নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুর্গম আন্দিজের লুলাইলাকো শিখর অভিযাত্রায় প্রত্নতত্ববিদ জোহান রেইনহার্ড ও তাঁর সংগীরা
১৯৯৯ খৃষ্টাব্দ নতুন আবিস্কারের নেশায় প্রত্নতত্ববিদ জোহান রেইনহার্ড তাঁর দলবল নিয়ে দক্ষিন আমেরিকার প্রাচীন সভ্যতার দেশ পেরু আর আর্জেন্টিনা সীমান্তের আন্দিজ পাহাড় চুড়োর পথে যাত্রা শুরু করেন। সাদা শুভ্র বরফে ঢাকা ২২,১১০ ফিট দুর্গম সেই পারি দিয়ে হাজির হলো লুলাইলাকো নামে এক আগ্নেয়গিরির শিখরের কাছে। সেই দিনটি ছিল ১৬ই মার্চ, রেইনহার্ডের জীবনের এক বিস্ময়কর দিন। আবিস্কার করলো তারা শতাব্দী প্রাচীন এক ইনকা মন্দির। বন্ধ মন্দিরের দরজা ঠেলে ভেতরের এক ছোট্ট কুঠুরীতে ঢুকে বিস্মিত রেইনহার্ড এমন একটি জিনিস আবিস্কার করেন যা দেখে পুরো বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে পরে, মর্মন্তদ এক বেদনায় আতকে উঠে বিশ্ব হৃদয়। সেই আবিস্কার ছিল পাঁচশত বছরের পুরনো তিনটি শিশুর মমি যা ছিল সম্পুর্ন অবিকৃত। মনে হয় পাহাড়ে উঠতে উঠতে শ্রান্ত ক্লান্ত তারা ঘুমিয়ে আছে বুঝি। এরা লুলাইলাকোর মমি বলে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করে।
দড়ি দিয়ে আস্টেপৃষ্ঠে বাধা লুলাইলাকোর মমি এল নিনো আর কিশোরীটি পাহাড় চুড়োয় বসে আছে অলৌকিক কোন মুক্তিদাতার আশায় কি !
স্পেনের দক্ষিন আমেরিকা জয়ের আগে সেখানে ছিল প্রাচীন নৃ গোষ্ঠীর অন্যতম শক্তিশালী একটি গোষ্ঠী ইনকাদের বসবাস। ১৪০০ থেকে ১৫৩৩ খৃষ্টপুর্বে এই ইনকারা বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠিকে পরাজিত করে তারা দক্ষিন আমেরিকার অর্ধেকেরও বেশি জায়গা জুড়ে পত্তন ঘটায় এক শক্তিশালী সাম্রাজ্যের। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে রাস্ট্র, সমাজ ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে ইনকাদের অনেক অবদান ছিল। সমগ্র সাম্রাজ্য জুড়ে তারা যোগাযোগ ও সড়ক ব্যাবস্থা গড়ে তুলেছিল। এছাড়াও স্থাপত্য শিল্পে তাদের ছিল অসামান্য দক্ষতা যা তাদের বিভিন্ন প্রাচীন মন্দসিরে দেখা যায়। ছিল শক্তিশালী এক ধর্ম বিশ্বাস । এই ধর্ম বিশ্বাসের একটি মুল অংগ ছিল দেবতার উদ্দেশ্যে বলিদান আর এতে পশু প্রানী ছাড়াও মানুষকেও উৎসর্গ করা হতো। দেবতাকে খুশী করতে এর মাঝে শিশু বলি ছিল উল্লেখযোগ্য, ইনকা ভাষায় যার নাম ছিল “Capacocha” ।
লুলাইলাকোতে উৎসর্গকৃত এই তিনটি শিশুও ছিল এই “Capacocha”অনুষ্ঠানের বলি। ৫০০ বছরের পুরনো অবিকৃত এই শিশু মমি তিনটির একটি ছিল কিশোরী আর দুট শিশু যাদের মনে হয় কিশোরীর পরকালের খেলার সাথী হিসেবে দেয়া হয়েছে। গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে শিশুর মমি তিনটি এতটাই অবিকৃত যে তাদের শরীরের ভেতরের অংগ প্রত্যংগগুলো পর্যন্ত অবিকৃত এবং জায়গামত রয়েছে। এটা হয়তো সম্ভব হয়েছে উচ্চতা, ঠান্ডা আর শুকনো আবহাওয়ার কারনে অর্থাৎ তাদের শরীর পানি শুন্য হওয়ার আগেই তারা জমে গিয়েছিল। এমনকি একটি শিশুর হৃদয়ে জমে যাওয়া রক্ত পর্যন্ত ছিল। সেই মন্দিরে পাহাড়ের দেবতার পক্ষ থেকে তাদেরকে দেয়া হয়েছিল অনেকগুলো সোনা রুপার মুর্তি,কারুকাজ করা কাপড়ের বান্ডিল, জুতো আর মাটির পাত্র যার কোন কোনটিতে খাবারও ছিল।
তিন শিশু মমির পরিচয়
লুলাইলাকোর কিশোরী
১৩-১৫ বছরের এই কিশোরীর সম্পুর্ন অবিকৃত মমিটি দেখে শিউড়ে উঠেনি এমন মানুষ বিরল। উপরের এই ছবিটি প্রতিনিধিত্ব করছে ইনকাদের প্রাচীন সংস্কৃতি আর এক তাদের নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাসের। আর এই বিশ্বাসে ভর করেই তারা এই মেয়েটিকে উৎসর্গ করেছিল পাহাড়ের দেবতার উদ্দেশ্যে। মেয়েটি ছিল তিন শিশুর মাঝে সবচেয়ে বড় এবং তাঁর উৎসর্গকে সেসময়ের ইনকারা বিশ্বাস করতো এটা একটি সন্মানের ব্যাপার। তাকে একটি ছোট্ট মন্দির প্রকোষ্ঠে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল মৃত্যুর অপেক্ষায়।
উৎসর্গকৃত এই ছেলেটি এল নিনো নামে পরিচিত।
এই ছবিতে যে বাচ্চা ছেলের মমিটি দেখছেন তাঁর বয়স সাত, এল নিনো নামে এই ছেলেটি একমাত্র শিশু যাকে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেধে রাঝা হয়েছিল। এতই শক্ত ছিল সেই বাধন যে এতে করে তাঁর কোমর আর বুকের হাড় সরে গিয়েছিল। চুলে উকুন ছিল বলে গবেষকরা মনে করছেন। এছাড়াও তার কাপড়ে রক্তের দাগ ছিল, ছিল বমির চিনহ যা থেকে ধারনা করা হয় সে আতংকিত অবস্থায় ছিল
এবং নিশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যায়। তাঁর অবস্থা দেখে মনে হয় সে হাত পা ছুড়ে বাচতে চেয়েছিল তাইতে তাকে এত শক্ত করে দড়ি দিয়ে বাধা হয়। কি নিষ্ঠুর।
এই মেয়েটির নাম দেয়া হয়েছে লা নিনা দেল রায়ো
তৃতীয় শিশুটি ছিল একটি ছোট মেয়ে,গবেষকরা যার নাম দিয়েছে লা নিনা দেল রায়ো। উৎসর্গের সময় তাঁর বয়স ছিল ৬ বৎসর। গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে তাঁর মাথাটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রসারিত করা হয়েছে আর তাঁর মাথায় একটি লোহার আবরণ পরানো। বিজ্ঞানীরা মনে করেন এই লৌহ শিরোস্ত্রানটি বজ্রদন্ড হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে। কারন তাঁর মুখ,কান ও কাধের একটি দিক
আঘাতপ্রাপ্ত যা দেখে মনে হয় বজ্রাঘাত।
কি ভাবে শিশুদের এই বলিদানের জন্য প্রস্তত করা হয়েছে ?
দেবতার সন্তষ্টির উদ্দেশ্যে বলিদানের জন্য এই কচি শিশুগুলোকে বিশেষ করে ছয় মাস আগে থেকে বিভিন্ন মাদক খাওয়ানো হয়েছে। গবেষকরা তাদের চুল পরীক্ষা করে এটা নিশ্চিত হয়েছে যে এই মাদকের মধ্যে ছিল কোকেইন সমৃদ্ধ কোকো পাতা আর মদ। এদের মাঝে উৎসর্গিতা কিশোরীটিই ছিল প্রধান আর এই কারনেই তাকে আলাদাভাবে পরিচর্যা করা হয়েছিল।ছোট দুই শিশুকে কিশোরীটির পরকালের খেলার সাথী হিসেবে উৎসর্গ করা হয়েছিল।
৫০০ বছরের পুরনো এই মমিগুলোর শরীরের ট্যিসু, অর্গান, জলীয় পদার্থ এবং ডিএনএ স্যাম্পল পরীক্ষা করে গবেষকরা একেছে তাদের শেষ যাত্রার দিনগুলোকে। এক গবেষক বলেছেন তাদের মুখগুলো দেখে তিনি দারুন আঘাত পেয়েছিলেন কারন সে সময় তারও এই বয়সী শিশু ছিল এবং তারা এতটাই সংরক্ষিত ছিল দেখে মনে হয় কয়েক সপ্তাহের।
লুলাইলাকোর কিশোরীকে পরীক্ষা করছে গবেষকরা
৫০০র উপর সিটিস্ক্যান ও বায়োপ্সির মাধ্যমে বোঝা যায় যে শিশুদের জোর করে, আঘাত বিশেষ করে মাথায় আঘাত করে বা মাদকের মাধ্যমে বেহুশ করে লুলাইলাকো পাহাড় চুড়ার বন্ধ মন্দিরে দেবতার উদ্দেশ্যে রেখে এসেছিল, আর সেখানেই তারা দম বন্ধ হয়ে করুন মৃত্যুকে বরণ করেছিল। কিশোরীটিকে পরীক্ষা করে জানা যায় যে বন্ধ মন্দির গৃহে রেখে আসার পরও সে জীবিত ছিল।
কৃষক পরিবারে জন্ম শিশু তিনটি আলু আর অন্যান্য সাধারন শাক শব্জী খেলেও বলিদানের জন্য নির্ধারিত হওয়ার পর তাদের উন্নত খাবার খেতে দিত যাতে স্বাস্থ্যবান হতে পারে। এমনকি গবেষকরা ৫০০ বছর পরেও তাঁর মুখের ভেতর মাঢ়ি ও গালের মাঝখানে কোকো পাতার সন্ধান পেয়েছিল।
উৎসর্গের কারন
ইনকারা বিশ্বাস করতো শিশুরা হচ্ছে কৌমার্য্য আর পবিত্রতার প্রতীক। দেবতাদের উৎসর্গ করার জন্য তারাই শ্রেষ্ঠ। বিভিন্ন কারনে শিশুদের বলি দেয়া হলেও উল্লেখযোগ্য ছিল ইনকা রাজার সুস্বাস্থ্য, সাম্রাজ্যের উন্নতি, ছেলে সন্তান লাভের আনন্দ, সিঙ্গহাসনে আরোহন,প্রাকৃতিক দুর্যোগ ওঁ ভালো শস্য উৎপাদনের জন্যও শিশুদের উৎসর্গ করার প্রথা ছিল ।
লুলাইলিকোর এই তিন শিশুই নয় আরও অনেক ইনকা শিশুর মমি পেরুর পাহাড় চুড়ায় আবিস্কার হয়েছে। বর্তমান ইনকা জাতি এই মন্দির আর এই মমিকে পবিত্র বলে মনে করে সেই সমাধি ক্ষেত্রের পবিত্রতা নষ্ট করার জন্য তারা সোচ্চার হয়েছে।
গবেষকরা বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ভিডিওর মাধ্যমে দেখিয়েছে সেই চঞ্চল শিশু কিশোরীর স্বল্প জীবনকালের কাল্পনিক ছবি যা দেখে আপনার চোখ ভিজে উঠবেই যেমনটি আমি কেঁদেছি।
সমস্ত তথ্য ও ছবি নেট থেকে নেয়া
১১ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
জুন বলেছেন: কিসের ইট পদাতিক !! ঠিক আছে আইসেন অপেক্ষায় থাকলাম
২| ১১ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৪৬
সাসুম বলেছেন: ধর্ম গোষ্টী গুলো এই বলিদান কে মনে করত তাদের স্রষ্টার প্রতি ভালোবাসা হিসেবে।
মা কালীর ভোগে বলি দিত এই ভারতীয় উপমহাদেশ এর মানুষ। এখনো প্রতি বছর পাঠা বলি দেয়া হয় ভারতে।
নেপারে মহাসমারোহে বলি দেয়া হয় জীবন্ত পশু।
আইরিশ রা বলি দে সমুদ্র সৈকত ভর্তি জীবন্ত তিমি বা ডলফিন।
ইব্রাহিম বলি দিতে চেয়েছিল তার সন্তান কে যেটাকে কেন্দ্র করে এখনো মোসলমান রা প্রতি বছর পশু বলি দেয়।
আপনার দেখানো ইনকারা ও বলি দিয়েছিল তাদের শিশু সন্তান কে অদেখা স্রষ্টার জন্য।
এভাবেই, প্রতিটা ধর্মে বলিদানের মত অসভ্য ও বর্বর প্রথা দেখা যায়। যতদিন এই পৃথিবী থাকবে, ততদিন বলিদানের এই সব কাহিনী থাকবেই। কারন, মানুষ কখনোই মানুষ না, তারা আগে ধার্মিক।
এল নিনাদের আত্মা শান্তি পাক! আর যাতে কোন এল নিনারা এরকম বর্বরতার সম্মুখীন না হয় !
১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:১০
জুন বলেছেন: বড় নিষ্ঠুর প্রথা, আপনি নিশ্চয়ই পড়েছেন ট্রয়ের যুদ্ধে যাবার সময় প্যারিসের বড় ভাই মহান এগামেমনন অনুকূল বায়ু পাওয়ার জন্য নিজের মেয়ে ইফিজেনিয়াকে উৎসর্গ করেছিল দেবতাদের উদ্দেশ্যে। যার জন্য যুদ্ধে জয়ী হয়ে ফিরে আসার পর নিজ স্ত্রী ক্লাইট্রামেনেস্ট্রার হাতে নিহত হয়েছিলেন এগামেমনন । যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথা বড়ই নির্দয় । মন্তব্যের জন্য আন্ত্রিক ধন্যবাদ সাসুম ।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পড়তে পড়তে গা শিউরে উঠবে যে কারো। কী ভয়ঙ্কর আর নিষ্ঠুর বলিদান প্রথা!! এরকম কিছু একটা বিষয় এর আগেও ব্লগে পড়েছিলাম বলে মনে পড়ে, সম্ভবত কাণ্ডারি অথর্ব লিখেছিলেন।
১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৩৭
জুন বলেছেন: আমিও যেদিন প্রথম জেনেছিলাম সেদিন আমিও সাঙ্ঘাতিক মর্মাহত হয়েছিলাম ছাই ভাই । মমিতো আমি ইজিপ্টে শত শত দেখেছি কিন্ত এত জীবন্ত মমি আর তাদের মমি হওয়ার পেছনের কারনগুলো খুবই কষ্টের ।
অনেকদিন পর আমার লেখায় আমার দেশি ভাইকে দেখে খুশী হোলাম। অনেক বছর হলো ফেসবুক নাই কি না তাই নক করতেও পারি না
কান্ডারি লুলাইলাকোর মমি নিয়ে লিখেছিল কি না মনে করতে পারছি না । আমিও না হয় পুরনো বিষয় নীয়ে নতুন করে লিখলাম আর কি । মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও সাথে শুভকামনা জানবেন ।
৪| ১১ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
মলাসইলমুইনা বলেছেন: জুন,
জীবনের কঠিন কিন্তু বাস্তব চালচিত্র। হাজার বছর আগে প্রকৃতির কাছে মানুষের অসহায় জীবনের একটা কঠিন বর্ণনা এই মমিগুলো। ন্যাশনাল জীওগ্রাফির একটা সংখ্যায় পড়েছিলাম মমিগুলোর কথা । কিন্তু এই লেখাটাতো আপনার স্বভাববিরুদ্ধ লেখা হয়ে গেলো। সময় করে লুলাইলাকো ভ্রমণ করে এখনকার লুলাইলাকোর সচিত্র ভ্রমণ ব্লগ পোস্ট করুন আর তার সাথে এই মমিগুলোর আপডেটেড তথ্যও আমাদের জানান ।
১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৪২
জুন বলেছেন: বাহ আজ দেখি আমার লেখায় সামুর হেভী ওয়েট ব্লগার সবাই এসেছে । আপনাদের দেখে অনেক অনেক খুশী হয়েছি যদিও লেখার বিষয়বস্তুটি আমার কাছে অত্যন্ত মর্মন্তদ । আমি কি লুলাইলাকো যেতে পারবো ! আর গেলেও এই বেতো পা নীয়ে ২২ হাজার ফুট উচুতে
আপনার বই দেখলাম মেলায় বেশ সাড়া জাগিয়েছে । আরও আরও পাঠক প্রিয় হোক সেই কামনা করি মলাসইলমুনা । ভালো থাকুন আর সুস্থ থাকুন পৃথিবীর এই ক্রান্তি লগ্নে। বেচে থাকুন সবাইকে নিয়ে
৫| ১১ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: ভয়াবহ।
১২ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:০০
জুন বলেছেন: শুধু ভয়াবহই নয় মর্মান্তিকও বটে রাজীব নুর । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৬| ১১ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৪৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আহারে!! কি নিষ্ঠুরতা।
সময়ের সাথে সাথে নিষ্ঠুরতার চিত্র শুধু পালটিয়েছে, বন্ধ হয়নি।
১২ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:০২
জুন বলেছেন: সময়ের সাথে সাথে নিষ্ঠুরতার চিত্র শুধু পালটিয়েছে, বন্ধ হয়নি। ঠিকই বলেছেন জলদস্যু ।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
৭| ১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: বেশ কয়েক বছর আগে মুক্ত ব্লগে এই বিষয় একটা লেখা পড়েছিলাম। এছাড়াও ইনকা সভ্যতা সম্পর্কে একটি গল্প পড়েছিলাম। আজ আপনার পোস্টে বাড়তি কিছু জানলাম।
মায়ানদের মত কেলটিকরা মানতো বিভিন্ন অলৌকিক দেবদেবীকে। পেরুর উচ্চভূমি কুজবেন অঞ্চলে আন্দিজ পর্বতমালার সন্নিকটে ‘ইনকা সভ্যতা’ গড়ে উঠেছিল ২০১৩ সালের কমপক্ষে ৬০০ বছর আগে। সূর্যকে তারা ‘ইনটি’ দেবতা নামে চিনতো ও পুজা করতো। তবে সাধারণ মানুষ ‘হুয়াকাস’ নামক দেব-দেবীর উপাসনা করতো বেশী। ইনকারা মেক্সিকানদের মতো নরবলি বিশেষ করে শিশু বলি দিতো ‘কাপাকচা’ নামক বার্ষিক বলির উৎসবে। ইনকারা তাদের সবচেয়ে সুন্দর, বুদ্ধিমান ও ফুটফুটে শিশুদের বলি দিতো বর্ণিত দেবতাদের সন্তুষ্টির জন্যে। এ জন্যে সাধারণতা তারা বিজেতা জাতির শিশুদের সাধারণত ব্যবহার করতো, তবে না পাওয়া গেলে নিজ শিশুদের বলি দিতে পিছপা হতো না কখনো। বলির জন্যে বাছাইকৃত শিশুদের তারা বিশেষ সম্মানের সঙ্গে যত্ন ও ভাল খাবার দিয়ে বলির জন্যে উৎকৃষ্ট ‘পাঠা’ হিসেবে তৈরীর পর বলির পবিত্র শহর ‘কুজকো’ নিয়ে গিয়ে তাদের জন্যে আয়োজন করা হতো ‘মহাযজ্ঞ’ অনুষ্ঠান। বলির জন্যে নির্বাচিত ছেলে-মেয়েদের বয়স ৪-১৫ বছরের মতো হতো। এদেরকে হলুদ ও বাদামী রঙের সুন্দর পোশাক ও জলপাই পাতার মুকুট পড়িয়ে সম্মানের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হতো ‘কাপাকোচা’ অনুষ্ঠানে। ‘কাপাকোচা’ অনুষ্ঠান শেষে এদের অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হতো ভূমি থেকে প্রায় ২২০০০ ফুট উচ্চ ‘লুলাইলাকো’ পাহাড়ে, যা ছিল কুজকো শহর থেকে কয়েক শ’মাইল দুরের উচ্চভূমি। ‘লুলাইলাকো’ পাহাড়ে উঠে বলির জন্যে বাছাইকৃত শিশুদের ঘিরে চলতো পবিত্র নাচ-গান ও সূর্যদেবতার খুশীর জন্যে অদ্ভুৎ সব প্রার্থনা। এরপর নির্বাচিত শিশুদের খেতে দেয়া হতো বিশেষ খাবার ‘চিচা’। যা পান করে শিশুরা প্রথমে অজ্ঞান ও পরবর্তীতে চির ঘুমে নিমগ্ন হতো, যা আর ভাংতো না কোনদিন কিংবা ঘুম ভাঙার আগেই তাদের শ্বাসরোধ করা হতো দেবতার খুশীর জন্যে। এভাবে হত্যার ব্যাপারে ইনকাদের কোন অনুশোচনা থাকতো না বরং তারা মনে করতো, এভাবে গভীর ঘুমের মাধ্যমে তারা মৃত্যুকে জয় করেছে এবং তারা দেবদূত হয়ে ইনকা জাতি ও তাদে গ্রামকে রক্ষা করবে চিরকাল। ২০১৩ সালের পৃথিবীর প্রত্নতাত্ত্বিকেরা খুঁজে পেয়েছিল ইনকাদের দেবতার উদ্দেশ্যে বলি দেয়া এমন বালক ও বালিকাদের প্রায় অবিকৃত মমি অবস্থায়, যা প্রায় অক্ষত ছিল ঐ সময় পর্যন্ত।
ভয়ঙ্কর কথা শুনে তো গা শিউড়ে উঠলো। যদিও এখনো অনেক ভয়ঙ্কর হত্যা কাণ্ড ঘটে চলেছে কোন পাহাড় পর্বতে নয় আমাদের দেশেও। তবুও শিশু বলীর মতো এমন জঘন্য কাজ পৃথিবীতে আর একটিও নেই।
অনেক অজানা তথ্য আপনার লিখা পড়ে জানতে পারছি।পোস্টে প্লাস।
১২ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:১৬
জুন বলেছেন: আমি যা লিখতে পারিনি তাই আপনি লিখেছেন আমার পোস্টের মন্তব্যে জুলভার্ন । জীবন্ত মমিদের করুন মৃত্যু বিশেষ করে শিশুদের অকাল মৃত্যু সত্যি মর্মান্তিক । মিশরের ফারাউ তুতেনোখামুন ও অল্প বয়সে মৃত্যুকে বরন করেন । তাঁর শবদেহের সঙ্গী হয়েছিল শিশু কিশোররা তবে তারা ছিল জীবিত । কিন্ত লুলাইলাকোর মমির সাথে এদের পার্থক্য হলো মমিকরনে । এই বাচ্চাগুলো দেখে কি মনে হয় এরা পাচশত বছরের পুরনো ??
প্রাসংগিক ও আন্তরিক এক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
৮| ১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাহ! দারুণ পোস্টে ভালো লাগা।
১২ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:১৯
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে মোহাম্মদ গোফরান ।
৯| ১১ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬
সোনাগাজী বলেছেন:
ইংকারা গর্দভ জাতি ছিলো, মানুষ বলি দেয়ার কারণেই তাদের জাতীয় অস্তিত্বের বিলোপ ঘটে।
১২ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:২০
জুন বলেছেন: শুধু ইনকাদের উপর রাগ ঝাড়ছেন কেন সোনাগাজী ? প্রাচীন ইতিহাসে এই প্রথা তো অনেক জাতির মধ্যেই দেখা যায় ।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
১০| ১১ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩
নতুন বলেছেন: অন্ধবিশ্বাসকে পুজি করে এইসব চলে আসছে ইতিহাসে।
বর্তমানের সময়ের মানুষর বলির আধুনিক ভার্ষন হচ্ছে, পিতামাতা সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়ানোর মানত করা
১২ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:২০
জুন বলেছেন: ভারতীয় আর গ্রীক মিথোলজিতে তো এমন বলিদান অহরহই দেখেছি । এক রাজা তাঁর শিশু পুত্রকে যজ্ঞের আগুনে উৎসর্গ করেছিল শুধুমাত্র এক সন্ন্যাসীর আদেশে । সত্যি অত্যন্ত অমানবিক এক প্রথা নুতন । মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
১১| ১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৪৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আসলে এই ছবিগুলো দেখে চোখ আর্দ্র হয়ে আসে। করুন ও বেদনাবিধুর চিত্র।
১২ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:২২
জুন বলেছেন: ঈত জীবন্ত মনে হয় ঘুমিয়ে আছে লুলাইলাকোর শিশুরা । মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার
১২| ১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু অজানা সুন্দর তবে এতো ভয়ঙ্কর যে কল্পনার বাইরে।
১৩ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
জুন বলেছেন: আবার এসেছেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ পদাতিক। আসলেও এমন কত ভয়ংকরই হয়তো লুকিয়ে আছে দুর্গম এলাকায় তার খবর কে রাখে।
১৩| ১১ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৩৯
গরল বলেছেন: এল নিনো ও লা নিনা এদের নামে সমুদ্রের দুটি বায়ু প্রবাহের নাম দেওয়া হয়েছে যা পুরো পৃথিবীর আভাওয়ার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাহলে হয়ত এদের নামেই জলবায়ু বিজ্ঞানীরা এই নামকরণ করেছে। চমৎকার পোষ্ট, এরকম পোষ্ট পড়ার আনন্দই আলাদা। ইদানিং ব্লগে ভালো পোষ্টের চেয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি বেশী।
El Nino La Nina Cycle
১৩ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫২
জুন বলেছেন: জী দক্ষিণ আমেরিকার এই এল নিনো আর এল নিনা বায়ুপ্রবাহর নামেই এই হতভাগ্য শিশুদের নামকরণ গড়ল। কাদা ছোড়াছুড়ি আমি ভার্চুয়াল জগত তো দূর ব্যাক্তি জীবনেও এর থেকে শতহাত দূরে থাকি। কাউকে কটু কথা বলা বা ছোট করা আমি কল্পনায়ও আনতে পারি না।
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
১৪| ১২ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৪:৪৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সভ্যতার সুরুতে কথিত ধর্মের নামে অকারন নিষ্ঠুরতা অন্ধবিশ্বাস। ভয়ঙ্কর।
১৩ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:২১
জুন বলেছেন: সত্যি ভয়ংকর সাথে অমানবিক। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে হাসান কালবৈশাখী।
১৫| ১২ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:১৪
রানার ব্লগ বলেছেন: প্রাচীন সভ্যতা গুলি বিলুপ্ত হবার পেছনে তাদের এই সব নিষ্ঠুর বলিদান প্রথা গুলও দায়ী, সেই সময় ধর্মীয় গুরুদের একছত্র আধিপত্ত ও তাদের নিজেদের ভয় ও প্রতাপ টিকিয়ে রাখার জন্য এই ধরনের কর্মকান্ড ঘটাতো, এরা রাজাকে খুশি রেখে নিজেদের আরাম আয়েশ ঠিক রাখার জন্য নিরীহ মানুষদের বলি চড়াতো যা ধিরে ধিরে সাধারন মানুষের ভেতর খুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ঘটায় এর ফলে আস্তে আস্তে একটা জাতি বিলুপ্ত হতে থাকতো।
১৩ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩
জুন বলেছেন: আপনার অনুমান ঠিক রানার ব্লগ। এই নিষ্ঠুর প্রথার শিকার হতো বেশিরভাগই দরিদ্র জনগণ। সতীদাহ প্রথাতেও ৯৯% নারী ও বালিকাদের মাদক খাইয়ে বেহুশ করে চিতায় দেয়া হতো। যখন আগুনের লেলিহান শিখায় তাদের হুশ ফিরতো তখন আর বের হবার উপায় থাকতো না। বাশের আঘাতে তাদের দ্বিতীয়বার চেতনা লুপ্ত হতো। এই নিষ্ঠুর প্রিথা থেকে বর্তমানে মানুষ বের হয়ে আসতে পেরেছে এটাই বিশাল ব্যাপার।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬| ১২ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: মানুষ একদিকে সৃষ্টির সেরা জীব আবার অন্যদিকে সৃষ্টির নিকৃ্ষ্ট জীব।
অনেকদিন পর জুন আপুর পোস্ট দেখে ভাল লাগলো।
১৩ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫
জুন বলেছেন: আমার পোস্টে আপনার মন্তব্য পেয়েও দারুণ ভালো লাগলো ঢাবিয়ান।
আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর পুর্তি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কি?
১৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
নির্মম।
ইতিহাসের শুরু থেকেই ধর্মীয় গুরুগন তাদের একছত্র আধিপত্য ও প্রতাপ টিকিয়ে রাখার জন্য সরল এবং বোকা মানুষদের দেবতাদের ভয় দেখিয়ে এই ধরনের বলির পক্ষে আওয়াজ তুলতে বলতেন, একাট্টা করতেন। আজও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আজও ধর্মীয় গুরুরা অদেখা ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাবার জন্যে কিম্বা রূষ্ট ঈশ্বরের অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্যে বোকা, অজ্ঞ, ভীতু, বোধহীন মানুষদের লালায়িত করতে বলির কথা হয়তো বলেননা, যা বলেন তা একপ্রকার মনুষ্যত্ব, বিবেক বোধকে বলি চড়ানোর মতোই। এবং তাদের সুরে সুরে আওয়াজ তুলতেও বলেন।
সহ ব্লগারসাসুম এর মন্তব্যের সুরেই বলতে হয় - মানুষ কখনোই মানুষ নয়, তারা আগে ধার্মিক। তাই ভোল পাল্টে পাল্টে অন্যরকমের বলি খেলা চলবেই।
১৭ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫৬
জুন বলেছেন: আহমেদ জীএস আমার শুভেচ্ছা নিন । বড্ড দেরী হয়ে গেল উত্তর দিতে । আসলে আমি যা কাঠখোট্টা ভাষায় বলে গেছি উপরের মড়ক নীয়ে আপনি কিন্ত তাঁর ভেতরের নির্যাসটুকু তুলে এনেছেন আপনার অসাধারন মন্তব্যে । অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । ভালো থাকুন সবসময় ।
১৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মর্মান্তিক
ভয়াবহ
সভ্যতার পরতে পরতে কত নির্মমতা লুকিয়ে থাকে যে।
১৭ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫৭
জুন বলেছেন: সত্যি মর্মান্তিক মনিরা । অনেক অনেক ভালো থেকো । মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৯| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৫:৪৪
সোহানী বলেছেন: কি নির্মম। মনটা আদ্র করে। মানুষ চিরকালই হিংস্র, স্বার্থপর, বর্বর। শুধু ভিন্নতা দেখছি.......।
আমার ছেলের কাছ থেকে শুনেছিলাম। ও এসব নিয়ে খুব পড়াশোনা করে।
চমৎকার একটি পোস্ট যদিও মন কারাপ করা। তারপরও অসাধারন।
১৭ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫৯
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালোলাগলো সোহানী । কেমন আছেন এই করোনাকালে ? কানাডার ট্রাক ড্রাইভাররাতো অনেক আন্দোলন করলো । করোনা শেষ হলো এখন যুদ্ধ কই নীয়ে যাচ্ছে আমাদের এই সবুজ শ্যমল পৃথিবীটাকে ! ভালো থাকুন সবসময় ।
২০| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:২১
শেরজা তপন বলেছেন: বরাবরের মত চমৎকার বর্ণনা! একবার শুরু করলে শেষ না করে ওঠা কঠিন।
মর্মান্তিক হলেও এর মাধ্যমে ইনকা সভ্যতা সন্মন্ধে অনেক কিছু জানতে পারছি।
১৭ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:০১
জুন বলেছেন: পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শেরজা তপন । উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল তাঁর জন্য দুঃখিত আমি । ভালো থাকুন সব সময় ।
২১| ১৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৪৩
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার রর্ননা। কেমন আছেন আপা?
১৭ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:০২
জুন বলেছেন: আপনি কেমন আছেন প্রামানিক ভাই ?? অনেকদিন পর আপনাকে দেখে খুব ভালোলাগলো ।
২২| ১৭ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩২
মিরোরডডল বলেছেন:
নৃশংস, নির্মম ইতিহাস !!!
কি ভয়াবহ সব কুসংস্কার ছিলো
১৮ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ মিররডডল। যুগে যুগে এই নৃশংসতা চলে এসেছে এখনো আছে তবে অন্য রূপে।
২৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক পরিশ্রমি একটি পোষ্ট ।
আন্দিজের লুলাইলাকো পাহাড় চুড়ায় হতভাগ্য তিন শিশুর মমি কাহিনীর আদ্যপান্ত সুন্দরভাবে উঠে এসেছে ।
উল্লেখ্য মমিগুলি ও তার প্রদর্শন নিয়ে বিতর্কের অবতারনাও হয়েছে , বিশেষ করে আদিবাসী অধিকার
সংক্রান্ত বিষয়ে। কিছু আদিবাসীদের দ্বারা মৃতদেহ উত্তোলন ও প্রদর্শনের বিরোধিতা করা হয়েছে।
ইনডিজিনাস অ্যাসোসিয়েশন অফ আর্জেন্টিনার নেতা প্রদর্শনীটিকে তাদের প্রিয়জনদের লঙ্ঘন বলে
অভিহিত করেছেন, বলেছেন যে লুল্লাইলাকো তাদের জন্য পবিত্রতম হয়ে চলেছে। তারা বলেছেন কখনই সেই
উৎসর্গের বেদিমূলকে অপবিত্র করা উচিত নয়, বলেছেন তাদের বাচ্চাদের প্রদর্শনীতে রাখা যেন সার্কাসে
পরিনত হয়েছে ।
ইনডিজিনাস অ্যাসোসিয়েশন এর নেতা বলেছেন মমিগুলি তাদের অঞ্চলেই থাকা উচিত ছিল, তবে
এখন যেহেতু মমিগুলি ইতিমধ্যেই উত্তোলন করা হয়েছে, জাদুঘরকে তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে৷
এটা ভাল নয় যে যাদুঘর এটি দিয়ে অর্থ উপার্জন করবে। সেখানকার কিছু কিছু আদিবাসী নেতাও উদ্বেগ
প্রকাশ করেছেন যে তারা মমি প্রদর্শনের দ্বারা সৃষ্ট সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সুবিধাটাও পাবেন না।
উচ্চ আন্দিজ অঞ্চল যেখান থেকে মমিগুলি নেওয়া হয়েছিল সেখানে অন্তত ৪০টি অনুরূপ ধর্মীয় সমাধিস্থল
রয়েছে বলে মনে করা হয়। যাইহোক, সেখান হতে আর কোন মমি অপসারণ করা হবে না বলে মিউজিয়াম
অফ হাই অল্টিটিউড আর্কিওলজির ডিজাইনার এবং পরিচালক মত প্রকাশ করেচেন বলে গুগল সুত্রে জানা
যায় ।
পাহাড় চুড়ায় হতভাগ্য শিশুদের মর্মান্তিক উৎসর্গ পর্ব ও তাদের কষ্টের কাহিনী শুনে
আমাদের চোখ জল এলেও সেই শিশুদের উত্তর পুরুষ আদিবাসিরা এখনো সেগুলিকে
পবিত্র বলে মানে ও তা হতে বৈষয়িক লাভের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখে ।
পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
১২ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০২
জুন বলেছেন: আপনিও একটি পরিশ্রমী মন্তব্য করে আমার পোস্টের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছেন বহুগুণ ডঃ এম এ আলী ভাই। এই তথ্যগুলো আমিও নেটে দেখেছি কিন্ত সংযোজন করি নি এক লেখা বড় হয়ে যেত ( আজকাল বড় লেখা কেউ পড়ে না)। দ্বিতীয়ত আমি সেই বাচ্চা তিনটির উপরই আমার লেখার ফোকাস রাখতে চেয়েছি। আপনার মন্তব্য থেকে সবাই জানবে আরও অনেক কিছু।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা সবসময়।
২৪| ১১ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: কি মর্মন্তুদ একটা কাহিনী! ছবিগুলো দেখার সময় হৃদয় মোচড় দিয়ে দিয়ে উঠেছে।
"সময়ের সাথে সাথে নিষ্ঠুরতার চিত্র শুধু পালটিয়েছে, বন্ধ হয়নি" - ভাবছিলাম, মরুভূমির জলদস্যু'র এ কথাটাও তো ঠিক। আজকের যুগেও তো শিশুদেরকে বলি দেয়া হচ্ছে কোথাও না কোথাও! 'মানুষ'ই কি তা'হলে স্রষ্টার হিংস্রতম প্রাণী?
জুল ভার্ন এর মন্তব্যটা পড়েও গা শিউরে উঠলো।
পোস্টে প্লাস। + +
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আগে ইট রাইখ্যা গেলাম