নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কথা -১

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৭

আমাদের ছোট ছেলেটা যখন দুই বৎসর পার হয়ে যাবার পরও মুখে কোন কথা বলতোনা, শুধু আকারে ইঙ্গিতে বলতো, তখন আমি আর আমার স্ত্রী খুব চিন্তিত হতে শুরু করেছিলাম। ডাক্তারের কাছেও নিয়ে গিয়েছিলাম ওকে। ডাক্তার সাহেব পরীক্ষা করে জানালেন সবকিছু ঠিক আছে। চিন্তার কোন কারণ নাই, ও কথা বলবে। তারও প্রায় মাস তিনেক পরে আমাদেরকে আনন্দে ভাসিয়ে ও প্রথমে আধো আধো বোলে, পরে স্পষ্ট করে সব কথাই বলা শুরু করলো। কিন্তু যখন কথা বলা শুরু করলো, তখন এমন অনর্গলভাবে বলা শুরু করলো যে তার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমরা বাসার একে একে সবাই হাঁপিয়ে উঠতাম। মনে হতো, ও যেন ওর এতদিনের সব জমানো কথাগুলো একসাথে বলা শুরু করেছে।

আজ থেকে ৫৩ দিন আগে আমি প্রথম এই ব্লগে বিচরণ শুরু করি। বলা যায়, আমি এখানে এক নবীন ব্লগার। এরই মধ্যে আমার মোট ৫০টি লেখা এখানে পোস্ট করেছি। অন্যদের অনেক অনেক চমৎকার ও তথ্যসমৃদ্ধ লেখা উপভোগ করে চলেছি। বেশ ভালো লাগছে। অন্যান্যদের কিছু চমৎকার লেখা পড়ে আমার মনে নানারকম সব স্মৃতি ভেসে উঠে। অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে হয়, সবার সাথে শেয়ার করতে মনে বাসনা জাগে। কিন্তু আজ যখন এই এত্ত বছর পর আমি আমার নিজের কথা বলা শুরু করতে চাই, তখন মনে ভয় হয় যে আমি না যেন আমার কনিষ্ঠ পুত্রের ন্যায় জমানো কথা এমনভাবে বলতে শুরু করি, যা বাচালতার পর্যায়ে পড়বে এবং পাঠক/ শ্রোতাদেরকে হাঁপিয়ে তুলবে। যাহোক, জনসমক্ষে কথা বলার চেয়ে ব্লগে কথা বলা অনেক সহজ । তাই আমি আমার সাদামাটা জীবনের কথাগুলো এখানেই বলা শুরু করলাম। কর্মজীবন শেষ করে অবসর জীবনে এসে সুযোগ হচ্ছে পিছু ফিরে তাকাবার। জীবনের নানা বাটে ঘাটে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধ দর্শনকে স্মরণ করে বিদগ্ধ পাঠককূলের সাথে আমার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার। সাদা চোখে যা দেখেছি, তাই বলবো। অতএব, উত্তম পুরুষেই বলা শুরু করলাম।কতদিন থাকবো জানিনা, তবে পাঠকের ভালো লাগলে থেকে যাবো, অন্যথায় চলে যাবো।বোরিং আর মনোটোনাস লাগলে দয়া করে কেউ শুধু একটু আওয়াজ দিবেন, থেমে যাবো।

আজ থেকে প্রায় একষট্টি বছর আগের কোন এক শীতের বিকেলে অগ্রহায়নের শেষ দিনে, এক রোববারে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনীতে আমার জন্ম হয়। এমনিতেই ছোট দিন, তখন দিনেরও প্রায় শেষ, একটু আগেই আসর নামাজ শেষ করে নামাজীরা মাসজিদ থেকে ঘরে ফিরে গেছেন। ক্লান্ত সূর্য্টা দিগন্তে রক্তিমাভা ছড়িয়ে অস্ত যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে, পাখিরা ঘরে ফেরার। এমনি এক সময়ে আমি দিনের শেষ আলোটুকু ধরার জন্যই যেন পৃ্থিবীর বুকে ভূমিষ্ঠ হ’লাম। পুরো জীবনটাকে যদি একটা দিন হিসেবে ধরি, তবে বলা যায়, আমার জন্মের সময় যেমন দিনের পড়ন্ত বিকেল ছিলো, আজও, যখন আমি আমার কথা বলা শুরু করলাম, তখনও যেন জীবনের সেই পড়ন্ত বিকেলটা উপনীত। ধূসর গোধূলীর এই মায়াভরা ক্ষণে পিছু ফিরে দেখা কখনো উজ্জ্বল কখনো তমসাচ্ছন্ন দিনগুলোর কথায় থাকবে কিছু প্রাপ্তির কথা, অপ্রাপ্তির কথা। সাফল্যের কথা, ব্যর্থতার কথা। আনন্দের কথা, বিষাদের কথা।

তখনকার চট্টগ্রামের স্মৃতির মধ্যে একটু একটু মনে পড়ে ১৯৫৮ বা ৫৯ সালের দিকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইউব খানের চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষে জাম্বরী মাঠের প্রস্তুতির কথা। সারাদিন ধরে রোলার, গ্রেডার আর ক্যাটারপিলার চলার শব্দ আর পোড়া ডিজেল মবিলের ধোঁয়ার গন্ধ আজও নাকে লেগে আছে। আর মনে আছে ১৯৬০ সালের প্রলয়ঙ্করী সাইক্লোনের কথা, যার পরে পরেই আমার বাবার বদলীর কারণে আমরা চট্টগ্রাম ত্যাগ করে ঢাকায় চলে আসি। আমার স্কুলজীবন শুরু হয় ঢাকায়, সরাসরি তৃতীয় শ্রেণী থেকে। সে আমলে এটা তেমন অস্বাভাবিক কিছু ছিলোনা। এর আগে বাসায় বসেই বাবা আর মায়ের তত্ত্বাবধানে বাংলা, ইংরেজী, অঙ্ক আর হস্তলিপি শিখেছিলাম। আর সরাসরি বাবার তত্ত্বাবধানে স্কুলে যাবার আগেই প্রথমে কায়দা, পরে আম্পারা আর তারপর পবিত্র ক্বোরান পাঠ শিখেছিলাম। নামায পড়া শিখেছি আরো অনেক পরে।

স্কুল জীবন শুরু হবার দু'বছর পরে মতিঝিল সেন্ট্রাল গভর্ণমেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলাম আর সে পরীক্ষায় টিকেও গেলাম। আমি সেখানে ভর্তি হবার পরে শুনি যে জনাব মঈন খান সাহেব (বিএনপি'র মন্ত্রী) ঐ স্কুল থেকেই ১৯৬২ সালে তৎকালীন সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। স্কুলটাকে আমার খুব ভালো লাগতো, কারণ খুব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ছিল, আর শিক্ষকগণের মধ্যে অনেকেই খুব স্নেহবৎসল এবং বন্ধুভাবাপন্ন ছিলেন। জনাব বজলে কাদের নামে একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি ঐ সময়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পোষাকে আশাকে, কথা বার্তায় তিনি বেশ কেতাদুরস্ত ছিলেন। আমাদের স্কুলে ভালো টিফিন দেয়া হতো। ক্লাস ক্যাপ্টেনের তত্ত্বাবধানে তা বিতরণ করা হতো। ‘বুড়া স্যার’ নামে একজন শিক্ষক ছিলেন, যিনি কথায় কথায় মাথায় আর কনুই এর হাড্ডিতে ডাস্টার এর বারি মারতেন। একজন বাংলা শিক্ষক ছিলেন যার কন্ঠস্বর খুব চমৎকার ছিলো। তার আসল নামে আমরা তাকে তেমন একটা ডাকতাম না বলে সে নামটা ভুলে গেছি, তবে তাকে আমরা টেলিভিশন স্যার নামে ডাকতাম, সেকথা মনে আছে। স্কুলে বিরাট একটা খেলার মাঠ ছিলো এবং সেখানে প্রতিবছর নিয়মিত আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো। ফ্রী হ্যান্ড এক্সারসাইজের জন্যেও বেশ কিছু অবকাঠামো ছিলো। আমি নিজে কখনো খেলাধূলায় তেমন ভালো ছিলাম না, তবে পারি বা না পারি প্রায় সব খেলাই প্রাণভরে খেলতাম, খেলা দেখতেও ভালোবাসতাম। কখনো কেউ দলে না নিলে আমারই মত অন্যান্য আনাড়িদের নিয়ে আলাদা দল গঠন করতাম আর বড় মাঠের অন্য প্রান্তে তাদের নিয়ে খেলা শুরু করে দিতাম। বড়দের খেলা হলেই আগ্রহভরে দেখতাম, দর্শক হিসেবে উৎসাহ দিতাম আর তথ্য উপাত্ত সংগ্রহে রাখতাম। আমার আব্বা আর বড়ভাইরাও ফুটবলের ভক্ত ছিলেন। ঢাকা লীগের শেষ পর্বের খেলাগুলো যখন শুরু হতো, তখন ওনারাই ওসব খেলা দেখার ব্যবস্থা করে দিতেন। আর ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব বনাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে খেলা হলে তো কোন কথাই নেই। তখন আবাহনী দলের জন্ম হয়নি। ভিক্টোরিয়া আর মোহামেডানই দুটো সেরা দল ছিল। অপর একটা সেরা দলের নাম ছিল ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব।

চলবে....


মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩

মেহবুবা বলেছেন: প্রিয় মতিঝিল সেন্ট্রাল গভর্ণমেন্ট উচ্চ বিদ্যালয় ।
ছেলেদের মাঠ অনেক বড় ।
মেয়েদের স্কুল যেমন মনকাড়া ছিল দেখতে তেমনি অলঙ্কার এর শিক্ষিকা এবং শিক্ষক।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: মতিঝিল সেন্ট্রাল গভর্ণমেন্ট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সম্পর্কেও সামান্য উল্লেখ থাকবে আগামী কোন একটা সিরিজে। সেখানে আমার বড় বোনও পড়তেন।
লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, মেহবুবা। মন্তব্যের জন্যও।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এক্কেবারে প্রথম দুটো লেখায় দিন দশেক আগে মন্তব্য রেখে এসেছিলাম, মেহবুবা। আজ রাখলাম ৩য় টায়।
আগের মন্তব্যগুলো এখনো দেখেন নি। সেটাই স্বাভাবিক, এত পুরনো লেখা নিয়ে সাধারণতঃ ঘাটাঘাটি করা হয় না।
সব লেখাই ভালো লেগেছে, সেকথা আবারো জানালাম।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

আমি মিন্টু বলেছেন: অসাধারন ভালো লেখছেন এবং ভালো লাগছে আপনি আমাদের মাঝেই থেকে যান আর লিখে চলুন অনবরত । :)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য, আমি মিন্টু। আছি আপাততঃ।

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৫

ডাঃ মারজান বলেছেন: ভালো লাগছে 'আমার কথা'। চলতে থাকুক। সাথেই আছি। আমাদের মাঝেই থাকুন। ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, ডাঃ মারজান। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম লেখাটা পড়ে সেখানে আমার মন্তব্য রেখে আসলাম, ডাঃ মারজান।

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
লেখাটি পড়লাম। ইতোপূর্বে কোথায় প্রকাশিত হয়েছিলো ?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি কেমন লাগলো, তা তো বললেন না, অন্ধবিন্দু।
টুকটাক এখানে সেখানে লিখে থাকি। যেমন ফেইসবুক পেজ বা নোটস।

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ভালো লেগেছিলো বলেই লাইক বাটন চেপেছিলুম, জনাব। খুব ব্যাস্ত থাকার দরুন পাঠ প্রতিক্রিয়া সংক্ষেপ করতে হয়। বুঝতে পারেন আশাকরি।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: বুঝলাম। লাইক এর জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যের জন্যও।

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: জন্মের ক্ষণের সাথে চমৎকার মিলিয়েছেন আজকের বেলাঃ
// আমার জন্মের সময় যেমন দিনের পড়ন্ত বিকেল ছিলো, আজও, যখন আমি আমার কথা বলা শুরু করলাম, তখনও যেন জীবনের সেই পড়ন্ত বিকেলটা উপনীত। ধূসর গোধূলীর এই মায়াভরা ক্ষণে পিছু ফিরে দেখা কখনো উজ্জ্বল কখনো তমসাচ্ছন্ন দিনগুলোর কথায় থাকবে কিছু প্রাপ্তির কথা, অপ্রাপ্তির কথা। সাফল্যের কথা, ব্যর্থতার কথা। আনন্দের কথা, বিষাদের কথা। //

জমে উঠছে আমার কথা!!!!

ভাল থাকুন।সবসময়।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যে উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত বোধ করছি, শামছুল ইসলাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আগামী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম । ভাল থাকুন সব সময় ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, দৃষ্টিসীমানা। পরের পর্বটা আজকেই দিচ্ছি।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই ব্লগে আপনার প্রথম লেখাটা পড়লাম- 'একটি মুরগীর মা'। সেখানে কিছু মন্তব্য রেখে এসেছি। আশাকরি পড়ে দেখবেন।
'আমার কথা'র পরবর্তী দুটো পর্বো প্রকাশ করেছি। পড়েছেন কি?

৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।
আপনার জীবনের প্রথমাংশটুকু।

আবারও মজা পেলাম,
অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে হয়, সবার সাথে শেয়ার করতে মনে বাসনা জাগে। কিন্তু আজ যখন এই এত্ত বছর পর আমি আমার নিজের কথা বলা শুরু করতে চাই, তখন মনে ভয় হয় যে আমি না যেন আমার কনিষ্ঠ পুত্রের ন্যায় জমানো কথা এমনভাবে বলতে শুরু করি, যা বাচালতার পর্যায়ে পড়বে এবং পাঠক/ শ্রোতাদেরকে হাঁপিয়ে তুলবে।

এ কথাটুকু পড়ে।

আমিও নাকি দু বছর কথা বলিনি তারপর ২ থেকে ১৮ আমি মনে হয় আমার জীবনের সব কথা বলে ফেলেছি। আমার কথা বলার ফাঁক দিয়ে নাকি মশা মাছিও ঢুকতে পারবেনা এমনই অপবাদ ছিলো আমার । তবে এরপর আমি অনেকদিন অনেকটাই চুপ থেকেছি। এখনও আমি চুপ থাকার প্রাকটিস করছি। লিখে লিখে কথা বলাটাই ভালো। নিজের সাথে নিজের কথা বলা । তেমন কাউকে বিরক্ত করার ভয় থাকেনা। তবে ব্লগে লিখে লিখে কথা বলাটারও মজা আছে। কেউ বিরক্ত হতে চাইলে সেসব শুনবে মানে পড়বে নতুবা নয়। ভয় কি ?
আবারও শ্রদ্ধা রইলো খায়রুলভাই।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে মুগ্ধ হ'লাম, স্পর্শিয়া।
উদ্ধৃতাংশটুকু পড়ে মজা পেয়েছেন জেনে খুশী হ'লাম।
তারপর ২ থেকে ১৮ আমি মনে হয় আমার জীবনের সব কথা বলে ফেলেছি - না, তা হয় না। জীবনের সব কথা বলা কখনোই শেষ হয় না, কাউকেও।
তবে ব্লগে লিখে লিখে কথা বলাটারও মজা আছে। কেউ বিরক্ত হতে চাইলে সেসব শুনবে মানে পড়বে নতুবা নয়। ভয় কি ?
- অবশ্যই, কোন ভয় নেই।

৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//আজ যখন এই এত্ত বছর পর আমি আমার নিজের কথা বলা শুরু করতে চাই, তখন মনে ভয় হয় যে আমি না যেন আমার কনিষ্ঠ পুত্রের ন্যায় জমানো কথা এমনভাবে বলতে শুরু করি, যা বাচালতার পর্যায়ে পড়বে এবং পাঠক/ শ্রোতাদেরকে হাঁপিয়ে তুলবে। যাহোক, জনসমক্ষে কথা বলার চেয়ে ব্লগে কথা বলা অনেক সহজ। //


-হাহাহা অনেক মজা পেলাম। লেখা আসলে এক প্রকার কথোপকথনই। দয়া করে লেখে যান।

অনেক কৌতূহল নিয়ে পড়লাম আপনার জীবনটীকা। আপনার লেখার উদ্দেশ্য ও বলার ভঙ্গি অনেক নবীন লেখকের প্রেরণা হতে পারে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি এ যাবত আমার এবং অন্যান্য ব্লগারদের লেখায় আপনার যতগুলো মন্তব্য পড়েছি, তার সব কথাই আপনার ঐ হাস্যোজ্জ্বল মুখটার মতই মন ভালো করে দেয়া কথা। আজকের এই অল্প কথার প্রেরণাটুকুর জন্য শুধু এক টুকরো ধন্যবাদই যথেষ্ট নয়।
আশাকরি পরের লেখাগুলোতেও আপনাকে পাবো, মাঈনউদ্দিন মইনুল।

১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: আমি কিছু মানুষ দেখেছি, যারা একদিন ছিলো উচ্ছল, প্রগলভ। নিয়তি ও জীবনের লীলাখেলায় আজ তারা প্রায় মুক ও বধিরের পর্যায়ে। যাদের কাছে জীবন এক দুখী চলচ্চিত্র। চার্লি চ্যাপলিন বা মিঃ বিন ম্যুভি দেখলেও তারা আর হাসেনা।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: যারা একদিন ছিলো উচ্ছল, প্রগলভ। নিয়তি ও জীবনের লীলাখেলায় আজ তারা প্রায় মুক ও বধিরের পর্যায়ে। যাদের কাছে জীবন এক দুখী চলচ্চিত্র।
আপনার এই সমব্যথী চোখ দুটোর কথা জেনে আবারো মুগ্ধ হ'লাম, স্পর্শিয়া।

১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ২ তে মন্তব্য করারা ১ পড়ে ফেলেছি। সিকুয়াল লেখাগুলোর লিঙ্ক পরের পোষ্টে দিলে ভাল হয়। যেমন - আমার কথা - ২ তে পোষ্টের শেষে ১ এর লিঙ্ক দিলেন।
এতে পাঠক খুব সহজে আপনার পোষ্টে আসতে পারবে।
নিজের কথা মেলে ধরতে আসলে এক ধরণের আনন্দ আছে । আমিও ঠিক করেছি নিজের কথা লিখব । দীর্ঘদিন ধরেই ভাবছি /।
যদিও লেখা হয়ে উঠছে না /
//আজ যখন এই এত্ত বছর পর আমি আমার নিজের কথা বলা শুরু করতে চাই, তখন মনে ভয় হয় যে আমি না যেন আমার কনিষ্ঠ পুত্রের ন্যায় জমানো কথা এমনভাবে বলতে শুরু করি, যা বাচালতার পর্যায়ে পড়বে এবং পাঠক/ শ্রোতাদেরকে হাঁপিয়ে তুলবে। যাহোক, জনসমক্ষে কথা বলার চেয়ে ব্লগে কথা বলা অনেক সহজ। //
হাহহ , এই অংশ পরে অন্য সবার মত আমিও মজা পেয়েছি।
আপনি লিখুন , আপনার অভিজ্ঞতাময় কথায় আমরাও ঋদ্ধ হতে চাই।
কারণ আপনার কথা কেবল আপনার কথাই নয় - এটা সময়ের একটা দলিল ও বটে। সেই সময় টা টের পাওয়ার জন্য
আপনার লেখার মূল্য আমাদের কাছে অপরিসীম । আরেকটা কথা - আপনার কথা কারো
হয়ত ভাল না লাগতে পারে , কেউ হয়ত কটু কথা বলে বসল - আপনি এমন কোন ধরণের মন্তব্যের কারণে আশা করি
লেখা বন্ধ করবেন না । কারো ভাল না লাগ্লে সে লেখা স্কিপ করে গেলেই হয় ।

বোরিং আর মনোটোনাস লাগলে দয়া করে কেউ শুধু একটু আওয়াজ দিবেন, থেমে যাবো। - এ্ভাবে কখনো ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করলে মানব না , আন্দোলন চলবে । :)

চট্টগ্রাম শন্দটা দেখে একটু আনন্দ পেলাম :) আমিও চট্টগ্রামের ।
ভাল থাকবেন ।


০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: সিকুয়াল লেখাগুলোর লিঙ্ক পরের পোষ্টে দিলে ভাল হয়। - খুব দরকারী একটা পরামর্শ দেবার জন্য ধন্যবাদ। এর পর থেকে চেষ্টা করে দেখবো লিঙ্ক দিতে পারি কিনা। অনেক সময় লিঙ্ক দিতে গিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা করে ফেলি।
আমিও ঠিক করেছি নিজের কথা লিখব । দীর্ঘদিন ধরেই ভাবছি /। - চমৎকার সিদ্ধান্ত। অপেক্ষায় থাকলাম।
এটা সময়ের একটা দলিল ও বটে - জ্বী, সেটাই এ প্রয়াসের অন্যতম প্রেরণা।
কেউ হয়ত কটু কথা বলে বসল - এটা শিক্ষিত লোকের সমাবেশ, কিছুটা ভরসা তো রাখতেই হবে। তারপরেও, জীবনে কখনো কোন কটু কথার জবাব আমি কথা দিয়ে দেইনি।
চট্টগ্রাম শন্দটা দেখে একটু আনন্দ পেলাম - জন্মসূত্রে আমি আপনার "স্বদেশী" হলেও আমার বাড়ী উত্তরবঙ্গে। তাই বলে আশাকরি আনন্দে ভাটা পড়বেনা।
সুচিন্তিত ও সুবিবেচিত মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশাকরি, পরের সিকোয়েল গুলোতেও সঙ্গ পাবো।

১২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

প্রামানিক বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রীত হ'লাম। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: জন্মস্থানটা দেখার জন্য চট্টগ্রাম চলে আসুন। সেই জাম্বুরী ফিল্ড এখনো আছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ৯৫-৯৬ সালে চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলাম। পুনর্বার দেখা হয়েছে। মন্তব্য এবং আমন্ত্রণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, ডার্ক ম্যান।

১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭

রাশেদ মহাচিন্তিত বলেছেন: ব্লগে কেউ বিরক্ত হয় বলে মনে হয়না। আপনি লিখে যান। আপনার এক্সপেরিয়েন্স , আমাদের পথ দেখাবে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্যও।
শুভেচ্ছা রইলো।

১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার লেখাগুলো পড়ব পড়ব বলে সময় বের করতে পারছিলাম না। আজই পড়লাম। অনবদ্য ও সাবলীলভাবে গুছিয়ে লিখেন আপনি। যেহেতু যত্ন করেছেন সুখপাঠ্যই হয়েছে। লাইক দিলাম।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়া এবং 'লাইক' করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
লেখা সুখপাঠ্য হয়েছে জেনে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

আরজু পনি বলেছেন:

পূর্বে আপনার পোস্ট সংক্রান্ত মন্তব্য করিনি কারণ যেই পোস্ট পড়া হয়নি সেটা নিয়ে আমি মন্তব্য করিনা ।
না পড়ে মন্তব্য করাটা নিজের সাথে হিপোক্রেসি মনে হয় । তাই অন্য প্রসঙ্গে কথা বলেছি...যদিও আমার সেখানে উল্লেখ করা উচিত ছিল..."অফ টপিক"।

যাক সেসব কথা ।
ইচ্ছে ছিল আপনার কথা শুরু থেকেই শুরু করবো ।
তাই করলাম...আপনার লেখার মধ্যে প্রাণ আছে
আশা করি ব্লগে নিয়মিত থাকলে আপনার লেখা পড়ার চেষ্টা করবো ।

লিখতে থাকুন...এভাবেই।
অনেক শুভকামনা রইল ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্যাপারটা বুঝলাম। বুঝিয়ে বলার জন্য ধন্যবাদ।
"আমার কথা" পড়া শুরু থেকেই শুরু করাতে প্রীত হ'লাম। অন্য অনেকের লেখায় আপনার কিছু মন্তব্য পড়েছি। মন্তব্যগুলোকে আমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। আমার লেখাতেও মন্তব্য রাখলেন, এটা আনন্দের বিষয়।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমাদের তিন ভাই এর এক বোন। খুব আদরের বোন, জন্মের দিন থেকে সে কোন ভাইয়া বলে ডাকে না, এটাই খুব আফসোস ছিলো। প্রত্যেকদিন কোলে নিয়ে ঘুরতাম। একটু শব্দ যেন বিশাল কিছু একটা ব্যাপার।

তবে সে আড়াই বছর পর্যন্ত দাঁড়াতে না পারার কারণে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। ডাক্তার বললো, বেশি কোলে থাকার কারণে এই সমস্যা হয়েছে। এখন সে সারাদিন লাফালাফি করে দৌড়াদড়ি করে। মানা করলে শুনে না।

আপনার সিরিজটি পড়া শুরু করলাম।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: জন্মের দিন থেকে সে কোন ভাইয়া বলে ডাকে না -- ঠিক বুঝলাম না। এখনো সে ভাইয়া ডাকেনা?
সিরিজটি পড়া শুরু করার জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

রাতুল_শাহ বলেছেন: সারাদিন তো ভাইয়া বলে বলে অস্থির। ব্যাগ ছিড়ে গেলে বলে, ভাইয়া ব্যাগ ছিঁড়ে গেছে। ভাইয়া টিভিতে আজকে এই চকলেটের বিজ্ঞাপন দেখিয়েছে।
যখন সে জন্ম নিলো, তখন তো আমরা খুব খুশি, কোলে নেওয়ার সময় ভাবতাম এই বুঝি ভাইয়া বলে ডাকবে।

সেই ভাইয়া ডাকটা ৩বছর পর শুনেছি।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ও আচ্ছা! ভালো লাগলো জেনে।

১৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাপনার কয়েকটা স্মৃতিকথা অাগেও পড়েছিলাম । অাজকে পড়লাম ১৯ অার ১ । খুব ভালো লাগলো । নিজের সম্পর্ক যা বলেছেন (অনুসরন করুন এর নিচে), তা পড়েই বুঝে গেছি অাপনার স্মৃতিকথা সমৃদ্ধ । অাপনার কাছ থেকে অনেককিছু শেখার অাছে । অামি অাপনার লেখার গুণমুগ্ধ পাঠক হয়ে রইলাম ।

অামি বিবিএ সম্পন্ন করেছি মাত্র । বয়সে বোধহয় অাপনার সন্তানতুল্য হবো । অামাকে যে কোন উপদেশ-পরামর্শ দিতে পারেন । ধন্যবাদ । ভালো থাকুন সতত ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অাজকে পড়লাম ১৯ অার ১ --
অর্থাৎ সর্বপ্রথম আর সর্বশেষ (এ যাবৎ প্রকাশিত) পর্বটা আজকে পড়েছেন। ব্রাকেটিং দেখে মনে হচ্ছে এই সিরিজের বাকী পর্বগুলো পড়ারও ইচ্ছে আপনার আছে। তাই বেশ প্রীত বোধ করছি।
তা পড়েই বুঝে গেছি অাপনার স্মৃতিকথা সমৃদ্ধ --
আসলে জীবনকে, চলার পথকে, সাথীদেরকে, পারিপার্শ্বিকতাকে, সমকালীন রাজনীতি ও সমাজ ব্যবস্থাকে নিজ চোখে যেভাবে দেখেছি, সেভাবেই বলে যাবার আশা রাখি। এর মূল্যায়ন করবে পাঠক সমাজ, কিন্তু আমি শতভাগ সততার সাথে যা দেখেছি, তাই বলে যাবার, যা ভেবেছি তাই ব্যক্ত করার আশা রাখি।
বয়সে বোধহয় অাপনার সন্তানতুল্য হবো --
হ্যাঁ, তাই হবেন হয়তো, কিন্তু এখানে ব্লগার হিসেবে আমরা সমানে সমান। আপনিও আমার লেখা সম্পর্কে আমাকে পরামর্শ দিতে পারেন। আমার দুই ছেলে আইবিএ থেকে বিবিএ এমবিএ পড়ে এখন চাকুরী করছে। তৃ্তীয় ছেলে প্রকৌশলী, সেও বর্তমানে আইবিএ তে এমবিএ করছে। সুতরাং আপনি সন্তানতুল্য তো বটেই।
লেখাটা পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

কালীদাস বলেছেন: সেন্ট্রাল গভ. স্কুল! স্কুলটার একটা আলাদা ঐতিহ্য ছিল, এখন কি অবস্হা আল্লাহ জানে। জিপিএ ফাইভের ঠেলায় স্কুলগুলোর জাতপাত সব গেছে, ক্যাম্ব্রিয়ানের মত জিনিষ হয়ে গেছে টপ র‌্যাংকড স্কুল :(

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্কুলটা একসময় সত্যিই খুব ভাল ছিল। এতদিন পরেও অনেক সুখময় স্মৃতি মনে পড়ে। এখনকার অবস্থা বলতে পারবোনা, তবে এসএসসি রেজাল্টের পর সেরকম নামডাক তো শুনিনা, যেরকম শুনি রাজউক উত্তরা, ভিকারুন্নেসা বা ক্যাডেট কলেজগুলোর নাম!
পুরনো লেখা পড়ে আমাকে সম্মানিত করলেন, এজন্য অজস্র ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
ভাল থাকুন।

২১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: শুরুটা বেশ সুন্দর আর গোছানো। আপনার স্কুলের মাঠ দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তবে লেখাটি মনে হল আমার ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের সাজানো বাগানের মতই!


সুপ্রিয় লেখক আপনার এই আত্মজীবনী সিরিজের সূচনা খুব ভাল লেগেছে। শুভকামনা!

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক পেছনে হেঁটে এসে লেখাটি পড়ে যাবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, ভ্রমরের ডানা।
ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের সাজানো বাগানটা সত্যিই খুব সুন্দর ছিল, আজও আছে।
আমার এ সিরিজটাকে আত্মজীবনী না বলে আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা বলতেই আমি বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, কেননা আমি আত্মজীবনী লেখার মত তেমন কোন মানুষ নই। সিরিজের সূচনাটা ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। আশাকরি, কখনো কখনো সময় হলে সিরিজের আরো দুই একটা লেখা পড়বেন।

২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

মেহেদী রবিন বলেছেন: আমিও এই ব্লগে প্রায় নতুনই। এখনও ৫০ পেরোয়নি পোস্ট। তবে আপনার পোস্টগুলো পড়ি নিয়মিতই। মাঝে একটা অনুবাদ খুব ভালো লেগেছিলো। আপনার কবিতাগুলোও ভালো। যাই হোক আপনার আত্মজীবনীর এই প্রথম লেখাটা বেশ ভালো লেগেছে। চালিয়ে যান।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার পোস্টগুলো আপনি নিয়মিত পড়েন যেনে প্রীত হ'লাম। কোন একটা অনুবাদ ভালো লেগেছিলো জেনেও অনুপ্রাণিত হ'লাম। আশাকরি সময় হলে এই সিরিজের আরও দুই একটা লেখা পড়ে দেখবেন।
পেছনে এসে এই লেখাটা পড়ে মন্তব্য করে গেলেন বলে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাল থাকুন, মেহেদী রবিন। শুভেচ্ছা রইলো।

২৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

কিছু লেখায় সময় নিয়েই পাঠ করতে হয়। আপনার এ লেখাটি আমার কাছে তেমনি বিশেষ কিছু! প্রতিউত্তরের জন্য ধন্যবাদ!

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, আবার ফিরে এসে মন্তব্য করার জন্য।
সামুতে নোটিফিকেশন সমস্যার যে কবে সমাধান হবে তা কে জানে!

২৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল আপনার জীবনের প্রথমদিককার স্মৃতিমাখা কথামালা পাঠে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, ডঃ এম এ আলী, আমার অনেক পুরনো একটা পোস্ট পড়ে এখানে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্যে।
মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২৫| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

সোহানী বলেছেন: অামি প্রথমে দেখে ভড়কে গেছিলাম কারন এক মাসে ৩৫ টি পোস্ট লিখার যোগ্যতা আমার নেই। কিন্তু পোস্টগুলোতে চোখ বুলিয়ে মনে হয়েছে অনেক দিনের মনের ভীতর বাক্স বন্দী থাকা কথাগুলো আজ মুক্ত হয়েছে।

পড়া শুরু করলাম আমার কথা। চেস্টা করবো তাড়াতাড়িই শেষ করতে।

২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: পড়া শুরু করলাম আমার কথা। চেস্টা করবো তাড়াতাড়িই শেষ করতে - অনেক ধন্যবাদ, এ শুরুটুকুর জন্য। শেষ না করলেও চলবে, কারণ 'আমার কথা' তেমন কোন বড় কথা নয়, ছোট ছোট সব কথামালার সমাহার। আমার আর কী এমন জীবন যে সেটা পাঠকের কাছে আগ্রহের বিষয় হবে! কোন না কোন জায়গায় এসে লেখাটা বোরিং লাগতেই পারে, এটা প্রত্যাশিত।
পাঠ এবং প্লাস, উভয়ের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৬| ২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

করুণাধারা বলেছেন: আমি ক্যাডেট কলেজের পর্বগুলো থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত পড়েছিলাম। কিন্তু এই পর্বটি পড়া হয়নি- পড়ে ভালো লাগলো। আশা করছি বাকিগুলোও করে ফেলতে পারব। আপনার লেখার বৈশিষ্ট্য সহজ সরল বাক্য, যার ফলে লিখাটি একটানে পড়ে ওঠা যায়।

২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি যে আমার এ অকিঞ্চিৎকর লেখাগুলো পড়েছেন, এবং পড়ে প্রশংসাও করে গেছেন, এটা আমার জন্য একটা বড় প্রাপ্তি। পাঠকের শ্লাঘা লেখকের মনে আরো ভাল কিছু লেখার জন্য প্রেরণা ও স্পৃহার সঞ্চার করে। আপনার মন্তব্যগুলো সেটা যথার্থেই করে থাকে। অনেক, অনেক ধন্যবাদ, পাঠক হিসেবে আমার লেখায় আপনার উজ্জ্বল উপস্থিতির জন্য।
ভাল থাকুন, শুভকামনা---

২৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০০

মা.হাসান বলেছেন: অনেক সমৃদ্ধ লেখাই সময়াভাবে পড়া হয় না, আজ এই লেখা পড়ার সুযোগ পেলাম, সম্ভবত অনে কিছুই মিস করেছি।

আমার নিজের ছেলে কথা বলা শুরু করেছে তিন বছরের পরে, তবে কিছু কারণ ছিলো। আমার স্ত্রী এবং শাশুড়ি খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন, আমি ছিলাম না।

স্কুল গুলোর মান এখন আর আগের মতো নেই , সব জায়গাতেই টাকা পয়সার বিষয়টা ঢুকে গেছে, কাউকে দোষ দেব না।

শিক্ষকদের ডাস্টারের বাড়ি আমাকেও খেতে হয়েছে। দু একজন ছিলেন কান মলায় পারদর্শি। একজন সার গাট্টাও মারতেন। সারদের ডাক নাম দেয়ার ব্যাপারটা এখনো চালু আছে। তবে স্কুলের নিচের ক্লাসে এটা দেখিনি, ক্লাস সিক্স বা সেভেনে ওঠার পর প্রথম জানি। আমার নিজের লেখা পড়া শুরু ক্লাস টু থেকে। এটা সে সময়েই খুব কমন ছিলো না, অনেকেই বলতেন ক্লাস ওয়ান শেষ না করে কেমন করে টু তে আসলাম। তবে এখন এটা মনে হয় অসম্ভব, দু-তিনটা ক্লাস শেষ করে এখন ক্লাস ওয়ানে উঠতে হয়।
পরের পর্ব ঘুরে আসি।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ে এখানে একটি মন্তব্য রেখে যাবার জন্য। আপনার নিজস্ব অভিজ্ঞতাগুলোও এখানে শেয়ার করেছেন, এতে এ পোস্টটিও সমৃদ্ধ হলো।
প্লাসে অনুপ্রাণিত।

২৮| ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ৩:২২

অপু তানভীর বলেছেন: পুরানো স্মৃতি কথা গুলো আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত ফিরে ফিরে আসে । সেই ছোট বেলাতে কি করেছি না করেছি সব । আপনার স্কুল জীবনের গল্প, বাবার বদলির গল্প গুলো পড়তে পড়তে আমারও আমার নিজের গল্প গুলো বারবার মনে পড়ছিলো । সামনের গুলো আস্তে ধীরে পড়ে ফেলবো আশা করি !

১৪ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, পুরনো পোস্ট খুঁজে আমার আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা সিরিজের প্রথম পর্বটা পড়ে এখানে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।

"পুরানো স্মৃতি কথা গুলো আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত ফিরে ফিরে আসে" - এটা খুবই সত্য একটা কথা। বিশেষ করে আমি প্রায়শঃই বিগত জীবনের স্মৃতিচারণ করে থাকি। এ ব্লগেও সুযোগ পেলেই আমার লেখায় এবং মন্তব্যে/প্রতিমন্তব্যে স্মৃতিচারণ করি, যা হয়তো আপনি খেয়াল করে থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.