নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমের একটি ফুল ফুটুক, শুষ্ক হৃদয়েই

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

জীবনের পুল পুশ ফ্যাক্টরঃ

জীবনে আমার যেটুকু এগিয়ে যাওয়া, তার অধিকাংশই কোন না কোন পুল-পুশ ফ্যাক্টরের কারণে হয়েছে। কখনো কেউ একটু পুশ করেছে, কখনো কেউ একটু পুল করে নিয়েছে, আর মাঝে মাঝে কোন কিছুতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজেই সেলফ স্টার্টেড হয়ে সামনে দৌড়িয়েছি। সেখানেও কোন প্রণোদনা হয়তো পুশ করেছে, নয়তো পুল।

৩৩ বছর কলমের খাপটাকে বন্ধ রেখেছিলাম। দূরের বন্ধু (টেনিসি প্রবাসী) ড. হুমায়ুন কবির একবার নিজের লেখা কবিতার একটা লিঙ্ক পাঠিয়ে পড়তে বললেন। পড়ে মুগ্ধ হ’লাম। তিনি লিখতে থাকলেন, আমি পড়তে থাকলাম। প্রথম প্রথম টেলিফোনে মন্তব্য, তারপর থেকে কবিতার অনলাইন মঞ্চেই। একদিন সেই দূরের বন্ধু কাছে (বাসায়) এসে উৎসাহ দিয়ে বললেন, তুমিও তো ভালই লিখো, তুমিও লেখা শুরু কর না কেন? তার এ ছোট্ট কথাটা ছিল একটা পুশ, আমি একটু একটু করে নড়তে শুরু করলাম। একটা দুটো করে কিছু মিছু লেখা শুরু করলাম, মাঝে মাঝে নিজের ফেইসবুক ওয়ালে পোস্ট করতাম। বন্ধুরা অনেকেই সেগুলো পড়ে প্রশংসা করতেন। একদিন আমার ভাগ্নে তাপন শিখিয়ে দিলো, কিভাবে নিজের লেখাগুলো ফেইসবুক এর নোটস এ সংরক্ষণ করতে পারি। তার এ ছোট্ট নির্দেশনাটুকুও ছিল একটা বড় পুশ।

যখন কী বোর্ড চেপে এটা ওটা লিখে ল্যাপটপের মনিটরে দেখতে পেলাম, কবিতার মত কিছু একটা বের হচ্ছে, তখন খুঁজে পেলাম একটা বাংলা কবিতার ওয়েব সাইট, যেখানে উভয় বাংলার নবীন প্রবীণ কবিরা লিখে থাকেন। কবিতা লিখা না হোক, প্রতিদিন সময় করে সেখানে উভয় বাংলার কবিদের কবিতা পড়া শুরু করলাম। কারো কারো কবিতা খুব ভাল লাগতো। পরিচয় হলো অনেক গুণী ও মেধাবী ব্যক্তির সাথে, অনেক ঋদ্ধ কবির সাথে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সব্যসাচীও ছিলেন, যারা কবিতা ছাড়াও উন্নত মানের গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস ইত্যাদি লিখে থাকেন। তেমনি একজন ছিলেন ইংল্যান্ড প্রবাসী অর্থনীতির অধ্যাপক ড. কেতন শেখ। তিনি একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কবিতার বই বের করছিনা কেন? বললাম, এ ব্যাপারে অনভিজ্ঞ। তিনি কয়েকদিন সময় নিলেন এবং সাহায্যের অফার দিলেন। এ ব্যাপারে আমার সাথে তার প্রতিদিনের কথোপকথন ছিল একেকটা পুশ। একেকদিন কথা হতো, আর তার পর থেকে আমি একেকটা স্বপ্ন দেখা শুরু করতাম। অবশেষে তিনি একদিন জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার এর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিলেন। প্রথম পরিচয়েই আমি প্রকাশকের সৌজন্যবোধে মুগ্ধ হয়েছিলাম। এটা ছিল একটা বড় পুশ, আমার এগিয়ে যাওয়া শুরু হলো।

কবিতার পাশাপাশি কিছু স্মৃতিকথা লেখা শুরু করলাম। শৈশবের কথা থেকেই শুরু করলাম। আমি ছোটবেলায় মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে পড়েছি, যার নাম আমরা চলে আসার পর পরিবর্তিত হয়ে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই আমার ক্যাডেট কলেজের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও ঘটনাবলী স্মৃতিকথায় স্থান পেতে থাকলো। লেখাগুলো আমি ফেইসবুকে পোস্ট করতাম। সেগুলো পড়ে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ থেকে পাশ করা এক তরুণ, যিনি এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, একদিন আমাকে বললেন লেখাগুলো বই আকারে ছাপাতে। তিনিও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আমাকে অন্য এক প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিলেন। এটাও ছিল একটা বড় পুশ। এই দুই বড় পুশের ধাক্কায় আমার ভাবনাগুলো ল্যাপটপ থেকে বের হয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলার দুটো স্টলে ঠাঁই করে নিল। একটা জাগৃতি প্রকাশনী, অপরটা বইপত্র প্রকাশনী । লেখার মান যেমনই হোক, আমি বনে গেলাম একজন পাবলিশড অথার!

মাত্র গত রাতেই আমেরিকা প্রবাসী একজন বিদগ্ধ পাঠকের কাছ থেকে একটা মেইল পেয়ে যুগপৎ আনন্দিত এবং বিস্মিত হ'লাম। তিনি জানালেন তিনি দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা প্রবাসী। প্রতিবছর বইমেলা থেকে তার পছন্দের বই সংগ্রহ করার জন্য তিনি তার ভাইকে নির্দেশ দিয়ে থাকেন। তার ভাই সেগুলো কিনে পরে বিভিন্ন মাধ্যমে তার কাছে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু গত বছর তার ভাই বইমেলা থেকে কোন কারণে তার তালিকা থেকে শুধু আমার "জীবনের জার্নাল" বইটিই কিনতে পারেন নি। তাই এবারে বইটি মেলার কোন স্টলে পাওয়া যাবে তা তিনি মেইল করে জানতে চেয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছেন যে তিনি সামু'র একজন নিয়মিত পাঠক, এবং তিনি গত বছরে সামুতে লেখা আমার "আমার কথা" সিরিজটি নিয়মিতভাবে পড়তেন। মেইলের শেষে তার নাম দেখে স্মরণ করতে পারলাম, আমার দুই একটি লেখায় তিনি মন্তব্যও করেছিলেন। তার এই সুন্দর মেইলটিও আমার লেখালেখির কাজে নিরন্তর একটা পুশ হয়ে কাজ করে যাবে।

এ বছর নতুন কোন কবিতার বই বের করবো কি না, তা নিয়ে বেশ দ্বিধা দ্বন্দ্বে ছিলাম। কারো একটা পুশের অপেক্ষায় ছিলাম। অপেক্ষার শেষ সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পর সে আশাটা একেবারেই ছেড়ে দিলাম। কিন্তু তার পরেই বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ জিজ্ঞেস করা শুরু করলেন, এবারের বই মেলায় আমার কোন বই আসছে কিনা। যখন বললাম ‘না’, তখন দুই একজন অনুরোধ করলেন চেষ্টা করে দেখতে। আমি স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারছিলাম না। তবে অনুভব করছিলাম, তাদের এ প্রশ্নগুলো আমাকে ছোট ছোট পুশ দিয়ে যাচ্ছিলো। তারপর, একদিন সকালে নিজের কিছু পুরনো কবিতা পড়তে বসলাম। কবিতাগুলো পড়ে আবার ইচ্ছে জাগলো, কবিতায় বলা আমার কথাগুলোকে একটা বই এ ধারণ করে রাখতে। এবারে নিজেই নিজেকে একটা পুশ দিলাম। আমার প্রথম কবিতার বই এর প্রকাশককে জিজ্ঞেস করলামঃ “এখনো কি পান্ডুলিপি নিচ্ছেন? ইচ্ছে ছিল ৫ ফর্মার একটা কবিতার বই প্রকাশের”। সেদিনই বিকেল থেকে মাসব্যাপী বই মেলার শুভ উদ্বোধন হবার কথা, আর সকালে এমন একটা উটকো অনুরোধ তাকে একটু অপ্রস্তুতই করেছিল হয়তো। কিন্তু একটু সময় নিয়ে তিনি জানালেনঃ ‘আপনি বলে কথা! অবশ্যই পান্ডুলিপি দিয়ে যাবেন’। ছোট্ট দুটো কথা, কিন্তু বড় একটা পুল। আমি বসে গেলাম তৈরী পান্ডুলিপিকে কিছুটা সম্পাদনা ও পরিমার্জনা করে বই এর আকারে প্রস্তুত করতে। একটানা কাজ করে পরের দিন দুপুরে সেটা তার কাছে মেইল করে পাঠিয়ে দিলাম। অবশেষে প্রকাশক গতকাল আমায় জানালেন, বিভিন্ন স্তর পার করে বইটি আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ তারিখে তার স্টলে উঠবে।

বন্ধু এবং শুভানুধ্যায়ীদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় জাগৃতি প্রকাশনীর স্টলে বেড়িয়ে যেতে, স্টল নং ১৫৯-১৬০ (মেলার “তথ্যকেন্দ্র” এর কাছাকাছি)। তবে একটু অসুবিধের কথা এই, যে সেটা আজ থেকেই নয়, আগামী ২০ তারিখ থেকে। একটু আগেই জানিয়ে রাখলাম আর কি!

প্রকাশিতব্য আমার তৃ্তীয় গ্রন্থের নামঃ প্রেমের একটি ফুল ফুটুক, শুষ্ক হৃদয়েই


ঢাকা
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৭


মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২০

জুন বলেছেন: শুভকামনা রইলো আপনার আগত কবিতা গ্রন্থখানির জন্য খায়রুল আহসান ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জুন, অনুপ্রাণিত হ'লাম প্রথম মন্তব্য এবং শুভাশিসটুকু আপনার কাছ থেকে পেয়ে।
দেশে আসবেন কবে?
শুভেচ্ছা...

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রেমের একটি ফুল ফুটুক, শুষ্ক হৃদয়েই। নামটি খুব ভাল লেগেছে। আশা করি বইটিও সবার ভাল লাগবে।
অনেক শুভ কামনা রইল ভাই।
ও হ্যা আজ নাকি ভালবাসা দিবস। তাই ভালবাসাও রইল নিরন্তন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: বই এর নামটি আপনার ভাল লেগেছে, এটাকে আমার এ যাত্রায় প্রথম সাফল্য হিসেবে গণ্য করছি। সম্ভব হলে, কবিতাগুলো পড়ে মোটের উপর কেমন লাগলো তা জানালে খুশী হবো।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যটি অনেক প্রেরণা দিয়ে গেল।
যদিও কোন বিশেষ দিন কে ভালবাসা দিবস হিসেবে মানতে রাজী নই, তবুও অনেকের কাঙ্ক্ষিত এই ভালবাসা দিবসেই কাকতালীয়ভাবে সকল শুষ্ক হৃদয়ে প্রেমের পুষ্প ফোটার কামনা রেখে গেলাম।
ভালবাসা দিবসে ভালবাসা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


অভিনন্দন। কে একজন আপনাকে ধর্মীয় কবি হিসেবে পরিচয় করায়েছেন, দেখলাম।

মহিলারা যখন প্রাণপণ পুশ করে, একটা মানব শিশু পৃথিবীর মুখ দেখে; আপনার পুশ একটা বই নিয়ে এসেছে, আবারো অভিনন্দন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অভিনন্দন জানিয়ে প্রেরণা দিয়ে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
পাঠকের স্বাধীনতা বলে কথা! উনি হয়তো আমার কয়েকটি প্রার্থনার কবিতা পড়ে এমন ধারণা করেছেন।
মহিলারা যখন প্রাণপণ পুশ করে, একটা মানব শিশু পৃথিবীর মুখ দেখে; আপনার পুশ একটা বই নিয়ে এসেছে, আবারো অভিনন্দন - হা হা হা, আপনার এ কথাটা পড়ে একটা গল্প না বলে পারছিনা। আমার স্কুল জীবনের শিক্ষক শ্রদ্ধেয় মাযহারুল হক স্যার ক্লাসে আসলে ক্লাসের আগে বা পরে কিছু না কিছু গল্প, চুটকি ইত্যাদি বলতেন। তিনি একদিন বললেন (সত্য ঘটনা)--
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কি একটা বিষয় নিয়ে যেন বিতর্ক চলছে। ট্রেজারী বেঞ্চের একজন বয়স্ক পুরুষ এমপি কোন একটা বিষয়ে বক্তৃতা দেয়ার সময় fumble করছিলেন: I conceive that..., I conceive that..., I conceive that... এই বলে তিনি আর কোন সঠিক বাক্য সংযোজন করতে পারছিলেন না। তখন বিরোধী দলীয় একজন ফ্লোর নিয়ে বললেন, “Honorable Speaker, the learned Member conceived thrice but could not produce a single sentence. But had I conceived only once, I would have produced a human being.” - বলা বাহুল্য, এ কথা শুনে ব্রিটিশ সংসদে হাসির বন্যা বয়ে গিয়েছিলো।
আরো কিছু রসের কথা বলতে পারতাম। তবে ব্লগে এর চেয়ে বেশী কিছু বলা সমীচীন নয়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: তখন বিরোধী দলীয় একজন ফ্লোর নিয়ে বললেন -- এ কথাটার জায়গায় পড়ুনঃ
"তখন বিরোধী দলীয় একজন মহিলা সদস্য ফ্লোর নিয়ে বললেন"...

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার পিছনের কাহিনী। আমি আনন্দিত। সুন্দর একটা নামকরণ করেছেন। কৃতজ্ঞতা রইল।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্যটাও আমার খুব ভাল লাগলো। বই এর নামটা আপনার পছন্দ হয়েছে- এটা জেনেও ভাল লাগলো। পোস্টে প্লাস দিয়েছেন, এটাতে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। বই এর কবিতাগুলোর মধ্যে যদি কয়েকটাও আপনার ভাল লাগে, তবে আরো খুশী হবো।
সবকিছুর জন্যেই, অশেষ ধন্যবাদ।

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: বাহ! দারুণ তো! এভাবে পুল পুশে যদি কারও এতটাই উন্নতি হয় তবে তো পুল পুশ ফ্যাক্টর জিন্দাবাদ! :D কিন্তু নিজের ভিতর আসল ব্যাপারটা না থাকলে হয়ত এত পুল পুশেও কাজ হত না। সুন্দর প্রচ্ছদ, সুন্দর নাম... সুযোগ পেলে মলাটের ভিতরের সৌন্দর্যটাও বুঝে দেখার ইচ্ছে আছে। শুভকামনা রইল।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে মন্তব্য রেখে যাবার জন্যে।
সবার জীবনেই কারো না কারো পুল পুশ ফ্যাক্টর কাজ করে থাকে। তবে এটাও ঠিক, অচল ব্যাটারীর গাড়ীকে হয়তো পুশ করে কিছুটা এগিয়ে নেয়া সম্ভব, কিন্তু পুশে স্টার্ট না নিলে তাকে মেরামতের জন্য কারখানায় নিয়ে যেতে হয়। আর বন্ধ গাড়ী যদি গীয়ারে রাখা থাকে, তবে শত পুশেও কাজ হয় না। পুশের আগে গীয়ারটাকে নিউট্রালে নিতে হয়।
বই এর নামটা এর আগেও দু'জন ভাল বলেছেন। আপনি প্রচ্ছদটাকেও ভাল বললেন। এটা দ্বিতীয় সাফল্য বলে মনে করছি। এখন আসল জিনিস ভাল লাগলেই সব ভাল হবে।
বই এর ভেতরটা দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

জেন রসি বলেছেন: একজন মানুষ যখন কিছু করে, তখন তাকে এই পুশ পুলের আয়োজনের ভেতর দিয়েই যেতে হয়। তবে অনেকেই সেটা ভুলে যায়। আপনি ভুলেননি। আপনার লেখাটা পড়ে ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইলো।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই পুশ পুলের আয়োজনটা অনেক সময় মানুষ টের পায় বা লক্ষ্য করে, অনেক সময় পায় না।
লেখাটা পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম। প্লাসটা প্রেরণা যুগিয়ে গেল।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেখছি, আমি আনন্দ করতে গিয়ে বড় এলাকায় প্রবেশ করেছি

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: বড় এলাকায়???

৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাশাপাশি কি আপনার আগের বইগুলোও থাকছে মেলায়?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: না, আমার গত বছরের অবশিষ্ট সবগুলো বই আমি প্রকাশকদের কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। কেউ যদি চায়, তবে কুরিয়ারে পাঠাতে পারি। কাছাকাছি কোথাও বাসা হলে হ্যান্ড ডেলিভারীও করতে পারি। আগামী ২০ তারিখের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিকেল ৫টা থেকে মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত মেলায় উপস্থিত থাকার আশা রাখি। কেউ আগে জানালে মেলাতেও বাই হ্যান্ড ডেলিভারী দিতে পারি।

৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পুশ কথন পড়ে ভাবতে বসেছি- আমার জীবনে কোন 'পুশের' ঘটনা ঘটেছে কিনা, বা কোন 'পুশ' আমার কাজে লেগেছে।

''প্রেমের একটি ফুল ফুটুক, শুষ্ক হৃদয়েই।'' কাব্যগ্রন্থের নামটাই একটা কবিতা বলে মনে হচ্ছে। প্রচ্ছদ কে করেছেন?
অসাধারন একটি কাজ করেছেন শিল্পি।
সংগ্রহের তালিকায় রাখলাম।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবার জীবনেই পুশ পুল ফ্যাক্টর কাজ করে থাকে। অনেক সময় মানুষ সেটা টের পায় বা লক্ষ্য করে, অনেক সময় পায় না।
আগামী ২০ তারিখের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিকেল ৫টা থেকে মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত মেলায় উপস্থিত থাকার আশা রাখি। আপনার প্রকাশকের আর আমার প্রকাশকের স্টল দুটো পাশাপাশি। যদি এর মধ্যে কখনো মেলায় আসেন, জানাবেন। আপনার উপস্থিতেই আপনার বই কিনবো বলে আশা রাখছি, সাথে অটোগ্রাফ।
আমার প্রকাশকের ঠিক মুখোমুখি উল্টোদিকে "ভোরের শিশির" নামে একটা প্রকাশনী স্টল আছে। ওরাই আমার এ বইটার প্রচ্ছদ ডিজাইন করেছে। চপল নামে একজন শিল্পী এ প্রচ্ছদ করেছেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শুভেচ্ছা রইল প্রেমের একটি ফুল ফুটুক, শুষ্ক হৃদয়েই কাব্যগ্রন্থটির জন্য্ ।
কামনা করি প্রেমের একটি ফুল ফুটুক, শুষ্ক হৃদয় ভরে যাক পুষ্পে পুষ্পে ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ডঃ আলী। আশাকরি, আমার এ বইটা মেলায় দেরীতে এলেও আপনাদের সবার শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে সম্মানিত হবে।
আপনার পরের কামনাটির সাথে কন্ঠ মিলাচ্ছি.... সুন্দর এ কামনা সত্য হোক!
সাহিত্য চোরদের দৌরাত্মে বড় বিরক্তিতে আছি, আলী ভাই। বিলিয়ার রহমানের লেখা পড়ে প্রথম জানতে পারলাম, লেখা চুরি যাওয়া কুলীন কবি লেখকদের সাথে অবশেষে আমার নামটাও যুক্ত হয়েছে! আমার মায়াবতী মেঘ কবিতাটি সামুতে প্রকাশিত হবার তিন মিনিটের মাথায় একজন নরাধম কুম্ভিলক সেটা চুরি করে তার নিজের ফেইসবুক পেইজে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছে এবং সেটা ব্যাপক 'লাইক' আর বাহবা পেয়েছে।
এতদিন নিশ্চিন্ত ছিলাম। এখন ব্যাপারটি জানতে পেরে বিরক্তি আর উৎকন্ঠায় আছি।

১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:


সংগ্রহ করার চেষ্টা করবো ..............
শুভকামনা রইলো ।
ভালো থাকুন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: সংগ্রহ করার চেষ্টা করবো .............. -- এ জন্য অনেক, অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। শুভেচ্ছা...

১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৫

টুশকি বলেছেন: বাহ, সবাই তো ধাক্কা আর টানাটানি থেকে পজিটিভ কিছু করতে পারেনা, অনেকে (যেমন আমি) চ্যাপ্টা হয়ে যায়।
মির্জাপুর নাম শুনলেই মির্জাপুর ডবল চেম্বার টি-ব্যাগ মনেহয়।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: চ্যাপ্টা হয়ে যাবেন কেন? একদিকে পুশ আর আরেকদিকে পুল সক্রিয় থাকলে তো আপনার ব্যালেন্সেই থাকার কথা!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।

১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৬

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: প্রেমের একটি ফুল ফুটুক, শুষ্ক হৃদয়েই। নামটি সুন্দর তো! আশা করি বইটি প্রত্যাশা পূরণ করবে পাঠকের,আমাদের।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট্ট প্রশংসা, ছোট্ট মন্তব্য আর প্রেরণাদায়ক আশাবাদ- যেন অনেক কিছু দিয়ে গেল। আন্তরিক ধন্যবাদ!
নামটা নিয়ে দ্বিধান্বিত ছিলাম। আপনারা সুন্দর বলছেন, ভাল লাগছে।
জগতের কাকতালীয় কিছু ব্যাপার স্যাপার নিয়ে আপনার লেখা একটা পোস্ট পড়ে আপনার দ্বিতীয় পুরাতনতম পোস্টে গিয়ে দেখি সেখানেও একটা কাকতালীয় ব্যাপার রয়েছে। আজ থেকে ঠিক এক বছর আগেও আমি একবার সেখানে গিয়ে আপনাকে সুস্বাগতম জানিয়ে এসেছিলাম! যদিও, সেটা অদ্যাবধি আপনার নজরে আসেনি। পোস্টটার নামঃ বিশ্বের সুন্দরতম আর নান্দনিক ব্যাংকনোট আমার বাংলাদেশের!!!
আরো কাকতালীয় ব্যাপার এই যে, সেখানে পুনরায় একটা মন্তব্য করে দেখি, দুটো মন্তব্য একই তারিখে, একই ঘন্টায়, একই মিনিটে করা হয়েছে, শুধু দুটো সালের মধ্যে এক বছরেরও ব্যবধান। সত্যিই কাকতালীয় ব্যাপার, তাই না?

১৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: অভিনন্দন।

আপনার পুশ কাহিনী শুনে অভিভূত হলাম। আসলে মানুষের বলা দু'একটি কথা জীবনে বড় ধরণের পুশ করতে পারে।

তবে আপনার জীবনের ব্যাক কাহিনী শোনানোর অনুরোধ থাকল।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
তবে আপনার জীবনের ব্যাক কাহিনী শোনানোর অনুরোধ থাকল -- আমার আর্কাইভে গিয়ে দেখেন, সেখানে নভেম্বর ২০১৫ থেকে "আমার কথা" নামে মোট ৩১ পর্বের একটা সিরিজ লিখেছি। একটা একটা করে পড়া শুরু করতে পারেন, তাতে আমাদের সময়ের দেশ ও সমাজের কিছুটা চিত্র দেখতে পাবেন।

১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: অভিনন্দন!!!!!!!!!!!!!!!

লেখা হিট হইছে আইমিন চুরি হইছে ভাইজান!!!:):)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: কি আর করা!
ব্যাপারটা জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দেয়া ছাড়া!

নীরব আহমেদের এই চুরি করে পোস্টকৃত স্ট্যাটাসে যারা 'লাইক' দিয়েছেন, তাদের মধ্য থেকে আমি ৫/৬ জনের কাছে নীচের এ মেসেজটা পাঠিয়েছি। নীরব আহমেদ এর পোস্টেও কমেন্ট দিয়েছি। তাছাড়া এই চোরকেও একটা মেসেজ পাঠিয়েছিঃ
আপনি জনাব Nirab Ahmed এর একটা ফেইসবুক পোস্ট এ ‘লাইক’ দিয়েছেন, যেটা মূলতঃ আমার লেখা। জনাব নীরব আহমেদ অতি নীরবেই আমার একটা পোস্টের প্রথম অনুচ্ছেদটুকু টুকে নিয়ে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। আমি তার এ দুষ্কর্মের নিন্দা করছি এবং আপনি যেহেতু আমার লেখা থেকে চুরি করা তার এ পোস্টটাতে ‘লাইক’ দিয়েছেন, সেজন্য ব্যাপারটা আপনাকেও জানাচ্ছি। আমি নীরব আহমেদকেও এই মেসেজটা দিচ্ছিঃ
জনাব নীরব আহমেদ, আসসালামু আলাইকুম! আমি সামহোয়্যার ইন ব্লগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ তারিখে সকাল ১০টা ০৪ মিনিটে একটা পোস্ট দেই। মাত্র ২৪ ঘন্টাও পার হতে পারেনি, তার আগেই আপনি আমার পোস্ট থেকে প্রথম অনুচ্ছেদটি হুবহু চুরি করে গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ তারিখে আপনার ফেইসবুক পেইজে নিজের নামে পোস্ট করেছেন। অন্যের লেখা চুরি করে আর যাই হোক, কবি সাহিত্যিক হওয়া যায় না। আমার পোস্টের কথাগুলো যদি আপনার ভাল লেগে থাকে, তবে তা শেয়ার কিংবা উদ্ধৃত করার আগে আমার পূর্বানুমতি নেয়া প্রয়োজন ছিল। আপনার এ দুষ্কর্ম চিরদিন অন লাইনে আপনার বন্ধু বান্ধব এবং ভবিষ্যৎ বংশধরদের কাছে আপনার জন্য কালিমার স্বাক্ষর হয়ে থাকবে। আমার মূল লেখাটির লিঙ্কঃ

১৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
অভিনন্দন আপনার তৃতীয় কাব্য গ্রন্থের জন্য!!
নামটি চমৎকার হয়েছে!!!! প্রেমের একটি ফুল ফুটুক, শুষ্ক হৃদয়েই।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: নামটির প্রশংসা পেয়ে প্রীত হ'লাম।
লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। অভিনন্দনে অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: স্যার আপনার পুশ, পুল গল্পে যে বার্তাটি জানান দিয়ে গেলেন সত্যিই আনন্দের বার্তা, পাঠক খুজে নিবে তাদের খোরাক। আপনার বইটি পাঠক দ্বারে পৌছে যাউক সেই প্রত্যাশা।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এই সহৃদয় প্রত্যাশার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

ক্লে ডল বলেছেন: বাহ! নামটি মন ছোঁয়া। লিটন ভাইয়ের সাথে একমত। কাব্যগ্রন্থের নামটাই একটা কবিতা। দোয়া রইল বইটির জন্য।

আপনার লেখাগুলোতে অসম্ভব কোমলতার ছোঁয়া থাকে। পুল পুশ দিয়ে অনুপ্রেরণার ব্যাপারটি চমৎকার বুঝালেন। :)

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য, এবং আপনার মন্তব্যকে ফেলে রেখে পরের মন্তব্যগুলোর উত্তর আগে দেয়ার জন্য। অনেকদিন আপনার কোন পোস্ট পড়া হয়নি। ইচ্ছে ছিল, আপনার কয়েকটা পোস্ট পড়ে নিয়ে পরে আপনার মন্তব্যের উত্তর দিব। সেটা করতে গিয়ে স্মৃতি প্রতারণার শিকার হয়েছি।
আমার এবারের বই এর নামটি আপনার এবং আরো অনেকের ভাল লেগেছে জেনে খুব খুশী হয়েছি। বইটির প্রাথমিক নাম দিয়েছিলাম "প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনার পংক্তিমালা"। কিন্তু বই এর পান্ডুলিপি জমা দেয়ার পর প্রচ্ছদ শিল্পী জানালেন, একই নামে তিনি আরেকটা বই এর প্রচ্ছদ করেছেন বা দেখেছেন। এমনিতেই আমি অপরাধী ছিলাম কারণ আমি পান্ডুলিপিটাই জমা দিয়েছিলাম মেলা শুরু হওয়ার তিন দিন পর। এমতাবস্থায় নতুন শিরোনাম খোঁজার জন্য কালক্ষেপনের সময় ছিলনা। তাই বই এর প্রথম কবিতাটার শেষ লাইনটা থেকেই বই এর শিরোনাম চয়ন করে প্রকাশককে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দিলাম। এই হচ্ছে বই এর নামকরণের কাহিনী। এখন দেখছি, তাড়াহুড়ো করে যা করেছি, তা মন্দ হয়নি। :)
আপনার লেখাগুলোতে অসম্ভব কোমলতার ছোঁয়া থাকে। পুল পুশ দিয়ে অনুপ্রেরণার ব্যাপারটি চমৎকার বুঝালেন -- আমার শ্রম সার্থক হলো। ধন্যবাদ, এমন উদার মন্তব্যের জন্য।

১৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া সবার প্রথম কপিটা কে পেয়ে যাবে ভাবছি!!! মানে চিন্তায় আছি!!!!! :(

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবার প্রথম কপিটা যে কে পেল, মানে কিনলো, তা আমারও জানা নেই। বইটি স্টলে আসার কথাছিল ২০ ফেব্রুয়ারী তারিখে, কিন্তু প্রকাশকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেটা চলে আসে ১৭ তারিখেই, দুপুরে। আমি সেদিন একটা পিকনিকে ঢাকার বাইরে ছিলাম। দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে সেলফোন বন্ধ রেখেছিলাম। এদিকে দুপুর থেকেই প্রকাশক খবরটা আমাকে দেয়ার জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন। অবশেষে রাতে বাসায় ফিরে ওনার সাথে যোগাযোগ হবার পর খবরটা জেনে আমি ভীষণ খুশী হয়েছিলাম। কারণ, প্রকাশককে আমি পান্ডুলিপিটা দিয়েছিলামই মেলা শুরু হবার তিনদিন পর।
যাক, প্রথম কপিটা কার হাতে গেল, সেটা জানার এখন আর কোন উপায় থাকলোনা। পরদিন মেলায় গিয়ে জিজ্ঞেস করাতে প্রকাশকের লোক আমাকে জানালেন, প্রথমদিন (১৭ তারিখে) বিকেলে বইটার দু'টি কপি অজ্ঞাত ক্রেতার নিকট বিক্রী হয়েছে। তবে প্রথম কপি না হলেও, বইটার একটা কপি যে আপনার পড়ার ঘরে উঠেছে, সে ছবি দেখে আমি আপ্লুত হয়েছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ, শায়মা।

২০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: এতো খুবই ভাল খবর। অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখছি। একজন লেখকের জন্য এটা একপ্রকার স্বপ্ন। বই ই জন্ম দিতে পারে একজন প্রকৃত লেখকের। আপনি এগিয়ে যান অনেক অনেক দূর। এই কামনা করছি। শুভেচ্ছা অফুরান।

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী অরুনি মায়া, এটা এক প্রকার স্বপ্নই বটে। আর এ স্বপ্নটা সার্থক হয় যখন বইটা আপনাদের মত কবিতানুরাগী পাঠকের হাতে পৌঁছে।
আপনি এগিয়ে যান অনেক অনেক দূর। এই কামনা করছি। শুভেচ্ছা অফুরান -- আপনার এ আন্তরিক শুভেচ্ছাবাণী স্পর্শ করে গেল...

২১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৫

সুমন কর বলেছেন: আপনার পুশের বা ধাক্কার পিছনের কাহিনীগুলো জেনে ভালো লাগল। অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।
+।

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, সুমন কর। আপনার প্লাসটা অনেক প্রেরণা দিয়ে গেল...

২২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:০৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার বই প্রকাশের পেছনের কাহিনী জেনে ভালো লাগল।
অভিনন্দন খায়রুল আহসান ভাই।
বইয়ের নামটি সুন্দর হয়েছে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: বই এর নামটা এপ্রিশিয়েট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, উম্মে সায়মা। নাম করণের কাহিনীটা ১৮ নং প্রতিমন্তব্যে ব্যাখ্যা করেছি, আশাকরি একটু দেখে নেবেন।
মন্তব্যে অনেক প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

২৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৬

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আমি আপনার সেই অসাধারণ কাকতালীয় মন্তব্য মিস করে রীতিমতো পাপ করেছি। আমাকে ক্ষমা করবেন।
প্রথমটি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ভোর ৬.৫১ আর এটা ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ৬.৫১। কি অদ্ভূত! কি অদ্ভূত কাকতালীয় ব্যাপার!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, অবশ্য সকাল ও সন্ধ্যার একটা তফাত রয়ে গেছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: শুভকামনা!!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন!

২৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৪৩

শোভনের শোভন বলেছেন: অনেক শুভকামনা!

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, শোভনের শোভন। মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো...

২৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৬

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ু পুল পুশের গল্প বেশ ভাল লাগল । সেই সাথে লেখকের একটি মজার মন্তব্য পাশের মানুষকে জোরে পড়ে শুনালাম । জীবনে পুল পুশ ছাড়া কিছুই জমে না । লেখকের জন্য শুভ কামনা ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, নুরুন নাহার লিলিয়ান, আমার এ লেখাটা পড়ার জন্য, উপভোগ করার জন্য এবং লেখকের একটি মন্তব্য পাশের মানুষকেও শোনাবার জন্য। অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
বইমেলা থেকে শেষের দিনে একেবারে শেষ মুহূর্তে আপনার "অরোরা টাউন" নিয়ে এসেছি। সময় নিয়ে পড়বো বলে আশা রাখি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.