নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লান্না ফোকলাইফ মিউজিয়াম
উত্তর থাইল্যান্ডের বিখ্যাত শহর চিয়াং মাই, চিয়াং রাই এর পথে চলতে ফিরতেই চোখে পড়তো প্রাচীন এবং ব্যতিক্রমী ডিজাইনের অলংকারে সাজানো দোকান নাম ‘লান্না জুয়েলার্স’ কিম্বা আলো ঝলমলে বাগান ঘেরা ‘ডি লান্না হোটেল’। আবার দুদিন পরেই দেখি সাদা রঙের ইউরোপীয় ডিজাইনে তৈরী দোতলা এক ভবন যার সামনে কাঠের সাইনবোর্ডে লেখা লান্না ফোক লাইফ মিউজিয়াম এমন অনেক কিছুই।
ইউরোপীয় ডিজাইনে তৈরী লান্না ফোকলাইফ মিউজিয়াম
লান্না অর্থটি কি এই নিয়ে মন আমার প্রচন্ড কৌতুহলী হয়ে উঠলো। শুরু করি বিভিন্ন তথ্যসুত্র থেকে খোজ খবর নেয়া, বিশেষ করে লান্না ফোক লাইফ মিউজিয়ামের অবদান এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করতেই হয়। চিয়াং মাই না গেলে আমারও হয়তো অজানাই থেকে যেতো প্রাচীন এক গৌরবময় ইতিহাস। আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার উদ্দেশ্যেই আমার এই লেখা।
মিউজিয়ামের ভেতরে লান্নার ঐতিহ্যবাহী কাঠের কারুকাজে করিডোর
উত্তরে লাওস আর মায়ানমারের সীমান্তের কোলে মাথা রেখে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে দক্ষিনে মালয়েশিয়ার সীমান্তে এসে মিশে যাওয়া অখন্ড একটি দেশ থাইল্যান্ড এর মানচিত্রই আমরা সাধারনত দেখে থাকি। প্রাচীন যুগের শিকারীদের স্বর্গরাজ্য থেকে পরবর্তী যুগের কৃষিকাজে ব্যাপৃত বহু জাতি গোষ্ঠির এই দেশটি কিন্ত এক সময় কিছু ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত ছিল।
ঐ অঞ্চলের প্রাচীন মানচিত্র যাতে দেখা যাচ্ছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত থাইল্যান্ড
বর্তমান থাই জনগোষ্ঠি আদতে যার উচ্চারন তাই তাদের আদিবাস ছিল বর্তমান চীনের ইউনান প্রদেশ এবং দক্ষিন ভিয়েতনামে। প্রচলিত তথ্য অনুযায়ী খৃষ্টপুর্ব ছয় শতাব্দীতে ইউনান থেকে সর্বপ্রথম সিংহানুয়াত (Singhanuwat ) নামে এক তাই যুবরাজ তার সৈন্যদল নিয়ে দেশ ছেড়ে বেড়িয়ে পড়লেন দক্ষিনের পথে।
ঐতিহ্যবাহী পোশাকে প্রাচীন এক শিকারীর প্রতিকৃতি
চলার পথে ছোট ছোট রাজ্যগুলোকে পদানত করে সিংহানুয়াত একদিন এসে হাজির হলেন সেখানে যেখানে থাইল্যান্ড, লাওস আর মায়ানমারের সীমান্ত মিলেমিশে গেছে। যা সাধারনের কাছে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল নামে সুপরিচিত। অবশেষে যুবরাজ তার দলবল নিয়ে মেকং নদী পেরিয়ে পশ্চিম তীরে এসে ঘাঁটি গাড়লে অবসান হলো এক দীর্ঘ পথ চলা।
বিস্তীর্ন মেকং এর উপর পর্যটকদের সাথে
পরবর্তীতে সিংহানুয়াত সেখানেই তার রাজ্যের রাজধানী গড়ে তোলেন যার নাম ছিল তারই নামানুসারে সিংহানুয়াত নাকর্ন, যার বর্তমান নাম চিয়াং সেন। এই চিয়াং সেন শহরটিই পরবর্তীকালে যে সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল তার নাম লান্না সাম্রাজ্য। এখন দেখা যাক লান্না শব্দটি কোথা থেকে আসলো ?
লান্না পুরুষদের উত্তরীয় হিসেবে ব্যাবহৃত অপরুপ নকঁশার তাঁতে বোনা স্কার্ফ
সেসময় উত্তর থাইল্যান্ড আর সে সংলগ্ন দেশ লাওসের আদিবাসীদের একটি নিজস্ব ভাষা ছিল। তাদের ভাষায় লান্না শব্দের অর্থ হলো লাখো ধানী জমির মালিক অর্থাৎ “ল্যান্ড অফ মিলিওন রাইস ফিল্ড”। সেই মেকং এর পলি বিধৌত অববাহিকার উর্বর জমিতে মাইলের পর মাইল জুড়ে ধান চাষ হতো। অর্থাৎ সেখানকার যে অধিপতি সে ছিল লাখো ধান ক্ষেতের মালিক।
মিউজিয়ামে সংরক্ষিত একটি প্রাচীন নিদর্শন
ছয় থেকে তেরো শতাব্দী পর্যন্ত ঐ এলাকার ছোট ছোট রাজ্যের রাজারা একে অপরের উপর ক্ষমতা ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিল যার অবসান ঘটলো লান্না সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সিংহানুয়াতের বংশধর বিখ্যাত রাজা মেংগ্রাই এর হাতে। তেরো শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত তাঁর রাজত্বকালকে লান্নার ইতিহাসে স্বর্নযুগ বলে অভিহিত করা হয়েছে। বার্মা থেকে শুরু করে ঐ অঞ্চলের ছোট রাজ্যগুলো বিশেষ করে লাম্ফুং এবং লাম্ফন কে শুধু যুদ্ধের মাধ্যমেই নয় কুটনীতির মাধ্যমেও অধীনস্থ করে নেয় দুরদর্শী রাজা মেংগ্রাই। প্রতিষ্ঠা করেন বিশাল এক শক্তিশালী সুসংহত সাম্রাজ্য যার নাম দিয়েছিলেন কিংডম অফ লান্না ।
রাজা মেংগ্রাই
সে সময় উত্তর দিক থেকে মোঙ্গলদের ক্রমাগত ধেয়ে আসা আক্রমনে লান্নার প্রতিবেশী দেশ বার্মার বিখ্যাত বাগান শহরটি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। এর ফলে ১২৬২ খৃষ্টাব্দে রাজা মেংগ্রাই তাঁর রাজধানী নাজুক চিয়াং সেন থেকে সরিয়ে নিয়ে আসলেন চিয়াং রাইতে।
তেরো শতাব্দীর শেষ ভাগে রাজা মেংগ্রাই লান্না সাম্রাজ্যের উত্তর থেকে দৃষ্টি ফেরালেন দক্ষিনে। সাম্রাজ্যের দক্ষিন অংশের সীমান্ত বাড়িয়ে তোলার সাথে সাথে প্রভাব বিস্তারেও মনযোগী হলেন।
লান্না নকশায় তৈরী স্বর্নালী নাগ
সে সময় লান্না সাম্রাজ্যের দক্ষিনে সুকোথাই ও পায়োর নামে দুটি শক্তিশালী রাজ্য ছিল। বানিজ্য নগরী লাভো বা লপবুড়িকে কেন্দ্র করে খেমার থেকে মুক্ত হওয়া সুকোথাই রাজ্যে্র রাজা ছিলেন থাইল্যান্ডের ইতিহাসে গ্রেট কিং নামে খ্যাত রাজা রামখামহ্যাং। আধুনিক থাই বর্নমালা আবিস্কারের জন্য যিনি থাই ইতিহাসে স্মরনীয় হয়ে আছেন। তার নামে রাজধানী ব্যাংককের বিশাল জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত রামখামহ্যাং বিশ্ববিদ্যালয় বেশ প্রসিদ্ধ। উল্লেখ্য যে রামখামহ্যাংয়ের মৃত্যুর পর সুকোথাই আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে একসময় থাইল্যান্ডের বিখ্যাত শ্যাম রাজ্যের অধীনস্থ হয়।
তিন মহান রাজা মেংগ্রাই, রামখামহ্যাং এবং গাম মুয়াং
সুকোথাই এর বিখ্যাত রাজা রামখামহ্যাং এবং পায়োর রাজা গাম মুয়াং এর সাথে রাজা মেংগ্রাই সু-সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তা এতটাই ঘনিষ্ঠ ছিল যে রাজা মেংগ্রাই তাদের দুজনকে নিয়ে তিনি ১৮৩৯ সালে চিয়াং মাইতে প্রতিষ্ঠা করেন পবিত্রতম বৌদ্ধ মন্দির ওয়াট চিয়াং মান। এখানে রাজকীয় প্রাসাদ ছাড়াও রয়েছে একটি দৃষ্টি নন্দন স্তুপা যার ভেতরে গৌতম বুদ্ধের এক গুচ্ছ মাথার চুল রয়েছে বলে বলা হয়ে থাকে।
পবিত্র মঠ ওয়াট ছেদি মান, চিয়াং মাই
১২৯৬ সালে সম্রাট মেংগ্রাই রাজধানীকে আরো সুরক্ষিত করার জন্য দই(পাহাড়) সুথেপের পাদদেশ আর পিং নদীর মাঝখানের বিস্তীর্ন অববাহিকায় নতুন রাজধানী প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেন। যার নাম দিয়েছিলেন তিনি নপবুড়ি শ্রী নাকর্ন পিং চিয়াং মাই। থাই ভাষায় বুরি শব্দের অর্থ প্রদেশ।সংক্ষিপ্ত হয়ে এখন এই শহরের নাম শুধুই চিয়াং মাই। তবে রাজা মেংগ্রাই আজীবন তাঁর পাহাড় ঘেরা প্রিয় শহর চিয়াং রাই থেকেই লান্না সাম্রাজ্য পরিচালনা করে গেছেন।
এক সময়ের সুরক্ষিত রাজধানী চিয়াং মাই এর ভেঙ্গে পড়া দেয়ালের কিছু অংশ
রাজা মেংগ্রাই এর মৃত্যুর পর পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে তাঁর বংশধররা শক্ত হাতেই লান্না সাম্রাজ্যের হাল ধরে রেখেছিল। একে একে ১৪ জন রাজা ও একজন রানীর হাত ধরে শক্তিশালী লান্না সাম্রাজ্য চারিদিকে বিস্তার লাভ করে। এসময়ে লান্না সাম্রাজ্যের রাজধানী চিয়াং মাই, চিয়াং রাই আর চিয়াং সেন শহরে একাধিকবার পরিবর্তিত হয়ে শেষ পর্যন্ত চিয়াং মাইতেই স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো।
রাজা তিলকারতের প্রতিকৃতি
রাজা মেংগ্রাই এর পর নবম রাজা তিলোকারাতের (১৪৪১-১৪৮৫)নাম লান্না সাম্রাজ্যের ইতিহাসে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ব্যাবসা-বানিজ্য, ধন-সম্পদে পরিপুর্ন তাঁর শাসনামল তৎকালীন ইতিহাসের আরেকটি স্বর্নযুগ। তাঁর সময় সমগ্র দেশ জুড়ে বৌদ্ধ ধর্ম এবং সংস্কৃতি শুধু প্রসারই নয়, এক মহান উচ্চতাও লাভ করে।
শ্বেত পাথরে নির্মিত বুদ্ধ মিউজিয়াম এ
রাজা তিলোকারত ও তার পুর্বসুরীরা বিভিন্ন প্রথা এবং সংস্কারের মাধ্যমে গৌতম বুদ্ধের বানীকে রাজ্যের শাসন ব্যাবস্থা ও জীবন প্রনালীতে ধারন করে নিয়েছিল। রাজধানী চিয়াং মাই সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে রাজা তিলোক নির্মান করেছিলেন একাধিক দৃষ্টিনন্দন বৌদ্ধ বিহার ও মঠ। প্রকৃতি ও সময়ের করাল গ্রাসে পরিত্যাক্ত সেই মঠের কিছু কিছু দেখতে এখনো অনেক পর্যটক ভীড় করে থাকে।
মিউজিয়ামের ভেতরে বুদ্ধের প্রতিকৃতি
বর্তমান থাই রাজ প্রাসাদের প্রধান রাজকীয় মন্দির ওয়াট ফ্রা খিউতে পবিত্রতম বলে গন্য এমারেল্ড বুদ্ধ মুর্তিটি রাজা তিলোকারাতের শাসনামলেই শ্রীলংকা থেকে আনা হয়েছিল। এমারেল্ড বলা হলেও মুর্তিটি একটি আস্ত জেড পাথর খোদাই করে তৈরী করা হয়েছে।
ষোড়শ শতাব্দীতে আভ্যন্তরীন এবং আঞ্চলিক বিবাদের ফলে এক সময়ের প্রভাবশালী লান্না সাম্রাজ্য ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে। অবশেষে ১৫৬০ খৃষ্টাব্দে বার্মার হাতে চিয়াং রাই অর্থাৎ লান্না সাম্রাজ্যের পতন হয়।
লান্নাদের নিজস্ব রান্নার স্টাইল যা চিয়াং রাই এর পর্যটনের একটি আইটেনারির অন্তর্ভুক্ত। লান্না মিউজিয়াম
পরবর্তী কয়েক শতাব্দী জুড়ে বার্মার রাজারাই লান্না শাসন করতো। সেখানকার অধিবাসীরা কয়েকবার বিদ্রোহ করতে চেষ্টা করলে বর্মী রাজারা তাদের কঠোর হাতে দমন করে। বার্মিজরা একাধিকবার দক্ষিন থাইল্যান্ডের সাম্রাজ্য শ্যাম যার জৌলুসপুর্ন রাজধানী ছিল আয়ুথিয়া যা একসময় আন্তর্জাতিক ব্যাবসাকেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত ছিল তাতে এমন নারকীয় ধ্বংস যজ্ঞ চালিয়ে ছিল যার ক্ষত শুধু বিভিন্ন রাজকীয় এবং ধর্মীয় স্থাপনাতেই শুধু নয়, থাই বাসীদের মনেও এখনো রয়ে গেছে।
মিউজিয়ামের ভেতরে ঐতিহ্যবাহী দেয়াল চিত্র।
১৭৭০ সালে একজন সাধারন শ্যামবাসী যিনি মহান রাজা তাকসিন নামে থাই ইতিহাসে সুপরিচিত, তিনি প্রথম বিভক্ত শ্যামবাসীকে একত্রিত করে থাইল্যান্ড থেকে বার্মিজদের সাময়িকভাবে বিতাড়িত করতে সক্ষম হন।
১৭৭৫ খৃষ্টাব্দে রাজা তাকসিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সৈন্যরা লাম্ফং এর যুবরাজ Kawilla কে সমর্থন করে তার অধীনে জড়ো হয়। অবশেষে লাম্ফং এর যুবরাজই বার্মিজদের হাত থেকে লান্না সাম্রাজ্যকে চিরদিনের জন্য মুক্ত করে লান্না-থাই নামে নতুন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে তার সিঙ্গহাসনে অধিষ্ঠিত হন।
অতিপ্রাকৃত জিনিসে প্রবলভাবে বিশ্বাসী লান্নাদের যাদু করার বিভিন্ন সামগ্রী, লান্না মিউজিয়াম
এরপর একে একে আরো নয়জন রাজা লান্না-থাই সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন যারা বর্তমান থাইল্যান্ডের সিংহাসনে আসীন বিখ্যাত চক্রী রাজবংশের সাথে ঘনিষ্ঠ।
এই সময় বার্মিজরা নিজেদের আভ্যন্তরীন কোন্দল এবং বৃটিশদের সাথে যুদ্ধে ব্যাস্ত থাকার ফাকে লান্না জনগন ধীরে ধীরে শায়ামিজ আচার আচরন এমনকি ভাষার সাথেও মিলে মিশে যায়।
মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মুর্তি
অতঃপর ১৮৯২ সালে লান্না-থাই আনুষ্ঠানিক ভাবে সে সময় থাইল্যান্ডের অন্যতম শক্তিশালী সাম্রাজ্য শ্যায়ামের সাথে একীভুত হয়ে পরে। ১৯৩৯ সালে শেষ লান্না রাজা নভরাতের মৃত্যুর আর কোন লান্না-থাই রাজার নাম ঘোষিত হয়নি।
থাই রাজত্বের অধীনে থাকায় লান্না সাম্রাজ্যের বর্তমানে আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই ।একদা মাথা উচু করে থাকা বিখ্যাত শহর চিয়াং সেন , চিয়াং রাই , চিয়াং মাই , লাম্ফং এর মত শহরগুলো এখন থাইল্যান্ডের আর দশটা শহরের মতই কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।
কাঁচের উপর নকশা তৈরীতে দক্ষ ছিল লান্নাবাসীরা । তারই উদাহরন চীনা রাশির বারোটি প্রানীর একটি । লান্না মিউজিয়াম
রুপোর তৈরী প্রাচীন নকশার গলার মালা
লান্নাদের নিজস্ব সংস্কৃতি
প্রধান ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে একীভুত হলেও লান্নাবাসী্রা থাইল্যান্ডের অন্যান্য প্রদেশ থেকে একেবারেই আলাদা। নিজস্ব শিল্প-সংস্কৃতি, নৃত্য-গীত, নম্র মার্জিত আচার -ব্যবহার ছাড়াও বয়ন শিল্প, কাঠ খোদাই, রুপা, ব্রোঞ্জ ও বিভিন্ন ধাতুর তৈরী কারুশিল্প থেকে শুরু করে নিজস্ব ঘরানার রান্না-বান্না এ সব কিছু মিলিয়ে এই একুশ শতকেও লান্নাবাসীরা তাদের প্রাচীন সেই গৌরবময় ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখেছে। যার প্রতিফলন দেখেছি উত্তর থাইল্যান্ডের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ।
প্রাচীন লান্নার ইতিহাস আর শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমার পরিপুর্ন ধারনা লাভের সৌভাগ্য হয়েছে চিয়াং মাই এর দেয়াল ঘেরা ওল্ড সিটির মাঝে প্রতিষ্ঠিত লান্না ফোকলাইফ মিউজিয়ামে যা আগেই উল্লেখ করেছি। তবে প্রধান যাদুঘরটি সংস্কারের জন্য বন্ধ থাকায় আরো কিছু দেখা বাকি রয়ে গেল ।
চরকায় সুতো কাটা এক লান্না নারীর রেপ্লিকা। লান্না ফোকলাইফ মিউজিয়াম
প্রাচীন লান্না নারীদের পোশাকের উপরের অংশ বা ব্লাউজ। লান্না মিউজিয়াম
পোশাকের নীচের অংশ বা স্কার্ট
লান্না নারীদের পোশাক । মিউজিয়াম
ক্যামেরা নিয়ে ঢোকার পার্মিশন থাকায় মন ভরে ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছিলাম ।
দু তিনটি ছাড়া সব ছবি আমাদের ক্যামেরা আর মোবাইলে তোলা ।
.
০৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪
জুন বলেছেন: মোস্তফা সোহেল প্রথম মন্তব্য প্রথম ভালোলাগার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনাকে ।
অনেক অনেক ভালোলাগা ও শুভকামনা জানবেন ।
২| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:১১
রাতুল_শাহ বলেছেন: ফেব্রুয়ারি মাসের ছবি মে মাসে দেখি।
০৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
জুন বলেছেন: ধীরে ধীরে লিখছি রাতুল । সবগুলো একসাথে দিলে বিরক্ত হয়ে যেতে । আর আমার পোষ্টতো খুব সাদা মাটা । তেমন চমক নেই । তাতে যদি ঘন ঘন দেই তাহলেতো খবর আছে
যাইহোক তারপর ও আসা মন্তব্য আর ভালোলাগা জানিয়েছো তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
৩| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: দু'একটা অতিপ্রাকৃত হাড় সংগ্রহ করেছেন কি? বেশি সংগ্রহে থাকলে আমি নিতাম।
আমাদের দেশের কম বেশি সব জাদুঘরে ছবি তোলা নিষেধ থাকে, যদিও কেউ মানে না, ছবি তুলে। আচ্ছা ছবি তোলা নিষিদ্ধ কেন?
০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:০৫
জুন বলেছেন: হা হা হা রাতুল আগে জানলে অবশ্যই আনতাম ঐ হাড় হাড্ডি । তবে আমি যেগুলোর ছবি দিয়েছি তা সবই তালা চাবি ছাড়াও সারাক্ষন সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষন হচ্ছে
আমি অনেক দেশে গিয়েছি সব খানেই দেখেছি ছবি তোলা নিষেধ। কায়রো মিউজিয়ামে তো প্লেনে ওঠার সময় যেমন চেকিং করে থিক তেমন স্ক্যানিং করে ঢুকতে দিয়েছিল। আর একমাত্র এখানেই দেখলাম ব্যাতিক্রম ।
ভালোই হলো অনেকগুলো ছবি তুলতে পেরেছি । তবে চিয়াং মাই এর অন্যান্য মিউজিয়ামে তা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ।
আবার আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রাতুল
৪| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৯
ধ্রুবক আলো বলেছেন: লান্নাদের নিজস্ব রান্নার স্টাইল যা চিয়াং রাই এর পর্যটনের একটি আইটেনারির অন্তর্ভুক্ত এই অংশ টা বেশি ভালো লাগছে বুঝতেই পারতেছেন দুপুর বেলা
পুরো পোস্টে +++++ সুন্দর এবং চমৎকার পোস্ট, অনেক তথ্য সমৃদ্ধ।
বেশ ভালো লাগলো।
অনেক পরিশ্রমী পোষ্ট ধন্যবাদ আপু।
০৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩
জুন বলেছেন: ধ্রুবক আলো আপনি একটি গুরুত্বপুর্ন পয়েন্টের উল্লেখ করেছেন আমার পোষ্ট থেকে । আমরাও বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরের ব্রোসিওরে দেখি বিভিন্ন প্রোগ্রামের সাথে একটা হচ্ছে কুকিং ক্লাস ! খুবই অবাক হই । ভাবলাম বেড়াতে এসে আবার কি রান্না শিখতে যাবো ! পরে নাইট সাফারিতে এক এমেরিকান দম্পতি বল্লো তারা সকালে কুকিং ক্লাশ করেছে । তাদের কাছ থেকে জানলাম লান্নার রান্না ঐ এলাকা ছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশেই খুবই জনপ্রিয় । তাই এটা তাদের ট্যুর প্রোগ্রামে যুক্ত । কি অবাক কান্ড তাই না ! দলে দলে পর্যটকরা পয়সা দিয়ে ক্লাশ করে রান্না শিখছে । আমাদের দেশেও তো কত রকমের কত বৈচিত্রময় অসাধারন রান্না রয়েছে । কই আমাদের মাথায় তো এমন বুদ্ধি কখনো আসেনি ।
পোষ্ট পড়া ও ভালোলাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে আর সাথে থেকে আমার সাথে চিয়াং মাই ভ্রমনের জন্য কৃতজ্ঞ
৫| ০৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ।
লান্না নকশায় তৈরী স্বর্নালী নাগ বেশ ভাল লাগলো । তারা কি সাপের উপাসক নাকি ?
০৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:০০
জুন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার নিয়মিত সাথে থেকে উৎসাহিত করছেন বলে ।
বৌদ্ধ ধর্ম প্রসারের আগে এক সময় হিন্দু ধর্মে প্রভাবিত ঐসব অঞ্চলে নাগের প্রাধান্য লক্ষনীয় । বিশেষ করে পাশবর্তী দেশ ক্যাম্বোডিয়ার খেমার সাম্রাজ্যের বহু শাসকই শৈব ধর্মাবল্মবী ছিল । তারা সাপের পুজো করতো । তাই তাদের বিভিন্ন স্থাপনায় সাপ লক্ষ্য করা যায় ।
যেমন চিয়াং মাই এর পবিত্রতম বৌদ্ধ মন্দির দই সুথেপে ওঠার সিড়ির রেলিং সাপের প্রতিকৃতিতে তৈরী ।
ছবি দিলাম দেখতে পারেন
শুভেচ্ছান্তে
৬| ০৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
পরিপাটি লাগল! শুভকামনা আপু!
০৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩
জুন বলেছেন: অত্যন্ত ব্যাস্ততার মাঝেও আপনি নিয়মিত এসে মন্তব্য করে যান তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা ।
শুভকামনা আপনার জন্যও ।
৭| ০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
লেখিকার নিজস্ব ঢংয়ে লেখা সচিত্র একটুকরো ইতিহাস, যা জানা ছিলোনা আগে । এ যেন দর্শনীয় কোন স্থানে পাঠককে নিয়ে যাওয়া নয় , পাঠকের সামনে তুলে ধরা ইতিহাসের কিছু পাতা যা উল্টে দেখা হয়ে ওঠেনা কখনও ।
আধুনিক থাই বা তাই ভাষার বর্ণমালার প্রবক্তা ( আবিষ্কারক) রাজা রামখামহ্যাং এর নাম এই প্রথম জানলুম । নইলে এমন একটি তথ্য অজানাই থেকে যেত ।
এই-ই হয় , প্রবল-পরাক্রান্ত রাজ্যগুলির সীমানায় দুর্বল ভুখন্ডগুলি বোধহয় এমনি করেই গ্রাসিত হয়ে একীভূত হয়ে যায় । সংস্কৃতি কিভাবে বিনাযুদ্ধে আরেকটি ভূখন্ড নিজের করে নেয় তা লান্না সাম্রাজ্যটি শ্যায়ামের সাথে একীভূত হওয়াতেই স্পষ্ট । তাই নিজের বেঁচে থাকার স্বার্থেই মনে হয় সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক , রাষ্ট্রীক ক্ষেত্রে দুর্বল ভুখন্ডগুলির উচিৎ এসব দূর্বলতাগুলোকে ঝেড়ে ফেলা ।
ভালো লাগলো সমৃদ্ধ এই পোস্টটি । শুভেচ্ছান্তে ।
০৮ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮
জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস বরাবরের মতই এক গভীর তাৎপর্য্যপুর্ন মন্তব্য করে গেলেন । আপনার জানার বিশাল পরিধিতেও যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু অজানা বিষয় রয়ে গেছে তা আপনার নিঃসংকোচে উল্লেখ সত্যি প্রশংসার দাবীদার ।
এই-ই হয় , প্রবল-পরাক্রান্ত রাজ্যগুলির সীমানায় দুর্বল ভুখন্ডগুলি বোধহয় এমনি করেই গ্রাসিত হয়ে একীভূত হয়ে যায় । সংস্কৃতি কিভাবে বিনাযুদ্ধে আরেকটি ভূখন্ড নিজের করে নেয় তা লান্না সাম্রাজ্যটি শ্যায়ামের সাথে একীভূত হওয়াতেই স্পষ্ট । শুধু লান্নাই নয় তার আগে সুকোথাইও শক্তিশালী শ্যামের সাথে মিলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। তারপরই মনে হয় তৈরী হয়েছিল থাইল্যান্ডের বর্তমান মানচিত্র ।
এসব নিরামিষ রসকষহীন ইতিহাস বিষয়ক লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়া ,প্রাসংগিক মন্তব্য এবং ভালোলাগার কথা জেনে অনেক ভালোলাগলো । ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন।
শুভেচ্ছা সন্ধ্যার ।
৮| ০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩০
সুমন কর বলেছেন: ল্যান্ড অফ মিলিওন রাইস ফিল্ড -- সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। এতো তথ্য কিভাবে সংগ্রহ করেন? আপনার এ সকল পোস্ট সামুর সম্পদ। আপনি আর ডঃ এম এ আলী সামুর অহংকার।
প্লাস আগেই দিয়ে গিয়েছিলাম।
অ.ট.: এপ্রিল মাসে ব্যস্ত থাকায় আপনার আগের পোস্টটি পড়া হয়নি। বুকমার্ক করা আছে।
০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:০৭
জুন বলেছেন: সুমন কর এতখানি প্রশংসা এবং সামুর রত্ন বিশেষ ডঃ এম আলীর সাথে আমাকে তুলনা করে কতটুকু সন্মানিত করলেন তা ভাষায় প্রকাশ করতে অক্ষম ।
প্লাস আগেই দিয়েছিলেন দেখেছি । তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা ।
আশাকরি সময় নিয়ে আমার গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের উপর লেখাটি পড়ে আমাকে জানাবেন কেমন হলো । সে কি পাতে তোলার যোগ্য কি না
দীর্ঘদিন সাথে থেকে উৎসাহ দিচ্ছেন তার জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভেচ্ছা প্রতিনিয়ত ।
৯| ০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক ঐতিহ্য, অনেক ইতিহাস
০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
জুন বলেছেন: জী চাঁদগাজী অনেক ঐতিহ্য আর ইতিহাসকে আজও ধরে রেখেছে অতিথি-পরায়ন এই লান্নাবাসীরা যা দেখে সত্যি অভিভুত আমরা।
অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য ।
১০| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:২০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রথাগত ইতিহাসের বাইরের ইতিহাস পড়লাম।। সত্যি আপনার জনার আগ্রহ এবং সেই আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার এই কষ্টসাধ্য প্রচেষ্টার প্রশংসা না করলেই নয়।। ভাল থাকবেন।।
০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪
জুন বলেছেন: সচেতনহ্যাপী আমার খুব ভালো লাগে যখন দেখি আমার সকল পোষ্ট সেটা যেমনই হোক তাতে আপনার নিস্বার্থ এক আন্তরিক মন্তব্য । আমি সত্যি কৃতজ্ঞ আপনার কাছে মুল্যবান মতামত দিয়ে যাচ্ছেন বলে।
সাথে থাকবেন । আমি খুব শীঘ্রই হয়তো অনেক দিনের জন্য বাইরে যাবো । তখন এত বড় লেখা পোষ্ট করার সুবিধা নাও থাকতে পারে । তাই তারাহুড়ো করে দিয়ে যাচ্ছি । পরে হয়তো অনেক কিছুই ভুলে যাবো বলে । অনেক শুভকামনা রইলো । ভালো থাকুন সব সময়
১১| ০৮ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চিয়াং মাই, চিয়াং রাই এর পথে চলা ফেরার সময় লান্না ফোক লাইফ মিউজিয়ামে না গেলে আপনার কিছুই হতোনা, কিন্তু আমরা মিস করতাম অনেক কিছুই । লান্না অর্থটি জানার কৌতুহল আমারো ছিল । প্রাচীন যুগের শিকারীদের স্বর্গরাজ্য থেকে পরবর্তী যুগের কৃষিকাজে ব্যাপৃত বহু জাতি গোষ্ঠির এই দেশটি সমন্পর্কে জানা হতোনা কিছুই । ঐ অঞ্চলের প্রাচীন মানচিত্রের পরিচিতি, সেই সাথে বর্তমান থাই জনগোষ্ঠির আদিবাস ছিল যে বর্তমান চীনের ইউনান প্রদেশ ও দক্ষিন ভিয়েতনাম জানা গেল তা ভালভাবে । চলার পথে ছোট ছোট রাজ্যগুলোকে পদানত করে যুবরাজ সিংহানুয়াত তার দলবল নিয়ে মেকং নদী পেরিয়ে পশ্চিম তীরে এসে ঘাঁটি গাড়ল কিভাবে জানা হল বিস্তারিত ভাবে । সিংহানুয়াত এর নামানুসারে সিংহানুয়াত যে বর্তমান চিয়াং সেন নাম ধরল তার ইতিহাসটাই অজ্ঞাত রয়ে যেত । লান্না সাম্রাজ্যের গুড়াপত্তনের ইতিহাস জানার পর লান্না শব্দটি কোথা থেকে এলো জানা গেল অবশেষে । লান্না শব্দের অর্থ যে এত ব্যপক তথা লাখো ধানী জমির মালিক অর্থাৎ “ল্যান্ড অফ মিলিওন রাইস ফিল্ড” জেনে এখন ভাল লাগল । মেকং এর পলি বিধৌত অববাহিকার উর্বর জমিতে মাইলের পর মাইল জুড়ে ধান চাষ হতো, তাইতো সেখানে শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে চলে বৈদেশিক আগ্রাসন , যা লিখাটতে তুলে এনেছেন দারুন ভাবে ।
ছয় থেকে তেরো শতাব্দী পর্যন্ত ঐ এলাকার ছোট ছোট রাজ্যের রাজাদের মধ্যে প্রবাহিত ক্রমাগত যুদ্ধ বিগ্রহ শেষে রাজা মেংগ্রাই এর হাতে ধরে লান্নার ইতিহাসে স্বর্নযুগটি উঠে এসেছে লেখাটিতে দারুন ভাবে যা কিংডম অফ লান্না হিসাবে ইতিহাসে প্রসিদ্ধ হয়ে আছে । পরবর্তীতে উত্তর দিক থেকে ধেয়ে আসা মোঙ্গলদের আক্রমনে রাজা মেংগ্রাই তাঁর রাজধানী চিয়াং রাইতে আনায় এটাই এখন উঠে এসেছে ইতিহাসের পাদপিঠে ।সাম্রাজ্যের দক্ষিন অংশের সীমান্ত বাড়িয়ে তোলার কথামালাও জানতে পারলাম বিস্তারিত ভাবে ।
থাইল্যান্ডের ইতিহাসে গ্রেট কিং নামে খ্যাত রাজা রামখামহ্যাং যে আধুনিক থাই বর্নমালা আবিস্কারের পথিকৃত তা জানা ছিলনা আগে । তবে রামখামহ্যাংয়ের মৃত্যুর পর সুকোথাই দুর্বল হয়ে না পড়লে এ সামাজ্রটি মনে হয় টিকে থাকত একালেও, এটা হতে পারতনা শ্যাম ( থাইল্যান্ডের) অধীনস্থ ।
তিন মহান রাজা মেংগ্রাই, রামখামহ্যাং এবং গাম মুয়াং এর ছবি এক সাথে দেখার সৌভাগ্যটি হলো এ পোষ্টের লেখা পাঠে , দেখে বেশ ভাল লাগল , রাজা তিনজন্ই দেখা গেল ছিল বেশ হৃস্ট পোষ্ট ও সুদর্শন । হতেই হবে রাজা বলে কথা । ১৮৩৯ সালে চিয়াং মাইতে প্রতিষ্ঠিত বৌদ্ধ মন্দির ওয়াট চিয়াং মান এর কথা সে সাথে দৃষ্টি নন্দন স্তুপা র ভেতরে গৌতম বুদ্ধের এক গুচ্ছ মাথার চুল রয়েছে জেনে অভিভুত হলাম।
পবিত্র মঠ ওয়াট ছেদি মান, চিয়াং মাই সুন্দর দৃশ্য অবলোকন সহ পাহাড় ঘেরা চিয়াং মাই শহড়ের নাম করনটাও জানা হল এ সাথে , দেখা হল সে সময়ের সুরক্ষিত রাজধানী চিয়াং মাই এর ভেঙ্গে পড়া দেয়ালের কিছু অংশ জানা হল একে একে ১৪ জন রাজা ও একজন রানীর হাত ধরে শক্তিশালী লান্না সাম্রাজ্য কি ভ্াবে চারিদিকে বিস্তার লাভ করেছিল । রাজা তিলকারতের আমলে লাণ্ণাদের ইতিহাসের আরেকটি স্বর্নযুগ ছিল বলে জানতে পারা গেল । জানা গেল রাজা তিলোকারত ও তার পুর্বসুরীরা কিভাবে সংস্কারের মাধ্যমে গৌতম বুদ্ধের বানীকে রাজ্যের শাসন ব্যাবস্থা ও জীবন প্রনালীতে ধারন করে নিয়েছিল ।আসলে ইতিহাস থেকে অনেক কিছুই জানা যায় , ভ্রমন বিবরনীতে স্তরে স্তরে সুন্দর করে নিপুন হাতে গেথেছেন সেসব কথা ।
বর্তমান থাই রাজ প্রাসাদের প্রধান রাজকীয় মন্দির ওয়াট ফ্রা খিউতে স্থাপিত এমারেল্ড বুদ্ধ মুর্তিটি শ্রীলংকা থেকে আনা হয়েছিল তথ্যটিতে শ্রীলংকার ঐতিহ্যময় একটি ইতিহাসও উঠে এসেছে লিখাটিতে । শ্রীলংকায় আদম চুড়া পাহাড়ে গৌতম বুদ্ধের পদচারনা যে ছিল তা সত্য বলেই এটা হতে অনেকটা ধারনা করা যেতে পারে ।
বার্মার রাজারা যে শুধু আরাকানদের উপরেই নির্যাচন করে না, তারা যে লান্না রাজ্যটিকেও নারকীয় ধ্বংষ যজ্ঞ চালিয়ে ছারখার করে জানা গেল পোষ্টের লেখাটি হতে । তাই মনে হয় থাইদের উচিত হবে এখন আরাকানী নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য এগিয়ে আসা ।
মহান রাজা তাকসিন নামে থাই ইতিহাসে সুপরিচিত সেই সাধারন শ্যামবাসী যিনি বিভক্ত শ্যামবাসীকে একত্রিত করে থাইল্যান্ড থেকে বার্মিজদের সাময়িকভাবে বিতাড়িত করতে সক্ষম হন তাকে তো শ্রদ্ধা জানাতেই হয় । লান্না মিউজিয়ামমে থাকা অতিপ্রাকৃত জিনিসে বিশ্বাসী লান্নাদের যাদু করার বিভিন্ন সামগ্রী দেখে ভাল লাগল
১৮৯২ সালে লান্না-থাই আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্যায়ামের সাথে একীভুত হয়ার পরে ১৯৩৯ সালে শেষ লান্না রাজা নভরাতের মৃত্যুর পর কোন লান্না-থাই রাজার নাম ঘোষিত হয়নি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে , সম্পুর্ণ চিয়াংমাই এরিয়াটি নাকি ১৯৩২ সনে অফিসিয়ালী শ্যাম এর একটি প্রদেশ হিসাবে পরিগনিত হয় এবং ১৯৪৯ সনে শ্যাম অফিসিয়ালী থাইল্যন্ড হিসাবে পরিচিত হয় । বিষয়টা দয়া করে কনফার্ম করলে খুশী হব ।
সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন লান্নাদের শিল্প-সংস্কৃতি, নৃত্য-গীত, বয়ন শিল্প, কাঠ খোদাই, রুপা, ব্রোঞ্জ ও বিভিন্ন ধাতুর তৈরী কারুশিল্প থেকে শুরু করে নিজস্ব ঘরানার রান্নার স্টাইল সব কিছু , লান্নাদের লাইফ স্টাইলের বিবরন ও চিত্রমালা হতেও জানা গেল অনেক কিছু ।
ঐতিহাসিক তথ্য সমৃদ্ধ পোস্টটি সামুর জন্য একটি মুল্যবান ডকুমেন্ট হয়ে থাকবে দীর্ঘদিন তাতে কোন সন্দেহ নেই । আমার ব্লগে পোষ্টটি সংরক্ষনের জন্য প্রিয়তে গেল ।
অনেক পরিশ্রমের ফসল যে এই পোষ্টটি তা অতি সহজেই বুঝা যায় । নিশ্চয়ই কিছুটা ক্লান্ত অবসন্য , তাই ক্লান্তি নিরসনের নমিত্ত লান্নাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি দেয়া হল নীচে উপভোগের জন্যে ।
অনেক অনেক অভিনন্দন রইল এই শিক্ষনীয় পোষ্টটির জন্য ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল
০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০০
জুন বলেছেন: প্রথমেই বিশাল এক ধন্যবাদ জানাই আপনার বিস্তৃত এক মন্তব্যের জন্য ডঃ এম আলী । আপনার মন্তব্য পড়লেই বোঝা যায় কিভাবে লাইন বাই লাইন আপনি শুধু পড়েই জান নি আত্মস্থও করেছেন দারুন ভাবে । নেট স্লো তাই আপনার মন্তব্যের যথার্থ প্রতি মন্তব্য দিতে পারবো না ভেবে খুব খারাপ লাগছে । আমার সামান্য লেখাটি থেকেও যে আপনি নতুন কিছু জেনেছেন জেনে খুব ভালোলাগলো । আমার বিশাল লেখাটির সারমর্ম আপনি দারুন দক্ষতায় তুলে ধরেছেন যা দেখে আমি বিস্মিত ।
উইকিপিডিয়া থেকে লান্নাবাসীদের ঐতিহ্যবাহী লম্বা নখের নাচের একটি ছবি তুলে দিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো ।
আমরা রাতে যখন নাইট সাফারিতে গিয়েছিলাম তখন মাঝখানের খোলা আকাশের নীচে বিশাল চত্বরে একটি বুনো নৃত্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম । তাদের পার্ফর্মেন্স সাথে অপরূপ সেই সুর আর গান যেনো এক সাথে মিলে মিশে গেছে । যদিও পুরোনো চিয়াং মাই এর কালচার সেন্টারে লম্বা নখের নাচের সাথে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ে থাকে শিল্পীরা কিন্ত আমাদের সেই শোতে তা ছিল না । মনে হচ্ছিল সেই তিন চার হাজার বছর আগের আদিম সেই শিকারী গোষ্ঠির নাচ ছবি দিলাম আমার মোবাইলে তোলা ।
পোস্টটি পড়া মন্তব্য আর প্রিয়তে নেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন । এত স্লো যে আপনার মন্তব্য উত্তর দিয়ে সেন্ড করতে গিয়ে দুবার মুছে গেল । যথার্থ উত্তর দিতে না পারার জন্য আন্তরিক দুঃখিত ।
শুভকামনা
১২| ০৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনেক অজানা তথ্যে ভরপুর বিরল ছবি সমৃদ্ধ অসাধারণ পোস্ট। বোঝাই যাচ্ছে, আপনি অনেক পরিশ্রম করেছেন।
ধন্যবাদ বোন জুন।
১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫
জুন বলেছেন: আবুহেনা ভাই মন্তব্যের উত্তর দিতে অনিচ্ছাকৃত দেরী হওয়ার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ।
আপনার মত একজন বিদগ্ধ লেখকের প্রশংসা পেয়ে কি যে খুশী হয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে অক্ষম ।
জী আমি এখানে সীমাবদ্ধ পরিসরে বেশির ভাগ লেখাতেই নিজেকে পুরোপুরি ঢেলে দিতে চেষ্টা করি । তবে কতটুকু সফল হই জানি না ।
আবারো ধন্যবাদ নিরন্তর উৎসাহে অনুপ্রানিত করার জন্য । সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায়
১৩| ০৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:১৫
পান্হপাদপ বলেছেন: অসাধারণ তথ্যসমৃদ্ লেখা।ধন্যবাদ আপনাকে।
১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬
জুন বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য পান্হপাদপ ।
১৪| ০৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:২৫
শামছুল ইসলাম বলেছেন: লান্না (লাখো ধানী জমির মালিক) শব্দের অর্থ জানতে গিয়ে প্রাচীন থাই ইতিহাসের অনেক অজানা কথা জানা হলো । ছবি ও ইতিহাসের সম্মিলনে অসাধারণ একটা পোস্ট ।
১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪
জুন বলেছেন: শামসুল ইসলাম প্রথমেই ক্ষমা চাইছি মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী করার জন্য । আর এটার জন্য আমি যে দায়ী না তা নিশ্চয় আপনি অবগত আছেন
আপনি ভালো একটি বিষয়ের অবতারনা করেছেন সে সম্পর্কে আরো দুটো কথা না বলে পারছি না ।
অতীতে উত্তর থাইল্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় বিশাল এলাকা জুড়ে থাকা ধানী জমি মাপার এক একটি একক ছিল । যদি হাজার ধানী জমি থাকতো তাকে বলা হতো পান্না । সেসময় চিয়াং রাইতে ৩২ পান্না , পায়াওতে ৩৬ , চিয়াং সেন ৬৫ এবং ফ্যাং এ৫ এই সব মিলিয়ে রাজা মেংগ্রাই এর অধীনে মিলিওন ধানী জমি ছিল যা সেখানকার স্থানীয় Kham Mueng” ভাষায় বলা হতো লান্না । আর সেখান থেকেই সাম্রাজ্যটির লান্না নামের উৎপত্তি।
অনেক মনযোগের সাথে আমার লেখাগুলো পড়ে একটি আন্তরিক মন্তব্যের করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । সাথে থাকবেন বরাবরের মত সেই প্রত্যাশায় ।
১৫| ০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রথম হইলে আপু সবাই লাফাইয়া চা-কফি চাই।আমি চাইনা বলে কেউ কিছু দেয়না !
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জুনাপু।
১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:০২
জুন বলেছেন: চা কফি ওকে দাড়ান আনছি মোস্তফা সোহেল তবে নেট থেকে নয় । আপনার একার জন্য নয় , আমাদের ভাবী সাহেবের জন্যও দিলাম
১৬| ০৮ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
মিউজিয়ামের সংরক্ষিত প্রাচীন নিদর্শনগুলো ছবিতে দেখে মুগ্ধ এবং লেখার পড়ে লান্নার গৌরবময় এক সাম্রাজ্যের ইতিহাস জানলাম ।। খুব ভালো লাগলো। আর রাজা তিলকারতের প্রতিকৃতি টা দেখে, মনে হচ্ছে একদম জীবন্ত কোন ছবি ।ওখানে আরো সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় স্থান আছে নিশ্চয় !! !
ভালো থাকুন, আপু ।
১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫০
জুন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবীর মন্তব্যের জন্য । যদিও চিয়াং মাই এর বিখ্যাত মিউজিয়াম Chiang Mai Arts and Culture Museum টা সংস্কারের জন্য বন্ধ থাকায় দেখার সৌভাগ্য হয়নি । ওয়াট ইনতাখিন ছেদি মুয়াং এর আরেকটি মিউজিয়ামে গিয়েছিলাম নাম অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। তবে ছবি তোলা বারন এটা দেখেছি যখন দু একটা ছবি তুলে ফেলেছি তার একটি স্যাম্পল দিলাম
আপনিও ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন আর সাথে থাকুন বরাবরের মত সেই প্রত্যাশায়
১৭| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
জুন বলেছেন: ব্লগ এত স্লো কেনো
১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫
জুন বলেছেন: সব ঠিক হয়ে গেছে জুনাপ্পি
১৮| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:১৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জুন আপুর পোস্ট মানে রীতিমত শিক্ষাসফর। গাইড হিসেবেও তিনি অতুলনীয় !!!
১২ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:০৪
জুন বলেছেন: কি যে কন্না শিক্ষা সফর শিক্ষাদীক্ষা কিছু থাকলেতো
মন্তব্যের জবাব দিতে দেরী হওয়ার জন্য আমি কোন অবস্থাতেই দায়ী নই
অসংখ্য ধন্যবাদ গিয়াস লিটন পোষ্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য
শুভকামনা
১৯| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৩৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার পোস্টের কল্যানে এক অজানা ইতিহাস জানা হয়ে গেল। ধন্যবাদ জুন আপু। মিউজিয়ামের ছবিগুলো দেখে লালবাগকেল্লার মিউজিয়ামের কথা মনে পড়ে গেল। সেখানে আমাদের পূর্বসূরিদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, গহনা, সৈন্যদের পোশাক দেখেছিলাম।
১২ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:১০
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ উম্মে সায়মা পোষ্টটি পড়া আর মন্তব্যের জন্য ।
আমি বহুবার লালবেগের কেল্লা দেখতে গিয়েছি সাথে মিউজিয়ামটি দেখা হয়েছে । তবে আমি সবচেয়ে দুঃখ পেয়েছি আমাদের জাতীয় মিউজিয়াম দেখে। আমি যত দেশে গিয়েছি প্রতিটি দেশের একাধিক মিউজিয়াম দেখার সৌভাগ্য হয়েছে । কিন্ত আমাদের জাতীয় মিউজিয়ামের মত এত অযত্ন অবহেলায় কোন মিউজিয়াম থাকতে পারে আমার ধারনার বাইরে ।
সাথে থাকছেন , উৎসাহিত করছেন তার জন্য খুব ভালোলাগা রইলো ।
শুভেচ্ছান্তে
২০| ০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ব্লগ শুধু স্লোই নয় লগ ইন করতেও অনেক বেগ পেতে হচ্ছে !!!!
১২ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:১৩
জুন বলেছেন: এখন সব ঠিক ডঃ এম আলী
তাইতো আপনাদের মন্তব্যের জবাব দিতে পারছি ।
২১| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:০১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর উপস্থাপন আপুনি ছবিগুলোও দারুণ। জানায়ে গেলে যা জানা ছিলনা তার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১২ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:১৪
জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন সাথে থেকে উৎসাহিত করার জন্য মন্তব্যের মাধ্যমে
২২| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:৩৯
সোহানী বলেছেন: আবারো নতুন কিছু সাথে আলী ভাইয়ের মহা মূল্যবান সংযোজন। অনেক অনেক ভালো লাগলো তবে অনুরোধ লিখাগুলো মুছবেন না কারন আপনার লিখা আরেকটা ভ্রমণপিডিয়া (ভ্রমণ+ইউকিপিডিয়া)। যদি পারেন বই আকারে বের করবেন। এটা সংগ্রহে রাখার মতো বই হবে।
আমার নেট ভালোইতো মনে হচ্ছে... যদিও মাঝে সাঝে একটু আধটু আটকে যাচ্ছি....
১২ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:১৯
জুন বলেছেন: আমার উপর এতখানি আস্থা রাখার জন্য আপনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সোহানী ।
বই বিশেষ করে ভ্রমনের উপর একটি বই প্রকাশ করার আমারো মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে। কিন্ত এর প্রসেসটি আমার কাছে এত জটিল মনে হয় যে তখন সব উৎসাহ হারিয়ে ফেলি ।
দেখি কি করা যায় । আপাতত জীবন নিয়ে একটু দৌড়ের উপর আছি আরকি ।
সাথে আছেন দীর্ঘদিন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ । শুভকামনা সব সময়ের জন্য
২৩| ১০ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
সাহসী সন্তান বলেছেন: ব্লগ স্লো না আমি স্লো বুঝতাছি না! একবার মন্তব্য প্রকাশ করতে গিয়া ব্যর্থ হইছি! এইবারও যদি হই, তাইলে কিন্তু আর মন্তব্য করুম না! আপনি লাইক দেইখা বুইঝা নিয়েন আপু যে, পোস্টটা আমি পড়ছি! বুঝলাম না, দুইদিন পর পর ব্লগটার যে কি হয়?
যাহোক, তবে পোস্ট সম্পর্কে আর কি বলবো? সম্ভাবত আপনার পোস্টের প্রশংসা করতে করতে পুরা স্টকই শেষ হইয়া গেছে! একের পর এক আপনি যেভাবে ছবি ব্লগের পাশাপাশি ছবি সংক্রান্ত ইতিহাস গুলা চমৎকার বর্ননার মাধ্যমে আমাদের সামনে উপস্থাপন করতাছেন, তাতে এইটা নিয়া আপনাকে ছোট খাটো ধন্যবাদ দিলে কিছুটা কিপ্টামি হইয়া যাবে! সুতরাং খুব লম্বাআআআআ একটা ধন্যবাদ জানবেন আপু!
তবে আজকের পোস্টটা পড়তে গিয়া কিঞ্চিৎ সমস্যা হইছে! একচুয়ালি আপু ডাল খাওয়া ব্রেন তো, সেজন্য বেশি খটোমটো লেখা আত্মস্থ করতে কিছুটা সমস্যা হয়! কওয়া তো যায় না, যদি বদহজম হইয়া জায়গা নষ্ট হইয়া যায়!
আর আমার যতদূর ধারনা কেবল ইতিহাস লব্ধ বেশ কিছু স্থানের নামের কারণে আজকের পোস্টের ভাষাটা কেমন জানি একটু কঠিন কঠিন লাগলো! বৈদেশি নাম গুলা ক্যান যে এত খটোমটো হয়! অবশ্য সমস্যাটা যদি কেবল আমার হয় তাইলে বলবো পোস্ট না, আসলে উহা আত্মস্থ না করতে পারাটা কেবল আমারই দূর্বলতা!
অসাধারণ সুন্দর পোস্টে একগাদা ভালো লাগা! আর এধরনের পোস্ট (ভাষাটা সহজ কইরা) আগামীতে যাতে আরো বেশি বেশি কইরা দিতে পারেন, সেজন্য অনেক অনেক শুভ কামনা! ভাল থাকবেন আপু!
১২ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:২৫
জুন বলেছেন: ব্লগই স্লো ছিল সাহসী । তাই কারো মন্তব্যের জবাব দিতে পারছিলাম না
আর কারো পোষ্টে মন্তব্যও করতে পারছিলাম না
ভাগ্যিস ব্যার্থ হও নাই , নইলে যে কি হতো
লম্বাআআ ধন্যবাদ আমার পক্ষ থেকেও জেনো । লেখাটি কোথায় খটমট হলো তা আমি ভেবেই পাচ্ছি না । এত্ত সহজ সরল করে আর কেউ এমন জটিল একটি ইতিহাস লিখতে পারবে কি না আমার সন্দেহ
অবশ্য সমস্যাটা যদি কেবল আমার হয় তাইলে বলবো পোস্ট না, আসলে উহা আত্মস্থ না করতে পারাটা কেবল আমারই দূর্বলতা! এটাই সত্যি
তুমিও ভালো থেকো । অনেকদিন তোমার কোন লেখালেখি দেখছি না ! ঘটনা কি ? এখন কি শুধু পাঠক হয়েই গেলে নাকি
শুভকামনা সব সময়ের জন্য
২৪| ১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭
সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।
অনেক ইটিহাস এবং ঐতহ্য জানতে পারি আপনার পোস্টের মাধ্যমে।
অনেক অনেক শুভ কামনা।
+++
১২ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৫১
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সিনবাদ জাহাজী আমার লেখাটি পড়া, মন্তব্য আর প্লাসের জন্য ।
শুভকামনা আপনার জন্যও
২৫| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭
মানবী বলেছেন: লান্নাদের নিজস্ব যে রান্নার স্টাইল, তা গতানুগতিক থাই খাবার থেকে কিভাবে ভিন্ন সেসম্পর্কে কৌতুহল হচ্ছে!
যদিও থাইদের মাঝেও একই ডিশ রান্নায় এলাকা ভিত্তিক বৈচিত্র থাকাটাও স্বাভাবিক।
আমি এক বিখ্যাত সংগ্রহশালা দেখেছি, আর সব দর্শনীয় স্থানের মতো ছবিও তুলেছি- ব্যাস সে পর্যন্ত।
দুর্লভ সেসব সংগ্রহ সম্পর্কে সকলকে জানাতে ইচ্ছে করে, তখন মনে হয় জুনের মতো এভাবে সুন্দর করে বর্ণনা সম্ভব নয়।
যেকোন বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা চালিয়ে যেতে সমস্যা হয়না তবে ইতিহাস নিয়ে একটি নাড়াচাড়া করতেই কেমন যেনো মনে হয় :-)
আরেকটি সমৃদ্ধ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জুন।
১৩ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬
জুন বলেছেন: মানবী ব্লগের স্লথ গতি আর আমার ব্যক্তিগত ব্যস্ততার জন্য প্রথমেই আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ করছি উত্তর দিতে দেরী হলো বলে।
মশল্লাবিহীন মিষ্টি স্বাদের সাথে হাল্কা কিছু গন্ধ যুক্ত লান্নার বিখ্যাত খাবার সত্যি অপুর্ব । বার্মা এবং চাইনীজ খাবারের প্রভাবে লান্নার খাবার ব্যতিক্রমী থাইল্যান্ডের অন্যান্য এলাকার খাবারের সাথে ।
আপনার সংগ্রহশালার ছবি দেখার অপেক্ষায় রইলাম মানবী । আমি এমন কিছু আহামরি বর্ননা দিতে পারি না । ইতিহাস এক সময় আমারো অপছন্দ ছিল । কিন্ত কলেজ লাইফে এসে যখন সারা পৃথিবীর প্রাচীন থেকে আধুনিক যুগের ইতিহাস পড়তে শুরু করি তখন এতই মুগ্ধ হই যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোন বিভাগে ভর্তির কথা মাথাতেই আসে নি ।
সাথে থাকেন উৎসাহ দিচ্ছেন নিয়মিত তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৬| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭
জেন রসি বলেছেন: আমার একটা কৌতহল আছে। আপনি যান নাই এমন কোন দেশের নাম জানতে ইচ্ছে করে! দুএকটা থাকলেও মনে হয় খুব বেশী আর বাকি নেই। আপনার পোস্ট পড়ে পড়েই আমরা পরোক্ষ ভাবে অনেক জায়গা থেকে ঘুরে এসেছি। আরেকটি চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জুন আপু।
১৩ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭
জুন বলেছেন: জেন রসি দুঃখিত দেরী করে উত্তর দেয়ার জন্য ।
আমি পৃথিবীর ৯৯% দেশেই যাই নি । যে সব দেশে গিয়েছি সেটা আগা পাস্তলা ভালো করে দেখতে চেষ্টা করি । আর তাই লিখে আপনাদের সাথে শেয়ার করি । আপনারা সেটা পড়ে মন্তব্য করেন, উৎসাহিত করেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
২৭| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৫
নীলপরি বলেছেন: বরাবরের মতোই সুন্দর লাগলো । ++++++
১৩ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ নীলপরি সাথে থাকার জন্য
২৮| ১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩
নিশাত১২৩ বলেছেন: আপনার সৌজন্যে অজানা ইতিহাসখানি জানা হয়ে গেলো জুন। প্লাস দিয়ে গেলুম ++++++
১৩ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ নিশাত১২৩ । সাথে থাকবেন সেই প্রত্যশায়
২৯| ১৪ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:০৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এমন ইতিহাস পড়লে মনটা কোথায় যেন হারিয়ে যায়, ইচ্ছে হয় ছুটে চলে যাই সেই প্রাচীনতায়......থাইল্যান্ড দেশটা সত্যিই বৈচিত্রপূর্ণ। কবে যাওয়া হবে জানিনা, ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম আপু।
১৪ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১
জুন বলেছেন: প্রকৃতি ইতিহাস আর ঐতিহ্য আমাকেও আধুনিকতার চেয়েও বেশী টানে সাদা মনের মানুষ ।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
৩০| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:১৬
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ঐতিহাসিক যাদুঘর দেখলাম ,জানলাম।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জুনপু
১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:১৩
জুন বলেছেন: আমিও জানাতে পেরে প্রীত হয়েছি এডোয়ার্ড মায়া ।
মন্তব্যে প্রতিনিয়ত উৎসাহিত করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছান্তে
৩১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নতুন কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ।
০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২১
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার । স্বাগতম আমার ব্লগে ।
৩২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ইতিহাস পাঠ এবং পর্যটন, দুটোই হলো একসাথে। অনেক সমৃদ্ধ পোস্ট। অনেক অনেক ধন্যবাদ সামু'র ইবনে বতুতাকে।
সংস্কৃতি সচেতন লান্নাবাসীদের ইতিহাস, শিল্প সংস্কৃতি ও জীবন প্রণালী সম্বন্ধে জানতে পেরে নিজেকেও সমৃদ্ধ মনে হচ্ছে।
বই বের করুন চটজলদি, হারিয়ে যাবার আগে!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৫
জুন বলেছেন: আমার প্রিয় একটি পোষ্টে এতদিন পরে খুজে খুজে এসে মন্তব্য করলেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ।
বই বের না করলে যদি হারিয়ে যাই তবে হারিয়ে যাওয়াই তো ভালো তাই নয় কি ! সবার দ্বারা সব কিছু হয় না । সবাই সব কিছু চাইলেও পায়না এটাই ধ্রুব সত্য । মেনে নিতে হয় বা বাধ্য হতে হয় । সবাই বই বের করলে পাঠক হবে কে ? আমি শুধু সবার লেখার পাঠকই হতে চাই ।
ভালো থাকুন সব সময় এই প্রত্যাশায় ।
৩৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: বই বের না করলে যদি হারিয়ে যাই তবে হারিয়ে যাওয়াই তো ভালো তাই নয় কি - আপনি হারিয়ে যাবেন, একথা বলিনি। লেখাগুলো হারিয়ে যাবার আগের কথা বলেছি। কোনদিন কি যান্ত্রিক গোলযগ দেখা দিবে, দেখবেন তখন আর এই ব্লগ থেকে নিজের লেখাগুলোকেই বের করতে পারছেন না। কিংবা আপনি নিজেই আর এ ব্লগে ঢুকতে পারছেন না। বই বের হলে লেখাগুলো বৃহত্তর পাঠক সমাজ কর্তৃক সমাদৃত হতো।
২৮ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:০৭
জুন বলেছেন: প্রথমেই আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি খায়রুল আহসান এত দিন পর আপনার মন্তব্যটি চোখে পরলো বলে । আসলে এত ঝঞ্জাট করে সামু মাঝে মাঝে আর এখন তো ক্রনিক প্রবলেম ।
কোনদিন কি যান্ত্রিক গোলযগ দেখা দিবে, দেখবেন তখন আর এই ব্লগ থেকে নিজের লেখাগুলোকেই বের করতে পারছেন না। কিংবা আপনি নিজেই আর এ ব্লগে ঢুকতে পারছেন না। আপনার ভবিষ্যত বানী এতটা সত্যি হবে তা কখনো কল্পনাও করিনি প্রিয় ব্লগার । এখন মনে হয় সত্যি এমন দিন হয়তো অচিরেই আসবে ।
আসলে বই বের করা নিয়ে দু একজনের সাথে হাল্কা কথা হয়েছিলো । তারা কি যে জটিল কথা বলে যা আমি বুঝতেই পারি না । পান্ডুলিপি ফর্মা কি সব । আমি যতটুকু সময় পাই তাতে যে শুধু লিখতেই জানি , এইসব এডিট ফর্মা এগুলো কে করবে বলুন ?
অনেক অনেক ভালো থাকুন । আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরীর জন্য আবারও দুঃখ প্রকাশ করছি । আমি জানি ক্ষমাশীল
৩৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: দু'বছর আগে করা আমার নিজের মন্তব্য (৩৩ নং) পড়ে নিজেকেই এক মস্ত গণক বলে মনে হচ্ছে!
দেখলেন তো, গরীবের কথা কিভাবে বাসি হলে কাজে দেয়?
যাক সে কথা। যদি কখনো বই ছাপানোর জন্য নির্ভুল প্রুফ রীডিং এর প্রয়োজন হয়, সোজা আমার কাছে পাঠিয়ে দেবেন। আমি স্বেচ্ছায়, সাগ্রহে ও কাজটি করে দেব। বিনিময়ে একটি স্বাক্ষরযুক্ত বই চাই।
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪
জুন বলেছেন: যদি কখনো বই ছাপানোর জন্য নির্ভুল প্রুফ রীডিং এর প্রয়োজন হয়, সোজা আমার কাছে পাঠিয়ে দেবেন। আমি স্বেচ্ছায়, সাগ্রহে ও কাজটি করে দেব। বিনিময়ে একটি স্বাক্ষরযুক্ত বই চাই।
এ যে আমার জন্য কতখানি সন্মানের তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না খায়রুল আহসান । যদি কখনো ঐ পথে যাই অবশ্য আপনার সাহায্য মাথা পেতে নেবো কথা দিলাম ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন সবসময় সবাইকে নিয়ে
৩৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭
নিমো বলেছেন: তথ্যবহুল বিশাল এই লেখার মত দূরহ কর্ম সম্পাদনের জন্য প্রথমে ধন্যবাদ দিচ্ছি। যদিও শুরুতে সাম্রাজ্যের রথী-মহারথীদের ইতিহাস ভাল লাগছিল না। আমি সৈয়দ মুজতবা আলীর ভক্ত, তাই সাধারণ মানুষের ইতিহাস শুনতে ভাল লাগে। শেষে কিছু ছিঁটেফোঁটা অবশ্য ছিল। এর কি আরও পর্ব আছে ? মেকং নদী নিয়ে আরও একটু বিস্তৃত বর্ণনা আশা করেছিলাম।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩
জুন বলেছেন: Nemo
আপনার সুবিশাল সাথে মনযোগী পাঠে আমিও প্রথমে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ । মিউজিয়াম নিয়ে কিছু লিখতে গেলেতো রাজা রাজড়ারা এমনিতেই চলে আসে
চিয়াং মাই , চিয়াং রাই বিশেষ করে থাইল্যান্ডের পর্যটন এরিয়া নিয়ে আমার অনেকগুলো লেখা ব্লগে আছে । আমি একটা দিলাম, বাকিগুলো আপনি যদি খুজে নিয়ে পড়েন তাহলে খুব ভালো হয় ।
আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ অশেষ । ভালো থাকুন সব সময়ের জন্য ।
গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ইতিহাসের এক কুখ্যাত মাদক সাম্রাজ্যে একদিন
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনি মন ভরে ছবি তুলেছেন আর আমরা মন ভরে সেই তোলা ছবি দেখেছি।
অনেক ইতিহাস জানালেন। পড়লাম আর কিছু জানলাম। ধন্যবাদ জুনাপু।