নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডা জার্নালঃ শেষ পর্ব

১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২

অবশেষে স্বগৃহে

প্রায় চৌত্রিশ ঘণ্টার উড্ডয়ন ভ্রমণ শেষ করে (ডোর টু ডোর) অবশেষে গত পরশু রাত দেড়টার সময় স্বগৃহে পৌঁছালাম। এতটা দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি ও অবসাদে তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলাম। বাসায় ফিরে গোসল করার পর কিছুটা ফ্রেশ লাগছিলো। কোনরকমে সামান্য খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লাম। এর পরের প্রায় দুই দিন ঘুমের কোন টাইম টেবল ছিল না। ঘুমের ফাঁকে ফাঁকে জেগে উঠলে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু কিছু কাজ সেরে আবার ঘুম। ঘুমের ঘোরে ছিলাম বলেই হয়তো জেগে থাকা সত্ত্বেও গত রাতের ৫.২ মাপের ভূমিকম্পের কাঁপনও অনুভব করতে পারিনি। অথচ এর আগে ৪.২ থেকে ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্পও বেশ ভালো ভাবেই অনুভব করেছিলাম। আজ ভোরে জেগে উঠে মনে হলো ঘুমের ঘোর কেটে গেছে। চিরচেনা স্থানীয় মাসজিদে গেলাম ফজরের নামায পড়তে। নামায শেষে গাড়িতে গ্যাস ভরে আনলাম, সকাল সকাল হওয়াতে লাইনে অপেক্ষা করতে হলো না। কিছু কাঁচাবাজারের ফরমায়েশ ছিল। অত সকালে স্থানীয় কাঁচাবাজার ঠিকমত বসেনি। কেবল দুই একজন বিক্রেতা মাত্র তাদের ঝাঁপি সাজাচ্ছিল। সেখান থেকেই ফরমায়েশি ফর্দের যে কয়টি আইটেম পেলাম, কিনে বাড়ি ফিরে এসে ল্যাপটপ খুলে বসলাম। গত তিনদিনে এটা বন্ধ ছিল। গতরাতে মুঠোফোনে বার্তা পেয়েছি, একজন এলাকাবাসী ইন্তেকাল করেছেন। এখন মাইকিং হচ্ছে, আজ বাদ যোহর আমাদের জামে মাসজিদে তার জানাযা হবে। এ রকম বার্তা পেলে আমি সাধারণতঃ চেনা হোক, অচেনা হোক, কারও জানাযা মিস করি না। আলোচ্য ব্যক্তি আমার অচেনা ছিলেন, তবুও তার জানাযায় আজ উপস্থিত থাকবো বলে মনস্থ করেছি।

চলতি পথের রম্য

১১ অগাস্ট ২০২৩। ভোর চারটার সময় রিজাইনা এয়ারপোর্টে এসে দেখি আমাদের ফ্লাইট দেড় ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়বে। বাসা থেকে রওনা হবার সময় তাড়াহুড়ার কারণে সেলফোনে ফ্লাইট স্ট্যাটাসটা দেখার কথা খেয়াল ছিল না। যাহোক বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলোনা। আধ ঘণ্টার মধ্যেই চেক-ইন কাউন্টার খুলে গেল এবং স্টাফরা তাদের কাজ শুরু করলো। নির্বিঘ্নেই চেক-ইন সম্পন্ন হলো এবং যথাসময়ে ওয়েস্ট জেট এর ফ্লাইট WS606 এর বিমানটিতে আসন গ্রহণ করলাম। প্লেনে যাত্রীদের আসন গ্রহণের পর সেফটি সিকিউরিটি বিষয়ক যেসব ঘোষণা আসে, এতদিন দেখেছি পর্দার অন্তরাল থেকে কেউ একজন পাবলিক এ্যানাউন্সমেন্ট ইকুইপমেন্টে (পিএ ইকুইপমেন্ট নামে বহুল পরিচিত, সোজা কথায় 'মাইক';) সেসব ঘোষণা দেন, হয়তো প্রি-রেকর্ডেড, আর যাত্রীদের সামনে কেবিন ক্রুরা তার ডেমনেস্ট্রেশন দেখান। আজকাল অবশ্য আসনের সামনের মনিটর স্ক্রীনেও সেসব ডেমনেস্ট্রেশন দেখানো হয়। এই পর্দার অন্তরালের ঘোষক ঠিক কে, কো-পাইলট নাকি কেবিন ক্রুদের মধ্যে যিনি প্রধান তিনি, সে সম্বন্ধে আমি নিশ্চিত নই। আজ দেখলাম, হাতে হ্যান্ডসেট নিয়ে হাসিমুখ একজন মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি যাত্রীদের সামনে মূর্তমান হলেন।

তিনি টেকোমাথা ছিলেন, মুখে মাস্ক পরিহিত। প্রথমেই তিনি বললেন, "আমি জানি আপনারা এই হ্যান্ডসাম লোকটির পুরো মুখটা না দেখা পর্যন্ত তৃপ্তি পাচ্ছেন না" - এই বলে তিনি মুখের মাস্কটি সরিয়ে ফেলে একটি আকর্ণবিস্তৃত হাসি দিলেন। যাত্রীরাও সহাস্যে করতালি দিয়ে তাকে সম্ভাষণ জানালেন। তারপর তিনি বললেন, "মাঝে মাঝে যাত্রীদের সাথে কথা বলার সময় দুই একটি জোক পরিবেশন করার অনুমতি আমাকে কর্তৃপক্ষ দিয়েছেন, এমনকি হাল্কা এডাল্ট জোকও। তাই আমি আজ একটি জোক দিয়ে আমার বক্তব্য শুরু করবো। তবে আমি লক্ষ্য করেছি আজকের ফ্লাইটে বহু স্কুলছাত্র টরন্টো যাচ্ছে, তাই আমি আজ কোন এ্যাডাল্ট জোক বলবো না"। যাত্রীরা আবারও সহাস্যে করতালি দিলেন। তারপর তিনি সেফটি ইভাকুয়েশন নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত জোক বললেন এবং এর পরেই শুরু হলো ঘোষণার সাথে রুটিন ডেমোন্সট্রেশন। এরপর যতবার তিনি সামনে এসেছেন, যাত্রীদের সাথে হাস্যরসের সাথে কথা বলেছেন। তার শেষ কথার পর যাত্রীগণ পুনর্বার সহাস্যে করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। প্লেন ত্যাগ করার সময় অনেক যাত্রী তার হাস্যরসের প্রশংসা করে তাকে ধন্যবাদ জানালেন।

এবারে এমিরেটস এর টরন্টো-দুবাই ফ্লাইট EK242 এর একটি ঘটনা। ফ্লাইট সামান্য পরেই দুবাই বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে অবতরণ শুরু করবে বলে পাইলট জানালেন। ঘোষণাটি শুনে মাঝখানে চার আসনের রো'তে বসা এক তরুণী তার আসনের নীচে এবং চারপাশে কী যেন খোঁজাখুজি শুরু করলেন। তার অভিব্যক্তি দেখে বুঝলাম, তিনি তার কাঙ্খিত বস্তুটি খুঁজে পান নি। খানিক পরে তিনি একজন বিমানবালার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। বিমানবালা কোমর বাঁকিয়ে ঝুঁকে পড়ে খানিকক্ষণ খুঁজলেন, কিন্তু তিনিও কোন কিছু পেলেন না। আসনের সামনের স্ক্রীনে মাঝে মাঝে নির্দেশ আসছিল যে কারও সেলফোন নীচে পড়ে গেলে যাত্রীগণ যেন নিজেরাই সেটা খোঁজার চেষ্টা না করে কেবিন ক্রুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আমি তাই ভেবেছিলাম, হয়তো মেয়েটির সেলফোন নীচে পড়ে গেছে এবং সেটাকে খোঁজা হচ্ছে। সেই বিমানবালা খানিক পরে একজন হ্যান্ডসাম পুরুষ স্টুয়ার্ডকে ডেকে নিয়ে এলেন। সৌভাগ্যক্রমে সে সময়ে মেয়েটির পেছনের সারির চারজনের মধ্যে তিনজন যাত্রীই ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য আসন ত্যাগ করেছিলেন। সেই যুবক তাই একেবারে নীচে হাঁটু গেড়ে বসে জিনিসটি খোঁজার সুযোগ পেয়েছিলেন। মুহূর্তেই তিনি তার হাতে একটি জুতো নিয়ে উঠে দাঁড়ালেন। তাকে দেখে আমার সে মুহূর্তে মনে পড়েছিলো শরৎ চন্দ্রের গল্পের সেই বিখ্যাত উক্তি – "আমার আরেক পাটি পাম্প"!

ছেলেটি মিষ্টি হেসে সেই মেয়েটির সামনে গিয়ে হাঁটু ভেঙে জুতো ধরা হাতটি প্রসারিত করে বললেন, "ইওর শ্যু"। মেয়েটি স্মিত হেসে তাকে যখন ধন্যবাদ জানাচ্ছিলেন, সেই আরব যুবক তখন আরও মিষ্টি করে হেসে বললেন, "মাদাম, ইতস এ সিন্দ্রেলা স্তোরি"!


ঢাকা
১৫ অগাস্ট ২০২৩
শব্দ সংখ্যাঃ ৭৩৭

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: দীর্ঘ ভ্রমন শেষে সুন্দর ভাবে দেশে ফিরে এসেছেন।
অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারী হলো।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হলাম।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: চলতি পথের রম্য দুটোই চমৎকার। এমন হাসিখুশি বিমান সেবক পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। তাঁর জন্য শুরুটা হয়েছিল মজার।
শেষের কাহিনীটি বেশ রোমান্টিক।

এনিওয়ে ওয়েলকাম ব্যাক!

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এমন হাসিখুশি বিমান সেবক পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। তাঁর জন্য শুরুটা হয়েছিল মজার - আসলেই তাই। যাত্রার শুরুতেই এমন একটা হাসিখুশি পরিবেশ সৃষ্টি করে তিনি যাত্রীদের যাত্রাপথের টেনশন অনেকটাই লাঘব করে দিয়েছিলেন।
শেষের কাহিনীটি রম্য-রোমান্টিক।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে আনন্দিত। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। মন্তব্যে প্রীত হলাম।

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



নিরাপদে দেশে ফিরুন এই কামনা করি ।
আসল স্টোরি এখনো রয়ে গেছে দুবাই
হতে ফ্লাইট ধরে ঢাকা এয়ারপোর্ট পর্যন্ত
হরেক পদের লীলা । ঢাকা ফ্লাইটের বিষয়ে
দুবা্ইতে আমিরাত খুব বেশী সিরিয়াস নয়।
আমি বেশ কয়েকবার বিরস্বনার মধ্যে পরেছি।
বিশাল বড় এয়ারপোর্ট, কানেকটিং ভ্লাইটের জন্য
পর্যাপ্ত সময় হাতে না থাকলে বেশ বিরম্বনা ।
তেমন কিছু ঘটলে আশা করি পরের পর্বে
জানা যাবে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ! নিরাপদেই সস্ত্রীক দেশে ফিরে এসেছি।
"বিশাল বড় এয়ারপোর্ট, কানেকটিং ভ্লাইটের জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে না থাকলে বেশ বিরম্বনা" - জ্বী, অতি বিশাল এয়ারপোর্ট। ভাগ্যিস, আমাদের ট্রানজিট ছিল সাড়ে পাচ ঘণ্টার, তাই বিড়ম্বনার সম্ভাবনা থাকলেও সামলে নিতে পেরেছি।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৩:০৩

কামাল১৮ বলেছেন: ঘরের মতো সুখ কোথাও নাই।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেজন্যই তো কবি লিখে ছিলেন, হোম হোম সুইট হোম!

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ফারাজা আর একটু বড় হলে, ভ্রমনে বের হবো।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অবশ্যই যাবেন। এটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত॥

৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: দুটোই চমতকার মজার কাহিনী। এমিরেটসে দুবাই-ঢাকা জার্নিটার কথা মনে পড়লে আমার এখনো মন খারাপ হয়। প্রচন্ড শীত লাগায় কয়েকবার কেবিন ক্রু কে অনুরোধ করার পরেও কম্বল পাইনি (সিটে দেওয়া ছিল না) বরং ডাকার পর প্রতিবার মুখ গোমড়া করে গেছে! বিরক্ত হয়ে পরে আর চাইনি।

নানান ঝামেলায় আপনার কানাডার জার্নালের কিছু পড়া হয়নি, সুযোগ করে পড়বো ইনশাআল্লাহ।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৭:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "এমিরেটসে দুবাই-ঢাকা জার্নিটার কথা মনে পড়লে আমার এখনো মন খারাপ হয়। প্রচন্ড শীত লাগায় কয়েকবার কেবিন ক্রু কে অনুরোধ করার পরেও কম্বল পাইনি (সিটে দেওয়া ছিল না) বরং ডাকার পর প্রতিবার মুখ গোমড়া করে গেছে! বিরক্ত হয়ে পরে আর চাইনি" - এমিরেটস এর মত একটি বিশ্বখ্যাত এয়ারলাইনের কাছ থেকে এমন একটি আচরণ সত্যিই শুধু অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্খিতই নয়, নিন্দনীয়ও বটে। আমিও লক্ষ্য করেছি, ওদের দুবাই-ঢাকা সার্ভিসের মান টরন্টো-দুবাই এর চেয়ে নিম্ন ছিল।

সময় করে এসে পোস্টটি পড়ে এবং প্লাস দিয়ে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বেশ দীর্ঘ একটি সফর শেষ অবশেষ নিজ গৃহে ফিরে এলেন, খুব সম্ভবত ৪ মাসের সফর ছিল এটি।

"মাদাম, ইতস এ সিন্দ্রেলা স্তোরি"! - হা হা মজা পেলাম!! B-)

১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সম্ভবত ৪ মাসের সফর ছিল এটি" - চার মাস নয়, তিন মাসের কয়েকদিন বেশী মাত্র।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা......"মাদাম, ইতস এ সিন্দ্রেলা স্তোরি"!

আই লাভ দিস লাইন ;)

তাহলে ফিরলেন নিজ গৃহে। .........

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৭:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী ফিরলাম, আলহামদুলিল্লাহ, সহি সালামতে।
"মাদাম, ইতস এ সিন্দ্রেলা স্তোরি" - ওটা শোনার পরপরই এ নিয়ে একটা পোস্ট লিখার ভাবনা মনে উদয় হয়েছিলো।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: যাত্রাপথে কেবিন ক্রুদের হাস্যরসিকতা আপনার প্রিয়জনদের ছেড়ে আসবার বেদনা কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভুলিয়ে দিয়েছিল মনে হয়!

আমাদের যে বয়স, তাতে সহিসালামতে দীর্ঘ ভ্রমণ শেষ করে ফিরে আসাটা অবশ্যই মনে স্বস্তি নিয়ে আসে। এখন আবার পুরনো পরিবেশের সাথে নতুন করে মানিয়ে নেবার পালা...

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ঠিক ধরেছেন। ছেলে যখন আমাদেরকে একদম বোর্ডিং গেটে ঠিকঠাক মত পৌঁছে দিয়ে বিদায় নিয়ে চলে গেল, তখন ওর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। চোখের আড়াল হওয়া মাত্র হঠাৎ কি যেন বলার জন্য ওর নাম ধরে ডেকে ওর পথ ধরে দৌড়ালাম। ততক্ষণে ও অদৃশ্য হয়ে গেছে। খুব সম্ভব সে লিফটের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল। মনটা কেমন যেন করছিল। ভারাক্রান্ত মনে প্লেনে উঠেছিলাম। কিছুক্ষণ পর সেই লোকের হাস্যরসিকতায় মনটা খানিক হাল্কা হয়েছিল। তিনি যতবারই যাত্রীদের সামনে এসেছিলেন, অবলীলায় মানুষকে হাসিয়ে গেছেন।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
আপনি যখন ফিরে এসেছিলেন, হয়তো আপনার সন্তানেরাও এয়ারপোর্টে এসেছিল আপনাকে বিদায় জানাতে। সন্তানদের থেকে বিদায় নেয়ার সে সময়টাতে আপনার কেমন মনে হয়েছিল?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.