নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লপবুরি ও তার বিখ্যাত মাংকি টেম্পল

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১


ফ্রা ফ্রাং সাম ইয়ত বা মাংকি টেম্পল, লপবুরির ল্যান্ডমার্ক
থাইল্যন্ডের রাজধানী ব্যংকক থেকে ১৩৮ কিমি দূরে একটি প্রদেশ নাম তার লপবুরি প্রাচীন কালের লাভা পুরা যা ছিল একটি স্বাধীন রাজ্য। একসময় ক্যাম্বোডিয়ার বিশাল খেমার সাম্রাজ্যের অধীনে চলে যাওয়া লপবুরির যতই গৌরবময় ইতিহাস আর ঐতিহ্য থাকুক না কেন সত্যি বলতে কি বর্তমানে পর্যটকদের কাছে এর প্রধান আকর্ষন হলো একটি বাৎসরিক ভোজসভা।
আমন্ত্রন পেলেও আপনি কিন্ত সেই ভোজে অংশ গ্রহন করতে পারবেন না যদি না আপনার একটি লম্বা লেজ থাকে। কারন এ ভোজসভার অতিথিরা হলো খেমার আমলে নির্মিত এক প্রাচীন মন্দির প্রাঙ্গনে বসবাস করা শত শত বানর। প্রতি বছর নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে হাজারো রঙের ফল ফুলের ডালা সাজিয়ে আয়োজিত এই ব্যতিক্রমী বানরের ভোজসভা দেখতে হাজির হয় স্থানীয় জনগন ছাড়াও শত শত পর্যটক।

ফলের সাগরে অতিথি বানর আর দর্শক হলো মানুষ
সাতই অগাষ্ট ২০১৭ সকাল আটটায় এক রাত দুদিন থাকার পরিকল্পনা নিয়ে রওনা দিলাম লপবুরির উদ্দেশ্যে। আমাদের যাত্রা সঙ্গী ছিল ছোট ছোট দুটি মেয়ে আর এক বৃদ্ধ মহিলা সহ এক সিঙ্গাপুরি দম্পতি। জাতীয় মহাসড়ক ৩১৯৬ দিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ভ্যান চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে চালক। জানালা দিয়ে দেখছি পথের দুপাশে শহর,নগর, মাঠ ঘাট আর গ্রামীন দৃশ্যপট অত্যন্ত দ্রুততায় সরে সরে যাচ্ছে পেছনে। নির্ধারিত সময় দুই ঘন্টা আট মিনিটের মধ্যেই লপবুরি ইন রিসোর্টে পৌছে গেলাম।

রিসোর্টের দেয়ালে দেয়ালে রয়েছে বিভিন্ন ভঙ্গীমায় বানরকুলের টেরাকোটা আর্ট
সহ পর্যটকরাও এখানেই উঠলো। শহরের এক প্রান্তে নিরিবিলি ছিমছাম পরিবেশে বানরের মুর্তি ঘেরা সেই রিসোর্ট দেখে বাচ্চাগুলো দারুন উত্তেজিত। আমাদেরও মজাই লাগছিল তা দেখে। দেয়াল ঘেষে সার দেয়া একই ডিজাইনের লাল টালির ছাদের দৃষ্টি-নন্দন পাকা কুটিরের একটি আমাদের জন্য বরাদ্দ হলো। অফ- সিজন থাকায় সকালের নাস্তা সহ ডাবল বেডরুম ভাড়া এক রাতের জন্য ২৮ মার্কিন ডলার।

সারি সারি কুটির আর তার সামনে এমন সব বানরের ভাস্কর্য্য
রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে এগারোটার আগেই বেরিয়ে পড়লাম আমাদের গন্তব্য লপবুরির ল্যান্ডমার্ক মাংকি টেম্পলের উদ্দেশ্যে। আমাদের থাকার জায়গাটি শহরের এক প্রান্তে অবস্থান হওয়ায় যাতায়তের বেশ অসুবিধা দেখতে পেলাম। ব্যংককের মত মিটার ট্যাক্সি বা টুকটুক নেই। গন-পরিবহনের জন্য রয়েছে বাস আর সীমিত সংখ্যক টেম্পু যাকে ওরা বলে সংতোয়ে তাও সেগুলোর চলাচল প্রধান সড়কে। বেশ কিছু পথ হেটে অনেকের সাহায্য নিয়ে অবশেষে বড় রাস্তার পাশে বাস স্ট্যান্ডে হাজির হোলাম। অল্পক্ষনের ভেতরেই লাল রঙের একটি সংতোএ আসলো যা আমাদের গন্তব্যের দিকেই যাবে। ভাড়া নিল মাথা পিছু ছয় বাথ।

পথের ওপাশে দুটো ভেঙ্গে পরা মঠ
শহরের মধ্যে দিয়ে বেশ খানিকটা চলার পর ড্রাইভার চওড়া একটি রাস্তার পাশে ফুটপাথ ঘেষে গাড়ি থামিয়ে ইশারায় জানালো আমরা গন্তব্যে পৌছে গেছি। যেখানে নামালো তার উল্টোদিকে রাস্তার লাগোয়া সামান্য দুরত্ব বজায় রাখা দুটো প্রাচীন মঠ বা মন্দিরের ভগ্নাবশেষ দেখা যাচ্ছে। দুর থেকে এক নজর দেখেই বুঝলাম সেখানে দেখার কিছু নেই । অবশেষে হাটতে লাগলাম পেছনে ফেলে আসা এক মন্দিরের উদ্দেশ্যে যা দেখার জন্য আমাদের এখানে আগমন। রাস্তাঘাট বাড়িঘর সহ অন্যান্য চিনহ দেখে বোঝা যায় স্থানটি লপবুরির পুরনো এক ঐতিহাসিক এলাকা।

হিন্দু দেবতা ইন্দ্রের ভাঙ্গা দেউলের কাঠামো
দু এক কদম এগুতেই নজরে পড়লো হাতের বাঁয়ে ফুটপাথ ঘেষে সবুজ ঘাসে ছাওয়া মাটির উচু একটি ঢিপি তার উপরে একটি ভাঙ্গা দেয়াল। সামনে ধাতব পাতের ছোট সাইনবোর্ডে ইংরাজী ও থাই ভাষায় লেখা wat indra . অর্থাৎ হিন্দু দেবতা ইন্দ্রের মন্দির। খেমার সাম্রাজ্যের অধীনে নির্মিত মন্দিরটি লপবুরির দেয়াল ঘেরা নগরীর ভেতরে অবস্থিত। এর নির্মানে খেমার স্থাপত্যের ছাপ ও ধর্মীয় প্রভাব সুস্পস্ট বলে থাই পুরাকীর্তি বিভাগের উদ্ধৃতি রয়েছে সাইনবোর্ডে।

ইন্দ্র মন্দিরের সাইনবোর্ড
একসময় দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার বিশাল অঞ্চল জুড়ে প্রতিষ্ঠিত ক্যাম্বোডিয়ার খেমার সাম্রাজ্যের জনগনসহ রাজন্যবর্গরাও হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিল। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য ছিলেন পৃথিবীর নতুন বিস্ময় এংকরভাটের নির্মাতা শিবের উপাসক সম্রাট ২য় সুর্যবর্মন পরম বিষ্ণুলোকা। উপাসনা ও তার নিজ সমাধি সৌধ হিসেবেই ভারতীয় এবং খেমার স্থাপত্যের সংমিশ্রনে নির্মান করেছিলেন এংকরভাটকে। পরবর্তীকালে এইসব অঞ্চলে রাজকীয়ভাবে বৌদ্ধধর্মের প্রসারের ফলে হিন্দু ধর্ম ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে পড়ে।

২০১৫ তে দেখা আমার চোখে দেখে আসা এংকরভাট
ওয়াট ইন্দ্রা থেকে ফুটপাথ ধরে কিছুটা সামনে এগুতেই নজরে পড়লো এক চৌরাস্তার মোড় যার মাঝখানে সবুজ ঘাসে ঢাকা এক সড়কদ্বীপ। আর সেই দ্বীপের মাঝেই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে লপবুরির বিখ্যাত ফ্রা ফ্রাং সাম ইয়ত (phra prang sam yot) বা মাংকি টেম্পল। ক্যাম্বোডিয়ার সিয়ামরেপের বিভিন্ন মন্দিরের ক্ষুদে সংস্করন এই স্থাপত্যটি ১৩ শতাব্দীর খেমার স্থাপত্য কলার প্রধান নির্মানশৈলী বায়ন রীতিতে তৈরী।
রাস্তা পেরিয়ে কাটাতারে ঘেরা সেই সড়ক দ্বীপের কাছে পৌছে দেখলাম বানর বেষ্টিত মন্দিরে বেশ কিছু শ্বেতাংগ পর্যটক ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে, তবে স্থানীয় কাউকে দেখলাম না । বানরগুলো কৌতুহলী দৃষ্টিতে তাদের পর্যবেক্ষন করছে অর্থাৎ এর কাছে কোন খাবার জাতীয় কিছু আছে কি না যা ছিনিয়ে নেয়া যায়। অবশ্য শুধু খাবারই নয় ক্যামেরা, মোবাইল, সানগ্লাসও তাদের হাত থেকে রক্ষা করা কঠিন।

সবুজ সড়ক দ্বীপের মাঝখানে বানর মন্দির
কোথায় জানি পড়লাম এক পর্যটকের স্ত্রীর মাথার ক্লিপগুলোও তারা দক্ষ হাতে খুব ধীরে ধীরে খুলে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল। কখনো কখনো তারা কামড়ে দেয় আর যার জন্য আপনাকে দ্রুত ক্লিনিকে গিয়ে র‍্যাবিস ইঞ্জেকশনও নিতে হবে গোটা চার। এসব শুনে আমার স্বামীতো ঢুকলোই না। আমি ধীরে ধীরে মন্দিরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এর মাঝে গোটা দুই বানর আচমকা আমাকে ঘিরে গা বেয়ে ওঠার চেষ্টা করছিল আমি ভয়ে হিম হয়ে যাচ্ছিলাম। তা দেখে এক পর্যটক তার হাতের লাঠি নিয়ে এগিয়ে আসতেই তারা আমাকে ছেড়ে পালালো।

গেটের প্রবেশ পথে জটলা
এখানে প্রবেশ ফি মাথা পিছু পঞ্চাশ বাথ। তবে ঘটনা হলো আমি সেই ফি দেয়ার কথা জানতামই না এবং দেইওনি । যখন বিষয়টি জানলাম আমি তখন সেখান থেকে অনেক দূরে। আসলে আমি যখন সিড়ি বেয়ে উঠে গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছিলাম তখন সেখানে হাটতে অক্ষম এক লম্বা চওড়া শ্বেতাঙ্গ ভদ্রলোককে সাথে নিয়ে আসা পরিজনরা হুইল চেয়ারে বসানোর কসরত করছিলো। সেই ভজঘটের মধ্যে আমি ডান দিক দিয়ে গেট পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করি।সেখানে বাঁদিকে যে ছোট ঘরটিতে নিরাপত্তা রক্ষীরা বসেছিল আর তারা যে টিকিটও নিচ্ছিল তা আমি বুঝতেই পারি নি।
ভালোই হয়েছে নৈলে এংকরভাট, তা-প্রহম আর প্রাসাত বায়ন দেখা আমার কাছে ফ্রা ফ্রাং সাম ইয়ত এর আকার-আকৃতি ও রক্ষনাবেক্ষনের হালে হতাশ আমার কাছে সামান্য ঐ পঞ্চাশ বাথই বিশাল হয়ে উঠতো ।

অপরিচ্ছিন্ন মন্দির প্রাঙ্গন
বানরের জন্যই কিনা জানি না থাইল্যান্ডের অন্যন্য দর্শনীয় স্থানগুলোর চেয়ে এই পুরো মন্দির ও তার লাগোয়া চত্বরটি বেশ অপরিচ্ছন্ন মনে হলো আমার কাছে। খেমার মন্দিরগুলির ক্ষুদ্রতম রেপ্লিকা তিন চুড়া বিশিষ্ট এই মন্দিরটি শুধু বাইরেই নয়, ভেতরেও যে সামান্য নিদর্শন রয়েছে যেমন খিলান, গম্বুজ, কারুকার্য্য করা স্তম্ভ ও একাধিক ভগ্নমুর্তি, শিবের পুজার জন্য নির্মিত পাথরের পবিত্র স্থান সব কিছুতেই খেমার নকশার প্রতিফলন লক্ষ্যনীয়, তবে নির্মান কাজ সিয়ামরেপের মন্দিরগুলোর মত তত সুক্ষ নয়। এখানকার প্রচুর নিদর্শন থাইল্যান্ডের জাতীয় যাদুঘরের আলাদা গ্যালারীতে সংরক্ষিত রয়েছে। সরু করিডোর দিয়ে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত মন্দির তিনটি দেখতে যথেষ্ট কসরত করতে হচ্ছিল সবাইকে।

একেই জালে ঘেরা নীচু জানালা তাতে সারাদিন বাদরের ঝুলাঝুলি । আলো প্রবেশের উপায় নেই
বানরের উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে জাল বেষ্টিত নীচু জানালা দিয়ে আসা সামান্য আলোয় ভেতরের অপরিসর মেঝেতে স্থাপিত বেশ বড়সর আকারের মাথাবিহীন মুর্তি ও পুজার স্থানগুলোতে কোন রকমে হোচট খেতে খেতে দেখে নিলাম এংকরভাটের বাচ্চাকে। অন্য একটি দল নিয়ে আসা গাইডকে মস্তকবিহীন একটি মুর্তি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম এটা কার মুর্তি ?

মন্দির অভ্যন্তরে মস্তক বিহীন মুর্তি ও পুজার উপাচার ।
প্রশ্ন শুনে আমার মুখের দিকে তাকিয়েই বুঝে নিল আমি তার দলের সদস্য নই, অর্থাৎ বিনে পয়সায় তথ্য জানতে চাচ্ছি। তারপর অত্যন্ত বিরক্তির সাথে জানালো এটা বুদ্ধের মুর্তি। কিন্ত এংকরভাটে শুনেছিলাম রাজকীয় ধর্ম পরিবর্তনের সাথে সাথে কিছু কিছু হিন্দু দেবতার মুর্তির মাথা ভেঙ্গে বুদ্ধের মাথা বসানো হয়েছিল, সে ইতিহাস থাক। বাইরে একটা প্রমান সাইজের বসে থাকা কালো পাথরের বৌদ্ধ মুর্তির গা বেয়েও চলছে বানরের অবিরাম ওঠানামা। যাই হোক ভয়ে ভয়ে ঘুরে ফিরে দেখে বেরিয়ে আসলাম।

বুদ্ধমুর্তি বেয়ে চলছে বাঁদরের বাঁদরামী
এবার যাবো লপবুরির বিখ্যাত নারাই মিউজিয়ামটি দেখতে যা এখন থেকে একশ গজ দুরত্বে। হাটতে হাটতে অবশেষে হাজির হোলাম দেয়াল ঘেরা মিউজিয়ামের প্রধান প্রবেশ গেটের কাছে। বাইরে দেয়ালে বড় করে লেখা মিউজিয়ামের নাম।

মিউজিয়াম গেটের বাঁ পাশে লেখা রাজা নারাই মিউজিয়াম
থাইল্যান্ড তথা প্রাচীন শিয়ামের এক মহান রাজা ছিলেন নারাই যা হচ্ছে ভারতীয় দেবতা নারায়ন নামের অপভ্রংশ (১৬৫৬ –১৬৮৮ )। তাঁর রাজধানী আয়ুথিয়াতে হলেও চীনের ক্রমাগত আগ্রাসনের মুখে নিরাপত্তার জন্য ১৬৬৬ খৃষ্টাব্দে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ লপবুরিতে তিনি দ্বিতীয় রাজধানী গড়ে তোলেন। আর এখান থেকেই তিনি বছরের আটমাস শাসন কাজ পরিচালনা করতেন। দেয়াল ঘেরা তাঁর রাজকীয় প্রাসাদ ও অন্যান্য স্থাপনা মিলিয়েই পরবর্তীকালে গঠিত হয়েছে মিউজিয়াম।

দ্বিতীয় রাজধানী লপবুরিতে ইউরোপিয় নকশাঁয় নির্মিত রাজা নারাই এর রাজপ্রাসাদ যা বর্তমানে যাদুঘর
রাজা নারাই ছিলেন এক দুরদর্শী রাজনিতীবিদ এবং অসাধারন কুটনৈতিক প্রজ্ঞার অধিকারী। ব্যংককের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া ছাওফ্রায়া নদীর তীরে গোলা আর কামান নিয়ে আক্রমনের জন্য উদ্যত ডাচ বনিকদের বানিজ্যিক সুবিধা দিয়ে নিজ দেশকে পরাধীন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন তিনি। এ ঘটনাটি তৎকালীন বিশ্বের ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে একটি বিস্ময়কর ঘটনাই বলতে হবে। আবার ইউরোপের অন্যান্য দেশ যেমন ফ্রান্স, ইংল্যন্ড ছাড়াও এশিয়ার পারস্যের সাথে ঘনিষ্ঠ কুটনৈতিক আর বানিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখে রাজা নারাই ক্ষমতার ভারসাম্যও রক্ষা করেছিলেন।
ব্যংককের জাতীয় মিউজিয়াম প্রাঙ্গনে মহান রাজা নারাই দাঁড়িয়ে থাকা মুর্তি
থাইবাসীদের গর্ব যে সে সময় সারা বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ইউরোপের ক্ষমতাবান দেশগুলোর উপনিবেশে পরিনত হলেও তাদের প্রিয় মাতৃভুমি আজ পর্যন্ত কখনোই কারো অধীন বা উপনিবেশে পরিনত হয়নি। আর এ কারনেই থাইবাসীরা রাজা নারাইকে একজন মহান রাজা বলে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকে।
এসব ভাবতে ভাবতে যখন যাদুঘরের প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করি তখনই দ্বাররক্ষী দ্রুত এগিয়ে এসে জানালো যাদুঘর বন্ধ কারন সোমবার ও মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি। আর সেদিনটি ছিল সোমবার। এতদুর থেকে এত টাকা খরচ করে এসে মন্দির দেখে হতাশ আমি ভেবেছিলাম যাদুঘর দেখে পুষিয়ে নেবো। দ্বাররক্ষীর কথায় হতাশা আমাদের চোখে মুখে ফুটে উঠলেও কিছু করার ছিল না। তাই ইশারায় বোঝালো দু ভাগে বিভক্ত মিউজিয়ামটির অন্দরমহল বন্ধ থাকালেও বাহির মহলটি যেন আমরা অবশ্যই ঘুরে দেখি।


বিদেশী অতিথিদের অভ্যর্থনার জন্য হল ঘর
কি আর করা অবশেষে বিশাল বিশাল কড়ই গাছের হাল্কা ছায়া ছায়া মায়াময় এক পরিবেশে আমরা দুজন সবুজ ঘাসের চত্বরে ভাঙ্গা ইটের দালানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। লপবুরি আসার আগে ইতিহাস থেকে জেনেছি রাজা নারাইয়ের শাসন ব্যাবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে এক বিদেশীর প্রবল প্রভাব ছিল। গ্রীক অভিযাত্রী সেই বিদেশীর নাম ছিল Constantine Phaulkon । ফরাসীরা যাকে সম্বোধন করতো মশিয়ে কনস্টান্স বলে। তিনি এতটা ক্ষমতাশালী ছিল যে আজকের প্রেক্ষাপটে তাকে একজন প্রধানমন্ত্রীর সমকক্ষ হিসেবে তুলনা করা যেতে পারে। তারই প্রভাবে লপবুরির রাজকীয় নিবাসের বেশিরভাগ স্থাপনাগুলোই ইউরোপীয় নঁকশার ছাপ সুস্পষ্ট। এর মাঝে আমাদের না দেখা রাজপ্রাসাদটি যা বর্তমানে যাদুঘরটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।


লপবুরি দ্বিতীয় রাজধানীতে মশিয়ে কনস্টান্স এর মহল
বিশাল চত্বর জুড়ে তৈরী বাইরের মহলে মশিয়ে কন্সটান্সের বাসভবন ছাড়াও বিদেশী কুটনীতিক ও অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য হলঘর, রাজকীয় জিনিসপত্র রাখার কিছু গুদাম ঘর এবং আরো কিছু স্থাপনা রয়েছে যার সবই ভগ্নদশা হলেও খুবই সযত্নে সংরক্ষিত। আর রয়েছে অন্দরমহলে প্রবেশের তালাবদ্ধ এক বিশাল সাদা রঙের তোরন। উকি মারার জন্য কোন সামান্য ছিদ্রও খুজে পেলাম না, ফলে অটুট নিশ্ছিদ্র সেই গেটের ওপারে কি আছে তার কিছুই নজরে এলো না।

দুপাশে লাল ইটের রাজকীয় বস্তুর সংরক্ষনাগার আর তার মাঝ বরাবর দুরেই দেখা যাচ্ছে অন্দরমহলে প্রবেশের বন্ধ শ্বেত তোরন
ঘন্টাখানেক ঘুরে ফিরে ব্যর্থ মনোরথে বাইরে এসে ঘড়ি দেখলাম প্রায় পাঁচটা বাজে। স্থানীয়রা কেউ ইংরেজী বোঝে না ফলে ফিরতি যানবাহন খুজে বের করতে খুবই সমস্যা হলো । এই রাস্তা সেই রাস্তা করে যখন পা ভেঙ্গে আসছিল, তখন খুজে পেলাম আমাদের রিসোর্টের দিকে যাবার একটি সং-তোয়ে । রুমে ফিরে ফ্রেশ হয়ে সোজা বিছানার আশ্রয়ে। রুমে খাবার অর্ডার দিয়ে খেয়ে দেয়ে ক্লান্ত শ্রান্ত আমরা আটটার মধ্যেই মনে হয় গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম।

খাটের মাথাতেও নকশা করা বানর বাবাজী
গতরাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ায় আজ খুব সকালে ঘুম ভাঙ্গলো। দুপুর দুটোর সময় ব্যংকক রওনা দেবো তাই তার আগের সময়টিকে কি কাজে লাগানো যায় ভেবে সহ পর্যটককে বললাম ‘গতকাল যাতায়তে খুব কষ্ট হয়েছে আজ আমাদের ভ্যানের ড্রাইভারকে ডাকো’। যার সৌজন্যে এই ভ্রমনে এসেছি সেই আমাদের ম্যানেজার সাহেবকে ফোন করা হলো। উনি জানালেন ঠিক নটায় রিসোর্টের রিসেপশনে ভ্যান নিয়ে আমাদের ভ্যান চালক আসবে। তার আগেই আমরা নাস্তা খেয়ে ব্যাগ গুছিয়ে রিসোর্টের বাইরে ডানদিকে যে দুরের উচু সবুজ পাহাড়গুলো দেখা যায় সেদিকে কিছুদুর হেটে আসলাম ।


ডানদিকের রাস্তা ধরে ভোর ভোর সকালে বেশ খানিকটা ঘুরে আসলাম, তবে পাহাড়টি অনেক দূর
নেট থেকে তথ্য নিয়ে জেনেছি একটি মন্দির ও কুমিরের খামার ছাড়া লপবুরিতে আমাদের আর দেখার তেমন কিছুই নেই । বিভিন্ন দেশে বিদেশে প্রচুর মন্দির আর কুমিরের খামার দেখায় সেগুলো দেখতে আর আগ্রহ বোধ করলাম না।
লপবুরির প্রধান দ্রস্টব্যগুলো রেলস্টেশনের পাশে হওয়ায় বেশিরভাগ পর্যটকই ব্যংককের পুরানো এয়ারপোর্ট ডন মুয়াং রেল স্টেশন থেকে ১১৫ কিমি দুরত্বের লপবুরিতে লোকাল ট্রেন রাপিড ১১১ তে করে চলে আসে। ঘন্টা কয়েকের মধ্যেই যা দেখার দেখে আরেক ট্রেনে চেপে ব্যংকক ফিরে যায়। তাই সত্যিকারের পর্যটক বান্ধব শহর এটি নয় বলতে গেলে।

সেই নির্জন পাহাড়ী পথের এক গাড়িতে বসে আছে কুকুর ছানা
নটায় ড্রাইভার আসলে তাকে জানালাম আমরা চিড়িয়াখানায় যাবো। কেন জানি আমার সব সময়ের পছন্দের একটি জায়গা হলো চিড়িয়াখানা আর এর অবস্থানও আমাদের রিসোর্ট থেকে সামান্য দুরে। কিন্ত লপবুরির চিড়িয়াখানাটির যে এই হাল তা আমি স্বপ্নেও ভাবি নি। হাটা সহ দশ মিনিট সেই অধিকাংশই প্রানীশুন্য খালি খাঁচাগুলো দেখে বিফল মনোরথে যখন ফিরে আসছি তখন খেয়াল করলাম গেটের ভেতরের বিশাল প্রাঙ্গন জুড়ে বিভিন্ন নার্সারি হরেক রকম গাছের চারা সহ ফলমুল নিয়ে এক মেলা বসিয়েছে। সেখান থেকে আমি দুটো এয়ার প্ল্যন্ট কিনলাম আর এক প্যাকেট দেশী বড়ই সাথে লবন মরিচ আর আমার স্বামী কি সব ফল কিনে গাড়িতে এসে বসলাম।

একমাত্র এটাকেই দেখলাম নড়েচড়ে বেড়াচ্ছে

চিড়িয়াখানার ভেতরে খুড়ে পাওয়া গেছে রাজা নারাই এর আমলে নির্মিত পানি সরবরাহের মাটির পাইপ
রিসোর্টে ফেরার সময় গতকালের দেখা সড়ক দ্বীপের মাঝে গোলাপী রঙের অর্ধচন্দ্রাকৃতির দেয়াল আর বাধানো চত্বরের উপর সেই কালো ব্রোঞ্জের দন্ডায়মান মুর্তিটি আবার চোখে পড়লো। ড্রাইভার জানালো সেটা তাদের বিখ্যাত রাজা নারাই এর মুর্তি ।

বাঁ পা সামান্য এগিয়ে রাখা প্রাসাত তং রাজবংশের শেষ বিখ্যাত রাজা নারাই
সেখানে কিছু সময়ের জন্য গাড়ি থামানোর অনুরোধ করলাম। স্থানীয় জনগনের উদ্দোগে ১৯৬৬ খৃষ্টাব্দে প্রাদেশিক বিচারালয়ের সামনে চৌরাস্তার পাথর বাধানো সড়ক দ্বীপে এই ব্রোঞ্জ মুর্তিটি স্থাপন করা হয়। উচু বেদীর উপর দন্ডায়মান, মুখটি পুর্বদিকে সামান্য ঘোরানো, ডান হাতে তলোয়ার আর বাঁ পা সামান্য এগিয়ে রেখেছেন প্রাসাত তং রাজবংশের শেষ বিখ্যাত রাজা নারাই। সেই কড়া রোদে খোলা আকাশের নীচে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছিল না তার পরো পুরো চত্বরটি ঘুরে ফিরে দেখে হোটেলের দিকে রওনা দিলাম।

ফিরে দেখা গোলাকার গোলাপী রঙের বেদী
গাড়ী থেকে নামার পর ড্রাইভার মহোদয় হেসে জানালো এই এক ঘন্টা ভ্রমনের জন্য তারা সবার কাছ থেকে ৫০০ বাথ নিয়ে থাকে,তবে আমাদের জন্য এটাও ছিল ম্যনেজার সাহেব তথা ট্যুর অপারেটরের পক্ষ থেকে সৌজন্য সফর। তার প্রতি আমরা অশেষ কৃতজ্ঞ ।
খাওয়া দাওয়া শেষে দুপুর দুটোর দিকে লপবুরি ছেড়ে রওনা হোলাম সেই সাথে শেষ হলো আরেকটি ভ্রমণ। চারটার সময় পৌছে গেলাম গন্তব্যে ।

গন্তব্যের পথে।

রাজা নারাই এর রাজপ্রাসাদ তথা বর্তমান মিউজিয়াম ও বানর ভোজের ছবিটি বাদে সমস্ত ছবি আমাদের মোবাইলে তোলা।
আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্লগার ডঃ এম আলী বানর ভোজ নিয়ে অত্যন্ত সুন্দর ও মনোগ্রাহী পোষ্ট দিয়েছেন যার লিংক দিলাম ।
বায়ো-মেডিকেল পরীক্ষা বনাম পর্যটন শিল্প বিকাশে বানরের অবদান সম্ভাবনায় থাইল্যান্ডের বানর ভোজ উৎসবের উদাহরণ

মন্তব্য ৯৬ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৯৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: হালকা শীতের এই সকালে মনে হচ্ছিলো কমফোর্টার পায়ের উপর চাপিয়ে (হালকা একটা সুয়েটার পরে আছি) কাটিয়ে দেই হাজার বছরের যুদ্ধে যুদ্ধে কাটা দিনগুলোর মতই ঘরে বসে থাকার দাবি নিয়ে | কিন্তু আপনি টেনে হিচড়ে নিয়ে গেলেন থাইল্যান্ডে ! কি আর করা যেতেই হলো | ও, আবারো মুগ্ধ হতেই হলো আপনার লেখায়, ছবিতে |অনেক ডিটেলস লিখেছেন মাঙ্কি টেম্পল আর তার আসে পাশের জিনিসগুলো |অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখাটা আবারো বলছি | আচ্ছা, রাজা নারাই-এর দেশে ভূমিবলের পর এখন রাজা কে ? নাম কি রাজার ? সেই ছোট বেলা থেকে অপরিবর্তনীয় হিসেবে যে ব্যাপারগুলো জেনেছিলাম তার একটা ব্যাপার ছিল থাই রাজার নাম ! এখনতো সেটা মনেহয় চেঞ্জ হয়েছে |ভালো থাকুন |

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:০৭

জুন বলেছেন: আমি অত্যন্ত দুঃখিত এভাবে আপনার আরামে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য মলাসইলমুইনা । তবে কর্কট ক্রান্তি রেখার উপর বসে থাকা থাইল্যান্ডের আমপাকা গরমে ঘর থেকে বের হওয়া খুবই কষ্টের । তাই তো এদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে ।
আমি যতটুকু দেখি চেষ্টা করি ব্লগের সবার সাথে শেয়ার করার ।
রাজা ভুমিবলের ৭০ বছরের শাসনকালে দেশের জন্য তার যে অবদান তাতে তার দেশের বেশিরভাগ জনগনই মনে করে উনি দেবতার অংশ । এই মতামত আমি অনেক উচ্চ শিক্ষিত থাইদের কাছেও শুনেছি । তাকে নিয়ে আমার বেশ কিছু লেখা আছে ব্লগে।
এখন তাঁর একমাত্র ছেলে মহাভাজিরালংকর্ন দশম রামা উপাধি নিয়ে রাজা হিসেবে ঘোষিত । কিন্ত তার করোনেশন অপেক্ষায় আছে তাঁর প্রবাদপ্রতিম পিতার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান যা হবে ২৬ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ।
আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আর আপনিও ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন সেই প্রত্যাশায় ।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বর্তমানে ওরা বানরকে রক্ষা করছে, এটা ভালো।

আগে টেম্পল মেম্পল বানায়ে, মানুষকে বন্ছিত করেছে ওরা।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:২২

জুন বলেছেন: মজার একটি মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ চাঁদগাজী । বৌদ্ধ ধর্মটি তো এসেছে মুলত হিন্দু ধর্মের কিছু কট্টর ধ্যান ধারনার প্রতিবাদ থেকেই। যেমন খৃষ্টান ক্যাথলিক ধর্মকে রিফর্ম করেছিলেন জার্মান পাদ্রী ও শিক্ষক মার্টিন লুথা্র যা প্রটেস্ট্যন্ট ধর্ম নামে পরিচিত। খৃষ্ট ধর্মেরই এই শাখাটিই রাজকীয় ধর্ম হিসেবে স্থায়িত্ব লাভ করে ইংল্যান্ডের রাজা অস্টম হেনরীর মাধ্যমে। কারন তিনি চারটি বিয়ে করেছিলেন, আর আপনি নিশ্চয় জানেন ক্যাথলিক ধর্মে ডিভোর্স নাই । একাধিক বৌ রাখারও নিয়ম নেই তাই এই ব্যাবস্থা ।
যেহেতু বানর হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা হিসেবে গন্য তাই মনে হয় বৌদ্ধ ধর্মেও তার একটি বিশেষ স্থান আছে ।
আগে টেম্পল মেম্পল বানায়ে, মানুষকে বন্ছিত করেছে ওরা।
এই করে আগের দিনের রাজা বাদশাহরা মানুষ জনকে ব্যাস্ত রেখেছে মনে হয় । প্রমান মিশরের পিরামিড থেকেই ধরুন।
যাক অনেক কিছু বলে ফেললাম । ভালো থাকুন ।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩২

শায়মা বলেছেন: থাইল্যান্ড ভ্রমন পোস্টগুলি নিয়ে সিরিজ করে ফেলো আপুনি!!!!!!!!!!!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০৫

জুন বলেছেন: সিরিজ না হয় করলাম শায়মা, তারপর ??

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,





আপনার এরকম পোস্টে নতুন করে শব্দ সংযোজন করার ভান্ডার শুন্য হয়ে গেছে ।
শুধু এটাকে ইতিহাসাশ্রিত ভ্রমন না বলে "ভ্রমনাশ্রিত ইতিহাস" বলতে চাই ।

মজা লাগলো এখানটায় - "এখানে প্রবেশ ফি মাথা পিছু পঞ্চাশ বাথ। তবে ঘটনা হলো আমি সেই ফি দেয়ার কথা জানতামই না এবং দেইও নি ............................ ভালোই হয়েছে নৈলে এংকরভাট, তা-প্রহম আর প্রাসাত বায়ন দেখা আমার কাছে ফ্রা ফ্রাং সাম ইয়ত এর আকার-আকৃতি ও রক্ষনাবেক্ষনের হালে হতাশ আমার কাছে সামান্য ঐ পঞ্চাশ বাথই বিশাল হয়ে উঠতো । "


আর - "শহরের মধ্যে দিয়ে বেশ খানিকটা চলার পর ড্রাইভার চওড়া একটি রাস্তার পাশে ফুটপাথ ঘেষে গাড়ি থামিয়ে ইশারায় জানালো আমরা গন্তব্যে পৌছে গেছি। যেখানে নামালো তার উল্টোদিকে রাস্তার লাগোয়া সামান্য দুরত্ব বজায় রাখা দুটো প্রাচীন মঠ বা মন্দিরের ভগ্নাবশেষ দেখা যাচ্ছে। দুর থেকে এক নজর দেখেই বুঝলাম সেখানে দেখার কিছু নেই । অবশেষে হাটতে লাগলাম পেছনে ফেলে আসা এক মন্দিরের উদ্দেশ্যে যা দেখার জন্য আমাদের এখানে আগমন।" এই অংশটুকু দুবার এসেছে ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১০

জুন বলেছেন: আমিও বুঝি বার বার বলতে গিয়ে কথারা একসময় হারিয়ে যায় আহমেদ জী এস । যাই হোক তারপর ও এসেছেন কিছুতো বলেছেন তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা ।
দুবার আসা প্যারাটি এডিট করে দিয়েছি ।
এটা উল্লেখ করা ও মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বানরের জন্য ভোজ আর মানুষ হলো দর্শক। হাঃ হাঃ হাঃ। বেশ মজা পেলাম।


আচ্ছা, থাইরা ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না, নাকি কথা বলতে চায় না? এর আগে সম্ভবত আপনারই কোন পোস্টে পড়েছিলাম যে ওরা নাকি বিজাতীয় ভাষাকে ঘৃণা করে। পোস্টটা আপনার নাও হতে পারে।

খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ বোন জুন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

জুন বলেছেন: জী হেনা ভাই বানরের জন্য যে কতরকম ফলফলাদি তার ছবি দেখে আমি বিস্মিত । তাও আবার কেমিকেল মুক্ত । দেখেন কি সুখ ।

থাইরা অধিকাংশই নিজেদের ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষায় কথা বলতে পারে না। এর প্রধান কারন অন্য ভাষাকে ঘৃনা নয় , তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংরাজীর অনুপস্থিতি । তাদের প্লে গ্রুপ থেকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারিং সহ পিএইচডি গবেষনা করার জন্যও থাই ভাষায় প্রচুর আন্তর্জাতিক মানের বই পত্র আছে। আরেকটি বড় কারন তারা কোন দেশের উপনিবেশ ছিল না । যেমন ফিলিপিনস স্পানিশ কলোনি ছিল তাই সেখানে ইংরাজীর পাশাপাশি স্প্যানিশ ভাষা বলতে পারে । ক্যাম্বোডিয়া ফ্রেঞ্চ কলোনী থাকায় তাদের সাধারন লোকজনও ফরাসি ভাষা বলতে সক্ষম যা বলতে আমাদের দাঁত ভেঙ্গে পরার অবস্থা । আর আমাদের উপমহাদেশ বৃটিশ কলোনি হওয়ায় ইংরাজী বলতে পড়তে পারি । তবে তাদের প্রয়াত রাজা ভুমিবল সাতটি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন । আসিয়ান সদস্য হওয়ার পর তারা বর্তমানে ইংরাজী ভাষা শেখার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে ।
ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই । সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন সেই প্রার্থনা রইলো ।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: নতুন কিছু জানার সৌভাগ্যে ধন্য হলাম। প্রিয়তে থাকুন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

জুন বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন আমার সামান্য পোষ্টটিতে মন্তব্য, ভালোলাগা আর প্রিয়তে নেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ছবি, লেখা, বর্ণনা সব কিছু মিলে একটি পরিপূর্ণ ব্লগীয় পোষ্ট। পোষ্টে লাইক এন্ড প্লাস। + ++

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

জুন বলেছেন: আপনার প্রশংসা শিরোধার্য্য করে নিলাম শাহদাত হোসাইন । ভালো থাকবেন ।

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুন !! ছোট খাট সব কিছু নিয়ে এমন ভাবে লিখেছ ; একদম পায়ের ব্যথায় ঘুম সহ ভোজের ও অংশীদার হলাম ।
শুভ কামনা আপু ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জুন বলেছেন: মনিরা তুমি যে ছোটখাটো জিনিসগুলোও খেয়াল করেছো তাতেই বোঝা যায় কত মনযোগ দিয়ে পড়েছো আমার সামান্য লেখাটি।
অশেষ শুভকামনা রইলো আপু তোমার জন্যও ।

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ।। লেখাটি পড়ার পর শুধু একথাই মনে এলো।। আপনার লেখায় দুঃখ যেমন জেগে উঠে, তেমনি মিলিয়ে যেতেও দেরী হয় না।। কারনটা জানেন?? ছবি এবং সুনিপুন বর্ননা।।
শুভেচ্ছা নেবেন।।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৯

জুন বলেছেন: সচেতনহ্যাপী,
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া না বলে চোখ মেলে দেখুন আর অনুভব করুন এই পৃথিবীর রূপ রস আর গন্ধকে।

দেখুন এই যে গ্রীক অভিযাত্রী মঁশিয়ে কনষ্টান্সকে। আর তারই মতন আসীন হোন কোন রাজা রাজড়ার প্রবল প্রতাপশালী উপদেষ্টার চেয়ারখানিতে :)
এতখানি প্রশংসা করে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাথে শুভকামনা আপনার জন্যও ।


১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বলেন কি, থ্যাইল্যান্ডের সব আর্কিওলজিকাল সাইটগুলো নিয়ে লেখা হয়েছে ? আমার মতো ঘরকুনকেও আপনি ঘরছাড়া বানিয়ে দিলেন লেখায় ! আর ইবনে বতুতার সাথে যাদের অন্তরে মন্তরে খাতির তারাতো আপনার লেখা মিস করবে খুব ! এটাতো ব্লগীয় দুঃসংবাদ একটা !

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০৩

জুন বলেছেন: সব কি দেখা সম্ভব মলাসইলমুইনা এই বুড়ো বেতো পা নিয়ে এত বড় দেশটি দেখা ! তবে প্রাচীন সুকোথাই হিস্টরিক্যাল পার্ক যেখানে হাটা অথবা সাইকেল ছাড়া ঘোরার উপায় নেই সেটা বাদ দিয়ে অন্যান্য বিখ্যাত জায়গাগুলো কিছুটা দেখার চেষ্টা করেছি । আমার ব্লগেই তা দেখতে পাবেন কই কই গিয়েছিলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ।

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: মাথাহীন মূর্তি!!!!

সাম্প্রদায়িকতার বণ্যতার স্বাক্ষী আজো বয়ে বেড়াচ্ছে! হয়তো সামনের দিকে আরো অনেক বছর এ স্বাক্ষ্য দিয়ে চলবে!!

একাকী কুকুরটাকে একপলক তাকিয়ে দেখলে মেছো সিংহ( আইমিন ছোট সিংহ; জানিনা এমন কিছু আছে কিনা) এর মতো মনে হচ্ছে! আন্দর মহলের গেট, লালইটের দেয়াল, সবুজ ঘাস এই ছবিটা আমার মনে ধরেছে!:)


পোস্টে বরাবরের মতোই +

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৪

জুন বলেছেন: মাথাহীন মূর্তি!!!!
সাম্প্রদায়িকতার বণ্যতার স্বাক্ষী আজো বয়ে বেড়াচ্ছে!
বিলিয়ার রহমান আমি যা বলতে চেয়েও ভাষার অভাবে পারিনি আপনি তা অল্প কথায় তুলে ধরেছেন ।মানুষের হাতে ধ্বংস করা এই মাথাবিহীন মুর্তির প্রমান আমি দেখেছি থাইল্যান্ডের প্রাচীন রাজধানী আয়ুথিয়াতে যা একই ধর্মের অনুসারী বর্মী বাহিনীর হাতে ঘটেছিল। দ্বিতীয়ত দেখেছিলাম সিয়ামরেপের বিভিন্ন বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষিত মন্দিরগুলোতে । তবে সেগুলো হিন্দু আর বৌদ্ধ ধর্মের টানাটানির ফলাফল ।
ছবি ও পোষ্ট ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সবগুলো ছবি ভালো লেগেছে। তবে মস্তকবিহীন মূর্তি আমার কাছে সুখকর লাগেনি। ব্যাপারটি অনেকটা গলাকাটা রাক্ষসের মতো ভয়ংকর!!!!
সবমিলিয়ে বরাবরের মত চমৎকার পোস্ট।

সুন্দর ।+

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৬

জুন বলেছেন: মস্তকবিহীন মূর্তি আমার কাছেও ভালোলাগেনি । পোষ্টটি পাঠ ও মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ।

১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দারুন বর্ণনা আপা, এমনভাবে লিখেছেন যেন মনে হচ্ছিলো লেখা পড়ছিনা, স্ব-শরীরে ঘুরে বেড়াচ্ছি! এংকরভাট দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। আপনার লেখা পড়ে ইচ্ছাটা আরও শক্ত হলো। ২০০১ এ ব্যাংকক গিয়েছিলাম, রাজধানীর বাইরে কোথাও যাওয়া হয়নি। এবার গেলে আর সেই ভুল করবো না। কুকুরের ছবিটা দেখে মজা পেলাম :)!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১

জুন বলেছেন: প্রানবন্ত এই মন্তব্যেটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ ভুয়া মফিজ আপনাকে । ব্যাংককের বাইরে ঘুরে আসতে আর ভুল করবেন না :)
সুযোগ পেলে অবশ্যই এংকরভাট দেখবেন যদি আপনার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের উপর আগ্রহ থেকে থাকে ।
কুকুর ছানাটি সুইট বটে তবে তার চেয়েও বিড়াল আমার বেশি পছন্দ । দেখুন কেমন পড়ুয়া বিড়াল :)

১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: দারুণ লাগলো ছবিসহ পোস্টটি।

বানরকূল তো মজার মজার কান্ড ঘটাতে পারদর্শী।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩

জুন বলেছেন: বানর আমার কাছে খুবই মজার একটি প্রানী মোঃ মাইদুল সরকার । তাদের কান্ড কীর্তি দেখতে কখনই বিরক্ত হই না ।
পোষ্টটি ভালোলাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

নায়না নাসরিন বলেছেন: আপু বানরগুলারে হিংসা আর হিংসা +++++++

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

জুন বলেছেন: কেন নায়না ! আপনিও কি এমন ভোজে অংশগ্রহন করতে চান ! তাহলে যে আপনার একটি লম্বা লেজ লাগবে :)
তবে এটা সত্যি এখানকার ফলে কোন ফর্মালিন নেই । যাকে বলে বিষহীন ।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আপু, এই লপবুরি কি ব্যাংকক থেকে হুয়া হিন( Hua Hin) যেতে পথে পড়ে। মনে হচ্ছে এই পথে গিয়েছি। রাস্তায় শত শত বানর দাড়িয়ে ছিল,বাঁদরামি করছিল। স্মৃতিকাতর হয়ে গেলুম।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩১

জুন বলেছেন: সকালের শুভেচ্ছা পলক শাহরিয়ার সাথে মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
লপবুরি হুয়া হিন যাবার পথে পরে না । কারন হুয়া হিন থাইল্যান্ডের দক্ষিন অংশে অর্থাৎ ব্যংককের দক্ষিন দক্ষিন-পশ্চিমে আর লপবুরি ব্যাংককের উত্তর পুর্ব দিকে । এদেশে যে কোন জায়গাতেই বানর থাকতে পারে কারন এখানে জনসংখ্যার তুলনায় মাইলের পর মাইল বিরান জমি পরে আছে আর আছে ঘন জঙ্গল আর প্রচুর ফল পাকুড়।

১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

কালীদাস বলেছেন: কতদিন পরে কাউকে বামহাতে গাড়ি চালাতে দেখলাম (লাস্টের ছবিটা) :-<

যথারীতি ঝরঝরে বর্ণনা আখেরি জামানার ইবনে বতুতার কিবোর্ডে B-))

আছেন কেমন? :)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৩

জুন বলেছেন: আখেরি জামানার ইবনে বতুতার কিবোর্ডে :|
তা ভালোই বলেছেন কালীদাস ।
আছি ভালো-মন্দে মিলায়ে সকলি । আপনি ভালো তো ?

১৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুবই পরিশ্রমী পোষ্ট।
বানরের কার্যকলাপ শুনে বিস্মিত হলাম। ঢাকার ভুতের গলিত সহ পুরান ঢাকায় এরকম কান্ড ঘটে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮

জুন বলেছেন: পরিশ্রমী পোষ্ট বলার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো । বানর তো বানরই, তাদের স্বভাব চরিত্র একই রকমই হবে তা সে ভুতের গলিরই হোক আর বিদেশেই হোক । তবে ব্যাপারটা হলো জামাই আদরে তাদের জন্য ভোজসভার আয়োজন ।
ভারতের সিমলার একটি উচু মন্দির জাখু নাম সেখানে বানর বোঝাই । সুযোগ পেলেই দর্শনার্থীদের ব্যাগ ক্যামেরা নিয়ে গাছের ডগায় উঠে বসে থাকে ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ।

১৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপু, এতগুলো ফল কি বানরকে খাওয়ানোর জন্যই রাখা !! হেনা ভাইয়ের প্রতিউত্তরে দেখে বিস্মিত অনেকটা।

না আপু, এটি সামান্য পোষ্ট না, অনেক কিছু একসাথে জানার পোষ্ট, একটা অঞ্চল সম্পর্কে অনেকটা ধারণা আপনার পোষ্টে। আপনার বর্ণনীয় কথামালায় খুব সুন্দর বুঝতে পারা যায় অজানা একটা দেশ অঞ্চলকে। অসাধারণ পোষ্ট। কৃতজ্ঞতা রাখছি পোষ্টে।

শুভকামনা আপনার জন্য, সুস্থ সবল থাকুন আর এভাবেই অজানাকে জানার সুযোগ করে দিন প্রত্যাশা।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪১

জুন বলেছেন: জী নয়ন তায় আবার ক্যামিকেল মুক্ত ফল । যেহেতু ডঃ এম আলী বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন তাই আমি শুধু নিজের অভিজ্ঞতাটুকুই বর্ননা করেছি ।
আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা যা আজকাল খুব কম মানুষই একে অন্যের জন্য করে থাকে :)
আমার লেখার সাথে থাকবেন ভবিষ্যতেও সেই প্রত্যাশায় ।

২০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

নীলপরি বলেছেন: বরাবরের মতোই বর্ণনা ও ছবি অপূর্ব লাগলো । +++++++++

শুভকামনা

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

জুন বলেছেন: বরাবরের মতই আপনিও আমার সকল লেখায় আছেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ নীলপরি ।
শুভকামনা আপনার জন্যও ।

২১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০০

সোহানী বলেছেন: ওরে বাপরে বানর দেখি মহারাজা.....আর সবাই প্রজা.. B:-)

বরাবরের মতই ভালোলেগেছে কিন্তু আপনার কোন এক পোস্টে মনে হয় বানর বিষয়ক লিখা পড়েছিলাম............... আর আলী ভাইয়ের গভেষনা পোস্টটা ও দারুন ছিল।

অনেক ভালো থাকেন...........

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৮

জুন বলেছেন: ঐ একদিনের জন্যই তারা মহারাজা মনে হয় সোহানী ।
ভালোলেগেছে বলেছেন আমার সাদামাটা লেখাটিকে তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা । ডঃ এম আলীর পোষ্টটিতো একটি পিএইচডির গবেষনার পর্যায়ে, সেখানে আমারটি তো নার্সারির হাম্পডি টাম্পডির অবস্থা :)
আপনিও অনেক অনেক ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন সেই প্রত্যাশাই রইলো ।

২২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



কিছু লেখা ভবিষ্যতে বারবার পড়ার জন্য তুলে রাখি... উপায় নেই। ছবি তোলার কায়দা, বর্ণনা প্রকাশ ভঙ্গি আরো অনেক কিছুই ভাল লাগে।



এই লেখাটি প্রিয়তে যাবেই..

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫১

জুন বলেছেন: তুলে রেখেছেন শুনে খুবই খুশী হোলাম ভ্রমরের ডানা । তবে আশা করবো সময় পেলে মাঝে মাঝে ধুলো ঝেড়ে টুক করে দু এক লাইনে চোখ বুলিয়ে নেবেন :)
আপনার প্রশংসা মাথায় করে রাখলাম । আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা আপনার জন্য ।

২৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অমার ছোট একটা পোষ্ট দেয়া নিয়ে একটু ব্যস্ত থাকায় সময় মত দেখতে আসতে পারিনি বলে আফছুছ হচ্ছে ।
এই সাত সকালে এক নজরে দেখা ছবিগুলি ভাল লাগল ।
এখন প্রিয়তে নিয়ে গেলাম , সময় করে পাঠান্তে আবার আসব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৪

জুন বলেছেন: আপনার ছোট পোষ্ট দেখে এসে আমার পোষ্টটি নিয়ে লজ্জা পেলাম ডঃ এম আলী :``>>
সময়মতই আপনি এসেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । পাঠান্তে যে আপনি সময় পেলে আপনি আসবেন তা আমি জানি । কারন আপনার লেখা থেকেই এখানে যাওয়ার ও তা নিয়ে লেখার অনুপ্রেরনা পেয়েছি ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্যও ।

২৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মুখে ফুল চন্দন পড়ুক বলে বাংলা সাহিত্যে প্রশংসা করার একটা ব্যাপার আছে | পায়ের ব্যাপারে এমন কিছু আছে কি ? মনেই করতে পারছি না | ঠিক আছে বাংলা ব্যাকরণ না হয় একটু নাই মানলাম, একটু ভাঙলামই এতে কি কিছু হবে না আপনি মনে করবেন ? ব্যাকরণ বহির্ভুত হলেও বলি, আপনার পায়ে ফুল চন্দন পড়ুক | বেশি বেশি করে যেন হাটাহাটি করতে পারেন, ঘুরতে বেড়াতে পারেন আর আপনার ঘুরাঘুরির শুদ্ধ বাংলায় ভ্রমণের স্বছবি ব্লগ করতে পারেন ! টেক কেয়ার |

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০০

জুন বলেছেন: এখানে প্রচুর ফুল উৎপন্ন হয় যা বিদেশে রফতানী করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করে যা নিয়ে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল পোষ্টে উল্লেখ করেছি । তবে চন্দন গাছ আছে কি না জানি না । চন্দনের দরকার হওয়ায় অনেক খুজে খুজে এক ইন্ডিয়ান দোকানে পেলাম , এক কেজির প্যাকেট দাম এক হাজার বাথ । অর্থাৎ বাংলাদেশি ৩ হাজার টাকা। ভড়কে গিয়ে চলে আসলাম। এখন চিন্তা করে দেখেন ফুল চন্দন দিবেন কি না :( এর চেয়ে ব্যাথানাশক কোন ঔষধের নাম বলেন তাতে যদি কাজ হয় :)
আপনিও ভালো থাকুন আর লেখার সাথে থাকুন সেই প্রত্যাশাই রইলো ।

২৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভিষন ভাললাগা একটা রেস নিয়ে লেখেন আপনি এটি আপনার লেখা পড়লে আমার তাই মনে হয়।
প্রানাবন্ত লেখাটি পড়তে গিয়ে কোথাও একটুও বিরক্ত হতে হয়নি।
খুবই ভাল লাগল।
ধন্যবাদ জুনাপু।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৩

জুন বলেছেন: আমার লেখা নিয়ে আপনার প্রশংসায় আমি আভিভুত মোস্তফা সোহেল । ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ।

২৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আপু,আমার যা বলার ছিল,সবকিছু সকল ব্লগারগণ তা বলে গেছেন, :) পোষ্ট খানা আগেই আংশিক পড়েছিলম। এখন পুরোপুরি পড়ে গেলাম। ভালো লাগা রইলো। ধন্যবাদ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

জুন বলেছেন: নাইবা বললেন শাহরিয়ার কবীর । মাঝে মাঝে চুপ করে থাকাই ভালো । তারপর ও সময় করে পড়েছেন, মন্তব্য করেছেন এবং সেই প্রথমদিকে এসেই ভালোলাগার চিনহটুকু দিয়ে গেছেন তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞ । ভালো থাকুন সেই শুভকামনায় ।

২৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:


বেশ ঘোরাঘুরি
ইতিহাস নিয়ে ছেঁড়াছিড়ি !

ঘোরার পাশাপাশি অভিজ্ঞতা লেখা আমার কাছে বেশ কষ্টকরই মনে হয় । আর তা আপনি করেন সুনিপুণভাবে । চমৎকার ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১০

জুন বলেছেন: বেশ ঘোরাঘুরি
ইতিহাস নিয়ে ছেঁড়াছিড়ি !

ভালোই বলেছেন কথাকথিকেথিকথন ।ইতিহাসের ছাত্রী বলেই যা দেখতে যাই তার মাঝে ইতিহাস খুজে বেড়াই মনে হয় ।
যাক আপনি অত্যন্ত অনুধাবন করলেন দেখে আসা জিনিসগুলো নিয়ে লেখালেখি :)
অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা আপনার জন্য রইলো ।

২৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: ইউ বেট ! ভালো থাকুন |

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১১

জুন বলেছেন: আপনিও অনেক অনেক ভালো থাকুন মলাসইলমুইনা সেই প্রার্থনাই রইলো ।

২৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

রাতুল_শাহ বলেছেন: কেমন আছেন?

আমি ভালো আছি, সুস্থ আছি।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭

জুন বলেছেন: রাতুল অনেকদিন পর মনে হয় আসলে ।
পেছন থেকে গাড়ির ধাক্কায় পরে গিয়ে বা হাত ভেঙ্গে যাওয়া ছাড়া আমিও অনেক ভালো আছি যখন আমার চেয়েও যারা খারাপ আছে তাদের দিকে তাকাই।
সব সময় ভালো থেকো সেই শুভকামনাই থাকলো ।

৩০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

জাহিদ অনিক বলেছেন: বেশ বেশ ভাল লাগল।

আপনার ছবির মারফত দেখা হল মাংকি ট্যাম্পল।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

জুন বলেছেন: আমার লেখায় আপনাকে পেয়ে আমারও খুব ভালোলাগলো জাহিদ অনিক । ভালো থাকুন সব সময় সেই প্রত্যাশায় ।

৩১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৭

জেন রসি বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার ভ্রমন পোস্ট। আপনি ভ্রমনকাহিনী নিয়ে বই প্রকাশ করতে পারেন। তাহলে পাঠক হিসাবে আমাদেরও লাভ হবে। এক মলাটের ভেতর সব পেয়ে যাব। :)





১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

জুন বলেছেন: জেন রসি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই পোষ্টটি ভালোলাগার জন্য । সেই সাথে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই আমার উপর আপনার এতখানি বিশ্বাসের কথা জেনে । না ভাই বই ছাপানো অনেক ঝঞ্ঝাট । প্রথম কথা হলো কি সব নিয়ম কানুন যা অনেকে অনেকবার বলার পরও আমি বুঝতে অক্ষম । দ্বিতীয়ত আমার বই এর পাঠক কোথায় !
তার চেয়ে এটাই ভালো যা নিজ চোখে দেখি তাই আপনাদের সাথে ভাগঝোক করে নেই।
ভালো থাকুন জেন রসি অনেক ভালো থাকুন ।

৩২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মনযোগ দিয়ে পুরাটা পোষ্ট পড়লাম । অসাধারণ সব ছবি ও বিবরণ । বেশ পরিশ্রমী পোষ্ট । সবগুলি বিষয় নিয়েই অনেক মুগ্ধতার কথা বলা যায় , এই মহুর্তে আমার বিশেষ মনযোগ কেরেছে হিন্দু দেবতা ইন্দ্রের ভাঙ্গা দেউলের কাঠামো এবং ধাতব পাতের ছোট সাইনবোর্ডে ইংরাজী ভাষায় লেখা wat indra টির বিষয়ে । লপবুরিতে ইন্দ্র ও বানরের অবস্থানটাই আমার কাছ বড় হয়ে দেখা দিয়েছে ।

উল্লেখ্য যে, ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনি মতে ইন্দ্র দেবতাদের রাজা। কিন্তু পুরাণ-মতে তিনি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহাদেব অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাবান দেবতা এবং অধিকাংশক্ষেত্রে এই তিন দেবতার অনুগ্রহভাজন। মহাভারতের আদিপর্বের একত্রিংশ অধ্যায়ে বলা হয়েছে- ব্রহ্মা ইন্দ্রকে ত্রিভুবন নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার প্রদান করেছিলেন। এঁর পিতার নাম কশ্যপ। মায়ের নাম অদিতি। অদিতি সহস্র বৎসর ইন্দ্রকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন। পরে তাঁর মায়ের উদরের পার্শ্বভেদ করে জন্মগ্রহণ করেন।জন্মগ্রহণের পরপরই তিনি আকাশকে উজ্জ্বল করেন। এঁর জন্মের সময় পর্বত, আকাশ ও পৃথিবী ভয়ে প্রকম্পিত হয়েছিল। তিনি ঝড়, বৃষ্টি, বিদ্যুৎও বজ্রের দেবতা এবং উষাকে প্রকাশ করেন। তিনি জন্মাবধি যোদ্ধা, শত্রুদমনকারী। তাঁর অস্ত্র ছিল বজ্র, ধনুর্বাণ, অঙ্কুশ ও পারন্ধ নামক তরবারি। এ ছাড়া কাঁটা, জাল প্রভৃতি দ্বারা শত্রুকে জড়িয়ে ধরতেন।

ইন্দ্রের স্ত্রীর নাম ইন্দ্রাণী বা শচী। এঁর রাজধানীর নাম ছিল অমরাবতী। তাঁর রাজসভা তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা। মহাভারতের এই রাজসভার যে রূপ বিবরণ পাওয়া যায়, তা হলো−
'দেবরাজ ইন্দ্র বহু প্রযত্নসহকারে বিশ্বকর্মা দ্বারা আপন সভা নির্মাণ করান। ঐ সভার প্রভা সূর্যের ন্যায়, উহা শতযোজন বিস্তীর্ণ, সার্দ্ধ শত-যোজন দীর্ঘ ও পঞ্চযোজন উন্নত। উহা শূন্যমার্গে স্থির এবং যথা ইচ্ছা গমনাগমন করিতে পারে।'

মনে হয় এই সুবিধা প্রয়োগ করেই ইন্দ্র লপবুরিতে গমন করতে পেরেছিলেন !!!

তবে এটাও জানা যায় ইন্দ্রত্ব রক্ষায় ইন্দ্র অনেক অপকৌশল অবলম্বন করতেন । ইন্দ্র তপস্যার দ্বারা স্বর্গের রাজা হয়েছিলেন। তা্ই ইন্দ্রত্ব হলো রাজশক্তি। কেউ যখন তপস্যার দ্বারা তাঁকে অতিক্রম করার পর্যয়ে চলে যেতেন, তখন নানা অপকৌশলে তাঁদের ধ্যানচ্যুত করার চেষ্টা করতেন। ইন্দ্রের এই প্রতিহিংসা পরায়ণতার সূত্রে বেশ কিছু পৌরাণিক গল্প পাওয়া যায়।
যথা ইন্দ্র-বিশ্বামিত্র দ্বন্দ্ব ।

এই পৌরাণিক গল্পমতে একবার বিশ্বামিত্র কঠোর তপস্যা শুরু করলে, ইন্দ্র বিশ্বামিত্রের কঠোর তপস্যা ভঙ্গ করার জন্য মেনকা নামক এক অপ্সরাকে পাঠান। প্রথমে তেজস্বী বিশ্বামিত্রের কাছে মেনকা যেতে রাজি হন নাই। কিন্তু ইন্দ্রের আদেশে তাঁকে শেষ পর্যন্ত বিশ্বামিত্রের কাছে যেতেই হয়। তবে যাবার আগে মেনকা ইন্দ্রের কাছে এরূপ বর প্রার্থনা করেন, যেন বিশ্বামিত্রের ক্রোধাগ্নি তাকে দগ্ধ করিতে না পারে। এরপর মেনকার অনুরোধে তাকে সাহায্য করার জন্য, বায়ু তার সাথে যায়। মেনকা তপস্যারত বিশ্বামিত্রের সামনে গিয়ে ক্রীড়া-কৌতুক শুরু করে। একসময় বায়ু মেনকার বসন অপহরণ করলে বিশ্বামিত্র তা দেখে মুগ্ধ হন এবং মেনকার সাথে মিলিত হন। কিছুদিন পর মেনকা গর্ভবতী হলে, মেনকা হিমালয়ের পাদদেশে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে এবং সদ্যজাতা কন্যাকে মালিনী নদীর তীরে নিক্ষেপ করিয়া দেবরাজসভায় প্রস্থান করে। এই সময় কিছু শকুন এই কন্যাকে রক্ষা করেন। কণ্ব মুনি শকুন পাখি পরিবেষ্টিত অবস্থায় এই কন্যাকে পেয়ে আশ্রমে নিয়ে আসেন। শকুন্ত পাখি দ্বারা রক্ষিত হয়েছিল বলে কন্যার নাম রাখেন শকুন্তলা। এই শকুন্তলাকে নিয়ে মহাকবি কালিদাস রচেছেন মহাকাব্য ।

ইন্দ্র নিয়ে আরো আছে কথা, রাবন তাঁর পুত্র মেঘনাদকে সাথে নিয়ে স্বর্গে গিয়ে ইন্দ্রের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন। মেঘনাদ ইন্দ্রকে যুদ্ধে পরাজিত করে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই থেকে মেঘনাদ ইন্দ্রজৎ নামে খ্যাতিমান হয়েছিলেন। পরে ব্রহ্মা মেঘনাদকে বর প্রদান করে ইন্দ্রকে মুক্ত করেন। একবার ইনি দুর্বাসা মুনির মালা প্রত্যাখ্যান করায়- ঋষির অভিশাপে অসুরদের কাছে রাজ্য হারান। কৃষ্ণের সাথে ইন্দ্রের বিরোধ দেখা দিলে, কৃষ্ণের চেষ্টায় ব্রজবাসীরা ইন্দ্রের উপাসনা বন্ধ করে। সে কারণে, ইন্দ্র ঝড়বৃষ্টি দ্বারা প্লাবিত করার চেষ্টা করলে কৃষ্ণ গোবর্ধন পর্বত ধারণ করে ব্রজবাসীদের রক্ষা করেছিলেন। অন্যত্র আছে কৃষ্ণ তাঁর স্ত্রী সত্যভামার অনুরোধে ইন্দ্রের কাছ থেকে পারিজাত বৃক্ষ কেড়ে নেন। ফলে ইন্দ্রের সাথে কৃষ্ণের যুদ্ধ হয় এবং ইন্দ্র পরাজিত হন।
ইন্দ্রের তিনটি পুত্র ও এক কন্যার নাম পাওয়া যায়। এঁরা হলেন— জয়ন্ত (পুত্র) মাতা শচী . জয়ন্তী (কন্যা)মাতা শচী, অর্জুন (পুত্র) মাতা কুন্তী, বালী (পুত্র)বানর কন্যা ।

পোষ্টের ছবিতে দেখা যাওয়া wat indra ধংসস্তুপে পরিনত হয়েছে মনে হয় ইন্দ্রের অহঙ্কারেসূত্রের কারনে । তবে বানর কন্যার পুত্র বালির বংশ ধরেরা লপবুরিতে থেকে যাওয়ায় এরা এখন দেবতার ভোগ পায় বিবিধ প্রকারে ।

সময় পেলে আবার আসব মুল্যবান এ পোষ্টের আরো কিছু বিষয় গভীরভাবে পর্যবেক্ষনের জন্য ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

জুন বলেছেন: ডঃ এম আলী আপনি সব সময় একাধিকবার এসে লেখার চুলচেরা পোষ্টমর্টেম করেন যা যে কোন সাধারন লেখাকে উচ্চমার্গে নিয়ে যায়। আমি আপনার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞ যে লপবুরি যাওয়া ও এই বিষয়টি নিয়ে লিখতে বলেছিলেন । আপনার চোখের মতই আমারো নজর কেড়েছিল ওয়াট ইন্দ্রার ভাঙ্গা দেয়ালটি । নইলে আমিতো তার পাশ দিয়ে হেটেই চলে যাচ্ছিলাম মাংকি টেম্পলের দিকে। দেবরাজ ইন্দ্রকে নিয়ে আপনার দীর্ঘ বিশ্লেষন ও তথ্যগুলো বেশ ভালো লাগলো এবং আমার লেখায় যোগ হয়ে পোষ্টটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেল।
একবার ইনি দুর্বাসা মুনির মালা প্রত্যাখ্যান করায়- ঋষির অভিশাপে অসুরদের কাছে রাজ্য হারান। আপনার এই কাহিনী সুত্র নিয়ে ২০১৪ এর জুনে ব্লগে ছোট্ট একটি লেখা দিয়েছিলাম। খুব ব্যাস্ত না থাকলে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন ।
অমৃতের স্বাদ
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ।

৩৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০২

সুমন কর বলেছেন: সময়ের কারণে আগে পড়িনি, আজ পড়লাম। আপনার লেখা পড়ে আরাম পাওয়া যায়, বিস্তারিত লেখেন। তবে এবারটি বেশি বড় হয়ে গেছে। :P দু'পর্বে দিতে পারতেন।

লপবুরির ল্যান্ডমার্ক মাংকি টেম্পলের ভ্রমণ কাহিনী বা বানরের বাঁদরামী পড়ে ভালো লাগল।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

জুন বলেছেন: সুমন কর আমি দেখেছি আপনি প্রথম দিকেই ভালোলাগা চিনহ দিয়ে গিয়েছিলেন তবে মন্তব্য করেন নি । আমি জানতাম আপনি অবশ্যই আসবেন । কারন দীর্ঘদিন আপনি আমার সব রকম লেখারই একনিষ্ঠ পাঠক । লেখাটি বড় হয়ে গেছে বলছেন ! অনেকে বলে আমি নাকি বেশি ছোট করে লিখি । কি করবো বলুন ?
বাদরের বাদরামী নিরাপদ দুরত্ব থেকে দেখাই মনে হয় ভালো :)
ভালো থাকুন সব সময় এই প্রার্থনাই রইলো ।

৩৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতি উত্তরের জন্য । এক দৌঁড়ে দেখে আসলাম আপনার অমৃতের স্বাদ । অসাধারন পোষ্ট সেটি , ছোট একটি মন্তব্য রেখে এসেছি সেথায় । অমৃতের স্বাদ আরো একটু যুক্ত করে সেটাকে রিপোষ্ট করার জন্য ছোট একটি অনুরুধও রেখে এসেছি তথায় ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬

জুন বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ আরেকটিবার আসা এবং অমৃতের স্বাদে এক অসাধারন মন্তব্য রেখে আসার জন্য ডঃএম আলী ।
আপনার অনুরোধ দেখেছি আমি । এই যে অনুরোধ এটা কিন্ত আপনার বিশাল হৃদয়েরই পরিচায়ক । এখানে কোন হিংসা নীচতা
পরশ্রীকাতরতা আশ্রয় করে না। পারিবারিক পরিবেশ ও শিক্ষা যে আপনার হৃদয়কে সর্বান্তকরনে এক বিশাল ব্যাপ্তি দিয়েছে তা আপনার মন্তব্যে পরিস্ফুট ।
চেষ্টা করবো লিখতে যদি মন ও শরীর পারমিশন দেয় । আপনিও অনেক অনেক ভালো থাকুন ।

৩৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: বরাবরের মত অসম্ভব ভালো লাগা পোস্ট জুন আপু। আপনার কল্যানে ইতিহাস জানা আর অনেক না দেখা জায়গা দেখা হয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু.......

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ উম্মে সায়মা । আমি যা দেখি নিজ নয়নে তাই চেষ্টা করি আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে :)

৩৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্ট পড়ে, ছবি দেখে অনেক কিছু জানা হলো এবং দেখা হলো। ধন্যবাদ জুন আপা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়েছেন জেনে খুব খুশী হোলাম প্রামানিক ভাই । ভালো থাকুন নিরন্তর ।

৩৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: কী আর বলবো, বরাবরের মতই অনেক অনেক ভাললাগা।

ভাল আছেন নিশ্চই ? :)

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০০

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ নীল- দর্পন । আমি অনেক অনেক ভালো আছি , আপনি ভালোতো ?

৩৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: B:-)

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০১

জুন বলেছেন: :-*

৩৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: এতো ঘুরাঘুরি করতে ভালো লাগে আপনার? তারচেয়ে ঘরে বসে মুভি দেখা কিংবা মোটা মোটা গল্পের বই পড়ার আইডিয়া কেমন? আর দেশে থাকলে আমাদের জন্য এক/দুই বেলা আট-দশটা আইটেম রান্না করে খাওয়াতে পারেন... ব্যাপারটা মন্দ হবে না :)

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

জুন বলেছেন: ঘুর ঘুর করা আমার শখ :P আর বিমল মিত্রের কড়ি দিয়ে কিনলাম ছাড়া হেন কোনো বই নেই যা আমি পড়িনি ফয়সাল রকি । আর সেই সাথে প্রচুর ইংরাজী বাংলা মুভি দেখেছি । তবে ইদানীং বাংলা সিনেমা দেখিনা বলিউডের কপি বলে । আমিতো গত মাসেই এই ব্যংককের মেজর সিনেপ্লেক্সে বসে ওয়ান্ডার ওম্যান , মমি আর কি যেন একটা সিনেমা দেখলাম হাই রেটিং । নাম মনে নাই । আর রান্না করে আপনাদের খাওয়াতে পারি না এটাই সমস্যা :(
হা হা হা ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন :)

৪০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: হা হা হা... আগের মন্তব্যটা করার পরে মনে হলো একটা কথা বাদ পড়ে গেছে তা হলো 'লম্বা ঘুম'.... সেটা নিশ্চয়ই খুব একটা দেয়া হয় না। যাই হোক, আপনার সময় ভালো কাটছে জেনে ভালো লাগলো, এরকমই সময় কাটুক....
আর হ্যাঁ, এই অধম একটা গল্প দুই খন্ড করে দুইটা পোষ্ট দিয়েছে, সময় পেলে একটু ঘুরে আসবেন।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

জুন বলেছেন: আমি একছুটে দেখে আসলাম রকি । আপনি প্রায় চারটা গল্প দিয়েছেন যার কোনটাই আমার পড়া হয়নি । অনিয়মিত হবার কারনেই হয়তো। আমি অবশ্যই কাল ভালো করে পড়ে মন্তব্য করবো । না পড়েই ভালোলাগা রেখে গেলাম বলতে চাই না আমি ।

৪১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যে চিন্তাবোধ মানুষকে বঞ্চিত করে পশুর জন্য যতরকমের আয়োজন; আর যাই হোক সেই চিন্তাবোধকে আমি মোটেও পছন্দ করিনা। চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।





ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

জুন বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালী যদি আপনি সারা পৃথিবীর লোকজনের কথা বলেন তবে আমি আপনার সাথে একমত । কিন্ত যদি থাইল্যান্ডের কথা বলেন তবে আমার একটু কথা আছে :)
১৯৯৭ সনে থাইল্যান্ডের ভয়াবহ অর্থনৈতিক দুরবস্থার সময় নিয়মতান্ত্রিক রাজা ভুমিবল তার দেশের জনগনকে সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনের জন্য সাফিসিয়েন্সী ইকোনমি নামে এক আদর্শ নিয়ে অগ্রসর হন যা সারা বিশ্বে পরিচিত । আপনি নেটে সার্চ দিলে এ বিষয়ে বিশদ জানতে পারবেন।
অন্য বিষয় বাদ শুধু খাদ্যের কথাই বলি এখানে আমি দেখিনা কেউ না খেয়ে আছে। সব ধরনের প্রচুর খাদ্য উৎপাদন হয় । ফলের কথাই ধরেন যেহেতু আপনি বানরদের ফল খাওয়া নিয়ে বলেছেন মনে হয় । এখানে শীত গ্রীস্ম সবরকম আবহাওয়া উপযোগী প্রচুর ফল উৎপাদন হয়। যা দামেও সস্তা আপামর জনগনের আওতার মাঝে । যা তারা নিজেরা খেয়ে, জ্যাম জেলী জ্যুস বানাচ্ছে রোদে শুকিয়ে ড্রাই ফ্রুটস তৈরী করছে। এগুলোও তারা নিজেরা খেয়ে বিদেশে রফতানী করে লাখ লাখ টাকা রোজগার করছে । তাই বছরে একদিন বানর ভোজ আমাদের কাছে খারাপ লাগলেও তারা এমনটা ভাবতেই পারে না বলে মনে হয় ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ কারন এতে আমি কিছু জানানোর সুযোগও পেলাম দেশ প্রেমিক :)

৪২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: গতরাতে আপনার এ পোস্টটা পড়ে একটা মন্তব্য করে ঘুমাতে যাই। আজ সকালে উঠে দেখি সেটা নেই। হায় হায়, গেল কই??

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

জুন বলেছেন: আমিও তো ভাবনায় পরে গেলাম খায়রুল আহসান, এভাবে মন্তব্য গায়েব হয়ে যাওয়া কি ঠিক :-*
যাক তারপর ও আবার ফিরে এসেছেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে :)
সকালের শীতের শুভেচ্ছা ।

৪৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: বানরের ভাগ্য বটে!
বানর দুটোর আপনাকে নিয়ে বাঁদরামি সেই লাঠিওয়ালা বিদেশীর সৌজন্যে আর এগোতে পারেনি জেনে স্বস্তি পেলাম। কি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা!
থাইবাসীরা কখনো কারো উপনিবেশ ছিলনা- জেনে ভাল লাগলো। ৫ নং প্রতিমন্তব্যে দেয়া অন্যান্য তথ্যগুলোও ভাল লেগেছে।
সবশেষে আলী ভাই এর চমৎকার পোস্টটার লিঙ্ক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
পোস্টে ভাল লাগা + +

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়লেই বোঝা যায় কত মনযোগী পাঠক আপনি খায়রুল আহসান ।
বানরের হাতে ভারতের সিমলার বিখ্যাত জাখু মন্দিরেও পরেছিলাম । তবে আচড়ে কামরে দেয়নি এই যা রক্ষা ।
না থাইরা কখনো কারো অধীনে ছিলনা, এজন্য তাদের ভেতর একরকম গর্ব কাজ করে সব সময় :(
ভালোলাগা সহ সব কিছু ভালোলাগার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো ।
ভালো থাকুন আপনিও ।

৪৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ৪৪ নং মন্তব্যটি ৪৩ নং প্রতিমন্তব্য হওয়ার কথা ছিল। যথাস্থানে দেন নাই। :)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

জুন বলেছেন: বুঝতে পারছি না কি বোঝাতে চাইলেন খায়রুল আহসান ।
কি যথাস্থানে দেই নি :-*

৪৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন যথাস্থানে চলে গেছে। আগে আপনার ৪৩ নম্বর প্রতিমন্তব্যটি ৪৪ নম্বর মন্তব্য হয়ে এসেছিল। হয়তো আপনি সবুজ তিরে ক্লিক না করেই মন্তব্যটি সাবমিট করেছিলেন। যাহোক, সেটা বড় কিছু নয়, একটু ফান করার জন্যেই বলেছিলাম। :)

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

জুন বলেছেন: =p~
আমিও ফ্রাকশন অফ সেকেন্ড পরেই বুঝতে পেরেছি যখন আমার নিজের ভুলটা দেখতে পেলাম খায়রুল আহসান ।
আশা করি এই প্রচন্ড শীতেও ভালো আছেন, ভালো আছে আপনার নাতনী মাইনাস ৪০ এ ?

৪৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেই ফ্রাকশন অফ সেকেন্ড এই মনে হয় আপনার মন্তব্যটাতে আমার চোখ পড়েছিল।
নাতনি ঘরে উষ্ণই থাকে। বের হতে চায়, কিন্তু এই ঠান্ডায় ওকে নিয়ে বের হওয়া অসম্ভব। আর আমাদেরি এই ঢাকাতে আমি এত শীত কখনো পাইনি। বিশেষ করে ০৮ জানুয়ারী ১৮ ছিল সবচেয়ে বেশী ঠান্ডা দিন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

জুন বলেছেন: ঢাকায় থাকলেও আপনার নাতনী মনে হয় এখন ঘরেই থাকতো ।
আরেক বার আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন ।

৪৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৮

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: বরাবরের মত ভালোলাগা পোস্ট।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৮

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে :)

৪৮| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার।

২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪২

জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পুরনো একটি পোষ্টে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য রাজীব নুর :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.