নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কথা -২২

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

"আমার কথা -২১" পড়তে হলে এখানে ক্লিক করুনঃ আমার কথা -২১

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মাসউদ হাসান
সপ্তম শ্রেণীতে যাঁরা পড়াতে আসতেন, তাঁদেরকে বিষয় বিশেষজ্ঞ না হলেও চলতো। মনে আছে প্রথম দিন কিংবা প্রথম দিকের কোন একদিনে ভূগোলের শিক্ষক জনাব মাসউদ হাসান স্যার এসেছিলেন আমাদের পৌরনীতি পড়াতে। যেহেতু ইংরেজী মিডিয়াম, পৌরনীতিকে বলা হতো সিভিক্স। Civics, Geography এবং History, এই তিনটি বিষয়ের একত্রিত নাম ছিল সোশ্যাল স্টাডীজ। মাসুদ হাসান স্যার ক্লাসে এসে প্রথমে সংক্ষেপে তাঁর পরিচয় তুলে ধরলেন, তার পরে একে একে সবাইকে তাদের নিজেদের সম্বন্ধে কিছু বলতে বললেন। বড় হয়ে কে কী হতে চায়, সে সম্পর্কেও কিছুটা বলতে বললেন। আমি বসেছিলাম প্রথম সারির শেষের দিক থেকে একটা সীট আগে। প্রথম ডেস্ক থেকে বলা শুরু হলো, আমার আগে বলার ছিলো চারজন। ওরা যখন বলছিলো, আমি তখন মনে মনে আওড়াচ্ছিলাম, কী বলবো, কিভাবে বলবো। কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছোবার আগেই যেন মুহূর্তের মধ্যে আমার বলার পালা চলে এলো। বড় হয়ে কী হতে চাই, এ চিন্তাটা আমাকে বেশ ভাবাচ্ছিলো, কারণ কখনো এর আগে এ নিয়ে কোন চিন্তা করি নাই। আমি কোনমতে নাম ধাম, স্কুলের নাম ইত্যাদি বলে থেমে গেলাম। কী হতে চাই, এ বিষয়ে বলার মত কিছু খুঁজে পাচ্ছিলাম না, তাই চুপ করে গেলাম। আমার আগেরজন বলেছিলো সে আর্মি অফিসার হতে চায়। এমনকি একজন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হতে চায়, সেকথাও বলেছিলো। একবার ভেবেছিলাম, আমিও বলি আর্মি অফিসার হবো। কিন্তু সত্যি সত্যি সেটা হতে চাই, এমনটা কখনো ভাবিনি, তাই বলতেও পারলাম না। মাসুদ হাসান স্যার ছিলেন ছাত্রদের প্রতি একজন স্নেহবৎসল শিক্ষক। তিনি তাঁর শিক্ষকের হৃদয় দিয়ে আমার অন্তরের অস্বস্তিটুকু আঁচ করতে পেরেছিলেন। উনি বললেন, …তো বললো সে আর্মি অফিসার হতে চায়, তুমিও কি তাই চাও? আমি কোনমতে সম্মতিসূচক মাথা নেড়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। তবে বিধাতা সেদিন আমার এই অনিচ্ছাকৃত সম্মতির সাক্ষী ছিলেন, তাই হয়তো আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন না করার জন্য আমার কপালে ঐ পেশাটিকেই তিনি লিখে রেখেছিলেন। সে ইতিহাস যথাসময়ে বলা যাবে।

প্রথম প্রথম মাসউদ হাসান স্যার আমাদেরকে ফিজিক্যাল জিয়োগ্রাফী পড়াতেন। Earth’s Crust, Rocks, Volcano, Weathering And Denudation ইত্যাদি বিষয়ের উপর যখন তিনি ইংরেজীতে লেকচার দিতেন, আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত তা শুনতাম এবং খুব সহজেই বুঝতে পারতাম। যাদের বুঝতে একটু কষ্ট হতো, তাদের প্রতিও তাঁর খেয়াল থাকতো। Volcano বিষয়ে Molten Materials সম্পর্কে বলতে গিয়ে একটা term এসেছিলো semi solid। মনে আছে, semi solid বোঝাতে গিয়ে তিনি গরম সুজির হালুয়ার কথা বলেছিলেন, যেটা তরল নয় যে পড়ে গেলে গড়িয়ে যাবে, আবার কঠিনও নয় যে সেটাকে ভেঙ্গে খেতে হবে। প্লেটে রাখলে ছড়িয়ে যাবে ঠিকই, কিন্তু গড়িয়ে যাবেনা। একথা শোনার পর আর semi solid লাভা কী জিনিস, তা কে না বুঝবে? বোঝানোর ব্যাপারে তাঁর অসাধারণ নিষ্ঠা আর একাগ্রতা দেখে আমি মুগ্ধ হ’তাম। ভালো ছবি আঁকতে পারতামনা বলে আমি তাঁর সাবজেক্টে হাইয়েস্ট মা্র্কস কদাচিৎ পেয়েছি, তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বরটি বলা চলে আমার জন্য প্রায় নির্ধারিতই থাকতো। তাঁর কারণেই ভূগোলটা রাতারাতি আমার প্রিয় সাবজেক্টে পরিণত হয়ে গেলো। সেটা তাই থাকলো ততদিন পর্যন্ত, যতদিন না তিনি রিজিওনাল জিওগ্রাফী পড়ানো শুরু করলেন, যখন ছাত্রদের মাঝে এন্তার ম্যাপ আঁকাআঁকি ও সেগুলো রঙ করাকরির প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেলো। আমি সে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারিনি।

মাসউদ হাসান স্যার যখন ওশেন কারেন্ট পড়াতে শুরু করলেন, তখন আমি এযাবত অজানা ওসব বিষয়ে জানতে পেরে আরো বেশী জানার জন্য আগ্রহী হতে থাকলাম। সী ব্রীজ আর ল্যান্ড ব্রীজের ব্যাপারটা খুব ভালোভাবে বুঝেছিলাম, তাই ঐ বিষয়ের পাক্ষিক পরীক্ষাটাতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিলাম। কামচাটকা কারেন্টের কথা এখনও মনে পড়ে, যেমন পড়ে অব, ইয়েনেসী আর লেনা নদীর নাম। ম্যাপ আঁকাতে অতি দুর্বল এই আমিও এশিয়ার ম্যাপ এঁকে খুব সুন্দর করে ঐ তিনটি নদীর গতিপ্রবাহ দেখাতে পারতাম। স্যারের একটা অভ্যেস ছিলো তিনি তার লেকচারে “that of the” কথাটি বহুবার ব্যবহার করতেন, এমনকি একই বাক্যে একাধিকবার বলতেন। অচিরেই “that of the” তার নামে পরিণত হয়ে গিয়েছিলো, কিন্তু তিনি আমাদের খুব শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ছিলেন বিধায় আমরা নামটিকে আমাদের মাঝেই যথাসাধ্য সীমিত রাখতে প্রয়াসী ছিলাম। পরে শুনেছিলাম যে আমাদের নীচের ক্লাসের ক্যাডেটরা দুষ্টুমিতে আমাদের চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে ছিল বিধায় তারা আর এ বিষয়ে কোন রাখঢাক করেনি। স্যার জেনে গিয়েছিলেন যে তাঁর ছাত্রদের মাঝে তাঁকে ঐ নামেও মাঝে মাঝে ডাকা হয়ে থাকে।

জনাব মরহুম এ,কে,এম, মাযহারুল হক
জনাব মরহুম এ,কে,এম, মাযহারুল হক স্যার আমাদেরকে ইতিহাস পড়াতেন। স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করেই আমাদের কলেজে যোগ দিয়েছিলেন। অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন রুচির মানুষ ছিলেন তিনি। পোশাকে পরিচ্ছদে যেমন কেতাদুরস্ত ছিলেন, কথাবার্তায় তেমনি খুব নম্র ভদ্র ছিলেন। চুলগুলোকে তিনি সবসময় পরিপাটি করে আঁচড়িয়ে তবে ক্লাসে প্রবেশ করতেন। খুব ফর্সা ছিলেন, রাগ হলে কিংবা বিব্রত হলে একেবারে লাল হয়ে যেতেন। তাঁর সম্পর্কে কেবল একটাই নেতিবাচক কথা বলা যেত, যে তিনি অত্যধিক স্থূল (obese) ছিলেন। তবে তাঁর হাঁটার মধ্যে একটা ছন্দ ছিলো। আমরা সে সময়েই বুঝতে পেরেছিলাম যে তিনি আদ্যোপান্ত একজন রোমান্টিক মানুষ ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁর আরো কিছুটা কাছে ঘেঁষার সুযোগ হয়েছিলো। তখন দেখেছি তাঁর পারিবারিক আচরণ ছিলো কতটা প্রেমময়। তিনি একজন অত্যন্ত স্নেহবৎসল পিতা ছিলেন। বাসায় কখনো উচ্চকন্ঠ হতেন না। ছাত্র হিসেবে জানিনি, তবে পরে জেনেছি, স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসায় তিনি ছিলেন অন্তপ্রাণ। তাঁর বড় মেয়ে ছন্দার বিয়ে হয়েছিলো তৎকালীন মেজর জাহিদের সাথে। আমরা একসাথে একসময় রংপুর সেনানিবাসে কর্মরত থেকেছি। পরে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী পিলখানার কুখ্যাত হত্যাযজ্ঞে কর্ণেল জাহিদ মর্মান্তিকভাবে শহীদ হন। এর মাত্র কিছুকাল আগে তিনি বিডিআরে বদলী হয়েছিলেন।

মাযহারুল হক স্যার মাঝে মাঝে আমাদেরকে বাংলাও পড়াতেন। জসিম উদ্দিনের “কবর” কবিতাটি পুরোটা তাঁর মুখস্থ ছিলো, যা তিনি আমাদের মাঝে মাঝে আবৃত্তি করে শোনাতেন। এতটাই আবেগমাখা হতো তাঁর আবৃত্তি যে মাঝে মাঝে তাঁর চোখ দিয়ে ঝর ঝর করে জল গড়িয়ে পড়তো। আর সব ইতিহাসবেত্তাদের মতই তিনি ইতিহাসের পরীক্ষায় কোটেশন উদ্ধৃত করা খাতাগুলোকে অত্যন্ত উদারভাবে পুরস্কৃত করতেন। এটা বুঝতে আমাদের বেশীদিন লাগেনি, তাই মাযহার স্যারের পরীক্ষা মানেই ছিলো আমাদের কোটেশন মুখস্থ করার ধুম। ইতিহাসে “আইয়্যামে জাহিলিয়াত” পড়াতে গিয়ে তিনি প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ সৈয়দ আমীর আলী’র “A Short History Of The Saracens” বিখ্যাত বইটির রেফারেন্স দিয়েছিলেন। মুহাম্মদ (সঃ) এর আবির্ভাব সম্পর্কে ঐ বই থেকে নেয়া কে, আলীর বইএর একটি কোটেশন আমার আজও মনে আছে, যা সেই সময়ে মুখস্থ করেছিলামঃ “Never in the history”, says Ameer Ali, “Was the need so great, the time so ripe, for the appearance of a Deliverer”.

মাযহার স্যারের আরো দুটো বিখ্যাত কোটেশন, যা উনি আমাদের শিখিয়ে বলেছিলেন, ইংরেজী রচনায় পারলে কাজে লাগাতে। একটা দেশপ্রেম সম্পর্কে, অপরটা নারীশিক্ষা সম্পর্কে। ব্যক্তিগতভাবে কোন পরীক্ষায় আমি ওগুলো কাজে লাগাতে না পারলেও তা আমার মেমোরীতে আজও উজ্জ্বল হয়ে রয়ে গেছেঃ
About Patriotism- “Patriotism turns a zero into a hero, a murderer into a martyr and a sinner into a saint”.
About Women’s Education- “If you educate a man, you educate a single individual. If you educate a woman, you educate an entire family.”

আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই, তবে খুব সম্ভবতঃ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক সাহেব পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নারীশিক্ষার পৃষ্ঠপোষকতা দাবী করে পরের কথাটি বলেছিলেন। তখনকার দিনে পার্লামেন্টে বিতর্কগুলো সাধারণতঃ ইংরেজীতেই হতো।


চলবে...

ঢাকা
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার প্রিয় শিক্ষকদের স্মৃতিচারণ খুব ভাল লাগল।

মাযহার স্যারের আরো কোটেশন দুটো সত্যি অসাধারণঃ

About Patriotism- “Patriotism turns a zero into a hero, a murderer into a martyr and a sinner into a saint”.
About Women’s Education- “If you educate a man, you educate a single individual. If you educate a woman, you educate an entire family.”

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগছে, শামছুল ইসলাম। এত ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে এলেন, ভালো লাগার কথাটা জানিয়ে গেলেন, বড়ই অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা!

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

মানবী বলেছেন: আমি নিয়মিত ভাবে ফলো না করলেও লক্ষ্য করেছি এই ব্লগের অনেক সন্মানিত ব্লগার আপনার এই সিরিজটির জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে থাকেন। খুব সম্ভবত এই পর্বটির প্রকাশের সময়ের কারনে অনেকে লক্ষ্য করেননি।

সেসব নিয়মিত পাঠক পাঠিকাদের কথা বিবেচনা করে পোস্টটির ডিলিট করে আবার পোস্ট করতে পারেন।



আপনার "নীরবতা" কবিতাটি খুব ভালো হয়েছে। বেশি কিছু বলবোনা, আপনি আবার ভাববেন পান্ডিত্য দেখাচ্ছি :-)

আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান। ভালো থাকুন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সম্ভবত এই পর্বটির প্রকাশের সময়ের কারনে অনেকে লক্ষ্য করেননি। -- প্রতিদিন তো কমবেশী এরকম সময়েই আমি আমার লেখা প্রকাশ করে থাকি।
সিরিজটা নিয়মিতভাবে পড়ে দু'চার কথা এখানে বলে যাবার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
আন্তরিক শুভেচ্চছা রইলো।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আপনার কথার প্রতি পর্বেই আপনার সাথে আছি কিন্তু । খুব ভাল লাগে পড়তে । ভাল থাকুন ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সে আমি জানি যে আপনি এ লেখাটার প্রতিটি পর্বেই আছেন। সাথে থাকার জন্য, ভালো লাগার কথা জানানোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা জানবেন, দৃষ্টিসীমানা।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: এ পর্বও পড়ে ভাল লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়েযাবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, প্রামানিক।

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

লালপরী বলেছেন: শিক্ষকদের স্মৃতিচারণ খুব ভাল লাগল খায়রুল ভাই। মাঝহার স্যারের ২ নং কোটেশনটা যথাযথ। এ পর্বটাও ভাল লাগলো। ++++

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ পর্বটাও ভাল লাগলো -- আগেরগুলোও পড়েছেন তাহলে, অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য, আর এখানে মন্তব্যের জন্য।
মাযহার স্যারের ২ নং কোটেশনটা আসলে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক সাহেবের। সংসদের ফ্লোরে দাঁড়িয়ে তিনি নারীশিক্ষা সম্পর্কে ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেছিলেন। মাযহার স্যার কথাটা উদ্ধৃত করে আমাদের মনে গেঁথে দিয়েছিলেন।
পোস্টটা লাইক করার জন্যও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০০

কিরমানী লিটন বলেছেন: মুগ্ধ ভালোলাগায়, চমৎকার স্মৃতি চারণ, অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বগুলোর ...।
অনেক শুভকামনা প্রিয় খায়রুল আহসান ভাইয়ের জন্য ... .. . ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ কবি কিরমানী লিটন, আপনার এমন চমৎকার মন্তব্য পেয়ে ভীষণ অনুপ্রাণিত হ'লাম।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩১

শ্রাবণধারা বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণা। অনেক ভাল লাগলো আপনার শিক্ষকদের সম্পর্কে জেনে । কোটেশন গুলোও আগ্রহ নিয়ে পড়লাম।

শুভকামনা রইলো...........।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার এ উদার মন্তব্যের জন্য, শ্রাবণধারা। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: ‌ইতিহাসের শিক্ষকদের স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা একটু বেশি থাকে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইতিহাসের শিক্ষকদের স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা একটু বেশি থাকে। -- তাই নাকি? যোগসূত্রটা কী, রাতুল_শাহ?

৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: রাতুল_শাহ বলেছেন: ‌ইতিহাসের শিক্ষকদের স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা একটু বেশি থাকে।হাহাহ , রাতুল ভাইয়ের কথায় মজা পেলাম । B-)
কর্ণেল জাহিদ - মন খারাপ হয়ে গেল । আল্লাহ সেদিনের সবাইকে জান্নাত দান করুক । চাইলে একজন শিক্ষক একজন ছাত্রকে
কি পরিমাণ অনুপ্রাণিত করতে পারেন , তা শিক্ষক নিজেও বুঝতে পারবেন না ।
আমিও একজন শিক্ষক দ্বারা খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছি। তার জন্য সবকিছু করতে চাইতাম ।
ক্যাডেট কলেজ নিয়ে আমি আপনার সহ তিনজনের লেখা পড়েছি । ১) শাহাদুজ্জামান। ২) হেল কমান্ডো - মেজর আনোয়ার হোসেন ।, ৩) আপনি ।
আপনি সুলেখক এবং আপনার মেমোরি খুব শার্প । আপনার বয়স পর্যন্ত হায়াত পাব কিনা জানি না , তবে আমার মনে হয় না
আপনার বয়সে আমি এমন করে লিখতে পারব ।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল । আপনার জীবন মঙ্গলময় হোক।



৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাহমুদ০০৭, প্রথমেই দোয়া করি তুমি শতায়ু হও, এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সুস্বাস্থ্যে থেকে আল্লাহ'র নেয়ামতসমূহকে পরিপূর্ণ উপভোগ করে যাও। আর জীবনের পড়ন্ত বেলা পর্যন্ত যেন তোমার গল্প লেখার ইচ্ছে ও শক্তি, দুটোই থাকে।
তারপর, তোমার মন্তব্যটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমার কথা -২৫ পর্যন্ত আমার শিক্ষকদের কথা থাকবে, আর বিশেষ করে "আমার কথা -২৫" পর্বে ছবিসহ একজন কিংবদন্তী শিক্ষকের কথা বলবো ইন শা আল্লাহ, যিনি এখনো পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের নরউইচ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন।
তোমাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা নিয়ে একটা কবিতা লিখে উঠলাম। সেটা নতুন বছরের প্রথম দিনেই এখানে প্রকাশ করার ইচ্ছে রাখি। সেই সাথে তোমাকে সেটা পড়ে দেখারও অনুরোধ রাখছি।

১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার ভূগোল শিক্ষকের কথা পড়ে আমার কলেজ লাইফের ভূগোল ম্যাডামের কথা মনে পড়ে গেলো। ম্যাডাম খুব সুন্দর করে বুঝাতেন। তবে আমার প্রিয় সাবজেক্ট ছিল সাইকোলজি।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ম্যাডাম খুব সুন্দর করে বুঝাতেন -- ভালো শিক্ষকদের কথা সব ছাত্রই মনে রাখে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, অপর্ণা মম্ময়। নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো। ভালো থাকবেন।

১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

জুন বলেছেন: আপনার এই সিরিজটা পড়লে নিজের জীবনের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে। খুব ভালো লাগছে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা স্মৃতি জাগানিয়া হয়ে উঠছে জেনে নিজের কাছেই খুব ভালো লাগছে। আপনার মনোযোগের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, জুন।
ভালো থাকবেন।

১২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৩

আরজু পনি বলেছেন:

১০টা পোস্ট খুঁজে এটা পেলাম অবশেষে যে এর আগের পোস্ট পর্যন্ত পড়া হয়েছে ।


আপনার স্মৃতির উচ্চকিত প্রশংসা করতেই হয় ।

কোটেশন আমার কাছে সারাজীবনই অপছন্দের ছিল কারণ এগুলো হুবহু মুখস্থ করতে হতো...অথচ আমি এসএসসি থেকেই ফ্রি হ্যান্ডে লিখার ব্যাপারেই আগ্রহী ছিলাম...

অথচ কোটেশনই অন্যদেরকে দারুণ অনুপ্রাণিত করে ।

আপনার এখানে উল্লেখ করা কোটেশন গুলো খুব ভালো লাগলো ।



০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে এলেন, খুব ভালো লাগলো।
আমার আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা “জীবনের জার্নাল”, (প্রকাশক- বইপত্র প্রকাশন, স্টল নম্বর ১২৭-১২৮) এবারের একুশের বই মেলায় পাওয়া যাবে আগামী কাল থেকে আশা করছি। এই সিরিজটিই অন্য নামে।

১৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

আরজু পনি বলেছেন:

আমার পোস্টে তবে এ্যাড করতে হবে, কিন্তু সব তথ্য লাগবে যে...কভার ফটো সহ ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখানে দেব? না আপনার পোস্টে?

১৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

আরজু পনি বলেছেন:
আপনার যেখানে ইচ্ছে...আমার কোন আপত্তি নেই ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভুলে ছবি ও তথ্য আপনার মন্তব্যের উত্তরে না গিয়ে আলাদা মন্তব্য হিসেবে চলে গেছে। একটু নীচে দেখে নেবেন প্লীজ।

১৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, তবে এখানেই দিচ্ছি। যথেচ্ছা সম্পাদনা করে নিতে পারেনঃ
ইন শা আল্লাহ, আগামীকাল সোমবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তারিখে এবারের একুশের বইমেলায় আমার দুটো বই আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। প্রথমটা কবিতার বই “গোধূলির স্বপ্নছায়া”, প্রকাশক- জাগৃতি প্রকাশনী, স্টল নম্বর ১৭৩-১৭৫। দ্বিতীয়টা আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা “জীবনের জার্নাল”, প্রকাশক- বইপত্র প্রকাশন, স্টল নম্বর ১২৭-১২৮।
প্রচ্ছদের ছবি দুটোঃ


১৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

আরজু পনি বলেছেন:
অভিনন্দন রইল ।

আপনার জীবনের জার্নাল আমার একাধিক কপি কিনতে হতে পারে ...।

আমি সুবিধা মতো সময়ে পোস্টে আপডেট করে দিব ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, অনেক ধন্যবাদ। প্রীত হলাম, খুবই।
:)

১৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০২

কালীদাস বলেছেন: আচ্ছা, ক্যাডেট কলেজের টিচারদের নিয়োগ দেয়া হত কিভাবে তখন? ওপেন এডভার্টাইজমেন্ট নাকি আর্মির থ্রোতে?

আহ, সোশ্যাল স্টাডি :((

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: তখনো, এখনো "ওপেন এডভার্টাইজমেন্ট" এর মাধ্যমেই তাদের নিয়োগ দেয়া হতো।
দুঃখিত, সেই কবে এখানে মন্তব্যটি রেখে গিয়েছিলেন, আর সেটার জবাব দিচ্ছি এই আজকে। সোহানী আজ এ পোস্টে মন্তব্য না করলে হয়তো আজও আপনার এ মন্তব্যটির জবাব দেয়া হতো না।

১৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

তৃতীয় প্যারা ১৬ নং লাইনে শ্রদ্ধেও < শ্রদ্ধেয় হবে কি! সাথেই আছি। আপনার আত্নকথা পড়তে ভাল লাগছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অবশ্যই বানানটা শ্রদ্ধেয়ই হবে।
আপনার আত্নকথা পড়তে ভাল লাগছে - অনেক ধন্যবাদ, জেনে প্রীত হ'লাম।
দুঃখ প্রকাশ করছি- সেই কবে এখানে মন্তব্যটি রেখে গিয়েছিলেন, আর সেটার জবাব দিচ্ছি এই আজকে। সোহানী আজ এ পোস্টে মন্তব্য না করলে হয়তো আজও আপনার এ মন্তব্যটির জবাব দেয়া হতো না।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....

১৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫৩

সোহানী বলেছেন: সেকালের শিক্ষকদের পেশা ছিল ছাত্রদের মানুষ করা। তাই নিজেরা যেমন ছিলেন জ্ঞান পিপাসু তেমনি ছাত্র-ছাত্রীদেরও সেরকম হতে সাহায্য করতেন। আপনার উল্লেখিত শিক্ষকদের আন্তরিকতার বর্ননা ভালো লাগলো।

জীবনে কি হতে চাও এ প্রশ্নে উত্তরে কিন্তু আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরো ডাক্তার ইন্জিনিয়ার থেকে বেশী দূর যেতে পারেনি এখনো।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পর আমার অনেক পুরনো পোস্টে আবার ফিরে এলেন, এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আমার পরম সৌভাগ্য, ছোটবেলায় আমি অনেক উন্নতমানের শিক্ষকদের কাছে শিক্ষালাভ করেছিলাম। তাদের কাছে আমি আজীবন ঋণী।
আপনার সুবাদে আমার নিজের পুরনো পোস্টগুলো আমার নিজেরও পুনর্বার পড়া হয় এবং পাঠকদের সাথে সাথে আমার নিজেরও নিজেকে প্রশংসা করতে ইচ্ছে হয় (কথাটা সোজা সাপ্টা বলে ফেললাম কিন্তু)! :)
আসলে সেই সেই সময়টায় কি ভেবে যেন একটানে স্মৃতিকথা লিখে যাচ্ছিলাম। এখন হলে ইচ্ছে হতো না।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!

২০| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি অত্যন্ত শোকাহত চিত্তে জানাচ্ছি যে এই পোস্টে উল্লেখিত আমার শিক্ষকদের মধ্যে প্রথম যার নামটি উল্লেখ করেছি, সেই মাসউদ হাসান স্যার গত পরশু রাতে এ জগতের মায়া ত্যাগ করে অনন্তলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। অপর শিক্ষক জনাব এ, কে, এম, মাযহারুল হক স্যার অনেক আগেই ইন্তেকাল করেছিলেন।
উভয়ের জন্য সকলের দোয়াপ্রার্থী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.