নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
এর আগের পর্বটি দেখতে পাবেন এখানেঃ অস্ট্রেলিয়ার পথে (২) .... আকাশ পথে যাত্রা হলো শুরু!
পানীয় জল সংগ্রহ করে ফিরে এসে দেখি CZ343 CAN-MEL ফ্লাইট এর জন্য অপেক্ষমান যাত্রীরা বোর্ডিং এর জন্য সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে গেছে। আমরাও তাড়াতাড়ি করে লাইনের প্রায় শেষে এসে দাঁড়িয়ে গেলাম। পিঁপড়ের সারির মত দন্ডায়মান সবাই আস্তে আস্তে বোর্ডিং কাউন্টারের দিকে এগোচ্ছি। সংশ্লিষ্ট স্টাফদের অসাধারণ দক্ষতার কারণে খুবই অল্প সময়ে সে দীর্ঘ লাইনটি বিলীন হয়ে গেল। বিমানের দুয়ারে দাঁড়ানো চীনা কেবিন ক্রুদের স্মিতহাস্য অভিবাদনের মাধ্যমে আমরা ভেতরে প্রবেশ করলাম এবং আমাদের নির্ধারিত অবস্থান খুঁজে নিয়ে যার যার আসন গ্রহণ করলাম। প্লেন উড্ডয়নের পূর্বেই একজন বিমানবালা এসে খোঁজ নিয়ে গেল, আমরা আমাদের জন্য আগে থেকেই “মুসলিম ফুড” চয়েস দিয়েছিলাম কিনা। আমি হ্যাঁ বলাতে সে তার হাতে থাকা একটি তালিকায় “টিক” চিহ্ন দিয়ে চলে গেল। নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট আগেই প্লেন ট্যাক্সিইং শুরু করলো এবং সকাল ০৯টা ১৪ মিনিটে গুয়াংজু’র ভূমি ত্যাগ করে অনন্ত আকাশে ঊর্ধ্বারোহণ শুরু করলো।
সময়ানুবর্তিতা যেকোন পেশায় সাফল্যের চাবিকাঠি। খানিকটা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলাম, এ পর্যন্ত দু’টি টেক-অফ এবং একটি টাচ-ডাউন, প্রতিটিতেই চায়না সাউদার্ন এর ফ্লাইটগুলো নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিট আগেই খুব স্মুদলী টেক-অফ/ল্যান্ডিং করে এয়ারলাইনটির পেশাগত মানের স্বাক্ষর রেখেছে। ইনফ্লাইট এনাউন্সমেন্টগুলোও বোধগম্য ও স্পষ্ট ভাষায় উচ্চারিত হচ্ছিল। কেবিন ক্রুদের আচরণ ছিল মার্জিত এবং সহায়ক মনোভাবসম্পন্ন। ফ্লাইটে পরিবেশিত খাদ্য নিয়ে আমার কিছুটা পূর্ব-সংশয় ছিল, কিন্তু সুস্বাদু লাঞ্চ গ্রহণের পর সে সংশয় দূর হলো। লাঞ্চের পর গিন্নীকে বললাম ঘুমিয়ে নিতে, কারণ আগের রাতে আমাদের কারোই ভাল ঘুম হয়নি। লাঞ্চের পর পরই কেবিন ক্রুরা এসে যাত্রীদেরকে জানালার পর্দাগুলো (উইন্ডোস্ক্রীন) নামিয়ে ফেলতে বলে গেল। সবাই এ নির্দেশ পালন করার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই দিনের বেলাতেও প্লেনের অভ্যন্তরে রাতের পরিবেশ এবং ঘুমের আবহ তৈরী হলো। আমি প্রায় ঘন্টাখানেক ঘুমিয়ে নিলাম। ঘুম ভাঙার পর কেবিন ক্রুদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঝে মাঝে জানালার পর্দা উঠিয়ে দু’চোখ ভরে বাইরের আকাশ, সাগর আর ভাসমান মেঘের নৈসর্গিক শোভা দেখতে থাকলাম। পর্দা অর্ধেক উঠিয়ে দেখি, প্লেনের বাইরে তখন রৌদ্রকরোজ্জ্বল সুনীল আকাশ, তার মাঝে জায়গায় জায়গায় ঘন শ্বেতশুভ্র মেঘের শয্যা বিছানো, কোথাও বা দলছুট সাদা মেঘের বেখেয়ালী আনাগোনা। আর নীচে রয়েছে সাগরের সুনীল জলরাশি। পরিষ্কার আকাশের কারণে এত উপর থেকেও সাগরের বুকে চলমান কিছু নৌযানের আবছা ছায়া দেখা যাচ্ছিল। তেত্রিশ থেকে সাঁয়ত্রিশ হাজার ফুট উচ্চতা বজায় রেখে প্রায় ৬০০ মাইল গ্রাউন্ডস্পীডে প্লেনটি আকাশে উড়ে চলেছিল।
গুয়াংজু- মেলবোর্ন নয় ঘন্টা পঁচিশ মিনিটের আকাশ পথ। ওরা যতই বলুক, এতটা দীর্ঘ পথ তো আর কোন কিছু না করে, শুধু ঘুমের চেষ্টা করে কাটিয়ে দেয়া যায়না। আর আসনের সামনের মনিটরে যতই গান-বাজনা ও মুভির ব্যবস্থা থাকুক না কেন, ঘরে বসে শোনা বা দেখার মত প্লেনে ওগুলো কখনোই আমাকে আকর্ষণ করেনা। আমি শুধু মাঝে মাঝে স্ক্রীনে ফ্লাইটের গতিবিধি লক্ষ্য করি, আবার ফিরে যাই অন্য কাজে, অন্য চিন্তায়। কিছুক্ষণ পর পর পর্দা উঠিয়ে আকাশ আর মেঘ দেখি, ঝটপট ওসবের কিছু ছবি তুলে রাখি। এভাবে অর্ধেকের বেশী পথ পাড়ি দেবার পর থেকে মনের মধ্যে শুরু হয় এক ধরণের ছটফটানি- কখন গন্তব্যে পৌঁছাবো। ১৮ বছর আগে যখন আরেকবার অস্ট্রেলিয়া এসেছিলাম, তখন দেখেছিলাম ওরা প্রশিক্ষিত ডগ-স্কোয়াডের কুকুর দিয়ে আগমনকারী যাত্রীদের লাগেজের নিরাপত্তা স্ক্রীনিং করে থাকে। কুকুরগুলো কখনো কখনো যাত্রীদের কোমর পর্যন্ত উঠে গন্ধ শোঁকে। এটা আমার কাছে তখনো ভাল লাগেনি, এবারও ভাল লাগবেনা বলে জানি। এসব ভাবতে ভাবতে কেবিন ক্রুদের দেয়া “ইনকামিং প্যাসেঞ্জারস’ ডিক্লেয়ারেশন কার্ড” দুটো পূরণ করতে শুরু করলাম। ঢাকা থেকে যেন কোন প্রকার খাদ্যদ্রব্য, ফলমূল কিংবা ফলমূলের ও শাকসব্জীর বিচি সাথে না আনি, এ ব্যাপারে অনেকেই আমাকে সাবধান করে দিয়েছিলেন। আমরা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। কার্ড দুটো পূরণ করার ব্যাপারে বৌমা আমাদেরকে কিছু ইন্সট্রাকশন দিয়েছিল। পূরণের সময় তার কথাগুলো মনে রেখেছিলাম। ডিক্লেয়ার করার মত আমাদের সাথে আনা কেবল একটিই সামগ্রী ছিল, সেটা হলো আমাদের দু’জনার জন্য আলাদা আলাদা ঔষধের প্যাকেট। এদের দেশে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ আনা বা কেনা-বেচা নিষেধ। তাই আমাদের প্রেসক্রিপশনগুলো হাতের নাগালের মধ্যেই রেখেছিলাম। কার্ডগুলো পূরণ করে অধীর আগ্রহ সহকারে আসনের সামনের মনিটরে ফ্লাইটের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে মনোনিবেশ করলাম।
আকাশে যতক্ষণ ছিলাম, ততক্ষণ পর্যন্ত সন্ধ্যা নামেনি। মেলবোর্নের Tullamarine বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করার জন্য প্লেনের চাকা যখন তার লুকোনো গহ্বর থেকে বের হয়ে এলো, কেবল তখনি দেখলাম গোধূলির আলোর সাথে সাথে নীচের হাইওয়ের আলোও একসময় জ্বলে উঠলো। সূর্যাস্তের (সন্ধ্যা ০৮-৪৫) কিছুটা পরে ডানা মেলে ধেয়ে আসা প্লেনটির চাকা Tullamarine বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করলো। এবারেও সময়ের কিছুটা আগেই নেমে পড়ায় প্লেনটিকে বোর্ডিং ব্রীজের সন্নিকটে প্রায় বিশ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখা হলো। ঠিক নয়টা পঁচিশ মিনিটে বোর্ডিং ব্রীজের সাথে সংযোগের পর একেবারে কাঁটায় কাঁটায় রাত সাড়ে নয়টায় প্লেনের দরজা খুলে গেল। প্লেনে বসে থাকাকালীন সময়ে অভ্যন্তরীন ঘোষণায় বলা হয়েছিল, বাইরে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সহনীয় এ তাপমাত্রার কথা শুনে খুশী হ’লাম, কেননা পরিধানে মোটা কোন শীতের কাপড় ছিলনা। প্লেন থেকে বের হয়ে ইমিগ্রেশন লাউঞ্জের দিকে অগ্রসর হতে থাকলাম। প্লেনে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে আমাদের পা দুটো বেশ ভারী ভারী লাগছিল। আমরা আস্তে আস্তে হেঁটে এসে ইমিগ্রেশন কাউন্টারের সম্মুখস্থ দীর্ঘ লাইনের প্রায় শেষের দিকে দাঁড়ালাম।
ইমিগ্রেশন কাউন্টারের সামনের লাইনটি বেশ দীর্ঘ হলেও, এদের দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে খুব তাড়াতাড়িই আমরা ইমিগ্রেশন অফিসারের সম্মুখীন হ’লাম। উনি আমাদের ডিক্লেয়ারেশন কার্ড দু’টোর উপর চোখ বুলিয়ে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ঔষধগুলো কার জন্য এনেছি। আমি বললাম, আমাদের উভয়ের জন্য। পরের প্রশ্ন, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন সাথে আছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ, আছে। উনি তা দেখতে চাইলেন না; কার্ড দু’টোর উপর ইংরেজীতে দুটো সাংকেতিক অক্ষর লিখে আমাদের শুভকামনা জানিয়ে এগিয়ে যাবার ইঙ্গিত করলেন। আমি চারিদিকে তাকিয়ে দেখলাম, কোথাও ডগ স্কোয়াড এর কোন কুকুর আছে কিনা। নেই দেখে আমরা খুশীমনে বের হবার পথ ধরলাম। একটা জায়গায় এসে আমরা একজন নিরাপত্তা স্টাফের সম্মুখীন হ’লাম, যিনি আমাদের লাগেজগুলো সহ আমাদেরকে একটা নির্দিষ্ট চ্যানেলে ঢুকিয়ে দিলেন। ঐ চ্যানেলে আমাদের ঠিক সামনেই ছিলেন আরেক বাঙালি দম্পতি। তারা আমাদেরকে বললেন, (তাদেরসহ) আমাদের লাগেজগুলো হয়তো ওরা পরীক্ষা করবে। আমি গিন্নীকে বললাম, স্যুটকেসের চাবিটা হাতে রাখতে। সেখানকার পরীক্ষাকারী অফিসার ছিলেন একজন মহিলা। দেখলাম, তিনি আমাদের আগে দাঁড়ানো বাঙালি দম্পতিকে তাদের একটা লাগেজ খোলার নির্দেশ দিচ্ছেন। লাগেজ খোলার পর সেখান থেকে একটা খাদ্যজাতীয় দ্রব্যের প্যাকেট বের করে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আমি আমাদের লাগেজগুলো স্ক্রীনিং বেল্টে উঠিয়ে দিলাম। লাগেজগুলো বেল্ট পার হবার পর সেই কর্মকর্তা জানালেন, আমাদের লাগেজ ক্লীয়ার, আমরা যেতে পারি। আমরা রাত সাড়ে দশটায় লাউঞ্জের বাইরে বের হয়ে আসলাম।
এতক্ষণ ধরে নানারকম টেনশনের কারণে এয়ারপোর্টের ফ্রী ওয়াই-ফাই যোনের সন্ধান করার কথা খেয়ালে ছিলনা। লাউঞ্জ থেকে বের হবার সময় আমাদের ঠিক আগে আগে দেখি এক ভারতীয় দম্পতি ট্রলী ঠেলে বের হচ্ছেন। ভদ্রলোক কাকে যেন টেলিফোন করে তার অবস্থান জানাচ্ছেন। আমাদের ফোনে অস্ট্রেলিয়ান সিম কার্ড ছিলনা। অনেকটা বাধ্য হয়েই আমি ভদ্রলোককে অনুরোধ করলাম, তার টেলিফোন থেকে বাহিরে অপেক্ষমান আমার ছেলেকে একটি টেলিফোন করতে পারি কিনা। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হোয়াটস এ্যাপে তার নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে কিনা। আমি বললাম, যাবে। তিনি রিং দিলেন, কিন্তু সেটা রিসীভড হলোনা। তিনি তাকে আমার অবস্থান জানিয়ে একটা মেসেজ দিলেন। তারপর আমরা উভয়ে আউটসাইড পার্কিং এর দিকে অগ্রসর হতে থাকলাম। হঠাৎ পেছন থেকে ডাক শুনতে পেলাম, ‘বাবা’! তাকিয়ে দেখি বৌমা। সে জানালো, কাছেই আমাদের ছেলে গাড়ী নিয়ে অপেক্ষা করছে। সে আমার হাত থেকে ট্রলীটি নিয়ে নিকটেই পার্ক করা গাড়ীর দিকে অগ্রসর হলো, আমরা তার পিছু পিছু গেলাম। আমাদেরকে দেখে ছেলে গাড়ী থেকে বের হয়ে এলো। আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে আমরা সবাই একে অপরকে জড়িয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ। তার পর ছেলে একাই গাড়ীতে সব লাগেজ উঠালো। আমাকে একটুও ধরতে দিল না।
হাইওয়েতে উঠে ছেলে তার গাড়ীতে রাখা কিছু বাংলা গান ছেড়ে দিল। মনে এক সঞ্চারমান প্রশান্তি অনুভব করতে থাকলাম। সকল শান্তির উৎস যিনি, যার দয়ার কথা স্মরণমাত্র মনটা শান্তিতে ভরে ওঠে, তাঁর স্মরণে মাথাটা নত হয়ে আসলো। প্রায় ঘন্টাখানেকের পথ নিমেষে যেন শেষ হয়ে এলো। ছেলের বাড়ীতে পৌঁছে আমরা ঝটপট গরম জলে গোসল সেরে নিলাম। ওদের সংসারে আমাদের এই প্রথম আতিথ্য গ্রহণ। বৌমা মনে হয় সারাদিন ধরে আমাদের আগমন উপলক্ষে অনেক পদের রান্নাবান্না করে রেখেছিল। খুব আদর যত্ন করে ও সেগুলো পরিবেশন করলো এবং আমাদেরকে অতিভোজনে বাধ্য করলো। এ যেন আদরের অত্যাচার!!!
ওরা সবাই ওদের অনেক জমানো কথার আলাপ শুরু করে দিল, আমি নীরবে সেসব শুনতে থাকলাম। কখন যে রাত দুটা বেজে গেল, তা টেরই পাইনি। অবশেষে ঢুলু ঢুলু চোখে আমরা দু’জনে আমাদের কক্ষে এসে শয্যা নিলাম। ওরাও বোধকরি আরো কিছুক্ষণ ধরে টুকটাক কিছু কাজ শেষ করে, আলো নিভিয়ে দিয়ে শান্তির আমেজ নিয়ে ঘুমাতে গেল।
আকাশে উড্ডীন অবস্থায় দেখা মেঘের কিছু ছবিঃ
মন মোর মেঘের সঙ্গে...... As my mind accompanies the clouds.... (At 231741 December 2019)
মন মোর মেঘের সঙ্গে...... As my mind accompanies the clouds.... (At 231240 December 2019)
জানালার বাহিরে অনন্ত আকাশ আর বিস্তৃত মেঘ---The vast stretch of endless sky outside, seen through the window .... (At 231240 December 2019)
মেঘশয্যা ... A bed of clouds (At 231246 December 2019)
মেঘশয্যা--- A bed of clouds ... (At 231246 December 2019)
মেঘশয্যা... A bed of clouds.... (At 231240 December 2019)
সবাইকে ধন্যবাদ।
মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
০১ জানুয়ারী ২০২০
(বছরের প্রথম মধ্যাহ্নে)
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা। ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমি যে কবে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমনে যাবো।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ইচ্ছে থাকলে অবশ্যই একদিন আসতে পারবেন।
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৭
মিরোরডডল বলেছেন: “হঠাৎ পেছন থেকে ডাক শুনতে পেলাম, ‘বাবা’! তাকিয়ে দেখি বৌমা” কি ভীষণ সুইট বিষয়টা ।
“এ যেন আদরের অত্যাচার” এ অত্যাচার যে কতটা ভালো লাগার ।
আপনার লেখা পড়ে নস্টালজিক হয়ে যাচ্ছি ।
এইতো সেদিন মা আর বোনকে সিডনি এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করে নিয়ে আসা , সারাদিন ধরে তাদের জন্য রান্না করা , আসার পর জোর করে তাদের সেগুলো খাওয়ানো আপনার ভাষায় আদরের অত্যাচার :-) মা বোন আর আমি সারারাত জেগে গল্প করে ভোর বেলায় ঘুমাতে যাওয়া । কি সুন্দর ছিল সেই সময়গুলো ।
“প্লেনটির চাকা Tullamarine বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করলো”
ঠিক একইভাবে স্পর্শ করেছিল সেদিন যেদিন আমিও গিয়েছিলাম মেলবোর্নে
আমার খুব প্রিয় একজন অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় ছিল আমার জন্য
কোথায় হারিয়ে যায় সেই প্রিয় মানুষগুলো !!!
আপনার এই লেখাটা পড়তে অনেকি ভালো লেগেছে ।
Wish you all the very best so that you can have wonderful time with your loving family.
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট থেকে উদ্ধৃতির জন্য ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
আপনার লেখা পড়ে নস্টালজিক হয়ে যাচ্ছি - আমাদের পারিবারিক বন্ধনগুলো তো কম বেশী একই রকমের হয়ে থাকে। আর প্রবাসে পরিবারের কেউ কেউ একসাথে একত্রিত হবার আনন্দটাই আলাদা! হৃদয়ের গভীর থেকে সেটা উঠে আসে। আবার একদিন ইন শা আল্লাহ যখন শুভবিদায় নিয়ে চলে যাব, তখন বেদনার ভারটাও সেরকমই হবে হয়তো।
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:৩৩
ঢাকার লোক বলেছেন: আপনার আগের লেখাগুলোর মতই সুন্দর ঝরঝরে বর্ণনা! অস্ট্রেলিয়ায় আপনার দিনগুলো আনন্দময় হোক, হোক নিরাপদ।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার লেখাগুলো আপনি নিয়মিত পড়ে যাচ্ছেন, এজন্য জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ। লেখার প্রশংসায় প্রাণিত হ'লাম, শুভকামনায় প্রীত ও আপ্লুত।
শুভেচ্ছা রইলো---
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৩৬
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মেঘশয্যার ছবি দেখে একটু ভাবুক হয়ে গেলাম !
অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণ আনন্দময় হোক !
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাসমান মেঘশয্যাগুলো দেখে আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছিল লেপ কাঁথা মুড়ি দিয়ে সেখানে শুয়ে পড়ি!
পোস্টে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত।
৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৫
সোহানী বলেছেন: ভ্রমণ আমার কাছে সবসময়ই আনন্দদায়ক। নতুন কিছু দেখা ও জানার মজাই আলাদা।
আনন্দময় হোক আপনার ভ্রমণ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: নতুন কিছু দেখা ও জানার মজাই আলাদা - আসলেও তাই। আমি ভ্রমণ খুব উপভোগ করি। আরও ভাল লাগে যদি স্থানীয়দের সাথে কিছু কথাবার্তা্ বলা যায়।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৬
মোঃমোজাম হক বলেছেন: আপনার লেখা বেশ ভাল লাগছে। মনের অভিব্যক্তিগুলি সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলছেন।
অনুসারিত করে রাখলাম যাতে সব লেখাই পড়তে পারি
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনুসারিত করে রাখলাম যাতে সব লেখাই পড়তে পারি - অনেক ধন্যবাদ, এ প্রেরণাদায়ক কথাটা বলে যাবার জন্য।
লেখার প্রশংসায় প্রীত ও প্রাণিত। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য, এবং আন্তরিক ধন্যবাদ, সদয় মন্তব্যের জন্য।
৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মেলবোর্নের সুন্দর সুন্দর ছবি দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। আপনার ভ্রমন আনন্দময় হোক এই কামনা করছি।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আগামী পর্ব থেকে থেকে কিছু কিছু করে ছবি দেয়ার চেষ্টা কুরবো।
ভাল থাকুন, শুভকামনা----
৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬
বাকি বিল্লাহ বলেছেন: এই পর্বের অপেক্ষায় ছিলাম। আগের পোস্টের কমেন্ট পড়ে বুঝলাম, আপনার একদম বিস্তারিত লিখাগুলা অনেকেরই ভাল লাগেনা। আমার কাছে ভালই লাগছে। ভ্রমন আনন্দময় হোক সবসময়।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কাছে ভালই লাগছে - তাহলেই হলো। সব লেখার সর্বাংশ সবার ভাল লাগতে হবে, এমন কোন কথা নেই।
বোধকরি, আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন। আমার পাতায় আপনাকে সুস্বাগতম!
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....
১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: খুবই সুখপাঠ্য হয়েছে স্যার। অনেক ডিটেইল এসেছে লেখায়।
অফিশিয়াল ব্যস্ততায় আগের পর্বগুলো মিস করেছি। পড়ে নেবো ইনশাল্লাহ।
ভালো থাকবেন, সুন্দরভাবে ঘুরে আবার নিরাপদে দেশে ফিরে আসুন।
শুভ ব্লগিং
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আপনার এ আন্তরিক মন্তব্যটির জন্য। লেখাটিকে আপনি সুখপাঠ্য মনে করেছেন, এজন্য বিশেষ প্রীত হ'লাম।
প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করে গেলেন।
ভাল থাকুন সপরিবারে, শুভকামনা----
১১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২২
নীল আকাশ বলেছেন: এবারের পর্ব বেশ বিস্তারিত ভাবে লিখেছেন। এত মনে ছিল কিভাবে লেখার সময়?
চাইনিজ'রা বেশ এফিশিয়েন্ট। এইজন্যই এরা এত তাড়াতাড়ি এত দ্রুতই উপরে উঠে যেতে পেরেছে।
অনেকদিন পরের নিজের পরিবারের লোকজনের সাথে দেখা হওয়া খুবই আবেগীয় ব্যাপার।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।
০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এত মনে ছিল কিভাবে লেখার সময়? - স্মৃতি থেকেই লিখেছিলাম। যখন লিখেছিলাম, তখনও (নয় দিন পরে হলেও) স্মৃতি সতেজ ছিল। এখন নতুন করে লিখতে গেলে হয়তো অনেক তথ্য উল্লেখ করতে পারবো না।
চাইনিজ'রা বেশ এফিশিয়েন্ট। এইজন্যই এরা এত তাড়াতাড়ি এত দ্রুতই উপরে উঠে যেতে পেরেছে - আমি আপনার এ কথাটার সাথে সম্পূর্ণ একমত।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
১২| ০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
চায়না সাউদার্ন ঢাকা-গোয়াংঝো মোটামোটি ভালো এয়ারবাস হলেও সাউদার্ন থেকে থার্ড কান্ট্রিতে ছেড়ে যাওয়াগুলোর সাথে তুলনা হয় না। সার্ভিস খুবই ভালো। আপনার যাত্রাপথের গল্প খুবই ভালো লেগেছে।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।
০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার যাত্রাপথের গল্প খুবই ভালো লেগেছে - পুরনো পোস্টে আসার জন্য ধন্যবাদ। যাত্রাপথের গল্প খুবই ভালো লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম, সেই সাথে প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা নিরন্তুর....
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
হাবিব বলেছেন: আপনার আগের লেখাগুলো মিস করেছি। পাঠ শেষে মন্তব্য করবো ইনশাআল্লাহ