![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতার গান গাইবো! মানবতার প্রতিধ্বনি উচ্চারিত করবো!!!
এক সাগর রক্ত ও ত্রিশ লক্ষ বাঙালির প্রাণের বিনিময়ে পেলাম শালার স্বাধীনতা।আমরা কি চেয়ে ছিলাম?শালার স্বাধীনতা নিত্যদিন কান্না ও হাহাকারের চিৎকার উপহার দিবে।বিশ্বজিৎ,তনু,খাদিজার রক্তে লাল হবে প্রিয় বাংলাদেশ।
কেন,আজ বিশ্বজিৎ,তনু,খাদিজার রক্তে লাল হচ্ছে বাংলাদেশ?কি বা তার আসল রহস্য?আমরা বাঙালি অভাগা জাতি।কোনো কিছুর আসল রহস্য অনুসন্ধান না করে,শুধু শুধু অনৈতিক প্রলাপ করে থাকি।বিশ্বজিৎ,খাদিজার মতো অনেক নিরীহ মানুষকে ঘাতকরা প্রকাশ্য দিবালোক চাপাতি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করছে।অথচ প্রকাশ্য দিবালোক চাপাতি দিয়ে কোপানির সাহস ওরা কোথায় থেকে পেলো।ওদের রক্তের তাপমাত্রা এতো বেড়ে গেলো কেন?
আজ ঘাতক বদরুলকে আমরা সবাই অপরাধী ঘাতক বলে চিৎকার করছি।কিন্তু এ বদরুলের হাতে কে চাপাতি তোলে দিয়েছে?এ ঘাতক বদরুল ২০১২ সালে খাদিজার সাথে খারাপ আচরণ করে।এলাকাবাসী তা জানার পর বদরুলকে গণ ধোলাই দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।ঠিক সেই মুহূর্তে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা বদরুলকে বুকে টেনে নেয়।এমনকি দু দিনের ব্যবধানে বদরুলকে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ভূষিত করে।আর আজ যখন বদরুল দেশবাসীর কাছে অপরাধী হয়ে গেলো,তখন ছাত্রলীগ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে দিলো।এমনকি ছাত্রলীগ দাবী করছে ও আমাদের দলের কেউ নয়।কেন,এসব হচ্ছে?এসব কিছুর জন্য কি বদরুল দায়ী?দায়ী অসুস্থ গণতন্ত্র।আজ বাংলাদেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।আজ গণতন্ত্রের গলায় থালা ঝুলিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে।যদি বাংলাদেশে সুস্থ ধারার গণতন্ত্র প্রচলিত থাকত,তবে বদরুলের মতো ঘাতকরা প্রকাশ্য দিবালোকে চাপাতি দিয়ে কাউকে রক্তাক্ত করতে পারত না।বদরুলের মতো ঘাতকদের রক্তের তাপমাত্রা এতো বৃদ্ধি পেত না।আজ বাংলাদেশে বাকশাল-স্বৈরশাসকের কারণে ঘাতকরা তথাকথিত বিচারের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।তাই তো ঘাতকরা একের পর এক অপরাধ করার সাহস পাচ্ছে।বাংলাদেশের ৯০% নৃশংস হামলার পিছনে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি জড়িত।আজ হয়ত খাদিজাকে রক্তাক্ত করার অপরাধে বদরুলকে ফাঁসি দেয়া যায়।কিন্তু আরেক খাদিজাকে ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা করা যায় না।
আমাদের উচিত।বদরুলের মতো নরপশুদের কে শুধু শুধু তিরস্কার না করে,গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার প্রয়াস করা।যেখানে সুস্থ ধারার গণতন্ত্র থাকবে,সেখানে সুস্থ ধারার বিচার ব্যবস্থা চালু থাকবে।আর বাংলাদেশে যদি সুস্থ ধারার বিচার ব্যবস্থা চালু হয়।তবে ঘাতকরা কারো ওপর নৃশংস হামলা করা তদ দূরের কথা,কোনো প্রকার কটুকথা বলারও দুঃসাহস পাবে না।
এখন আমাদের নৈতিক অধিকার হলো।গণতন্ত্রকে ফিরে আনা।বাংলার স্বাধীন ভূ-খণ্ডে সুস্থ ধারার গণতন্ত্র প্রচলিত করা।যদি আমরা সুস্থ ধারার গণতন্ত্র বাংলাদেশে চালু করতে পারি। তাহলে বাংলার মাটিতে আর কোনো কান্না হাহাকারের চিৎকার শুনতে হবে না।ঘাতকদের হাতে আর কোনো মা বোনের ইজ্জত বিলীন হবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪৪
চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: আপনি কি আমাকে বলতে পারবেন 'বিশুদ্ধ গণতন্ত্র' কি?