নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-(৫)

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

চতুর্থ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-(৪)

চলে এলাম আজিজিয়ায়, নতুন হোটেলে অবস্থান গ্রহণঃ

০১ জুন ২০২৫ তারিখে আজিজিয়ায় আমাদের হোটেলে পৌঁছতে পৌঁছতে রাত হয়ে গেল। হোটেলটির নাম ছিল “আত-ত্বারিকি বিল্ডিং”। এটা উত্তর আজিজিয়ায়, সাব-মিউনিসিপালিটি অফিসের পেছনে অবস্থিত। হোটেলটি হুজ্জাজদের জন্য বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। এখান থেকে পায়ে হেঁটেই হারাম শরীফ ব্যতীত হজ্জ্বের অন্যান্য Key Point গুলোতে যাওয়া যায়। এছাড়া দৈনিক পাঁচ ওয়াক্তিয়া নামাযের জন্য হোটেলের কাছেই একটা বড় মাসজিদ আছে। খাবার দাবারের দোকান-পাটও হোটেলের আশেপাশেই আছে। এজেন্সি কিংবা হোটেল কর্তৃক সরবরাহকৃত খাবারের বাইরে হাজ্জী সাহেবগণ নিজের স্বাদ ও পছন্দ অনুযায়ী কিছু কিনে খেতে চাইলে সহজেই এসব খাবারের দোকানের মেনু অনুযায়ী খেতে পারেন। দলের সকলের সম্মতিক্রমে আজিজিয়ার হোটেলে মহিলা এবং পুরুষ হাজ্জীগণের জন্য পৃথক পৃথক কক্ষ বরাদ্দ করা হয়। শান্তিপূর্ণ এই বিভাজনে মহিলারাও খুশি ছিলেন, আমরাও। একেকটি কক্ষ সাইজ অনুযায়ী ৩/৪/৫ জনের জন্য বরাদ্দ করা হয়। আমার এবং আমার ছেলের সাথে আরও তিনজন যোগ করে মোট ৫ জনের জন্য আমাদেরকে কক্ষটি বরাদ্দ করা হয়। আমরা দ্রুত নিজস্ব বোঝাপড়ায় আমাদের অবস্থান গ্রহণ করলাম এবং বিছানা বেছে নিলাম। যথাসময়ে লাগেজ আমাদের রুমে পৌঁছে গেল।

নতুন মুখ, নতুন বন্ধুত্বঃ

আমাদের রুমমেটদের মধ্যে আমি ও আমার ছেলে ব্যতীত অপর তিনজন ছিলেন জনাব ফুয়াদ তানভীর, জনাব নূরুজ্জামান খান এবং জনাব তাওফিক আহমেদ চৌধুরী প্রবাল। প্রথোমোক্ত জনের সাথে ঢাকায় এজেন্সী কর্তৃক নির্ধারিত চূড়ান্ত সমন্বয় সভায় দেখা হয়েছিল, তার মুখে পরিচিতিমূলক কিছু কথাও শুনেছিলাম। দ্বিতীয়জন সম্ভবতঃ সেদিনের সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন না, তবে রওনা হবার দিনে তার সাথে বিমানবন্দরে টুকটাক আলাপচারিতা হয়। আমরা একই সারিতে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে চেক-ইন করেছিলাম। এ ছাড়া মদিনা শরীফে অবস্থানকালীন সময়ে ‘রিয়াজুল জান্নাত’ প্রথম দর্শনের সময় ওনার সাথে নিবিড় ইন্টার-অ্যাকশন হয়, সে কথা আগেও “মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব-২০২৫-(২)” পর্বে সবিস্তারে উল্লেখ করেছি। তৃতীয় জনকে মদিনা শরীফে অবস্থানকালীন সময়ে মাসজিদে নবুবীতে যাতায়াতের পথে কিংবা হোটেল লবীতে মাঝে মাঝে দেখেছি, হয়তো সামান্য কিছু কথাবার্তাও হয়েছে, কিন্তু তার স্ত্রীর সাথে আমার স্ত্রীর পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে যাবার পথে মাঝে মাঝে একসাথে যেতে যেতে এবং একই স্থানে অবস্থান করাতে ভালো আলাপ পরিচয় হয়েছিল।

নানা প্রতিভায় মেধাবী মানুষ, ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বলঃ

আমাদের যে তিনজন রুমমেট এর কথা উপরের অনুচ্ছেদে লিখেছি, এরা প্রত্যেকেই একেকজন নানা প্রতিভায় মেধাবী মানুষ, আচরণে আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল। এত কম বয়সেই এরা সবাই একেকজন কর্পোরেট জগতের সম্মানীয় পদস্থ কর্মকর্তা, উজ্জ্বল নক্ষত্র। বয়সে এরা আমার বড়ছেলের সমবয়সী হবে বলেই আমার ধারণা, হয়তো কেউ তার চেয়ে দুই এক বছরের বড়ও হতে পারে। সেই হিসেবে এরা সবাই আমার পুত্রবৎ। আর হয়তো সেটা বিবেচনা করেই এরা আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছে, একই রুমে থেকে আমার যেন কোন অসুবিধে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে অনেক ছাড় দিয়েছে। যেমন, রুমে ঢুকেই প্রথম দুটো বিছানা ওরা আমাকে আর আমার ছেলেকে দিয়েছে, যেন পাশাপাশি বিছানায় থেকে প্রয়োজনে আমি আমার ছেলের কাছ থেকে টুকটাক সাহায্য পেতে পারি। ৫ জনের কাপড়-চোপড় রাখার জন্য মাত্র একটা ward-robe ছিল; সেটার সিংহভাগ অংশই এরা আমার ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দিয়েছিল। বয়সের কারণে আমার ওয়াশরুম ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ওদের চেয়ে একটু অধিক ছিল, সেই স্পর্শকাতর বিষয়টির প্রতি ওরা খুব সংবেদনশীল ছিল। প্রত্যেকেই ওয়াশরুম ভিজিটের পূর্বে খেয়াল রাখতো, আমার কোন আশু প্রয়োজন রয়েছে কিনা। সেটা ওরা বিনয়ের সাথে জিজ্ঞাসা করে নিত।

মোটকথা, হজ্জ্বের স্পিরিটটাকে এরা চিন্তা চেতনায় ধারণ করে পুরোপুরি আত্মস্থ করে, পূর্ণ মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে হজ্জ্বে যোগদান করেছিল। শুধু এই তিনজনই নয়, আমি অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছি, আমাদের গ্রুপে এদের সমবয়সী যারাই ছিল, তারা প্রত্যেকেই এদেরই মত সংবেদনশীল মনের অধিকারী ছিল এবং প্রত্যেকেই সচেষ্ট থাকতো, একে অপরের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সহায়তার হাত প্রসারিত করে দিতে। এমন কি, গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতে ওয়াশরুমে অপেক্ষার লাইন দীর্ঘ হলে এরা নিজেদের রুম খুলে অন্যদেরকে ডেকে নিয়ে যেত আশু প্রয়োজন মেটানোর জন্য। কোন মুরুব্বীর হাঁটতে, এহরাম সামলাতে কোন অসুবিধে হচ্ছে, এমন কিছু লক্ষ্য করলে এরা সাথে সাথে এগিয়ে আসতো সাহায্য করতে। প্রচণ্ড দাবদাহেও নিজের মাথাকে হাতে ধরা ছাতার বাইরে রেখে ছাতাহীন অন্যকে অকাতরে ডেকে নিয়ে ঠাঁই দিয়েছে নিজ ছাতার আশ্রয়ে। এইসব হৃদয়স্পর্শী আন্তরিকতার জন্য এরা প্রত্যেকেই আমার অন্তরে চিরস্থায়ী আসন গড়ে নিয়েছে। দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন এদের প্রত্যেকের এই ইহসানগুলোকে ক্ববুল করে নিয়ে এর যথাযোগ্য বিনিময় দান করুন! এর আগে আমি আমার জীবনের প্রথম হজ্জ্ব পালন করেছিলাম আজ থেকে ২০ বছর আগে। তখন আমার বয়স ছিল এখনকার চেয়ে ২০ বছর কম। বলতে দ্বিধা নেই, তখন তো আমি আমার চেয়ে বয়স্কদের প্রতি এদের মত এতটা পরোপকারী কিংবা সংবেদনশীল হতে পারিনি!

হজ্জ্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবার পূর্বে তিন দিনের বিশ্রামঃ

আমাদের এজেন্সী তথা স্বদেশী মু’য়াল্লেম জনাব আবদুল্লাহ আল মাহবুব শাহীন আমাদেরকে বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন আজিজিয়াতে ০২, ০৩ ও ০৪ জুন, এই তিনটি দিন পূর্ণ বিশ্রাম নিয়ে, পরবর্তী তিন দিনব্যাপী কঠোর শারীরিক পরিশ্রমের জন্য (যেমন মানুষের ভিড় ঠেলে হাঁটা, হাঁটার সময় জনস্রোত ও হুইলচেয়ারের ধাক্কা সামলানো, ইত্যাদি) মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকতে। হজ্জ্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেলে স্বদেশী মু’য়াল্লেমদের আর করার বা বলার কিছু থাকে না। প্রত্যেক হাজ্জীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে যায় সৌদি মুয়াল্লেম, সৌদি পুলিশ এবং সৌদি হজ্জ্ব মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য স্টাফদের অধীনে। তখন যেথায় যথা আদেশ আসে, সেথায় তথা চলতে হবে। আবার আদেশ ক্ষণে ক্ষণে বদলাতেও পারে। আমরাও মুয়াল্লেম এর পরামর্শ অনুযায়ী ইবাদত বন্দেগী ব্যতীত বাকিটা সময় যথাসাধ্য বিশ্রামে কাটালাম। তবে ঘড়ির কাঁটার সাথে প্রতিটা আমল বা কর্ম বাঁধা ছিল বলে দেহ-মন-ইন্দ্রিয় এ কয়দিনে টিউনড-আপ হয়ে গিয়েছিল। ০৫ জুন ২০২৫ তারিখে আমাদেরকে আজিজিয়া থেকে মিনায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হলো। আমরাও তদনুযায়ী অপেক্ষায় থাকলাম হজ্জ্বের প্রতিটি আমলে ব্যাপৃত হতে, সর্বশক্তিমান আল্লাহতা’লার উপর সম্পূর্ণ ভরসা রেখে।


ঢাকা
২০ অক্টোবর ২০২৫
শব্দ সংখ্যাঃ ৮৪০


পরের পর্বের লিঙ্কঃ



মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৪

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:





আপনার হজ্বের কথা শুনে মনে হচ্ছে, আপনার হজ্বটা বাংগালীদের মাঝে সবচেয়ে বিশুদ্ধতম ছিলো।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: I would rather let the dog bark and the caravan pass.

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৩

শোভন শামস বলেছেন: ভাল থাকুন, সবার জন্য দোয়া করুন। আমাদের দেশটা যেন ভাল থাকে

২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অবশ্যই, ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আলহামদুলিল্লাহ, এই পর্বটিতেও হজের চমৎকার স্মৃতিচারণ করেছেন! প্রতিটি বর্ণনায় যেন সেই পবিত্র মুহূর্তগুলোর সৌরভ ছড়িয়ে আছে। লেখার প্রতিটি লাইন পাঠকের মনে মক্কার স্নিগ্ধ স্মৃতি ও আত্মিক প্রশান্তির অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। আপনার কলমে হজযাত্রার সেই পবিত্র আবহ যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে।

পরবর্তী পর্বের প্রতীক্ষায় রইলাম, ইনশাআল্লাহ আরও হৃদয়স্পর্শী অভিজ্ঞতা পড়ার আশায়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এতটা আগ্রহের সাথে এই সিরিজের প্রতিটি পর্ব পড়ে লেখককে উৎসাহ ও প্রেরণা দিয়ে যাবার জন্য। চেষ্টা করে যাচ্ছি সিরিজটা লিখে যাবার জন্য, সকল বাধা বিপত্তি ও অসুবিধা কাটিয়ে উঠে। পাঠকের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলে, দৃষ্টিশক্তির সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে আমার এ নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়াটা সার্থক হবে।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার হজ্বের বর্ননা পড়তে পড়তে, এখন আমার ইচ্ছা করছে হজ্ব করতে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিন, চেষ্টা করুন। ইচ্ছা পূরণ হয়ে যাবে।

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১০

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



লেখক বলেছেন: I would rather let the dog bark and the caravan pass.

-দেশের সর্বোচ্চ প্রফেশানে চাকুরী করেছেন আপনি; ব্লগারদের সাথে সেইসব বিষয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার না'করে দুনিয়ার ভুয়া বিষয়ের অবতারণা করেছেন ব্লগে।

২ বছর আগে, আমি সৌদী এয়ার লাইন্সে দেশে ফেরার সময়, একজন বৃদ্ধা ভিখারিণীর দেখা পেয়েছিলাম জেদ্দাতে; মহিলা অন্ধ কিন্তু হজ্ব করেছেন; মহিলার জীবনে এটাই বড় অভিজ্ঞতা; আপনার চেয়ে তিনি এই ব্যপারে অনেক উল্লসিত ছিলেন ও সুন্দরভাবে কথা বলেছিলেন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: দুনিয়ার কোন বিষয়টা ভুয়া আর কোন বিষয়টা সঠিক, সেটা বোঝার বয়স এখনো আপনার হয় নাই, অথবা পার হয়ে গেছে।

প্রবাস থেকে সৌদি এয়ার লাইন্সে দেশে ফেরার সময় দেখা পাওয়া সেই "বৃদ্ধা ভিখারিণী"র (আপনার ভাষায়, আমার চোখে তিনি শুধুই একজন শ্রদ্ধেয়া নারী) প্রতি রইলো আমার সালাম।

কিন্তু দুঃখের বিষয় যে সেই বিদুষী মহিলার সংস্পর্শে এতক্ষণ থেকেও "সুন্দরভাবে কথা বলা"র বিষয়টির গুরুত্ব আপনি উপলব্ধি করতে পারেন নাই, রপ্তও করতে পারেন নাই।

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



লেখক বলেছেন: I would rather let the dog bark and the caravan pass.

-আপনার মাঝে ক্যাডেট কলেজ ও মিলিটারীর প্রভাব: ইংরেজীতে কটুকথা বলা ও গালি দেয়া। আপনি বিশাল বড় সরকারী চাকুরী করেছেন, আর গল্প করছেন হজ্বের?

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: সরকারী চাকুরী করার সাথে হজ্বের গল্প করার ব্যাপারে কোন বিধিনিষেধ নেই, বিশেষ করে চাকুরি থেকে অবসর নেয়ার বহু বছর পর এসে। আর তা ছাড়া আমি যতদিন যেখানেই চাকুরি করেছি, মন দিয়ে নিষ্ঠার সাথেই করেছি। কী করেছি না করেছি, তার সাংবাৎসরিক মূল্যায়ন সেসব প্রতিষ্ঠানের নথিপত্রেই সংরক্ষিত রয়েছে। সেসব ফিরিস্তি আপনার মত একজন ঈর্ষান্বিত 'লুজার' কে দিতে হবে কেন??

আপনি জীবনে কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া তো দূরের কথা, অবতীর্ণ হবারও হয়তো যোগ্যতা অর্জন করেন নাই। তাই, যারা নিজ মেধায় সে যোগ্যতা অর্জন করেন, তাদের প্রতি আপনি স্বভাবসুলভ ঈর্ষায় তাদের প্রতি বিরূপ ভাবাপন্ন এবং পরশ্রীকাতর হয়ে ওঠেন। দয়া করে আবার এখানে কোন সিভি ঝুলাতে আসবেন না। ব্যবহারই মানুষের বড় পরিচয়। যার ব্যবহার ঠিক নেই, তার অন্য কোন যোগ্যতা দেখার প্রয়োজন নেই।

এসব নেতিবাচক মনোভাবের বেড়াজাল ছিন্ন করে বেরিয়ে আসুন, মানুষের সাথে সম্মানজনক আচরণ করতে শিখুন, এখানকার অন্যান্য সম্মানীয় ব্লগারদের মত।

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩৪

ঢাকার লোক বলেছেন: হজ্জের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা পর্বগুলো প্রতিটিই বেশ ইনফোরমেটিভ এবং অন্যদের জন্য উৎসাহজনক। আল্লাহর অসীম রহমতে এ পর্যন্ত সব কিছুই প্ল্যানমাফিক সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আল্লাহ আপনাদের সবার হজ্জ কবুল করুন !

ভাই, যদি কিছু মনে না করেন, আপনার এই লেখার সূত্র ধরে হজ্জ যারা করতে চান তাদের জন্য আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলব, প্রথমে মক্কায় থেকে হজ্জ সম্পূর্ণ করে মদিনায় যাওয়া আমার কাছে মনে হয়েছে উত্তম। এতে হজ্জের শ্রমসাধ্য কাজগুলো করা সহজ হবে, দেখা গেছে প্রথমে মদিনায় গিয়ে কেউ কেউ কাহিল বা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় পরে হজ্জের কাজগুলো সম্পাদনে পরিপূর্ণ মনোযোগ দিতে অপারগ হন। হজ্জের মৌসুমে মক্কায় হোটেল ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে আগে মক্কায় থাকার প্যাকেজ গুলো অনেক সময় একটু বেশি দাম নেয়, যদি এফোর্ড করতে পারেন এবং এভেইলেবল হয়, তো আমার মনে হয় তা নেয়া ভাল।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "হজ্জের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা পর্বগুলো প্রতিটিই বেশ ইনফোরমেটিভ এবং অন্যদের জন্য উৎসাহজনক" - অনেক ধন্যবাদ, এ ইতিবাচক পর্যবেক্ষণটির জন্য।

প্রথমবার যখন হজ্জ্বে গিয়েছিলাম, তখন দেশ থেকে প্রথম হজ্জ্ব ফ্লাইটটিতে জেদ্দা গিয়েছিলাম, সেখান থেকে বাসে মক্কা। এবারের কাহিনী আলাদা। প্রথম পর্বটি যদি মন দিয়ে পড়ে থাকেন, তাহলে হয়তো স্মরণ করতে পারবেন আমরা তিনজন কিভাবে অস্ট্রেলিয়া থেকে বুক করা অপর তিনজনের আসন ছেড়ে দেয়ার কারণে শেষ মুহূর্তে দলভুক্ত হতে পেরেছিলাম। অতএব, সেখানে কোন অপশনের সুযোগ ছিল না।

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৪১

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



@ঢাকার লোক,

উনি মক্কা, মদিনা থেকে আমেরিকার লাস-ভেগাসকে বেশী উপভোগ করেছেন। উনার বিদেশ ভ্রমণগুলো পড়ে দেখবেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি জীবনেও কোন দিন আমেরিকার লাস-ভেগাসে যাই নাই।
"উনার বিদেশ ভ্রমণগুলো পড়ে দেখবেন" - হা হা হা, "ভ্রমণগুলো" কেউ পড়ে না, পড়তে পারে না। হয় 'ভ্রমণ-কাহিনীগুলো' পড়ে, নয়তো ভ্রমণ-কথাগুলো পড়ে।
ওহে মিথ্যুক ভণ্ড ভাম, কোথায় পড়েছিস তুই আমার লাস-ভেগাসে যাবার কথা, পারলে প্রমাণ দেখা!

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



একই পোস্টে ওস্তাদ হজ নিয়ে একের পর এক বাজে মন্তব্য করছেন আর অন্ধ শাগরেদ নতুন হাজি সাজার ভূয়া খাহেশ দেখাচ্ছেন - খুবই জটিল সমীকরণ!!!

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: তিনি তার কুশিক্ষার নজির এখানে সেখানে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। করুণা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৫২

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



@নকিব,

আপনি, না'হল তরকারী, ঢাবিয়ান, কিংবা সত্যপথিক শা্য্যান হজ্ব নিয়ে লিখলে ঠিক আছে; কিন্তু উনি সরকারের খুবই বড় পদে চাকুরী করেছেন; জাতির এই সময়ে উনার বক্তব্য খুবই অর্থপুর্ণ হবে। আমি ভিখারিণইির মুখে হজ্বের গল্প শুনেছি।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভিখারিণীটিকে আপনি ভিখারিণী বানিয়েছেন তাকে মহান করার জন্য নয়, আপনার মনের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হচ্ছে লেখককে তার ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে ছোট করা, হেয় প্রতিপন্ন করা। অর্থাৎ তিনি যে একজন ভিখারিণীর চেয়েও কম জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ, তা প্রমাণ করা। অথচ জ্ঞান মানুষের আর্থিক স্বচ্চছলতার উপরই কেবল নির্ভর করে না। এতে অবশ্য আমার কোন সমস্যা নেই, তবে কোন ভিখারিণীর উপর হজ্জ্ব ফরয নয়, অতএব তার হজ্জ্বে যাওয়ার কথাও নয়। আর তাছাড়া একজন পেশাজীবি হিসেবে তার হজ্জ্বের পাসপোর্টে পেশাকে "ভিখারিণী" হিসেবে উল্লেখ করার কোন সুযোগও নেই।

আপনি প্রায়শঃ মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বাংলাদেশি নারীগণকে চাকরাণী, ভিখারিণী ইত্যাদি গর্হিত এবং অবমাননাকর সম্বোধনে ভূষিত করে একটা পৈশাচিক তৃপ্তি লাভ করে থাকেন, যা আপনার অনেক মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে। অথচ আপনি নিজেকে একজন শ্রেণীবৈষম্যহীন সমাজবাদী হিসেবে দাবী করেন। ধিক, আপনার এই নিম্নরুচির মানসিকতা এবং দ্বৈতাচার কে।

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



@জেনারেশন একাত্তর,

আপনি বুঝতেই চেষ্টা করছেন না যে, আপনি কতবার, কতটা বাজেভাবে অন্যদের মতপ্রকাশের অধিকারকে ক্ষুন্ন করছেন!!! এটা ভয়াবহ অপরাধ।

আপনি ধারাবাহিকভাবে ব্লগে একের পর এক ব্লগারদের অসম্মান করছেন। ধর্মের (অবশ্যই শুধুমাত্র ইসলাম) বিরুদ্ধে বাজে কটুক্তি করছেন।

এগুলো কোনভাবেই ভালো লক্ষ্মণ নয়। আপনার অত্যাচার থেকে ব্লগারদের বাঁচার পথ একটাই, আপনাকে কমেন্ট ব্লক করা।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব দেখা যাদের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত, তারা তাদের দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করছেন না।

১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আসুন। স্বাগতম!

১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: যথারীতি চমৎকার লিখেছেন। আপনাদের দলে কম বয়সী হাজী বেশি ছিলেন দেখে ভালো লাগলো। আমাদের এই উপমহাদেশ থেকে যাওয়া বেশিরভাগ হাজী বয়স্ক। অন্য দেশের দলে দেখবেন তরুণরাই এসেছেন বেশি। ইসলামে হজ্বই একমাত্র ইবাদত যা শ্রমসাধ্য। এই জন্য হাজ্বীগণ আল্লাহর কাছে বারবার দোয়া করেন যাতে তিনি হজ্ব সহজসাধ্য করে দেন। শারীরিক সামর্থ্য কম থাকলে মূল হজ্বের তিন দিনের সকল ইবাদত সঠিকভাবে পালন করা কঠিন হয়ে যায়। প্রথম দিন জামারায় পাথর নিক্ষেপ করা খুব কঠিন।
ভালো থাকবেন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "শারীরিক সামর্থ্য কম থাকলে মূল হজ্বের তিন দিনের সকল ইবাদত সঠিকভাবে পালন করা কঠিন হয়ে যায়" - একদম সঠিক কথা বলেছেন। জামারায় পাথর নিক্ষেপ করতে গিয়ে এবারে আমারও ভিড়ের চাপে বেপরোয়া হাজ্জীদের পদতলে পিষ্ট হবার উপক্রম হয়েছিল। কোনরকমে রক্ষা পেয়েছি। হয়তো পরের পর্বে থাকবে সে ঘটনার কিছুটা বিবরণ।

আপনি ব্যস্ত মানুষ। কষ্ট করে সময় বের করে আমার এ সিরিজটা পড়ে যাচ্ছেন এবং মন্তব্যও করে যাচ্ছেন বলে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। অনেক ধন্যবাদ, পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য।

১৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: আপনি ভদ্রলোক, জায়গা মত লাথি মারা আপনার জন্য সম্ভব না। তবে ব্লক করতে পারেন।

https://www.somewhereinblog.net/blog/FahmidaBari/30382792
এই পোস্টের ৪, ৬ নম্বর মন্তব্যে ব্লকের উপায় বলা আছে।

গলুর কাজ হলো ভাল পোস্টে জেয়ে কুতসিত মন্তব্য করা যাতে ভ্দ্রলোকেরা ঐ পোস্টে না আসে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লক করাটা তো কোন ব্যাপার না। তবে সেটা তো সমস্যার কোন স্থায়ী সমাধান হলো না। এক নামে ব্লক করলে আরেক নামে এসে ঘোঁৎ ঘোঁৎ করবে।

১৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:২৫

করুণাধারা বলেছেন: মদিনা থেকে এবার মক্কা এলেন...

আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি মিনা আর আরাফার ময়দানের অভিজ্ঞতা শোনার জন্য।

আপনার রূমমেটরা বয়সে তরুণ, ধারণা করি তারা শারিরীকভাবে সামর্থবান। আপনার কি এমন কারো সাথে দেখা হয়েছে যার হাঁটার সমস্যা ছিল এবং বহুকষ্টে হজ্ব পালন করেছেন?

'হুজ্জাজ' শব্দটির অর্থ জানতাম না, গুগল করে জানলাম।

ব্লগার ঢাকার লোকের মতো আমিও মনে করি আগে হজ্ব পালন করে তারপর মদিনা গেলে ভালো হয়। ২০২৩ সালে যখন হজ্ব করার কথা ছিল তখন আমি প্রথমে মক্কায় হজ্ব করা ঠিক করেছিলাম।

কোনো পোস্টের সাথে সাথে মন্তব্যগুলোও পড়ি। পোস্টের সাথে সম্পর্কিত মন্তব্য পড়াটা স্বস্তিদায়ক। আপনার পোস্টের মন্তব্য গুলো পড়তে গেলে প্রচন্ডভাবে বিরক্ত হই। মনে হয়, সর্বদা বিতারিত এই ব্লগারের মন্তব্যগুলো কেবল আপনাকে যন্ত্রনা দেবার উদ্দেশ্যে করা। এই মন্তব্যগুলো উপেক্ষা করাই ভালো।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি মিনা আর আরাফার ময়দানের অভিজ্ঞতা শোনার জন্য" - জানিনা, আপনার আগ্রহ কতটা মেটাতে পারবো, তবে মিনা ও আরাফাহ সম্পর্কে আগামী দুই পর্বে কিছুটা বলার চেষ্টা করবো। আপনি এখন কেমন আছেন? ব্লগের এখন যে অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে যারা এখনও এখানে লিখে চলেছেন, তারাও একে একে ধীরে ধীরে অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছেন এবং এভাবেই হয়তো একদিন বিদায় জানাবেন। অনভিপ্রেত বিলম্বিত উত্তরের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

"আপনার রূমমেটরা বয়সে তরুণ, ধারণা করি তারা শারিরীকভাবে সামর্থবান" - ঠিক তরুণ নয়, বলা যায় তারাও প্রায় প্রৌঢ়ত্বের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। চলিশোর্ধ্ব তো বটেই, বলা যায় মধ্য চল্লিশে (আমার ছেলে ছাড়া, তার বয়স ৩৫)। তবে তারা সবাই 'শারিরীকভাবে সামর্থবান', কথাটা ঠিক, আমার তুলনায় তো বটেই।

"আপনার কি এমন কারো সাথে দেখা হয়েছে যার হাঁটার সমস্যা ছিল এবং বহুকষ্টে হজ্ব পালন করেছেন?" - আমার স্ত্রী নিজেই তো ‘হাঁটার সমস্যায় ভোগেন এবং বহুকষ্টে হজ্ব পালন করেছেন’। আমি নিজেও মধ্য বয়সে আরথ্রাইটিস রোগে অনেক ভুগেছি, সর্বশেষ ভুগেছি ২০০২/০৩ সালে। এর পরে অনেক পাহাড় পর্বত বেয়েছি, কোন অসুবিধে হয়নি। আমার স্ত্রী এবারে হজ্জ্বে যাবার আগে একদিন একটি প্রমোশনাল বিজ্ঞাপন দেখে অনলাইনে একটি folding stool কিনেছিলেন, যেটাকে বহন করার সময় ভাঁজ করে একেবারে ছোট করে রাখা যায় এবং ব্যাকপ্যাক, এমন কি হাতে বহনযোগ্য যে কোন ব্যাগেও রাখা যায়। তিনি জানতেন যে হাঁটার সময় এটা তার প্রয়োজন হবে; ঠিকই প্রতিটা পদে পদে সেটা খুব কাজে দিয়েছিল। এটা বা এ ধরণের কোন কিছু সাথে না থাকলে হাঁটতে হাঁটতে কেউ ক্লান্ত হয়ে পড়লে ধপ করে রাস্তায় অথবা হারাম শরীফ প্রাঙ্গণে মেঝেতে বসে পড়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "২০২৩ সালে যখন হজ্ব করার কথা ছিল তখন আমি প্রথমে মক্কায় হজ্ব করা ঠিক করেছিলাম।" – সেটাই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। সেবারে শেষ পর্যন্ত আপনার হজ্জ্ব করা হলো না কেন? আপনি যদি পুনরায় কখনো হজ্জ্ব করার এরাদা করে থাকেন, তবে স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্ক থাকবেন এবং যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন বটে, তবে এ নিয়ে সকল প্রকার দুশ্চিন্তা পরিহার করে মনে শান্তি নিয়ে প্রস্তুতি নিতে থাকবেন এবং হজ্জ্বে যাবার জন্য ফোকাস ঠিক করে মনটাকে align করে নেবেন। বাকি করণীয় আপনার থাকবে না, সেটার দায়িত্ব ও প্রতিশ্রুতি আপনার most Gracious, most Merciful host এর, যার আহবানে সাড়া দিয়ে আপনি সেখানে যাবেন।

"ব্লগার ঢাকার লোকের মতো আমিও মনে করি আগে হজ্ব পালন করে তারপর মদিনা গেলে ভালো হয়" - সেটা অবশ্যই ভালো হয়। আপনি তো জানেন, (কারণ সিরিজের প্রথম পর্বে আমি সবিস্তারে উল্লেখ করেছি) যে এবারের হজ্জ্ব পালনে আইটিনিরারী ঠিক করার ব্যাপারে আমাদের কোন সুযোগ ছিল না, কারণ আমরা ছিলাম চান্স প্যাসেঞ্জার। অস্ট্রেলিয়া থেকে হজ্জ্ব পালনে ইচ্ছুক ঠিক তিনজন ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত যেতে অপারগ হওয়াতে অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের যাবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। তাই আগে থেকে ঠিক করা আইটিনিরারী মেনে নিয়েই আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে যথাদ্রুতসম্ভব হজ্জ্বগ্রুপে শামিল হয়েছিলাম।

"মনে হয়, সর্বদা বিতারিত এই ব্লগারের মন্তব্যগুলো কেবল আপনাকে যন্ত্রনা দেবার উদ্দেশ্যে করা" - আপনার ধারণাটা সম্ভবতঃ সঠিক। তবে এর মূল কারণ তিনি একজন পাঁড় ইসলামোফোব। ২০২৩ এর ডিসেম্বরে একদিন মাগরিবের আযান শুনে আমার মনে যে অনুভূতির উন্মেষ ঘটেছিল, আমি ডাক দিয়ে যায় শিরোনামে একটি কবিতা লিখে তা প্রকাশ করেছিলাম। আমি লক্ষ্য করেছি, তার কিছুদিন পর থেকেই আমার পোস্টে তার ব্যক্তি- আক্রমণাত্মক মন্তব্য শুরু হয়। অথচ, একদিন আমি ঢাকায় নিযুক্ত ফরাসী রাষ্ট্রদূত, অথবা দূতাবাসের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি, (তার সঠিক পরিচয় সম্বন্ধে এখন নিশ্চিত নই) এর একটি মন্তব্যে দেখেছিলাম এ কথা বলতে যে তার ঢাকার উল্লেখযোগ্য স্মৃতিগুলোর মধ্যে রয়েছে ফজরের সময়ে শোনা আযানের ধ্বনি। তিনি যদিও একজন অমুসলিম নারী ছিলেন, তথাপি ঢাকায় কর্তব্য পালন শেষে স্বদেশে ফিরে যাবার প্রাক্কালে তিনি এ কথাটি বলে তিনি প্রত্যুষের আযানের ধ্বনিকে তার ভালো লাগার কথাটি জানিয়ে গিয়েছিলেন এবং অন্য ধর্মের একটি বিধানের প্রতি সম্মান জানিয়েছিলেন।

"এই মন্তব্যগুলো উপেক্ষা করাই ভালো।" - এটাও ঠিক, এবং সেটা আমিও বুঝি। কিন্তু একেবারে কোন কিছু না বলে চলে গেলে সে ভুল বার্তা পাবে। তাই আমার তরফ থেকে যেটা বলার সেটা আমি বলে যাই।

১৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালো করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.