নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
(আমার দার্শনিক দাদুটা এভাবেই মাঝে মাঝে এসে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে কি যেন দেখে, কি যেন ভাবে.....)
এবারেরটা নিয়ে গত তিনটা ঈদের নামায বাসাতেই পড়লাম, ঘরোয়া ব্যবস্থাপনায়। স্বপ্নেও কখনো ভাবিনি যে কোনদিন ঈদের নামাযে ইমামতি করতে হবে। করোনার কারণে সেটাও বাস্তব হলো। মুসল্লীর সংখ্যা দুই শিশুসহ সাতজন। নামায শুরুর আগে নামাযের পদ্ধতিটা সবাইকে জানিয়ে দিলাম, কেননা বছরে মাত্র দু’বার পড়া হয় বলে এ পদ্ধতিটা অনেকেই ভুলে যায়। এই প্রথম ঈদের নামাযে আমাদের সাথে দুই নাতি নাতনিও শামিল হলো। নাতনি আনায়া’র বয়স সাড়ে ছয়, ও সুরা ফাতিহাসহ আরেকটি সুরা শিখেছে, সাথে কিছু দোয়া দরুদ। নাতি আরহাম এর বয়স এখনো দেড় বছর হয়নি, নামায বলতে ও বুঝে জায়নামাযের উপর উপুর হয়ে সিজদা দিতে দিতে একসময় চিৎ হয়ে শুয়ে পড়া। ছোটটা সকালে একা একাই উঠেছে। বড়টাকে ডাকতে ডাকতে হয়রান হয়ে ওর মা কিছুটা জোর করেই বিছানা থেকে নামিয়েছে। এ নিয়ে ওর মন খুব ভার ছিল নামায শুরু হবার আগে পর্যন্ত। নামায শুরু হবার সাথে সাথে ও অবশ্য সবকিছু ভুলে সবাইকে অনুকরণ করে নামায পড়েছে।
নামাযের পর সালাম পর্ব শুরু হলো। বোধশক্তি হবার পর এবারই প্রথম আনায়া এ আদব-আচারের সাথে পরিচিত হলো। প্রথম সালামীটা পেয়ে সে খুব উচ্ছ্বসিত হলো। জনে জনে সে নোটটা দেখাতে লাগলো এবং আশ্চর্য্য হতে থাকলো যখন জনে জনে সবাই ওকে একটা করে নোট দিতে থাকলো। দৌড়ে গিয়ে সেসব নোট সে মায়ের কাছে জমা দিতে থাকলো। ওর দিদি ওর জন্যে একটা লাল ফ্রক নিজ হাতে বানিয়ে রেখেছিল, সাথে ম্যাচিং লাল স্যান্ডেল। এটা পেয়েও সে খুব খুশি। ছোটটা সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে ওর টুপিটা পেয়ে। এতদিন সে দাদার টুপি নিয়ে টানাটানি করতো। আজ নিজের টুপি পেয়ে খুব খুশি। মাঝে মাঝে নিজের মাথা থেকে খুলে সে সেটা আমার মাথায় পরাতে চায়। কিন্তু পরাতে পারেনা বলে আমার মাথারটা খুলে নেয়। ওর এ বয়সে আর সবগুলো ইন্দ্রিয়ের চেয়ে প্রখর হচ্ছে স্পর্শেন্দ্রিয়। সবকিছু সে হাত দিয়ে স্পর্শ করে পরখ করতে চায়। ফলে ওর হাত খুব ঘন ঘন ধোয়াতে হয়। ঘরের যেসব আনাচে কানাচে সচরাচর কারো স্পর্শ পড়ে না, যেমন খাটের নীচ, দরজার চিপা, পর্দার পেছন দিকটা, জুতো স্যান্ডেলের তলা, গ্রিলের কোণা, এসবের দিকেই ওর নজর বেশি থাকে। এমনকি আমি বেসিনে হাত ধোয়ার সময় কখন যে ও পিছে পিছে ঢুকে পড়ে, তা টেরই পাই না। বাথরুমে ঢুকে ওর প্রথম আকর্ষণ কমোডের সীট কভার তুলে তার উপর দু’হাত রেখে একবার পানির দিকে তাকানো, আরেকবার আমার চোখের দিকে। আমাকে বেখেয়াল দেখতে পেলেই ও কমোডের পানি স্পর্শ করতে চায়। গোসলের আগে হলে ওকে সাথে সাথে গোসল দেয়া হয়। পরে হলে ওকে হাত ধোয়ার জন্য টেনে তুলতে গেলে কান্না জুড়ে দেয়। আমি তখন আনায়াকে ডেকে ওর হাত ধোয়াতে শুরু করি। সেটা দেখে ও কান্না থামিয়ে নিজেই দু’হাত বাড়িয়ে দেয়। সাবান লাগাতে দেরি করলে নিজেই সাবান দেখিয়ে ওটা লাগাতে বলে। হাত ধোয়া হলে ও প্রায়ই পর্দা সরানো জানালার কাছে এসে অনতিদূরের গাছপালার দিকে তাকিয়ে থাকে। কর্কশ স্বরে ডাকতে ডাকতে টিয়া পাখির ঝাঁক উড়ে যায়, ও সেগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে ওর ভাষায় কিছু কথাও বলে।
ছোট থাকতে আনায়াকে আমি প্রতিদিন দুপুরে বুকে নিয়ে গান গেয়ে ঘুম পাড়াতাম। ও যত বড় হতে থাকলো, ততই ঘুম পরিহৃত হতে থাকলো। এখন যদি বাসার সবাই ঘুমিয়েও পড়ে, ও একাই হয় কার্টুন দেখবে, নয়তো ছবি আঁকবে, নয়তো পুতুল নিয়ে খেলবে। কিছুতেই বিছানায় আসবে না, শত গল্প বলার প্রলোভনেও। এদিক থেকে ছোটটা খুব ভাল। ওকে ঘুম পাড়াতে আমার পাঁচ-দশ মিনিটের বেশি সময় লাগে না। একবার ঘুমালে দুই আড়াই ঘন্টা নিশ্চিন্তে ও ঘুমিয়ে থাকে। তরমুজ ও কলা ওর খুব প্রিয়। সকাল থেকে এটা ওটা খেয়ে ওর পেট ভরাই ছিল। ঈদের রানাবান্নায় যখন ওর মা ও দিদি ব্যস্ত, আমি ওকে ওর প্রিয় ফলদুটো খাইয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম, নিজেও ঘুমিয়ে পড়লাম। ৩০ দিন রোযা রাখার অভ্যাসের ফলে সকালে নাস্তা করার কোন তাগিদ ছিল না, তাই অনেক দেরি করে নাস্তা করা হলো। নামায পড়া, গল্প করা, কাছে দূরের থেকে আসা টেলিফোন রিসীভ করা, প্রবাসী ছেলেদের সাথে কথা বলা, ইত্যাদি করতে করতে বেলা যে কখন গড়িয়ে গেল, সেদিকে রাঁধুনীদের যেমন খেয়াল ছিল না, বিলম্বে নাস্তা করাতে পেট ভরা থাকায় ভোক্তাদেরও তেমন তাগিদ ছিল না। ফলে আমিও বেশ স্বাচ্ছন্দেই একটা দিবানিদ্রার সুযোগ নিলাম। ঘুম ভাংলো যখন টেবিলে লাঞ্চ রেডী করে আমাকে ডাকা হলো।
সন্ধ্যার পর আনায়া ও আরহাম ওদের মায়ের সাথে ঈদ আনন্দের বাকি অংশটুকু নানুদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য ওদের নানুবাড়ীতে চলে গেল। ছোট বৌমাও ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে ওদের বাড়ীতে চলে গেল ঈদের বাকি অংশটুকু কাটাতে। এ ক’টা দিন গমগম করা বাড়ীটা আবার ফাঁকা হয়ে গেল। গিন্নীকে দেখলাম বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে সারাদিনের কর্মব্যস্ত দিনের ফাঁকে ফাঁকে তোলা ছবিগুলো দেখছে আর এটা ওটা মন্তব্য করছে। মন্তব্যের সারাংশ, ‘ওদের খুশিই আমাদের খুশি’। আমিও সে কথায় সায় দিয়ে ভাবতে লাগলাম, কেমন কাটালাম এবারের ঈদের দিনটা! ভাবতে ভাবতেই কবিতার মত কিছু একটা লিখেও ফেললামঃ
ঈদ আনন্দ – ২০২১
ঈদ আনন্দ কখনো আর সবার মত আমার
এ অন্তর্মুখী মনে আনন্দধারা বয়ে আনতো না।
কখনো ঈদমুখী হয়ে থাকতাম না। তবুও-
যখন ঈদ আসতো, দিনশেষে চলেও যেত,
যথারীতি নিষ্ঠার সাথে যাবতীয় আচারাদি
মান্য করে যেতাম ঠিক সুবোধ বালকের মত।
আজকের কথা ভিন্ন।
আজকের মানে পরিণত বয়সের কথা বলছি।
আজ মন আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে
অপত্য উত্তরপুরুষের আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখে।
এ আনন্দ হিল্লোল হয়তো বাহ্যিক দৃশ্যমান নয়।
অতি সঙ্গোপনে তা মানস সরোবরে তরঙ্গ ছড়ায়।
অপত্য স্নেহ ভালবাসা যত নিম্নমুখী, তত গভীর।
কোলে পিঠে বুকে ওদের থাকে নিরঙ্কুশ অধিকার।
যতদিন ওরা থাকে দৃষ্টির সামনে, ওদের খুশির
একটি হাসির দ্যূতিও চোখের পাতায় লটকে রয়।
ইচ্ছে হয়, ওদেরকে ছায়া দিয়ে রাখি, হাত ধরে
ওদেরকে নিয়ে পাড়ি দেই দুস্তর পথ, যতটা পারি!
(আজ পবিত্র ‘ঈদুল ফিতর’ এর কিছু আনন্দময় স্মৃতিকে ঘিরে)
ঢাকা
১৪ মে ২০২১
১৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতর এর আন্তরিক শুভেচ্ছা।
২| ১৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: পরিবারের সদস্যরা আপনার পেছনে দাড়িয়ে নামাজ পড়েছে। এটা বড় আনন্দের।
কবিতাটা খুব সুন্দর হয়েছে।
আমার কন্যাকে নিয়ে আরেকটা পর্ব লিখেছি। আপনাকে পড়ার আমন্ত্রন রইল।
১৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার কন্যাকে নিয়ে লেখা দ্বাদশ পর্বটা পড়ে এলাম, একটা মন্তব্যও রেখে এলাম।
কবিতার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঢাকাতে কি ঈদের নামাজের জামাত হয়েছে?
১৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী হয়েছে, কিন্তু আমি বাসাতেই পড়েছি।
৪| ১৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ- এবারের ঈদে দারুন একটা দিন কাটালেন বোঝা যায়।
মর্মস্পর্শী কবিতা।
১৫ ই মে, ২০২১ রাত ৮:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
৫| ১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অতুলনীয় লিখনী,ঈদ মোবারক ভাইজান
১৫ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারক!
৬| ১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চিরন্তন ভাবনা !
ওদের খুশি ই আমাদের খুশি!
আরহামের গল্প মন ছুঁয়ে গেলো, চমৎকার পারিবারিক আবহ! আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঈদের নামাজ আমি ও ভুলে যাই। কবিতা নিয়ে পরে আসবো।
ঈদ শুভেচ্ছা ভাইয়া।
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: 'চিরন্তন ভাবনা! ওদের খুশিই আমাদের খুশি' - জ্বী, এটাই চিরন্তন ভাবনা।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
৭| ১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ঈদ মোবারক।
১৬ ই মে, ২০২১ সকাল ৮:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারক!
পোস্টে প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ১৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০২
নীল আকাশ বলেছেন: ঈদ মোবারক।
আমিও বাসাতে গত রমজানের মতো ২০ রাকাত তারাবীহর নামাজ পারিবারিকভাবে ইমামতী করে আদায় করলাম। নামাজ পড়তেই হবে। এটার কোন মাফ নেই। কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম নামাজের হিসাব নেয়া হবে।
আনায়া এবং আরহামকে আল্লাহ সারাজীবন সহী শুদ্ধভাবে ইসলামের পথে চলার তৌফিক দান করুন, আমীন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন।
১৬ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর একটি মনছোঁয়া মন্তব্য এখানে রেখে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
প্লাসে অনুপ্রাণিত।
৯| ১৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১
আমি সাজিদ বলেছেন: ঈদ মোবারক।
১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারক!
পোস্টে প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
১০| ১৫ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এই করোনার বিষাদময় দিনগুলিতে অনেক উত্তম কাজের
সাথে এই সময়ে একজন সমাজ সচেতন মানুষ হিসাবে
পরিবারের সকলকে নিয়ে নীজ ইমামতিত্বে নীজ গৃহে
ঈদের নামাজ আদায় আরো একটি উত্তম কর্ম হিসাবে
আল্লার কাছে কবুল হোক এ দোয়াই করি ।
আনায়া এবং আরহামকে নিয়ে ঈদের দিনগুলি
আপনার কাছে আরো মধুরতর হোক সে
কামনাও করি ।
কবিতা খুব সুন্দর হয়েছে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দোয়া এবং প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এমন চমৎকার মন্তব্য পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন, ঈদ মুবারক!
১১| ১৫ ই মে, ২০২১ রাত ৯:০৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানবেন স্যার।
নিজগৃহে তিনটি ঈদের নামাজের ইমামতি করেছেন- এটা আনন্দের সঙ্গে বিষাদেরও বৈকি।
কবে যে এই অতিমারির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায় সেটাই এখন প্রার্থনা...
১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এটা আনন্দের সঙ্গে বিষাদেরও বৈকি" - জ্বী, কথাটা অনেকটা ঠিকই বলেছেন। আযান শোনার পর ঘরে বসে নামায পড়ি আর মাসজিদের ভেতরটা কেমন ফাঁকা রয়েছে, সেকথা ভেবে বিষণ্ণ বোধ করি।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
১২| ১৫ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৪০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমাদের সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে । ঈদের শুভেচ্ছা।
১৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে - খুবই সামান্য একটি বাসনা, কিন্তু এটাকেও অনেক সময় সুদূর পরাহত বলে মনে হয়।
আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারক!
পোস্টে প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ১৫ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর এবং কন্যাকে নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৯:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, আমার এ লেখাটা পড়ে দু'বার মন্তব্য করার জন্য।
১৪| ১৬ ই মে, ২০২১ ভোর ৪:৪৯
সোহানী বলেছেন: ও মাই গড!! কমোডের পানিতে হাত!!!!! আমি নাই....... । সব দুস্টুমি সহ্য করতে পারি কিন্তু বাথরুম নিয়ে তামাশা!!!
আর কোনা ঘুপচি যে আরহামদের প্রিয় তা জানি। আমার মেয়ের থেকে কখনো কিছু লুকিয়ে রাখতে পারতাম না। কিভাবে কিভাবে যেন বের করে ফেলতো। মারাত্বক বিচ্ছু ছিল। কিন্তু আমার ছেলে ছিল মারাত্বক পরিস্কার। কোন নোংরাতে সে ভুলেও হাত দিতো না।
গত দুই ঈদের নামাজ মিস করেছি। আমাদের এখনো কড়া লকডাউন চলছে। আপনাদের এভাবে নামাজ পড়া দেখে ভালো লাগছে। আমার বাবাকে বারণ করার পরও জামাতে গেছে। বলে বছরে মাত্র একটা দিন!
ভালোবাসা নিম্নগামী তো বটেই। আমার শশুড় প্রতিদিন একবার করে হলেও আমার ছেলে মেয়ের সাথে কথা বলে। লকডাউন এর কারনে ইউএস থেকে ট্রাভেল করতে পারছে না।
বোঝা যাচ্ছে আপনাদের ভালোই ব্যাস্ততা যাচ্ছে। ছবি দুটো অসাধারন হয়েছে। পান্জাবী টুপিতে একেবারে রাজকীয় লাগছে।
কবিতায় ভালোলাগা।
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ও সবকিছুই স্পর্শের মাধ্যমে অনুভব করতে চায়, এক্সপ্লোর করতে চায়। নীচের সবগুলো সকেট পয়েন্টকে ওর জন্য প্লাগড করে রাখা হয়েছে।
আপনার শ্বশুর সাহেব নিয়মিতভাবে প্রতিদিন নাতি নাতনিদের সাথে কথা বলেন জেনে ভাল লাগলো। এ বয়সে এসে সবাই যতটা সম্ভব নাতি নাতনিদের সান্নিধ্য পেতে চায়, ওদেরকে ভালবাসা দিতে চায়।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
১৫| ১৬ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:০০
পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানবেন স্যার। ছবি দুইটা সুন্দর হয়েছে।
কেমন আছেন?
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভাল আছি। আশাকরি, আপনিও ভাল আছেন।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।
আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারক!
১৬| ১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৮
আরাফআহনাফ বলেছেন: ইদ শুভেচ্ছা।
ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে - দার্শনিক নাতি যেন নেক হায়াত ও সুস্হতায় বেড়ে উঠে এ দোয়া করি।
ভালো থাকবেন।
১৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "দার্শনিক নাতি যেন নেক হায়াত ও সুস্হতায় বেড়ে উঠে এ দোয়া করি" - আপনার এ দোয়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা!
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারক!
১৭| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৩:৫০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ঈদের নামাজের পূর্বে নামাজের নিয়মগুলো বলে না দিলে বিপত্তি হবার সম্ভবনা থাকে বেশী, কারণ বছরে মাত্র দুবার পড়া হয় উক্ত নামাজ, তারপরও বলে দেওয়ার পরও অনেকে ভুল করেন, প্রথমেই রুকুতে চলে যান। ঈদের নামাজ ঘরে পড়বো কখনো ভাবিনি, স্বপ্নেও ভাবিনি, নাহ। কিন্তু বাস্তব তাই হয়েছে।
আপনাকে ঈদ মোবারক।
১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারক!
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
১৮| ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫২
শায়মা বলেছেন: একদম ঈদের সারাদিনটা দেখতেই পেলাম ভাইয়া।
নাতি নাতনীরা কি তোমাদের সাথেই থাকে? আমি ভেবেছিলাম সবাই বিদেশে থাকে।
অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা তোমাদের সবার জন্য।
১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওরা মাস ছয়েক আগে সপরিবারে প্রবাস থেকে দেশে ফিরে এসেছে। ছেলে দু'মাস পর আবার ফিরে গেছে তার কর্মস্থলে। বউমা সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার দ্বিতীয় মাস্টার্স কোর্স (মাস্টার্স অন পাবলিক পলিসি) সমাপন করে দেশে ফিরে এসে তার পূর্বতন কর্মস্থল সচিবালয়ে যোগদান করেছে। আনায়া এখানে বসে অনলাইন ক্লাস করে চলেছে।
ওদের সান্নিধ্যে আপাততঃ নিরানন্দ ঈদও ঈদময় হয়ে উঠেছিল। ওরা এখন কিছুদিনের জন্য নানুবাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছে।
১৯| ১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫০
শায়মা বলেছেন: স্কুলটা চিনেছি আনায়ামনির। ঐ স্কুলে আমার কাজিনের বেবিরাও পড়ে।
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২০| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
সুন্দর একটি পারিবারিক ছবি। এ ছবি অম্লান থাকুক আরও দীর্ঘকাল!
চমৎকার বলেছেন এটুকু --- অপত্য স্নেহ ভালোবাসা যতো নিম্নমুখি ততোই গভীর ।
১৮ ই মে, ২০২১ ভোর ৬:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এ ছবি অম্লান থাকুক আরও দীর্ঘকাল!" - অনেক ধন্যবাদ এ শুভকামনার জন্য। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
২১| ১৯ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন ঈদ ও উদযাপন
শেয়ারে কৃতজ্ঞতা। জানা হলো অনুভব করা গেলো, বোধের মাত্রায় যুক্ত হলো দারুন অভিজ্ঞতা
++++
১৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
২২| ১৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১০
ঢুকিচেপা বলেছেন: আপনার দার্শনিক দাদু যেভাবে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে আপনার কপি।
গত ২ ঈদে মসজিদে নামাজের হওয়ার কারণে যাইনি কিন্তু এবার আমরা মসজিদেই নামাজ পড়েছি।
আনায়া, আরহাম এবং তার দাদুসহ সকলের জন্য দোওয়া রইল।
২০ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: পবিত্র ঈদুল ফিতর এর বিলম্বিত শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন!
একটি সুন্দর মন্তব্য দিয়ে মনটা ভরিয়ে দিলেন। আর প্লাসটাও তো একটা বাড়তি প্রেরণা!
আপনার জন্যেও অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪
অদ্ভুত_আমি বলেছেন: ঈদের নামাজে ইমামতি করেছেন জেনে প্রীত হলাম ।
ঈদের শুভেচ্ছে ।