নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কথা -২৫

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১৯

"আমার কথা -২৪" পড়তে হলে এখানে ক্লিক করুনঃ আমার কথা -২৪

কিংবদন্তী শিক্ষক JRS (দ্বিতীয় পর্ব)
“কিংবদন্তী শিক্ষক JRS” এর উপর আমার আগের লেখাটা পড়ে অনেকেই অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন। কেউ টেলিফোনে, কেউ ই মেইলে, কেউ ফেইসবুকে জানতে চেয়েছেন তাঁর সাথে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ হয়েছে কিনা, তাঁর আরো কোন ছবি আছে কিনা। উত্তর দুটোরই ইতিবাচক। হয়েছে, আছে। তবে তার আগে আমি তাঁর মানবিক গুনাবলী সম্পর্কে একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করতে চাই। গল্পটা আমি আমার প্রয়াত অংক শিক্ষক মরহুম মাহতাব উদ্দিন আহমেদ স্যারের কাছ থেকে তাঁর নিজ মুখে শুনেছি। পেশাগত জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মাহতাব স্যার এমসিসি’র প্রিন্সিপাল পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। এক প্যারেন্টস ডে তে তিনি আমাকে দেখে তাঁর অফিসে ডেকে নিলেন। এটা সেটা গল্পের মাঝে এক পিকনিকের কথা বলতে গিয়ে JRS এর প্রসঙ্গ উঠলো। ৬৭-৬৮ সালে আমরা পুরো কলেজ পিকনিকে গিয়েছিলাম মধুপুর বনে। তখনকার বন আজকের বনের মত ছিলনা। ঘন জঙ্গলে দিনের বেলাতেও কেমন অন্ধকার অন্ধকার লাগতো। আমার স্পষ্ট মনে আছে সেই পিকনিকের কথা। এক গারো যুবকের খেলাচ্ছলে গর্ত থেকে জীবন্ত সাপ ধরে আনা নিজ চোখে দেখেছিলাম। যদিও তখন সেখানে বনবিভাগের একটা রেস্টহাউজ ছিল, কিন্তু এতগুলো লোকের খাবার দাবার আয়োজন করাটা চাট্টিখানি কথা ছিলনা। এছাড়া বনের মাঝে হাঁটাহাঁটি ছোটাছুটি করে আমাদের ক্ষুধাও প্রচন্ড বেড়ে গিয়েছিলো। ফলে দুপুরে লাঞ্চ কিছুটা শর্ট পড়েছিলো। মাহতাব স্যার তখন কনিষ্ঠতম শিক্ষক, তাই খাওয়া দাওয়া আয়োজনের তদারকি করার দায়িত্ব মেসিং অফিসার ছাড়াও তাঁর মত আরো কয়েকজন কনিষ্ঠ শিক্ষককে দেয়া হয়েছিলো। খাওয়া শর্ট পড়ার জন্য তাঁরা যারপরনাই লজ্জিত ও ভীত ছিলেন। ব্যাঘ্রসম প্রিন্সিপাল কর্ণেল আনসারীর ভয় তো ছিলই। সেদিন তাঁর প্লেটে কিছুই জোটে নাই। এটা মিঃ এবং মিসেস সিম্পসন দূর থেকে খেয়াল করেছিলেন। তাঁরা তাঁকে তাঁদের ছোট্ট অস্টিন গাড়ীটার কাছে ডেকে নিয়ে গেলেন। সেখান থেকে মিসেস সিম্পসন হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল (পরবর্তীতে ঢাকা শেরাটন) থেকে আনা কেক বের করে তাঁকে খেতে দিয়েছিলেন। মাহতাব স্যার তাঁদের এই এহসানটুকুর কথা ভুলতে পারেন নাই। পরে অবশ্য এ কথাটা জানাজানি হয়ে গেলে তাঁর কলিগরা এ নিয়ে তাঁর লেগ পুল করতে ছাড়েন নাই। উল্লেখ্য, মাহতাব স্যার তখন ছিলেন সদ্য ভার্সিটি থেকে বের হওয়া এলিজিবল ব্যাচেলর। যদিও তিনি খুব নিরীহ, নির্বিরোধ, শান্তশিষ্ট প্রকৃতির ছিলেন, তাঁর উজ্জ্বল ফর্সা চেহারাটা, ক্লীন শেভড মুখ, পরিপাটি পোষাক ইত্যাদি খুব আকর্ষণীয় ছিলো। মিসেস সিম্পসনের কাইন্ডনেসটাকে তারা একটু অন্যভাবে রিলেট করে মজা পাচ্ছিলেন।


JRS ক্লাস সেভেনে আমাদেরকে শুধু গ্রামার পড়িয়েছিলেন। এইটে ওঠার পর আস্তে আস্তে লিটারেচারের সাথে পরিচিত করাতে শুরু করেন। যাই পড়াতেন, তা যেন আমাদের কাছে মজাদার হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতেন। তিনি আমাদেরকে দিয়ে নাটক করিয়েছিলেন। সেই নাটকের একটা দৃশ্যে ফেনী রেলওয়ে স্টেশন কে depict করেছিলেন। আমাদের ব্যাচের চল্লিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে যমুনা রিসোর্টে একত্রিত হয়েছিলাম। সেখানে বন্ধু মোস্তাফিজকে (সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক) এটা নিয়ে এখনো গর্ববোধ করতে দেখেছি, কারণ তার দেশের বাড়ী ফেনী। দুবাই প্রবাসী বন্ধু মহীউদ্দিন জামানকে আমরা সেদিন স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম ফেনী রেলওয়ে স্টেশনে পড়ে থাকা এক মৃত সৈ্নিকের ভূমিকায় তার উজ্জ্বল অভিনয়ের কথা!

তিনি আর্থার কোনান ডয়েলের "শার্লক হোমস" সংগ্রহ করে এনে দিয়েছিলেন আমাদেরকে পড়তে। "The Adventures At Dabanga School" নামে এক ভারী মজার বই পড়িয়েছিলেন, যেখানে এক ব্রিটিশ বোর্ডিং স্কুলের ছাত্রদের কথা বলা হয়েছিলো, যাদের কার্যকলাপ, চিন্তা চেতনা, দুষ্টুমি ইত্যাদির সাথে আমাদের হুবহু মিল ছিলো। আমরা তাই বইটি পড়ে ভীষণ রকমের মজা পেয়েছিলাম। ক্লাসের পড়া ছাড়াও JRS আমাদেরকে শেক্সপীয়রের নাটকের কথা বলতেন, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মূরাল চিত্রকর্ম ‘দ্য লাস্ট সাপার’ এর কথা বলতেন, তাঁর প্রিয় কবি Alfred Lord Tennyson এর কথা বলতেন। এ ছাড়াও তিনি কবি W.B.Yeats (১৯২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী) এর কথাও প্রায়ই বলতেন। তখন পর্যন্ত ইংরেজী সাহিত্য সম্পর্কে আমার যেটুকু জ্ঞান ছিল, তাতে বায়রন শেলী ছাড়াও ইংলিশ রোমান্টিক কবি John Keats এর নামের সাথে (শুধুমাত্র নামের সাথেই) পরিচিত ছিলাম, কিন্তু আইরিশ কবি W.B.Yeats এর নাম তখনো শুনিনি। তাঁর কথা শুনেই একদিন লাইব্রেরীতে গিয়ে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা ঘেটে W.B.Yeats সম্পর্কে জেনেছিলাম। এটা জেনে মুগ্ধ হয়েছিলাম যে Yeats আমাদের কবিগুরুর ‘গীতাঞ্জলী’র ভুমিকাপত্র (introduction) লিখেছিলেন। আরও জেনেছিলাম যে তিনি তাঁর চেয়ে বিশ বছরের ছোট আমেরিকান ইমপ্রেশনিস্ট কবি এজরা পাউন্ডের খুব ভালো বন্ধু ছিলেন।

JRS কে আমি খুবই ভক্তি শ্রদ্ধা করলেও তাঁর প্রতি আমি মনোক্ষুন্ন হয়েছিলাম যেদিন তিনি আমাকে জোর করে একটা ইংলিশ ডিবেটের জন্য মঞ্চে তুলে দিয়েছিলেন। অনেক অনুনয় বিনয় করেও রক্ষা পাইনি। আমার আপত্তির মুখে তিনি আমাকে মৃদু ভর্ৎসনাও করেছিলেন। সেদিন জেনেছিলাম হাঁটুকাঁপানি কাকে বলে! রোস্ট্রামের পেছনে আমি লিটারেলী ঠকঠক করে কাঁপছিলাম। কোনরকমে ঢোক টোক গিলে দু’চারটে বাক্য হয়তো বলতে পেরেছিলাম, কিন্তু এতেই চোখে অন্ধকার দেখা শুরু করেছিলাম। জীবনে আমার কোন গোপন দুর্বলতাকে কেউ কখনো এতটা প্রকাশ্যে নাঙ্গা করে দেয়নি। নিজের একটা বিরাট গলদ সেদিন আমাকে প্রায় গ্রাস করে ফেলেছিলো। গোপনে গোপনে এই গলদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি, মহড়া দিয়েছি, কিন্তু শেষ তক সুবিধে করতে পারিনি। এ দুঃখটা অনেকটা কাটিয়ে উঠি যখন আমার বড় ছেলে বাংলাদেশ টেলিভিশন কর্তৃক আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় একই কলেজের প্রতিনিধি হয়ে ইংরেজী ও বাংলা উভয় বিতর্কে অংশগ্রহণ করে একটাতে প্রথম আর অপরটাতে দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করে। ঐ প্রতিযোগিতার একটাতে সঞ্চালক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রধান ডঃ মঞ্জুরুল ইসলাম, অপরটাতে আমারই ব্যাচমেট সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ডঃ মোস্তাফিজুর রহমান। পরেরজন তখনো জানতেন না যে প্রথম স্থান অর্জনকারী আদনান তাঁর ব্যাচমেট এর ছেলে। অনুষ্ঠানের পরে ওকে তাঁর সামনে নিয়ে গিয়ে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। কথা বলতে বলতে কী কাজে আমি যেন একটু অন্যত্র সরে গিয়েছিলাম। তখন তিনি আমার স্ত্রীর কাছে ওর অনেক (এবং আমার কিছুটা) প্রশংসা করেছিলেন, আমার স্ত্রী ফেরার সময় গাড়ীতে বসে এ কথা বলেছিলেন।

JRS কে ভালোবাসতাম, কারণ তিনি ক্লাসে খুব ইনফর্মাল ছিলেন। সময় পেলেই ছোটখাট ফান করতেন। একদিন ক্লাস টেস্টের সময় এক বন্ধু অপর বন্ধুর খাতার দিকে বারবার তাকিয়ে কিছুটা সাহায্য নেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলো। ব্যাপারটা তাঁর নজরে এলে তিনি তাকে উঠে দাঁড়াতে বল্লেন। সে দাঁড়ালে তাকে পাশের জনের খাতাটা ভালো করে দেখতে বল্লেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, “ক্যান ইউ সি ইট বেটার নাউ?” বন্ধুটি সলজ্জ হাসি দিয়ে সাথে সাথে নিজ আসনে বসে পড়েছিলো। আমাদের স্টেশনারী শেষ হয়ে গেলে একটা ডিমান্ড স্লিপে যে কোন একজন শিক্ষকের স্বাক্ষর নিয়ে স্টোরে জমা দিলে রিপ্লেসমেন্ট পাওয়া যেতো। একদিন আমার বন্ধু ফজলু (ডঃ ফজলুল হক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চীফ ফিজিশিয়ান হিসেবে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত) একটা ডিমান্ড স্লিপ বানিয়ে তাঁর স্বাক্ষর নিতে গেলে তিনি সই করে দেন। স্বাক্ষরের নীচে কোন বিষয়ের শিক্ষক তা উল্লেখ করতে হতো। আমি ফজলু’র পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। ফজলু’র প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য JRS বিষয়ের জায়গাটা খালি রেখে স্লিপটা ওর হাতে ফেরৎ দেন। ফজলু তাঁকে অনুরোধ করলো “Lecturer in .....” এর খালি জায়গাটা পূরণ করে দিতে। তিনি খসখস করে খালি জায়গাটাতে ‘URDU’ লিখে (যা ছিল অকল্পনীয়, সিম্পসন উর্দু পড়াবে!) ফজলু’র দিকে একটা funny gesture করলেন। ফজলু মুখ টিপে হাসি চেপে নিজ আসনে ফেরত এসেছিলো। তাঁর এসব কৌতুকের কথা মনে করিয়ে দিলে তিনি গত বছর আমার একটা মেইলের জবাবে লিখেছিলেন, “Many of the incidents referred to I had long forgotten. I have to laugh and sigh at some of the things said and done by me in my naïve youth.”

একদিন JRS ক্লাসে এসে ব্ল্যাকবোর্ডে বড় করে লিখলেন, INDEPENDENCE DAY। তারপর আমাদের দিকে ঘুরে তাকিয়ে বল্লেন বিষয়টির উপর রচনা লিখতে। এটা ছিল আমাদের জন্য এক আচমকা বিস্ময়! তখন স্বাধীনতা দিবস পালন করা হতো ১৪ আগস্ট তারিখে। কিন্তু ঐদিন তারিখটা মোটেও INDEPENDENCE DAY এর ধারে কাছে ছিলনা। রচনা লিখতে বলে তিনি চুপ করে বসে থাকলেন, সারাটা ক্লাসে একটা কথাও বলেন নি। তিনি যে কোন কিছু নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, যেমন ক্লাসে বসে আগের পরীক্ষার খাতা দেখা বা কোন কিছু মন দিয়ে পড়া, তাও নয়। শুধু আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখছিলেন আমরা কে কি করি। ঘন্টা বাজলে তিনি নীরবে চলে গেলেন, একবারও খাতাগুলোর কথা কিছু না বলেই। এখন ভাবি, হয়তো এটা ছিল কোন সাইকোলজিকাল টেস্ট।

Preposition পড়াতে গিয়ে তিনি ব্ল্যাকবোর্ডে লিখেছিলেন, “My watch has run DOWN, because I forgot to wind it UP last night"। সেই থেকে run DOWN আর wind UP এর Preposition জীবনে কখনো ভুল হয়নি। আরেকদিন ক্লাসে এসে ব্ল্যাকবোর্ডে তিনি লিখলেন, " When I see dark clouds, I feel......"। তারপর আমাদেরকে বল্লেন আমরা কে কী ফীল করি, দাঁড়িয়ে সেটা একে একে বলতে। মনে পড়ে আমাদের বন্ধু নজরুল (হার্ভার্ডের প্রাক্তন অধ্যাপক, বর্তমানে জাতিসংঘে উচ্চ পদে কর্মরত) শূন্য জায়গাটায় “রোমান্টিক” (ক্লাস এইটেই!) বসিয়ে বাক্যটি উচ্চারণ করেছিল। এটা অনেকেরই মনের কথা ছিল, নজরুল সেটা নির্দ্বিধায় বলতে পেরেছিল বলে শিক্ষক, ছাত্র সবাই খুশী হয়েছিলো।

আমাদের সাথে তাঁর সর্বশেষ ক্লাসটার পর ক্লাস ক্যাপ্টেন তাঁকে হোম ওয়ার্ক দেয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি উলটো ঘুরে ব্ল্যাকবোর্ডে লিখেছিলেন, “ENJOY YOURSELVES”! এটাই ছিল একটা হোম ওয়ার্ক! ভাবতে পারা যায়? কেন্দ্রীয়ভাবে দেয়া তাঁর বিদায়ী অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণের শেষ বাক্যটি ছিল “LONG LIVE EAST PAKISTAN” (পাকিস্তান নয়), যা শুনে প্রিন্সিপাল তার চশমাটা চোখ থেকে কপালে তুলেছিলেন, আর তিনি তাঁর কুঁজো শিরদাঁরা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ডানে বামে তাকিয়ে আমাদের করতালি উপভোগ করছিলেন। গত বছর জুলাই মাসে তাঁর সাথে আমাদের যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত হবার পর আমরা অনেকেই উল্লসিত হয়ে তাঁর সাথে ই মেইলে যোগাযোগ করি। আমাদের মেইল পেয়ে তিনি অভিভূত হয়ে যান। আগের পর্বে বলেছি, আমাদের বন্ধু ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটি’র প্রফেসর সালেহ আহমেদ তানভীর গত বছরে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে “একাডেমিক ভিজিটর” হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি আমাদের সবার পক্ষ থেকে তাঁর সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ কামনা করলে তিনি তানভীরের একাডেমিক সাফল্যের কথা শুনে চমৎকৃ্ত হন এবং নিজে নরউইচ থেকে ট্রেনে দু’ঘন্টার জার্নি করে এসে তানভীরের সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ করে ছাত্রের প্রতি একজন শিক্ষকের বিরল সম্মান প্রদর্শন করেন। তাঁরা উভয়ে একত্রে বসে কয়েক ঘন্টার মত মধুর স্মৃতিচারণ করেন এবং তানভীরের সাথে লাঞ্চ করে হাইড পার্কে কিছুক্ষণ সময় কাটান। এ সময়ের কয়েকটা ছবি এখানে সবার শেষে দিচ্ছি।

আমাকে একটি মেইলের জবাবে তিনি লিখেছেন, “Little did I realise in my youth that I was in contact with so many young men like yourself who would have such satisfying and distinguished careers. It is a humbling thought for me. At church this morning I said a prayer for you and others who have kindly remembered me. In meeting such people my life has been blessed. The whole occasion was like a happy dream for me. My best wishes to you for a long and well-deserved retirement.” আমার সাদামাটা career টা মোটেই distinguished ছিল না। তা না হলে কি হবে, একজন কাইন্ড টীচার তাঁর ছাত্রের যৎসামান্য সাফল্যকেও এতটা বড় করে দেখতেই পছন্দ করেন! অথচ তাঁর নিজের career যে কতটা distinguished ছিল, সে সম্বন্ধে আপনারা জানতে পারবেন এখানেঃ

http://www.clytiar.org/investigadores/16.php

চলবে…



ঢাকা
০৮ অক্টোবর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

প্রফেসর সালেহ তানভীরের বাসায় JRS।


JRS at Albert Memorial


বিশ্ব যখন অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত, এক বিমুগ্ধ ছাত্র, ক্যামেরা নিয়ে যে মোটেই সিদ্ধহস্ত নয়, তাঁর কৈশোরের শিক্ষকের ছবি তুলে চলেছেন। অবশ্য শিক্ষক বা ছাত্র, কারোই ছবি তোলাতুলির ব্যাপারে তেমন আগ্রহ নেই। আমাদের সবার অনুরোধেই প্রফেসর তানভীর এ কাজটি করতে ও করাতে রাজী হয়েছিলেন।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনি ও আপনার বন্ধুরা অনেক সৌভাগ্যবান ছিলেন। ছাত্রজীবনের শুরুতে এই রকম একজন গুনি মানুষকে শিক্ষক হিসাবে পেয়েছিলেন। আমি সব সময়ই বিশ্বাস করি ভাল বীজ ছাড়া ভাল ফসল আশা করা বৃথা।

সাম্প্রতিক কালে যখন পত্রিকার পাতায় পড়ি শিক্ষক লাঞ্ছিত তখন নিজেকে প্রশ্ন করি আমার দ্বারা কি ঐ কাজ সম্ভব? শিক্ষা ব্যবস্হা ও শিক্ষকের মর্যাদাকে আমরা দিনে দিনে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি? শেষটা কোথায়? জাতি হিসাবে আমাদের ভবিষ্যৎ কি? দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশের মধ্যে আমাদের শিক্ষায় বিনিয়োগ কম। শিক্ষায় বিনিয়োগ না করে কিভাবে সিঙ্গাপুর হওয়ার স্বপ্ন দেখি? শুধু গার্মেন্টস সেলাই করে কি সিঙ্গাপুর হওয়া সম্ভব?

আপনাকে ধন্যবাদ সিরিজটা নিয়মিত করার জন্য।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি সব সময়ই বিশ্বাস করি ভাল বীজ ছাড়া ভাল ফসল আশা করা বৃথা। -- যথার্থ আপনার এ বিশ্বাস। একমত।
শিক্ষায় বিনিয়োগ না করে কিভাবে সিঙ্গাপুর হওয়ার স্বপ্ন দেখি? -- এবং এ বিনিয়োগটা হতে হবে শুধু ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে নয়, শিক্ষকদের মানোন্নয়নেও। শিক্ষকদের মূল্য ও প্রাপ্য সম্মান দিতে না জানলে শিক্ষার উন্নতি করা অসম্ভব। আর শিক্ষার উন্নতি হলে মানব সম্পদ উন্নয়ন এমনিতেই চলে আসবে।
"কানাডিয়ান বসন্তবেলায়" - আপনার প্রথম ফটো ব্লগটা দেখে এলাম। ফুলগুলো সুন্দর।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, মোস্তফা কামাল পলাশ।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাইয়া আপনার পোস্ট আমি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি, মাঝে মাঝে আমার আম্মার সাথেও শেয়ার করি। তিনিও বেশ আগ্রহ নিয়েই শুনেন। এই সিরিজটি চালানোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। :)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ মন্তব্য পড়ে আমি অভিভূত হয়ে গেলাম, কাল্পনিক_ভালোবাসা। আপনার আম্মাকে আমার সালাম জানাবেন এবং আমার জন্য দোয়া করতে বলবেন।
আমি আমার লেখাগুলোতে আমাদের সময়টাকে তুলে ধরতে চেয়েছি। বর্ণনায় সত্যনিষ্ঠ থাকার চেষ্টা করেছি। এখন আমার নির্ঝঞ্ঝাট কৈশোরের কথা বলে চলেছি, কিন্তু সামনে আসবে জীবনের কঠিন কিছু সময়ের কথা। আশাকরি সাথে থাকবেন।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

রানা আমান বলেছেন: ভাইয়া আপনার সিরিজটা আমার ও খুব ভালো লাগে । ধন্যবাদ আপনাকে এই সিরিজটার জন্য ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সিরিজটা আপনার খুব ভালো লাগছে জেনে খুব খুশী হ'লাম, রানা আমান। আশাকরি সময় করে আগের গুলোও কয়েকটা পড়ে দেখবেন। তাহলে আপনি শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের সময়ের একটা মোটামুটি চিত্র পেয়ে যাবেন।

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: শেষের কথাটাই আগে বলি, কিছু কিছু ব্যাপারে আমার চোখ নিজের অজান্তেই ছল ছল করে উঠেঃ

//কেন্দ্রীয়ভাবে দেয়া তাঁর বিদায়ী অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণের শেষ বাক্যটি ছিল “LONG LIVE EAST PAKISTAN” (পাকিস্তান নয়), যা শুনে প্রিন্সিপাল তার চশমাটা চোখ থেকে কপালে তুলেছিলেন, আর তিনি তাঁর কুঁজো শিরদাঁরা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ডানে বামে তাকিয়ে আমাদের করতালি উপভোগ করছিলেন।//

আমার কোন যেন মনে হয়, INDEPENDENCE DAY নিয়ে রচনা লিখতে বলার পিছনেও মনস্তাত্বিক কারণ ছিল, উনি বাঙালি ছাত্রদের আবেগটা বুঝতে চেয়েছিলেন।

কতটা মানবিক ছিলেন তিনিঃ

//সেদিন তাঁর প্লেটে কিছুই জোটে নাই। এটা মিঃ এবং মিসেস সিম্পসন দূর থেকে খেয়াল করেছিলেন। তাঁরা তাঁকে তাঁদের ছোট্ট অস্টিন গাড়ীটার কাছে ডেকে নিয়ে গেলেন। সেখান থেকে মিসেস সিম্পসন হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল (পরবর্তীতে ঢাকা শেরাটন) থেকে আনা কেক বের করে তাঁকে খেতে দিয়েছিলেন।//


সাহিত্য শুধু পড়ানো নয়, তার নির্যাসটুকু আস্বাদনের প্রয়াসটুকুও মনে রাখার মতঃ

//তিনি আমাদেরকে দিয়ে নাটক করিয়েছিলেন। সেই নাটকের একটা দৃশ্যে ফেনী রেলওয়ে স্টেশন কে depict করেছিলেন।//

ইংরেজী সাহিত্যের লেখকদের ছাত্রদের মাঝে জনপ্রিয় করার জন্য তার প্রয়াস প্রশংসার দাবীদার।

পিতার কাছে পুত্রের সাফল্যের চেয়ে বড় কিছু হতে পারেনা।
আপনার ছেলের সাফল্যে জেনে ভাল লেগেছে, আশা করি উনি আরো উন্নতি করেছেন এবং করবেন।

উনার মেইলে আপনার সম্বন্ধে উনার মন্তব্যটা খুব ভাল লেগেছে।

ছবি গুলো হয়ত খুব সাধারণ, কিন্তু গুণী ছাত্রের অন্তরের ছোঁয়ায় গুণী শিক্ষকের ছবিটা সুন্দর হয়ে উঠেছে - আমার চোখে।

ভাল থাকুন। সবসময়্




১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঊনসত্তরের গণ আন্দোলন তিনি দেখে গিয়েছিলেন। তাঁর শেষ ভাষণ শুনে আমাদের মনে হয়েছিলো, তিনি আমাদের সেই আন্দোলনের সাফল্য কামনা করে গেলেন। সাহিত্যের মানুষ বলে তিনি আমাদের রবীন্দ্রনাথকে ভালোবাসতেন। কোন একজন ক্যাডেট তার নিজ হাতে আঁকা রবীন্দ্রনাথের একটা পেন্সিল স্কেচ তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন, সেটা এখনো তাঁর কাছে আছে বলে তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু ক্যাডেট এর নাম তিনি ভুলে গিয়েছেন, আমাদেরকে অনুরোধ করেছেন, আমরা তাকে খুঁজে বের করতে পারি কিনা তা চেষ্টা করে দেখতে। আমরা এখনো তাকে খুঁজে পাইনি।
আপনার ছেলের সাফল্যে জেনে ভাল লেগেছে, আশা করি উনি আরো উন্নতি করেছেন এবং করবেন। -- অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ'র অশেষ মেহেরবানীতে ও ১৯৯৯ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলো। সারা দেশের সকল বোর্ডের মধ্যে ওর প্রাপ্ত নম্বরটাই সর্বোচ্চ ছিলো, আলহামদুলিল্লাহ!

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

অগ্নিপাখি বলেছেন: বরাবরের মতই ভালো লাগলো। দারুন সিরিজ। আপনি অনেক ভাগ্যবান যে এরকম একজন গুনি শিক্ষক এর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, সেদিক থেকে আমি যথার্থই ভাগ্যবান বলতেই হবে।
লেখাটা পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

টোকাই রাজা বলেছেন: ভালো লাগল কিন্তু আমাগো মগ টোকাইরা কি এই রকম শিক্ষক পাইব। X((

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, টোকাই রাজা।
প্রথমতঃ, সমাজে যেন কোন টোকাই এর সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সকলের লক্ষ্য থাকতে হবে। সকলে মিলে চাইলে উন্নত সমাজ ব্যবস্থা অবশ্যই গড়ে তোলা যেতে পারে।
সেটা যতদিন না হচ্ছে, টোকাইরাও যেন সুশিক্ষা পায়, সেটা দেখার দায়িত্ব সমাজপতিদের, আমার, আপনার সকলের।

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: ছাত্রজীবনের শুরুতে এই রকম একজন গুনি মানুষকে শিক্ষক হিসাবে পাওয়া বিশাল সৌভাগ্য।
প্রথম থেকে পড়া শুরু করতে হবে ভাই। +++++

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আর প্রথম থেকে পড়া শুরু করলে তো ভীষণ খুশী হবো।
আপনার প্রথম লেখাটা পড়ে আসলাম। ভালো লেগেছে অল্প কথার লেখা।

৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৮

ব্যাক ট্রেইল বলেছেন: আপনি সৌভাগ্যবান যে এমন শিক্ষক পেয়েছেন। এভাবে স্মৃতিচারণ করছেন। পুরোটা শিক্ষাজীবন খুঁজে একজন শিক্ষকের কথাই মনে পড়ছে। তবে আমার পরের জেনারেশন এরকম শিক্ষক পাবেনা।
দিনে দিনে শিক্ষকদের খারাপ দিকটাই দেখছি। আর হতাশ হচ্ছি।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এটা ঠিক যে গত পঞ্চাশ বছরে এদেশের শিক্ষকেরা বৈষয়িকতার কারণে তাদের সম্মান অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছেন। শিক্ষা এখন হয়ে গেছে একটি বাণিজ্যিক পণ্য, আর তারা সেই পণ্যের বিপণন করে রুটি রুজি আয় করেন। এখন আর শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক বলতে আগের সেই শ্রদ্ধার-স্নেহের সম্পর্ক কে বোঝায়না, এখন হয়ে গেছে অনেকটা ক্রেতা বিক্রেতার সম্পর্ক। অবশ্য ব্যতিক্রম তো রয়েছেই।
লেখাটা পড়া ও মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, ব্যাক ট্রেইল। আপনার একমাত্র পোস্টটিও পড়ে এলাম।

৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:২১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: নির্দ্বিধায় যে অন্যের সাথে এভাবে মিশে যেতে পারে সে তো প্রিয় হবেই। :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার এই পর্যবেক্ষণের জন্য, দিশেহারা রাজপুত্র। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো উনার পড়াবার ধরণ, সাবজেক্ট চুজ করা। হোয়েন আই সি ডার্ক ক্লাউডস, আই ফিল... হোয়াট ? আপনি কি লিখেছিলেন বা বলেছিলেন এন্সারে ?
INDEPENDENCE DAY নিয়ে উনি লিখতে দিয়েও কিছু বলেন নি কেন বুঝলাম না বিষয়টা কিংবা এখানে কি সাইকোলজিক্যাল টেস্ট থাকতে পারে বুঝতে পারছি না।
বরাবরের মতই পড়তে ভালো লাগলো। ভালো থাকুন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: লিখতে নয়, দাঁড়িয়ে বলতে হয়েছিলো।
আমি আর কী বলবো? আমি কি আর নজরুলের মত এমন রোমান্টিক মনের অধিকারী ছিলাম? উপস্থিত যেটা মনে হয়েছিলো, সেটাই সোজা সাপ্টা বলে দিয়েছিলামঃ আই ফীল লাইক গেটিং ওয়েট ইন দ্যা রেইন
আসলেই তার পরপরই কালো মেঘের বরষা নেমেছিলো এবং আমি ক্লাস শেষে কারো ছাতার জন্য অপেক্ষা না করে ভিজে ভিজেই হাউসে ফিরেছিলাম।
উনি কেন রচনাটা লিখতে দিয়েছিলেন আর কেনই বা খাতা না নিয়েই শ্রেণীকক্ষ ত্যাগ করেছিলেন, সেটা আজও আমার কাছে পরিস্কার নয়। তবে আমাদের লেখার সময় তিনি প্রত্যেকের মুখের দিকে তাকাচ্ছিলেন।
মন দিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, অপর্ণা মম্ময়।

১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারণমূলক সিরিজ । ভালো লাগা জানবেন ।

কিন্তু নিজেকে বেশ দূর্ভাগা লাগছে :( :( :(

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে প্রীত অনুপ্রাণিত হলাম। ধন্যবাদ, অদ্ভুত_আমি।

১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কিছু মানুষের গল্প শুনলে ও মন ভাল হয়ে যায়।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, মনিরা সুলতানা, এই ছোট্ট কিন্তু মন ভালো করা মন্তব্যের জন্য। কোন লেখক যখন জানতে পারেন যে তার লেখা পড়ে কোন পাঠকের মন ভালো হয়ে গিয়েছে, তখন তারও মন ভালো হয়ে যায় এবং এতে তিনি লেখার তৃপ্তি অনুভব করেন।

১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০০

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: আপনার "আমার কথা" সিরিজগুলো আসলেই উপভোগ্য। একজীবনে কত কাহিনী, কত স্মৃতি, কত সাফল্য। আপনি সত্যিই অনেক ভাগ্যবান। অনেক ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা রইল।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই, আন্তরিক ধন্যবাদ পুরনো পোস্ট পড়ে এটাকে সামনে নিয়ে আসার জন্য।
তারপর, লেখাটি "লাইক" করার জন্য ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
একজীবনে কত কাহিনী, কত স্মৃতি, কত সাফল্য। আপনি সত্যিই অনেক ভাগ্যবান -- আসলেই আমি দয়াময়ের অপার দয়ায় ডুবেই আছি। কথাটাকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য পুনরায় আন্তরিক ধন্যবাদ।
এর পরের কথাগুলোকে আপাততঃ মাথায় তুলে রাখলাম, পরে মনের ভেতরে ঢুকিয়ে রাখবো।

১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৩

সোহানী বলেছেন: মোস্তাফিজ স্যার আপনার ব্যাচমেট? আমার খুব প্রিয় একজন শিক্ষক। উনি কিন্তু এ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্টের। আমার ডিপার্টমেন্টের বিবর্তের ক্লাব উনার হাত ধরে আমরা তৈরী করেছিলাম। ওওও বলে রাখি, আমি কিন্তু হলের বিতার্কিক ছিলাম। প্রচুর বিতর্ক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেছিলাম। যদিও টেলিভিশনে যাবার মতো যোগ্যতা ছিল না।

আর মন্জুর স্যারকে পেয়েছিলাম ভাষাতত্ত্বের ইরেজী ক্লাসে। আমরা সব পাগল ছিলাম স্যারের জন্য। আহ, কি যে চমৎকার ক্লাস নিতেন।

অনেকদিন পর অনেক কিছু মনে পড়লো। আপনার গুনী স্যারের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার গুনী স্যারের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা - অনেক ধন্যবাদ।
জ্বী, মোস্তাফিজ আমার একজন প্রিয় বন্ধু। আপনি ঠিকই বলেছেন, উনি এ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্টের ছিলেন।
আপনি একজন ভাল বিতার্কিক ছিলেন, এটা সহজেই অনুমান করা যায়, কারণ আপনার লেখায় যুক্তি থাকে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.