নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কথা - ৫

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৪

'আমার কথা - ৪' পড়ুন এখানেঃ view this link

যেদিন আমার ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষা হবার কথা, ঠিক তার আগের দিন আমার এলো গা ফাটা জ্বর, সাথে প্রচন্ড মাথাব্যথা আর বমি। এর একদিন আগে ভরদুপুরে প্রচন্ড রোদে খেলতে নেমেছিলাম। ঘরে ফিরে গায়ের ঘাম না শুকোতেই তরিঘরি করে গোসল করেছি, এটাই জ্বরের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার এবং আমাকে দোষারোপ করার চেষ্টা চলছিলো। কারণ যাই হোক, আমি চাচ্ছিলাম মাথাব্যথাটা অন্ততঃ দ্রুত কমে যাক, জ্বর থাকলেও থাকুক। তখন মাথাব্যথার জন্য নাপা বা প্যানাডল/প্যারাসিটামল ছিলনা, ছিল এ্যসপ্রো ট্যাবলেট। একসাথে দুটো খেলাম, কাজও কিছুটা হলো। রাতে আর পড়াশুনা করা সম্ভব হলোনা। ভেবেছিলাম, জ্বর কমে গেলে সকালে উঠে অঙ্কগুলো কিছুটা দেখে নিব। কিন্তু বিধি বাম। ভোর রাত থেকে আবার সেই আগের মত জ্বর আর মাথাব্যথা। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল দশটায়, রিপোর্ট করতে হবে ন’টার মধ্যে। ঘুম ভেঙ্গে যাওয়াতে বিছানায় উঠে বসে আছি ভোর চারটা থেকে। আমার জ্বরের কারণে বাসার সবার মুখ মলিন, তাই নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিলো। সাতটার দিকে বাথরুমে গিয়ে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে এলাম। মনে হচ্ছিলো, কত তাড়াতাড়ি পরীক্ষা দেয়ার পালাটা শেষ করা যায়!

বাসা থেকে সকাল আটটায় আব্বা আমাকে নিয়ে কার্জন হলের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। রিক্সায় বসে থাকতে কষ্ট হচ্ছিলো। ভয় হচ্ছিলো, হয়তো পরীক্ষা দিতে পারবোনা, আর সেক্ষেত্রে সেটা আমার পরিবারের জন্য কতটা হতাশার কারণ হবে সেটা ভাবতেও খারাপ লাগছিলো। যাহোক, যথাসময়ে কার্জন হলে পৌঁছলাম। পরীক্ষা তদারককারী দলের লোকজন খুব চৌকষ ছিলেন। আমাদের এডমিট কার্ড পরীক্ষা করে যার যার জায়গায় বসিয়ে দিলেন। দলনেতা পরীক্ষার নিয়ম কানুন সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে কিন্তু দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সবকিছু বুঝিয়ে দিলেন। প্রথমে হবে ১০০ নম্বরের অংক পরীক্ষা, তার পর আধা ঘন্টা বিরতি দিয়ে একসাথে বাংলা ও ইংরেজীর ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হবে, দুটোর মাঝে দশ মিনিটের বিরতি দিয়ে। ছোটবেলা থেকে আব্বা একটা অভ্যাস করিয়েছিলেন যে প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে প্রথমে একবার পুরো প্রশ্নটা পড়ে নিতে হবে। যে প্রশ্নের উত্তর সবচেয়ে ভাল পারি, সেটা দিয়ে শুরু করে ভালো পারার ক্রমানুযায়ী পরের উত্তরগুলো লিখে যেতে হবে। কিন্তু অংক প্রশ্নটা হাতে পেয়ে অস্বস্তির কারণে আমি এ নিয়মের ব্যতিক্রম করলাম। ১ নং প্রশ্ন থেকেই উত্তর লেখা শুরু করলাম আর কোনোটা না পড়ে। এভাবে শেষ ঘন্টা পর্যন্ত প্রশ্নের ক্রমানুযায়ী উত্তর লিখে গেলাম। খাতা জমা দেবার সময় দেখি তখনো একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি, যদিও উত্তরটা জানা ছিলো। ততক্ষণে বুঝে গেছি যে যেগুলোর উত্তর করেছি তার মধ্যেও একটা ভুল হয়ে গেছে। এই তীব্র প্রতিযোগিতার পরীক্ষায় অঙ্কের মত বিষয়ে দুটো প্রশ্ন মিস করার পরিণাম কী হতে পারে তা বেশ ভালোই বুঝতে পারছিলাম। আব্বার নিয়ম মানি নাই বলে মনে মনে অনুতপ্ত হচ্ছিলাম। মানলে অন্ততঃ একটার নম্বর যোগ হতো।

মন খারাপ করেই হল থেকে বের হলাম। বের হয়ে দেখি আব্বা আমার জন্যে কিছু খাবার দাবার কিনে এনেছেন। অনেক জোর করলেন, কিন্তু আমার তেতো মুখের কারণে কোন কিছু খেতে রুচি হলোনা, যদিও পেটে প্রচন্ড খিদে ছিলো। প্রথমে ভেবেছিলাম, আব্বার নিয়ম ভাঙ্গার কথাটা চেপে যাবো। কিন্তু ওনার মত একজন নিষ্ঠাবান এবং কেয়ারিং পিতার কাছে কোন কিছু গোপন করতে বা কোন কপটতার আশ্রয় নেয়াটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে বলে মনে হলো। তাই তাঁকে সবকিছু খুলেই বললাম। তিনি অভয় দিলেন। এই প্রথম তার মুখে শুনলাম, পরীক্ষায় পাশ করা বড় কথা নয়, অভিজ্ঞতাই বড় কথা। এ পরীক্ষায় আমি পাশ না করলেও কোন সমস্যা নেই। কথাটা তিনি কিজন্য বলেছিলেন, তা বুঝতে অসুবিধে হলোনা।

পরের পরীক্ষার জন্য পুনরায় হলে প্রবেশ করলাম। পরীক্ষার উত্তেজনার দাপটে, নাকি আব্বার কাছ থেকে অভয়বাণী পাওয়াতে জানিনা, ইতোমধ্যে মনে হলো ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে গেছে। ইংরেজী প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে মনে হলো, এর চেয়ে সহজ পরীক্ষা জীবনে দেই নাই। প্রশ্নগুলো খুব আধুনিক ও সহজবোধ্য মনে হয়েছিলো, অনেকটা আলাপচারিতার মত। স্কুলের পরীক্ষার মত গতানুগতিক নয়। সময় শেষ হবার অনেক আগেই আমার লেখা শেষ। খাতা নেয়ার পর মনে হলো, ইংরেজী দিয়ে অঙ্কের ভুলগুলো কাভার করতে পারবো। বাকী পরীক্ষার জন্য দশ মিনিটের বিরতিটাকেই অনেক দীর্ঘ মনে হতে লাগলো। অবশেষে বাংলার প্রশ্নপত্র পেয়েও আমি মহাখুশী হলাম। ইংরেজীর মতই, বাংলা প্রশ্নের ধরণগুলো দেখেও খুব ভাল লেগেছিলো। সময়ের আগেই প্রায় এক নিঃশ্বাসেই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ করে বসে থাকলাম। বের হবার পর আব্বা অধীর আগ্রহে জিজ্ঞেস করলেন, পরীক্ষা কেমন হয়েছে। আমি আস্থার সাথে ঘোষণা দিলাম, কেউ গায়ের জোরে নম্বর কাটতে না চাইলে নম্বর কম দিতে পারবেনা। এর চেয়ে ভালো পরীক্ষা দেয়া যায়না। আমার কপালগুনেই, নাকি হলের বাইরে বসে থাকা প্রার্থনারত আব্বার দোয়া, ঠিক কোনটার কারণে আমার পরীক্ষাদুটো এত ভালো হলো তা ঊর্ধ্বাকাশে বসে থাকা সকল পরীক্ষার মালিকই ভালো জানেন, তবে আমার হাসিমুখ দেখে আব্বার কঠিন মুখেও একটা খুশীর আভা চিকচিক করে উঠেছিলো।

চলবে…
(ইতোপূর্বে প্রকাশিত)

ঢাকা
০৮ জুলাই ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫২

জুন বলেছেন: পড়লাম আপনার দু:খজনক অভিজ্ঞতার অর্থাৎ জ্বর নিয়ে পরীক্ষা দেয়ার কথা। তারপরো যে অসম্ভব একটি ভালো ফলাফল করেছিলেন সেটা বোঝাই যায় পরের আপনার অংক পরীক্ষার কথা শুনে মনে পড়লো আমার অংকের কথা।
অংক আতংক :(

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার অঙ্ক আতঙ্ক পড়ে আসলাম। চমৎকার একটি লেখা। পাঠকের মন্তব্যগুলোও বেশ উপভোগ্য।
তবে অঙ্ক জানা ছাড়া জীবন কঠিন। আপনি পুস্তকের অঙ্কে ভালো নম্বর না পেলেও মনের অঙ্কে যে ভালো ছিলেন, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। মনের অঙ্কে ভালো না হলে জীবনের কোন কিছুতেই ভাল করা যায় না। (এ কথাটা বলার জন্য আপনার অংক আতংকে পুনরায় যাচ্ছি)।
আমার কথা শোনার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: পুরো লেখাটাই ভাল লেগেছে।
বিশেষ করেঃ
//কিন্তু ওনার মত একজন নিষ্ঠাবান এবং কেয়ারিং পিতার কাছে কোন কিছু গোপন করতে বা কোন কপটতার আশ্রয় নেয়াটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হবে বলে মনে হলো। তাই তাঁকে সবকিছু খুলেই বললাম। তিনি অভয় দিলেন। এই প্রথম তার মুখে শুনলাম, পরীক্ষায় পাশ করা বড় কথা নয়, অভিজ্ঞতাই বড় কথা। এ পরীক্ষায় আমি পাশ না করলেও কোন সমস্যা নেই। কথাটা তিনি কিজন্য বলেছিলেন, তা বুঝতে অসুবিধে হলোনা।//

এবং
//এর চেয়ে ভালো পরীক্ষা দেয়া যায়না। আমার কপালগুনেই, নাকি হলের বাইরে বসে থাকা প্রার্থনারত আব্বার দোয়া, ঠিক কোনটার কারণে আমার পরীক্ষাদুটো এত ভালো হলো তা ঊর্ধ্বাকাশে বসে থাকা সকল পরীক্ষার মালিকই ভালো জানেন, তবে আমার হাসিমুখ দেখে আব্বার কঠিন মুখেও একটা খুশীর আভা চিকচিক করে উঠেছিলো।//

স্মৃতির মালা গাঁথা বেশ লাগছে।

ভাল থাকুন।সবসময়।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার লেখা থেকে এ উদ্ধৃতিদুটোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, শামছুল ইসলাম।
সন্তানের জন্য পিতার প্রার্থনা অব্যর্থ মহৌষধ। সেটা আমার জীবনে পেয়ে যেমন ধন্য হয়েছি, আমার সন্তানের জন্য আমার দোয়াও তেমনি বিস্ময়কর ফল দিয়েছে। সেটা 'আমার কথায়' অনেক পরে যখন আমার ছেলেদের প্রসঙ্গ আসবে, তখন জানা যাবে।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

মানবী বলেছেন: পরীক্ষার বর্ণনা এতোটা ডিটেইলড আর ভালো হয়েছে যে পড়ার সময় মনে হলো পরীক্ষা দিচ্ছি :-)
নিজের পরীক্ষার অভিজ্ঞতা আর বাবার উপস্থিতি খুব জীবন্ত মনে হলো!

চমৎকার সাবলীল ভাষায় লেখা স্মৃতিচারন পড়ে ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সপ্রশংস মন্তব্য সবসময়ই প্রেরণাদায়ক। জীবনের অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনাও স্মৃতিতে জমে আছে। সেগুলো হারিয়ে যাবার আগেই কোনভাবে ধরে রাখার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

ইমতি২৪ বলেছেন: Vaiya I guess finally u go t admitted into cadet college and in that case which one? I passed out from pcc in the yr 98
Thx for ur nice writing

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: যথাসময়ে ফলাফল প্রকাশিত হবে, ইমতি২৪। ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করুন!

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ছোট বেলায় টিচার, আব্বা-আম্মা তারাও বলতেন যেটা ভালো পারি, সেটার উত্তর যেন আগে লিখি। কিন্তু আমি কখনো এই নিয়ম মানি নাই। সিরিয়াল অনুযায়ি লিখতাম। আর যেটা পারতাম না বাট হাল্কা ধারণা থাকতো, সেটা বানিয়ে বানিয়ে কোনোমতে লিখে দিয়ে আসতাম।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি কখনো এই নিয়ম মানি নাই - সেই নিয়মটা না মানাতেই আমাকে সেদিন মাশুল গুণতে হয়েছিলো। বাংলা ও ইংরেজী পরীক্ষাদুটো অত্যধিক ভালো দিতে না পারলে খবর ছিলো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, অপর্ণা মম্ময়।

৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বাহ , সাবলীল স্মৃতি চারণ । আপনার মন্তব্যের এইজায়গায় চোখ আটকে গেল । খুব গভীর আর অর্থবহ কথা বলেছেন ।
মনের অঙ্কে ভালো না হলে জীবনের কোন কিছুতেই ভাল করা যায় না।
এ বিষয়ে আরেকটু কিছু বললে আমার ভাল লাগবে ।

ভাল থাকবেন ।
শুভদুপুর ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, মাহমুদ০০৭।
কথাটা কি খুব কঠিন কিছু বলেছি?

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: না , তবে অনেক অর্থ বহন করে /। আপনার কাছ থেকে আরো কিছু শুনতে পারলে মনের খোরাক মিটত ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে, তবে বলছি আমার ভাবনাটা।
কথাটা এজন্য বলেছি যে অংকে যেমন সেট রুলস থাকে, সেগুলোকে ফলো করেই সমাধানে পৌঁছাতে হয়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনটাকেও সেরকম কিছু রুলস মেনে পরিচালনা করতে হয়। আর জীবনের পরিচালনাকারী হচ্ছে মন, যার অপর নাম বিবেক। শিশুকাল থেকে আমাদের মনের মধ্যে একে একে কিছু ফান্ডামেন্টাল রুলস তৈরী হতে থাকে। যেমন, মিথ্যে বলা যাবেনা, কারো ক্ষতি করা যাবেনা, মানুষকে ভালোবাসতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। অংকে যেমন স্টেপ বাই স্টেপ এগোতে হয়, মনের এসব রুলস পালনেও তেমনি ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হয়। প্রথমে পরিবার, তারপরে প্রতিবেশী, তারপরে পাড়া, গ্রাম, মহল্লা ইত্যদি। এই চলার পথে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যে মানতে হবে, তা মনই বলে দেবে। মনের বিছানো পথে হাঁটলে জীবনে ভালো কিছু করা যায়, এর অন্যথা হলে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা থাকে। মনের এই সংকেতগুলোকে ঠিক মত ধরতে পারাকেই আমি মনের অংকে ভালো হওয়া বুঝিয়েছি।
জাস্ট মাই টু সেন্টস। একমত নাও হতে পারেন।

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা ,পড়তে ভাল লাগছে ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। আপনাকে ধন্যবাদ, দৃষ্টিসীমানা।

৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আপনার কথামালা ভাল লেগেছে। অনেক শুভকামনা।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এটা পড়ার জন্য।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অভিনন্দন! :)

কত নাটকীয়তা মানুষের বাস্তব জীবনে থাকে, আপনার ক্যাডেটে ভর্তি হবার ঘটনা থেকে বুঝা যায়। আপনার পিতার প্রতি শ্রদ্ধা অনুভব করছি। এ কেয়ারিং ফাদার, ইনডিড!

অংকে আমি বরাবরই কাঁচা ছিলাম। অন্য বিষয় দিয়ে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতাম, সবসময়।

চলতে থাকুক 'আপনার কথা'.... :)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: কত নাটকীয়তা মানুষের বাস্তব জীবনে থাকে -- আমার আর্মীতে আসার কাহিনী আরও অনেক বেশী নাটকীয়তায় ভরপুর। অবশ্য ততদিন পর্যন্ত যদি আপনার ধৈর্য্য টিকে থাকে।
আমার মরহুম পিতা প্রকৃতই একজন কেয়ারিং ফাদার ছিলেন। আমাদের জন্য তাঁর আত্মত্যাগের ঋণ কোনদিন শোধ হবার নয়।
"আমার কথা - ৪" বোধহয় আপনার তেমন ভালো লাগেনি! (??)
আপনি আরও আরও অনেকের লেখা পড়েন জানি। তারপরেও আমার এ লেখার প্রতি যতটুকু সময় দিলেন, তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

আরজু পনি বলেছেন:

সন্তানের উপর পিতার সদর্থক প্রভাব সন্তানকে আরো বেশি মেধাবী করে তুলতে সহায়তা করে ।
আর সারাজীবনই সেই মেধার প্রকাশ, সুফল অন্যেরা দেখে থাকে ।
একজন শৈশব শেষ করা বালকের চলচ্চিত্র দেখতে পাচ্ছি যেনো ।

-----------
সকালে মোবাইল দিয়ে এই পোস্টটা পড়েছিলাম ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: সন্তানের উপর পিতার সদর্থক প্রভাব সন্তানকে আরো বেশি মেধাবী করে তুলতে সহায়তা করে ।
আর সারাজীবনই সেই মেধার প্রকাশ, সুফল অন্যেরা দেখে থাকে ।
-- অত্যন্ত মূল্যবান একটি কথা বলে গেলেন আপনি এই মন্তব্যে। প্রেরণা পেলাম, আনত হ'লাম।
একজন শৈশব শেষ করা বালকের চলচ্চিত্র দেখতে পাচ্ছি যেনো -- থ্যাঙ্কস!
অভিভূত হচ্ছি, নিষ্ঠার সাথে আপনি লেখাগুলো পড়ে যাচ্ছেন দেখে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমার প্রথম অংক পরীক্ষায় আসছিলো ১৫ X ৪ = ?
আমি উত্তর দিয়েছিলাম: ১৫ X ৪ = ৩
স্কুলে অংকের জন্য প্রত্যেকদিন মার খেতাম। বড় ভাই অংকে খুব ভাল ছিলেন, ক্লাশ থ্রী থেকে ক্লাশ টেন পর্যন্ত তার খাতা দেখে অংক করতাম। এই জন্য অংকে কখনও ভয় লাগেনি।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে নিজের জীবন কথা শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হয়েছি।

১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সোহানী বলেছেন: আপনার বাবার সাথে এতো মিল আমার বাবার.......। হাঁ আমার বাবাও অংক ও ইংরেজী করাতো। আগের পর্বের আপনার মতো প্রতিদিন ইংরেজী ট্রান্সলেশান করতে হতো....... সে এক আতংক ছিল আমাদের .........হাহাহাহাহা

আমার বাবা ও খুব ইচ্ছে ছিল আমরা কেউ ক্যাডেট কলেজে যাই। কিন্তু সত্য যে আমার ভাইকে দিয়ে ট্রাই করেছিল কিন্তু ও পারেনি। যাহোক, সব কিছুরই সাক্সেস হয়েছে সবশেষে। কারন ভাইবোন সবাই নিজ নিজ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। ভাই বুয়েট শেষে পিএইচডি করে এখন ইর্ন্টান্যাশানাল জব করে। বোনরা সবাই ডাক্তার। এবার আমার বড় বোনের রিসার্চ ইর্ন্টান্যাশানাল রিসার্চ সেন্টার এ্যাক্সেপ্ট করেছে। ও আগামী সেপ্টেম্বরে ব্রাজিল যাচ্ছে তা প্রেজেন্টশানে। সরি আপনার লিখা পড়তে বসে নিজের কাসুন্দি ঘাটছি।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: সরি আপনার লিখা পড়তে বসে নিজের কাসুন্দি ঘাটছি - এমন উজ্জ্বল সাফল্যের কথা যিনি বলেন তার যেমন আনন্দ লাগে, যিনি শোনেন, তারও।
পুরনো পোস্টে মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.