নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে পানি,
তাইনা দেখে বাকি সবাই করতো কানাকানি।
ঐটুকু এক মেয়ে, তার মনেও কত মায়া,
সাথীর চোখের অশ্রু তার মনে ফেলতো ছায়া।

পকেট থেকে টিস্যু নিয়ে মুছাতো চোখের জল
তার আদর পেয়ে ছিঁচকাঁদুনে মনে পেতো বল।
এ্যাদ্দিন পর ছিঁচকাঁদুনের পরলো বেজায় মনে
শিশুকালের সেই সাথীটার স্মৃতি সঙ্গোপনে!

ঝুমানা নামের মেয়েটিকে তার দেখতে ইচ্ছে হলো
খুঁজলো চষে এদিক সেদিক, যেথায় দৃষ্টি গেল।
জনে জনে জিজ্ঞাসিল, তার খোঁজ কি কেউ জানে?
কেউ না জানাতে প্রসঙ্গটি সে ফেসবুকেতেই আনে।


(আজ সকালে ফেসবুকের পাতায় স্মৃতিকাতর এক যুবকের একটা স্ট্যাটাস পড়ে কবিতাটা মাথায় আসে। সাধারণতঃ মেয়েরা ছিঁচকাঁদুনে হয়ে থাকে আর ছেলেরা তাদের চোখের জল মোছায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঘটনাটা ব্যতিক্রম ছিলো; আর যুবক এ ব্যাপারে কোন রাখঢাকও করেনি। সেটাই আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছে। যে মেয়ে প্লে গ্রুপে থাকতে পরম মমতায় তার সাথীর চোখ মুছিয়েছে, আমার বিশ্বাস, সে যখন পৃথিবীর যেখানেই থাকুক, সারাজীবন ধরে সে কারো না কারো চোখের জল এভাবেই মুছিয়ে যাবে। কারণ একটা অতি স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল মন নিয়েই সে এ ধরায় এসেছে বলে আমার ধারণা।)


ঢাকা
০৫ এপ্রিল ২০১৫

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:২৪

মিরোরডডল বলেছেন:




কবিতা টা ভীষন কিউট হয়েছে :)

একজন মায়াবতীর গল্প।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য এবং লাইক এর জন্য ধন্যবাদ।
"একজন মায়াবতীর গল্প" - সঠিক। পাদটীকায় উল্লেখিত আমার ধারণাটাও সঠিক হলে এটা সত্যিই হবে একটা কিউট গল্পের কাব্যরূপ।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহা ভাইয়া আমার ছোটো বেটাও ছিচকাদুনে ছিল। ক্লাস টু তে তখন,,,,,, বসেবসে কান্না করতো, আমি ক্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতাম... একবার দেখি ক্লাসের মেয়েরা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর চোখের পানি মুছিয়ে দিচ্ছে সে যতই দূরে মাথা নেয় মেয়েরা এগিয়ে আসে। সেই সময়ের স্মৃতি ছবিতে ধরে রেখেছি । ফেসবুকে আছে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সেই সময়ের স্মৃতি ছবিতে ধরে রেখেছি । ফেসবুকে আছে" - সেই ছবিটা দেখতে পেলে মন্দ হতো না।
মেয়েরা বোধহয় জন্ম থেকেই মনের এই কোমলতাটুকু নিয়ে পৃথিবীতে আসে। স্রষ্টাই বোধহয় তাদেরকে জন্মগতভাবে এই গুণটা দিয়ে দেন। তবে ব্যতিক্রমও তো আছেই!

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার হয়েছে। স্মৃতি জাগানিয়া।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য ও লাইক এর জন্য ধন্যবাদ।
কবিতাটি পড়ে কী ধরনের স্মৃতি জাগ্রত হলো আপনার মনে?

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২৪

শায়মা বলেছেন: এমন তো আমি রোজ রোজ দেখি ভাইয়া।
মেয়েগুলো কত উপদেশ দেয়। জুতার ফিতা বেঁধে দেবার চেষ্টা করে। খাইয়ে দেয়। ব্যাগ পরিয়ে দেয় কত কিছু হা হা ....

১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার শিক্ষকতা জীবন নিশ্চয়ই এ ধরণের নানা রকমের চাক্ষুষ অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। ছোটদের এসব ভালোবাসাময় আচরণ দেখতে নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগে!
মন্তব্য ও লাইক এর জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:০১

এম ডি মুসা বলেছেন: ভালো লেগেছে

১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪

করুণাধারা বলেছেন: কবিতায় একটা মায়াময় ছবি এঁকেছেন।

আমার মনে হয় একটা বয়স পর্যন্ত মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে বেশি মানসিক পরিপক্কতা অর্জন করে থাকে। আমার ছেলে যখন প্রথম প্লে গ্রুপে ভর্তি হলো, তখন ছুটির সময় তার সহপাঠী একটা মেয়ে আমার কাছে এসে বলল, "এই যে আন্টি, 'আপনার ছেলে' ক্লাসে হেড ডাউন করে কাঁদে।" এভাবে অপরিচিত কারও সাথে কথা বলা ঐ বয়সে আমার ছেলে কিছুতেই পারতো না। হেড ডাউন ব্যাপারটা কি সেটা বুঝতে আমার অনেক সময় লেগেছে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমারও মনে হয় আপনার ধারণাটা সঠিক। মেয়েরা জন্মসূত্রেই ছেলেদের চেয়ে বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকে এবং ছেলেদের চেয়ে দ্রুততর পরিপক্কতা অর্জন করে।
পর্যবেক্ষণমূলক মন্তব্য ও লাইক এর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




কবিতা সুন্দর হয়েছে ।
একটি গুণী মেয়ে কদর পেলো
আপনার সুন্দর লেখনীর কারণে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "একটি গুণী মেয়ে কদর পেলো আপনার সুন্দর লেখনীর কারণে" -- বড় হতে হতে সে তার সুকোমল মনোবৃত্তি এবং সংবেদনংশীল মনটাকে কতটুকু ধরে রাখতে পেরেছে জানি না, তবে আশা করবো তার মনের ঔদার্য দিনে দিনে আরও বিকশিত হয়েছে/হবে।
মন্তব্য, লাইক এবং শুভেচ্ছার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: বড়রা হাসবে তারপরেও কী মায়াময় ঘটনা! কবিতাটাও সুন্দর হয়েছে। :)

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য ও লাইক এর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য যে আপনার একটি পোস্ট পড়ে আমার স্মরণে এসেছিল যে জনৈক যুবকের একই রকমের একটা অনুভূতি ও আবেগের কথা আমি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে পড়েছিলাম এবং সেটা পড়ে এই কবিতাটি লিখেছিলাম। কবিতাটি পুরনো হলেও এর আগে সেটা আমি এই ব্লগে প্রকাশ করি নি। তবে আপনার পোস্টটি পড়ে আমি সেদিনই কবিতাটি এই ব্লগে প্রকাশ করে সে কথাটা আপনার পোস্টেও জানিয়ে এসেছি।
আপনার সেই পোস্টঃ কোথায় আছো, কেমন আছো আমার ছোট্ট বেলার বন্ধুরা

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কবিতা ভাল লেগেছে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য ও লাইক এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার !
ভালো লাগা।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক, অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে প্রীত, ছোট্ট প্রশংসায় প্রাণিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.