নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আমার বন্ধু জামান, অনেক প্রতিভা ও গুণের অধিকারী। ওর সব গুণের চেয়ে আমার বিবেচনায় সবচেয়ে বড় যে গুণটি সেটি হলো শত প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেও ধীর স্থির এবং প্রতিক্রিয়াহীন থাকার সক্ষমতা। গত কয়েক বছর ধরে জানি যে ক্রমাগতভাবে ওর উপর দিয়ে নানা রকমের ঝড় ঝঞ্ঝা বয়ে চলেছে। প্রথমে ওর বড়ভাই দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে কয়েকবার সিঙ্গাপুরে যাওয়া আসা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। এর কিছুদিন পরে সে নিজেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। ইউনাইটেড হাসপাতালে বাইপাস সার্জারীর পর সে ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক, সুস্থ জীবন ফিরে পায়। ২০১৬ সালে সস্ত্রীক হজ্জ্বে যায়। হজ্জ্বব্রত পালন শেষে একেবারে শেষের পর্যায়ে ভাবী অসুস্থ হয়ে পড়েন। নির্ধারিত ফ্লাইটের আগেই ওরা দেশে ফিরে এসে ভাবীর চিকিৎসা শুরু করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর ডাক্তার ঘোষণা করেন, তিনি প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারে আক্রান্ত। দেশেই একটা জরুরী সার্জারীর পর তাকে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর শুরু হলো দেড় দু’মাস পর পর ভাবীকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়া আসা করা। এর মধ্যে ভাবী বেশ খানিকটা সুস্থও হয়ে উঠলেন। তখন ওদের একমাত্র মেয়ের পূর্ব নির্ধারিত বিয়ের তারিখ কিছুটা পরিবর্তন করে অনুষ্ঠানটি সুসম্পন্ন করা হলো। ভাবীকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেখতে পেয়ে আমরা অর্থাৎ ওদের বন্ধুরাও খুব খুশী হয়ে উঠলাম। এর অন্যতম কারণ, ভাবী খুবই একজন প্রাণবন্ত, হাসিখুশী মহিলা ছিলেন। যেকোন অনুষ্ঠানে উনি নিমেষেই আসরের মধ্যমণি হয়ে উঠতে পারতেন। আমাদের বন্ধুদের ছেলেমেয়েদের বিয়ের অনুষ্ঠানে তাকে দেখতাম, তিনি নিজেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বন্ধুদের সাহায্য করার নিমিত্তে অভ্যর্থনাকারী বনে যেতেন। বন্ধুদের হয়ে তিনি তাদের মেহমানদের দেখভাল করতেন এবং একেবারে শেষের পর্বে নিজে ভোজে অংশ নিতেন। আমরা ভেবেছিলাম, এমন একজন সজ্জন এবং পরোপকারী ব্যক্তি এত তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন না। সকলের দোয়ায় তিনি ক্রমেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গত কয়েকমাস আগে তিনি পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন। সিঙ্গাপুর নেয়া হলে সেখান থেকে জানানো হলো, এখন একমাত্র চিকিৎসা রোগ যন্ত্রণার উপশম করা, আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা নেই!
এতসব দুর্যোগের মাঝেও জামান সর্বংসহা পাহাড়ের দৃঢ়তা নিয়ে তার পারিবারিক, সামাজিক দায়িত্ব সবকিছুই পালন করে গেছে। বন্ধুদের সাথে আলাপচারিতার সময় তার অভিব্যক্তিতে কখনোই তার ভেতরে প্রবাহমান উত্তাল সুনামীর ঢেউ খেলে যায়নি। সেসব ঢেউ সে তার অন্তরের অভ্যন্তরীণ পর্বতমালা দিয়ে ঠেকিয়ে রেখেছে। তিন চারদিন আগে খবর পেলাম, ভাবী পুনরায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর আগেও তিনি যখন কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, আমার স্ত্রী দুই একদিন গিয়ে তাকে দেখে এসেছিলেন। কিন্তু গত পরশুদিন থেকে আমি নিজেই জামান ও ভাবীর জন্য ভীষণ দুঃখবোধ করতে থাকলাম। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামায পড়ার সময় ভাবীর কথা মনে হওয়াতে আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন এর কাছে তার জন্য দোয়া করলাম, তার মাগফিরাত কামনা করলাম। মনটা খারাপ লাগছিল বলে মাসজিদ থেকে বাসায় ফিরে এসে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে রওনা হ’লাম। সেখানে গিয়ে শুনি তিনি তখন শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। ডাক্তাররা শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। আমরা কক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে তার জন্য মনে মনে দোয়া পড়ে যাচ্ছিলাম। ভেতরে ভাবীর নিকটাত্মীয়রা তার পরিচর্যা করে যাচ্ছিলেন। জামান মাঝে মাঝে বের হয়ে এসে বাইরে অপেক্ষমান তার বন্ধু ও বন্ধুপত্নীদের সাথে কিছু নৈমিত্তিক আলাপচারিতা চালিয়ে যাচ্ছিল। একবার সে কোমর ধরে মেঝেতে বসার মত হলো। বুঝা গেল, দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ওর কোমর ধরে গেছে। ভাবীরা চেয়ার ছেড়ে উঠে তাকে বসার অনুরোধ জানালেন। আমি আর আমাদের আরেক বন্ধুও ওর সাথে দাঁড়িয়ে আলাপ করছিলাম। আমরাও ওকে অনুরোধ করলাম চেয়ারে বসার জন্য। ও হাসিমুখে বললো, “ভাবীরা দাঁড়িয়ে থাকবেন আর আমি চেয়ারে বসে থাকবো, শোকের মাত্রা যতই হোক না কেন, এও কি সম্ভব?”
দেড় দু’ঘন্টা সেখানে অবস্থান করে আমরা যখন বাসায় ফিরে আসি, তখন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসে কিছু নতুন টেস্ট দিয়েছিলেন। ভোরে ফজরের নামায পড়েই খবর পাই, ভাবী আর টেস্ট রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করেন নাই। তার আগেই তিনি পরপারে চলে গেছেন। তাড়াতাড়ি হাসপাতালে গিয়ে দেখি, জামান এবং ওর আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধবেরা নীচে লবীতে অপেক্ষা করছে, মরদেহ নিয়ে বাড়ী ফিরে আসার জন্য। এমন পরিস্থিতিতে মুখে কথা বলা কঠিন হয়ে পড়ে। ওর সাথে নীরবে কাঁধ মিলালাম, ওর ভারী বুকের কিছুটা ওজন অনুভব করলাম। দু’চারটে কথা হলো- ও জানালো, ফজরের নামায পড়ে ও ভাবীর মাথার নীচে হাত রেখে ওনাকে কমফোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছিল। ওর হাতের উপরেই মাথা রেখে ভোর ঠিক পাঁচটা এক বা দুই মিনিটের সময় ভাবী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন! লক্ষ্য করলাম, এ কথা বলার সময় এই প্রথম যেন একটা অটল পাহাড় কিছুটা নড়ে উঠলো!
আমরা নিকট প্রতিবেশী। আমাদের স্থানীয় মাসজিদেই ভাবীর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ের একটু আগে আগেই মাসজিদে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি আমাদের অনেক বন্ধু এবং জামানদের অনেক শুভানুধ্যায়ী সেখানে একত্রিত হয়েছে। এর আগে কখনো আমি আমাদের এতজন বন্ধুকে একত্রিত হতে দেখিনি। ফরজ চার রাকাত নামাযের পর ইমাম সাহেব নামাজে জানাযার ঘোষণা দিলেন। জানাযার নামাযের আগে আগে মৃত ব্যক্তির নিকট-ওয়ারিশদের মধ্য থেকে একজনের দাঁড়িয়ে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে দু’চারটে কথা বলে তার পক্ষ থেকে উপস্থিত মুসল্লীদের কাছে মা’ফ চেয়ে নেয়ার রেওয়াজ প্রচলিত আছে। ভেবেছিলাম, তদনুযায়ী জামান হয়তো কিছু বলবে। কিন্তু দেখলাম, ও নয়, ওদের বড় ছেলে দাঁড়িয়ে গেল। বুঝলাম, জামান বেদনা ভারাক্রান্ত বলেই হয়তো কিছু বলতে চায়নি। সুনামীর চোরাস্রোত হয়তো এবারে পাহাড়ের তলদেশে ক্ষয় ধরিয়েছে। আর তা ছাড়া ও কখনো লৌকিকতা পছন্দ করেনা বলেই জেনে এসেছি। জীবনে অনেক ভাল ভাল কাজ ও লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকেই করে গেছে।
ওদের বড় ছেলেটা খুব সুন্দর করে ওর মাকে ইন্ট্রোডিউস করে বললো, “আমার মা জীবনে কারো উপরে কখনো বেশীক্ষণ রাগ করে থাকতে পারতেন না। পরিচিত অপরিচিত কারো কোন বিপদের কথা শুনলে তিনি সাহায্য করতে ছুটে যেতেন। এখানে উপস্থিত আপনাদের মধ্যে কেউ যদি কখনো আমার মায়ের উপরে রাগ করে থাকেন, আমি তার ছেলে হয়ে মায়ের পক্ষ থেকে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আপনারা আমার মাকে মাফ করে দিবেন। আমি জানি এখান থেকে আমার মা যেখানে চলে গেছেন, সেখানে তিনি সাথে করে কারো উপর কোন রাগ নিয়ে যাননি। আপনারাও তার উপর রাগ করে থাকলে তাকে ক্ষমা করে দিবেন"। আরও অন্যান্য কিছু কথার সাথে ওর এই কথাগুলো আমার কানে লেগে আছে। আমরা যারা ওদেরকে চিনি, তারা জানি সে এতটুকুও মিথ্যে বলেনি। ওর কথা শুনে আমার চোখ দুটো আর্দ্র হয়ে উঠেছিল।
নামাযে জানাযার পর ভাবীকে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ওনার দুই ছেলে আর খুব সম্ভবতঃ মেয়ে জামাই ক্ববরে নেমে তার দেহকে অন্তিম শয্যায় শায়িত করে। ওরা ওপরে উঠে এলে শুরু হয় মাটি দেয়া, আমিও একটু মাটি হাতে নিয়ে ক্ববরের উপর ছিটিয়ে দিয়ে মৃদুস্বরে পাঠ করতে থাকলাম সেই অমোঘ সত্য বাণীঃ
"মিনহা খালাকনাকুম,
ওয়া ফিহা নুয়িদিকুম,
ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম
তারাতান উখরা।"
"এই মাটি থেকেই তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে, এখানে তোমাদের ফিরে আসতে হবে, এবং এখান থেকেই আরো একবার তোমাদেরকে উল্থিত করা হবে।"
ফিরে আসার সময় ঘুরে ঘুরে থেমে থেমে সেখানকার বিভিন্ন ক্ববরের উপর স্থাপিত বিচিত্র ধরণের সব স্মৃতিফলক পড়ছিলাম। স্মৃতিফলকের উপর উৎকীর্ণ মৃত ব্যক্তিদের পরিচিতিমূলক নানা বিশেষণে ভূষিত কিছু বাণী পড়ে মনের মধ্যে ভেসে উঠছিলো অনেক দিন আগে পড়া একটি বিখ্যাত ইংরেজী কবিতার কিছু কথাঃ
Death the Leveller
The glories of our blood and state
Are shadows, not substantial things;
There is no armour against Fate;
Death lays his icy hand on kings:
Sceptre and Crown
Must tumble down,
And in the dust be equal made
With the poor crookèd scythe and spade.
Some men with swords may reap the field,
And plant fresh laurels where they kill:
But their strong nerves at last must yield;
They tame but one another still:
Early or late
They stoop to fate,
And must give up their murmuring breath
When they, pale captives, creep to death.
The garlands wither on your brow,
Then boast no more your mighty deeds!
Upon Death's purple altar now
See where the victor-victim bleeds.
Your heads must come
To the cold tomb:
Only the actions of the just
Smell sweet and blossom in their dust.
James Shirley
ঢাকা
০৯ অক্টোবর ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবনচক্র এভাবেই চলে আসছে, এটাই অমোঘ নিয়ম, এইটুকুই জীবন - সংক্ষেপে পোস্টের সারমর্মটা রেখে গেলেন, অনেক ধন্যবাদ!
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটি পড়ে মনটা ভারাক্রান্ত হল।
কি মন্তব্য করব বুঝতে পারছি না। এমন একটি স্পর্শকাতর লেখায় লাইক দেব কিনা সেটাও বুঝতে পারছি না।
ভাল থাকুন ভাইয়া।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: কিছু কিছু মানুষকে দুঃখে সান্ত্বনা দিতে হয় না, তারা যেন নিজেরাই ঠিক হয়ে যেতে পারে। আপনার বন্ধু সেরকমই।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব চমৎকার পর্যবেক্ষণ, মুগ্ধ হ'লাম।
মন্তব্যে, প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: এটাই আমাদের জীবন |সুন্দরগুলোকেউ ছাড়তে হবে সব কিছুর মতোই | আপনার বন্ধুর ও পরিবারের জন্য সমবেদনা |
" There is no armour against Fate;
Death lays his icy hand on kings:
Sceptre and Crown
Must tumble down,..."
এটাইতো সত্যি |
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পাঠ ও চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। James Shirley এর কবিতা থেকে উদ্ধৃতিসহ মন্তব্যটি যথার্থ হয়েছে।
৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুবই দুঃখজনক লেখা। কিছুকিছু মানুষ স্মৃতিপট জুড়ে এত জায়গা করে নেন এত জায়গা করে নেন যে কখনো মুছে ফেলা যায় না। মনের গহীনেই তাদের বসবাস গড়ে উঠে স্থায়ীভাবে।
আপনার ভাবির জন্য আল্লাহ্'র নিকট প্রার্থনা রইল, তিনি স্বর্গবাসী হোন।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য এবং প্রার্থনার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা রইলো...
৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় গাজী ভাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। এই চক্রের বাইরে আমরা কেউই নয়। যেতেই হবে আজ নয়ত কাল।
Early or late
They stoop to fate....
তবে আমার বিশ্বাস ভালমানুষ গুলো তাদের কর্মের মধ্যে বেচে আছেন, থাকবেন চীরকাল...
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার বিশ্বাস ঠিকই আছে। ভাল মানুষরা তাদের কর্মের মধ্য দিয়ে চিরদিন না হলেও অনেকদিন বেঁচে থাকে।
কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: লিখাটি পড়ার আগের অবস্থ্যা অার পরের অবস্থ্যার মধ্যে অনেকটা পরিবর্তন বোধ করছি, মৃত্যু স্বাধ সবাইকে নিতে হবে। আপনার বন্ধুর ও পরিবারের জন্য সমবেদনা। আল্লাহ যেন মাইয়্যাতকে জান্নাত দান করেন।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: দোয়া, সমবেদনা এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।
৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪০
মাহিরাহি বলেছেন: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৭
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমাদের সবাইকেই ফিরে যেতে হবে আগে আর পরে।
আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুন।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য এবং দোয়ার জন্য ধন্যবাদ। অনেকদিন পরে এলেন আমার কোন লেখায়। আশাকরি ভালই ছিলেন এবং আছেন।
প্লাসে অনুপ্রাণিত।
১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৮
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
এ যেন এক শোকগাঁথা । মনের মাঝে বেশভাবে অনুভূত হলো মৃত্যুর ঘ্রাণ । আপনার বর্ণনা থেকে বুঝতে পারলাম জামান সাহেব অত্যন্ত ধৈর্য্যশীল একজন মানুষ । তাই তিনি অনেককিছুই বুকের মাঝে রেখে দিয়েছেন, কাউকে বুঝতে দেন নি । সহধর্মীনির মৃত্যুতে কিঞ্চিৎ ধৈর্য্যচূত হয়েছেন ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ঠিকই বুঝেছেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট (সেপ্টেম্বর/২০১৫) আবারও! পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি। আশাকরি, সময় করে দেখে নেবেন।
১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: গাজী ভাইয়ের মতই বলতে হয় এই চক্রের মাঝে সবাই কে যেতে হবে ;
মন্টা আদ্র হয়ে উঠলো ,একদিন আমার ছেলে ও হয়ত এভাবে বলার জন্য দাঁড়াবে ,ঠিক এতখানি কি বলতে পারবে ? রেখে যাচ্ছি কি এমন কিছু !!
আপনার বন্ধুর কথা পড়ে মনে হল উনার ব্যপারে আপনার বিশেষণ গুলো যথার্থ ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: একদিন আমার ছেলে ও হয়ত এভাবে বলার জন্য দাঁড়াবে ,ঠিক এতখানি কি বলতে পারবে ? রেখে যাচ্ছি কি এমন কিছু!! - এ চিন্তাটা আমার মাথায়ও এসেছিলো।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একসময়ের আলিঙ্গন করা মৃত্যু কিন্তু শেষ বয়সে ভালই নাড়াচাড়া দেয়।। যে তার বাবা-মায়ের মৃ্ত্যুতেও চোখ থেকে পানি ঝড়ায় নি, তাকেই দেখছি অঝোরে কাঁদতে!!
আসলেই কিন্তু সময় মানুষকে অনেক বদলে দেয়।।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: সময় মানুষকে অনেক বদলে দেয় - ঠিক বলেছেন।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হয়েছি।
১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন । জীবন বোধ ও করনীয় বিষয়ের অনেক মুল্যবান কথাই লেখটিতে ফুটে উঠেছে ।
চরম সত্য কথাটি আল্লাহ সুন্দর করে বলে দিয়েছেন ,
"এই মাটি থেকেই তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে, এখানে তোমাদের ফিরে আসতে হবে, এবং এখান থেকেই আরো একবার তোমাদেরকে উল্থিত করা হবে।"
সত্য সুন্দর মুল্যান কোরানের কালামটিকে হৃদয়গ্রাহী করে উপস্থাপনের জন্য ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ লেখাটি আপনার মনযোগী দৃষ্টি লাভ করেছে দেখে অত্যন্ত প্রীত ও অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন।
১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৫
মিরোরডডল বলেছেন: So sad to hear. Death is the most tragic and unavoidable incident in our life.
We all have to go through this. I wish your friend and his family will be strong enough to face this reality. May Allah keep her soul in peace.
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এভাবেই বুঝি একদিন জীবন শেষ হয়ে যায়।
উনি জান্নাতবাসী হোক এই কামনা।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এভাবেই বুঝি একদিন জীবন শেষ হয়ে যায় - জ্বী, দেখতে দেখতে এভাবেই একদিন জীবন শেষ হয়ে যায়!
দোয়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা...
১৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭
ধ্রুবক আলো বলেছেন: মৃত্যুর আগমন খুবই আচমকা এবং চিরন্তন একটা সত্য।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: মৃত্যুর আগমন খুবই আচমকা এবং চিরন্তন একটা সত্য - সবার ক্ষেত্রে আচমকা হয়তো নয়, তবে সবার জন্য অবধারিত।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
১৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২
সুমন কর বলেছেন: মন ভারী করার মতো লেখা এবং ভারী হয়ে উঠল। আমরা সবাই মৃত্যুর কাছে অসহায়।
+।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভারী মন নিয়েই লেখাটা লিখেছিলাম, তাই হয়তো এমন হয়েছে। মন্তব্যে ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১
রাতু০১ বলেছেন: অন্ধকার জগতের শূন্য রোজনামচা তোমার চেতনার অন্ধকার কোণে লিখে যাচ্ছে। শুধুই অপেক্ষা।
মন খারাপ করা লেখা , আপনি ভাল থাকুন।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: দার্শনিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্য এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ,অনেকদিন পরে এসে লেখাটা পড়ার জন্য। ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা রইলো...
২০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: একটু উঁকি মেরে গেলাম। পরে আবার এসে পড়ে কমেন্ট করব।
কেমন আছেন?
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা। আমি ভাল আছি।
অনেকদিন পরে ব্লগে এলেন বলে মনে হয়।
২১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:২৭
ইসমাঈল আনিস বলেছেন: চিনচিনে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে!
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়া এবং মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম দুটো পোস্টে দুটো মন্তব্য রেখে এসেছি। আশাকরি, একবার সময় করে দেখে নেবেন।
২২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৯
করুণাধারা বলেছেন: জীবনের অনিবার্য সত্যকে আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন।
আপনার বর্ণনা খুব ভাল- মনে হচ্ছিল সব দেখতে পারছিলাম, স্বজনহারা মানুষদের শোকও স্পর্শ করল। আরেকবার ভাবলাম আমার শেষদিনটা কোথায়, কেমন হবে! স্বজনেরা পাশে থাকবে তো!
ভাল থাকুন, নতুন নতুন পোস্ট দিতে থাকুন।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আরেকবার ভাবলাম আমার শেষদিনটা কোথায়, কেমন হবে! - এ ভাবনাটা আমারও হয়।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫
শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার বন্ধুর একে একে প্রিয়জন হারানোর বেদনাদায়ক ঘটনা গুলো মনকে ব্যথিত করেছে ।
আল্লাহ উনার বড় ভাই ও স্ত্রীকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন ।
আমীন ।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: দোয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা রইলো...
২৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৯
নীলপরি বলেছেন: খুবই মর্মস্পর্শী লেখা । +++++
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা...
২৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আজ আমার প্রয়াত বন্ধুপত্নীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। তার মাগফিরাতের জন্য সকলের দু'আ কাম্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
জীবনচক্র এভাবেই চলে আসছে, এটাই অমোঘ নিয়ম, এইটুকুই জীবন।