নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই নিয়ে আলোচনাঃ “সুপ্ত স্মৃতি”

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪০



বই পরিচিতিঃ

বই এর নামঃ ‘সুপ্ত স্মৃতি’
বই এর ধরণঃ আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা
লেখকের নামঃ অধ্যাপক গোলাম রহমান খান
প্রকাশকের নামঃ শ্রাবন প্রকাশনী
১৩২, আজিজ সুপার মার্কেট (২য় তলা),
শাহবাগ, ঢাকা-১০০০। সেলফোনঃ ০১৭১৫ ৭৫১১১৭
ই মেইলেঃ [email protected]
উৎসর্গঃ “আকরামের জাগ্রত স্মৃতির উদ্দেশ্যে”
গ্রন্থস্বত্বঃ ডাঃ সেলিনা খান
প্রথম প্রকাশঃ জুন ১৯৯৩, দ্বিতীয় মুদ্রণ সেপ্টেম্বর ২০১৪
পৃষ্ঠা-১০৪, মূল্য: ১৫০.০০ টাকা

লেখকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

অধ্যাপক গোলাম রহমান খান ১৯১৪ সালে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। কোলকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজ ও কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে বিএ, এমএ এবং ল’ পাশ করে ১৯৪১ সালে বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) যোগদান করেন। চাকুরীর দু’বছরের মাথায় বর্ধমান জেলার ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত থাকা কালে তিনি রেটিনাল হেমোরেজে আক্রান্ত হয়ে চিরতরে অন্ধ হয়ে যান। এ কারণে তার চাকুরী চলে গেলে তিনি অসীম মনোবল আর সাহস নিয়ে অন্ধত্বকে পরাভূত করে নিজ যোগ্যতায় শিক্ষক হিসেবে সরকারী চাকুরী পুনরুদ্ধার করেন। কোলকাতা ইসলামিয়া কলেজে শুরু করেন অধ্যাপনার নতুন কর্মজীবন। দেশভাগের পর কালের সাক্ষী হয়ে নাড়ীর টানে চলে আসেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, আজকের বাংলাদেশে। রাজশাহী কলেজ থেকে শুরু করে রংপুরের কারমাইকেল কলেজ, সিলেটের এমসি কলেজ, ঢাকা কলেজসহ অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭২ সালে অবসর গ্রহণের পর বুয়েটে অনারারি শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। তিনি ঢাকা সিটি কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ২০০০ সালের ০৭ নভেম্বর তারিখে এই সাহসী কর্মবীরের জীবনাবসান ঘটে। ‘সুপ্ত স্মৃতি’ অধ্যাপক জি আর খান (এ নামেই তিনি সুপরিচিত ছিলেন) এর সেই সাহসী অভিযাত্রারই এক সংক্ষিপ্ত উপাখ্যান।

আলোচনাঃ

বই এর শুরুতেই বইটির প্রকাশক এবং গ্রন্থস্বত্বের অধিকারী ডাঃ সেলিনা খান একটা চমৎকার ভূমিকা লিখেছেন। মাত্র দু’ পৃষ্ঠার এ সুলিখিত ভূমিকাটুকু পড়েই যাকে নিয়ে বইটি লেখা তার বর্ণাঢ্য কিন্তু সংগ্রামী জীবনের একটা ধারণা পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেনঃ “জীবনের পথে যেতে যেতে বিচিত্র মানুষের সংস্পর্শ তাকে আনন্দ-বেদনায় সঞ্জীবিত করেছে। তাদের কেউ বা প্রজ্ঞায় সমৃদ্ধ, কেউবা অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ। নিজের জীবনের কাহিনী বলতে গিয়ে তাদের সবার কথাই উঠে এসেছে বিচিত্র বর্ণে। যে সময়গুলো হারিয়ে গেছে অতীতে, যে সময়গুলোকে আমরা আর কোনদিন ফিরে পাবো না, সেই সমৃদ্ধ এক যুগের ছবি এই ‘সুপ্ত স্মৃতি’।“ লেখক বইটি উৎসর্গ করেছেন তার বাল্যবন্ধু, সিভিল সার্ভিস অফিসার আকরামকে, যিনি তার অন্ধ জীবনের শুরুতে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন।

কোলকাতার ‘কলেজ স্কোয়ার’ এ তিনি প্রেসিডেন্সী কলেজে এবং পরে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। বই এর শুরুতে তিনি সে আমলের বেশ কিছু প্রথিতযশা অধ্যাপকদের সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন, যা পড়ে বোঝা যায় শিক্ষক ভাগ্যে তিনি কতটা ঐশ্বর্যশালী ছিলেন। বই এর প্রথম অধ্যায়টির শিরোনাম “আঁধারের পথে”। কোলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ‘আই ইনফর্মারি’ তে ডঃ টি আহমেদ যখন অধ্যাপক সাহেবের হাতে ‘ব্রেইল প্রাইমার’ ধরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা শেখ, এ রোগ ভাল হবার নয়’, তখন অধ্যাপক সাহেবের চোখের আঁধারটুকু নিমেষেই মনেও সংক্রমিত হয়ে যায়। তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় তার আঁধারের পথে যাত্রা, সেজন্যেই এ শিরোনাম। মনের এ আঁধার নিয়েই যেদিন তিনি নতুন করে ভাগ্যান্বেষণে বোম্বের ডঃ হালদার এর আমন্ত্রণে “দাদার স্কুল ফর দ্য ব্লাইন্ড” এ যোগদানের উদ্দেশ্যে কোলকাতা ত্যাগ করছিলেন, সেদিন হাওড়া রেল স্টেশনে এসে কোলকাতার মায়ায় তার অন্ধ দু’চোখ অশ্রু ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল। সে সময়ে তার অনুভূতির একটা সুন্দর বর্ণনা তিনি রেখে গেছেন ছোট্ট এ স্বগতোক্তিতেঃ
“হে মোর ধরণীতল,
তোমার লাগিয়া রাখিয়া গেলাম,
দু’ফোঁটা অশ্রুজল”।

এ নতুন অভিযাত্রার নাম তিনি দিয়েছেন ‘আলোর সন্ধানে’। দুই রাত একদিনের রেলপথ পাড়ি দিয়ে তিনি বোম্বেতে প্রথম কয়েকদিন ডঃ হালদারের আতিথ্য গ্রহণ করেন। বহুপুরুষ আগে খৃষ্টধর্ম গ্রহণকারী ডঃ হালদার ছিলেন “একজন সহৃদয় আদর্শ নিষ্ঠাবান খৃষ্টান”। তাকে পাঠকগণ একজন চিকিৎসক ভাবতে পারেন, কিন্তু তিনি আদতে ছিলেন একজন “এমএস (বোস্টন), পিএইচডি (বোম্বে), ডিপ্লোমা ইন ব্লাইন্ড এডুকেশন (হার্ভার্ড)” এর ডিগ্রীধারী পন্ডিত ব্যক্তি। বোম্বেতে তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং ওরিয়েন্টেশন কোর্স শেষ করে লেখক দিল্লীর ডাঃ আগারওয়াল এর শরণাপন্ন হন, মনস্তত্ব ও সূর্যরশ্মির সমন্বয়ে তার বিখ্যাত “সাইকোসোলার” পদ্ধতির চিকিৎসা গ্রহণের জন্য। এ চিকিৎসার ফলে তার দৃষ্টিশক্তি সামান্য বেড়েছিল বৈকি, তবে তা কার্যকরী দৃষ্টিশক্তি নয়। অবশেষে তিনি পুনরায় কোলকাতায় প্রত্যাবর্তন করে, তার যেহেতু ল’ ডিগ্রী ছিল, সেহেতু আইন পেশায় যোগদানের চেষ্টা করতে থাকেন। পাশাপাশি চালাতে থাকলেন অধ্যাপনা পেশায় নিয়োগ লাভের চেষ্টা। একজন অন্ধ ব্যক্তির পক্ষে এসব চেষ্টা চরিত্র করা যে কতটা দুরূহ ব্যাপার, তা সহজেই অনুমেয়।

অবশেষে তিনি নিজ যোগ্যতায় এবং তৎকালীন ডিপিআই আসাদ সাহেব, প্রেসিডেন্সী কলেজের প্রিন্সিপাল ডঃ কুদরত-ই-খুদা, ইসলামিয়া কলেজের প্রিন্সিপাল ডঃ আই এইচ জুবেরী প্রমুখের বদান্যতায় ইসলামিয়া কলেজে ইকনমিক্স এর লেকচারার পদে অস্থায়ী নিয়োগ লাভ করেন। এর ফলে খুলে যায় এক নতুন দুয়ার, তিনি দৃপ্তপদে এ নতুন জগতে প্রবেশ করলেন অনেক সংঘাত কাটিয়ে, নতুন সম্ভাবনার আশা নিয়ে। এদিকে দেশ বিভাগের পালা এগিয়ে এলো। তার কাছে অপশন চাওয়া হলে তিনি দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেলেন। অবশেষে অনেক ভাবনা চিন্তার পর বাংলাদেশের অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পক্ষে অভিমত দিলেন। ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ তারিখে কলেজের চার্জ বুঝিয়ে দিয়ে ১৬ আগস্ট ট্রেন যোগে নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। এদশে এসে তিনি একাধিক্রমে রাজশাহী গভঃ কলেজ, সিলেট এমসি কলেজ, রংপুর কারমাইকেল কলেজ এবং ঢাকা কলেজে অধ্যাপনা করেন। তার এ ছোট্ট বই এ কেবল রাজশাহী আর সিলেটে তার অধ্যাপনা এবং অন্যান্য কার্যাবলীর বিবরণ পাওয়া যায়, অন্যগুলোর পাওয়া যায় না। তার মধ্যে সবচেয়ে বর্ণাঢ্য ছিল তার সিলেটে অবস্থানকালীন জীবন, কারণ এখানে থাকতেই তিনি আসামের এক ধনী পরিবারের মহিলাকে বিয়ে করে তার অনাড়ম্বর সংসার শুরু করেন। কিন্তু কোন এক ভুল বোঝাবুঝির কারণে সেই মহিলা তার বিরুদ্ধে কপটতা ও শঠতার অভিযোগ এনে তাকে ত্যাগ করে চলে যান। তার সে চলে যাওয়ার দৃশ্যটা লেখক অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাষায় তুলে ধরেছেন। এই চলে যাওয়ার দৃশ্যটা দিয়েই বই এর সমাপ্তি টানা হয়েছে, যেখানে লেখকের শেষ ক’টি লাইনঃ

“তারা তিন বোন বাড়ীর উঠান পার হয়ে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে গেট পার হয়ে গেল। আমি রবীন্দ্রনাথের ‘বিদায় অভিশাপ’ থেকে শেষ দু’টো লাইন নিজের মত করে আওড়াতে লাগলামঃ
‘আমি দিনু বর, দেবী,
তুমি সুখী হবে
ভুলে যাবে সর্বগ্লানি পরম উল্লাসে’।

একজন আত্মপ্রত্যয়ী মানুষ তার নিজের উপর আস্থা রেখে অদম্য মনোবল নিয়ে কিভাবে শারীরিক প্রতিকূলতাকে পরাস্ত করে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারে, এ বই তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। লেখকের বর্ণনাগুণে বই এর বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাট ইতিহাস উঠে এসেছে- যেমন দেশবিভাগের সময় লর্ড মাউন্টব্যাটেনসহ ব্রিটিশ শাসকদের মনোভাব; কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, গান্ধী, নেহেরু, জিন্নাহ আর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এর দৃষ্টিভঙ্গী; নেতাজী সুভাস চন্দ্র বোস এর সাহস ও স্পষ্টবাদিতা, ইত্যাদি ইত্যাদি। এ ছাড়াও, সাহিত্যের প্রতি লেখকের অনুরাগ এবং অগাধ পড়াশোনার পরিচয়ও পাওয়া যায় তার বিভিন্ন উদ্ধৃতিতে। সব মিলিয়ে, মাত্র শ’খানেক পৃষ্ঠার এ বইটিকে আমার কাছে সুখপাঠ্য মনে হয়েছে।

(আমি সফলতার গল্প শুনতে ও শোনাতে ভালবাসি!)


ঢাকা
২৮ এপ্রিল, ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

সঞ্জীব ব্যানার্জী বলেছেন: সত্যি অনেক সংগ্রামে লেখকের জিবন কেটেছে। "ব্রেইল প্রাইমার" কি?

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
"ব্রেইল প্রাইমার" হচ্ছে অন্ধদেরকে ব্রেইল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান পদ্ধতির একটি উপকরণ।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ৪ দিন ছুটি
কিছু ভালো বই
পড়তে চাই..

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: পড়ুন। ভাল কথা।

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বুক রিভিউতো নয় যেন এক আলোক পথযাত্রীর সমৃদ্ধ ঝলমলে তারকা দূত্যিময় পথসন্ধান পেলাম!!

সত্যি বিস্ময়কর এক জীবনালেখ্য!

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সিনিয়র আমাদের জানানোয়!

+++++++

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
প্রথম প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভকামনা...

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: রিভিও ভালো লাগলো।

অনলাইনে পাওয়া যাবে?

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: রিভিউ ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। বইটি অনলাইনে পাওয়া যাবে কিনা সে সম্বন্ধে আমি নিশ্চিত নই। তবে প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারেন এই নম্বরেঃ ০১৭১৫ ৭৫১১১৭ অথবা এই ই মেইলেঃ শ্রাবনবুকস@জিমেইল.কম

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

নীলপরি বলেছেন: খুবই অনুপ্রেরণামূলক জীবন । আপনার রিভিউ থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম । ভালো লাগলো রিভিউ ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্যটাও খুবই অনুপ্রেরণামূলক। রিভিউ ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম।
প্লাসে অনুপ্রাণিত।

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: রিভিউ পড়ে মনে হল খুব ভাল লাগবে পড়তে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও তাই আশা করি। আমার ভাল লেগেছে বলেই রিভিউ লিখেছি।

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! সুন্দর জীবনালেখ্য।

অনন্ত শ্রদ্ধা, স্যার আপনাকে।(আমাকে প্রথম পাতায় সুযোগ দেওয়ার পর, প্রথম পোষ্টটি স্যার আপনাকে উৎসর্গ করেছি।যদি একটু পদচারণ করেন, তাহলে কৃতার্থ হই।)

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, অনুপ্রাণিত হ'লাম।
প্রথম পাতায় সুযোগ পাবার পরে লেখা প্রথম পোষ্টটি আমাকে উৎসর্গ করাতে সম্মানিত বোধ করছি। এজন্যেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অবশ্যই যাব সে পোস্টটি পড়তে।

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর রিভিউ লিখেছেন, সঙ্গে বরেণ্য লেখকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে কৃতজ্ঞ করলেন।
বর্ণনীয় বইটি পড়ে দেখার সাধ জাগলো।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: রিভিউ এর প্রশংসায় অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম, প্লাসেও।
বইটি পড়ে দেখার সাধ জাগাতে পেরেছি, এটাই আমার সাফল্য বলে মনে করি।
শুভকামনা রইলো।

৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: একজন আত্মপ্রত্যয়ী মানুষ তার নিজের উপর আস্থা রেখে অদম্য মনোবল নিয়ে কিভাবে শারীরিক প্রতিকূলতাকে পরাস্ত করে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারে, এ বই তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। -- মনে হচ্ছে পড়ে ভালো লাগবে।

দেখি সংগ্রহ করা যায় কিনা।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার পোস্ট থেকে উদ্ধৃতি দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। এতে উৎসাহিত বোধ করছি।
আমারও মনে হয়, বইটি অবসরে পড়তে ভালই লাগবে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


জীবনের বিশাল কষ্টকর পরিস্হিতিকে জয় করেছেন তিনি; তিনি নিজেই গুণী লোক ছিলেন, গুণীদের সহায়তাও পেয়েছিলেন; জীবন সংগ্রামের বড় ইতিহাস।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "জীবন সংগ্রামের বড় ইতিহাস" - জ্বী, সেজন্যেই এই আত্মজৈনিক স্মৃৃতিকথা পড়ে আলোচনা করতে প্রবৃত্ত হয়েছি।
ভাই, আপনার চোখের অবস্থাটা এখন কেমন? আশাকরি যত্ন নিচ্ছেন। চোখের আলো হারিয়ে গেলে দুনিয়ার আলোও হারিয়ে যায়।
ভাল থাকুন।

১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:২৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:


বই এর রিভিউ ভালো লেগেছে। একজন আত্মপ্রত্যয়ীর জীবনের গল্প, আপনার ভাষায় সফল ব্যক্তির গল্প, সফলতার গল্প।
আমি হয়ত কখনোই অন্ধ হয়ে যেতে চাই না।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: রিভিউটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি হয়ত কখনোই অন্ধ হয়ে যেতে চাই না - কে-ই বা তা চায়, বলুন! তবুও তো কারো কারো জীবনে মধ্য দুপুরে অমাবস্যার রাত নেমে আসে!!
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা---

১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:২৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:

বইএর প্রচ্ছদটা ভালো লেগেছে। একটা চশমা দিয়ে হয়ত দেখতে না পাওয়ার তীব্রতাটুকু বুঝাতে চেয়েছেন

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রচ্ছদ নিয়ে ভেবেছেন, সেজন্য ধন্যবাদ। এটা বই লেখক এবং ব্লগ (রিভিউ) লেখক, উভয়ের জন্য এক বিরাট অনুপ্রেরণা। সাধারণতঃ প্রচ্ছদ, শিরোনাম, সমাপ্তি- ব্লগের এসব বিষয়গুলো বেশীরভাগ পাঠকের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়।

১৩| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:০২

শরিফ নজমুল বলেছেন: বইটি পড়েছি। উনি আপনার আত্মীয় হন?

১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: না, উনি আমার কোন আত্মীয় হন না। আপনার কি হন?
বইটি আমার সামনে পড়ে ছিল। হাতে নিয়ে কয়েকটা পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখি, একজন মেধাবী এবং গুণী ব্যক্তির জীবন নিয়ে আলোচনা আছে এতে। মেধাবী এবং গুণী ব্যক্তিদের জীবন নিয়ে কৌতুহল আমার চিরদিনের। ছোট্ট বই, তাড়াতাড়ি পড়ে শেষ করে ফেলি। ভাল লেগেছিল বলে বইটি নিয়ে একটা আলোচনাও লিখে ফেলি। এভাবেই এ আলোচনাটি এখানে এসেছে।
তা মূল বইটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে?
এ ব্লগে আমার পড়া বই নিয়ে আরো কিছু আলোচনা আছে। সেসব বই এর লেখকেরা বিশ্ববিখ্যাত কেউ নন, এমনকি দেশেও লেখক হিসেবে স্বনামধন্য নন। কিন্তু তাদের বই পড়তে আমার ভাল লেগেছিল বলে বইগুলো পড়ার পর রিভিউ লিখেছি। একবার সময় করে দুই একটা রিভিউ পড়ে দেখতে পারেন। আরো যেসব বুক রিভিউ লিখেছি সেগুলো হলোঃ
১। নতুন বই এর পর্যালোচনা- আজো, কেউ হাঁটে অবিরাম
২। নতুন বই এর পর্যালোচনা- বাসন্তি
৩। নতুন বই পর্যালোচনা—চতুষ্কোণ
৪। বই নিয়ে আলোচনা- রক্তে ভেজা একাত্তর
৫। নতুন বই পরিচিতিঃ বসন্তদিন
৬। বই নিয়ে আলোচনাঃ "জীবন এমনই"

১৪| ১৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

শরিফ নজমুল বলেছেন: ধন্যবাদ। আমারও আত্মীয় নন। তবে উনার এক আত্মীয় (লেখকের মেয়ের মেয়ে জামাই ), উনি বইটি আমাকে দিয়েছিলেন।
স্বাভাবিক ভাবেই বইটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছিল।

১৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট - মেলামিন বিপর্যয় উন্মোচন করতে পারে সম্ভবনার নতুন দিগন্ত পড়ে একটা মন্তব্য করে এলাম। একবার সময়ও করে দেখে নেবেন। এমন একটা মূল্যবান আলোচনা অযত্নে অবহেলায় স্বল্প পঠিত হয়ে পড়ে আছে দেখে ব্যথিত হ'লাম।

১৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

শরিফ নজমুল বলেছেন: এটা দিয়ে ব্লগে লিখা শুরু করেছিলাম। তখনো প্রথম পাতায় লিখার অনুমতি ছিল না। পঠিত কম হবার সেটা একটা কারন হতে পারে। সে সময় এটা যায়যায়দিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
ব্লগিং এক সময় খুব এঞ্জয় করেছি। এখন আরে তেমন আসা হয় না।
আবারো ধন্যবাদ।
লিখাটির লিংকঃ
http://www.somewhereinblog.net/blog/SharifNazmul/28944541

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ, ভাল থাকুন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.