নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার স্বপ্ন-সম্ভাবনা শূন্য থেকে শিখরে পৌঁছার

জুনেদ আহসান

মানবতার পথের পথিক

জুনেদ আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তি ও বিজ্ঞান দ্বারা সৃষ্টিকর্তা প্রমাণ করা যাবে না,,

২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪





“এই যে বিষয়টা(আল্লাহর), এটা যুক্তি দিয়ে পাওয়া যাবে না।“
ভুল, যুক্তি দিয়ে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করা যায় । এটা খুব সহজ । আমি মাটি দিয়ে খুব সুন্দর একটা পুতুল বানাতে পারি কিন্তু শুষ্ক মাটি কোনও প্রভাবক ছাড়া পুতুলের আকৃতি ধারণ করতে পারেনা । তাহলে, আমি যখন পুতুল বানাই তাহলে আমিই পুতুলটার সৃষ্টিকর্তা । তাই নয় কী?
তাহলে যেই প্রভাবকের মাধ্যমে আমাদের দেহ এই আকৃতি পেলো তাকে আপনি কিভাবে অস্বীকার করেন? তিনি কী ঈশ্বর নহে?
আর কী যুক্তি চান আপনি? এখন যদি আপনি বলেন: আধারের বাসিন্দা সাহেব, আপনার সব কিছুই ঠিক আছে কিন্তু তারপরও আমি আল্লাহ মানিনা । তাহলে ভাই আমার কিছুই বলার নাই ।
আরেকটা পয়েন্ট বলি,
0(zero) এর কী কোনও মান আছে?
উত্তর: নাই ।
আচ্ছা এবার দেখি, আসলেই 0(zero) এর মান আছে কী নেই ।
1(one) এর কী কোনও মান আছে?
উত্তর: আছে ।
আচ্ছা এবার, 1 এবং 0 পাশাপাশি বসাই, তাহলে কী হল? 10(ten)
0(zero) এর যদি কোন মান নাই থাকে তাহলে 0(zero) এর পাশে বসালে 10(ten) হয় কেন? সম্পূর্ণ মান তো 1(one) থাকার কথা কারণ 0(zero) তো মূল্যহীন(মানহীন) । তাই না?
আমাদের গণিতজ্ঞরা আজও কী সেই মান বের করতে পেরেছে? তাহলে গণিত কী আজও সয়ং-সম্পূর্ণ হয়েছে? আর গণিত ছাড়া যেহেতু পদার্থ বিজ্ঞান অচল তাহলে তো আমি বলতে বাধ্য যে পদার্থ বিজ্ঞানও সয়ং-সম্পূর্ণ নয় ।
আর সেই অসম্পূর্ণ পদার্থ বিজ্ঞান দ্বারা যদি আল্লাহ খুজার চেষ্টা করেন, তাহলে কী কিছু পাওয়া যাবে?
তাহলে, আপনাদের যুক্তি, গণিত এবং পদার্থ বিজ্ঞান সব জায়গাই যেহেতু এখনো অসম্পূর্ণ তাহলে এত লাফালাফি কিসের?
এবার আসুন রসায়ন নিয়ে: এখানে 0(zero) এর কোনও স্থান নেই । 0(zero) এর স্থান কেবল তত্বে সম্ভব(গণিত এবং পদার্থ বিজ্ঞানে), বাহ্যিক ভাবে নয় । রসায়ন এর বেলায় 0(zero) মানে সেখানে কোন অনু বা পরমাণু নেই । কোন অনু-পরমাণু নেই = 0(zero) টি আছে । যেখানে অনু-পরমাণু নেই সেখানে আবার কিসের বিক্রিয়া ? অনু-পরমাণু নেই, বিক্রিয়া নেই সেখানে রসায়ন কী?
এবার আসেন জীব বিজ্ঞানে, অনু-পরমাণু নেই(কোনও উপাদান নেই), কোনও বিক্রিয়া নেই, সব-কিছুই যেখানে 0(zero)। সেখানে আবার জীব বিজ্ঞান কী করে?
তাহলে দেখা গেল, 0(zero) এর কাছে আপনাদের গণিত, পদার্থ, রসায়ন, জীব, সব বিজ্ঞান থেমে গেল । কিন্তু তারপরও দেখা গেল এই 0(zero) এর একটা মান আছে ।
আর সেই কারণেই দুইটা 0(zero), 1(one) এর পড়ে বসালে 100(hundred) হয় ।
আপনাদের(বিজ্ঞানীদের) জ্ঞান-বুদ্ধি(বিজ্ঞান) যেহেতু ব্যর্থ তাই সেগুলো পুটলিতে লুকিয়ে রাখুন এবং আমাদের(বিশ্বাসী) যুক্তি শুনুন ।
0(zero) এর মান যেহেতু 1(one) এর চেয়ে কম । এবং 0(zero) এর চেয়ে ক্ষুদ্রতর কোনও সংখ্যা যেহেতু নেই তাহলে ধরে নেয়া যায় । 0(zero) এর পরেই এসেছে এর চেয়ে বড় সংখ্যক মান । এবং ধীরে ধীরে সেটি হয়েছে 1(one) এবং তার চেয়ে বড় সংখ্যা । আপনি যদি মনে করেন 1(one) থেকে সব কিছু শুরু হয়েছে তাহলে কিন্তু ভুল করবেন কারণ 1(one) এর চেয়ে ক্ষুদ্রতর অমূলদ সংখ্যা রয়েছে । 1(one) থেকে ক্ষুদ্রতর হতে হতে, নিচে যেতে যেতে এক সময় দেখবেন কিছুই নেই, শুধু আছে 0(zero) । 0(zero) তে কোনও বিজ্ঞান নেই, 0(zero) তে আছে বিশ্বাস ।
আর আমরা বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করি এই 0(zero) থেকেই আমাদের সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি হয়েছেন । আর তাই তার আগে কিছুই ছিলনা । এবং সেজন্যই আল্লাহ সৃষ্টিতে কোন সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন হয়নি(এটা তাদের জন্য উত্তর, যারা প্রশ্ন করে আল্লাহকে কে বানাইছে) ।
0(zero) থেকে আল্লাহ সৃষ্টি হওয়ার পর তৈরি করেছেন 1(one) এবং সেই 1(one) পর তৈরি করেছেন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন …………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..ট্রিলিয়ন 1(one) ।
আর সকল 1(one) এর সমষ্টিগত রূপ হচ্ছে: আজকের দৃশ্যমান মহাজগত ।
সুতরাং, 0(zero) তেই বিশ্বাস, 0(zero) তেই শুরু(সৃষ্টি) ।
এইতো গেল বাস্তব জগত নিয়ে কথা, এবার আসুন কম্পিউটার জগতে ।
সফ্টওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার হচ্ছে মূল্যহীন জঞ্জাল । কম্পিউটার এ সকল কার্যক্রম সম্পাদিত হয় সফ্টওয়্যার এর মাধ্যমে । বিভিন্ন কাজে আমরা বিভিন্ন ধরনের সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে থাকি । সকল সফ্টওয়্যার নিয়ন্ত্রিত হয় গাণিতিকভাবে এবং সেই গাণিতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হয় 0(zero) এবং 1(one) দ্বারা ।
যাদের এই ব্যাপারে জানা নেই তাদেরকে একটু বুঝিয়ে বলি:
আমরা কম্পিউটার স্ক্রিন এ যাই দেখি তার নিচে রয়েছে 0(zero) এবং 1(one) ।
ধরুন, আমি কিছু টেক্সট লিখলাম: 1, 2, 3, 4……..। এই সংখ্যা গুলো হচ্ছে পিকচার(ছবি) মাত্র । আমরা যখন কিবোর্ড এ 1 বাটনে চাপ দেই তখন কিবোর্ড থেকে একটা সিগনাল যায় কম্পিউটার এর প্রসেসরে । প্রসেসর সেই সিগনালটাকে যাচাই-বাছাই(প্রসেসিং) করে সফ্টওয়্যার কে নির্দেশ দেয় এবং কম্পিউটার স্ক্রিনে(মনিটরে) ভেসে উঠে 1(এর ছবি) । এই সিগনাল গুলো হচ্ছে 0(zero) এবং 1(one) এর সমষ্টি ।
সম্পূর্ণ সিস্টেম টাই চলে 0(zero) এবং 1(one) দ্বারা ।
তাহলে আমরা বুঝলাম এই বাস্তব জগত এবং ভার্চুয়াল জগতের অন্তরায় রয়েছে 0(zero) এবং 1(one) ।
তাই বলা হয় বিশ্বাসীরা 0(zero) এবং 1(one) দুটোই বিশ্বাস করে এবং অবিশ্বাসীদের বিশ্বাস শুধু 1(one) এর মাঝেই সীমাবদ্ধ ।
হে বিশ্বাসীগন, আসুন আল্লাহর কাছে পার্থনা করি যেন অবিশ্বাসীদের মনে শুভ বুদ্ধির উদয় হয় ।
সবাই ভাল থাকুন ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

অ১ বলেছেন: নিয়ম-১: যুক্তি ও বিজ্ঞান দ্বারা সৃষ্টিকর্তা প্রমাণ করা যাবে না,
নিয়ম-২: যদি নিয়ম ১ ভুল হয় তাহলে নিয়ম ১ ই অনুসরণ কর।
এই শিরোনামে যে বিশ্বাস করে সে নিজেই যুক্তি ও প্রমাণ মেনেই সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে।

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আমি বিনাযুক্তি বিনাতর্কে সৃষ্টিকর্তা আছেন বিশ্বাস করি।
আর এই বিশ্বাসের নামই ঈমান।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১১

আহলান বলেছেন: আল্লাহ যাকে হেদায়েত দান করবেন, একমাত্র সেই হেদায়েত প্রাপ্ত হবে .... বক্র হৃদয় ধারীদের নিয়ে চিন্তার কিছু নাই!

৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

মাসুম এইচ বিল্লাহ বলেছেন: অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিশ্বাসটা কোনো যুক্তির উপরে ডিপেন্ডেন্ট না । বিশ্বাসটা চলে আসে অটোমেটিক্যালি ভিতর থেকে । যুক্তি বিশ্বাসের তারতম্য ঘটায় । তবে যুক্তি অত্যন্ত কঠিন হলে তা মনের সাবেক বিশ্বাসকে ভেঙ্গে দিতে পারে ।

ব্লগটা ভালো লাগলো ।

৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

অ১ বলেছেন: এই পোস্টটি যিনি লিখেছেন তিনি নিজেই ০ ও ১ উদাহরণ দ্বারা যুক্তির মাধ্যমেই ঈশ্বরকে বিশ্বাস করার বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন! আমাদের সকলের এটাই প্রধান সমস্যা যে আমরা সদা নিজের ভাবকেই শ্রেষ্ঠ মনে করি। যাহারা নিজেদের অযুক্তিবাদী মনে করেন প্রকৃতপক্ষে তাহারাই যুক্তিবাদী।

৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২

বিজন রয় বলেছেন: সেটা কখনো সম্ভব নয়।

৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

অ১ বলেছেন: নমস্কার বিজন দাদা!। কেন সেটা কখনো সম্ভব নয়? অবশ্যই সম্ভব?
নিয়ম-১: যুক্তি দ্বারা অ-সম্ভব!
নিয়ম-২: যদি নিয়ম-১ ভুল হয় তবে অ-সম্ভবকে অনুসরণ করুণ!
অ-সম্ভব শব্দের দিকে ধ্যান দিন। দেখবেন ঐ শব্দেই সম্ভব শব্দটি রয়েছে।
একে অন্যের জন্য। যেমন: দিন-রাত, আলো-অন্ধকার ইত্যাদি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.