নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
তাজুল হক আর নূরুল হক এক পাড়ায় থাকতো। বয়সে নূরুল হক ওরফে নূর ভাই তাজুলের চেয়ে কয়েক বছরের বড়। বয়সের ঐটুকু পার্থক্য তখন কোন ব্যাপার ছিল না। ৫/৬ বছরের ব্যবধানের মধ্যে পাড়ার ছেলেপুলেরা একসাথেই ঘোরাফিরা করতো, খেলাধুলা করতো, পাখি ধরতো, লাট্টূ-ডাংগুলি খেলতো, আবার দুষ্টামিও করতো। এমনকি ঐ পার্থক্য সত্তেও তাদের সবার মাঝে তুই তুকারি সম্পর্কও ছিল। ওরা সবাই নিম্ন মধ্যবিত্ত/মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে ছিল, তবে আর্থিক স্বচ্ছলতার দিক দিয়ে তাজুলদের অবস্থা অন্যান্যদের চেয়ে একটু বেশীই খারাপ ছিল। কম আয়, বেশী সন্তান এর কারণে তাজুলদের সংসারে টানাপোড়েন লেগেই থাকতো, আর সে কারণে তাজুলের বাবা কম বয়সেই রক্তচাপ ও বিবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে খুবই খিটিমিটি মেজাজে থাকতেন। মেট্রিক (তখনো এসএসসি নামটার প্রচলন শুরু হয় নাই) পরীক্ষার আগে তাজুলের বাবা তাজুলকে ডেকে পরিস্কার জানিয়ে দিলেন, প্রথম বিভাগে পাশ করতে না পারলে তার আর কলেজে পড়া হবেনা, তাকে গ্রামে গিয়ে হাল চাষ করতে হবে।। পরীক্ষা দিয়ে তাজুল নিশ্চিত হয়েছিল যে সে প্রথম বিভাগ পাবেনা। তবে মনে মনে আশা ছিল, দ্বিতীয় বিভাগ নিশ্চয়ই পাবে। যেদিন পরীক্ষার ফল বের হলো, সেদিন থেকেই তাজুল বাসা থেকে পালিয়ে গেল, কারণ প্রথম বিভাগ তো দূরের কথা, সে দ্বিতীয় বিভাগও পায় নাই। তৃ্তীয় বিভাগের ফলাফল নিয়ে বাসায় ফিরলে কি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে, সেটা আঁচ করে সে আর দেরী করে নাই। রেল স্টেশনে গিয়ে সামনে যে ট্রেনটা পেল, সেটাতেই উঠে গেল; অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
বেশ কয়েক বছর পরের ঘটনা। নূর ভাই তখন বিএ পাশ করে ঢাকায় এসে একটা চাকুরীতে ঢুকেছে, অফিস সহকারী পদে। তাজুলও তখন ঢাকায় কিছুদিন করে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাসায় এটা ওটা বলে থেকেছে এবং কয়েক বছর পার করেছে। কয়েকজন সহৃদয় আত্মীয়ের বদান্যতায় একটি টাইপিং ও শর্টহ্যান্ড কোর্সে ভর্তি হয়ে সাফল্যের সাথে কোর্স সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে কয়েকটা টিউশনি যোগাড় করে সামান্য কিছু আয় রোজগারও করতে শুরু করার পর সে মুগদাপাড়ার একটি মেসে এসে উঠেছে। হঠাৎ একদিন পাড়ার গলির মুখে নূর ভাই এর সাথে দেখা। দু’জনার অবস্থার পরিবর্তনের কারণে আগের সেই তুই তুকারি সম্বোধনটা কিছুতেই আর ওদের কারো মুখে এলনা। নূর ভাই তাকে সম্বোধন করে তুমি বলে, আর তাজুল তাকে আপনি বলে। তাজুল লক্ষ্য করলো, নূর ভাই এর পোশাক আগের চেয়ে বেশ পরিপাটি, নূর ভাইও লক্ষ্য করলো, তাজুলের শার্টের বগলের নীচে একটু ছেঁড়া, প্যান্টটাও রঙচটা। যাওয়া আসার সময় মাঝে মাঝেই ওদের দেখা সাক্ষাৎ হয়, তাজুল এড়িয়ে যেতে চাইলেও নূর ভাইই ক্ষণিক থেমে ওর ভাল মন্দের কথা জেনে নেয়। একদিন নূর ভাই ওকে সন্ধ্যায় ওনার মেসে আসতে বললেন। তাজুলের সাথে আলাপচারিতায় জানালেন যে তাদের অফিসে কয়েকজনকে টাইপিস্ট পদে চাকুরী দেয়া হবে। তিনি তাকে তার অফিসের ঠিকানা দিয়ে দু’দিন পরে দেখা করতে বললেন। ফিরে আসার সময় তিনি তাজুলের হাতে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে বললেন, আমাদের এখানে পানি থাকেনা, তাই কাপড় চোপড় ধুতে পারছিনা। এখানে আমার একটা প্যান্ট আর একটা শার্ট আছে। তুমি এগুলো ধুয়ে, ইস্ত্রী করে আমার অফিসে আসার সময় নিয়ে আসবা। আর হ্যাঁ, তুমি নিজেও কিন্তু ইস্ত্রী করা শার্ট প্যান্ট পরে আসবা। তাজুল কথাটা শুনে হতবিহ্বল হলো, যারপরনাই লজ্জা পেল, কিন্তু না করতে পারলো না। অসহায়ের মত সে হাতটা বাড়িয়ে কাপড়ের ব্যাগটা নিল।
পরেরদিন তাজুল খুব যত্ন করে কাপড়গুলো ধুচ্ছিল। সাথে নিজেরও একটা প্যান্ট আর একটা শার্ট যোগ করে নিল। তখন গুড়া পাউডারের প্রচলন ছিল না। সাবান মেখে কিছুক্ষণ কাপড়গুলোকে ভিজিয়ে রেখে তারপর ধুতে হতো। তাজুল কাপড়গুলো ধুচ্ছিলো আর তার চোখে একের পর এক স্বপ্নের দুয়ার খুলে যাচ্ছিল। সে সকাল বিকাল ধোয়া কাপড় পড়ে অফিসে যাবে আসবে, সপ্তাহে একদিন ছুটি পাবে, মাস শেষে বেতন পাবে। নানান কিছু ভাবতে ভাবতে তার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে ভেজা কাপড়গুলোকে আরো কিছুটা ভিজিয়ে দিচ্ছিল, কিন্তু তবু কেন জানি সে কিছুতেই নূর ভাইকে দোষারোপ করতে পারছিল না। সে বরং নূর ভাই এর প্রতি অতিশয় কৃতজ্ঞ বোধ করছিল, অনটনের জোয়াল টানা থেকে তাকে মুক্তি দেয়ার তার এই সদিচ্ছার জন্য।
বিকেলে ধোয়া কাপড়গুলো নিয়ে তাজুল পাড়ার একটি লন্ড্রীতে নিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ইস্ত্রী করে আনলো। অনেকদিন পর সে নিজের কাপড়ও ইস্ত্রী করালো। এতদিন ধরে সে ধোয়া কাপড় কয়েকদিন তোষকের নীচে রেখে ভাঁজ ফেলে পরে এসেছে। কাল সে ইস্ত্রী করা কাপড় পরে ইন্টারভিউ দিতে যাবে। ইন্টারভিউতে তার একটা টাইপিং টেস্ট নেয়া হয়েছিল। তাজুল পরে জেনেছিল সেটা ছিল নিমিত্ত মাত্র। আসলে সে নূর ভাই এর জোর সুপারিশেই চাকুরীটা পেয়েছিল।
আমার এ গল্পের নায়ক সেই তাজুল সাহেব সেই যে সেদিন চাকুরীতে ঢুকেছিলেন, সেখানেই একটানা চল্লিশ বছর নিষ্ঠার সাথে চাকুরী করে গেছেন। ইতোমধ্যে তিনি নৈশ কলেজে অধ্যয়ন করে আই এ এবং বিএ পাশ করেছিলেন। একনিষ্ঠ সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতার কারণে তিনি চল্লিশ বছরের চাকুরী জীবনে বেশ কয়েকটি পদোন্নতি লাভ করে শেষ জীবনে ম্যানেজার পদে অবসর নিয়েছিলেন। দিনে চাকুরী করতেন, রাতে বাসায় ফিরে ছেলেদেরকে নিজে পড়াতেন। তার একমাত্র বিনোদন ছিল, ছেলেদের পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে ক্রিকেট কমেন্টারী শোনা। বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই ক্রিকেট খেলা হোক না কেন, রেডিওতে প্রচারিত হলে সেটা তিনি শুনতেনই। তখন শুধু টেস্ট খেলাই হতো, একদিনের খেলার প্রচলন তখনো শুরু হয়নি।
নিতান্ত জৌলুষহীন একটা জীবন কাটিয়ে তাজুল সাহেব এখন ওপাড়ের ডাকের অপেক্ষায়। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের সাথে ব্যক্তিগতভাবে ছেলেদের পড়াশুনা তদারকি করতেন, ফলে তার ছেলেরা আজ সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত। তারা উভয়ে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত, উভয়ে সহযোগী অধ্যাপক। একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, অপরজন একটি সরকারী কলেজে। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি প্রায়ই মাঝে মাঝে ফেলে আসা জীবনটার পানে পেছন ফিরে তাকান । জীবনের ভালমন্দ অনেক কিছুই তিনি ভুলে গেছেন, কিন্তু সেদিনের নূর ভাই এর দেয়া ব্যাগটির কথা তিনি আজও ভুলতে পারেন নাই। মনে মনে এটা ভেবে তিনি নূর ভাই এর প্রতি আজও কৃতজ্ঞ বোধ করেন এজন্য যে তাকে চাকুরী দেবার বিনিময়ে তিনি তার কাছ থেকে যে সার্ভিসটুকু নিয়েছিলেন, এর চেয়ে বেশী কিছু বা অন্য কিছু চাইলে তা দেয়ার সাধ্য তার ছিল না। ঘুষের প্রচলন তো তখনও ছিল। নূর ভাই তো তার কাছে কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও কিছু টাকা কিংবা পণ্যসামগ্রী দাবী করতে পারতেন। পক্ককেশ, শুভ্র শ্মশ্রুমন্ডিত ধর্মপ্রাণ তাজুল সাহেব জানেন, ঘুষ দেয়া নেয়া উভয়ই হারাম। তবু তিনি এটা ভেবে কিছটা স্বস্তিবোধ করেন যে রুটি রুজির জন্য যে ঘুষটুকু তিনি জীবনে দিয়েছেন, তা পরিশোধ করেছেন কায়িক পরিশ্রমে, কোন অর্থ বা পণ্যের বিনিময়ে নয়। এটাকেও হয়তো কেউ কেউ ঘুষ বলবে, তবে এটা ছিল একটা ব্যতিক্রমী ঘুষ। তিনি আশা করেন, পরম করুণাময় আল্লাহতা’লা এজন্য তাঁকে ক্ষমা করে দেবেন।
ঢাকা
০১ ডিসেম্বর ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি গল্প লিখি খুব কম; একেবারে কাঁচা হাতের প্রয়াস। আমার গল্পকে পাঠকেরা গল্প না ভেবে ঘটনার ধারা বর্ণনা ভাবতে ভালবাসেন। আমিও এর চেয়ে ভাল কিছু লিখতে পারিনা, তাই যা কিছু গল্প আমার পাঠকদেরকে বলতে চাই, তা এভাবেই লিখে বলে যাই। সেরকম একটা গল্প পড়ে আপনি প্রথম মন্তব্যটা রেখে গেলেন, মুগ্ধতারও কথা জানালেন, প্লাস দিয়ে উৎসাহিত করে গেলেন, এসব কিছুর জন্যই আপনাকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
ব্যতিক্রমী ঘুষ হোক না তা। তা তাজুল সাহেব তাঁর জীবনে সফলতা বয়ে এনেছে। নিষ্ঠার সাথে চল্লিশটা বছর কাজ করে গেছেন। এটাইতো সততার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আরেকটি কথা হলো বর্তমান প্রজন্মদেরকে পারিবারিকভাবে গাইড দেয় না। এটা কিন্তু পরিবারের কর্তাদের ভয়ংকর ভুল। তাজুল সাহেব তাঁর ছেলেদের মানুষের মত মানুষ করেছেন এই তো সফলতা।
প্রথম ভাললাগা রেখে গেলাম।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাজুল সাহেব তাঁর ছেলেদের মানুষের মত মানুষ করেছেন এই তো সফলতা - জ্বী, এটাই মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা।
প্রথম ভাললাগা রেখে গেলাম - অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এজন্য। অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা---
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০
হাবিব বলেছেন: ব্যতিক্রমী ঘুষ নাকি পুরষ্কার ?
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: পূর্ব সখ্যের কারণে একজন অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিকে নূর ভাই চাকুরী দিয়েছিলেন, এটা সেই ব্যক্তির জন্যে বন্ধুত্বের একটা পুরস্কার ছিল, এমনটা ভাবা যেতে পারে। আবার চাকুরী দেবার বিনিময়ে তিনি তাকে দিয়ে তার ময়লা কাপড় ধুইয়ে নিয়েছিলেন, এই কায়িক শ্রমটাকে জোর করে নেয়া একটা ব্যতিক্রমী ঘুষও ভাবা যেতে পারে।
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকারভাবে যাপিত জীবনকে তুলে ধরেছেন.....
আসলে কোনটা ভালো কোনটা মন্দ তা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে...
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আসলে কোনটা ভালো কোনটা মন্দ তা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে - ঠিক বলেছেন, অবশ্যই সেটা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে।
প্রশংসায় এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা...
৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
একটি সময়ের সমাজচিত্র।
সেকালে অর্থনৈতিক দূরবস্থার মাঝেও যারা বাস করে এসেছেন তাদের নৈতিকতা টাল খায়নি কখনও। বন্ধন ছিঁড়ে যায়নি পারস্পারিক সম্পর্কের। পরোপকার করে গেছেন সে সময়ের অভিযাত্রীরা তাদের ধারে কাছের মানুষদের, একালের মতো মুখ ঘুরিয়ে, অচেনার ভান করে আপদ বিদায় করেন নি।
ব্যতিক্রমী একটি ঘুষের কাহিনী, আপনার লেখায় একাধারে কষ্ট আর কৃতজ্ঞতার ছবি নিয়ে ভাস্বর।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার একটি প্রেরণাদায়ক বিশ্লেষণ রেখে যাবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস।
ব্যতিক্রমী একটি ঘুষের কাহিনী, আপনার লেখায় একাধারে কষ্ট আর কৃতজ্ঞতার ছবি নিয়ে ভাস্বর - খুব খুশী হ'লাম, গল্পটির এমন উদার মূল্যায়নে।
ভাল থাকুন নিরন্তর, শুভকামনা রইলো....
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৫
করুণাধারা বলেছেন: আপনার বর্ণনা সাবলীল, যাতে দুটো মানুষের চরিত্র পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে কাউকে আমার ঘুষখোর বা ঘুষদাতা বলে মনে হয়নি! কিছু মানুষের স্বভাব থাকে সুযোগ পেলে আরেকজনকে দিয়ে কিছু কাজ করিয়ে নেয়া, নুরুল হক হয়তো তাই করেছেন। আর একজন যদি কিছু করার অনুরোধ করলে তা করে দেওয়াই আরেকজন ভালো মানুষের কাজ, তাজুল হক যা করেছেন তা বন্ধুর অনুরোধ রক্ষা। যদি ইন্টারভিউ এর কথা না বলে নুরুল হক, তাজুল হককে এই কাজটা করে দিতে বলতেন, আমার ধারণা তাহলেও তিনি করে দিতেন........, এটা একজন সৎ মানুষের স্বভাব।
ভালো লাগলো একজন সৎ মানুষের গল্প পড়তে।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের চরিত্রদুটো নিয়ে আপনার এমন স্বচ্ছ ভাবনা খুব ভাল লাগলো। আপনার চিন্তার সাথে একমত হ'লাম।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা.....
৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গল্পটি অনেক ভাল লেগেছে ভাইয়া।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটি অনেক ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---
৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি অভিজ্ঞ মানুষ।
তবে আমি সরকারী চাকরি পেলে খুব ঘুষ খেতাম। কোটি কোটি টাকা ব্যাংকে রাখতাম। জমি জমা, ফ্ল্যাট গাড়ি। অনেক কিছু করতাম। তারপর হজ্ব করে শুদ্ধ হয়ে যেতাম। প্রয়োজনে গরীবদের সাহায্য করতাম।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এভরিবডি মাস্ট ইট ঘুস।
বিকজ ঘুষ ইজ গুড ফর হেলথ!
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল বলেছেন।
১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৪
নজসু বলেছেন:
কমেন্টগুলোও পড়লাম।
আমি একটু গল্পের অন্যদিকে যাবো।
সন্তানের মানুষ হবার পিছনে মা বাবার যেমন অবদান থাকে।
তেমনি সন্তানের জীবনে দূরন্ত ঝড় বা ব্যর্থতার জন্য অনেকক্ষেত্রে মা-বাবাও দায়ী হতে পারেন।
যেমনটি লক্ষ্য করলাম তাজুলের বাবার ক্ষেত্রে।
আগেই আলটিমেটাম দিয়ে রেখেছেন মেট্রিকে প্রথম বিভাগ পেতে হবে। না পেলে গ্রামে গিয়ে হালচাষ করতে হবে।
বেচারা তাজুল তৃতীয় বিভাগে পাশ করে বাঘের মতো গর্জন করা বাপের সামনে দাঁড়াতে পারেনি।
যদি উনি থাকে এভাবে না বলতে তাহলে তাজুল বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতো না।
আমরা এক পর্যায়ে দেখতে পাই তাজুল বিএ পাশ পর্যন্ত করেছে।
বাড়িতে থাকার সুযোগ পেলে হয়তো আরও ভালো কিছু করতে পারতো তাজুল।
লেখাপড়া আর কর্ম একসাথে করতে হতো না।
বর্তমানে যে ছেলেমেয়েরা রেজাল্ট খারাপ করে আত্মহত্যা করছে, তাদের পিছনের ইতিহাসটা জানা দরকার।
বন্ধুত্বের বিষয়েও আমার মতামতটা অন্যরকম।
নুরুল হক তার বন্ধুত্বের আসনে চির উজ্জ্বল।
চাকুরী দেবার বিনিময়ে সামান্য কাপড় ধুয়ে নেয়াটাকে ব্যতিক্রম কেন
কোন প্রকারের ঘুষ হিসেবে মেনে নিতে পারছিনা।
নুরুল হক সাহেব দেখলেন তাজুলের জামার বগলের নিচে ছেঁড়া, প্যান্টও রংচটা।
হয়তো গায়ের জামাও দেখেছিলেন কোকড়ানো। হতেই পারে। তাজুল তার জামা রাখতো তোষকের নিচে।
তাজুলের ইন্টারভিউ ছিলো। নুরুল হক যার চাকুরীর সুপারিশ করবেন তিনি কি চাইবেন সেই প্রার্থী কুচকানো জামা
গায়ে দিয়ে ভাইভা দিতে যাক। আর জামার কথাটা ভদ্রতার খাতিরে মুখ ফুটে তাজুলকে বলাও সম্ভব না।
তাই হয়তো কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিলেন। নিজের জামার পোটলা দিয়ে একথাও তো বলেছিলেন যে, তাজুলও যেন
ধোয়া, ইস্ত্রি করা জামা পরিধান করে আসে।
কায়িকশ্রমে ঘুষ দেয়া নিয়ে নুরুল হক সম্পর্কে তাজুল সাহেবের ধারণা ভুলও হতে পারে।
যাই হোক। বন্ধুত্বের জয় হোক। মানবতার জয় হোক।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ গল্পটা পাঠকের মন্তব্যসহ এতটা মনযোগের সাথে পাঠ করে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম আনুভৌতিক বিষয়সমূহ এতটা সুচারুরূপে এখানে বিশ্লেষণ করে গেলেন, এজন্য জানাচ্ছি আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। আপনার পর্যবেক্ষণ সমূহের প্রতি দ্বিমত পোষণের অবকাশ নেই।
অনেক, অনেক শুভকামনা রইলো...
১১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো অনুতাপের বিষয়টি, সুন্দর লিখেছেন। আল্লাহ অনুতাপীর পাপ ক্ষমা করেন নিশ্চয়ই
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো...
১২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পুরো গল্পটা সুন্দর। তবে আসল প্লটটি একটু বিনয়ের সাথে দ্বিমত করছি। নূর ভাই বন্ধুকে কাপড় ইস্ত্রি করতে বলাটা কতটুকু ঠিক হয়েছে সেটা নিয়ে চিন্তার অবকাশ আছে। যদিও এখানে অন্যরকম ঘুষ হিসেবেই বর্ণনা করেছেন শৈল্পিক ভাবে। আমার ব্যক্তিগত মতামত হল - তাজুলের অবস্থা দেখে নূর ভাই তার জামা-ই(যে প্যাকেট দিয়েছিলেন) ইস্ত্রি করে পরে আসতে বলতে পারতেন হয়ত বা...
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে আসল প্লটটি একটু বিনয়ের সাথে দ্বিমত করছি - একজন পাঠক হিসেবে গল্পের প্লটের সাথে দ্বিমত পোষণ করার অধিকার অবশ্যই আপনার আছে।
তাজুলের অবস্থা দেখে নূর ভাই তার জামা-ই(যে প্যাকেট দিয়েছিলেন) ইস্ত্রি করে পরে আসতে বলতে পারতেন হয়ত বা... - হ্যাঁ, গল্প লেখার সময় আপনি যেভাবে ভেবেছেন, আমিও সেভাবেই ভাবতে এবং লিখতে চেয়েছিলাম। আমি খুশী হ'লাম জেনে যে আপনি এবং অন্য আরো কয়েকজন দ্বিমত পোষণকারী পাঠকের মত আমিও ভেবেছিলাম। কিন্তু আমি যেসব গল্প লিখে থাকি, সেগুলো যাপিত জীবনের আশে পাশে দেখা ঘটনাবলী কিংবা চরিত্রসমূহ থেকে, অথবা কোন বিশ্বাসযোগ্য মুখ থেকে শোনা কাহিনী থেকে নেয়া। সে কারণেই আমি ঘটনার সত্যতার প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে চেয়েছি।
১৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৮
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: নূর ভাই ভিন্ন পদ্ধতিতে উৎকোচ গ্রহণ করেছেন এটা আমি মেনে নিতে পারছি না । হয়তো নূর ভাই এর বউ অসুস্থ ছিল বা নূর ভাই কোন সমস্যায় ছিলেন যার কারণে তিনি নিজে তার কাপড়গুলো ধুতে পারেননি। হয়তো বা....।
তবে বর্তমানে কাপড় ধোয়া শুধু নয়। ঘুষ তো দেয়ই পারলে আরো কিছু করে।
যা হোক। আপনার লেখাটা প্রাণবন্ত ছিল। আমার হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে আপনার লেখাটি । সুস্থ থাকুন হাজার বছর ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: নূর ভাই ভিন্ন পদ্ধতিতে উৎকোচ গ্রহণ করেছেন এটা আমি মেনে নিতে পারছি না । হয়তো নূর ভাই এর বউ অসুস্থ ছিল বা নূর ভাই কোন সমস্যায় ছিলেন যার কারণে তিনি নিজে তার কাপড়গুলো ধুতে পারেননি। হয়তো বা.... - আমার এ গল্পটা পড়ে আপনি এত কিছু ভেবেছেন, এটা নিঃসন্দেহে একজন লেখকের জন্য ভীষণ প্রেরণাদায়ক। আপনার মেনে নিতে না পারাটা অবশ্যই আপনার এ গল্পের সাথে একাত্ম হয়ে যাবার কথা বলে, আপনার অত্যন্ত সতর্ক ও মনযোগী পাঠের কথা বলে, যা লেখকগণ পাঠকদের কাছ থেকে সবসময় কামনা করেন, পেলে খুশী হন। তাই আমিও আপনার এহেন ভাবনায় খুশী হয়েছি।
আমার হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে আপনার লেখাটি - সত্যিই আমি কৃতার্থ বোধ করছি। অনেক, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৭
হাবিব বলেছেন: আপনার কবিতা পড়ার অপেক্ষায় আছি.............
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, জেনে প্রীত হ'লাম।
বেশী ঘন ঘন পোস্ট দিলে সময়মত সব পাঠকের মন্তব্যের উত্তর দেয়ার সময় পাওয়া যায় না। তাই একটু সময় নিচ্ছি।
১৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভাল লাগলো।
আসলেই মানুষ বার বার তার জীবনের ফেলে আসা দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকায়।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
গল্পটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম।
১৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪
সুমন কর বলেছেন: সাবলীল বর্ণনায় গল্প দারুণ হয়েছে।
+।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন কর, আপনার মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক প্রেরণা পেলাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঝরঝরে বর্ণনায় লেখা, আমি বলব সমাজ চিত্র, সময়ের চিত্র তুলে এনেছেন। হক সাহেব যদি নিজের জামা কাপড় দেয়া আমার মনে হয় বাহানা; তাজুল এর জামা ও সাথে পরিপাটি থাকে যেন। না তাজুল সাহেব হয়ত বা বালিশের নিচে রেখেই ইস্ত্রি হয়ে গেছে ভেবে নিতে পারত। তাজুল সাহেবের এই ক্ষমা প্রার্থনা ও উনার ধার্মিক মনের পরিচয়।
যে কোন পরিবারের সন্তানের নিজস্ব তত্ত্বাবধান গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আজকাল এ ব্যাপার টা কম বলেই সফল অনেকেই হয়, সফল মানুষ হয় না।
আপনার গল্পের মরালটুকু ও মনে রাখার মত।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প পড়ার পর আপনার মনে উদয় হওয়া এ ভাবনাগুলোকে এ্যাপ্রিশিয়েট করছি।
গল্পটি থেকে পাওয়া কয়েকটি লক্ষ্যণীয় এবং শিক্ষণীয় বিষয়ঃ
* কিশোর তাজুলকে মেট্রিকে তৃতীয় বিভাগ পাওয়া সত্তেও কিন্তু গ্রামে গিয়ে হালচাষ করতে হয়নি। টিকে থাকার উদগ্র বাসনা নিয়ে সে গৃহত্যাগ করেছিল কঠোর অপশাসনের ভয়ে, কিন্তু সে বিপথে যায়নি। নিষ্ঠা ও অধ্যবসায় দ্বারা সে তার সাধ্য অনুযায়ী টাইপিং কোর্সটা করে নিজের ভ্যালু এ্যাড়িশন করেছে। টিউশনি করে অন্ন সংস্থান করেছে। কালক্রমে নিজের সন্তানকে কঠোর শাসন না করে নিজে কষ্ট করে তাদেরকে পড়িয়ে ঢাকার প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ার যোগ্য করে গড়ে তুলেছে। আজ তারা নিজেরাও অধ্যাপনা পেশায় কৃ্তিত্বের সাথে কর্মরত।
* এককালীন বন্ধু তথা বড়ভাই এর ময়লা কাপড় নিজ হাতে ধুয়ে দিতে সে প্রথমে কিছুটা কুন্ঠিত বোধ করলেও, এ কাজটুকুও সে নিষ্ঠার সাথে করেছে।
* নিজ পেশায় সে নিষ্ঠাবান ছিল, তাই পদোন্নতির মই বেয়ে তাকে ওপরে উঠতে বেগ পেতে হয়নি।
* মেধা যতটুকুই থাক, সে নিজ চেষ্টায় দিনে চাকুরী করার পাশাপাশি রাতে নৈশ কলেজে পড়ে আই এ এবং বিএ পাশ করেছিল। এটা তার চারিত্রিক দৃঢ়তার পরিচায়ক।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট "ভাঁজে ভাঁজে সে আমি !!" - পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। আশাকরি, মুক্ত ব্লগে ফিরে এসে একবার দেখে নেবেন।
আজ পড়লাম "ছাপার অক্ষরের পাঠ বিলাস !! বই মেলা-২০১৭"। ভাল লেগেছে।
১৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২
মিথী_মারজান বলেছেন: ইশ্! পরোপকারের সদিচ্ছাতে এমন মায়াভরা ঘুষ যদি সত্যি সত্যি প্রচলিত হত আমাদের সমাজে!
ঘুষের মত নোংরা ব্যাপারটাও যে ভালো নিয়তে পবিত্র হয়ে যায় আপনার গল্পে সে কাহিনীটাই পড়লাম।
কেউ যদি ইচ্ছে করে তাহলে আপনার গল্পটি থেকে শিক্ষা এবং অনুপ্রেরণা দুটোই পাবে।
চমৎকার।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কেউ যদি ইচ্ছে করে তাহলে আপনার গল্পটি থেকে শিক্ষা এবং অনুপ্রেরণা দুটোই পাবে - ধন্যবাদ মিথী, আপনার মনযোগী পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩
নয়া পাঠক বলেছেন: না এটা কোনভাবেই ঘুষ হতে পারে না। এ ব্যাপারে আমি মনিরা সুলতানা আপুর সঙ্গে সহমত। আমি কোন কিছু গুছিয়ে বলতে বা লিখতে পারি না। তাই অন্যের মন্তব্যে ভাগ বসিয়ে নিজের মনের কথা ব্যক্ত করলাম।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন - সুস্বাগতম!
না এটা কোনভাবেই ঘুষ হতে পারে না - ঠিক আছে, আপনি যেভাবে ভাবতে ভালবাসেন, সেভাবেই ভাবুন। এটাকে ঘুষ মনে করতেই হবে, এমন কোন কথা নেই। গল্পটা পড়ে আপনি যে কিছুটা ভেবেছেন, এতেই আমি খুশী।
আমি কোন কিছু গুছিয়ে বলতে বা লিখতে পারি না। তাই অন্যের মন্তব্যে ভাগ বসিয়ে নিজের মনের কথা ব্যক্ত করলাম - মন দিয়ে আরো কিছুদিন অন্যের লেখা পড়ুন এবং তাতে মন্তব্য করুন, দেখবেন অচিরেই আপনিও অনেক গুছিয়ে বলতে ও লিখতে পারছেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: নতুন একটা পোস্ট দিছি একটু দেখবেন
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য করে আসলাম আপনার লেটেস্ট পোস্টের উপর।
২১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১২
রাকু হাসান বলেছেন:
এক টানাই পড়ে ফেললাম । এতটুক গল্পের মাঝে ভালো লাগার রসহ পেলাম । তাজুল শেখার মানসিকতা মুগ্ধ করছে । তাজুল যদি সে দিন তার বন্ধুর কাপড় ধুতে দেওয়াতেই আত্ম সম্মানের কথা ভেবে এড়িয়ে চলতো হয়তো এমনটা হতো না । তাজুল একজন গর্বিত,সংগ্রামী সু যোগ্য পিতা । শুভকামনা তাজুলের জন্য । বেলা শেষের দিনগুলো ভালো মতো কাটুক সেই কামনা করি ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, রাকু হাসান। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
তাজুলের প্রতি আপনার সহমর্মিতা দেখে আমিও মুগ্ধ হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভকামনা...
২২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৫
উম্মে সায়মা বলেছেন: সাবলীল বর্ণনায় সমাজের করুণ বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন৷ পড়ার সময় তাজুল হকের অসহায় মুখটা চোখের সামনে ভাসছিল। এমন সৎ এবং নিজের বিবেকের কাছে দায়ী থাকা মানুষগুলো জীবনে শান্তি পায়।
খুব ভালো লাগল খায়রুল আহসান ভাই।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: পড়ার সময় তাজুল হকের অসহায় মুখটা চোখের সামনে ভাসছিল - কথাটা জেনে গল্প লিখে তৃপ্তি পেলাম।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত।
আপনার মেঘ-বাদলের গল্প (ছবিতা আর কবিতা ব্লগ) পোস্টে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।
শুভকামনা----
২৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৬
হাবিব বলেছেন: আপনার অন্তহীন ভাবনার কবিতা মিস করছি
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা কোথায় যেন আটকে আছে। আসি আসি করেও আসছেনা!
আমার সামান্য কবিতার প্রতি আগ্রহ প্রকাশের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, হাবিব স্যার!
২৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় শ্রদ্ধেয়, সুন্দর সাবলীল লেখায় মুগ্ধতা।
গদ্য কবিতা ধর্মী আমার একটি লেখা হাতে রয়েছে। পোস্ট করবো কি করবো না, সিদ্ধান্ত নিতে আপনার সাহায্য চাচ্ছি। দয়া করে লেখাটি দেখে আপনার মূল্যবান পরামর্শ দিলে কৃতজ্ঞ হব। আপনি সম্মত হলে আমার একটি পোস্টের মন্তব্যের ঘরে আপনার দেখার জন্য লেখাটি দিয়ে দেব।
শুভকামনাসহ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
ঠিক আছে, আমি দেখে আমার মন্তব্য জানাবো।
২৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
সদয় সম্মতিতে কৃতজ্ঞতা। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট স্বীকার করে নেয়ায়।
লিঙ্ক যুক্ত কবিতার ৮ নং মন্তব্য দ্রষ্টব্য- একটি সুন্দর কবিতা
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: যোহরের নামায পড়ার জন্য মাসজিদে যাবার আগে ৮ নম্বর মন্তব্যে একটা দীর্ঘ কবিতা দেখে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, ফিরে এসে সেটা পড়ে আমার মন্তব্য জানাবো। এখন দেখি সেটা নেই। মুছে দিয়েছেন?
২৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২
ফয়সাল রকি বলেছেন: একটা এমপিওভুক্ত বেসরকারী কলেজে লেকচারার-এর শূণ্যপদে নিয়োগ পেতে যখন দশ/পনের লক্ষ টাকা দিতে হয় বিভিন্ন ফান্ডের নামে, সেসময়ে এসে এই ঘটনা নিতান্তই ছোট ভাইয়ের কাছে বড় ভাইয়ের একটা অর্ডার ছাড়া অন্য কিছু মনে করবার কোনো কারণ নেই! আসলে নৈতিকতা বিষয়টা পুরোপুরি আপেক্ষিক!
লেখায় প্লাস।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আসলে নৈতিকতা বিষয়টা পুরোপুরি আপেক্ষিক! - ঠিক বলেছেন, একমত।
গল্পটি পড়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
মা.হাসান বলেছেন: বরাবরের মতো মুগ্ধতা রেখে গেলেন।