যে ফিরেও আসছে ।
আপনার পোষ্টের লিখাটির মত ডেইলী মেইলে বলা হয়েছে বছরের পর বছর ধরে কায়ান নারী এবং তাদের মেয়েরা দারিদ্র ও সংঘাতের মুখোমুখি হয়ে সীমান্ত পারি দিয়ে থাই এলাকায় হলিডে মেকারদের জন্য বিশেষ উদ্দেশ্যে নির্মিত পর্যটন ভিলেজে পর্যটক আকর্ষণ নিমিত্ত মনুষ্য চিড়িয়াখানা ("human zoos" হিসাবে পরিগনিত হচ্ছে ।
থাই সীমান্ত এলাকায় এই লম্বা গলা নারীরা পর্যটন আকর্ষণ মুলক কাজে ব্যাবহৃত হয়ে মাসে গড়ে ৩০০০ বাথের মত উপার্জন করে বেশ ভালই আছে বলেও জানা যাচ্ছে, যা আপনার লেখাতেও উঠে এসেছে । তার পরেও নীজ মাতৃভুমির টানে তাদের অনেকেই এখন মায়ানমারে ফিরে যাচ্ছে এবং থাই আদলে নীজ কমিউনিটিতে পর্যটক আকর্ষণের জন্য কর্মকান্ড শুরু করছে ।
প্রায় ১৪ বছর থাইল্যান্ড সেই তথাকথিত 'হিউম্যান জুতে' (human zoos) পর্যটক আকর্ষণ উপকরণ হিসাবে ব্যাবহৃত হয়ে নীচের ছবিতে দেখানো Mu Par নামে কায়ান জিরাফ নারী নীজ মাতৃভুমি কায়াতে ফিরত এসে তার কমিউনিটির লম্বা গলা নারীদেরকে নিয়ে নীজ অভিজ্ঞতার আলোকে কাজ শুরু করে এবং তার কাজের সফলতাও কিছু পাচ্ছে ।
বিগত কয়েক বছরে কায়ান জিরাফ নারীদের দেশে ফিরে আসার সংখ্যাটাও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ধারনা করা হচ্ছে গনতন্ত্রী অংসান সু কি সরকারের আমলে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে । মায়ানমার কতৃপক্ষও আশা করছে কায়ান লম্বা গলা নারী অধ্যুসিত এলাকাটি অচীরেই মায়ানমারের একটি গুরুত্বপুর্ণ পর্যটন কেন্ত্রে পরিনত হবে ।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, এই রিং পরিহিত কায়ান নারীদের গলাটা যতটুকু লম্বা মনে হয় আসলে কিন্তু ততটুকু লম্বা নয়। The practice, which gives them a giraffe-like appearance, painfully compresses their shoulders and collarbones, rather than actually stretching their necks.
আর একটি আশার বাণী হলো the women can remove their rings with the help of a specialist and their shoulders and collarbones can eventually return to normal, depending on the age when they are taken off.
আপরার পোষ্টের লেখাটির কল্যানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সামুর বাংলাভাষী অগনিত পাঠক যেমনি ভাবে গলায় ৫ হতে ৮ কেজি ওজনের ভাড়ী ধাতুর রিং বহনকারী এই কায়ান নারীদের দুর্বিসহ জীবনের প্রতি সহানুভুতিশীল হয়ে উঠেছে , তেমনিভাবে বিভিন্ন বিখ্যাত প্রচার মাধ্যমের কল্যানে এটা এখন বিশ্ববাসিরও নজর কাড়ছে । আশা করা যায় এই কায়ান নারীগন যারা ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় এই দুর্বসহ জীবন বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা নীজের পছন্দমত একটি স্বাচ্ছন্দময় জীবন বেছে নিতে পারবেন ।
পোষ্টের অন্যবিধ বিষয়গুলিও চমৎকার হয়েছে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১২
জুন বলেছেন: শুধু বিশাল নয় ডঃ এম আলী বলেছি বিশ্লেষনাত্বক মন্তব্যের কথা
আপনার তথ্যঅনুযায়ী সবাই এক সময় নিজের দেশে ফিরে যেতে চায় সেই মুজতবা আলীর গৃহকর্মীর ভাষায় বলতে গেলে "ইনহাস্ত ওয়াতানাম" এই তো আমার জন্মভুমি " নাহলে এত প্রতিকুল অবস্থায়ও কি রোহিঙ্গাদের অনেকেই নিজ বাসভুমে ফিরতে ব্যাকুল হয় বলুন । আর কায়ানরা তো সেই রোহিঙ্গাদের মতই রিফিউজি হয়ে থাই সরকারের বেধে দেয়া নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় গন্ডীবদ্ধ জীবন যাপন করছে । হয়তো অং সান সুচীর তথাকথিত গনতন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে তাদের নিজ ভুমে ফিরে যাবার এই সিদ্ধান্ত । মুল স্রোতে মিশে যাবার জন্যই বা হয়তো ।
যাক আমাদের বিষয় তাদের সাত কেজি ওজনের গলার হাড় । উপরে সঞ্জয় নিপুর মন্তব্যের উত্তরে দুটো ছবি দিয়েছি । গুগুল ঘাটলে এমন হাজারো ছবি পাবেন যারা ঐতিহ্য আর সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য কি ভয়ংকর প্রচেষ্টাই না করছে ।
ভালো থাকুন অনেক আর সাথে থাকুন অন্তত এই সিরিজিটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত । মুলত আপনাদের মত কিছু সহ ব্লগারের প্রেরনাতেই এই সিরিজটি শেষ করতে চাচ্ছি ।
শুভেচ্ছা জানবেন সকালের ....
৪৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:৫৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: অনেকদিন আগে জিরাফ মেয়েদের নিয়ে খবরের কাগজে একটা প্রতিবেদন দেখেছিলাম। তবে সেখানে এত বিস্তারিত ছিলনা। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানলাম। খারাপ লাগছে কায়ান মেয়েদের জন্য। প্রিয়তে নিলাম।
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপু।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২০
জুন বলেছেন: হ্যা উম্মে সালমা এটা নিয়ে বেশ কয়েক বছর হলো কিছু সংগঠন সোচ্চার । তবে বিশেষ করে আফ্রিকা দক্ষিন আমেরিকার কিছু নৃগোষ্ঠী এর চেয়েও ভয়ংকর গা শিউড়ে ঊঠা রীতি নীতি পালন করছে তাদের সৌন্দর্য্য বা ঐতিহ্যের জন্য । পোষ্টটি পড়া মন্তব্য সাথে প্রিয়তে নেয়ার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আপনাকে ।
ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন বরাবরের মতই
শুভেচ্ছা সকালের ।
৪৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ ভাবে অন্তর দিয়ে লেখা। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় যাচ্ছিনা। খুবই ভাল লাগল। ছবিগুলো কথা বলছে!
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮
জুন বলেছেন: জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় যাচ্ছিনা।
না না জ্ঞ্যানগর্ভ আলোচনার কি দরকার । আমি সাদামাটা মানুষ , আমার পোষ্টে সাদামাটা মন্তব্যই ভালো ।
তারপর ও মাঝে মাঝে কিছু জ্ঞ্যানগর্ভ মন্তব্য পেলে ভালোই লাগে
অসংখ্য ধন্যবাদ বহুদিন ধরে সাথে আছেন , উৎসাহিত করছেন । আগামীতেও সাথে থাকবেন অন্তত সেই প্রত্যাশায় ।
শুভকামনা জানবেন ।
৪৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
মুরশীদ বলেছেন: ++++++
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৩
জুন বলেছেন: প্লাস দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
৪৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
যে বোঝা একবার মানুষ গলায় তুলে নেয় , তা থেকে কি তার নিস্কৃতি মেলে সহজে ?
মেলেনা । তবুও জিরাফ মেয়েদের জন্যে গলা উঁচিয়ে রইলুম , কবে সে বোঝা নামবে তার শরীর থেকে, তা দেখতে ।
পর্বটি চালিয়ে যাবার জন্যে ধন্যবাদ ।
আপনার লেখা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু থাকেনা । নিজের তোলা ছবি আর তার গলায় পড়িয়ে দেয়া ইতিহাস কিম্বা ইতিহাসের গায়ে ঝুলিয়ে দেয়া ছবির আয়নায় মনুষ্যত্ববোধের, সভ্যতার জন্যে হাহাকারের প্রতিবিম্ব সবসময়েই প্রকট । একের ভেতরে একাধিক ছবি ।
এখানের মন্তব্যগুলোতেও সেই ছবিরই প্রতিফলন ।
না বললেই নয় , ডঃ এম, আলীর সচিত্র মন্তব্যটি আপনার লেখাকে আরও উজ্জ্বল করেছে নিঃসন্দেহে ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪০
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালোলাগলো আহমেদ জী এস । আশাকরি সময় নিয়ে উত্তর দেবো কালে।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫
জুন বলেছেন: যে বোঝা একবার মানুষ গলায় তুলে নেয় , তা থেকে কি তার নিস্কৃতি মেলে সহজে ?
আহমেদ জী এস আপনি নিজেই বলেছেন মেলেনা । অত্যন্ত সুচিন্তিত এক বক্তব্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন কিছু কিছু মানুষকে কত ভয়ংকর প্রথার ভেতর দিয়ে যেতে হয় । যা তারা ভাংগতে চাইলেও ভাংগা দুস্কর । তারপর ও আপনার সাথে আমরা গলা উচিয়ে রইলাম কিছু প্রগতিশীল মেয়ের দৃপ্ত পদক্ষেপ দেখার জন্য।
অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য আর সমৃদ্ধশালী প্রাচীন ইতিহাস বুকে নিয়ে থাকা চিয়াং মাই নিয়ে লেখার আমার ভীষন আগ্রহ সেখানে না যাবার আগে থেকেই ছিল । চোখে দেখার পর রূপের রানীকে নিয়ে অন্তত আমার নিজের জন্য হলেও না লেখাটা হতো অপরাধের শামিল ।
তার উপর আপনাদের মত কিছু জ্ঞ্যানী গুনী জানার আগ্রহী পাঠক সহ ব্লগারদের নিরন্তর উৎসাহতো আছেই ।
জী ড: এম আলী সাহেবের মত একজন পন্ডিত ব্যাক্তির মন্তব্য অবশ্যই কারো পোষ্টের জন্য এক উজ্জ্বল তকমা । তবে আপনার সাহিত্য আর রুচিশীল অসাধারন মন্তব্যও আমার পোষ্টের অলংকার হয়ে শোভা বাড়িয়ে থাকে তা বলাই বাহুল্য ।
অনেক শুভকামনা রইলো সাথে আগামীতে থাকবেন পাশে সেই প্রত্যাশা ।
শুভেচ্ছান্তে ......।
৪৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫০
মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: কতোকি জানার বাকি, কতোকি দেখার বাকি। বিনে পয়সায় আমাদেরকে বিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৬
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম ।
কত অজানাই রয়ে গেছে দেখার ।
শুভকামনা রইলো ।
৪৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১
ক্লে ডল বলেছেন: সম্পূর্ণ নতুন এক বিষয়ে জানা হল!! নারী, শিশুদের কোমল গলায় এই ধাতব বেড়ী দেখে অস্বস্তি লাগছে!! কিন্তু এর চেয়ে কষ্টদায়ক রীতি আছে আদিবাসীদের মধ্যে। কোথায় যেন পড়েছিলাম গায়ের চামড়া ফুটা করা এক প্রথা। যার গায়ে যত ক্ষতের দাগ তার সৌন্দর্য তত বেশি।
আপনার প্রতি শুভকামনা অশেষ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০২
জুন বলেছেন: যার গায়ে যত ক্ষতের দাগ তার সৌন্দর্য তত বেশি আপনি ঠিকই দেখেছেন ক্লে ডল । পাপুয়া নিউ গিনির পুরুষরা নিজেদের গায়ে ছুরি দিয়ে ক্ষত করে কুমিরের মত দাগ করে । কি যে ভয়ংকর সেই প্রথা ভাবতেও ভয় হয় । দুটো ছবি দিলাম দেখতে পারেন ।
আপনার প্রতিও অনিঃশ্বেস শুভকামনা । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৫০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: জিরাফ নারীদের জন্য খারাপ লাগল।
আপনার প্রতিটা পোষ্ট অতি যন্তে তৈরি করা ।সেজন্য পোষ্টে ভাললাগা থাকে প্রচুর ।
আপু কি থাইল্যান্ড হয়ে মায়ানমার গিয়েছিলেন ???
ভাষায় মেসাই শব্দের অর্থ না। উদাহরণ হিসেবে বলি আপনি যদি চা বা কফিতে চিনি না চান তবে অর্ডার দেয়ার সময় বলবেন “মেসাই নামতান” অর্থ চিনি দিও না (no sugar ) । চিনি দুধ আলাদা করে দিলে আপনাকে আর কোন হ্যাপা পোহাতে হবে না ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৬
জুন বলেছেন: এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য এডোয়ার্ড মায়ার জন্য রইলো আন্তরিক শুভকামনা
হ্যা মেসাই নামতান বললে ৮০ টাকার নাস্তায় চিনির দামটা বাদ যাবে
সাথে থাকার অনুরোধ রইলো সিরিজটির শেষ পর্ব পর্যন্ত ।
শুভেচ্ছান্তে .....
৫১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:১১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পড়ে গেছিলাম সেই প্রথম দিনটিতেই।। পরেও বোধহয় আরো একবার।। কি জন্য যে মনের ভাবটা প্রকাশ করি নি।। বুঝতে পারছি না।। দুঃখিত।।
শুধু ভাবছি একটি প্রথাকে কি ভাবে বানিজ্যকরন করা হয়েছে!! প্রথা একারনে যে, এই বেড়ি কেউ তুলে দেয় নাই।। স্বইচ্ছেতেই এই গলার বেড়ি।। আফ্রিকার অনেক দেশেও এমন দেখা যায়!! আর আমরা আশ্চর্য হই।।
আর ভ্রমন বর্ননা আপনার মতই।।
ভাল থাকুন।। নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০২
জুন বলেছেন: দুঃখিত বলছেন কেন সচেতন হ্যাপী এমনতো হতেই পারে তাই না ? আমিও অফলাইনে অনেকের লেখা পড়ে ভাবি লগ হয়ে মন্তব্য করবো । তারপর ভুলে যাই অথবা ভাবি মন্তব্য করেছি
আপনি বুঝতে পেরেছেন যে প্রথা বা ঐতিহ্যের নামে বিভিন্ন দেশের আদিবাসী গোত্রের লোকেরা কি না করতে পারে। উপরে ৩৩ নং আর ৪৯ নং এর মন্তব্যের উত্তরে দুটো ছবি দিয়েছি দেখতে পারেন । অবশ্য এগুলো আপনি দেখেছেন বলেই বিশ্বাস তারপর ও কি বীভৎস এই প্রথা ।
ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন আমার আগামী লেখাতেও ।
আমার প্রতিটি হাবিজাবি লেখায় আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের প্রত্যাশী থাকি তা হয়তো আপনি বুঝতে পারেন
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনার জন্যও ।
আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্য আর ভালোলাগায় ।
৫২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭
দীপান্বিতা বলেছেন: বরাবরের মত সুন্দর---- সত্যি গলায় অত ভারী রিং পরে থাকা কি যে কষ্টের হবে, ভাবা যায় না!
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১১
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ দীপান্বিতা
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯
বিজন রয় বলেছেন: জুন আপা প্রথম প্লাস।