নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উৎসবে আনন্দে শেকড় সন্ধানী বাঙালীর সহমর্মিতা

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১০

গত বছরের (২০১৪) কুরবানী ঈদের সময় ঢাকা থেকে বাড়ী (লালমনিরহাট) যাবার সময় পথের অভিজ্ঞতা নিয়ে এ ব্লগটি লিখেছিলাম। এবারের ঈদের সময় দেশের বাইরে ছিলাম। সেখানে ঈদ তেমন বোঝাও যায়নি। তাই বারে বারে বাঙালীর উৎসবমুখরতার কথা মনে হচ্ছিল। ইতোপূর্বে অন্যত্র প্রকাশিত এ লেখাটি তাই আবার এখানে প্রকাশ করলামঃ

বাঙালী জাতি যেভাবে তার শেকড়ের অন্বেষণ করে, শেকড়কে সমীহ করে, বুকে ধারণ ও লালন করে, পৃথিবীর আর কোন জাতি বোধহয় তেমনটা করে না। আমি ওপার বাঙলার কথা জানিনা, তবে এপারের বাঙালীরা যেভাবে ঈদ-পূজোয় মাত্র কয়েকদিনের ছুটিতে নাড়ীর টানে বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মত দলবেঁধে সহাস্যে আনন্দ ফূর্তি করতে করতে বাড়ীমুখো হন, তার তুলনা গোটা বিশ্বে বিরল। আমি নিজেও সে আনন্দে শরীক হ'লাম। গতকাল সন্ধ্যায় রওনা দিয়ে ৫/৬ ঘন্টার পথ ১৫ ঘন্টায় পাড়ি দিয়ে আজ সকালে পৌঁছালাম নিজ বাড়ীতে, মায়ের সাথে ঈদ উদযাপন করতে। কারণ, আমাকে দেখলেই মা ভীষণ খুশী হন। ঈদে কাছে না পেলে মন খারাপ করেন।

অসহিষ্ণু জাতি হিসেবে আমাদের বেশ দুর্নাম আছে। কিন্তু এসব উৎসবের মত সময়গুলোতে বাঙালী ধৈর্যের পরিচয় দিতে এবং সহমর্মিতা দেখাতে মোটেই ইতস্ততঃ করে না। তাই দেখি, কোন একজন যাত্রীর জন্য যখন বাস ছাড়তে দেরী করছিলো এবং জনৈক যাত্রী বিরক্ত প্রকাশ করছিলেন, তখন সুপারভাইজার এসে তাকে বুঝালেন, কি করবো ভাই, এই যাত্রীটি গাবতলীর খুব কাছে এসে জ্যামে আটকা পড়েছে। আমরা যদি একটু অপেক্ষা করি, তবে এ যাত্রী তার পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারবে, নতুবা আর সে ঈদের আগে বাড়ী যেতে পারবেনা। আমাদের তো সবার ভালোমন্দটাই দেখতে হয়। সাথেসাথে কয়েক জন সহযাত্রী তার সাথে কন্ঠ মিলালেন, এবং অপেক্ষা করতে সমর্থন দিলেন। বিরক্তি প্রকাশ করা যাত্রীটিও একথা শুনে নিমেষে তার মত পাল্টিয়ে রাজী হয়ে গেলেন।

পথে আসার সময় দেখেছি, বাসে ট্রাকে করে হাজার হাজার নারী পুরুষ ধাবমান। সবার হাতেই পোটলা পুটলি, ব্যাগ ট্যাগ। এমনকি ট্রেন আর বাসের ছাদেও প্রায় ভেতরের সমান মানুষ। তারা একে অপরকে অতিক্রম করার সময় শিশুসুলভ চপলতায় হাত নেড়ে হৈ হৈ রৈ রৈ করে সম্ভাষণ জানায়। সবাই আনন্দে উদ্বেল, তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে অনেক সময় এদের সবার জন্য নিরাপদে বাড়ী ফেরা হয়না।

আদিতমারী, লালমনিরহাট
০৪ অক্টোবর ২০১৪

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: নরম পলি মাটির এই দেশ।
রুক্ষতার বিপরীতে একটু সহানুভূতির ছোঁয়া, এখানে এখনো বিজয়ী - অতীতে, ভীতিকর বর্তমানে, সুন্দর আগামীতে।
তারই প্রমাণ আপনার সুন্দর লেখাটা।

ভাল থাকুন। সবসময়।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ লেখাটাতে আপনিই প্রথম এবং একমাত্র মন্তব্যকারী পাঠক। তবে সমস্যা নেই, আপনার মন্তব্যটা একাই একশ'।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভাই শামছুল ইসলাম, এই সুবিবেচিত ভাবনাটা শেয়ার করার জন্য। পছন্দ করলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.