নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন সুখী মানুষের কথা (অনুবাদ কবিতা)

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২২

হে পথিক, রেখাঙ্কিত এ সমাধিগুলো দেখে,
কখনো আমার প্রতি করুণা কাতর হয়োনা।
আমাকে সমাহিতদের মাঝে দেখতে পেয়ে
পরিতাপ করে কিছু বোলনা।

যাদেরকে আমি ফেলে গেলাম, আমার স্ত্রী
আর সন্তানেরা, এবং তাদের সন্তানেরাও,
সদয় ছিল আমার প্রতি। তাদের সাথে থেকে
আমি সারাটা জীবন খুব সুখীই ছিলেম।

তিন তিনটে ছে্লেকে আমি বিয়ে দিয়েছিলেম,
তাদের ছেলেদেরকে রাতে দোল-নিদ্রা দিতেম।
মৃত্যুচিন্তা কিংবা কোন সন্তাপ বিষাদের কথা
আমার মনে কখনো কোন মনস্তাপ আনেনি।

এখন, আর কোন অশ্রুপাতের প্রয়োজন নেই।
এখানে তারা আমাকে রেখে গেছে, এই নীরব
শ্রান্তিধামে বছরের পর বছর ধরে থাকার জন্য,
সেসব পুণ্যাত্মাদের নৈকট্যে, যারা আশীর্বাদধন্য!


মূলঃ Edwin Arlington Robinson

অনুবাদঃ খায়রুল আহসান

কবি সম্পর্কে পাদটীকাঃ আমেরিকান এই কবি ১৮৬৯ সালের ২২ ডিসেম্বর তারিখে Head Tide, Lincoln County, Maine এ জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মের পর তার পরিবার ১৮৭০ সালে Gardiner, Maine, এ বসতি স্থাপন করে। শৈশবে তিনি মোটেই সুখী ছিলেন না। এ সময়টিকে তিনি পরে 'stark and unhappy' বলে অভিহিত করেছিলেন। তার পিতামাতা মনে প্রাণে একটি মেয়ে চেয়েছিলেন, কিন্তু ছেলে হওয়াতে তারা ছয় বছর পর্যন্ত তার কোন নাম রাখেন নি। তার ছয় বছর বয়সের সময় তারা তাকে নিয়ে একটি অবকাশ শিবিরে বেড়াতে যান। সেখানে অবকাশযাপনকারী অন্যান্য সবাই মিলে ঠিক করেন যে তার একটি নাম রাখা দরকার। তারা নামের একটি লটারী করেন। একটি হ্যাটের মধ্যে কিছু নাম লিখা কাগজের টুকরা রেখে Arlington, Massachusetts এর একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে দিয়ে ড্র করান।

অসুখী শৈশব তার অনেক কবিতাকেই নৈরাশ্যের আঁধারে আচ্ছাদিত করে রাখে। তার এক ভাই অত্যধিক মাদকাসক্তিতে মৃত্যুবরণ করেন। অপর এক ভাই, Herman, যিনি খুব 'handsome and charismatic' ছিলেন, তারই প্রেমিকাকে বিয়ে করেছিলেন। তিনিও ব্যবসায়ে মার খেয়ে মদ্যপ জীবন যাপন করতে শুরু করেন এবং স্ত্রী-পুত্র-পরিবার পরিত্যাগ করে চরম দারিদ্র্যে থেকে একটি দাতব্য হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর Edwin তার বিধবা ভাবী ও প্রাক্তন প্রণয়ী Emma Robinson এর প্রতি পুনরায় প্রণয়াসক্ত হয়ে পড়েন। এমা তার প্রণয়ে সাড়া দিলেও তার বিয়ের প্রস্তাব দুই দুইবার ফিরিয়ে দেন। ফলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি চিরতরে Gardiner ছেড়ে New Yorkএ চলে আসেন। সেখানে তিনি একজন দরিদ্র কবির ভাবমূর্তি নিয়ে সেখানকার কবি, লেখক, চিত্রশিল্পী, সমালোচক, উঠতি আঁতেল ও অন্যান্য সংস্কৃতিমনাদের সাথে উঠাবসা শুরু করেন। ১৮৯৬ সালে তিনি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'The Torrent and the Night Before' প্রকাশ করেন। এটি তিনি তার মাকে একটি 'surprise gift' হিসেবে উপহার দেয়ার জন্য মনস্থ করেছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বইটি তার মায়ের হাতে পৌঁছার মাত্র দিনকয়েক পূর্বে তার মা Mary Palmer Robinson ডিপথেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ 'The Children of the Night' বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর গুণমুগ্ধ পাঠকের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট Theodore Roosevelt, যিনি তার বন্ধু Kermit এর পিতাও ছিলেন বটে। তার আর্থিক অনটনের কথা জানতে পেরে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট তাকে New York Customs Officeএ একটি চাকুরী দিয়েছিলেন। যতদিন রুজভেল্ট কর্তব্যরত ছিলেন, ততদিন তিনি সেই চাকুরীতে ছিলেন, পরে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। ধীরে ধীরে তার কাব্যসাফল্য বৃ্দ্ধি পেতে থাকে। তার জীবনের শেষ কুড়িটি বছরে তিনি New Hampshire এর MacDowell Colonyতে regular summer resident হিসেবে যেতেন। সেখানে বেশ কয়েকজন বিদগ্ধ রমণীকূল তার একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে মনযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি তাদের প্রশ্রয় না দিয়ে একাকীত্বই বেছে নেন এবং বিয়ে করা থেকে বিরত থাকেন। ১৯৩৫ সালের ০৬ এপ্রিল তারিখে তিনি ক্যান্সারে ভুগে New York Hospital (বর্তমানে New York Cornell Hospital) এ মৃত্যুবরণ করেন।

কবি Edwin Arlington Robinson ১৯২০ এর দশকে তিন তিনটি পুলিৎজার পুরস্কার লাভ করেন। ১৯২২ সালে তার প্রথম Collected Poems এর জন্য, ১৯২৫ সালে 'The Man Who Died Twice' এর জন্য এবং ১৯২৮ সালে 'Tristram' এর জন্য।

(তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট/উইকিপিডিয়া)

মূল ইংরেজী কবিতাটি নীচে উদ্ধৃত হলোঃ


A Happy Man

When these graven lines you see,
Traveller, do not pity me;
Though I be among the dead,
Let no mournful word be said.

Children that I leave behind,
And their children, all were kind;
Near to them and to my wife,
I was happy all my life.

My three sons I married right,
And their sons I rocked at night;
Death nor sorrow never brought
Cause for one unhappy thought.

Now, and with no need of tears,
Here they leave me, full of years,
-- Leave me to my quiet rest
In the region of the blest.

ঢাকা
১২ জানুয়ারী ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
(ইতোপূর্বে অন্যত্র প্রকাশিত)

কবি Edwin Arlington Robinson এর "When these graven lines you see, Traveller, do not pity me;" ("হে পথিক, রেখাঙ্কিত এ সমাধিগুলো দেখে কখনো আমার প্রতি করুণা কাতর হয়োনা") এই পংক্তি দুটো পড়ার সাথে সাথে আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করে । এই কবিতাটি অনুবাদ করার ৭/৮ মাস আগে আমি আমেরিকার টাম্পা বে'র নিকটস্থ একটি কবরস্থানে গিয়েছিলাম আমার বন্ধুর এক প্রয়াত মিশরীয় বন্ধুর দাফন কার্যে অংশ নেয়ার জন্য। সেখানে মুসলমানদের জন্য আলাদা কোন কবরস্থান নেই। খৃষ্টান সিমেট্রীর পাশেই আলাদা একটা জায়গায় মুসলমানদেরকে সমাহিত করা হয়। সেখানে কোন এক মুসলিম নারী নাজমা বেগমের কবর দেখে আমি এই ব্লগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম এখানেঃ অজানা অদেখা কোন এক নাজমা বেগমের সমাধিতে
কবিতার এই পংক্তিদুটো পড়ে আমার মনে খালি সেখানে দেখা সিমেট্রী/গোরস্থানের ছবি ভাসতে থাকে। পাঠকদের সাথে আমার সে স্মৃতি এবং বর্তমান অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আজ সকাল থেকে ল্যাপটপ ঘাটাঘাটি করে কিছু ছবি বের করলাম। এই ছবিগুলোর সাথে কবির সমাধির বা কবিতার কোন বাস্তবিক সম্পর্ক নেই। তবে কবিতার ভাবের সম্পর্ক আছে। ছবি, কবিতা ও তার অনুবাদ যদি একজন পাঠককেও আলোড়িত করে, তবে শ্রম সার্থক জ্ঞান করবো।











মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

সুমন কর বলেছেন: অনুবাদ ভালো হয়েছে। ছবিগুলো পোস্টকে আরো সুন্দর করেছে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। আপনার ভালো লাগা আমার শ্রমকে সার্থক করেছে। শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫

সাদিয়া আফরোজ বলেছেন: ভালোলাগা

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: বোধকরি, আমার কোন লেখায় আপনি এই প্রথম এলেন। আপনাকে সুস্বাগতম!
ভালোলাগায় অনুপ্রাণিত হয়েছি। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

বিজন রয় বলেছেন: একটি ভাল লাগার পোস্ট।

আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ দিব। ব্লগে আপনার বিচরণ সত্যিই মনে রাখার মতো।
ভাল থাকুন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদটা আমারই আপনাকে দেয়ার কথা বিজন রয়, এমন সপ্রশংস এবং উদার মন্তব্যের জন্য। মন্তব্যে ভীষণ অনুপ্রাণিত হ'লাম।
কবিতার অনুবাদ যতটা না কষ্টসাধ্য ছিল আমার কাছে, কবি সম্পর্কে তথ্যাবলী সংগ্রহ এবং তার বাংলায় অনুবাদ করা আর পুরনো ছবি উদ্ধার করে এখানে সন্নিবেশ করার কাজটা তার চেয়ে অনেক বেশী শ্রমসাধ্য হয়েছে। তবে আপনাদের ইতিবাচক মন্তব্য পেয়ে সেটা একান্তই সার্থক হয়েছে দেখতে পাচ্ছি আর অভিভূত হচ্ছি।
খুশী হ'লাম। :) :)

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০১

কল্লোল পথিক বলেছেন:



চমৎকার অনুবাদ।
সেই সাথে তথ্য ও ছবি পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করেছে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ কবি কল্লোল পথিক। আপনার নিরন্তর প্রেরণা আমাকে সবসমই অনুপ্রাণিত করে।
সম্ভব হলে লিঙ্কে দেয়া নাজমা বেগম সম্পর্কিত লেখাটা একবার সময় করে পড়ে নেয়ার অনুরোধ করছি। এটা আমার এখানে প্রথম দিকের লেখা ছিল।
অশেষ শুভেচ্ছা রইলো।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: সুন্দর অনুবাদ কবিতাসহ একটি সমৃদ্ধ পোস্ট।খুব ভালো লাগল
+

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রুদ্র জাহেদ। মন্তব্যে যেমন প্রীত হয়েছি, প্রথম এবং একমাত্র প্লাসটিও আপনার কাছ থেকে পেয়ে ভীষণ অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভেচ্ছা জানবেন।

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: নাজমা বেগমের পোস্টটা পড়ে এলাম, মন্তব্যও করলাম।

কবির ভাবনা, অনুবাদকের ভাবনা-এক হয়ে গেছে।
তাই ভাল না লাগার কোন কারণ নেই।

প্রিয়তে নিলাম। কবিকে আরও জানার ইচ্ছে আছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: নাজমা বেগমের পোস্টটা পড়ে এলাম, মন্তব্যও করলাম -- আপনার ঐ মন্তব্যটা পড়ে এলাম এবং অভিভূত হয়ে ফিরে এলাম। মন্তব্যের উত্তর একটু পরে দিচ্ছি, তার আগে আপনার এ সুন্দর মন্তব্যটাকে একনলেজ করছি।
অনুবাদক হিসেবে আমি সব সময়েই চাই, পাঠক মূল কবিতাটি পড়ে আনন্দ পাক, যেমন আমি পেয়েছি। আর পাঠক আনন্দ পেলে, মুখে কিছু না বললেও আমি ধরে নিতে পারি যে অনুবাদ সার্থক হয়েছে। আমি সাধারণতঃ ঐ সব কবিতাই অনুবাদ করি, যা পাঠ করে আমি নিজে আনন্দ অনুভব করেছি। তাই, কবির ভাবনা, অনুবাদকের ভাবনা-এক হয়ে গেছে। তাই ভাল না লাগার কোন কারণ নেই। -- এ কথা শোনার পর আমার আর চাওয়ার কিছু থাকেনা।
আমার এ লেখাটাকে প্রিয়তে নিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে গেলেন, শামছুল ইসলাম। এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আর শুভকামনা জানাচ্ছি।

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

পুলহ বলেছেন: যদিও কবির ব্যাক্তিগত জীবনটা ছিলো দুঃখ আর বিষাদে পরিপূর্ণ, কিন্তু কবিতাটি পড়লে মনের গভীরে একজন সুখী মানুষের চেহারাটাই শুধু ভেসে ওঠে!
সন্তুষ্ট, পরিতৃপ্ত এক নির্লোভ মানুষ :)

অন এ ডিফারেন্ট নোট- "সেখানে তিনি একজন দরিদ্র কবির ভাবমূর্তি নিয়ে সেখানকার কবি, লেখক, চিত্রশিল্পী, সমালোচক, উঠতি আঁতেল ও অন্যান্য সংস্কৃতিমনাদের সাথে..."-- এখানে 'উঠতি আঁতেল' কথাটা খুব মনে ধরেছে , হাহাহা =p~ =p~
শুভকামনা শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান ভাই !

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: নিজের লেখার প্রতি পাঠকের তীক্ষ্ণ মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারলে যেকোন কবি লেখকই নিজেকে গর্বিত বোধ করতে পারেন। আমিও তেমনই বোধ করছি পুলহ, আপনার এই কথাগুলো পড়ে, বিশেষ করে "অন এ ডিফারেন্ট নোট" এ উল্লেখ করা মন্তব্যটুকু পড়ে। আমার 'উঠতি আঁতেল' কথাটা আপনার মনে ধরেছে জেনে পুলকিত বোধ করছি, যদিও কথাটার মূল দাবীদার আমি হতে পারি না। আমি শুধুই অনুবাদক। আমি কবি Edwin Arlington Robinson এর জীবনীর ঐ অংশটুকু ইংরেজীতে এভাবে পড়েছিলামঃ He moved to New York, where he led a precarious existence as an impoverished poet while cultivating friendships with other writers, artists, and would-be intellectuals.
আমি শুধু এ কথাটুকুই বাংলায় অনুবাদ করে দিয়েছি। 'would-be intellectuals' এর বাংলা অনুবাদ 'উঠতি আঁতেল' ই আমার কাছে সর্বোপযুক্ত মনে হয়েছে। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে, আমার এই দীর্ঘ লেখা থেকে পাকা জহুরীর মত শব্দ দুটোকে তুলে আনার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন, কবির ব্যাক্তিগত জীবনটা দুঃখ আর বিষাদে পরিপূর্ণ থাকার পরেও তিনি আত্মসুখ উপলব্ধি করে এত সুন্দর একটা কবিতা লিখে যেতে পেরেছেন, যেটা "পড়লে মনের গভীরে একজন সুখী মানুষের চেহারাটাই শুধু ভেসে ওঠে"! আপনার এই মন্তব্যটুকুও আমি এ্যাপ্রিশিয়েট করছি। কবির জীবনীর বিপরীতে কবির এই কবিতা একটা paradox ই বটে।

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

ওয়্যারউলফ বলেছেন: আমার ভাল লাগেনি কারন আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি । চমৎকার একটি কবিতার অতি চমৎকার অনুবাদ। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি কবিতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, এত সুন্দর করে কথাগুলো বলার জন্য।
বোধকরি, আমার কোন লেখায় এটাই আপনার প্রথম মন্তব্য। আমার ব্লগে আপনাকে সুস্বাগতম জানাচ্ছি।

৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: অনুবাদকাব্য বেশি পড়া হয় না আপনার অনুবাদকৃত কাব্য পড়ে ভালই লাগল বলা যায় মোহিত হলাম । কবি আপনাকে লাল ছালাম।।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মোহিত হলেন জেনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম, ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায়।
কবি আপনাকে লাল ছালাম -- :D
লাল ছালাম তো সংগ্রামী নেতাদেরকে দেয়া হয় দাদা, তবু আপনি দিয়েছেন, তাই টুঁপি উচু করলাম!
অশেষ ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা জানবেন।

১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২২

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: চমৎকার অনুবাদ এবং কবির জীবনীসহ দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আর কবিতাটির সাথে কবির ব্যক্তিগত জীবনের বৈসদৃশ্য কবিতাটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। এটি আপনি কবির জীবনীটুকু না দিলে বোঝা যেত না। সুন্দর। ভাল থাকুন।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ বিশ্লেষণী মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। শুভেচ্ছা জানবেন।

১১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: শুধুই মুগ্ধতা .........

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম। আপনার মুগ্ধতার কথা জেনে অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: অনুবাদ ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনুবাদের প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, শাহরিয়ার কবীর।

১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

জেন রসি বলেছেন: অনুবাদ ভালো হয়েছে। Edwin Arlington Robinson সম্পর্কে জানা ছিলনা। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনুবাদ ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। কবি সম্পর্কে তথ্যটুকু দেয়া সার্থক হলো বলে মনে হচ্ছে।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়েছি। ধন্যবাদ, জেন রসি।

১৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

পথে-ঘাটে বলেছেন: অনুবাদে++++++


পরিশ্রম করে লেখকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'পরিশ্রম' এর কথাটা আপনি উল্লেখ করাতে পরিশ্রমটুকু সার্থক হলো। অনুবাদে এতগুলো প্লাস দেয়াতে ভীষণ অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, পথে-ঘাটে।

১৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫২

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: ছবি কথা সব মিল্যে খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আমার কাছে মুল কবিতাটা বেশি ভাল লেগেছে। শুভ কামনা রইল :)

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মুল কবিতাটাই তো বেশী ভাল লাগার কথা। অনুবাদ তো কখনো মূলের সমকক্ষ হতে পারেনা।
মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, মায়াবী রূপকথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.